উচ্চ শিক্ষায় বাণিজ্য ও ভ্যাট প্রত্যাহার আন্দোলন
109
বার পঠিতবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন টি নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করবে। তবে কয়েকটি বিষয়ে কিছু মানুষ ভুল করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে সম্পূর্ণ গাধার পরিচয় দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভ্যাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুক বা না করুক ওটি তাঁদের ব্যাপার। কারন যেটি হয়েছে সেটি রাজনৈতিক নয়। সুতরাং এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্বার্থ নেই। মূল স্বার্থটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেলের। সুতরাং আসতে হলে নিঃস্বার্থ ভাবেই আসবে। কাউকে জোর করে বাধ্য করা বা আন্দোলনে সমর্থন আদায়ের জন্য অনুনয় করা পাগলামির পরিচয়।এতো কিছুর পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য সমর্থন দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রীর এবার সময় হয়েছে অবসরে যাওয়া। লোকটা আন্দোলন দেখে প্রচণ্ড চাপে আছে। উল্টাপাল্টা বকবক করা তার স্বভাব। অর্থমন্ত্রীর একটি ধন্যবাদ প্রাপ্য আছে। তবে তিনি যদি ভ্যাট প্রত্যাহার করেন। কারন যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীরা সারাজীবন একটি গণ্ডির ভিতরে কাটায় তারা এবার রাস্তায় আসতে পেরেছে। দাবি আদায়ের জন্য রক্ত ঝরাতে পেরেছে। আমি নিজেও ভেবেছিলাম, তিনি তো অবশ্যই ভেবেছিলেন হয়তো শিক্ষার্থীরা বড়জোর মানব্বন্ধন করবে বা স্মারকলিপি দিবে। কিন্তু পুরো প্রেক্ষাপট টি ছিলো বিপরীত। যে শিক্ষার্থীরা “আই হেইট পলিটিক্স” বলতে অভ্যস্ত তারাই নিজেদের স্বার্থে রাস্তায় নেমেছে। half a viagra didnt work
একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা বাণিজ্য নয়। এবং অলাভজনক। তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হবে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেটুকু শিক্ষার্থীদের খরচ হয় সেটি প্রতিষ্ঠান নিবে। কিন্তু আমাদের দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় টাকার খনি। একেক জন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে শত কোটি টাকা লাভ করছেন। তাহলে অলাভজনক রইলো কোথায়? প্রতি সেমিস্টারে খরচ বাড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু কখনো শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেনি।
কারণটি খুব সহজ প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই এটি করছে। তাহলে শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে। যেমন এখন সাড়ে ৭ ভাগ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে প্রতিবাদ হয়েছে তেমনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্য সেশন ফি বাড়ানোর ও প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ। তা না হলে নীরবেই বর্ধিত সেশন ফি দিতে হবে। শিক্ষা পণ্য নয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেটুকু খরচ ততটুকু মালিক রা আদায় করবে। কিন্তু শত শত কোটি টাকা তুলবে শিক্ষার নামে সেটি কখনো কাম্য নয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি কে এ বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। যে টাকা আদায় করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সহজেই শিক্ষার মানসম্পন্ন পরিবেশ তৈরি করতে পারে। অথচ নেই কোনো খোলা জায়গা, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ। এক বিল্ডিংেই এক বিশ্ববিদ্যালয়। শপিং মলের উপরে থাকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তাহলে শিক্ষার পরিবেশ কোথায় গেলো?কারণটি খুব সহজ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলেই লাভের জন্য। তা না হলে লাভের শত কোটি টাকা শিক্ষার পিছনেই ব্যায় করা হতো।
শিক্ষার্থীরা এটি হয়তো প্রত্যহ দেখে। কিন্তু কখনো প্রকাশ করেনি ক্ষোভের বানী। আন্দোলনের কারনে ওরা লোভী মুনাফাভোগি মালিকদের বিপক্ষে হয়তো কিছুটা প্রতিবাদ করতে পারবে। তবে আদৌ করবে কিনা তা অজানা।
শিক্ষার উপর ভ্যাট প্রত্যাহার হোক, শিক্ষা বাণিজ্য মুক্ত হোক এটিই আশা।
কোলাহল
Mohd Shahanoor Alam Bhuiyan Titu @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা
shapan @ প্রসঙ্গ নারী : ধর্মীয় আর সামাজিক বর্বর আইন নারী খৎনা Female Circumcision
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas