নৈতিকতার ইতিকথা
1311
বার পঠিতনৈতিকতা হচ্ছে মানব দর্শনের অন্যতম শক্তিশালী এবং অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। আর নৈতিকতা বা নীতিশাস্ত্র মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহারিক এবং প্রায়োগিক দিক থেকে ক্রম বিকাশমান। ভাল মন্দের মত নীতিশাস্ত্রও সময়, কাল এবং স্থানের সাথে আপেক্ষিক অর্থাৎ পরিবর্তনশীল। তারপরও কিছু মৌলিক নৈতিকতা মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে অতি সবল এবং প্রবলভাবে বিকশিত হয়ে এসেছে। যেমন পোশাক, খাদ্যাভ্যাস এবং শিল্পকলাসহ জীবনযাপনের মূল বিষয়গুলো। প্রায়োগিক এবং তাত্ত্বিক দিক বিবেচনায় নীতিশাস্ত্রকে দুইভাগে ভাগ করা যায় তা হল ‘ভাল’ এবং ‘মন্দ’। ক্রমাগত মানুষের ভাল-মন্দের ধারণা প্রস্ফুটিত হতে থাকলে তাত্ত্বিক নীতিশাস্ত্রও তার কাঠামোগত রূপ পেতে থাকে।
মূলত সামাজিকভাবে দলবদ্ধ সমাজ গড়ে উঠা শুরু করলেই গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষের সম্পর্ক অত্যাবশ্যক হয়ে পরে। আর মানুষের যূথবদ্ধ বসবাসের ফলশ্রুতিতেই নৈতিকতার তাত্ত্বিক কাঠামো গড়ে উঠা শুরু। ধারণা করা হয় দাস – প্রভুতে বিভক্ত দ্বান্দ্বিক সামাজিক কাঠামোতেই এর গোড়াপত্তন। যদিও অনেকে মনে করে থাকতে পারেন নীতিশাস্ত্র কোন ব্যক্তির মনোভাব আসলে বিষয়টি ঠিক তার বিপরীত। নৈতিকতার গড়ে উঠা কিংবা আগুনের আবিষ্কার মাথায় আপেল পড়ে কোন দৈব উপায়ে আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার না। এইসব উদ্ভাবনের পেছনে আছে হাজার হাজার বছরের মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ত্যাগ। সংগবদ্ধ সামাজিক কাঠামোতেই এর উত্থান এবং বিকাশ। প্রাচীন ভারতীয় চার্বাক দর্শনের নীতিশাস্ত্র আর চৈনিক কনফুসীয় ধারণা থেকে এর আরম্ভ ধরে নেয়া হয় যদিও চীনের কনফুসিয়াস, লাওজে, ইয়াংচু আর গ্রিসের ডিমোক্রিটাস, এপিকুরাস আর এরিস্টটলদের হাত ধরেই এই নীতিশাস্ত্রের ধারনার লিখত রূপ লাভ করে। নৈতিকতার লিখিত রুপের ইতিহাস আর চলিতরুপের ইতিহাস একেবারেই ভিন্ন। আর তাই মানব সভ্যতার এই তিলে তিলে গড়ে তোলা মর্ত্যের মানুষের এই জীবনবোধ কীভাবে স্বর্গের দেব-দেবীরা ছিনতাই করল তা দেখার দরকার।
আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে আদিম মানুষের আবির্ভাব। আকৃতিগত দিক থেকে অতিকায় বানর থেকেই যেহেতু আজকের মানুষের উৎপত্তি সুতরাং এই অতিকায় গড়ন দিয়েই মানুষের আদিম পূর্বপুরুষের শুরু। প্রবন্ধের শিরোনামের সেই নৈতিকতার বিবর্তনের পথে প্রথম পা রাখে মানুষ যখন যূথবদ্ধভাবে বসবাস করতে শুরু করে। তখন মানুষের প্রধান এবং মৌলিক কাজই ছিল দুটো শিকার এবং সংগ্রহবৃত্তি। তারপর মানুষ আয়ত্ত করল আগুনকে এবং এই অগ্নিকে নিয়ন্ত্রণে আনার পর ক্রমেই আদিম মানুষ এবং প্রশুদের মধ্যকার পার্থক্য বড় হতে থাকে, আদিম মানুষ হয়ে উঠতে থাকে আধুনিক মানুষে। কেনিয়ার লেক শেসোয়াঞ্জার (Chesowanja) গুহাচিত্রের তথ্যানুযায়ী প্রায় ১৪ লক্ষ বছর আগে মানুষ আগুনকে বশে আনে। আবার স্পেনের ২০-৩৫ হাজার বছরের পূর্বের আলতামিরা গুহাচিত্রে আদিম সভ্যতার অনেক ইতিহাস জানা যায়। ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়র জাবা দ্বীপে আবিষ্কৃত মানুষের হাড় এবং দাঁত প্রায় ১৮ লক্ষ বছর আগের। প্রায় ১৯ লক্ষ বছর আগের পাওয়া ফসিল প্রমাণ করে আফ্রিকায় বিবর্তিত মানুষের এই প্রাচীনরূপের বিচরণ ছিল চীন, ভারত, জাভা, শ্রীলংকা থেকে জর্জিয়ায়, এ হল আমাদের আদিমতম নিকট মানব সম্প্রদায় হোমো এরেক্টাস (Homo Erectus)। এখানে উল্লেখ্য আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে এই ইতিহাস খননের কাজ এখনও চলছে।
স্পেনের আলতামিরা আদিম গুহাচিত্র
এইসব খনন কাজ থেকে একই সাথে উদ্ধার হচ্ছে মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস এবং মানব সভ্যতার নৈতিকতার বিবর্তনের পরিক্রমা। এরপর আসে সেই ‘স্নো বল আর্থ’ (Snow Ball Earth) অর্থাৎ তুষার যুগ। ইউরোপসহ প্রায় গোটা দুনিয়া ঢাকা পরে যায় বরফে। তারপর তুন্দ্রাঞ্চলের সেই আইস এইজের পর শুরু হতে থাকে মানুষের মানুষ হয়ে উঠার নতুন পথ চলা। হাতিয়ার এবং পশু শিকারের অস্ত্র আবিষ্কার থেকে শুরু করে নতুন পথ চলা হয়ে উঠে আরও দুর্নিবার। সমাজ বিজ্ঞানী এবং বিপ্লববাদী ফ্রিড্রিখ এঙ্গেলস বলেছিলেন “শ্রমই মানুষকে মানুষ করেছে”। ত্রিশ হাজার বছর পূর্বে আধুনিক গোত্র ব্যবস্থার গোড়াপত্তন। সম্মিলিত ভাবে বসবাসের পরই মানুষের নৈতিকতার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধারণা গড়ে উঠতে শুরু করে। খাদ্যের সুষম বণ্টন নারী পুরুষ এবং শিশুদের কাজের অংশগ্রহণ নানান বিষয় নিয়ে এমন কি গোত্রে গোত্রে দাঙ্গা বা যুদ্ধের বিষয়েও মানুষ পরিণত হতে থাকে। তাছাড়া সম্পত্তির বণ্টন এবং মালিকানা বিষয়ের আধুনিক ধারণাও তখন জন্ম নিতে থাকে। এই আদিম মানব গোষ্ঠীই সম্মিলিত পরিশ্রম থেকে নিজেদের মানবিক এবং নৈতিক ভাবে সভ্য মানুষে পরিণত করে। viagra en uk
এইতো গেল মানুষের সভ্য হয়ে উঠার গল্প। এইদিকে ফসিল নমুনায় প্রমানিত প্রথম লাশ সৎকারের রীতি যখন থেকে মানব সম্প্রদায় আত্মস্থ করতে শিখলো তখন থেকেই নৈতিকতার চলতি রুপ দানা বাঁধতে শুরু করে। মেসোপটেমিয়ায় প্রায় ৮১,০০০-১,১৯,০০০ বছর আগের কাফযে কবরস্থানে (Grave of Qafzeh) একসাথে ১৫ জন মানুষের সমাধি আবিষ্কৃত হয়। ইসরাইলের এই কবর দেয়ার রীতিই মানুষের মানবিক হয়ে উঠার সূচনা ইঙ্গিত করে। স্বজাতির লাশ সৎকারের বিষয়টিও প্রবলভাবে মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করতে থাকে।
মজার বিষয় ঠিক একই সময় মানুষের পোশাকের ধারণা লাভ করে। মানুষ পোকামাকড় এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে গিয়ে গাছের বাকল বা ছাল এবং পশুর চামড়া দিয়ে নিজের ত্বককে বা শরীরকে রক্ষা করতে শিখে। একটি হিসেবে মতে পোশাক আবিষ্কার হয় ৮৩,০০০-১,৭০,০০০ বছর আগে, অনুরূপ আরেকটি হিসেব মতে এইসময়টি ৬৫,০০০-১,৪৯,০০০ বছর আগের। মূলত প্রাণীর হাড়ের তৈরি আদিমতম সুঁই থেকে পোষাকের ইতিহাসের ধারণা লাভ করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। প্রকৃতির বিরূপ আবহাওয়া থেকে আদিম মানুষ নিজ শরীরকে রক্ষা করতে গিয়ে যে পোশাকের আবিষ্কার করেছেন মজার বিষয় সে পোশাক আজ খাদ্যের পরের মৌলিক চাহিদা বনে গেছে। যাহোক, মানুষের নৈতিকতার আরেকটি ধাপ সংযুক্ত হল এই পোশাকের আবিষ্কারে।
এরপর আসে শিল্পকলার হাতধরে আরেক দফা এগিয়ে যাওয়ার পালা। গুহা চিত্র এবং পশুর হাড় এবং শিং দিয়ে মানব মূর্তির আবিষ্কার নিশ্চিত করে তখনকার অর্থাৎ প্রায় ৩০ হাজার বছর পূর্ব থেকেই মানুষ আদিম নৃত্য, গান কিংবা চিত্রকলার সূচনা করে। এইসব প্রাচীন শিল্পীরা পশুর শুঁড়ের নমনীয়তাও ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন। আধুনিক হোমো স্যাপিয়েন্সের উদ্ভবের শুরুতেই আদিম মানুষ প্রবল পর্যবেক্ষণশীল প্রাণী হতে শুরু করে এবং নিজেদের আরও সভ্য আর বুদ্ধিমান প্রাণীতে পরিণত করতে থাকে। যা আজকের আধুনিক মানুষের সভ্যতার পথে নিয়ে আসে। এরপরই আসে সভ্যতার নতুন মোড়। স্বপ্নকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাচীন হোমো সেপিয়েন্স “ভাল” এবং “মন্দ” আত্মার কল্পনা করতে থাকে। বিশ্বাস করতে শুরু করে দেব, দেবী এবং গ্রহ নক্ষত্রের উপর। ঝড়, বৃষ্টি, খরা আর অনাবৃষ্টি কিংবা অন্যকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বারবার আত্মা বা অলৌকিক শক্তিকে কল্পনা করতে শুরু করে আদিম মানুষেরা। প্রকৃতি এবং মনুষ্য জীবনের পরিচালক ভাবতে শুরু করে প্রকৃতির উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা এবং বুঝতে না পারা এই আদিম মানুষেরা। জন্ম নিল ধর্ম বিশ্বাসের আদি ধারণার।
অর্থাৎ পশু বলি দেয়া, যাদু করা কিংবা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা প্রকৃতিক উপাদানগুলির জন্যে দেব দেবীর কাছে হাত পাতাকে যদি আমরা ধরে নেই আদিমতম ধর্মের রূপ তবে তাও শুরু হয়েছে মানুষের পাথুরে অস্ত্র কিংবা যূথবদ্ধভাবে বসবাস শুরু করবার পরে। মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এইটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে ভাষার মত ব্যাকারণ যেমন ভাষার উৎপত্তি পরে জন্ম লাভ করেছে ঠিক তেমনি মানুষের আচরণগত বিষয় এবং গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বসবাস শুরু করবার পরে মানুষের যে সকল রীতি নীতিকে সমাজবদ্ধভাবে বসবাসের জন্যে সুবিধাজনক মনে হয়েছে তাদেরকে একীভূত করে একটি কাঠামো দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এবং নামকরণ করা হয়েছে ‘ধর্ম’। বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে যখন আপনি সনাতন থেকে খ্রিস্টান ধর্মের সাথে মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের বিবর্তন তুলনা করবেন। যে যুগের নৈতিক অগ্রগতি যেমন ঠিক সেভাবেই ধর্মগুলোর আগমন। অন্ধকার যুগের পর মানুষ যখন বুঝতে পারল আসলেই নৈতিকতার এই মেকী কাঠামো ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বা ব্যর্থ হয়েছে তখন অন্য মোড়কে রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যাবস্থার সৃষ্টি হতে থাকে। সমাজ বদ্ধ মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে একসময় যে ধর্মই ছিল সব সেখানে গত তিন-চারশ বছর মূলত মানুষ রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থার সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে ‘রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা‘ এবং সমাজের শিক্ষিত বা বিজ্ঞ মানুষের রচিত আইনও। আর এদিকে ধর্মগুলো হয়ে পরেছে আসলে একধরনের উৎসব এবং রীতি নির্ভর প্রতিষ্ঠান।
মূলত মানুষের নৈতিকতা পরিবর্তিত হয় মানব সভ্যতার দর্শনগত এবং বৈজ্ঞানিকগত অগ্রগতির সাথে সাথে। যে সমাজ বা রাষ্ট্র আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে যত এগিয়ে তাদের নৈতিকতা ততটা ভিন্নরকম। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা প্রত্যেকটা মৌলিক চাহিদার যায়গায় এখন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শাসকদের মাধ্যমে। মানুষের সার্বজনীন এবং সর্বাঙ্গীণ জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নিমিত্তে সৃষ্টি হওয়া প্রত্যেকটি ধর্মই নিজেদের সফলভাবে ব্যর্থ প্রমাণ করেছে। তাইতো আজ রাষ্ট্র এবং বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিগত সমাজ ব্যবস্থার ধারা নিয়ন্ত্রিত সব কিছু। আর গ্লোবাল হিস্ট্রি অব রিলিজিয়নের শেষ হাজার বছরের টাইম লাইন দেখলে সবই যুদ্ধের খবর। আজকের গোলকায়নের (গ্লোবালাইজেশন-Globalization) যুগে গোটা পৃথিবীর নৈতিকতা হতে যাচ্ছে মানবতা আর সাম্যবাদ। সকল মানুষের জন্যে একই সুবিধা দেয়ার জন্যে আজকের দুনিয়া চলে এসেছে হাতের মুঠোই। আজ আর দুনিয়াতে দর্শনগত ফারাক নেই নিমেষেই বিজ্ঞানের প্রতিটি আবিষ্কার এবং দর্শনের প্রতিটি অগ্রগতি ছড়িয়ে পরে। তাই এখন নৈতিকতায়ও গোটা দুনিয়া প্রায় একই মানসিকতায় গড়ে উঠছে।
অর্থাৎ নৈতিকতা এগিয়ে গেছে নিজ গতিতে সভ্যতার দর্শন এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে। আর ধর্মগুলো নিজেদের এইসবের অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলাতে ব্যর্থ হয়ে মোড়ক বদলেছে ক্ষণে ক্ষণে। এইবার ব্যবধান এতোই বিশাল যে বিকল ধর্ম সকলের অবসান নিশ্চিত হয়ে এসেছে। শ্রেণী-লিঙ্গ-বর্ণ-গোত্র-ধর্ম বৈষম্যহীন একটি যথার্থ অর্থেই সাম্যবাদী মানবিক নৈতিক পৃথিবীর পথে হেঁটে চলেছি …
তথ্যসূত্রঃ
1. Ancient History – F. KOROVKIN
2. উইকি গুড এন্ড ইভিল can levitra and viagra be taken together
3. দর্শন কোষ – সরদার ফজলুল করিম।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
can you tan after accutaneসহমত। মানবসভ্যতা যতোই সামনে আগানোর চেষ্টা করেছে এই ধর্মগুলো যেন সভ্যতাকে ততোই পেছনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছে এবং করছে। যার সচাইতে বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে আমাদের দেশের অবস্থাকেই তুলে ধরতে পারি। যেখানে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো ধীরে ধীরে আরো আধুনিকতা আর কুসংস্কার মুক্ত হবার চেষ্টা করছে, সেখানে আমাদের দেশকে যেন ধর্মের দোহাই দিয়ে সেই মধ্যযুগের দিকে নিয়ে যাবার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। tome cytotec y solo sangro cuando orino
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আসলেই তাই। আধুনিক দর্শন আর বিজ্ঞান – প্রযুক্তির সাথে তাল মিলয়ে ইউরোপ-এমেরিকা যেভাবে ধেইধেই করে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখন আমরা হঠকারী ধর্মীয় ভেড়াজালে জড়িয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে পড়ছি..
কিরন শেখর বলছেনঃ
accutane pricesআপনি “নৈতিকতা” শিরোনামে লিখলেও মূলত এখানে এসেছে সভ্যতার ক্রম বিকাশের কথা। বিষয় টি আপনি ব্যাখ্যা করেছেন আপনার মত নগর মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে। বিষয়টি নিয়ে বিষদ আলোচনার সুযোগ রয়েছে। সময় নিয়ে কথা বলব।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
walgreens pharmacy technician application onlineসহমত।
তারিক লিংকন বলছেনঃ thuoc viagra cho nam
zovirax vs. valtrex vs. famvirসভ্যতার ক্রম বিকাশের দুটো পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত মাধ্যম আছে একটি দৃশ্যমান অবকাঠামোগত বা বিজ্ঞান-প্রযুক্তিগত অপরটি জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং দর্শনগত দিক। আপনি এই সম্পূরক দুটিকে কিভাবে আলাদা করবেন আমার বোধগম্য না
মাশিয়াত খান বলছেনঃ synthroid drug interactions calcium
শিরোনাম পড়ে আশা করেছিলাম বিভিন্ন নৈতিকতাবোধের আবির্ভাব নিয়ে বলবেন। ওরকম্ভাবে দেখালে ভাল হত। আর আপনি কি নিশ্চিত যে
??? আমি এমনটা শুনিনি।
পারভেজ এম রবিন বলছেনঃ
doctorate of pharmacy onlineআত্মার ধারণাটা মূলত স্বপ্ন থেকেই এসেছে বলে ধারণা করা হয়। আদিম মানুষ মনে করত, স্বপ্নের সময়ে মানুষের আত্মা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় আর মানুষ সেটাই স্বপ্নে দেখে। এমন কনসেপ্ট আপনি এখনও বিভিন্ন জনের কাছে শুনে থাকতে পারেন।
ক্রমশ আত্মার ধারণা প্রতিষ্ঠিত/বিস্তৃত হবার সাথেই আরও বিভিন্ন জিনিসের সাথে আত্মাকে সম্পর্কিত করা শুরু হল। একে নিয়ে মানুষের চিন্তাভাবনা বাড়ল। মানুষ মরে গেলে আত্মার কী হয়, এই চিন্তা থেকে অমর আত্মার ধারণা এলো। যেহেতু, এরা অদৃশ্য এবং ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াতে পারে, তাই তাদের প্রতি একটা ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধা মানুষের মধ্যে কাজ করতে লাগল। আবার গোত্রপতি বা পরিবারের কর্তা যেহেতু জীবদ্দশায় পরিবারকে সবকিছু থেকে রক্ষা করে থাকে, তাই ধারণা করা হল, তাদের আত্মাও মৃত্যুর পর একই কাজ করে। সে সন্তুষ্ট থাকলে গোত্রের উন্নতি হবে, অসন্তুষ্ট হলে গোত্রের অমঙ্গল হবে। তাই তার তাকে সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন জিনিস উৎসর্গ করা শুরু হল। যেটা ক্রমশ অর্চনায় রূপ নেয়। আবার অন্য গোত্রের আত্মা (অর্থাৎ মন্দ আত্মা) তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। তাদের প্রতিও ভয় ছিল মানুষের।
আবার এই আত্মার ধারণাই সমাজভেদে বৈচিত্র লাভ করে ক্রমশ দেব দেবীতে রূপান্তরিত হয়। অবশ্য রূপকল্পভেদে অনেকে মনে করেন, দেব দেবীরা সতন্ত্রভাবে উদ্ভূত হয়েছে।
পারভেজ এম রবিন বলছেনঃ
যেমনটা আশা করেছিলাম, তার সিকিভাগও পাইনি। ধারণা ছিল, নৈতিকতার উদ্ভব থেকে শুরু করে তার বৈচিত্র এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ভেদে নৈতিকতার একটা বিষদ আলোচনা পাব। কিন্তু, এখানে এসে সেই বিবর্তন পড়তে পড়তে মুখস্থ হয়ে যাওয়া প্রকল্পই আবার পড়তে হল। নৈতিকতা ক্রমশ ধর্মের কব্জায় চলে যাবার ব্যাপারটা নিয়েও বিষদ আলোচনা হতে পারত। glyburide metformin 2.5 500mg tabs
আর লেখার শেষাংশের সাথে এখনই সহমত পোষণ করতে পারছি না। ধর্ম কিংবা “স্থিতিশীল” নৈতিকতা যাই বলি না কেন, এটা চিরকালই প্রবহমান অগ্রযাত্রাকে পেছনে টেনে ধরেছে। দিনশেষে যদিও মানুষই এগিয়েছে কিন্তু ধর্ম একেবারে ধ্বজভঙ্গ হয়ে যায়নি। গেলে, বাংলাদেশের মত একটা ধর্ম নিরপেক্ষ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকরা পর্যন্ত জামায়াতের সাথে যোগাযোগ রাখত না। গেলে, দাঙ্গায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী মোদী আবার সরকারে আসত না। নেপাল এখন স্পর্শকাতর বিষয়; কিন্তু ধর্মকে এত সহজে উপড়ানো গেলে সেখানে এখনও গোহত্যার জন্য কারাদণ্ডের বিধান থাকত না। কত উদাহরণ দেব? এই উদাহরণ নিয়েই আস্ত একটা ব্লগপোস্ট লেখা যায়।
যাই হোক, সম্ভবত পাণ্ডুলিপির বিষয়বস্তুর বাইরে চলে যাচ্ছিলাম। তবে, প্রত্যাশা রইল সামনে আরও তথ্যবহুল লেখা পাব। আর আপনার বছর দেড়েক আগের একটা লেখার তথ্যসূত্রের লিস্টি আর এই লেখাটার তথ্যসূত্রের লিস্টি একটু মিলিয়ে দেখার অনুরোধ রইল।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আমি দেখাতে চেয়েছিলাম নৈতিকতার উৎপত্তি কিভাবে? অনেক বিতর্কেই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়! লোক জন ভাবে ধর্মগুলো নৈতিকতাকে নিয়ে এসেছে আসলে বিষয়টি তা না!! ভাষা যেমন স্বতঃস্ফূর্ত ঠিক তেমনি নৈতিকতাও জ্ঞান-বিজ্ঞান-তথ্য-প্রযুক্তি এবং দর্শনের বিবর্তনের সাথে নৈতিকতাও পরিবর্তিত হয়, হচ্ছে হবে!
আর ধর্ম হচ্ছে ব্যাকরণের মত ভাষার হালনাগাদের সাথে সাথে এটাকেও হালনাগাদ হতে হয় যেমনটি হয়ে এসেছে নৈতিকতা। তাই অনুরুপে মানুষের সংস্কৃতিকে ব্যাখ্যা করতে দরকার নৈতিকতার ধর্ম এইখানে খুবই বাহুল্য একটি বিষয়। মাঝখান থেকে উড়ে এসে নৈতিকতাকে আত্মসাৎ করে নিজেই নৈতিকতার প্রবক্তা সাজছে। এইখানেই ক্ল্যাশ সমাজের…
এই ধারাবাহিকতা বুঝানোর লক্ষেই পোস্টটি লিখা হয়েছে! আরো আপডেট করব প্রয়োজনবোধ করছি…