কবিতার ধর্ম
118
বার পঠিতযখন আমি খুব ছোট মাথা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে স্কুলের অনুষ্ঠানে বলেছিলাম
.
“আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গরু,পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।”
.
আমি তখন বুঝনি আমি ছোট্ট বেলায় মাথা দুলিয়ে পড়া সেই কবিতার কবি রবি ঠাকুর হিন্দু-কি মুসলিম ছিলো।কিন্তু বইয়ের পাতায় সেই কবিতা আমি পড়েছিলাম,সেই কবিতা এতটাই মনে গেঁথে আছে এখনো মাথা নাড়িয়ে বলতে পারবো অনেকটা।যেমন –
.
“কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।”
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।”
.
হ্যাঁ এদেশের শালিকের মাঝে আজো কিছু শেয়াল বসবাস করে।সেই সমস্ত শেয়ালরা দাবী করে ধর্ম দিয়ে কবির বিচার কবিতার বিচার করতে হবে।তারা দাবী করে পাঠ্যপুস্তুক থেকে তুলে ফেলতে হবে।ওহে ধার্মিক আমার আসো শুনাই তোমাকে আরেকখানী কবিতা
.
“বল দেখি এ জগতে ধার্মিক কে হয়,
সর্বজীবে দয়া যার, ধার্মিক সে হয়।”
ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্তের লেখা “কে” কবিতা আমাকে ছোটবেলায় থেকেই চিনিয়ে দিয়েছিলো ধার্মিক কে তাই আমি তোমাদের ভন্ডামি ধরে ফেলেছি।সেদিন কে কবিতার বানান ভুলের জন্য বেতের বাড়ি খেয়ে ছিলাম কিন্তু কে কবিতা ভুলিনি।তাই তো তোমাদের ভয় একজন হিন্দু কবির কবিতায় তোমারদের ভন্ডামী সবাই বুঝে যাবে খুব ছোট বয়সেই।আমার বড় দুই বোন আছে।তারা যখন ঢাকায় চলে আসে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি প্রাইমেরীর গন্ডিতেই।দুই বোনের আদর-স্নেহ যখন খুব মিস করতাম তখন একা একা আরে হিন্দু কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কাজলা দিদি কবিতার লাইন আওড়াতাম।
.
“বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই- metformin gliclazide sitagliptin
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই? “
ছোটবেলায় হয়তো এই কবিতার পুরো অর্থ বুঝতে পারিনি কিন্তু কথা গুলো আমার মনে গেঁথে আছে আজো।তাঁর লেখা কথা আমার মনে আছে বলে কি আমি হিন্দু হয়ে গিয়েছি আমার জাত চলে গেছে?মা আমার জীবনের অভিচ্ছেদ্য এক অংশ।মা যখন খুব অসুস্থ হয় তখন খুব ভয় ধরে মনে কি হবে,কবে সুস্থ হবে ঠিক তখন একা একা মনের কোঠরে উকি মারে শৈশবে আবৃত্তি করা রবি ঠাকুরের বীর পুরুষ কবিতার লাইন গুলো–
all possible side effects of prednisone“সন্ধে হল, সূর্য নামে পাটে,
এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে।
ধূ ধূ করে যে দিক-পানে চাই,
কোনখানে জনমানব নাই, ovulate twice on clomid
তুমি যেন আপন-মনে তাই
ভয় পেয়েছ – ভাবছ, ‘এলেম কোথা।”
.
“হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে walgreens pharmacy technician application online
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।
হয়তো বা হাঁস হবো – কিশোরীর – ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।” nolvadex and clomid prices
যখন শহীদ রুমীকে চিনলাম সেদিন জীবনানন্দ দাশের আবার আসিবো ফিরে কবিতার লাইন গুলো আমাকে আঁকড়ে ধরে।এ লাইন গুলোর মাঝে আমি রুমীকে ফিরে পাবার স্বপ্ন দেখেছি কত্ত বার আঙুলের কড়ায় গোনা যাবে না।কোন কিছুকে জানার আগ্রহটা ছোট বেলা থেকেই সব কিছু থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করে চলি আজো এর শুরুটা ও কিন্তু একজন হিন্দু কবির হাত ধরে সুনির্মল বসুর “সবার আমি ছাত্র” কবিতার লাইন গুলো মনে নেই—
.
“আকাশ আমায় শিক্ষা দিল,উদার হতে ভাই রে,
কর্মী হবার মন্ত্র আমি,বায়ুর কাছে পাই রে।
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর,সবার আমি ছাত্র,
নানান ভাবে নতুন জিনিস,শিখছি দিবারাত্র।”
যখন প্রেমে কি বুঝতে শিখেছি পাশের মানুষটিকে জীবনানন্দ দাশের নাটরের বনলতা সেন শুনেছিলাম, মন খারাপের রাত কত বার তাকে বলেছিলাম কবির ‘সুরঞ্জনা’ কবিতার লাইন ধরে–
‘সুরঞ্জনা, ওই খানে যেও নাকো তুমি
বলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে
ফিরে এসো সুরঞ্জনা
সোনালী এই অগ্নিঝড়া রাতে।”
.
হিন্দু কবিরা যে শুধু আমাদের জন্যই কবিতা লিখে গেছেন তা কিন্তু নয়।তারা যারা মুখে এক অন্তরে আরেক তাদের জন্য ও লিখে গেছেন।যেমন আমাদের এই দেশে যারা নিজেদের ধর্ম নিরপেক্ষ দাবী করে ধর্মান্ধদের কাছে বার বার মাথা করে তাদের জন্য হিন্দু কবি কুসুমকুমারী দাশ দাশের কবিতার লাইন গুলো বলাই যায়–
.
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?
মুখে হাসি, বুকে বল তেজে ভরা মন
“মানুষ হইতে হবে” — এই তার পণ,
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান,
কোলাহল
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas
Ask2ans @ যুদ্ধ সাংবাদিকতা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
ABU RAYHAN @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা