মক্কার ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিভিন্ন জনের অভিমত
146
বার পঠিতগত ১২ সেপ্টেম্বর মসজিদুল হারাম শরীফের ক্রেন ভেঙ্গে পড়ে হজ্ব করতে যাওয়া ১৭০ জন হাজি নিহত এবং অসংখ্য হাজি আহত হওয়া থেকে শুরু করে হজের শেষ দিন ২৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার)শয়তানকে পাথর ছুড়ে মারতে গিয়ে হাজিরা পদদলিত হয়ে ঘটনায় অন্তত ৭১৭ জন হাজি প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো ৮৬৩ জন।এ নিয়ে চলছে বিভিন্ন সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের লোকদের মাঝেও তর্ক-বিতর্ক।আসুন জেনে নেওয়া যাক,হাই প্রোফাইল ব্যাক্তিবর্গের এ দূর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন অভিমত-
নিহতদের শোকার্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে অক্সফোর্ড ইসলামিক ইনফরমেশন সেন্টারের ওই ইমাম আরও বলেন, ‘ঘটনাটি হৃদয় বিদারক হলেও বিনা হিসাবে সরাসরি জান্নাতে পৌঁছানো সৌভাগ্যবান মুসল্লিদেরকে অভিনন্দন জানাই’। নিহত ১০৭ মুসল্লিকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে হোজ্জাত বলেন, ‘প্রত্যেক মুসল্লিই এমন মৃত্যু চান তবে সে সৌভাগ্য সবার হয় না। আল্লাহর পক্ষ থেকে হজের পুরস্কার হচ্ছে জান্নাত। অনেক হাজি চান পবিত্র মক্কায় হজ পালনের সময় যেনো তাদের মৃত্যু হয়, মক্কার মাটি যেনো তাদের ভাগ্যে জোটে’।
মিসর থেকে হজে আসা মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, ‘পবিত্র সময়ে, পবিত্রতম জায়গায় সে দুর্ঘটনায় যদি আমিও মারা যেতাম’।
গত বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরপরই একজন সৌদি যুবরাজ এ ঘটনার জন্য ‘আফ্রিকান’ হাজিদের দায়ী করে বিবৃতি দিলেন। এত বড় ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ভাবে উদ্ভট মন্তব্য করা ঠিক হয়েছে কি না, প্রশ্নও উঠেছে সে ব্যাপারেও। যদি ঠিকই হয়, তাহলে সৌদি বাদশা কেন সেদেশের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফের নেতৃত্বে একটি কমিটিকে নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে বললেন। হজের কয়েক দিন আগেও গত ১১ সেপ্টেম্বর মক্কার কাছে ক্রেন ভেঙে শতাধিক হাজি নিহত হন। আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে। দুটো ঘটনাই আলাদা, কিন্তু এক সঙ্গে ২০ লাখের মতো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির জড়ো হওয়ায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সৌদি সরকার আসলেই কতটা ভেবেছিলেন সে প্রশ্ন উপস্থিত হাজি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর।
মিনায় পদদলিত হয়ে ৭১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে আল্লাহর ইচ্ছা বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ।
ইরানের রাজধানী তেহরানে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে সৌদি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে। তাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইরানের দাবি, তাদের দেশের অন্তত ৬০ জন হাজি আহত হয়েছেন। পুরো ঘটনা নিয়ে নিজেদের অভিযোগ জানাতে তেহরান সেদেশের সৌদি চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারকে ডেকে পাঠায়।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই দুঃখজনক ঘটনার দায়িত্ব সৌদি সরকারের নেওয়া উচিত। আর আমাদের উচিত হবে না, যে অব্যবস্থপনা ও ভুলের কারণে এই বিপর্যয় তা এড়িয়ে যাওয়া।’
বিশ্বের সবচেয়ে মুসলমান জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বলেছেন, হজ ব্যবস্থাপনার অবশ্যই উন্নতি হওয়া উচিত যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
নাইজেরিয়ার হজ প্রতিনিধি দলের প্রধানের মতে মিনার ঘটনার জন হাজিদের দায়ী করে সৌদি সরকার ‘ভুল’ করেছে। তিনি বিবিসির রেডিও ফোরকে বলেন, আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানাব, (হজযাত্রীরা) নির্দেশ মানেননি, এই ভুল অভিযোগ যেন না করেন।
আল দিয়ার নামে একটি আরব দৈনিকে বলা হয়েছে, প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ গত বৃহস্পতিবার মিনায় আসেন বাদশাহর (তাঁর বাবা) সঙ্গে বৈঠকের জন্য। প্রিন্সের সঙ্গে ছিল ৩৫০ সদস্যের নিরাপত্তা দল। প্রিন্সের নিরাপত্তার কারণে চলাচল একমুখী করা হয়েছিল এবং এত বড় ঘটনার জন্য এর দায় আছে।
যুক্তরাজ্যের হজ ও ট্রাভেল এর পরামর্শক মোহাম্মদ জাফরি বিবিসিকে বলেছেন, ‘যেকোনো ঘটনার পরে, এটা ওপরওয়ালার ইচ্ছা। কিন্তু এটা ওপরওয়ালার ইচ্ছা না। এটা মানুষের অদক্ষতা।’ সৌদি আরব যাতে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি উন্নত করে সে জন্য ব্রিটিশ সরকারকে প্রভাব খাটানোর আহ্বান জানান জাফরি।
ইউকে হজ ও ওমরাহ ভ্রমণ ট্যুরের উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাফরি বলেন, সৌদি যুবরাজের বিশাল নিরাপত্তা বহরে সেনা ও পুলিশসহ সাড়ে ৩শ’র বেশি নিরাপত্তাকর্মী ছিল। যারা শয়তানের দিকে পাথর মারতে যাওয়া হাজিদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা করে যুবরাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের ধাক্কাধাক্কিতেই হাজিরা পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। যুবরাজের সুবিধা ও নিরাপত্তার জন্য পাথর ছুঁড়তে যাওয়ার ৫টি পথের মধ্যে দুটো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে অন্য পথগুলোতে ভিড় বেড়ে যায়।
৪৫ বছর বয়সী আহমেদ আবু বকর নামে এক লিবিয়ান হাজি বলেন, হাজিদের কয়েকটি প্রবেশ ও প্রস্থান পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনার জন্য পুলিশ ও সৌদি সরকার দায়ী।
বাংলাদেশের দৈনিক ইনকিলাবের সহকারি সম্পাদক আবদুল আউয়াল ঠাকুর বলেছেন, সৌদি আরবের মিনায় আজ যা ঘটেছে তা যে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ত্রুটির কারণে ঘটেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ এর আগেও ক্রেন ভেঙে সেখানে হাজিদের মৃত্যু ঘটেছে। synthroid drug interactions calcium
এ দিকে, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে—তারা হাজিদের নিরাপত্তা বিধান এবং যানবাহন ও ভিড় সামলাতে ১ লাখ পুলিশ মোতায়েন করেছে।
para que sirve el amoxil pediatrico
কোলাহল
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas
Ask2ans @ যুদ্ধ সাংবাদিকতা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
ABU RAYHAN @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা