মুজিব বাহিনী : স্বাধীনতার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর বিকল্প পরিকল্পনা
4949
বার পঠিত [এই লিখাটি মুজিব বাহিনীর পূর্নাঙ্গ ইতিহাস নয়, বিভিন্ন প্রাপ্য তথ্যের ভিত্তিতে জানার চেষ্টা মাত্র।]
সাবেক ভারতীয় সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশ এর এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় তাজউদ্দিন আহমেদ এর সাথে আলোচনার পর শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী তাকে ডেকে বাংলাদেশকে সামরিক সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে তাদের প্রস্তুতি কেমন তা জানতে চান। পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেন।
উক্ত নির্দেশের প্রেক্ষিতে ১৫ই মে ১৯৭১ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী আনুষ্টানিকভাবে আমাদের মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা প্রদান শুরু করলেও তার আগে থেকেই তারা বিভিন্ন রকমের সহায়তা দেয়া শুরু করে। ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে তাজউদ্দিন আহমেদের গোপনে ভারত যাত্রা এবং সেখানে পৌঁছে কিভাবে কি হয়েছিল সে ব্যাপারে বিস্তারিত অন্যদিন।
ফিরে আসি মূল প্রসঙ্গে, মুক্তিবাহিনীকে অপ্রচলিত যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করা বাঙ্গালী সদস্যবৃন্দ যারা পালিয়ে ভারত গিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করার লক্ষ্যে।
জেনারেল ওসমানীর মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবার পরে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে নিয়মিত সেনাবাহিনী গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিবাহিনী কোম্পানী এবং ব্যাটেলিয়নে বিভক্ত করে সেক্টরসমূহের অধীনে পাঠানো হচ্ছিল। তাদের দেশের আরও ভিতরে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল একাধিক গ্রুপে ভাগ করে। প্রতিটি গ্রুপের সদস্য ছিল দুই’শ এর মত।
সংখ্যায় কিছুটা বড় হবার কারণে তারা দেশের অভ্যন্তরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিজেদের যাবতীয় রসদ যোগাতে ব্যর্থ হচ্ছিল। তাছাড়া পাকিস্তানী সেনাবাহিনীও সহজেই এত বড় ব্যাচের উপস্থিতি টের পেয়ে যাচ্ছিল। তাদের খুঁজে না পেলেও যেই অঞ্চলে তারা আশ্রয় নিত সেই অঞ্চলের মানুষের উপর নেমে আসতো ভয়াবহ নির্যাতন। সার্বিক বিবেচনায় এত বড় সংখ্যার দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হয়নি।
অপরদিকে প্রতিদিন হাজার হাজার বাঙ্গালী যুবক ভারতের প্রশিক্ষণ শিবিরে এসে হাজির হচ্ছিল যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য। সেসময় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিগণ অনেকটা যাচাই বাছাই ছাড়াই সত্যায়িত করতে শুরু করেন তাদের। এতে করে এমনও হয়েছে কিছু কিছু ব্যাচ প্রশিক্ষণ শেষে অস্ত্রসহ দেশের ভিতরে যেয়ে উধাও হয়ে যায়, যাদের পরবর্তীতে কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
এমতাবস্থায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর যেসকল কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ শিবিরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তাদের মনে হতে লাগলও বাংলাদেশকে মুক্ত করতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। সেসময় তারা বাংলাদেশের একদল নিবেদিত প্রাণ যুবনেতাদের সম্পর্কে জানতে পারেন। তারা বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্যের কারণে পাকিস্তানী সরকারের দ্বারা নির্যাতিত, এমনকি জেলেও বন্দী হয়েছিলেন। পরিচিত হবার পরে তাদের সাথে কথা বলে জেনারেল উবানের মনে হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে তারা অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ, এবং প্রত্যক্ষ এবং সেসময়ের যুবলীগ নেতা হবার কারণে সংগঠনের সকলের তাদের প্রতি আনুগত্য ছিল সন্দেহাতীত। এছাড়া সংগঠনের কারণে সারাদেশে সংগঠনের সদস্যদের সাথে চমৎকার একটি যোগাযোগ ছিল তাদের। এর যোগাযোগের কারণে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের চিহ্নিত করতে কোন সমস্যা হবার নয়। তাছাড়া দেশের অভ্যন্তরে একেবারে গ্রাম-গঞ্জ পর্যন্ত তাদের যোগাযোগ ছিল বেশ ভাল। এই যুবনেতারা ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি, তোফায়েল আহমেদ, সিরাজুল আলম খান এবং আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ সরকার চেয়েছিল তাদের অধীনে ঐ যুবনেতারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করুক, যাতে একেবারেই রাজী ছিলেন না তারা।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের গভীর আনুগত্য এবং নৈকট্যের কারণে তারা তাদের বাহিনীর নাম মুজিব বাহিনী হিসেবে বেছে নেয়। এরপর তারা তাদের পুরনো সহকর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য সত্যায়িত করে। বেছে বেছে অতিশয় নিবেদিত প্রাণ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং নির্ভরযোগ্যদের নিয়ে হাজির হয় প্রশিক্ষণ শিবিরে। তাদের দাবী ছিল, তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেসময় মুক্তিবাহিনীতে এমন অনেকেই যোগ দিচ্ছিল যারা সরাসরি আওয়ামী লীগ কিংবা যুবলীগ এমনকি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল না। একারণে মুজিববাহিনীর নেতৃবৃন্দ তাদের আনুগত্যের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল না। তাই তারা শুধুমাত্র ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের প্রকৃত কর্মীদের নিয়েই গঠন করেছিল “মুজিব বাহিনী”। তারা তাদের ভিতরকার তথ্যের অত্যাধিক গোপনীয়তা রক্ষা করতো নিজেদের মাঝে।
বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি এমন নিবেদিতপ্রাণ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যুবকদের একটি সুসংগঠিত এবং সুপ্রতিষ্ঠিত বাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন মেজর জেনারেল (অবঃ) সুজন সিং উবান তাঁর ফ্যান্টমস অফ চিটাগাং – দি ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ শীর্ষক বইতে। তবে এমন একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই করে রেখেছিলেন বলে বিভিন্ন জনের বক্তব্যে প্রমাণ পাওয়া যায়। farmer dan viagra song
মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান নেতা শেখ ফজলুল হক মনির একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয় দৈনিক বাংলার ৪ঠা ডিসেম্বর, ১৯৭২ এর সংখ্যার শেষের পাতায়। উক্ত সাক্ষাৎকারের শিরোনাম ছিল “৫৯ সালের শেষ দিকেই বঙ্গবন্ধু আন্ডারগ্রাউন্ড সেল গঠনের নির্দেশ দেন।” উক্ত সাক্ষাৎকারে মুজিবাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “এর উদ্দেশ্য ছিল বহুমুখী। তা হলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংস্থান; হানাদার পাক বাহিনীর প্রচারণার বিরুদ্ধে মনস্তাত্বিক যুদ্ধের নেতৃত্ব গড়ে তোলা; রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর সংগ্রহ; শত্রুকে আঘাত হানা ও তার বিরুদ্ধে বিভিন্নমুখী অপারেশন পরিচালনা করা এবং গেরিলা, জনগণ, রাজনৈতিক শক্তিকে দেশের অভ্যন্তরে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের জন্য সংঘবদ্ধ করা। সর্বপরি একটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিবাহিনীর জওয়ানদের জনগণের কভার দেয়ার ব্যবস্থা করা।”
উক্ত সাক্ষা
ৎকারে তিনি উল্লেখ করেন ১৯৬০ সাল থেকে মূলত রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতিকে মুক্তি আন্দোলনের দিকে এগিয়ে নিলেও ১৯৫৯ সালের ডিসেম্বর মাসে জেল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি জনাব মনিসহ বিশ্বস্ত কয়েকজন নেতাকে গোপনে আন্ডারগ্রাউন্ড সেল গঠনের নির্দেশ দেন। উক্ত সেলের সদস্যদের দলীয় আদর্শে দীক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

উক্ত পরিকল্পনার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল মোটামুটি একটি পরিবেশ সৃষ্টি হলেই আন্ডার গ্রাউন্ড সেল আঘাত হানবে। মনির বক্তব্য থেকে আরও জানা যায়, একদিকে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক বক্তব্য এবং কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে স্বাধীনতার প্রতি উদ্বুদ্ধ করবেন, অপরদিকে সামরিক শাসনের জন্য যেহেতু যুবসংগঠনসমূহ প্রকাশ্যে রাজনীতি করা সম্ভব ছিল না উক্ত সেল গোপনে সারাদেশে কৌশলে জনগণের মাঝে মুক্তির ইচ্ছে ঢুকিয়ে দিবেন। উল্লেখ্য যে, উক্ত সেলের সদস্য হতে হলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের আদর্শের প্রতি পূর্ণ আস্থা স্থাপন করা আবশ্যক ছিল।
বাহিনীর নামকরণের ব্যাপারে শেখ মনি জানান, “এই বাহিনীর নাম মুজিব বাহিনী একারণে হয়েছিল কারণ এর সংগ্রামী যোদ্ধারা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণেদিত এবং সাথে সাথে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে নিবেদিত।”
উক্ত সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, মুজিববাহিনীর নিজস্ব ওয়ারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল। অত্যন্ত উন্নতমানের নিজস্ব গোপন সংকেত তারা
ব্যবহার করতেন নিজেদের মধ্যকার যোগাযোগের জন্য। মেজর জেনারেল (অবঃ) উবানের ভাষ্য থেকে জানা যায় যে মুজিববাহিনীর সদস্যদের বিশ্বস্ততা সন্দেহাতীত ছিল এবং তারা নিজেদের আভ্যন্তরীণ তথ্যের ব্যাপারে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করতেন। মুজিব বাহিনীর সদর দপ্তরের নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা না থাকার ব্যাপারে শেখ মনি জানিয়েছিলেন, মুজিব বাহিনীর সদর দফতর ছিল ভ্রাম্যমান।

যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনীর সাথে সমন্বয়ের ব্যাপারে তিনি জানান তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই সকল পরিকল্পনা করা হয়। মুক্তিবাহিনী যখন কোন বড় অপারেশন চালাবে তখন মুজিব বাহিনীর সদস্যরা আশ পাশে পাকিস্তানীদের ছোট ক্যাম্পগুলোতে এক যোগে হামলা চালাবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে মুক্তিবাহিনীর অপারেশনে সহায়তা করতো বলেও তিনি তার সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন।
মেজর জেনারেল (অবঃ) উবানের লিখা বইতে মুজিববাহিনীর নেতাদের সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া যায়। চার নেতার একতা তাকে মুগ্ধ করেছিল। মুগ্ধ করেছিল তাদের পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধও। এই চারজনের একজন যখন আলাদা কোথাও বক্তব্য দিতেন তখন অবশ্যই অন্যদের কথা উল্লেখ করতেন।
শেখ মনি সম্পর্কে উবানের বক্তব্য থেকে যা জানা যায় তা হলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী যুবদের কাছে তিনি ছিলেন জ্বলন্ত এক মশাল। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শর্তহীন ভক্ত এই মানুষটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত ছিলেন, স্থির প্রতিজ্ঞ এবং অদম্য সাহসের অধিকারী।
সিরাজুল আলম খান সম্পর্কে উবান বলেন তিনি ছিলেন র্যাডিক্যাল ধ্যানধারণা পোষণকারী এবং আপোষহীন মনোভাবের। সিরাজ সম্পর্কে উবানের চমৎকার একটি উক্তি হলো, “সিরাজ যুদ্ধ করে বাঘের মতন, কাজ করে নিবেদিত প্রাণ ক্রীতদাসের মতন।” মাংস প্রিয় এই নেতার ভোজন রসিকতার ব্যাপারটি নজর এড়ায়নি তাদের কমান্ডিং অফিসারের। মুখচোরা স্বভাবের সিরাজ বক্তব্য না দিয়ে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন বেশী। শেখ মণির প্রতি তোফায়েল এবং রাজ্জাকের প্রচন্ড আনুগত্য থাকলেও স্পষ্টভাষী সিরাজের সাথে আড্ডা প্রায় উত্তপ্ত হয়ে উঠতো। তবে তা তাদের পারষ্পরিক বোঝাপারাতে কোন প্রভাব ফেলেনি যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনভাবেই।
মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান কান্ডারী তোফায়েল আহমেদের প্রতি তৎকালীন বাংলাদেশী মুক্তিকামী যুবসমাজের ভালবাসার কথা স্পষ্ট হয়েছে তার প্রশিক্ষক মেজর জেনারেল (অবঃ) সুজন সিং উবানের বর্ণনায়। তোফায়েল আহমেদ ছিলেন তৎকালীন ছাত্রসমাজের কাছে প্রবাদপুরুষ। বক্তব্যের মাধ্যমে যুব সমাজকে সম্মোহিত করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল মুজিবের প্রতি অত্যন্ত অনুরক্ত কালোপানা রঙ্গের গাঁট্টাগোট্টা গড়নের এই যুবনেতার। তোফায়েল আহমেদের সাথে উবানের প্রথম সাক্ষাতেই তিনি টের পেয়েছিলেন মাতৃভূমির মুক্তির জন্য তিনি কতটা অন্তপ্রাণ ছিলেন।
কোন কিছুই তাকে বিচলিত করতে পারে না, এমন এক কঠোর মনোভাবের অধিকারী ছিলেন মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান নেতা জনাব আব্দুর রাজ্জাক। অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা, রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব এবং সাংগঠনিক কাজে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন রাজ্জাক। যুবসমাজের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন তিনি তার সততা এবং সুশৃঙ্খল জীবন যাপনের জন্য। চার নেতার নিজস্ব আলোচনায় রাজ্জাকের দূরদর্শিতা বেশ গুরুতপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো।
জানা যায়, এই চার নেতা ভারতে এমন কারো সন্ধান করছিলেন যে তাদের মাতৃভূমির মুক্তির জন্য অস্ত্র সহায়তা দিতে পারবে। একই সময়ে অপরদিকে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন ছিল প্রক্রিয়াধীন, তবে তাদের উপর পূর্ণ আস্থা ছিল না এই যুবনেতাদের। কিন্তু দেশের ভিতরে তাদের সাংগঠনিক কাঠামোর সুবাদে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। এমনই কারো সন্ধানে ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী মুক্তিবাহিনীর পাশাপাশি একটি বিকল্প বাহিনী গঠনের, যা কাজে আসবে যদি কোন কারণে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ে। এই চারনেতার সাথে কথা বলে তাদের মনে হয়েছিল এরাই সেই ব্যক্তিবর্গ যাদের তারা সন্ধান করছিল।
চলবে…
Asif Khan Maruf বলছেনঃ fluoxetine sleeping pills
oshadharon likhechen
!!