“রিশা ও সাথীর প্রধাণশিক্ষকদের বিচার চাই”
110
বার পঠিতখুন হলো ঢাকার নামকরা স্কুল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলের সামনেই তাকে ছুরিকাহত করে ইর্স্টাণ মল্লিকা মার্কেটের বৈশাখী টেইলার্সের দর্জি। আহ! রিশা! আহ! রিশা আর কখনও দুই বেণী ঝুলিয়ে স্কুলে যাবে না। রিশা আর কখনও ইর্স্টাণ মল্লিকা মার্কেটে যাবে না। রিশা আর কখনও অপেক্ষা করবে না নতুন পোশাক পরার।
আমরা সভ্যতার দিকে যাচ্ছি। আমরা দীর্ঘ তিন যুগ পর বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হচ্ছি। জাতির জনকের খুনীদের ফাঁসি হয়েছে, হচ্ছে। পৃথিবীর লজ্জা রাজাকদের বিচার হচ্ছে। তাদের অপরাধ অণুযায়ী শাস্তি হচ্ছে। তলা বিহীন ঝুড়ি (?) বাংলাদেশ এখন মক্কা শরীফের নিরাপত্তা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তলা বিহীন ঝুড়ি বাংলাদেশ (?) এখন অতি পরক্রামশীল আমেরিকাকে জঙ্গিবাদ বন্ধে সাহায্য করতে চায়। তলা বিহীণ ঝুড়ি এখন অন্য দেশেও খাদ্য সাহায্য পাঠায়। আমাদের আর্থিক উন্নতি হয়েছে, হচ্ছে। আধুনিক বিশ্বায়ানের টেকনোলজি এবং আর্থিক ব্যাবস্থা আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ দৃশ্যমান। সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হচ্ছে, বিদেশীরা আমাদের সাথে ব্যাবসা করতে আগ্রহী। আগে তারা আসতো কম মূল্যে গার্মেন্টেসের শ্রমিকদের শ্রম কিনতে। irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
এখন তারা ব্যাবসার অংশীদার হতে চায়। যে সব এলাকায় সারা দিনে দুইটা মাত্র বাস চলে সে সব এলাকারও রাস্তা ঘাট পাকা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপিত হচ্ছে হাসপাতাল। উন্নতি আর উন্নতি। কিন্তু আমাদের বড় ক্ষরন হচ্ছে আত্মিক উন্নতিতে। সৌদী আরবে প্রতিবছরই শিরচ্ছেদ হয়। কিন্তু তাই বলে অপরাধ কমেনি। শিরচ্ছেদ কমেনি । সৌদি আরব ধনী দেশ। কয়েক বছর আগে আমাদের দেশের কয়েক জনেরও শিরচ্ছেদ হয়েছে। নেদারল্যান্ডও ধনী দেশ। সেখানে কয়েদী, অপরাধী, আসামীর অভাবে জেল খানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একই পৃথিবীতে বাস করে দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে এত পার্থক্য কেন? কেন? কেন? এর উত্তর খুব কঠিন নয়। উত্তর : আত্মিক উন্নতি।
আত্মিক উন্নতি করতে খুব ধনী হতে হয় না। তবে যদি ধন সম্পদ থাকে, অভাব না থাকে আত্মিক উন্নতি করা সহজ হয়ে উঠে এ মুক্ত জীবন আধুনিকতায়। আমাদের আর্থিক উন্নয়ন যেমন আগাচ্ছে ঝড়ের গতিতে তেমনি আমাদের আত্মিক উন্নয়নে আমরা আগের মতই স্থবির। সভ্যতার, শিক্ষার প্রমাণই হচ্ছে মানুষের আত্মা, রুচি, সামাজিক শৃংখলা। কঠিন আইন দরকার হয় যখন মানুষ বর্বর থাকে। আইন দিয়ে সব ঠিক করা যায় না। চাপা দিয়ে রাখা যায় কেবল। সুযোগ পেলেই ছাই চাপা আগুনের মতো বর্বরদের বর্বরতা বেরিয়ে আসে আগ্নেয়গিরির মতো। কিন্তু আত্মিক উন্নতি- ধ্বংস করে, সমূলে বিনাশ করে মানুষের ভিতরের বর্বরতা। আমরা সেদিকে চোখ দিচ্ছি না। সেই দিকে চোখ দিচ্ছেন না আমাদের বর্তমান নিতীনির্ধারকরা, আমাদের দ্বারা নির্ধারিত জনপ্রতিনিধিরা।
আত্মিক উন্নতির দায়িত্ব বহুলাংশে স্কুল ও কলেজের উপর, শিক্ষকদের উপর। আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষা আমাদের জীবনে আসলে কতটা কাজে লাগে। বিশেষায়িত কয়েকটি পেশা ছাড়া আমাদের সার্টিফিকেটগুলো আসলে তেমন কোন কাজে লাগে না। বিসিএস ক্যাডারের জন্য যোগ্যতা দরকার গ্রেজুয়েশন। তার তিন বছর মেয়াদী পার্স কোর্স হোক বা চার বছর মেয়াদী সম্মান হোক। বাংলায় অর্নাস, মার্স্টাস শেষ করে অনায়েসে চাকুরী করা যায় ব্যাংক, বীমা সহ সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানে। তাহলে এত শিক্ষা কেন? এ শিক্ষার প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস, বিশ্ব পথের সাথে পরিচয়, স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা, উন্নত রুচি, মানবিকতা তৈরির জন্য তথা আত্মিক উন্নতির জন্য।
আমাদের শিক্ষকরা কি তা পারছেন? আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কি তা পারছে? আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা, শিক্ষক অবস্থা কি তা পারছে? বলা যায় পারছে না। শিক্ষকরা বইয়ের অক্ষর ছাড়া আর কিছুই পারেন না, জানেন না। তারা নিজেরাই আতিœক ভাবে মৃত । তারা জাতির আত্মাকে পরিশুদ্ধ করবেন কি করে?! অনেক যন্ত্রণা, হতাশা, ক্ষোভ নিয়ে লিখাটা লিখছি। শিক্ষক দ্বারা ছাত্রীর যৌণ হয়রানি, শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়ে আজ আলোচনা করবো না। আলোচনা “রিশা”।
রিশা মারা যাওয়ার পর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থীরা কি শিখবে। এ ঘটনা দিয়ে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্য শিক্ষকরা ছাত্রদের কি শিক্ষা দিয়েছেন? শিক্ষা দিয়েছেন অসাধুতা, শিক্ষা দিয়েছেন স্বার্থপরতা, শিক্ষা দিয়েছেন দায়িত্বজ্ঞানহীণতা । রিশার খুনী কি একমাত্র ঐ দর্জি?না! না! না! রিশার হত্যার সহযোগী ঐ স্কুলের প্রধাণ শিক্ষকও । প্রধাণ শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক নামধারী কুলাঙ্গার, অসৎগুলো দর্জির উপর দোষ চাপিয়ে বেঁচে যাচ্ছে। তারা “আমরা শিক্ষক” এ অহংকার নিয়ে একদল মেরুদন্ডহীন বাঙ্গালী তৈরি করবে নিজেকে সর্বচ্চ সম্মানিত রেখে। রিশা ছুরিকাহত হওয়ার পর প্রধাণ শিক্ষক খবর শুনেও তার রুম থেকে বের হয়নি, পুলিশি ঝামেলা হতে পারে এ ভেবে। সে রিশাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুলের গাড়িটিও দিতে রাজী হয়নি।
আশপাশ দিয়ে যাওয়া শিক্ষকরাও কেউ রক্তাক্ত রিশার দিকে তাকায়নি। তাদের সম্ভবত বাসায় যেয়ে কোচিং পড়ানোর তাড়া ছিল। শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড- প্রধান শিক্ষকসহ বাকী মেরুদন্ডহীন শিক্ষকরা আমাদের জাতির কেমন মেরুদন্ড বানাবে এ ঘটনা থেকে আমরা সহজেই কি বুঝে নিতে পারি না? এ শিক্ষার্থীরা কর্ম জীবনে প্রবেশ করে ঘুষ খেলে, নারী লোলুপ হলে তাদের আমরা কতটা দোষ দিতে পারি? সামাজিক জীবনেও এরা না মানুষ হলে আমরা এদের কতটা দোষ দিতে পারি? ঐ শিক্ষকদের ছাত্র ছাত্রীরা কি সহজে শিখবে না যেনতেন ভাবে ধনী হওয়া, নাম কামানোই এ জীবনের মহত্ব?
শিক্ষককে “বাবা” হিসাবে ধরা হয়। শিক্ষকের হাত ধরে একটা মাটির শরীর পৃথিবীর পথ চিনে, নিজেকে বিকশিত করে, পৃথিবীতে চলার জন্য স্বাবলম্বী হয়। উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের প্রধান শিক্ষক কেমন বাবা? কেন তাকে শ্রদ্ধা করতে হবে? তার সন্তান ছুরিকাহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে শুনেও সে রুম থেকে বের হয়নি বাড়তি ঝামেলার ভয়ে, সে স্কুলের গাড়িটিও দিতে রাজী হয় গাড়ি রক্তাক্ত হবে ভেবে। গাড়িটি কি তার পৈত্রিক সম্পত্তি? গাড়িটি পেলে রিশাকে আরও দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। হয়তো সে বেঁচে যেত। একজন ছাত্র বা ছাত্রী সব সময় স্কুল কলেজের নিয়ন্ত্রনে থাকে সে ঐ সার্টিফিকেট নিয়ে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত বা ঐ স্কুল থেকে টিসি নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ।
স্কুল ছুটির পর বাসায় চলে গেলেও সে থাকে স্কুলের নিয়ন্ত্রনেই। স্কুলের পড়া তৈরি করতে হয়,রাস্তা ঘাটে স্যারদের সাথে দেখা হলে বিনীত সম্মান প্রদর্শণ করতে হয়। তারমানে দাঁড়ায় শিক্ষকরাও চব্বিশ ঘন্টার ডিউটিতে থাকেন। সে হিসাবে রিশার প্রধাণ শিক্ষকশুধূ দায়িত্ব অবহেলাই করেনি সে তার নিজ দায়িত্ব পালনেও রাজী ছিল না। প্রধান শিক্ষকেরই নৈতিক এবং চাকরী অণুয়ায়ী দায়িত্ব ছিল রিশাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাবস্থা করা।আমরা সাধারণ যারা তারা খুব একটা আইন জানি না, প্রয়োজন পড়ে না বলে। সাধারণ মনে প্রশ্ন আসে রিশার প্রধাণশিক্ষককে কেন বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে না?সাদা চোখে, সামাজিক চোখে সেও দর্জির মতই অপরাধী। শতভাগ অপরাধী। এ হত্যার কারণে দর্জির যদি ফাঁসি হয় তবে ঐ কুলাঙ্গার প্রধাণ শিক্ষকের যাবজ্জীবণ কারাদন্ড হওয়া উচিত হত্যায় সহোযোগীতা, দায়িত্ব অবহেলার কারণে। তাই নয় কি? আমি প্রধান শিক্ষকের বিচার চাই। clomid over the counter
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের খরচ চালায় পরিবার। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা টিউশিনি, খন্ডকালীণ কাজ করেও কিছু টাকা রোজগার করে। কিন্তু স্কুল পর্যায়ে পুরো খরচ বহন করে ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীরা বড় কোন অন্যায় করলে বাবা-মাকে ডেকে আনায় হয়। তাদের টি.সি দিয়ে বের করে দেওয়া হলেও বাবা-মার হাতেই তা দেওয়া হয়। একজন ছাত্র বা ছাত্রী যদি সময় মত স্কুলের ফি, বেতন পরিশোধ করতে না পারে তার জন্য শত ভাগ দায় থাকে বাবা-মার। সে হিসাবে স্কুলের শিক্ষার্থীদের শারিরীক, মানুসিক শাস্তি দেওয়ার যৌক্তিকতা কি? বাবা-মার কারণে যদি শিক্ষার্থীকে শাস্তি পেতে হয় তবে অপরাধীকে না পেলে তাদের বাবা,মা,পুত্র,কন্যাদেরও শাস্তি দেওয়া উচিত। posologie prednisolone 20mg zentiva
আইন শৃংখলা বাহিনী লিস্ট ধরে জঙ্গি খুঁজে বেড়াচ্ছে। জঙ্গিদের না পেলে তাদের কাছের স্বজনদের কি এনে জেল জরিমানা করা জায়েজ? ২/৩ দিন ধরে বিষয়টা নিয়ে খুব ভাবছি। রিশা হত্যার পরপরই ৮০ টাকা কম দেওয়ায় অপমানজনক শাস্তি পেয়ে আত্মহত্যা করেছে চাঁদপুরের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী। ৪০০ টাকা পরীক্ষার ফির ভিতর তার বাসা থেকে ৩২০ টাকা দেওয়া হয়, বাকীটা পরে। কিন্তু এ ৮০ টাকার জন্য প্রধাণ শিক্ষক ব:সন্ধি বয়সের সাথীকে খোলা মাঠে কান ধরে দাড় করিয়ে রাখে। সাথী পরে আত্মহত্যা করে।
এখানে যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তবে তা করেছে তার বাবা-মা। তাহলে সাথীকে শাস্তি দেওয়ার কারণ কি? আমাদের দেশে আইন হয়েছে কোন শিক্ষার্থীকে শারিরীক বা মানুসিক নির্যাতন করা যাবে না। যে শিক্ষক নিজে আইন মানে না সে শিক্ষক হওয়ার কতটা যোগ্য। তার শিক্ষর্থীরাতো আইন না মানার অভ্যাস নিয়েই বড় হবে। প্রাকৃতিক কারণে ১২-১৮ বছর বয়সকে ধরা হয় বঃসন্ধিকাল। এ সময় মানবদেহের অনেক ধরনের হরমোনাল পরিবর্তন হয় বলে সময়টা খুব স্পর্শকাতর, যা বৈজ্ঞানিক ভাবে স্বীকৃত। একজন প্রধাণ শিক্ষক এ বয়সী একজনকে খোলা মাঠে একজনকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে কিভাবে? তার যোগ্যতা, শিক্ষা নিয়ে এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে। সাথী আত্মহত্যা করানি। তাকে খুন করা হয়েছে। খুন করেছে সাথীর স্কুলের প্রধাণ শিক্ষক।
আমাদের আত্মিক উন্নতির দিকে আমাদের পথচালকদের এ মুহূর্তে চোখ নেই। কেন নেই জানি না। হয়তো তারা আত্মার বিষয়টাই বুঝেন না।তারা আইন বুঝেন। ঠিক আছে। আমি একজন বাঙালি হিসাবে, সংবিধান অণুযায়ী বাংলাদেশের মালিক হিসাবেখুনে সহযোগী ও খুণী প্রধান শিক্ষকের বিচার চাই। আমি বিচার চাই । আমি বিচার চাই।
(লেখাটি ajkerdarpon-আজকের দর্পন এ প্রকাশিত) tome cytotec y solo sangro cuando orino
will i gain or lose weight on zoloft
কোলাহল
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas
Ask2ans @ যুদ্ধ সাংবাদিকতা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
ABU RAYHAN @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা