শুভ্র গোফের সরল মানুষ
261
বার পঠিত২০০১ সাল আমি তখন ৫ম শ্রেণীর ছাত্র, ঢাকা বইমেলা থেকে মামা মামি একটা বই পাঠালেন নাম “রাজু ও আগুনালির ভুত” শুভ্র গোফের হাস্যোজ্জ্বল সরল মানুষটির সাথে পরিচয় সেই থেকেই।যদিও তার লেখার প্রতি ভালো লাগা শুরু বিখ্যাত শিশু চলচিত্র “দিপু নাম্বার টু” এর মাধ্যমে কিন্তু তখন জানতাম না কে এই কাহিনীর স্রস্টা।যাই হোক তখনও আমার উপন্যাস পরা শুরু হয় নি বুঝতাম শুধু উপন্যাস মানেই বিশাল সব কঠিন কঠিন ঘটনা।যদিও মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা বা ইতিহাস বড় হলেও ভালো লাগত আর একেবারেই ঠাকুরমারঝুলি টাইপের ছোট গল্প পরতাম।বইটা পেয়ে রেখেদিলাম,এত বড় বই কিভাবে পরব সেই চিন্তা করতেছিলাম।সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ পরে বইটা পড়া শুরু করি, প্রথম পাতা পরেই তো পুরা তাজ্জব আরে ভদ্রলোক আমার মতন চিন্তা করল কিভাবে!!!!!!!! যতদুর মনে পরে প্রথম শুরুটা ছিল রাজুর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা এবং সাদা মেঘগুলো নিয়ে ভাবনা নিয়ে।সে নানান চিন্তায় মশগুল হয়ে যেত,শুধু তাই না ছোট ভাই এর প্রতি বিরক্ত এবং ক্ষোভগুলোও মিলে গেল।যাই হোক মহাউতসাহে পরা শুরু করলাম।অতপর আজগর মামার আগমন এবং হুন্ডার ঘটনাও হৃদয় ছুয়ে গেল।মানে তখন আমি নিজেও ভাবতাম ছোট মামার হুন্ডা চলানোর কথা আর ঐ বয়সে লেখক আমার ভাবনা বুঝে গেলেন!!!!বলতে যদিও লজ্জা লাগছে তারপরেও সত্য ঐ বয়সে কোন সুন্দরী বালিকা দেখলে বুকের ভেতর কি অনুভতি হত সেটাও স্যার পুরা শতভাগই বুঝে গেলেন।শুধু তাই না ঐ অনুভুতিগুলো যে সুস্থ এবং নির্মল সেটাও বেশ বুঝতে পারলাম।এরপর শাওন কে উদ্ধারের কাহিনী এবং নানা ঘটনা। metformin gliclazide sitagliptin
বইটি পরার পরে প্রথম যে ধাক্কাটি দিল সেটা ছিল এডভেঞ্চার প্রীতি এবং সেখান থেকেই আমার স্কাউটিং যাত্রা শুরু হয় যেটা আজও চলমান।৭১ এর পরেও যে রাজাকারদের খারাপ চরিত্র বদলায় নি সেটাও এই বইয়ের মাধ্যেমে উপলব্ধি।উল্ল্যেখযোগ্য বিষয় ছিল সমবয়সী মেয়ে বন্ধুদের প্রতি কিরুপ দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত সেটা এই বইটি আমার ভিতরে তৈরি করে দিয়েছিল।
ধীরে ধীরে শুভ্র গোফের সরল মানুষ জাফর ইকবাল স্যারের লেখাগুলো পরতে শুরু করলাম।ভালোবাসা আরো গভীর হতে থাকল মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শুধু তাই না দেশের প্রতি দায়বোধের বিষয়টি বুঝতে পারলাম।
উপরের কথা গুলো বললাম কারন একটা জেনারেশনের মধ্যে মোটামুটি গল্পের ছলে মুক্তিযুদ্ধ অথবা দেশেরপ্রতি দায়বোধ তৈরির লোক আমি মনে করি স্যার ব্যাতিত আর একজনও নেই।কারন পাঠ্য বইয়ের গদবাধা কিছু ইতিহাস অথবা দুই একজন বইয়ের পোকা টাইপের মানুষ দিয়ে আপনি একটা জেনারেশনের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন না।আমি বিশ্বাস করি প্রজন্মের প্রায় সকল তরুন তরুণীই মুক্তিযুদ্ধের পাঠ শুরু করেছে জাফর ইকবাল স্যারের হাত ধরে।
can your doctor prescribe accutane
ধরা যাক জাফর ইকবাল নামক কোন মানুষ বাংলাদেশে জন্মায় নি,প্রজন্মের মধ্যে গল্পের ছলে কেউ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঢুকিয়ে দেয় নি।যুদ্ধপরাধের বিচার তাহলে চাইত কারা?????এই বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়া কি তখন সহজ হত!!!!!!! তৈরি হত মুক্তিযুদ্ধের পরে সারা বাংলা কাপানো গণজাগরণ আন্দোলন????
আসা যাক সিলেটের সেই বেওয়ারিশ পুত্রের ব্যাপারে,রাজাকার পিতার রক্তের ধারা যে তার রক্তে বহমান তা শতভাগ প্রমানিত।কিন্তু আফসুস সে ঐ দলে বসে এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখাল যেই দলের আজকে এই অবস্থায় আসার পিছনে পরোক্ষ ভাবে কাজ করে গিয়েছিল জাফর ইকবাল স্যারের মতন কিছু নির্লোভি মানুষ।
ওহে বেওয়ারিশ পুত্র মনে রাখবেন আপনার পিছনে নিঃসার্থভাবে ঘোরা একজন কর্মি আপনে পাবেন না,কিন্তু স্যারের পিছনে লাখো তরুন রয়েছে যারা দরকার পরলে ঐ চাবুক দিয়ে ফাঁস বানিয়ে রচিত করবে আপনার পতনের ইতিহাস এবং তারা কিন্তু সারা বাংলা কাপানো গনজাগরন তৈরি করে সেটা করেও দেখিয়েছি।
সুতরাং সাবধান সময় থাকতে পালান।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
viagra en ukকি আর বলব!!!
কিছুই বলার নাই…
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ
জয়তি বলছেনঃ
আর এই মানুষটার প্রতি এবং তাঁর বইএর প্রতি আমার ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জাগিয়েছ তুমি দাদা …
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ
ধন্যবাদ