শুভ জন্মদিন মা…
2091
বার পঠিততাঁর কথা মনে হলেই এক অন্য রকম অনুভূতি জাগে মনে, শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে আসে মাথা। কাছে থেকে “মা” ডাকার আকুলতা জাগে মনে। জানেন তিনি কে ?? জানেন আমি কার কথা বলছি ??? আমি শহীদ জননী, আমার পরম শ্রদ্ধেয়, আমার মা জাহানারা ইমামের কথা বলছি। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একনিষ্ঠ ভাবে লড়াই গেছেন মা। ১৯৯৪ সালে দুরারোগ্য ক্যান্সারের চিকিৎসা করানোর জন্য দেশ ছেড়ে যাবার সময় মা সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন- “ওদের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। দেখিস, এবার দেশে ফিরে এলেই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো আমরা। দেশ জেগে গেছে, তরুণরা হাল ধরেছে। আমার সন্তানেরা এককাট্টা হয়েছে দানবশক্তির বিরুদ্ধে। তাই জয় আমাদের সুনিশ্চিত ” কিন্তু মৃত্যুকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা কারোই নেই, তাই মায়েরও আর ফেরা হল নাহ্। কিন্তু মায়ের আদর্শ, শিক্ষা আর চেতনাকে আজো আমরা ধারণ করি আমাদের বুকের মাঝে। আর মায়ের সেই চেতনায় পরবর্তিতে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে আমাদের এক নবজাগরণের সূচনা করতে পথ দেখিয়েছিল…
আজ এই মহীয়সী, সংগ্রামী নারী, আমার মা জাহানারা ইমামের জন্মদিন। তাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই আমার এই লেখা। মায়ের জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরছিঃ-
জন্ম এবং শৈশবঃ-
মা জাহানারা ইমাম ১৯২৯ সালের ৩রা মে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মায়ের ডাকনাম ছিল জুড়ু। সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনিইছিলেন সবার বড়। শিশুকাল থেকে তিনি ছিলেন খুবই চঞ্চল প্রকৃতির। দশ থেকে বারো বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের সময় কেটেছে কুড়িগ্রামে। এ সময় তিনি সাইকেল চালানো সহ নানারকম খেলাধুলায় মেতে থাকতেন। কিন্তু তাঁর বয়স বারো পেরোতেই সাইকেল চালানো বন্ধ হয়ে গেলো। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে প্রথা অনুসারে নিষিদ্ধ হয়ে গেলো বাড়ির বাইরে যাওয়া। বাবার চাকুরীর কারণে কখনো সেতাবগঞ্জ, কখনো ঠাকুরগাঁ, কখনো খেপুপাড়া বসবাস করতে হয়েছে তাঁকে।
শিক্ষাজীবনঃ-
মায়ের পড়াশোনার হাতেখড়ি তাঁর পরিবার থেকেই। বাবার হাত ধরেই তাঁর শিক্ষা জীবনের সূচনা। ছেলেবেলা থেকেই মা পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে নানা রকম বই পড়তেন।তাঁর বাসায় নিয়মিত নানারকম পত্রপত্রিকা রাখা হতো। দৈনিক আনন্দবাজার, অমৃতবাজার, আজাদ, স্টেটসম্যান, সাপ্তাহিক শনিবারের চিঠি, ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়া, মাসিক ভারতবর্ষ, প্রবাসী, বসুমতী আর মোহাম্মদী। বাড়িতে কলের গান ছিলো। আর ছিলো হারমোনিয়াম। সপ্তাহে দু-দিন তাঁকে গানের মাস্টার এসে গান শিখিয়ে যেতেন। এ সময় মায়ের সকাল দুপুর সন্ধ্যা ছিলো মাস্টার দিয়ে ঠাঁসা। একজন মাসলা-মাসায়েল শরা শরীয়তে হেদায়েত করেন তো আরেকজন আসেন উর্দু পড়াতে। পাঠ্য বইয়ের মাস্টার তো আছেনই। মায়ের জীবনে বিনোদন বলতে শুধু কলের গান। তাঁর বাবা হিজ মাস্টারস ভয়েস-এর একটা গ্রামোফোন ও রেকর্ড কিনে আনবার পর আঙ্গুরবালা, ইন্দুবালা, হরিমতী, কৃষ্ণচন্দ্র দে, কমলা ঝরিয়া, আব্বাসউদ্দিন আহমদ, কনক দাস, শাহানা দেবী, যুথিকা রায়ের গান হয়ে উঠলো বিনোদনের সঙ্গী। স্কুলের বাদাধরা পড়াশোনা করতে মায়ের মোটেও ভালো লাগতো না।ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়তেই তিনি অস্থির- আর পড়বেন না এরকম একটা সিদ্ধান্ত যখন প্রায় পাকা, তখনই মটকা চাচার (মায়ের বাবার বন্ধু) কাছে পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর উচ্চশিক্ষিতা, সভা- সমিতিতে বক্তৃতা দিতে পটু এবং সাহেব-সুবোদের সঙ্গে কথাবার্তায় চৌকস বোন বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে মা সিদ্ধান্ত পাল্টালেন- ‘আমিও বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের মতো লেখাপড়া শিখব।’ -এভাবেই একজন বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত গাঁয়ের দুরন্ত কিশোরী জাহানারা বেগম ওরফে জুড়ুর জীবনে প্রেরণার উৎস হয়ে তাঁর চিন্তায় মননে ও মেধায় জ্বেলে দিয়েছেন আলোর প্রদীপ। মায়ের মটকা চাচা তাঁকে বেছে বেছে এমন সব বই উপহার দিতেন যেগুলো তাঁর মেধা ও মননের জগৎকে আলোকিত করেছে। দৃষ্টিকে করেছে দিগন্তবিস্তৃত। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, নারী শিক্ষা আন্দোলন, মুসলিম সমাজের জাগরণের প্রচেষ্টা, বেগম রোকেয়ার সাধনা- এসব বিষয়ের ওপর রচিত বইগুলো তাঁর মটকা চাচাই নিয়ে আসতেন মায়ের জন্যে। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর মায়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, তখন কুড়িগ্রামে মেয়েদের স্কুল ছিল না তাই ছেলেদের স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে তাঁর নাম থাকবে। সময়মতো তিনি পরীক্ষাও দেবেন; কিন্তু ক্লাস করতে হবে না। বাড়িতে অবশ্য শিক্ষক নিয়োগ করা হলো। দু’জন শিক্ষক। তাঁরা দু’বেলা এসে মাকে পড়িয়ে যেতেন। মা যখন ক্লাস সেভেনের ছাত্রী। গৃহশিক্ষকের দায়িত্ব ছিলো ইংরেজী, বাংলা, অঙ্ক, ভূগোল আর ইতিহাস পড়ানোর। কিন্তু সেই মাস্টারমশাই ছিলেন সাহিত্যপাগল। তাঁর কল্যাণেই, সেই বয়সেই টলস্টয়, ডস্টয়েভস্কি, ভিকটর হুগো, সেলমা লেগারলফ, শেক্সপীয়র, বার্নাড শ, ন্যুট হামসুন-এর অনেক বইয়ের বাংলা অনুবাদ মায়ের পড়া হয়ে গিয়েছিলো। রবীন্দ্রনাথ এবং শান্তিনিকেতন বিষয়েও মাকে প্রবলভাবে আগ্রহী করে তুলেছিলেন মাস্টারমশাই। মায়ের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে শান্তিনিকেতনে পড়তে যাবে। কিন্তু সে স্বপ্ন তাঁর সফল হয়নি। মটকা চাচা বাবাকে বলে কয়ে রাজিও করিয়ে ফেলেছিলেন। ডাকযোগে শান্তিনিকেতনে ভর্তির প্রসপেকটাসও এসে পড়েছিলো। কিন্তু ১৯৪১ সালের ৯ আগস্ট পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর খবর পড়ে মায়ের শান্তিনিকেতন যাবার স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটলো। ১৯৪১ সালে কুড়িগ্রাম থেকে বদলি হয়ে তাঁরা চলে এলেন লালমনিরহাটে। লালমনিরহাটে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেবার সেন্টার ছিলো না। তাই তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিলেন রংপুর থেকে। দ্বিতীয় বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করলেন ১৯৪২ সালে। ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হলেন রংপুর কারমাইকেল কলেজে।সেখান থেকে আই.এ. পাস করে ১৯৪৫ সালে ভর্তি হন কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বি.এ. পাস করেন ১৯৪৭ সালে। ১৯৬০ সালে বি.এড. ডিগ্রি অর্জন করেন টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে। ১৯৬৪ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশীপ পেয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানডিয়াগো স্টেট কলেজ থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে ১৯৬৫ সালে বাংলায় এম.এ. পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এম.এ. পার্ট ওয়ান পাশ করেন ১৯৬২ সালে।
কর্মজীবনঃ-
শিক্ষকতার মাধ্যমে মায়ের কর্মজীবন শুরু হয়। সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে ১৯৪৮-৪৯ পর্যন্ত তিনি ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী গার্লস হাই স্কুলে ছিলেন। বিয়ের পর ঢাকায় এসে ১৯৫২ সালে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যুক্ত হন। এখানে তিনি ১৯৬০ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি বুলবুল একাডেমীর কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষয়িত্রী সহ আরও দুইটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৪ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা যান। সেখান থেকে ফিরে ১৯৬৬-৬৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এসময় তিনি নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। তিনি বাংলা একাডেমীর কার্যনির্বাহী পরিষদে জুলাই ১৯৮০-৮২ সাল পর্যন্ত সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইন্সটিটিউটে খণ্ডকালীন চাকরি করেছেন। ১৯৬০ সালে তিনি এডুকেশনাল বোর্ডের প্রতিনিধি হয়ে সিলেবাস সেমিনারে পশ্চিম পাকিস্তানের পেশোয়ারে যান। তিনি ‘গার্লস গাইড’, ‘পাকিস্তান উইমেনস ন্যাশনাল গার্ড’, ‘খেলাধুলা’, ‘অল পাকিস্তান উইমেনস এসোসিয়েশন’ সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ঢাকা বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেছেন। তিনি ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি মঞ্চে’ শেক্সপিয়ারের একটি নাটকে অভিনয়ও করেছিলেন।
বিবাহিত জীবনে পদার্পনঃ-
১৯৪৮ সালের ৯ আগস্ট শরিফুল আলম ইমাম আহমদের সঙ্গে জাহানারা বেগমের বিয়ে হয়। শরীফ ইমাম ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৫১ সালের ২৯ শে মার্চ তাঁদের পরিবারে জন্ম হয় শাফী ইমাম রুমীর।এই রুমীই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন দুঃসাহসী গেরিলার ভূমিকায় ছিলেন sildenafil 50 mg mecanismo de accion
“শহীদ জননী” হয়ে ওঠাঃ-
যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই রুমী তার মা ও বাবাকে নিজের যুদ্ধে যাবার ব্যাপারে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল মাকে অবশেষে রাজি করিয়ে ২ মে রুমী সীমান্ত অতিক্রমের প্রথম প্রয়াস চালান।এক্ষেত্রে রুমী ও মায়ের কথোপকথন তুলে ধরছি-
রুমী- “…আম্মা, দেশের এ অবস্তায় তুমি যদি আমাকে জোর করে আমেরিকায় পাঠিয়ে দাও, আমি হয়তো যাব শেষ পর্যন্ত। কিন্তু তাহলে আমার বিবেক চিরকালের মতো অপরাধী করে রাখবে আমাকে। আমেরিকা থেকে হয়ত বড় ডিগ্রি নিয়ে এসে বড় ইন্জিনিয়ার হবো; কিন্তু বিবেকের ভ্রুকুটির সামনে কোনদিনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না। তুমি কি তাই চাও আম্মা?” রুমীর এই কথা উত্তরে মা বলেন- ” …ঠিক আছে, তোর কথাই মেনে নিলাম। দিলাম তোকে দেশের জন্য কোরবানি করে। যা, তুই যুদ্ধে যা।…”( ২১ এপ্রিল, বুধবার, ১৯৭১)
বেশ কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর রুমী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর মা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই মা ‘শহীদ জননী’র মযার্দায় ভূষিত হন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও গন আদালতের উত্থানঃ-
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কেড়ে নিলো মায়ের বুকের মানিক রুমীকে এবং প্রিয়তম স্বামী শরীফকে। পুত্র এবং স্বামী হারানোর কষ্টকে বুকে ধারণ করে বেঁচে ছিলেন তিনি। আশির দশকের শুরুতে, ১৯৮২ সালে তিনি আক্রান্ত হলেন দুরারোগ্য ব্যাধি ওরাল ক্যান্সারে। প্রতি বছর একবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হতো মাকে। এভাবেই যাচ্ছিলো মায়ের দিন। মুখের ক্যান্সার কেড়ে নিয়েছিলো মায়ের অপরূপ লাবণ্যময়ী মুখশ্রীর অনিন্দ্য সৌন্দর্য।মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে করতে অন্য আরেকটি লড়াইয়ের জন্যে মনে মনে প্রস্তুত হচ্ছিলেন মা জাহানারা ইমাম। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের লোভ এবং অদূরদর্শিতার কারণে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র একাত্তরের ঘাতক দালাল রাজাকার আলবদরদের ক্রমশঃ উত্থান তাঁকে বিচলিত করে তুলেছিলো। ধর্মান্ধ মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী- মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির এই উত্থানকে রুখে দিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেন মা , আশ্চর্য সাংগঠনিক দক্ষতায়। মাতৃত্ব থেকে অবলীলায় তিনি চলে এলেন নেতৃত্বে। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারী ১০১ সদস্যবিশিষ্ট ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি’ গঠিত হয় মায়ের নেতৃত্বে। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্র সংগঠন, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক জোট, শ্রমিক-কৃষক-নারী এবং সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে পরবর্তীতে ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। সর্বসম্মতিক্রমে এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন মা জাহানারা ইমাম। দেশের লাখ লাখ মানুষ শামিল হয় নতুন এই প্লাটফর্মে।
এই কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ‘গণআদালত’-এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠান করে। গণআদালতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দশটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ১২ জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত গণআদালতের চেয়ারম্যান মা জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। সমবেত লক্ষ লক্ষ মানুষের পক্ষ থেকে মা নিজে গণআদালতের রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। এই গণআদালতের সদস্য ছিলেন : সর্বজনাব এডভোকেট গাজিউল হক, ড. আহমদ শরীফ, স্থপতি মাজহারুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বেগম সুফিয়া কামাল, কবীর চৌধুরী, কলিম শরাফী, শওকত ওসমান, লে’ কর্নেল (অব.) কাজী নূরুউজ্জামান, লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী এবং ব্যারিষ্টার শওকত আলী খান। সেদিন পুলিশ ও বিডিআরের কঠিন ব্যারিকেড ভেঙ্গে বিশাল জনস্রোত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকে পড়েছিলো। সেই বিশৃঙ্খল পরিবেশে বর্ষীয়ান কবি বেগম সুফিয়া কামাল ও কথাশিল্পী শওকত ওসমানকে গণআদালত মঞ্চে (ট্রাকে) উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি বলে মাওলানা আবদুল আউয়ালকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে গণআদালত সদস্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গণআদালত অনুষ্ঠিত হবার পর সরকার ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ মায়ের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে অজামিনযোগ্য মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর লাখো জনতার পদযাত্রার মাধ্যমে মা জাহানারা ইমাম ১২ এপ্রিল ১৯৯২ গণআদালতের রায় কার্যকর করার দাবী সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে জাতীয় সংসদের স্পীকার, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পেশ করেন। চিন্তায় চেতনায় মননে ও মেধায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালনকারী ১০০ জন সাংসদ গণআদালতের রায়ের পক্ষে সমর্থন ঘোষণা করলে আন্দোলনে যুক্ত হয় নতুন মাত্রা। এরপর শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর, গণসমাবেশ, মানববন্ধন, সংসদ যাত্রা, অবস্থান ধর্মঘট, মহাসমাবেশ ইত্যাদি কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সরকার ৩০ জুন ১৯৯২ সংসদে ৪ দফা চুক্তি করতে বাধ্য হয়। ২৮ মার্চ ১৯৯৩ নির্মূল কমিটির সমাবেশে পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জে আহত হন মা। তিনি প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান রাজপথে। সহযোদ্ধারা তাঁকে ধরাধরি করে নিয়ে যান পিজি হাসপাতালে।
ক্যান্সার আক্রান্ত বর্ষীয়ান শ্রদ্ধেয়া জননেত্রী চিকিৎসকদের আন্তরিক সেবায় সেরে ওঠেন।গোলাম আযমসহ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলনকে সমর্থন দেয় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। আন্দোলন ব্যাপকতা লাভ করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। ২৬ মার্চ ১৯৯৩ স্বাধীনতা দিসবে গণআদালত বার্ষিকীতে মা জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গণতদন্ত কমিটি ঘোষিত হয় এবং আরো ৮ জন যুদ্ধাপরাধীর নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৬ মার্চ ১৯৯৪ স্বাধীনতা দিবসে গণআদালতের ২য় বার্ষিকীতে গণতদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান কবি বেগম সুফিয়া কামাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে রাজপথের বিশাল জনসমাবেশে মায়ের হাতে জাতীয় গণতদন্ত কমিশিনের রিপোর্ট হস্তান্তর করেন। গণতদন্ত কমিশনের সদস্যরা হচ্ছেন : সর্বজনাব শওকত ওসমান, কে এম সোবহান, সালাহউদ্দিন ইউসুফ, অনুপম সেন, দেবেশচন্দ্র ভট্টাচার্য, খান সারওয়ার মুরশিদ, শামসুর রাহমান, শফিক আহমেদ, আবদুল খালেক এবং সদরুদ্দিন। এই সমাবেশে আরো ৮ জন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া হয়।
মায়ের সাহিত্যকর্মঃ-
১। ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয় লরা ইঙ্গলস ওয়াইল্ডারের ‘লিটল হাউস অন দ্য প্রেইরীর’ সিরিজের অনুবাদ ‘তেপান্তরের ছোট্ট শহর’। sito sicuro per comprare cialis generico
২। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয় একই সিরিজের ‘অন দ্য ব্যাঙ্ক অব প্লাম ক্রীক’ এর অনুবাদ ‘নদীর তীরে ফুলের মেলা’
। ৩। ১৯৬৭ সালে সাতটি কিশোর গল্পের সংকলন ‘সাতটি তারার ঝিকিমিকি’ প্রকাশিত হয়।
৪। ১৯৬৮ সালে কনরাড রিক্টার-এর ‘দ্য টাউন’-এর অনুবাদ ‘নগরী’ প্রকাশিত হয়।
৫। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত হয় কিশোর উপন্যাস ‘গজকচ্ছপ’।
৬। ১৯৮৩ সালে বিদেশীদের বাংলা শেখার বই ‘এ্যান ইনট্রোডাকশন টু বেঙ্গলী ল্যাংগুয়েজ এ্যান্ড লিটারেচার’ (পার্ট ওয়ান) প্রকাশিত হয়।
৭। ১৯৮৩ সালে ‘ডালাস’ অনুবাদ করেন।
৮। ১৯৮৫ সালে শৈশব এবং যৌবনের স্মৃতিকথা ‘অন্য জীবন’ প্রকাশিত হয় ।
৯। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয় ৭জন বীরশ্রেষ্ঠকে নিয়ে জীবনী গ্রন্থ ‘বীরশ্রষ্ঠ’। prednisone side effects moon face
১০। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয় ‘বুকের ভেতর আগুন’।
১১। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় ডায়েরি আকারে লেখা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় স্মৃতিকথা ‘একাত্তরের দিনগুলি’। এই গ্রন্থটির কারণে জাহানারা ইমাম দেশে-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেন ।
১২। ১৯৮৮ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছোটগল্পের বই ‘জীবন মৃত্যু’ প্রকাশিত হয় ।
১৩। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় ‘একাত্তরের দিনগুলি’-র কিশোর সংস্করণ ‘বিদায় দে মা ঘুরে আসি’।
১৪। ১৯৮৯ সালে শেক্সপীয়ারের ‘ট্রাজেডি’-র কিশোর সংস্করণ ‘চিরায়ত সাহিত্য’ প্রকাশিত হয়।
১৫। ১৯৯০ সালে ‘নাটকের অবসানে’ প্রকাশিত হয়। ১৬। ১৯৯০ সালে ‘দুই মেরু’ প্রকাশিত হয়।
১৭। ১৯৯০ সালে ‘নিঃসঙ্গ পাইন’ প্রকাশিত হয়। pastilla generica del viagra
১৮। ১৯৯০ সালে ‘নয় এ মধুর খেলা’ প্রকাশিত হয়।
১৯। ১৯৯০ সালে একাত্তরের দিনগুলির ইংরেজি অনুবাদ ‘অব ব্লাড এন্ড ফায়ার’ প্রকাশিত হয়। অনুবাদ করেন প্রয়াত পররাষ্ট্র সচিব মুস্তাফিজুর রহমান।
২০। ‘মূল ধারায় চলেছি’ ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়।
২১। ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয় আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘ক্যান্সারের সাথে বসবাস’।
২২। ১৯৯২ সালে ডায়েরি আকারে লেখা স্মৃতিকথা ‘প্রবাসের দিনলিপি’ প্রকাশিত হয়।
সম্মাননাঃ-
মা ভিন্ন সময় নিম্নোক্ত পুরস্কার /পদকে ভূষিত হনঃ-
১। বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ সাহিত্য পুরস্কার – ১৯৮৮ সালে।
২। কমর মুশতরী সাহিত্য পুরস্কার – ১৯৮৮ সালে।
৩। বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার – ১৯৯১ সালে।
৪। আজকের কাগজ হতে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা পুরস্কার – ১ বৈশাখ, ১৪০১ সনে।
৫। নারী গ্রন্থ প্রবর্তনা – মার্চ, ১৯৯৪ সালে।
৬। স্বাধীনতা পদক – ১৯৯৭ সালে।
৭। রোকেয়া পদক – ডিসেম্বর, ১৯৯৮ সালে
। ৮। অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার – অক্টোবর, ২০০১ সালে।
৯। ইউনিভার্সাল শিল্পী গোষ্ঠী পুরস্কার – ২০০১ সালে।
১০। শাপলা ইয়ূথ ফোর্স
১১। কারমাইকেল কলেজ – গুণীজন সম্মাননা acheter cialis 20mg pas cher
১২। মাস্টারদা সূর্যসেন পদক online pharmacy in perth australia
১৩। মুক্তিযুদ্ধ উৎসব-ত্রিপুরা সাংগঠনিক কমিটি
১৪। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
১৫। রোটারাক্ট ক্লাব অব স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
১৬। বিশ্ববিদ্যালয় শিল্পী গোষ্ঠী পুরস্কার – ২০০১ সালে
১৭। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংঘ
১৮। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং মৃত্যুঃ-
খুব দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে ২ এপ্রিল ১৯৯৪ চিকিৎসার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ডেট্রয়েট হাসপাতালের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন মা। ২২ এপ্রিল ওখানকার চিকিৎসকরা জানান, চিকিৎসার আওতার সম্পূর্ণ বাইরে চলে গেছেন তিনি। মৃত্যুশয্যায় শায়িত থেকেও মনোবল হারাননি মা জাহানারা ইমাম। হাসপাতালের শুভ্র বিছানায় শায়িত থেকেও কাঁপা কাঁপা অস্পষ্ট হাতে ডায়রি লিখতেন। বাকশক্তি হারিয়ে কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তাঁর। এ সময় ছোট ছোট চিরকুট লিখে প্রিয়জনদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা চালিয়ে যেতেন। সুলিখিত চিঠিতে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতেন আন্দোলন বিষয়ে। রসিকতাও করতেন ঐ চিরকুটের মাধ্যমেই। ২২ জুনের পর থেকে শহীদ জননীর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে শুরু করে। অবশেষে দেশবাসীকে অশ্রুসাগরে ভাসিয়ে ২৬ জুন ১৯৯৪ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মিশিগানের ডেট্রয়েট নগরীর সাইনাই হাসপাতালে ৬৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
মায়ের শেষবানীঃ-
মৃত্যুর পূর্বে মা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী জনগণের উদ্দেশ্যে “বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার আবেদন এবং নির্দেশনা” শীর্ষক একটি শেষ বাণী দিয়ে যান। যা “শহীদ জননীর শেষ বাণী” হিসেবে খ্যাত। নিচে মায়ের সেই বানীটি তুলে ধরলামঃ-
প্রিয় সহযোদ্ধারা,
গত তিন বছর ধরে আপনার গোলাম আযম ও তার সহযোগী ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের এবং স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছেন। বাঙালী জাতির প্রেক্ষাপটে আপনাদের একতা এবং সাহস ছিলো অতুলনীয়। আমাদের এই সংগ্রামের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গী ছিলাম। আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিলো যতক্ষণ না লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে ততক্ষণ এই যুদ্ধ চলবে। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে শয্যাশায়ী হয়ে আমি আমার জীবনের শেষ দিনগুলো গুনছি। আমি আমার প্রতিজ্ঞা রেখেছি। আমি লড়াই থেকে পিছু হটিনি। কিন্তু মৃত্যুর দিকে এই অবশ্যম্ভাবী যাত্রা আমি ঠেকাতে অক্ষম। সে কারণেই আমি লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার শপথটা আপনাদের আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আপনাদের অবশ্যই এই অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। আপনাদের অবশ্যই একতাবদ্ধ থাকতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত লড়তে হবে। যদিও আমি আপনাদের সঙ্গে থাকতে পারব না। কিন্তু নিশ্চিত জানব- আমার লাখো বাঙালী ছেলেমেয়ে- একটি স্বাধীন সোনার বাংলায় আপনাদের ছেলে মেয়ের সঙ্গে বাস করছে। আমাদের সামনের পথ এখনও দীর্ঘ এবং বন্ধুর। এই যুদ্ধে আমরা সর্বস্তরের জনগণকে পাশে পেয়েছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ছাত্র এবং যুবকরা এই লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। আর আমি জানি জনগণের চেয়ে দৃঢ়চেতা আর কেউ নয়। জনগণই সব শক্তির মূলে। তাই আমি গোলাম আযম এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ভার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব তুলে দিয়ে যাচ্ছি আপনাদের হাতে- বাংলাদেশের জনগণের হাতে। নিশ্চিত জানবেন, জয় আমাদের হবেই।
————- জাহানারা ইমাম।
আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের প্রিয় শ্রদ্ধেয় মা জাহানারা ইমামকে। শুভ জন্মদিন মা। তুমি যেখানেই থাকো না কেন ভালো থেকো। আমরা তোমার দেখানো পথেই চলবো … জয় আমাদের হবেই………… :)>-
তথসুত্রঃ- (১) http://projonmoblog.com/riddha/17760.html
(২) http://www.gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=194
অর্ফিয়াস বলছেনঃ
pills like viagra in storesশুভ জন্মদিন মা…
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ is viagra safe for diabetics
:গোলাপ নিন: %%- :গোলাপ নিন:
অংকুর বলছেনঃ
শুভ জন্মদিন আম্মা । আশা করি আমরা আম্মার ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারব । রাজাকারদের ফাঁসি এই বাংলার মাটিতেই হবে । জয় বাংলা । :-bd :-bd :-bd
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
জয় বাংলা… :)>-
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
জয় বাঙলা… :-bd :-bd :এতো দিন কই ছিলি?:
কৃষ্ণ গহ্বর বলছেনঃ
শুভ জন্মদিন মা… জয় আমাদের হবেই।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
জয় আমাদের হবেই… জয় বাংলা… :)>- :)>-
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
:জয় গুরু: :জয় গুরু: :এতো দিন কই ছিলি?:
ডার্ক ম্যান বলছেনঃ
শুভ জন্মদিন মা। লও সালাম। pharmacie belge en ligne viagra
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ levitra generico acquisto
শুভ জন্মদিন মা, তোমার অসমাপ্ত কাজ আমরা সমাপ্ত করবই… জন্মদিনে তোমার কাছে আমাদের এই প্রতিজ্ঞা…. :জয় গুরু: :জয় গুরু:
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ propranolol hydrochloride tablets 10mg
তোমার অসমাপ্ত কাজ আমরা সমাপ্ত করবই… :-bd :-bd
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
জয় আমাদের হবেই…
শুভ জন্মদিন আম্মা… ampicillin working concentration e coli
পোস্টটী স্টিকি করলে ভাল হত। মডারেশন প্যনেলকে অনুরোধ জানাচ্ছি পোস্টটী স্টিকির জন্য…
ভাল পোস্ট, লিখে যান আপু। :জয় গুরু:
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
জয় বাংলা… :)>-
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
শুভ জন্মদিন মা।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
%%- %%- :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :চলেন চা খাই:
চাতক পাখি বলছেনঃ
গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের প্রিয় শ্রদ্ধেয় মা জাহানারা ইমামকে cd 17 clomid no ovulation
কেবলই একটি জন্মদিনের শুভেচ্ছায় নয় জাতীয় জীবনে শহীদ জননীর চেতনায় হোক আমাদের আগামীর পথ চলার পাথেয়।
জয় বাংলা ।
জয় শহীদ জননী।
চমৎকার একটা কাজ করেছেন জোহরা’পু :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: