ব্লগার হত্যার পিছনের মূল কারণ :নাস্তিকতা নাকি ধর্মকে ব্যবহার করে খুনের বৈধতা
805
বার পঠিত can your doctor prescribe accutaneসম্প্রতি কালের সব থেকে বেশী আলোচিত বিষয় ব্লগ-ব্লগার এবং নাস্তিকতা।ব্লগ হচ্ছে এমন একটা ওয়েব সাইট যা দৈন্দিন দিন লিপি হিসাবে ডাইরীর মত করেই একজন ব্যক্তি তার মতামত লিখে ব্যবহার করতে পারে শুধু মাত্র নির্দিষ্ট ব্লগ ওয়েব সাইট গুলাতে রেজিষ্ট্রেশন করে বা নিজস্ব ব্লগ ওয়েব সাইট খুলে।আর যারা মুলত ব্লগে লিখে তাদেরই ব্লগার বলার হয়।ব্লগে সাধারনত ব্যক্তিগত বিষয় অভিজ্ঞতা থেকে যে কোন কিছু লিখে তা অন্যের সাথে শেয়ার করা।এখানে আপনি ফেইসবুকের মত বরং আরো সুন্দর করে পোস্ট দেয়া তো বটেই আরো মিডিয়া ফাইল এখানে আপলোড দিতে পারবেন। এর জন্যে আপনাকে ওয়েব কোডিং যেমন – HTML, CSS, Javascript, Php জানতে হবে না।
অর্থাৎ ব্লগ হচ্ছে এমন এক উন্মুক্ত প্লাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা শেয়ার করতে পারবেন এবং সেখানে সকলে মতামতও প্রকাশ করতে পারবে।
এই উন্মুক্ত প্লাটফর্মে কেউ লিখছেন দেশ নিয়ে, কেউবা লিখছেন দেশের বিরুদ্ধে। আর কেউবা লিখছেন ধর্মের পক্ষেবিপক্ষে। যে যাই লিখেন না কেন, প্রত্যেকের রয়েছে নিজ নিজ অভিমত। যাই লেখেন না কেন, মানসম্মত আর তথ্যবহুল লেখায় খোরাক পাচ্ছেন তাদের বেশুমার ভক্তবৃন্দ।
বর্তমানে আমাদের দেশের একটি বিশেষ গোষ্ঠী ব্লগকে ইসলামবিরোধী ও ব্লগার নাস্তিক শব্দ দু’টিকে সমার্থক করে তুলেছে। তারা আমাদের দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এটা বোঝাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে যে, ব্লগ হলো ধর্ম বিরোধী,সৃষ্টিকর্তা বিরোধী একটি জঘন্য কাজ। আর যারা ব্লগ লিখেন তারা সবাই নাস্তিক। তাদের মতে ব্লগ যেহেতু ধর্ম বিরোধী,সৃষ্টিকর্তা বিরোধী এবং যিনি ব্লগ লিখেন তিনি হলেন নাস্তিক সেহেতু ব্লগ ও ব্লগারের বিরুদ্ধে তাদের যত অপপ্রচার, শুধু অপপ্রচারে লিপ্ত থেকেই তারা বসে থাকেনি, ব্লগারদের জবাই করা ধর্মের ইমানী কাজ বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এবং শতাধিক ব্লগারের নাম ঠিকানা ধরে হত্যার ফরমানও জারি করেছেন এবং ইতিমধ্যেই রাজিবসহ ৫ জন ব্লগারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে যা খুবই অমানবিক ও বেদনাদায়ক। ব্লগ ও ব্লগার নিয়ে যদিও আমি আজ আলোচনা করবনা তবে ব্লগ সম্পর্কে কিছু ধারনা দিয়ে নিলাম আগে।
সম্প্রতি সময়ে কিছু নাস্তিক লেখক ব্লগিং বা অন্য কোন কারন বশত খুন হওয়ার জন্য আমাদের মস্তিষ্কে ব্লগ এবং নাস্তিক এই দুটি শব্দকে এক করে ফেলেছে তাই আমাদের ব্লগিং শব্দটা শুনলে মনে মনে শুরু হয়ে যায় গোলযোগ এবং কেউ ব্লগার শুনলেই ভেবে বসে থাকি সে ব্যাক্তি একজন নাস্তিক!
তবে এখন আমি ব্লগ নিয়ে আর আলোচনা বাড়াবো না তবে ব্লগার হত্যার পিছনে যৌক্তিক কারন খুজব।আসলে এ পর্যন্ত যে ৫ জন ব্লগার খুন হইছে তারা কি সত্যি নাস্তিকতার জন্য খুন হইছে নাকি এর পিছনে অন্য কোন কারন লুকিয়ে থাকতে পারে।কারন
ব্লগ হচ্ছে শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের মাধ্যম।যেমন আগে মানুষ বিভিন্ন কিছু লিখে বা নোট করে রাখত ডায়রীতে তেমন সভ্যতার বিকাশের ফলে মানুষ এখন তা লিখে বা নোট করে রাখে ব্লগ নামক উন্মুক্ত প্লাটফর্মে যা অন্যের সাথে শেয়ার করার যোগ্য বলে বিবেচিত।তাই ডাইরী লিখলে যদি নাস্তিক না হয় তবে ব্লগে লিখলেই সে নাস্তিক হবেনা।
ব্লগ শব্দটা এবং নাস্তিকতা আলোচনার শীর্ষে আসে মুলত ২০১৩ সালের শাহবাগ যোদ্ধাপরাধী বিচারের দাবীতে আন্দোলনের রেষ ধরেই।ব্লগের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার করা হয়েছে যে, ব্লগে লিখলেই তিনি নাস্তিক। নাস্তিক আর ব্লগারকে সমার্থক করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চের জ্বালাময়ী আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি গোষ্ঠী জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টার ফলশ্রুতিতেই ব্লগ ও ব্লগারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। দেশের হাজার হাজার নিরীহ,মাদ্রাসা ছাত্রকে ভুল বুঝিয়ে একটি কথা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয় যে ব্লগ হলো আমাদের ধর্ম ইমান ও আকীদাবিরোধী একটি কাজ আর যারা ব্লগ লিখেন তারা হলো নাস্তিক।কারন যখন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে হত্যা করে খুনীরা পালিয়া যাবার সময় তৃতীয় লিঙ্গের কাছে দুই জন মাদ্রাসার ছেলে ধরা পড়ার পর তাদের যখন পুলিশি জিজ্ঞাসেবাদে বলা হয়েছিল কেন তাকে খুন করা হলো?এই প্রশ্নের উত্তরে মাদ্রাসা ছেলে দুটির কথা ছিল এমন বাবু ব্লগার,আর যারা ব্লগে লিখে তারা নাস্তিক।নাস্তিক হত্যা বা ইসলাম অবমাননাকারীকে হত্যা করা জায়েজ এই শিক্ষা দিয়েছে তাদের বড় হুজুর।অথচ যখন তাদের বলা হয়েছিল ব্লগ কি?তারা কিন্তু ব্লগ কি তা জানেনা।তাহলে কি পরিমান মস্তিষ্ক ধুলাই করে মাদ্রাসার ছাত্রকে খুন করতে উদ্বুধ করা হয়েছে তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?নাকি আপনাদেরও এরকম মস্তিষ্ক ধুলাই হয়ে গেছে যে ব্লগার মানেই নাস্তিক?যদি এমন ধারনা করে থাকেন যে,ব্লগ মানেই নাস্তিক তাহলে আপনার মস্তিষ্কের চিন্তাশক্ত অতটুকুই।কারন বড় হুজুর বলছে ব্লগ-ব্লগার মানেই নাস্তিক।তাহলে আপনাকে আর আমার বা সচেতন মুক্তবুদ্ধি জীবীদের বুঝানোর কোন ক্ষমতা নাই।
নামে বেনামে ব্লগে কত শত লেখক নিজের চিন্তা-চেতনার আঙ্গিকে কতকিছু নিয়ে মন্তব্য আর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে থাকেন। হাজারো লেখকের সারিতে লুকিয়ে থাকেন কত শত মুক্তচিন্তার মুক্তবুদ্ধির মহানায়করা।যে যাই লিখেন না কেন, প্রত্যেকের রয়েছে নিজ নিজ অভিমত। যাই লেখেন না কেন, মানসম্মত,যুক্তিগত লেখায় ভরপুর থাকে লেখনীর মাঝে।যার কারনে মানুষ যখন যুক্তিতর্কে হেরে যায় এবং লেখার জবাব লেখায় না দিতে পেরে আজকাল প্রতিপক্ষকে দ্রমনে ব্যবহার করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র। একের পর এক নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে মুক্তচিন্তক সমাজের প্রগতিশীল তরুন বুদ্ধিবৃত্তিদের।আর এসব খুনের ঘটনা আড়াল করতে খুনীরা কিছু পরিচিত উগ্র জঙ্গী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে থাকছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আর খুনীদের এই ফাঁদে পড়েছি আমরা ও আমাদ্রের রাষ্ট্র-প্রশাসন।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি রাজধানীর পল্লবী থানার পলাশনগরে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে তার মামার বাসা পল্লবীর কালশীতে যাওয়ার সময় পলাশনগরে কুপিয়ে হত্যা করা রাজীব হায়দার ওরফে “থাবা বাবা” নামে শাহবাগে প্রজন্ম চত্বর আন্দোলনের কাণ্ডারিকে।২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির কুপিয়ে জখম করা হয় মুক্ত-মনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা,সৃজনশীল বিজ্ঞান লেখক এবং ব্লগার অভিজিৎ রায় এবং তার স্ত্রী বন্যা রাফিদা কে টিএসসি চত্বরে।কিন্তু প্রানে বন্যা বেঁচে গেলেও ওইদিন রাতেই চিকিৎস্যাদিন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ রায়।৩০ মার্চ ২০১৫ প্রকাশ্যে খুন করা হল ব্লগারকে ঢাকার বেগুনবাড়ি এলাকায় ওয়াশিকুর রহমান বাবু নামের এক বেসরকারি চাকুরে যুবককে।সিলেটের তরুন বিজ্ঞান লেখক ব্যাংকার এবং মুক্ত-মনা ব্লগের লেখক অনন্ত বিজয়কে ২০১৫ সালের ১২ মে একই কায়দায় কুপিয়ে খুন করা হয় সিলেটের সুবিদাবাজারে।আর এই মাসের ২০১৫ সালের ৭ আগস্টে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানের ১৬৭ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় গত শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ব্লগার নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায় ৪ যুবক।
এছাড়া আরো খুন করা হয় ব্লগার মামুন-দ্বীপ,ব্লগার আরিফ রায়হান দ্বীপকে, ব্লগার জগৎজ্যোতি তালুকদার ও ব্লগার জিয়াউদ্দিন জাকারিয়া বাবুকে হত্যা করা হয় এবং হামলায় গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন ৬ ব্লগার। ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনক,ব্লগার সানিউর রহমানক,বুয়েটের ছাত্র তন্ময় আহমেদ এবং গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার রাকিব আল মামুনকে।
উপরে উল্লেখিত সকল লেখক ব্লগাররা কিন্তু ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে আছে মানবতাবিরোধীদের শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের সাথে। দুর্বার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি গোষ্ঠী জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টার ফলশ্রুতিতেই ব্লগ ও ব্লগারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।যারা প্রতিনিয়ত ব্লগ ও ব্লগারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে এবং নাস্তিক ঘোষণা করে ব্লগারদের হত্যার ফরমান জারি করছে তারাও কিন্তু অনলাইন ও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েভপেইজ বা পেইজ খুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ব্লগিং করছে। সেগুলোর মধ্যে থেকে এখানে কয়েকটির নাম উল্লেখ করা যেতে পারে: যেমন- বাঁশের কেল্লা, সোনার বাংলা, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, বাকশাল নিপাত যাক,আই এ্যাম বাংলাদেশী, ইসলামী অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টস,এসো আলোর পথে প্রভৃতি।
এথেকে কিন্তু শুধু অনুমান না বরং ভালো করেই বুঝা যায় যে,ব্লগার হত্যা মুলত নাস্তিকতার জন্য না,খুন করা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী হত্যার বিচারের কিংবা অন্য কোন ফায়দা লোটার জন্য।কারন আজ যারা নাস্তিক তারা কি ২০১৩ সালের আগে নাস্তিক ছিল না?কেন এই ২০১৩ থেকে এই ব্লগারদের খুন করে নাস্তিকতার বিবৃতি দিয়ে তা মানুষের অগোচরে খুন গুলাকে কিছুটা হলেও বৈধতা করছে ধর্মকে ব্যবহার করে?যারা নাস্তিক তারা ২০১৩ সালের আগেও ব্লগে লিখতো ধর্ম নিয়ে এখনো লিখে।কারন বাংলাদেশে ব্লগ নামের প্লাটফর্মের উন্মুচন হইছে ২০০৬ সালে।এই ছয় বছর তারা কেন এই নাস্তিকতা নিয়ে কথা বললো না?আর কেনই তারা শুধু মানবতাবিরোধীদের শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের সাথে যারা জড়িত তাদেরই হত্যা করা হচ্ছে?আর খুন করেই তাদের পিছনে লাগানো নাস্তিক ব্লগার ট্যাগ দিয়ে বর্তমানে যদিও মানুষের কাছে অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছে তবে এই প্রাধান্য উন্মুচন হতে বেশী সময় লাগবেনা।কারন গ্রাম বাংলায় একটা কথা প্রচলন আছে আপনারা হয়তো জানেন যে,”চোরের দশ দিন আর সাবুদের একদিন।”কারন বেশি বেড়ে গেলে এর পতনটাও খুব বেশি তারাতারি হয়ে যায়।
আর বেশি কথা বলতে চাইনা,তবে আপনাদের মতামতের আশায় থাকব যে আপনাদের ধারনা কি এই ব্লগার হত্যায়?
ব্লগিং আমাদের অধিকার,আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা।তোমরা আমাকে ভয় দেখিয়ে হত্যা বা দমিয়ে দিতে পারবা কিন্তু জীবিত মস্তিষ্ককে না।আর যারা অন্যের চিন্তা-শক্তিকে হত্যা করে বা করতে চায় তারা আসলে ভীতু কা-পুরুষ।-ধন্যবাদ
টাইটেল মডারেটেড
side effects of drinking alcohol on accutane
about cialis tablets
কোলাহল

যখন বলেছেনঃ মে ৩১, ২০২২ 
যখন বলেছেনঃ এপ্রি ২৯, ২০২২ can you tan after accutane 
যখন বলেছেনঃ ফেব্রু ২৪, ২০২২ accutane prices
যখন বলেছেনঃ জানু ২৫, ২০২২ 
যখন বলেছেনঃ জানু ১৬, ২০২২ ovulate twice on clomid
glyburide metformin 2.5 500mg tabsযখন বলেছেনঃ ডিসে ১৯, ২০২১ 
যখন বলেছেনঃ ডিসে ১৯, ২০২১ renal scan mag3 with lasix 
যখন বলেছেনঃ নভে ২৩, ২০২১
wirkung viagra oder cialisMkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas
Ask2ans @ যুদ্ধ সাংবাদিকতা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
ABU RAYHAN @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা