কটুক্তিকারী শিক্ষকের ফাঁসি চাই! (২)
185
বার পঠিত‘মাদ্রাসার হুজুরকে ছাত্র ধর্ষন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার’ বা ‘ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগে মাদ্রাসার হুজুর আটক’ এসব খবর যত ফলাও করে প্রচার করা হোক না কেন মানুষ নিজের সন্তানকে মাদ্রাসায় পাঠানো কখনোই বন্ধ করবে না। এর কারন হচ্ছে এসব বাবা-মায়ের অজ্ঞানতা ও মূর্খতা। এরা মনে করে সন্তানকে মাদ্রাসায় পাঠানো মানে বাবা-মায়ের জান্নাত প্রায় নিশ্চিত। এ কথা কিন্তু কোরআন এর কোথাও লেখা নেই, এটলিস্ট আমি খুঁজে পাই নি। তাহলে এই বিশ্বাস মানুষের মধ্যে আসলো কিভাবে?
কিভাবে আবার, ওয়াজ মাহফিল করে বেড়ানো এক্স-মাদ্রাসা ছাত্রদের কাছ থেকে। আজ পর্যন্ত যতগুলো ওয়াজ শুনেছি সব কয়টাতেই একসময় না একসময় জনৈক হুজুর কয়েকটা ভুলভাল হাদিস বলে বয়ান দিয়ে দেয়- ‘যে ব্যক্তি কোরআনে হাফেজ হবে তার বাবা-মা বিনা বিচারে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে’। এই কথা শুনেই দরিদ্র বাবা-মা বাচ্চাকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসে। কারন দুনিয়া তো দুই দিনের, পরকাল হচ্ছে আসল জীবন। এই জীবন কোনমতে কাটাইতে পারলে পরকালে শান্তি আর শান্তি। এ নোশনটা আমাদের সমাজে এত গভীরভাবে স্থাপিত হয়ে গেছে যে শিক্ষিত ফ্যামিলিতেও দুইতিনটা বাচ্চা থাকলে একজনকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। উদাহরন- আমার উচশিক্ষিত উচ্চবিত্ত খালা-খালু। তাদের তিন ছেলে এক মেয়ে ছিল, তাই বড় দুজনকে সাধারন স্কুলে দিয়ে সবচেয়ে ছোট ছেলেটাকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। ভাইয়া নাকি মাদ্রাসায় পড়তে চাইতো না, খালি পালিয়ে আসতো। তাকে ঘাড় ধরে আবার দিয়ে আসা হত। (মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে এসএসসি, এইচএসসি দিয়ে ভাইয়া এখন বেশ ভালো পজিশনে আছে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়েছে তার ফ্যামিলির স্বচ্ছল অবস্থার কারনে।)
সরকার এই মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করবে না, অভিভাবকরা নিজ উদ্যোগে বাচ্চাদের সেখানে পাঠাতে বিরত থাকবে না। তবে এই বিষাক্ত জিনিসটাকে কিভাবে থামাবো আমরা? সত্যি বলতে কি, বর্তমানে দেশের যে রাজনৈতিক অবস্থা তাতে মাদ্রাসা শিক্ষাকে বন্ধ করার কোন উপায় আমি দেখছি না। ধর্মব্যবসায়ীরা নিজের স্বার্থেই এটা বন্ধ হতে দেবে না। মাদ্রাসা যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে প্রায় কোটিখানেক সৈনিক তারা হারাবে। তখন তাদের পয়েন্টলেস আজাইরা আন্দোলনগুলোতে মানুষ জমা করবে কিভাবে!
সবচেয়ে বড় কথা এই অশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত/মূর্খ, জীবন সম্পর্কে অজ্ঞ মানুষগুলোকে দিয়ে তারা যে কোন কিছু করিয়ে নিতে পারে। ওয়াশিকুর বাবুর খুনিরা নিজ মুখে স্বীকার করেছিলো তারা কখনো বাবুভাইয়ের লেখা পড়ে দেখেনি, তাদের হুজুর বলেছে খুন করতে তাই তারা খুন করেছে। এরকম অন্ধত্ব কিন্তু সহজে পাওয়া যায় না। রাজীব হায়দারের খুনিরা নর্থ সাউথের ছাত্র হয়েও এই হুজুরদের পাল্লায় পরেই খুনি হয়েছিল। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে এই হুজুররাই জামায়াতে ইসলামীর হয়ে ধর্মের অজুহাতে নির্বিচারে মানুষ খুন করেছিলো।
ধর্মান্ধরা চায় দেশের বেশিরভাগ মানুষ অশিক্ষিত থাকুক, অন্ধকারে থাকুক। কারন অশিক্ষিত, অজ্ঞ, অন্ধকারে থাকা মানুষদের ধর্মের বানী শুনিয়ে ম্যানিপুলেট করে যে কোন কিছু করা যায়। তাই যখনই দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা রিফর্ম বা উন্নত করা নিয়ে কোন কথা ওঠে তখনই এরা সেটার বিরুদ্ধে জিহাদী জোশে ঝাঁপিয়ে পরে। ধর্মিকদের ভোট হারানোর ভয়ে সরকারও তাদের পিছু হটে যায়, তাদের দাবি অনুযায়ী মাদ্রাসার বইপত্র মডিফাই করে। এভাবে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে একটা প্রজন্ম সম্পূর্ণ অন্ধকারে বেড়ে উঠেছে।
সেই অন্ধকারের বাচ্চাগুলো এখন বড় হয়েছে, লায়েক হয়েছে। সমাজের সর্বস্তরে তাদের যাতায়াত, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল মানুষগুলোর মধ্যে। কৃষক, দিনমজুর, দোকানদার, শ্রমিক- যাদের কাছে ধর্ম বলতে নিয়মিত শুক্রবারের জুম্মার নামাজ পরা, যারা কখনো কোরআনের অর্থসহ পড়ে বোঝা তো দূরের কথা কয়েকটা সূরা মুখস্থ ছাড়া আর কোন আরবী পড়ে কিনা সন্দেহ, যাদের কাছে হুজুর বলতেই সবচেয়ে সম্মানের ব্যক্তি- এই জটিলতাবিহীন মানুষগুলোর কাছে হুজুরগুলো ওয়াজ মাহফিলে ধর্মের নামে মিথ্যা হাদিস, কুসংস্কার, অন্যান্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ছড়ায়। যেহেতু কোরআনে হাফেজ, কথায় কথায় আরবী বলা হুজুর এসব বলেছে সেহেতু তারা এসব ‘বানী’কে সত্য বলে মনে করে, আল্লাহর কথা বলে মনে করে পালন করা শুরু করে। অজ্ঞতার অন্ধকারটুকু তখন এদের মধ্যেও এসে ঢুকে পরে। এভাবে তিন গোয়েন্দার ভূত-থেকে-ভূতের মত ধর্মান্ধতা ছড়িয়ে যায়। এরপর জামায়াত, হেফাজতের মত ধর্ম ব্যবসায়ীরা এই মানুষগুলোকে নিজের মত করে ব্যবহার করে নিজেদের নোংরা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। acquistare viagra in internet
সঠিক শিক্ষা ছাড়া এই ধর্মান্ধতা কখনোই দূর হবে না। যদি দেশকে দশ বছর পর পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের অবস্থায় না দেখতে চায় তবে সরকারকে এখনই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বাতিল না করুক এটলিস্ট তাদের সিলেবাসে বাধ্যতামূলক অংক, বিজ্ঞান, ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। যেখানে সেখানে অনিবন্ধিত মাদ্রাসা গজিয়ে ওঠার ট্রেন্ডটা বন্ধ করতে হবে এবং সকল মাদ্রাসা নিবন্ধন করাতে হবে। মোটকথা, সকলের জন্য সমান শিক্ষা- এই স্লোগান বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে আমাদের বাচ্চারা যখন জঙ্গিদের হাত থেকে জান বাঁচানোর জন্য পালাতে পালাতে জিজ্ঞেস করবে দেশের এই অবস্থা কিভাবে হল তখন লজ্জায় চুপ করে থাকা ছাড়া আর কোন উত্তর থাকবে না। venta de cialis en lima peru
কোলাহল
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas
Ask2ans @ যুদ্ধ সাংবাদিকতা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
ABU RAYHAN @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা