“ছেলে..
যেখানেই যাও, capital coast resort and spa hotel cipro
হোক দূরত্ব অসীম..
পথের শেষে আমিই থাকব!
আমার গন্ধই পাবে তুমি!
আমাকেই দেখবে আবার,
নতুন কোন সম্পর্কে….” achat viagra cialis france
কে যেন একঘেয়ে স্বরে আবৃত্তি করছে কবিতাটা। মেয়েলী সেই কন্ঠস্বরে তাড়া নেই। নেই আবেগ কিংবা উত্তাপ। সেখানে ভয়াবহ নির্লিপ্ততা। আলো আঁধারির মাঝে ঘরের দেয়ালটায় লম্বাটে ছায়া পড়েছে কারো। কোন এক নারীর। সেই ছায়ামূর্তি মাথা দোলাচ্ছে। তার মাথায় লম্বা চুল। সেগুলো নড়ছে বাতাসে। এলোমেলো ভাবে। সেই সাথে ছায়াটা লম্বা হচ্ছে… হচ্ছে… আবৃত্তির শব্দ এখন আরও জোরালো। তীক্ষ্মস্বরে উচ্চারিত প্রতিটা শব্দ সরাসরি মস্তিষ্কে আঘাত করছে যেন! বাতাসে অদ্ভুত একটা গন্ধ ভেসে আসছে হঠাৎ। কর্পূরের গন্ধের মতো। নাকী লোবানের? কড়া। দম আটকানো। কে যেন বলত ওটা মৃত্যুর গন্ধ। কে যেন… কে যেন… ইনতাজ দম আটকে ফিসফিসিয়ে জানতে চাইল,
“রুনু… তুমি?”
irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
(১)
“তুই সত্যি সত্যি বেঁচে আছিস তো???”
বরাবর এক বছর পর মৌর দেখা পেয়ে আমার প্রথম প্রশ্ন। অবশ্যই অত্যন্ত সন্দেহজনক প্রশ্ন।
মৌ! মানে আমাদের মৌমিতা! স্কুল আর কলেজ জীবনের মাত্রাছাড়া হাসিখুশী বান্ধবী মৌমিতা! সবসময় ছোট্ট একটা টিপে কপাল সাজানো মেয়েটা! টানা টানা চোখভর্তি কাজল দিতে পারা বেস্ট ফ্রেন্ডটা আমার। সেই কবে শেষ দেখা হয়েছিল আমাদের, ভুলে গেছি। ভেবেছিলাম ও সুখে ছিল। হাজারটা গুণের ফাটাফাটি দেখতে এক প্রেমিক হয়েছিল ওর। যে কীনা গলা ছেড়ে অদ্ভুত সুন্দর গান করতে পারত। আর মৌমিতা ছিল সেই সুগুণী প্রেমিকের একান্ত বাধ্যগত প্রেমিকা! প্রেমিকপ্রবরের পছন্দ নয় বলে, কোন ফ্রেন্ডের সাথেই যোগাযোগ ছিল না মেয়েটার। আর সে তালিকার অলিখিত সদস্য আমিও ছিলাম তো, তাই এই অবিশ্বাসী প্রশ্ন!
মৌমিতার পুরো নাম ছিল, জাহান সুলতানা মৌমিতা। আমি ডাকতাম মৌ। কখনওবা মৌমি। আমাদের পুরো স্কুললাইফকে স্মরণীয় এবং সুন্দর করে রাখার পেছনে একমাত্র দায়ী মানুষ। ঝগড়া হয়েছে দুই বেস্ট ফ্রেন্ডের? কথা বলাবলি তো অনেক দূরের কথা, মুখ দেখাদেখিও বন্ধ?
মৌমিকে ডাকো! ব্যস ঝামেলা শ্যাষ! দুই প্রেমিক প্রেমিকার ঝামেলা? মৌমি! দ্যাখ তো! মৌমি দুই মিনিট লেকচার দিবে। মৃদু ঝাড়ি দিবে। এরপর সব ঠিক। টীচারের সাথে খিটমিট? মৌমি সুন্দর করে কয়েকটা কথা বলবে, তারপর সেই টীচার আর স্টুডেন্ট এক্কেবারে মানিক জোড়! যেন তারা পরম আত্মীয়।
tome cytotec y solo sangro cuando orino
“মরে যাওয়ার কথা ছিল?”
মৌর কথায় বাস্তবে ফিরে আসি। তাকিয়ে দেখি তার বড় বড় চোখজোড়ায় অতল বিষণ্ণতা। একটু অস্বস্তি হয় আমার। অপ্রস্তুত ভঙ্গীতে হেসে বলি,
“তা ছিলো না। কিন্তু কয়েদীদের ভাগ্য অনিশ্চিত থাকে কীনা! তা জেলার সাহেব তোকে নিষ্কৃতি দিলেন কী মনে করে?”
মৌ ছোট্ট করে শ্বাস ফেলল। থুতনি বুকে ঠেকে আছে তার। এভাবে কয়েকমূহুর্ত চুপ করে থেকে বলল,
“ইনু.. মানে ইনতাজ এর আমাকে আর ভাল লাগছিল না। তাই..”
“কী নাম বললি???”
viagra en uk
চমকে উঠে প্রশ্ন করি। নামটা মাথার ভেতর কোথাও যেন কিছু ভুলে যাওয়া স্মৃতি জাগিয়ে তুলল! আর আমি মনেপ্রাণে প্রার্থনা করতে লাগলাম, আমার ভুলে যাওয়া মানুষটা আর এই ইনু যেন এক না হয়। doctorate of pharmacy online
“ইনতাজ উর রাহমান ইনু। আমার এক্স বয়ফ্রেন্ডের নাম। উই ব্রোক আপ থ্রী মান্থস এগো। হী মুভড অন। এন্ড লুক, আই কুডন্ট!”
“হুম… দেখতেই পাচ্ছি। আচ্ছা..”
আমি গলার স্বর অনেক কষ্টে স্বাভাবিক রাখলাম। মৌমির হাত আলতো করে চেপে ধরে বললাম, metformin gliclazide sitagliptin
“… তোর কাছে ছবি আছে না ওর? দেখা তো। স্রেফ কৌতুহল। কখনও তো দেখাসনি!”
মৌমি মৃদু মাথা ঝাঁকালো। গোলাপী রঙের কাভারে মোড়ানো সেলফোনটা বের করে হাতে নিলো। কয়েক মূহুর্ত কী যেন দেখল তাতে। তারপর তুলে ধরল আমার চোখের সামনে। ব্র্যান্ডের সানগ্লাস পরা এক হাসিখুশী তরুণ। জেল দিয়ে শক্ত করে রাখা চুলগুলো চকচক করছে খুব। তারচেয়ে ঝকঝকে উজ্জ্বল তার হাসি। আগের চেয়ে সুন্দর হয়েছে ও। স্বাস্থ্যও বেড়েছে। চেহারায় আকর্ষণীয় পুরুষালী ভাব। তবু তাকে চিনতে আমার একটুও কষ্ট হচ্ছে না। সেই একই মানুষ! একই হাসি!
বিড়বিড় করে বললাম,
“আমি তোমাকে আবার দেখছি, ইন্দুর!”
********
তার নাম ইনু। পুরো নাম ইনতাজ উর রাহমান ইনু। আমি ডাকতাম ইন্দুর। অদ্ভুত সম্পর্ক ছিলো আমাদের। ঠিক যেন টম এন্ড জেরী। ও নিজেকে জেরী ভাবতেই বেশী পছন্দ করত, তাই পঁচানোর জন্য ইন্দুর ডাকতাম আমি! বিনিময়ে চুলটানা জুটত কপালে। কখনওবা কানমলা। পাশাপাশি বাসা থাকার সুবাদে প্রতিদিন কম করে হলেও ছয় সাতবার দেখা হতো আমাদের। ঝগড়া হতো তারচেয়ে বেশী। আমাদের ব্যালকনি দুটোও পাশাপাশি ছিলো। তাই বাসা থেকে না বেরুলেও ঠিকই দেখা হতো আমাদের। কথা হতো। ঝগড়া হতো। হাতাহাতি ও বাদ যেত না। তারপর আবার সব মিটমাট হয়ে যেত। এভাবেই সময় কাটছিল আমাদের। বড় হচ্ছিলাম আমরা। বেশ বড়। আর সেটা টের পেলাম একটা ঘটনায়! zithromax azithromycin 250 mg
তখন আমি সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠেছি। ইনু টেনে। আমার চেয়ে দু’ এক বছরের বড় ছিলো ও। এক দুপুরে নিজের ঘরে বসে বইপত্র নাড়াচাড়া করছিলাম। স্কুলে যাইনি সেদিন। আসলে তখন এখনও শারীরিক পরিবর্তন চক্রের সাথে পুরোপুরি অভ্যস্ত হতে পারিনি তো! তাই প্রতি মাসের একটা সময় পুরোপুরি গৃহবন্দি রাখতাম নিজেকে। পদার্থবিজ্ঞান বইটা হাতে নিয়ে কী যেন ভাবছিলাম। কিংবা হয়ত নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকছিলাম। গন্ধ নিয়ে বেশ একটা অবসেশন টের পেতাস নিজের মাঝে। এখনও পাই। আমার তো ধারনা, প্রতিটা ঘটনা আর পরিস্থিতিরও আলাদা গন্ধ আছে। বস্তুর গন্ধ আছে। গন্ধ আছে মানুষেরও। যাইহোক কী ভাবছিলাম, তা এখন মনে পড়ছে না। শুধু এটুকু মনে আছে, ইনু তখন সে সময়ই হঠাৎ কোত্থেকে যেন ছুটতে ছুটতে এসে দাঁড়ালো সামনে। ওর চোখমুখ সব লাল হয়ে আছে। দৌড়ে আসায় ভীষণ হাঁফাচ্ছিল ও। আমি অবাক হয়ে তাকালাম। ঘটনা কী, এই ছেলের? renal scan mag3 with lasix
“তুমি স্কুলে যাওনি কেন?”
ওর কড়া প্রশ্ন। জবাব দিলাম না। টেবিলের উপর কনুই রেখে পাল্টা প্রশ্ন করলাম,
“তুমি স্কুলে গিয়ে ফিরে এলে কেন? যতদূর জানি, এ সময় তো স্কুল ছুটি হয় না!”
সে হাত নেড়ে আমার প্রশ্ন উড়িয়ে দিলো। রাগী গলায় বলল,
“মিঠুনের সাথে কী সম্পর্ক তোমার?”
“ক্লাসফ্রেন্ড। আমরা নোট…”
“মিশবে না ওর সাথে। একদম না। কথাও বলবে না কখনও।”
বুঝলাম ওর হিংসা হচ্ছে। বাঁকা হেসে বললাম,
“কেন মিশব না?”
“কারণ আমি বলেছি! কারণ… কারণ আমি তোমাকে ভালবাসি!”
******* can you tan after accutane
“কীরে কী ভাবছিস অত? এ্যাই রুনু!”
মৌমির ঝাঁকুনিতে বাস্তবে ফিরলাম। ও ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। হাতে সেলফোন। ওয়ালপেপারে হাসিমুখের ইনু। হাসিটার কোথাও সূক্ষ্ম বিদ্রুপ আছে কি? আমি মৃদু হাসলাম।
“ব্রেকআপ হঠাৎ? কী হয়েছিল?”
প্রশ্নটা শুনে মৌমি সেখানে বসে পড়ল। ফুটপাথের উপরই। আমি ওকে সঙ্গ দিলাম। ও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“সব শুনলে আমাকে খারাপ ভাববি তুই।”
“প্রশ্নই ওঠে না। আমি তোকে চিনি, মৌ!”
দৃঢ় গলায় আশ্বস্ত করলাম।
“আমাদের মাঝে… সব ঠিকঠাক ছিলো। প্রায় পার্ফেক্ট। প্রায় প্রতিদিন দেখা করা। ঘোরা। একসাথে লাঞ্চ। কখনও ডিনার। হাত ধরে ঘোরাঘুরি করা। ওর কথামতো কারও সাথে যোগাযোগ রাখিনি আমি। ফ্রেন্ড, কাজিন কারো সাথেই নয়। ওর যুক্তি… ওতে সম্পর্ক জটিল হয়। সমস্যা দেখা দেয়। সব মেনে নিলাম। সব। সম্পর্কের খাতিরে। ওর সব ন্যায় অন্যায় দাবী। যা চেয়েছে দিয়েছি। আমাদের মধ্যে কতবার যে সবকিছু দেয়া নেয়া হয়েছে! সম্পর্ক ধরে রাখার চিন্তায় আমি ওকে…”
মৌমি চুপ করে রইল। বাক্য শেষ করতে পারল না। আমি বুঝলাম। কাঁধে হাত রাখলাম স্বান্তনার ভঙ্গীতে। ওর ফোলা পেটের দিকে অন্যমনস্ক ভাবেই তাকালাম। কোন কারণ ছাড়া। নিজের তিক্ত অতীত মনে পড়ছে আবার।
******
ইনুর সাথে এরপর আমার সম্পর্কের সংজ্ঞা বদলালো ঠিকই। কিন্তু পারস্পরিক আচরণ একই রয়ে গেলো। একটা ব্যাপার নতুন যোগ হলো, আমি অনেক স্বপ্ন দেখতে লাগলাম। হাত ধরাধরি করে হাঁটতে যেতাম এখানে ওখানে। ঘন্টার পর ঘন্টা ওর মুখের দিকে তাকিয়ে, ওর কথা শুনে কাটিয়ে দিতাম! আমি অদ্ভুত সব কবিতা লিখতাম তখন। কখনও সখনও আবৃত্তি করেও শোনাতাম। ও মুগ্ধ হয়ে শুনত। পড়ত। একটা গীটারও কিনে নিয়েছিল সৃষ্টিছাড়া কবিতাগুলোকে নতুন পরিচয় দেয়ার বাহানায়। এরমাঝে একটা কবিতা ওর খুব প্রিয় ছিল। অন্তত ওর ভাষ্যমতে! শব্দগুলো এখনও স্পষ্টত মনে আছে আমার। প্রায়ই গুণগুণ করে আওড়াই কীনা! হয়ত কল্পনা করি সব আগের মত আছে। সরল। পবিত্র। অপাপবিদ্ধ।
… আমাকে ভালবাসতে দাও।
গন্ধ নিতে দাও তোমার শরীরের,
অস্তিত্বের,
আত্মার,
এমনকি অদম্য রাগেরও!
তোমার প্রতিটা শব্দের গন্ধ চাই আমি।
কিংবা মস্তিষ্কে অনুরণন তুলে!
হোক ছুঁয়ে,
কিংবা বারবার খুঁচিয়ে!
আমি তোমার গন্ধ চাই।
চাই আঁকড়ে ধরে,
কাটুক নিরন্তর সময়!
ছেলে…
যেখানেই যাও,
হোক দূরত্ব অসীম..
পথের শেষে আমিই থাকব!
আমার গন্ধই পাবে তুমি!
অদ্ভুত! প্রেমে পড়লে ষোড়শী কত কিছুই না ভাবে! স্বপ্নের পর স্বপ্ন দেখে। বাস্তবতা আর কল্পনার দূরত্ব বাড়ায় রোচ। কঠিন সব ত্যাগের বিনিময়ে আটকে রাখতে চায় সম্পর্ক। আহ সম্পর্ক! কতসব ভুলতে বসা স্মৃতি! এভাবে অলীক স্বপ্নের ঘোরে প্রায় দেড় বছর কেটে গেলো। আমাদের সম্পর্কে একটুও চিঁড় ধরেনি এর মাঝে। একটুও নয়। হয়ত ছোটাখাটো মনমালিন্য ছিল দাবী দাওয়া নিয়ে। তবু সম্পর্ক সুন্দর ছিলো। টিকে ছিলো। কিন্তু কথায় আছে, “Life isn’t a fairy tale!”
একদিন ইনু আমাকে সন্ধ্যাবেলা ছাদে দেখা করতে বলল। কী যেন জরুরী কথা আছে ওর। আমি সরলমনেই গেলাম। ওর জরুরী কথাগুলো হয় শাসনমূলক। “এর সাথে মিশবে না।” “ওর সাথে কথা বলবে না।” এমন! কিন্তু কোন ধরনের কথা ছাড়াই আমাদের প্রাত্যহিক রুটিনের বাইরের কিছু একটা ঘটল সেদিন। আপ্রাণ ধস্তাধস্তি করে নিজেকে মুক্ত করলাম। তারপর একছুটে চলে এলাম ঘরে। পেছন ফিরে একবারও তাকাইনি। তীব্র আতঙ্ক গ্রাস করেছিল আমাকে।
এক সপ্তাহ এড়িয়ে রইলাম ওকে। কথা বললাম না। দেখা করলাম না। এমনকি ব্যালকনিতে ও বেরুলাম না। স্কুলে যাওয়া আসা করতাম সাবধানে। যাতে ওর সামনে না পড়তে হয়! তারপর একদিন দেখলাম, আমাদের স্কুল বিল্ডিংটার পেছনে একটা মেয়ের সাথে কী যেন করছে ও! অবশ্যই যৌথ সম্মতিতে।
ক্লাসমেট মেয়েটা আমাকে দেখতে পেয়ে পালিয়ে চলে গেলেও, ইনু দাঁড়িয়ে রইলো। কোন অপরাধবোধ ছিল না ওর মাঝে। বরং অদ্ভুত বেপরোয়া মনে হচ্ছিল তাকে তখন। আমি সব অস্বস্তি ঝেড়ে ওর মুখোমুখি দাঁড়ালাম। সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে। শ’য়ে শ’য়ে প্রশ্ন মাত্র একটা শব্দে মুখ ফুটে বেরুলো।
levitra 20mg nebenwirkungen
“কেন?”
“কারণ আমি যা চাই, তা তুমি দিতে পারছো না! অথচ আমি সম্পর্ক রাখতে চেয়েছি। তোমার একটা অনাকর্ষণীয় শরীর থাকা সত্ত্বেও!”
ওর সপ্রতিভ উত্তর।
*******
ব্যস। তারপর আর কথা বলা চলে না।
সম্পর্ক রাখা তো অনেক দূরের ব্যাপার!
কিন্তু এমন একটা দিন কাটেনি, যেদিন ওকে ভেবে কষ্ট পাইনি আমি। প্রথম কয়েক সপ্তাহ তো কেঁদে কেঁদে বালিশ ভেজাতাম। যুদ্ধ করতাম নিজের সাথে। প্রথম প্রেম। যেমনই হোক। অদ্ভুত আবেগ। অযৌক্তিক মনসত্বত্ত!
আমি মৌমির কাঁধে আলতো চাপ দিলাম। রাগ হচ্ছে। কার উপর জানি না। সাথে অদ্ভুত এক হতাশা। তাতে কিছুটা অপরাধ মুক্তির বোধও রয়েছে। “তুমি আরেকটু উদারমনা হলেই ওকে ধরে রাখতে পারতে” – হয়ত মনের কোন এক কোণে এমন একটা অভিযোগ প্রায়ই ঘুরপাক খেতো বলেই। ওহ! আমি বেঁচে গেলাম। নিজের ষোড়শী বিবেকবোধের প্রতি আজ এতদিন পর বেশ কৃতজ্ঞতা ঠিকই টের পাচ্ছি। যার যাওয়ার সে এম্নিই যাবে। পাশে বসে থাকা অভাগী বান্ধবীটার প্রতি মায়া হলো খুব। মায়া হলো তার হারানো নারীত্বের প্রতিও। এসময় আরেকটা অনুভূতি হঠাৎ আমার সমস্ত অস্তিত্ব কাঁপিয়ে উপস্থিতি জানান দিলো!
সেটা ঘৃণা।
ইনুকে আজ থেকে ঘৃণা করব আমি। করছি। ফুটপাথের সেই জায়গাটায় ঝিম ধরে বসে, নিজের ভেতরের ঘৃণার সেই তীব্র স্রোতটা নিয়ন্ত্রণের প্রাণপণ চেষ্টা করতে লাগলাম আমি।
মৌমি তখনও গোলাপী কাভারের সেলফোনের স্ক্রীণটায় ইনুকে দেখছে। খেয়াল করলাম, ইনুর চেহারায় টপ টপ করে নোনা পানি পড়ছে অনবরত। সেগুলো একত্র হয়ে রাস্তায় ঝরে যাচ্ছে। মিশে যাচ্ছে ইট কঙক্রীটের অণু পরমাণুতে। এক নারী তার সর্বস্ব হারিয়ে কাঁদছে। তার জন্য সব হারানোর দুঃখের চাইতে বড় হচ্ছে, সম্পর্ক ধরে রাখতে না পারার ব্যর্থতা!
হায় সম্পর্ক!
হায়! হায়!
******
মৌমির সাথে সেই ছিলো আমার শেষ দেখা। ক্লান্ত মেয়েটাকে তার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে আসার সময় আমি ঘূণাক্ষরেও ভাবিনি, আমার এককালের প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর কোমল বান্ধবীটা কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে! তার কোমলতার চাইতে কয়েকগুণ বেশী কঠিন!
ক্লাস আর চাকরীর চকবন্দী আমি ওর খোঁজ নিতে পারিনি পরের দুই দিন। অবশ্য তৃতীয় দিন ই মৌ আমাকে সে ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দিলো। আন্টির গলাফাটা আর্তনাদ আর টুকরো টুকরো অভিশাপ ধ্বনিগুলো যেন বারবার আমার অক্ষমতাই দেখিয়ে দিচ্ছিল সেদিন। জানান দিচ্ছিল ক্ষমার অযোগ্য ব্যর্থতা। একটা কথা বলতে পারিনি আমি! এক ফোঁটাও কাঁদিনি! শুধু অক্ষম এক ক্রোধ পাক খেয়ে বেড়াচ্ছিল পুরো অস্তিত্ব জুড়ে। ক্ষতবিক্ষত করছিল সত্ত্বার প্রতিটা অংশকে।
বিড়বিড় করে বললাম,
“কাজটা তুমি ঠিক করোনি, ইনু। দু’ দুটো খুন!”
(২)
আমজাদের চায়ের দোকানে সন্ধ্যাবেলা আড্ডা দেয়া আজকাল ইনতাজের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন! একদিন আড্ডা না দিতে পারলে বন্ধুদের সাথে বসে এলাকার মেয়েদের আকৃতির ব্যবচ্ছেদ না করলে, রাতেরবেলা তার ঘুম ই আসে না!
cialis new c 100
কিন্তু আজ আড্ডা দিয়েও ঠিক শান্তি পাচ্ছে না সে। মনে হচ্ছে, গোলমাল আছে কোথাও। অদ্ভুত এক অনুভূতি খোঁচাচ্ছে সেই বিকেলবেলা থেকেই। যখন এলাকার এক পিচ্চি কোত্থেকে যেন ছুটে এসে একটা কাগজের প্যাকেট তার হাতে গুঁজে দিয়েছিল।
প্যাকেটটায় ছিলো লোবান। মৃতদেহে ব্যবহারের সুগন্ধি। আর ছোট্ট একটা চিরকুট।
“প্রস্তুত হও। মৃত্যু আসছে। শুঁকে দেখো মৃত্যুর গন্ধ পাবে। লোবানের মতো!”
ব্যাপারটা ঠিক হেসে উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। তবু ইনতাজ খুব একটা পাত্তা দেয়নি। তারপর কিছুক্ষণ আগের সেই মুঠোবার্তা!
“পাপ তো আমি একা করিনি, ইনু। তুমিও সঙ্গ দিয়েছো। একা আমি অন্ধকার কবরে থাকব, তা তো হয় না!
- মৌ”
কিন্তু… ইনতাজ ভাবে, এটা কী করে সম্ভব? মৌ তো মৃতা। গত মাসে সুইসাইড করেছিল সে। হাসপাতালে নেয়ার আগেই সব শেষ। তবে কি এটা অন্য কোন মৌ? আজকাল এটা বেশ প্রচলিত নাম। কিন্তু সে তো একাধিক মৌ এর সাথে প্রেম করেনি। তার প্রেমিকার সংখ্যা নেহায়েত কম না হলেও, সে ওদের নাড়ি নক্ষত্র মুখস্থ বলতে পারবে। স্মৃতিশক্তির উপর বেশ আস্থা আছে তার। আচ্ছা.. কোন বন্ধু মজা করছে না তো? তাকে ঘাবড়ে দিতে চাচ্ছে? এম্নিতে যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয়েছে মৌয়ের ব্যাপারটায়। কীভাবে একটা মানুষ এত বোকা হয়? প্র্যাগনেন্ট হলেই সুইসাইড করতে হবে নাকী? হাসপাতালে যাও, ডাক্তার নার্সকে কিছু টাকা খাওয়াও। ব্যস! ঝামেলা খালাস করে দেবে। এই সাধারণ ব্যাপার কবে বুঝবে মেয়েরা? যে বাচ্চাটা এখনও আকারও পায়নি তার জন্য কত মায়া ভালবাসা! আজব। একটা রক্তপিন্ডের জন্য হা হুতাশ করার কোন মানে হয়?
এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন যে বাড়ির সদর দরজায় পৌঁছে গেছে, সে নিজেও বলতে পারবে না। এটা তাদের নিজস্ব বাড়ি। তার বাবা অনেক খুঁজে পেতে একটু নিরিবিলি জায়গায় এই বাড়িটা বানিয়েছেন। তিনি বেশ শান্তিপ্রিয় একজন মানুষ কীনা! বাড়িতে ঢুকে ইনতাজ দারোয়ান কে ছুটি দিয়ে দিলো। আজ আর কেউ আসবে না। দারোয়ানের ডিউটি দেয়ার দরকার নেই। সে যেখানে খুশী যেতে পারে।
ইনতাজ তার কাছে থাকা ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলল। পুরো বাড়ি খালি আজ। বাবা-মা, ছোট বোন, বড় ভাই-ভাবী সবাই বেড়াতে গেছে। মৌয়ের ঘটনায় কিছুদিন সবাইকে বেশ দৌড়ের উপর থাকতে হয়েছিল। তার ফলও পাওয়া গেছে অবশ্য। ঘটনাটা ধামাচাপা দেয়া গেছে। অবশ্য মেয়েটার কোন এক বান্ধবী নাকী বেশ লাফিয়েছিল। থানা পুলিশ করছিলো বারবার। কীসব প্রমাণ জোগাড় করছিল। ইনতাজ নিজের বন্ধুদের দিয়ে তারও ব্যবস্থা করিয়েছে। খামাখা ঝামেলা পাকানো মানুষদের সহ্য হয় না তার। কেন হে বাপু? নিজের চরকায় তেল দাও না!
পুরো বাড়ি অন্ধকার। একটু আলো নেই কোথাও। লোডশেডিং নাকী? কিন্তু বাইরে তো দিব্যি বিদ্যুৎ বাতি জ্বলতে দেখে এসেছে সে!
ইনতাজ সুইচবোর্ডের সবগুলো সুইচ কয়েকবার চাপল। না। জ্বলছে না। সেলফোনে বের করে ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতে যাবে, এসময় সেটা ভাইব্রেট করে উঠল প্রচন্ডভাবে। স্ক্রীনে অপরিচিত নাম্বার। রিসিভ করে কানে ঠেকালো সে।
“হ্যালো…”
ওপাশে কোন সাড়া নেই। বরং কে যেন সশব্দে দীর্ঘশ্বাস ফেলল একটা। সেই দীর্ঘশ্বাসে স্পষ্ট হাহাকার। কষ্ট। তারপর শোনা গেল বাতাসের গোঙ্গানি। আবার সব নীরব। কোন শব্দ নেই আর।
ইনতাজের গলায় বিরক্তি। এটা কী ধরনের মজা? রেগেমেগে কিছু একটা বলার আগেই লাইন কেটে গেলো। সে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইল স্ক্রীনের দিকে। রং নাম্বার হবে নিশ্চয়ই। ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতেই আবার ফোন। সেই একই নাম্বার। এবার রিসিভ করতেই কেউ একজন শীতল গলায় থেমে থেমে ফিসফিসিয়ে বলল,
“ওহ ইনু! এখানে অন্ধকার। তোমার বাচ্চাটা ভয় পাচ্ছে খুব! আসবে না?”
“হোয়াট রাবিশ! এটা কী ধরনের মজা?”
ইনতাজ চেঁচিয়ে ওঠে। কিন্ত ওপাশের জন গায়ে মাখে না সেটা। আগের মতই নির্বিকার গলায় ফিসফিসিয়ে বলে,
“ইনু… তুমি মৃত্যুর গন্ধ পাও? পাও তো? কড়া কিন্তু ঘোর লাগানো একটা গন্ধ…”
কন্ঠস্বরটা থামে এবার। যেন উত্তরের অপেক্ষা করছে। কিন্তু ইনতাজের সেদিকে খেয়াল নেই। সে বিস্ফারিত চোখে সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে আছে এখন। সেলফোনের ফ্ল্যাশলাইটের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সিঁড়ির মাঝের ধাপে কে যেন বসে আছে! হাঁটুতে মুখ গুঁজে। এলোমেলো চুলগুলো পিঠের উপর ছড়ানো। মৃদু গোঙ্গানি শোনা গেলো একবার। এসময় ঠিক কানের কাছে কে যেন বলে ওঠে,
“লোবান লোবান গন্ধ। লোবান চেনো তে? একে মৃতদের সুগন্ধি বলে। শেষযাত্রার সুগন্ধি।”
ইনতাজ ভয়ে চেঁচিয়ে ওঠে। শব্দটা তার সেলফোন থেকে আসছে। সেই অপরিচিত নাম্বারের মেয়েটা। কিন্তু কে ও? ভয়ে ভয়ে ফোনটা হাতে নেয় আবার সে। সিঁড়িতে আলো ফেলে। না, সেখানে কেউ নেই। তবে ফোনের লাইন কেটে যায়নি এখনও। মেয়েটা তখন বলে চলেছে..
“গন্ধটা আমি পেয়েছিলাম, ইনু। যখন নাইলনের শক্ত দড়ি আমার গলা কেটে বসে যাচ্ছিল। তীব্র যন্ত্রণা। অন্ধকার হচ্ছিল চারপাশ। রক্তের লোহাটে গন্ধ পাচ্ছিলাম সাথে। তবু হাল ছাড়িনি আমি। বরং নিজেকে প্রস্তুত করলাম। গন্ধটা আরও তীব্র হয়েছিল এরপর। লোবানের গন্ধ। আমার বান্ধবী রুনু বলত, এটাই নাকী মৃত্যুর গন্ধ। শেষ মূহুর্তে এসে সবাই পায়! ওহ রুনু!… ওকেও সরিয়ে দিলে? গাড়িচাপা দিয়ে, তাই না?”
viagra vs viagra plus
“থামো! কে? কে তুমি?? কোন রুনুর কথা বলছো?”
মেয়েটা হাসল। বিষণ্ণ সে হাসি। দীর্ঘশ্বাসের শব্দ পাওয়া গেলো আবার।
“রুনু… রুহানা রাদিয়াৎ। চেনো তো? চিনতে। তাই না?…”
কন্ঠস্বরটা আবার থামল। যেন কিছু ভাবছে। তারপর বলল,
“এখন আর চিনতে পারবে না। তোমার বন্ধুরা ওকে একটা মাংসপিণ্ড বানিয়ে দিয়েছিল। সুন্দর মুখটা রক্তাক্ত। ক্ষত বিক্ষত। নাক ঠোঁট সব এক হয়ে গেছে…. চোখ কোটর ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। নরম চুলগুলো ছিন্নভিন্ন…”
ইনতাজ চোখ বড় বড় করে সামনে তাকিয়ে রইল। সেলফোনের আলোয় দেখতে পাচ্ছে মেয়েটার বর্ণনামতে কেউ একজন ঠিক তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ধবধবে সাদা জামায় কালচে রক্তের ছোপ লেগে আছে তার। ছায়ামূর্তি হঠাৎ একটা হাত সামনে বাড়িয়ে দিলো। পা টেনে এগুতে লাগল এরপর। যেন সুযোগ পেলেই ইনতাজের ঘাড় আঁকড়ে ধরবে। লোবানের গন্ধটা এখন আরও তীব্র। বাড়ছে সেটা।
সেলফোনের ইয়ারপিসে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস শোনা গেলো। ওপাশের কন্ঠস্বরটা কাঁদছে!
“আমরা… ওহ ইনু! আমরা তোমাকে ভালবাসতাম। সম্পর্ক রাখতে চেয়েছিলাম, তোমার একটা অনাকর্ষণীয় কুৎসিৎ মন থাকা সত্ত্বেও। ফলাফল তো তোমার সামনেই! গন্ধটা এখনও পাচ্ছো না, ইনু? পাচ্ছো তো? ওটা শেষ গন্ধ। শেষ মূহুর্তের গন্ধ। ব্যর্থ সম্পর্কের পরিণতির গন্ধ। মৃত্যুর গন্ধ ওটা, ইনু। বিদায়। আরেকটা নতুন সম্পর্কে হয়ত দেখা হবে!”
ইনতাজ বিস্ফারিত চোখে সামনে তাকিয়ে আছে। নড়তেও ভুলে গেছে। তার মস্তিষ্ক ঠিক বুঝতে পারছে না, কেমন প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিৎ! ছায়ামূর্তিটা আরও এগিয়ে এসেছে… আসছে… দু’ এক কদম পেরুলেই ধরতে পারবে তাকে। ঠিক এসময় বিকট শব্দে বাজ পড়ল কোথাও। ইনতাজ সংবিৎ ফিরে পেলো সেই শব্দে। ছুটতে লাগল এরপর। কোনদিকে যাচ্ছে কোথায় পা ফেলছে, বলতে পারবে না। শুধু একটাই চিন্তা এখন, এই দুঃস্বপ্ন থেকে বাঁচতে হবে! পালাতে হবে নিরাপদ কোথাও। এসব ভাবতে ভাবতেই ছুটতে লাগল সে। এ ঘর থেকে ও ঘর।
একসময় সে নিজেকে নিজের ঘরের মধ্যেই আবিষ্কার করে। জানালা দুটোই খোলা। বাতাসে পর্দা উড়ছে অনবরত। আকাশে এখনও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে ঘন ঘন। সেলফোনটা ওয়্যারড্রবের উপর খাড়া করে রেখে দ্রুতহাতে দরজা আটকালো সে। এরপর এগিয়ে গেলো জানালা বন্ধ করতে। আর ঠিক তখনই পেছন থেকে কিছু একটা কানে আসতেই থমকে দাঁড়ালো সে।
amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
“ছেলে..
যেখানেই যাও,
হোক দূরত্ব অসীম..
পথের শেষে আমিই থাকব!
আমার গন্ধই পাবে তুমি!
আমাকেই দেখবে আবার,
নতুন কোন সম্পর্কে…”
কে যেন একঘেয়ে স্বরে আবৃত্তি করছে কবিতাটা। মেয়েলী সেই কন্ঠস্বরে তাড়া নেই। নেই আবেগ কিংবা উত্তাপ। সেখানে ভয়াবহ নির্লিপ্ততা। আলো আঁধারির মাঝে ঘরের দেয়ালটায় লম্বাটে ছায়া পড়েছে কারো। কোন এক নারীর। সেই ছায়ামূর্তি মাথা দোলাচ্ছে। তার মাথায় লম্বা চুল। সেগুলো নড়ছে বাতাসে। এলোমেলো ভাবে। সেই সাথে ছায়াটা লম্বা হচ্ছে… হচ্ছে… আবৃত্তির শব্দ এখন আরও জোরালো। তীক্ষ্মস্বরে উচ্চারিত প্রতিটা শব্দ সরাসরি মস্তিষ্কে আঘাত করছে যেন! বাতাসে অদ্ভুত একটা গন্ধ ভেসে আসছে হঠাৎ। কর্পূরের গন্ধের মতো। নাকী লোবানের? কড়া। দম আটকানো। কে যেন বলত ওটা মৃত্যুর গন্ধ। কে যেন… কে যেন… ইনতাজ দম আটকে ফিসফিসিয়ে জানতে চাইল,
“রুনু… তুমি?”
প্রশ্নটা শুনে মৃদুস্বরে হেসে উঠল কেউ একজন। তারপর দীর্ঘশ্বাসের শব্দ। ঘাড়ের কাছে কারো গরম নিঃশ্বাস টের পেতেই ইনতাজ লাফিয়ে সরে পেছনে ফিরে তাকালো। সেই রক্তাক্ত ছায়ামূর্তি। মুখ তুলে সরাসরি তার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। ছায়ামূর্তির চোখজোড়া এখন স্বাভাবিক। তবু সেই চোখের তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে ইনতাজ অস্বস্তি বোধ করতে লাগল।
“ভয়ে পেয়েছো, ইন্দুর? আমি… রুনু… ভয় পাওয়ার কী আছে আমাকে দেখে?”
“আমার তো কী, বলো? কবরে থাকার কথা?”
ইনতাজ কিছু না বলে মাথা নাড়ে। তার বুকে ব্যাথা করছে। নিঃশ্বাস নিতে পারছে না গন্ধটার জন্য। মনে হচ্ছে মাথার ভেতর ঢুকে গেছে সে গন্ধ। এখন পুরো মাথায় ছুটে বেড়াচ্ছে দ্রুত।
“… ওহ ইনু। তোমাকে ছাড়া আমি কবরে যেতে পারি না। তাই তো তোমাকে নিতে এসেছি। পুরোনো সম্পর্কের দায়ে। আমি… এবং আমরা সম্পর্ক রাখতে চেয়েছি সবসময়ই। সব কিছুর বিনিময়ে। তোমার একটা নোংরা মন থাকা সত্ত্বেও! এসো ইনু… চলো, সম্পর্কটা রাখি। কিংবা নতুন করে সম্পর্ক হোক। এসো….”
ছায়ামূর্তি এগোতে লাগল আবার। এক হাত সামনে বাড়িয়ে দিয়ে। তার গলা থেকে অদ্ভুত গোঙ্গানোর শব্দ ভেসে আসছে এখন। চাপা ক্রোধে ফুঁসছে যেন। ইনতাজ সবেগে পেছাচ্ছে। অবিশ্বাসের ভঙ্গীতে মাথা নাড়ছে সে। হঠাৎ কিছু একটায় পা বাধিয়ে পড়ে গেলো। ছায়ামূর্তিটা এই সুযোগে তাদের মধ্যকার দূরত্ব পেরিয়ে, তার বুকের উপর চেপে বসল। শক্ত করে। ইনতাজ এখন তার চেহারা আরও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। রক্ত আর লোবানের মিশ্রিত গন্ধটা আরও বেশী তীব্র। নাকে জোরেশোরে ধাক্কা মারছে বারবার। এদিকে বুকের ব্যাথাটাও বেড়েছে। ঠিকভাবে শ্বাস নিতে পারছে না সে। একটু বিশুদ্ধ বাতাসের অভাবে হাঁসফাঁস করতে লাগল। সজোরে হাত পা ছুঁড়ছে। কিন্তু ছায়ামূর্তিকে একচুল নাড়ানো যাচ্ছে না। জগদ্দল পাথরের মত বুকের উপর চেপে বসে আছে সে। নির্বিকার ভঙ্গীতে এলোমেলো চুলের ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে আছে।
accutane prices
“ওহ ইনু! এসো আমাকে আজ চুমু খাও…”
কথাটা বলেই ছায়ামূর্তি ইনতাজের মুখের কাছে নিজের মুখ নামিয়ে নিলো। ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। তার ভয়ংকর চেহারাটা স্পষ্ট হচ্ছে আরও। মাংসপোড়া গন্ধ লাগছে এখন লোবানের গন্ধের সাথে। খসখসে চামড়ার স্পর্শ গালে লাগতেই বিকট একটা চীৎকার করে লাফিয়ে উঠল ইনতাজ। তারপর পাগলের মতো ছুটতে লাগল আবার। সিঁড়ি বেয়ে নিচতলা। দরজা খুলে একছুটে গেট। তারপর রাস্তায়। ছুটতেই লাগল। যতক্ষণ পর্যন্ত বৃষ্টির ভয়ে গন্তব্যের পথে দ্রুত ছোটা একটা ট্রাক তার চলার পথে এসে না পড়েছিল।
বাতাসে তখনও স্পষ্ট লোবানের গন্ধ। কেউ একজন দীর্ঘশ্বাসের শব্দের ফাঁকে আবৃত্তি করল,
যেখানেই যাও,
হোক দূরত্ব অসীম..
পথের শেষে আমিই থাকব!
আমার গন্ধই পাবে তুমি!
আমাকেই দেখবে আবার,
নতুন কোন সম্পর্কে…”
পরিশিষ্টঃ পুরোপুরি থেঁতলানো লাশটা ঠিক রাস্তার মাঝখানে পড়েছিল। চেহারা বোঝা যাচ্ছে না, এমন ভয়ংকর অবস্থা। লাশের চারপাশে উৎসুক লোকের ভিড়। তারা একেকজন একেকভাবে ঘটনা বর্ণনা করছে। প্রতিবারের বর্ণনায় নতুন সব তথ্য যোগ হচ্ছে তাতে।
ভিড় থেকে কিছুটা দূরে ছায়ার মাঝে, এক তরুণী দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে। কানে ছোট্ট একটা ব্লুটুথ ইয়ারফোন। চাদরের নিচে ধবধবে সাদা একটা জামা পরে আছে সে। যেটার বুকের কাছটায় কালচে রক্তের মতো দেখতে রং লেগে আছে। নিঃশব্দে কাঁদছে সেই তরুণী। বিড়বিড় করে বলছে,
“হায় সম্পর্ক! হায়! হায়!”
(প্রায় এক বছর পর লেখা কোন ছোটগল্প)
nolvadex and clomid prices
all possible side effects of prednisone
পারভেজ এম রবিন বলছেনঃ
স্টার্টিংটা ভাল ছিল। ছোড় ছোট ধাক্কার মত বাক্যে পাঠককে ঔৎসুক করেছিস ভালমতই। বর্ণনাও ভালই ছিল। এক বছরে হাতের ধার কমেনি।
সুজানা আবেদীন সোনালী বলছেনঃ
আলসেমি বাড়সে, ছোট
side effects of quitting prednisone cold turkey