কেন খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবো?
293
বার পঠিতআমার এক আত্মীয় আছেন খুব নিরীহ ধরনের, কারোর সাতেও নাই পাঁচেও নাই, দুনিয়ার কারো ব্যাপারে মাথাব্যাথা নাই, নিজের মত করে খুব সহজ-সরল জীবনযাপন করেন। ভোটের সময় ইসলামী দল হিসেবে জামায়াতকে ভোটটা দিয়ে আসেন,রাজাকারের ফাঁসি চাইলে বিরক্ত হন,কসাই কাদেরের ঝুলে যাওয়ার ব্রেকিং নিউজ দেখে “ইসলামের কাণ্ডারি নিরীহ বৃদ্ধ মানুষগুলাকে নাস্তেক জালেম হাসিনা সরকার ফাঁসি দিয়ে দিতেছে দেশটারে হিন্দুস্থান বানানোর জন্য”এই বলে কিছুক্ষন হা-হুতাশ করেন, তারপরে আবার সব ভুলে যান।
আপাতদৃষ্টিতে খুব সাধারন তার এ জীবনযাপনে একমাত্র উত্তেজনা দেখা দেয় বাংলাদেশের খেলার সময়, এগারোটা লাল-সবুজ টাইগারকে মাঠে দেখলেই তার মেজাজ খিঁচড়ে যায়,//”বাঙ্গালী তো আজকেও পোঙ্গামারা খাবে, বুঝলা? ; ছাগলের বাচ্চাগুলা খেলা পারে না, আসছে খেলতে;পাকিস্তানের প্লেয়ারগুলা কি উঁচা-লম্বা, কি ফর্সা,বডি ফিটনেস দেখলেই চোখ জুড়ায়ে যায়, আর আমাদের বাঙ্গালী? ; শালার মুশফাকির না কি যেন একটা আছে না…বাইট্টা…টাইনাটুইনা দুই ফুটও হইব না,লাগে জানি ইন্দুরের বাচ্চা, বলের নাগাল পায় না হুদাই তিড়িংবিরিং ফালাফালি… এইগুলারে ক্রিকেট খেলতে দেওয়ার মানে কি?”// প্রত্যেকবার খেলা চলাকালীন কোন কারন ছাড়াই নন-স্টপ এইভাবে ধারাভাষ্য দিয়ে যান ওই আত্মীয়, মাঝে মাঝে মাথায় রক্ত উঠে যায়,খুব অবাক হয়ে তাকায়া থাকি, এতোটা ঘৃণা আসে কোথেক্কে একটা মানুষের?
দুদিন আগে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়ার পর কিছু ডাই-হার্ড টাইগার ফ্যানদের মুখের উপরের চামড়াটা হঠাৎ ভোজবাজির মত উঠে যেতে দেখলাম।নিচে দেখি আরেক চেহারা, সেই চেহারায় তারা জোর গলায় বলছেন, “আগেই কইছিলাম, বাঙ্গালী খেলতে পারে না, হইল তো এখন… ঝড়েবকে তো আর ডেইলি ম্যাচ জিতা যায় না”… অবাক লাগলো এদের কথা শুনে। আরেকপক্ষকে পেলাম যারা বেশ ভদ্রভাবে খেলার সাথে রাজনীতি মেশানো মানুষদের পেটাতে চাইছেন।এদের মতে, এইসব জঘন্য লেভেলের খেলোয়াড়দের খেলার সাথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস টেনে আনা নিতান্তই মুর্খামি, এতে নাকি মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা হচ্ছে, এতে নাকি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তাদের হঠাৎ জেগে ওঠা এই ভালোবাসা দেখে জাস্ট স্পীচলেস হয়ে গেলাম… পাকিস্তানের সাথে খেলার সময় এদের এই ভালোবাসা কোথায় ছিল?
অন্য কারোর কথা জানি না, আমি খেলার সাথে মুক্তিযুদ্ধ মেশাই খুব সিম্পল একটা কারনে।ক্রিকেটাররা মুক্তিযোদ্ধা না, মাশরাফির সাথে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের তুলনা চলে না, ক্রিকেট ম্যাচ মুক্তিযুদ্ধ না— এই তিনটা লাইনই ধ্রুবসত্য। কিন্তু তারপরেও ক্রিকেটের সাথে মুক্তিযুদ্ধ চলে আসে। লাল-সবুজ রঙদুটো সর্বাঙ্গে জড়িয়ে যখন ১১টা টাইগার মাঠে নামে, তখন ৪৪ বছর আগের সেই রক্তাক্ত জন্মইতিহাস ফিরে ফিরে আসে। কেন জানেন?
কারন সেই অদ্ভুত সময়ের অসম্ভব এক যুদ্ধে ১৭ বছরের যে ছেলেটা এক বুক অসমসাহস নিয়ে অস্ত্র হাতে বিনা দ্বিধায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল… কারন ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও যে গেরস্থ পরম মমতায় অজানা অচেনা মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ির বড় মুরগিটা জবাই করে গরম ভাত খাইয়েছে, নিজের দুইটা লুঙ্গির একটা দিয়ে দিয়েছে যদি দরকার হয়,দরজায় হঠাৎ মিলিটারির করাঘাতে পেছনের দরজা দিয়ে ছেলেগুলোকে বের করে দিয়েছে, তারপর মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেবার অপরাধে ব্রাশফায়ারে মরবার আগে চোখের সামনে নিজের ষোড়শী মেয়েটাকে খুবলে খেতে দেখেছে পাকিস্তানি শুয়োরদের, তবুও তার শেষ উচ্চারনটা ছিল ”জয় বাঙলা”… কারন পাকিস্তানীদের ভয়ংকর আক্রমণের মুখে যে তরুন সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে একলাই হেক্টরের মত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্টেনগানটা হাতে, ঝাঁজরা বুকে মরে যাওয়ার আগে যার ঠোঁটের কোনায় ফুটে উঠেছিল এক টুকরো স্বাধীন হাসি…কারন নাম না জানা এক গ্রামের খুব সাধারণ এক বাড়িতে খড়ের গাঁদায় লুকিয়ে রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে যে মা পাকিস্তানী শুয়োরগুলোর দিকে এগিয়ে দিয়েছিল তার মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে, মিলিটারি চলে যাবার পর আদরের ধনের ঝাঁজরা হয়ে দেহটা খুব শক্ত করে বুকে জড়িয়ে যে মা কাঁদতে ভুলে গিয়েছিল… কারন নিজের মা আর বোনকে ধর্ষণের পর বেয়নেট দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলতে দেখে নির্বাক হয়ে গিয়েছিল ১০ বছরের যে ছোট্ট ছেলেটা… কারন বদরাগী যে ক্রীড়া সাংবাদিক রেগে আগুন হয়ে যেত পাঞ্জাবীরা “মছুয়া বাঙ্গালি আর কি ক্রিকেট খেলবে” বলে হাসিঠাট্টা করলে, গলার রগ ফুলিয়ে চিৎকার করতো, বলতো,”দেখে নিস, একদিন আমরা তোদের বলে কয়ে হারাবো”… কারন রাজপুত্রের মত একটা ছেলে পাকিস্তান ভেঙ্গে দেবে বলে ব্যাটটা ফেলে স্টেনগান হাতে তুলে নিয়েছিল, স্বাধীন বাংলাদেশের হয়ে ক্যাপ্টেন হবে, ওপেনিংয়ে নামবে বলে যে ছেলেটা গুলি চালাতো, পাকিস্তানীদের বুলেটে আঙ্গুল তিনটা ঝাঁজরা হয়ে যাবার পরেও যে ছেলেটা হাসতে হাসতে বলেছিল, “এক হাতেই ব্যাট করুম চিন্তা করতেছি”, যে ছেলেটা হারিয়ে গিয়েছিল খুব নীরবে, স্বাধীন বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং করার স্বপ্নটা যার স্বপ্নই রয়ে গিয়েছিল…
কারন এই মানুষগুলো নিজেদের সবকিছুর বিনিময়ে একটা স্বাধীন দেশ চেয়েছিল, লাল-সবুজ পতাকাটা বুকে জড়িয়ে একটা স্বাধীন জমিনে চিৎকার করে “জয়বাঙলা” বলতে চেয়েছিল মানুষগুলো, পৃথিবীকে দেখাতে চেয়েছিল, বাঙ্গালীরা কেবল পায়ের তলে পড়ে পড়ে মার খায় না, বারবার হেরে যায় না, বাঙ্গালীরাও জিততে পারে, বাঙ্গালীরাও পারে… মানুষগুলো নিজেদের জীবনটা উৎসর্গ করেছিল স্রেফ এই একটা কারনে… জাস্ট একটা কারনে।
তাই আজকে যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বের সেরা সাতটা দেশের একটা হয়ে মাঠে নামে, তখন সেইসব শহীদেরা ফিরে আসে; অসম্ভব আনন্দের আভায় চকচক করে তাদের চেহারা,বাবার ঘাড়ে করে খেলা দেখতে আসা কপালে প্রকাণ্ড এক বুলেটের গর্ত নিয়ে ছোট্ট রায়হান অবাক গলায় তার বাবাকে বলে, বাবা,আজকে কি আমার দেশ খেলছে?ঝাঁজরা বুকে হাসি হাসি গলায় তার বাবা বলে,”হ্যাঁ বাবা,আজকে তোমার দেশ খেলছে,আমাদের বাংলাদেশ খেলছে… ছোট্ট ছেলেটার বিস্ময়মাখা আনন্দ আকাশ ছোঁয়… ছোবারই কথা, স্রেফ “জয় বাঙলা” বলার অপরাধে তাকে মেরে ফেলেছিল পাকিস্তানী শুয়োরগুলো… স্রেফ একটা স্বাধীন দেশ চাইবার অপরাধে… আজকে যখন সেই দেশটাকে মাথা উঁচু করে খেলতে দেখে অসম্ভব আনন্দে তার মুখ ঝলমল করতে থাকে। তাদের বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ কিনতে ৩০ লাখ মানুষ অকাতরে তাদের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে করে খেলতে নেমেছে… কি আনন্দ, কি আনন্দ…
গ্যালারীতে বান ডাকে, লাখো মানুষের ভিড়ে গ্যালারিগুলো পরিনত হয় জনসমুদ্রে… সবাই আসে…ছেলেবুড়ো…তরুনযুবা… সবাই… চিৎকার করে সমর্থন দিতে থাকে বাংলাদেশকে… মৃত্যুর এপাড় ওপাড় সব একাকার হয়ে যায়।তারপর এত অসংখ্য মানুষের সমর্থনে খেলা শুরু হয়, ক্রিকেটে একেবারে নবীন দল হিসেবে প্রথম প্রথম ম্যাচের পর ম্যাচ হেরে যেতে থাকে বাংলাদেশ, একবুক আনন্দ আর আশা নিয়ে খেলা দেখতে আসা লাখো মৃত্যুর এপারের মানুষগুলোর মতই হতাশ হয় ওপাড়ের মানুষগুলো, কেউ কাঁদে, কারোর বুক চিড়ে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস, তবুও পরের ম্যাচে ঠিক ঠিক গ্যালারী জনসমুদ্র হয়ে যায়।পাকিস্তানের সাথে ম্যাচে আফ্রিদির ছয়ে “ম্যারি মি,আফ্রিদি” প্ল্যাকার্ড দোলানো কোন এক আপুকে দেখে খুব নীরবে চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসে তারই পাশে বসা আরেকটা কিশোরীর,একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে, একাত্তরে কিশোরীটাকে কয়েকশো পাকিশুয়োর ধর্ষণ করেছিল,ছোট্ট যোনীর ভেতর বেয়নেট ঢুকিয়ে টান দিয়ে ছিঁড়ে দু টুকরো করে ফেলেছিল শরীরটা।আপুটা অবশ্য সেটা টের পায় না, টের পায় দু বল পর যখন আফ্রিদি বোল্ড হয়ে যায়, কেউ যেন একজন গলার রগ ফুলিয়ে চিৎকার করে উঠলো আনন্দে, একটা বাচ্চা মেয়ের গলা… অবাক হয়ে পাশে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পায় না আপুটা, মনটা কিন্তু তার খচখচ করতেই থাকে… খুব ভালো করে তাকালে হয়তো সে দেখতে পেত একটা কিশোরীকে, দু পায়ের ফাঁক দিয়ে রক্ত ঝরছে তখনো, সারা শরীরে লাল-সবুজ পতাকা জড়ানো, চিৎকার করছে “বাংলাদেশ-বাংলাদেশ” বলে, গলার রগ ফুলিয়ে…
তবুও একসময় ম্যাচটা হেরে যায় বাংলাদেশ… হারতে হারতে একেবারে তলানিতে চলে যায় আত্মবিশ্বাস,লাখো জনতা তখনো থাকে,তবে খেলতে নামার আগে সম্মানজনক হারের আশা নিয়ে… ভয়ংকর সে দুঃসময় ফুঁড়ে হঠাৎ একদিন এক নতুন ভোরের আলো ধাধিয়ে দেয় চোখ,তামিমের বারবার মিসটাইমিং হওয়া শটটা এইবার ঠিক ঠিক লেগে যায়, একেবারে ব্যাটের মাঝবরাবর… রচিত হয় ইতিহাস,বারবার হেরেও মনোবল না হারানো জুয়েল-বদি-বকর অমিতগর্জনে ছিনিয়ে আনে জয়, তামিম-সানি-মুস্তাফিজের উপর ভর করে। না, বারবার হেরে গিয়েও তারা হাল ছাড়েনি, আশা হারায়নি, নতুন উদ্যমে ফিরে এসেছে বারবার, সমালোচনাকে অস্ত্র বানিয়েছে, তারপর অবিকল ইয়াহিয়া খানের মত দেখতে পাকিস্তানী অভিষিক্ত বোলার ইমরান খানকে ছুড়ে ফেলেছে গ্যালারীর বাইরে… ছক্কা!!
একাত্তরটা তো এমনই ছিল। কত অত্যাচার, নির্যাতন-যন্ত্রণা-কষ্ট সয়েও মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছি আমরা, আধমরা হয়েও প্রবল প্রতাপে গর্জন করতে করতে ফিরে এসেছি সুবেদার বেলায়েতের মত, তারপর স্টীম রোলারের মত পিষে ফেলেছি পাকিস্তানকে… লাল -সবুজের একটা স্বাধীন বাংলাদেশ যারা এত রক্ত আর কাদার স্রোত পেরিয়ে ছিনিয়ে এনেছে, তারা সামান্য ক্রিকেটকে বশ করতে পারবে না?
এই কারনে আমি খেলার সাথে মুক্তিযুদ্ধ মেশাই। মাঠে খেলে যে ১১জন, অবশ্যই তাদের ব্যক্তিগত স্কিলেই খেলা জিতি আমরা, কিন্তু মাঠে তাদের ভেতরে সবসময় সর্বক্ষণ একাত্তরের শহীদেরা থাকে… জয়-পরাজয় সকল ক্ষেত্রে… যে বাংলাদেশের জন্য সবটুকু ত্যাগ করলো যারা, সেই বাংলাদেশের খেলার সময় তারা আসবে না, এটা কি হয়? metformin tablet
আমার আত্মীয় বোধহয় জানেন না, টাইগারদের সহ্য করতে না পারা তার দোষ নয়। শত হলেও একজন পাকিস্তানীর পক্ষে তো মছুয়া বাঙ্গালীর থাপ্পড় সহ্য করতে পারার কথা না, তাই না?
আরাফ কাশেমী বলছেনঃ
আমি খেলার সাথে নয় শুধু জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেখানে পাকিস্তান আছে সেখানেই রাজনীতি মেশাবো কার বাপের কি,আমি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ৩০ লক্ষ বাঙালি হত্যার প্রতিশোধ নেবার অপেক্ষায় থাকবো
Kashfiya Tinni বলছেনঃ
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা অনেক কঠিন। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাপোর্টার না। একজন সাধারণ আম জনতা। দেশের জন্যে কাজ করি। সাংবাদিকতা। দেশকে কতোটুকু ভালোবাসি সেই তর্কে কখনো জড়াইনি। তবে,খেলার আগে জাতীয় সংগীত বাজলে অফিসের আর কেউ না দাড়ালে আমি দাড়াই। কেবল নিজের দেশ নয় বিপক্ষ দলের জাতীয় সংগীতের সময়ও দাড়িয়ে থাকি। তবে, মানুষকে নিয়ে কাজ করায় খুব কাজ থেকে মানুষকে চিনি। আর সেই বাঘের কথা আপনি বললেন তাদেরও খুব কাছ থেকে চেনার সৌভাগ্য বলেন আর দুরভাগ্য বলেন আমার হয়েছে। তবে আগে পাক হানাদার কাহিনীরা আমাদের মা বোনকে ধর্ষন করে গেছে আর এখন স্বধীন দেশের স্বাধীন নাগরিকরা করে। যেই দেশে প্রধান বিরোধী দল এবং সরকার পক্ষ দুজনই নারী সেদেশে পহেলা বৈশাখের সেই জঘন্যতম ঘটনার বিচার হয়না। আর সুশীল সমাজের মানূষ তখন ৭১ এর ধর্ষনের কাহিনী শুনছে আর শুনাচ্ছে। আর বাঘেরা নীরবে নিভৃত্যে যে কত মেয়েদের জীবন নষ্ট করছে তার হিসেবে আমরা জেনেও যে চুপ রই। কারণ তারা যে দেশের হিরো। তাদের জন্য সাত খুন মাপ। যেই ক্রিকেটার তার বোনের ছবি ফেসবুকে আপলোড করায় তারই ফ্যানদের করা মন্তেব্যে বিস্মিত তারই মুখের ভাষা আর চরিত্র বর্ননা করার যোগ্য নয়। তাই বলতেই হয় আবার তোরা মানুষ হ !!!