A Beautiful Mind– অন্তর্মুখী এক দানব কিংবা শ্বাশত ভালোবাসার গল্প…
332
বার পঠিত১৯৪৭ সাল। Princeton University এর গনিতশাস্ত্রের নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গনিত বিভাগের চেয়ারম্যান যখন প্রেরনাদায়ী বক্তব্য রাখছিলেন তাদের জন মোর্স কিংবা আলবার্ট আইনস্টাইন হবার আহ্বান জানাচ্ছিলেন, তিনি হয়তোবা জানতেনও না, হলরুমের এক কোনায় চুপচাপ বসে থাকা সোনালি চুলো ছেলেটা একদিন সবাইকে চমকে দেবে, বিস্ময়ে করবে বাকহারা। আসলে কেই বা ভাবতে পেরেছিল? সবার কাছ থেকে আলাদা একলা চুপচাপ থাকা John Nash এর গনিতশাস্ত্রের সম্মানজনক বৃত্তি Carnegie Scholarship পাওয়াটাই ছিল এক অদ্ভুত বিস্ময়।কেননা একই স্কলারশিপ পাওয়া Martin Hansen ততদিনে মোটামুটি একজন বিখ্যাত মানুষ। নাজি সাইফার আর নন-লিনিয়ার ইকুয়েশনের উপর দু দুটো থিওরি আবিস্কার করে হ্যানসেন তখন লাইমলাইটে। সে তুলনায় জন ন্যাশ পুরোপুরি অপরিচিত। তারউপর যখন সে হ্যানসেনের বন্ধুদের সাথে আড্ডায় হ্যানসেনের থিউরি দুটোকে সৃজনশীলতার অভাবে অপরিপক্ক মতবাদ বলে চিহ্নিত করল, তখন তার বন্ধুরা তো হতবাক। কে এই জন ন্যাশ?
মজার ব্যাপারটা হল জন ন্যাশ যে আসলে কে, সেটা সে নিজেও বোঝার চেষ্টা করছে। তার তো কোন থিওরিও নেই। অন্যের থিওরিকে বাখোয়াজ বলল, ভালো কথা, কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, সে নিজে কি করেছে? জন ন্যাশ একটা নতুন থিওরি আবিস্কারের চেষ্টায় প্রতিটা মুহূর্ত অঙ্ক নিয়ে চিন্তা করছে। সে চিন্তা এতটাই গভীর ও বিস্তৃত যে, তার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কিংবা শিক্ষকদের লেকচার স্রেফ সময়নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। কারন সে চাইছে গনিতের প্রায় অচর্চিত এক শাখায় পুরোপুরি মৌলিক কিছু কাজ করতে,প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে যার কাছাকাছিও যাওয়া সম্ভব নয়। ক্লাস নিয়ে জনের বক্তব্য হল…
Class will Dull Your Mind,Destroy the Potential for authentic Creativity.
সুতরাং জনকে এরপর থেকে দেখা যেতে লাগলো লনে কবুতরের চরে বেড়ানোকে একটা অ্যালগোরিদমের মাঝে ফেলার চেষ্টা করতে, লাইব্রেরির জানালার সামনে বসে জানালার কাচকে বোর্ড বানিয়ে সমীকরণ তৈরি করতে। প্রায় দুদিন পর ন্যাশের রুমমেট চার্লস হ্যানসেন যখন ওকে জানালার নিচে খুঁজে পেল, তখনও জন আপনমনে তার জানালাশিল্পকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। জনকে ওখান থেকে উদ্ধার করে বারে নিয়ে এল তার রুমমেট। আর সেখানেই ঘটল এক মজার ঘটনা। দিনের পর দিন জন ন্যাশ বহু চিন্তা করেও গভারনিং ডাইনামিক্সের যে মতবাদটা মৌলিকভাবে দাড় করাতে পারছিল না, সেটা অদ্ভুত বৈচিত্র্যে তার কাছে ধরা দিল এক লাস্যময়ী রূপসীর মদির আহ্বানে। তবে এতো বড় একটা আবিস্কারের মূল্য হিসেবে কষে একটা থাপ্পড় খুব বড় কোন ব্যাপার না। জনও খুশি মনে মেনে নিল। সৃষ্টি হল অর্থনীতি ও গনিতশাস্ত্রের ১৫০ বছরের চিন্তাভাবনাকে উল্টে দেয়া এক অভূতপূর্ব থিওরি,governing dynamics এর থিওরি। জন তার দুই বন্ধু সল ও বেনডারের সাথে জয়েন করল এমাআইটি’র হুইলার ল্যাবে।
will i gain or lose weight on zoloft
৫ বছর পর পেনটাগণ থেকে এক জরুরি কল পেয়ে ন্যাশ উপস্থিত হল এবং অভাবিত দক্ষতায় রাশিয়ার তৈরি এক টেলিকমুনিকেশন কোড ডিসাইফার করল। তার কোড ব্রেক করার অভাবিত দক্ষতা মুগ্ধ করল আরেকজনকে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিপার্টমেনট অফ ডিফেন্স এর সেই রহস্যময় কর্মকর্তা William Parcher তাকে অফার করল এক খুবই গোপনীয় মিশন। আমেরিকার বিরুদ্ধে রাশিয়ান এ চক্রান্ত চলছে খুব গোপনে। ন্যাশের কাজ হল ম্যাগাজিন আর নিউজপেপারে প্রতিদিন প্রকাশিত হওয়া খবরের মাঝে রাশিয়ান এজেন্টদের জন্য থাকা কোডগুলো ব্রেক করা আর মেইলবক্সে তা পারচারকে মেইল করা। দেশের প্রতি অসীম ভালোবাসা এবং কোডব্রেকিংএ আগ্রহ ন্যাশকে করে তুলল এক নিবিষ্ট মনোযোগী কোডব্রেকার। যা একপর্যায়ে ছাড়িয়ে গেলো সব মাত্রা, চিরায়ত বাস্তবতা থেকে ন্যাশকে নিয়ে গেলো বহুদূরে। এমনকি প্রানের প্রিয় স্ত্রী ও সন্তান, তারাও একপর্যায়ে ন্যাশের কাছে হয়ে গেলো গৌণ। কিন্তু ন্যাশ কি জানতো, সে যে পৃথিবীতে বাস করে, সে পৃথিবী তার কতটা অপরিচিত? সে কি জানতো গনিতের প্রতি অকল্পনীয় ভালোবাসায় সে যে পৃথিবী তৈরি করেছে, তা আসলে পুরোটাই এক নিষ্ঠুর পরিহাস, মনের গভীরে বাস করা খুব ভয়াবহ এক দানবের অভাবিত এক পরিহাস। যে পরিহাস তাকে দাড় করিয়ে দেয় বাস্তব আর তার জগতের মাঝে পার্থক্য গড়ে দেয়া খুব অবিশ্বাস্য এক সত্যের সামনে। যে সত্য এতটাই কঠিন যে, সেটা মানতে গেলে আঘাত আসে নিজের অস্তিতে, শেকড়ে, বিশ্বাসে, ভালবাসায়। একমাত্র ভালবাসার মানুষ প্রানপ্রিয়া স্ত্রীর অকৃত্তিম ভালবাসায় পৃথিবীর অন্যতম সেরা গনিতবিদ জন ন্যাশ কি পারবেন মনের গভীরে বাস করা সেই অভাবিত দানবকে পরাজিত করতে?? তাকে কি আসলেই পরাজিত করা যায়???
Sylvia Nasar এর “A Beautiful Mind” উপন্যাস অবলম্বনে Akiva Goldsman এর চিত্রনাট্যে এবং Ron Howard এর পরিচালনায় আমেরিকান অটোবায়োগ্রাফি ফিল্ম A Beautiful Mind মুভিটি মুক্তি পায় ২০০১ সালে। অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী John Nash এর জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর নির্মিত এই মুভিটি পৃথিবীব্যাপী তোলে এক বিশাল আলোড়ন। শুধু Schizophrenia এর মত একটা ভয়াবহ রোগের উপর চমৎকার চিত্রায়নের জন্যই নয়, মুভিটি অভিনয়, স্ক্রিন প্লে, অরিজিনাল স্কোর ইত্যাদি কারনেও চিহ্নিত হয়ে আছে এক অভূতপূর্ব মাস্টারপিস হিসেবে। মূল চরিত্রে Bruce Willis, Kevin Costner, John Travolta, Tom Cruise, John Cusack, Charlie Sheen, Robert Downey, Jr., Nicolas Cage, Johnny Depp, Ralph Fiennes, Jared Leto, Brad Pitt, Alec Baldwin, Mel Gibson, Sean Penn, Guy Pearce, Matthew Broderick, Gary Oldman, Keanu Reeves দের মত বাঘা বাঘা নায়কদের পিছনে ফেলে পরিচালক গ্ল্যাডিয়েটরের পারফরমেন্স দেখে নির্বাচিত করেন রাসেল ক্রোকে। তিনি যে ১১০% সঠিক ছিলেন, তার প্রমান জন ন্যাশের চরিত্রে ক্রো’র অতি অনবদ্য অভিনয়। কিন্তু যার কথা বলাই হয়নি, সেই Jennifer Connelly ছিলেন এই মুভির সবচেয়ে সারপ্রাইজ কাস্ট। Portia de Rossi, Catherine McCormack, Meg Ryan, Rachel Griffiths এবং Amanda Peet এর মত গ্লামারাস অভিনেত্রীদের পিছনে ফেলে পরিচালক কেন জেনিফারকে কাস্ট করেছিলেন, তা অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই অসাম বিউটি Best Supporting Actress ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতে।
ফিল্ম ক্রিটিক এবং দর্শকদের মুগ্ধ দৃষ্টিতে এক অভূতপূর্ব চলচ্চিত্র হিসেবেই খ্যাত “A Beautiful Mind” । সুবিখ্যাত ফিল্ম ক্রিটিক রজার এবারট এর কাছ থেকে ৪/৪ পাওয়া এই মাস্টারপিস রটেনে পেয়েছে ৭৭% দর্শক রেটিং । রজার এই মুভির ব্যাপারে তার রিভিউতে বলেছিলেন…
The movies have a way of pushing mental illness into corners. It is grotesque, sensational, cute, funny, willful, tragic or perverse. Here it is simply a disease, which renders life almost but not quite impossible for Nash and his wife, before he becomes one of the lucky ones to pull out of the downward spiral.
জন ন্যাশ সম্পর্কে রজার বলেন…
He Saw the World in a Way no one Could have ever Imagined
এই মুভিটা নিয়ে আমার কিছু ব্যক্তিগত আবেগ আছে। আমি লাইফে যতগুলো মুভি দেখে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থেকেছি, তার মধ্যে এই মুভিটা অন্যতম। রাসেল ক্রো’র স্পিচলেস অভিনয় দেখে যেমন মুগ্ধ বিস্ময়ে তাকিয়ে থেকেছি, ঠিক তেমনি জেনিফার কলোনির অভিনয়ের অভূতপূর্ব আবেগে হয়েছি সিক্ত, বিস্মিত, বিমোহিত… ভালবাসার মানুষকে এক ভয়াবহ দানবের গ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য দাঁতে দাঁত চেপে তার লড়াই দেখেছি এক অদ্ভুত বিস্ময়মাখা চোখে। ভালবাসার শক্তি যে আসলে কতটা অকল্পনীয় হতে পারে, সেটা জেনিফারকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। মুভিটার শেষ দিকে এক অদ্ভুত ভাললাগায় ভরে যায় মন, এক প্রশান্তিমাখা ভালবাসার পরশে দর্শকহৃদয় হয় পরিপূর্ণ… private dermatologist london accutane
সব মিলিয়ে আ বিউটিফুল মাইন্ড আপনাকে দেখাবে কিভাবে এক অদ্ভুত দানব গ্রাস করতে পারে একটা মানুষের নিজের হাতে গড়া ভালবাসার পৃথিবী। কিন্তু আপনি যদি ওখানেই থেমে যান, ভাবেন এটাই বোধহয় নিয়তি, তবে আপনি ভুল করবেন, বঞ্চিত হবেন এক অভূতপূর্ব ভালোবাসার চিত্রকল্প থেকে। ভালবাসার শক্তি যে বড়ই অদ্ভুত, কোন দানবের চোখরাঙ্গানিতে সে ভয় পায় না, কেননা সবকিছুর পরও ভালবাসাই সত্য, ভালবাসাই শাশ্বত…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমি ছবিও দেখলাম John Nash ও মারা গেল…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমি শনিবারই দেখেছি…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
zithromax azithromycin 250 mgতুই কুফা পুটুন
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আহ!!!!
মিনহাজ শিবলী বলছেনঃ capital coast resort and spa hotel cipro
বহুবার দেখেছি। আবারও দেখব, আবারও প্রতিবারের মতই মন থেকে বেরিয়ে আসবে “বাহ, অসাধারণ”
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আসলেই অসাধারণ
তারিক লিংকন বলছেনঃ
হইউডের খুব কম চলচ্চিত্র আছে যেসব দেখে চোখের পানি আসে। তেমনই একটি অসামান্য মুভি এটি। আর আপনার লিখার কথা কি বলবো। যথারীতি ডন আসল ফিল্ম নিয়ে লিখলো এবং পাঠকদের মন জয় করলো! হেইল হ্যাঙ্কো ডন…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আসল ফিল্ম নিয়ে লিখলো মানে?
আমি কবে নকল ফিল্ম নিয়ে লিখছিলাম? will metformin help me lose weight fast
আর আপনাদের মত সমঝদার পাঠক থাকলে না লিখে উপায় আছে?
doctorate of pharmacy online
শ্যাম পুলক বলছেনঃ
মুভি ভাল হলেও এখানে জন ন্যাশের জীবন কাহিনী এখানে উলটে পালটে ফেলেছে। সেটা কিছুটা বিরক্তিকরই। তবে এটা অবাক হওয়ার বিষয় না। রন হাওয়ার্ড অনেক মুভিতে এমন করে। তিনি মন মত মুভি বানাতে পছন্দ করেন। সেটা ভালই।