বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সিংহভাগই মধ্যবিত্ত
158
বার পঠিতআমাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে গিয়ে ২০ বছর সময় ব্যয় করতে হয় শিক্ষার পিছনে যা অপ্রিয় হলেও সত্য।কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা আজ শিক্ষিত হই অর্থ অর্জনের জন্য,স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য না।একজন শিক্ষার্থী ২০ টি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিবাহিত করেছে ঠিকই ভালো অর্থ উপার্জনের জন্য।কিন্তু সে কি তার আকাঙ্ক্ষিত অর্থ উপার্জন করতে পারতেছে?শিক্ষা আর অর্থ দুইটাই আলাদা ব্যপার,যদি একটা অন্যটার সাথে জড়িয়ে গেছে আমাদের গন্ডির কারনে।কারন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শিখিয়েছে ভালো অর্থ উপার্জন কিংবা ভালো চাকরীর জন্য প্রয়োজন ভারী ভারী সার্টিফিকেট এবং মোটা অংকের ঘুষ।যা আমাদের কাছে অপ্রিয় হলেও সত্য এবং এই সবের পাশাপাশিও থাকতে হবে মামা,চাচা,খালো প্রমুখ।কিন্তু মামা,চাচা,খালো এবং মোটা অংকের ঘুষ থাকার আগে প্রয়োজন ভারী সার্টিফিকেটের।এই ভারি সার্টিফিকেট অর্জনের দৌড়ে নেমে পড়ে শিক্ষার্থীসহ বাবা-মা,শিক্ষক,টিউশন শিক্ষক।কারন তাদের সবার লক্ষ্য একটাই তাকে ভালো সার্টিফিকেট মানে এ+ কিংবা গোল্ডেন এ+ পেতেই হবে।কিন্তু এই ভারী সার্টিফিকেট নিয়ে পাড় হচ্ছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক।কিন্তু অতল সমুদ্রে পড়ে যাচ্ছে বুয়েট,মেডিকেল,চুয়েট,মেরিন বা সকল প্রকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ভর্তি পরীক্ষাতে হেরে গিয়ে।সেখান থেকে ছিটকে গিয়ে তারা আশ্রয় নেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে।কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও অনেক ছিটকে পড়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে।তখন তারা এবং অধিক সংখ্যক মধ্যবিত্ত আর বেশ কিছু উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেরা ভীড় করে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে।মধ্যবিত্ত পরিবারে শিক্ষার্থীদের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কারণও রয়েছে।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়ে যখন তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভীড় জমায় তখন শীক্ষার্থীদের মনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিশ্চিত সেশন জটের কারনে বছরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায় পড়ে থাকতে হয় সার্টিফিকেটের আশায়।আর এথেকে মুক্তি পাবার জন্যই একটু আশার আলো নিয়ে ভীড় করে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে।যেখানে একটু কষ্ট হলেও বাবা মা টাকা খরচ করে ভর্তি করে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে।যেন তার ছেলে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো চাকরী করে সম্মানের সহিত অর্থ উপার্জন করে সুখে শান্তিতে জীবন কাটাতে পারে। about cialis tablets
তাইতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলছিলেন,“বাবারা একটু লেখাপড়া শিখ।যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর,ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোন লাভ নেই।আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকে থাকে বাপ-মাকে সাহায্য কর।প্যান্ট পরা শিখেছ বলে বাবার সাথে হাল ধরতে লজ্জা করো না।দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখ।কানাডায় দেখলাম ছাত্ররা ছুটির সময় লিফট চালায়।ছুটির সময় দু’পয়সা অর্জন করতে চায়।আর আমাদের ছেলেরা বড় আরামে খান,আর তাস নিয়ে ফটাফট খেলতে বসে পড়েন।গ্রামে গ্রামে বাড়ির পাশে বেগুন গাছ লাগিও,কয়টা মরিচ গাছ লাগিও,কয়টা লাউ গাছ ও কয়টা মারিকেলের চারা লাগিও।বা-মারে একটু সাহায্য কর।কয়টা মুরগী পাল,কয়টা হাঁস পাল।জাতীয় সম্পদ বাড়বে,তোমার খরচ তুমি বহন করতে পারবে।বাবার কাছ থেকে যদি এতোটুকু জমি নিয়ে ১০টি লাউ গাছ,৫০ টা মরিচ গাছ,কয়টা নারিকেলের চারা লাগিয়ে দেও,দেখবে ২/৩ শত টাকা আয় হয়ে গেছে।তোমরা ঐ টাকা দিয়ে বই কিনতে পারবে।কাজ কর,কঠোর পরিশ্রম কর,নাহলে বাঁচতে পারবে না।শুধু বিএ,এমএ পাস করে লাভ নেই।আমি চাই কৃষি কলেজ,কৃষি স্কুল,ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল,কলেজ ও স্কুল,যাতে সত্যিকারের মানুষ পয়দা হয়।বুনিয়াদি শিক্ষা নিলে কাজ করে খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।কেরানী পয়দা করেই একবার ইংরেজ শেষ করে দিয়ে গেছে দেশটা।তোমাদের মানুষ হতে হবে ভাইরা আমার।আমি কিন্তু সোজা সোজা কথা কই,রাগ করতে পারবে না।রাগ কর,আর যা কর,আমার কথাগুলো শোন।লেখাপড়া কর আর নিজেরা নকল বন্ধ কর।আর এই ঘুষ,দূর্নীতি,চুরি-ডাকাতির বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে থানায় থানায় সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোল।প্রশাসনকে ঠিক ভাবে চালাতে সময় লাগবে।এর একেবারে পা থেকে মাথা পর্যন্ত গলদ আছে।মাঝে মাঝে ছোট-খাট অপারেশন করছি।বড় অপারেশন এখনো করি নাই।সময় আসলে করা যাবে।তোমাদের আমি এইটুকু অনুরোধ করছি,তোমরা সংঘবদ্ধ হও।আর মেহেরবানী করে আত্মকলহ করো না।এক হয়ে কাজ কর।দেশের দূর্দিনে স্বাধীনতার শত্রুরা সংঘবদ্ধ,সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা দলবদ্ধ,তোমাদের সংঘবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে।” can your doctor prescribe accutane
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই কথা গুলা বলেছিলেন,আমাদের গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই।কিন্তু আজ তারই দল এবং তার মেয়ে মাননীয় সরকার শেখ হাসিনা বর্তমানে ক্ষমতা থাকা অবস্থায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর ভ্যাট নীতি করে শিক্ষাকে পন্য বানিয়ে ফেলা হলো।কিন্তু মাননীয় সরকার যখন ভ্যাট নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পড়ল ঠিক তখনই কোন উপায় না দেখে তা সরকার পক্ষ থেকে বলে দিল ভ্যাট ছাত্রদের নিকট থেকে না বরং ভার্সিটি মালিক পক্ষ থেকে নেওয়া হবে।কিন্তু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক পক্ষ ভ্যাটের টাকা নিজে বহন করবে নাকি ছাত্রদের ক্রেডিট ফি বাড়িয়ে দিয়ে তা বৈধভাবে আদায় করে নিবে ছাত্রদের কাছ থেকে।কারন এ ব্যাপারে সরকার পক্ষের কোন নির্দেশ দেই নি।আর বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো কোন কারন ছাড়াই অহেতুক যেভাবে টাকা আদায় করে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে সে ক্ষেত্রে যে ভ্যাটের টাকা ছাত্রদের নিকট থেকে আদায় করবে না তা কিন্তু। শুধু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কেন,ইংলিশ মিডিয়াম প্রাইভেট স্কুল,কলেজেও ছাত্রদের খরচের ব্যাপারে কোন নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নাই।অপরদিকে হালি হালি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনূমোদন ঠিকই দিচ্ছেন আপনারা,কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে বেসরকারী এবং অনেক সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে আপনাদের কোন মাথা নাই একমাত্র শিক্ষাকে বানিজ্যকরনের ফলে। পাসের হারের লড়াইয়ে যে অযোগ্যদের সমানে বোর্ড পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিচ্ছে এই ব্যাপারে কারো সমস্যা নাই।
ছাত্রদের কেউ কেউ যখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য উচ্চবেতনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তাদের টিউশন ফী এর উপর ভ্যাট দেওয়ার প্রতিবাদ করে। তখন তাদের জবাবদিহি করতে হয় তারা কেন জিন্সের প্যান্ট, সেলোয়ার কামিজ পরে কিংবা তারা কেন সিগারেট খায়। তারা জানে না সেমিস্টারের শুরুতে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য মোটা অংকের টাকা যোগাড় করতে কতশত ছাত্রের আর তাদের অভিভাবকদের এক বুক হতাশা হতে হয়। তারা জানে না যে রেজিস্ট্রেশন করতে মোটা অংকের টাকা দেওয়ার পর মাসিক খরচ চাইতে না পারা কতশত ছাত্ররা শুধু চা-রুটি খেয়েই আহার শেষ করে। তারা জানে না মধ্যবিত্ত পরিবারটি একখন্ড ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য ঋন করে টিউশন ফী জোগাড় করে। তারা জানে না যে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু উচ্চবিত্তদের পড়ালেখার জায়গা না, ছাত্রদের সিংহভাগই মধ্যবিত্ত। প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ে কারা ? বেশীর ভাগই মধ্যবিত্তের পরিবারের সন্তান। অনেকেই আছে ঠিক মত বেতনই দিতে পারেনা, অনেকেই আবার জমি বিক্রি করা টাকা দিয়ে পড়াশুনা করে! যে কোন জাতি, সরকার বা রাষ্ট্রের জন্য বড় বিনিয়োগের জায়গা হল শিক্ষা এবং গবেষণার খাত। সেই বিবেচনায় সরকারের উচিত হবে প্রাইভেট ভার্সিটিতে সাবসিডি দেওয়া। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দেয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রের!কিন্তু সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্র আজ অনেকটাই ব্যর্থ তবে শিক্ষা নিয়ে বানিজ্যকরনের ফলে আজ অনেক কালো টাকা রোজগারকারী অস্বাদুব্যবসায়ী বৈধতা পেয়েছে শিক্ষা নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে।
কোলাহল
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas
Ask2ans @ যুদ্ধ সাংবাদিকতা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
ABU RAYHAN @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা