আমাদের ভবিষ্যৎ – কালের আয়নায় প্রতিবিম্ব।
বার পঠিতআমরা কবিতা লেখি, গান গাই, সাহিত্য রচনা করি, প্রেমিক/প্রেমিকাকে প্রেম নিবেদনও করি। শেষটা বাদে সব কিছুই বাংলায় চলে। আগের দিস্তা-দিস্তা কাগজ, খুচরো ডায়েরি, আর্ট পেপার আজ কিবোর্ডের দখলে। আমরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত থাকছি – ফেইসবুক,টুইটার,ইন্সটাগ্রাম, ভাইভার,ট্যাঙ্গ,মেজেঞ্জার,এডাল্ট সাইট আরো কত কী!
বিজয় আর অভ্র (এন্ড্রয়েডে রেডমিক) আমাকে আপনাকে বাংলা লিখতে সাহায্য করছে না বলে দিচ্ছে বললে ভালো হয়। আমরা সাহিত্যিক হয়ে যাচ্ছি রাতারাতি, নাট্যকার হয়ে যাচ্ছি ঘন্টা পেরোনোর আগেই, অদ্ভুত আমাদের স্বভাব। একটা প্রেমপত্র লিখেই ছাড়পত্রে কি ভুল তা বের করা শুরু করি। all possible side effects of prednisone
।।২।।
২০১৩ সালে গনজাগরণ মঞ্চের যাত্রা শুরু হলে ব্লগার বিরোধীদের চেহারা দেখা যায়। যদি আমি ভুল না করি তবে সত্য ২০০০ সালের দিকেই বাংলা ব্লগিং এর যাত্রা শুরু (তার আগেও হতে পারে)। ইংরেজি ভাষার ব্লগ অনেক, অনেক ব্লগার আছেন ইংরেজির সাথে সংসার করার পরেও মাতৃভাষায় ফিরে এসেছেন। আজ বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ ব্লগ শব্দটি চেনে। কিন্তু ব্লগ কি তা ৫% ও জানে কিনা সন্দেহ! আর ২০১৩ সালের আগে ব্লগ শব্দটার সাথে দেশের ১০% লোক পরিচিত ছিল বলে আমার মনে হয় না।
২০১৩ সালে ব্লগাররা কি ক্ষতি বা লাভ করেছিল দেশের যা আগের এক যুগেও করতে পারেনি?
আরো একটা লাভ হয়েছে যত্রতত্র ব্লগ খোলা হচ্ছে – কখনো দেশ, কখনো জাতী, কখনো বর্ণ, কখনো গোত্র, কখনোবা একজন মাত্র মানুষকে তার স্বত্তাকে হেয় করার জন্য। সভ্যতার লক্ষ্য সর্বদা অমিমাংসিত! সত্যি অসম্ভব সুন্দর আমাদের দেশীয় অন্তর্জাল জগত – নারী দেহ সস্তা, শ্লীলতা শব্দটি ধর্ম কভারে ঢাকা পুস্তকাদিতেই সিমাবদ্ধ, নেশার অহরহ ছড়াছড়ি। দেশ গেল, জাত গেল, সব গেল বলে নেশায় ডুব দেই। প্রেমে ব্যার্থ হলে হয় আত্মহত্যা করি নয় নেশা করি (পুনর্বার একাধিক প্রেমে জড়ানো আমার কাছে নেশাই)। এই যা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে গেছে – আমরা সব করি বাংলাভাষায়, বঙ্গীয় একটা রীতি আমাদের মধ্যে । কিন্তু বিভিন্ন ব্লগ, ফেইসবুক পোস্ট, নোট ইত্যাদি পড়লে আমার মত একজন সাধারন ছাত্রের চোখেই ধরা পরে হাজারো ভুল বানান, ভুল শব্দচয়ন, ভুল বাক্য বিন্যাস। আমাদের লক্ষ্যটা আসলে কি?
এ ভুল বানান আমাদের কি শিক্ষা দেয়। আমরা ইতিহাস পড়ি না, পড়ি স্বনির্বাচিত জয়গাথা। বঙ্গীয় ভূখন্ডের ইতিহাস ক’জন জানেন। আমরা রবীন্দ্রনাথ-নজরুল না পড়েই তাদেরকে বিখ্যাত করে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তব্য দেই, শেষে কেউ বুদ্ধদেব বসুর নাম বললে বলি ইনি আবার কে? আমাদের স্ববিরোধীতার কোন অন্ত নেই। আমরা দু-চার লাইন ইংরেজি বলতে পারলেই ইংরেজি বক্তা হয়েযাই, মাইক্রোফোন মুখের সামনে পেলে ভুলে যাই যাদের উদ্দেশ্যে বলছি তাদের মধ্যে আমার থেকেও ভালো কেউ জানতেই পারেন। তবু আমাদের সমাজ অগ্রসর হচ্ছে। প্রায় সাত আট বছর আগে ইসকনের তৎকালীন মহাপরিচালক কৃষ্ণকীর্তন দাস ব্রহ্মচারী বলেছিলেন “মাতৃগর্ভে জন্ম নিয়ে সময়ের সাথে বড় হয়েছিলেন রামচন্দ্র আর রাবনও! কিন্তু রামচন্দ্রকে পূজ্য আর রাবনকে ত্যাজ্য গন্য করা হয়।” আমাদের ভবিষ্যৎ তাহলে কী?
অপার্থিব বলছেনঃ
লেখাটায় এক সঙ্গে অনেক প্রসঙ্গ (যেমন বাংলা ব্লগ আন্দোলনের ব্যর্থতা , অনলাইনে বাংলা লেখায় বানান ভুল, সমাজে ক্রম বর্ধমান সেলফ প্রমোশনাল একটিভিটি) এসেছে কিন্ত কোনটারই ভাল বিশ্লেষন হয় নি। যাই হোক বাংলা বানান প্রসঙ্গে যা বলেছেন তার সঙ্গে একমত। আমি নিজেও অনেক বানান ভুল করি। আশা করি সবাই এক্ষেত্রে সতর্ক হবে।
শশী প্রসাদ শীল বলছেনঃ
আমি আসলে বিশ্লেষণের জন্য লেখি নি, আমার লক্ষ্য ছিল বানান ভূল করা নিয়ে। সত্যি খারাপ লাগে যখন আমারই সহপাঠী বলে বানানে কি যায় আসে। সে দৃষ্টি কোন থেকে লেখা এটি , কিন্তু সমকালীনতার দরুন বিবিধ প্রসঙ্গ চলে এসেছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।