আত্মতৃপ্তি
422 diflucan one time dose yeast infection
বার পঠিত
আমার কি দৌড়ানো উচিত? নাকি স্বাভাবিক ভাবে হেটে যাওয়া উচিত? আমার পাশ দিয়ে একের পর এক গাড়ি ছুটে চলছে।কার ট্যাক্সি রিক্সা ট্রাক ।আমার কি কোন গাড়ি নেওয়া উচিত? ট্যাক্সি বা রিক্সা? কিসে যাওয়া উচিত বাসায়?
সন্ধ্যা বেলায় চারিদিকে উজ্জ্বল আলো।প্রতিটি দোকান চমৎকার আলোতে আলোকিত। আমার এখন কেমন লাগছে? কিছুক্ষণ আগে যা হল তা কি আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।জীবন পালটে দেওয়ার মত কোন ঘটনা? কি হয়েছে ? আমার শরীর কি খসে পড়েছে? কোন অঙ্গ নিঃসাড় হয়ে গেছে? কোথাও নোংরা লেগেছে? কোথাও চাপ পড়েছে? কোথাও ব্যাথা পেয়েছি? এমন কিছু কি হয়েছে যাতে আমার জীবন কাল থেকে আর ঠিক ভাবে চলবে না? থেমে যাবে এখানে? যেমন ভাবে আমি থেমে আছি এখন মাঝ রাস্তায়। হাতে একটা ব্যাগ ছিল। সেটাকে বুকের মাঝে আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছি। ব্যাগে এমন কোন মূল্যবান কিছু নেই যেটাকে বুকের মাঝে আগলে রাখতে হবে। তবে কিছু একটাকে আগলে রাখছে চাচ্ছি। বুকের সাথে লাগিয়ে রাখতে চাচ্ছি। যেন একটা কিছু আমাকে ধরে আছে এই বোধটা জাগাতে চাচ্ছি। আমি এক নই। আমাকে জড়িয়ে কেউ আছে। এই মুহূর্তে তাই ব্যাগটিই ভরসা। ব্যাগটি আমার যেন খুব আপন মানুষ। সে আছে আমার সাথে। আমাকে আগলে রাখছে, আমাকে জড়িয়ে ধরছে, শক্ত করে । ছাড়বে না কখনো। আমাকে ভরসা দিচ্ছে । আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বাসায় দিয়ে আসবে। এই ব্যাগটি আমার সঙ্গি আমার অবলম্বন। ঠিক কতক্ষন আছি রাস্তার ধারে জানি না। প্রচণ্ড ব্যস্ত রাস্তায় এমন ভাবলেশ হীন ভাবে দাঁড়িয়ে আছি, তাতে কারো চোখে পড়ছি না মনে হয়। আমি নিজে তাকালাম আমার দিকে। বাসায় যাওয়ার জন্য আমাকে কিছু একটা নিতে হবে, নেওয়ার জন্য রাস্তা পার হতে হবে। আমি একবার রাস্তা দেখি, গাড়ি দেখি, বিশাল আকারের ট্রাক দেখি, ক্ষুদ্রাকারের রিক্সা দেখি। চলমান ধাবমান একে অপরকে টপকিয়ে যেতে সদা ব্যগ্র, বিশালাকার ক্ষুদ্রাকারকে পিশে ফেলতে আগ্রহিমান। আমার চোখে এখনও জল লেপটে আছে। হাত এখনো কাঁপছে, শরীর এখনো কাঁপছে, তবে আমার পা সচল। ঘটনাস্থল থেকে যেখানে আমি দাঁড়িয়ে আছি তার দূরত্ব অনেক। এই পর্যন্ত আমি হেঁটেই এসেছি। কোন রকম স্থিরতা ছাড়া কোন রকম পিছে ফেরা ছাড়া, কোন রকম কম্পন ছাড়া কোন রকম কান্না ছাড়া এবং সর্বোচ্চ বিস্ময়কর কোন রকম চিন্তা ছাড়া আমি হেটে এসেছি। যেই আমি থেমেছি আমি স্থির হয়ে গেছি। আমাকে আক্রমন করছে বিচিত্র চিন্তা।
আমি আমার পা’কে আবার জাগিয়ে তুলি। হেঁটে আমি রাস্তা পার হই। ট্যাক্সি ডাকি। পুরো পথেই ব্যাগটিকে বুকের সাথে জড়িয়ে বসে থাকি। যেন কেউ আমাকে জড়িয়ে আছে শক্ত কর। আমার এই কারো শক্ত স্পর্শ খুব প্রয়োজন যেন। হঠাৎ ব্রেক কষল ট্যাক্সি।
“তোমার কারো অবলম্বন কেন দরকার”
- দরকার নেই?
“না তুমি স্বাবলম্বী, তোমার কোন অবলম্বন দরকার নেই”
- দরকার নেই?
“ এই রাস্তা কি তোমার অপরিচিত?
- না
“বহুবার এই রাস্তা দিয়ে তুমি এসেছ গিয়েছ, তবে আজ কেন কারো অবলম্বন চাচ্চ”
- আমি কাঁপছি
“ না তুমি কাঁপছ না, ভাব তুমি কাঁপছ না।
-কিন্তু আমি কাঁপছি
“ কাঁপার মত কিছু হয় নি”
- কিছু হয় নি?
“ না”
- কিছু হয় নি?
“ না”
কিছু হয় নি। accutane prices
আমি ব্যাগটি পাশে রাখি। যেভাবে আমি ট্যাক্সিতে উঠলে রাখ সেভাবে । আসেপাশে দৃশ্য দেখি। নির্জীব নিথর নিশ্চল ভাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্যাক্সি বাসার সামনে এসে থামে। আমি নেমে একটি ফোনের দোকানে যাই। মোবাইলে টাকা রিফিল করি। দোকানদার নাম্বার জিজ্ঞেস করার সময় একটু কি আমার গলা কেঁপেছিল? কেঁপেছিল, তবে আমি শান্ত ভাবেই নাম্বার বলি।কিছুটা বল ফিরে পাই এই ভেবে যে আমার মনে আছে মোবাইলে টাকা ভরতে হবে। তবে আমি স্বাভাবিক আছি! ভেঙ্গে পরি নি তাহলে!
এরপর বাসায় উঠি। লিপটে ঠিক বোতাম টিপ দিলাম। বাসায় গিয়ে গোসল করলাম, ভাত খেলাম, মা এসে কথা বলল যেমন বলে রোজ। আমিও বললাম। শুধু একটি ব্যতিক্রম প্রশ্ন করলো “ তোর চোখ লাল কেন”
আমি জানি আমার চোখ লাল। তবুও উঠে আমি ড্রেসিং টেবিলে সামনে দাঁড়ালাম। নিজেকে দেখলাম চোখের লাল দেখলাম, পরনের জামাটা একটু বুকের কাছে নিচে নামালাম। কয়েকটি আঁচড়ের দাগ দেখলাম। মাকে বললাম “ চোখে এলারজি হয়েছে”
“তোর আবার চোখে এলারজি কখন থেকে হয়”
“ হয় মা, মাঝে মাঝে এমন অনেক কিছু হয় যা হয় নি আগে”
“চোখে ঠাণ্ডা পানি দে”
মা চলে যায়। আমি দাগ দেখতে থাকি। আমি দরজা বন্ধ করে দেই। আমার রুমে আমি সম্পূর্ণ একা। জানলার পর্দা টেনে দেই। আবার এসে আয়নার সামনে দাড়াই। একে একে সব কাপড় খুলি। নিরাবৃত আমি নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি। শুধু বুকের মাঝে কয়েকটি আঁচড়ের দাগ ছাড়া আর কোন পরিবর্তন দেখি না। যেমন আমি কয়েক ঘণ্টা আগে ছিলাম এখনও তেমন আছি। তবে কি কিছুই হয় নি? এই যে আমি নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি তাও তো কিছু হওয়ার জন্যই দেখছি। কি হয়েছে? যা হয়েছে তা যদি ভয়ংকর কিছু হত তবে আমি কি এমন শান্ত থাকতে পারতাম। এর মানে কি দাঁড়ায় আজকের দিন অন্য দিনের মত স্বাভাবিক! স্বাভাবিকই যদি হয় তবে ভেতরে আমার কিছু একটার পরিবর্তন অনুভব করছি কেন? অন্য দিন তো ভেতরে একটা নিরব অস্থিরতা বোধ করি না।ভেতরে বরফ শীতল নিস্তব্ধতা জমাট বেধে আছে।একটা ব্যাকুল অস্থিরতা যেন দম বন্ধ করে আছে। যেন আমি নড়তে চাচ্ছি কিন্তু পারছি না। কিছু একটা আমাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। আমাকে নিঃসাড় করে রেখেছে। ভেতরে কোন একটা অন্ধকার কুঠিরে একটা ঝড় থমকে আছে, অথচ আমি চাচ্ছি ঝড়টা বয়ে যাক। যেন আমার নিঃশ্বাস থমকে আছে, কিন্তু নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য প্রানপন চেষ্টা করছি।
আমি আলো নিভিয়ে দেই। মাটিতে লুটে পড়ি। আমার শুকনো চোখে আমি জল আনতে চাই, কিন্তু পারি না। আমার বড্ড ঘুম পায়।
————-
ছুটির দিনে আমি বই পড়ি। আজ পড়া হবে না। বিদেশ থেকে ডেলিগেটস এসেছে। পাচ তারকা হোটেলে মিটিং। মিটিং এ থাকতে হবে ভেবে বিরক্ত হচ্ছি।সারা সপ্তাহ কাজ করে যদি একদিন বন্ধের দিনও মাটি হয় কেমন লাগে। এমনেতেই এজিওর কাজে মাসে কতবার ঢাকার বাইরে যেতে হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। চাকরি মানে চাকর। শ্রম দিচ্ছি টাকা পাচ্ছি। এতে আমি বসদের দোষারোপও করতে পারি না। যদি অভিযোগ দেই , সোজা মুখের উপর বলে দিবে, অসুবিধা হলে ছেড়ে দিন। এবং সেই জায়গায় আমরা বাঁধা। আমাদের টাকার দরকার। সুতরাং চাকরিজীবীদের অধিকার নেই বসদের গালি দেওয়ার। কারন বসরা কাউকে জোর করে বেঁধে রাখে নি। আমরা নিজেরা নিজেদের তাগিদেই নিজেদের বন্ধি করে রাখছি, বা বাধ্য হচ্ছি। ramipril and hydrochlorothiazide capsules
হোটেলে দারুণ খাবার খেয়ে মিটিং শুরু হয়। সময় মত শেষও হয়। চলে যাওয়ার পালা। স্যার বললেন একটু পরে যাও। আমি পৌঁছিয়ে দিবো। আমি নির্দ্বিধায় রাজি হয়ে গেলাম। আমার বস মানুষটি চমৎকার। মানসিক শারীরিক দুই দিকেই পরিপাটী। তাঁর সাথে কাজ করছি ৫ বছর। আমার কাজে তিনি যথেষ্ট সন্তুষ্ট। তাঁকেও অফিসের সবাই খুব পছন্দ করে। কর্মচারীদের সব দিকেই তিনি অভিভাবক সুলভ যত্ন রাখেন। উনি অপেক্ষা করতে বলেছেন। আমি অপেক্ষা করি। ডেলিগেটসদের জন্য কয়েকটি রুম নেওয়া হয়েছে তার একটিতে আমি অপেক্ষা করি। স্যার বাইরে গেলেন, তাঁদের সাথে কথা বললেন, ফিরে এলেন একা। আমি হাসি মুখে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাই।
“কিছ খাবে”
“না স্যার ক্ষুধা নেই”
“তো, বল কেমন যাচ্ছে জীবন”
কিছুটা চমক লাগে আমার। স্যার আমার সাথে এমন কথা বলছে! চমক লুকিয়ে আমি উত্তর দেই “ভালই চলছে সব”
“ তোমার কাজ খুব ভাল হয়, রিপোর্টও ভালই রেডি কর”
আমি হেসে সাই দেই। এরপর নিরবতা নেমে আসে রুম জুড়ে। আমি স্বভাবতই কিছু খুজে পাই না বলার, কারন তিনি আমার বস,কাজের বাইরে কি কথা বলতে পারি আমি তাঁর সাথে! “ মাঝে মাঝে কাজ করতে করতে একঘেয়েমি লাগে, তোমার লাগে না”
“তা লাগে মাঝে মাঝে”
“চল কোথাও বেড়িয়ে আসি”
এবার আমি চমকে যাই না, বরং কোথাও একটু সন্দেহ লাগে। একটু কোথাও খোঁচা লাগে। এতক্ষণ কথার মধ্যে মসৃণতা ছিল এখন কিছুটা রুক্ষতা টের পাই। ampicillin susceptible enterococcus
“ভয় পেলে?”
আমি হালকা হাসি। হাসি ছাড়া কি বলা যায় আমি জানি না।
“একটা কথা কি জানো, যত কাজের মধ্যে উন্নতি কর না কেন, মনের শান্তি আসল কথা, মনে শান্তি না থাকলে হাজার টাকা দিয়ে কিছু হয় না।
আমি তাকাই স্যারের দিকে। তাঁকে আমার কেমন বিসন্ন মনে হয়। সাথে এও মনে হয় আমাকে দিয়ে কি মনের শান্তি আনতে চাচ্ছেন?
এদিক ওদিক অনেক কথা হল, অফিস নিয়েও হল। বলতে বলতে হঠা ৎ দেখি উনি আমার খুব কাছে চলে এসেছেন। আমি নড়ে বসি। তিনি হাত ধরেন। ভয় পাচ্ছ?
আমার সরল স্বীকার, “কিছুটা তো পাচ্ছি স্যার”
“ভয় পেয়ো না, তোমাকে আমার ভাল লাগে, তুমি ভীষণ আলাদা, সবাই আমার সামনে কথা বলতে ১০০ বার ভাবে, ভয় পায় আমাকে, আর তুমি খুব স্বাভাবিক ভাবে আমার সাথে কথা বল, কোন ভয় নেই, কোন সংকোচ নেই, কোন দ্বিধা নেই। তুমি আমাকে আকর্ষণ কর”
“জি স্যার? কিন্তু স্যার আমি তো আপনাকে সেভাবে দেখি না”
“আমাকে পছন্দ কর না?
“করি স্যার, কিন্তু সেভাবে নয় যেভাবে আপনি করছেন”
“আমি কিভাবে করছি”
তিনি আরও কাছে আসতে থাকেন।আমাকে টেনে নেন তাঁর অত্যন্ত কাছে।আমি মুঢ় হয়ে যাই।আমার বুক কেঁপে উঠে।আমি স্তব্ধ হয়ে যাই অনুভূতি শুন্য- হয়ে যাই যখন উনি আমার ঠোঁটে উনার ঠোঁট লাগিয়ে দেন।এও যে সম্ভব সেটা বুঝে নিতে কিছুক্ষণ সময় লাগে আমার। বুঝে নেওয়ার পর আমি ছিটকে বের হয়ে যেতে চাই তাঁর হাতের শেকল থেকে। আমি ব্যর্থ হই।উনার হাতের শেকল ক্রমশ জোরালো হল। অতি দ্রুত আমাকে ভীত করল। সোফায় বসে ছিলাম আমরা। এক ঝটকায় টেনে শুয়ে দিলেন আমাকে। আমার তীব্র ভয় আমাকে বধির করে রেখেছে। প্রচণ্ড বিস্ময় আমাকে বোধ শুন্য করে দেয়। আমার শরীরে এই যে আমি একজন পুরুষের ভার অনুভব করছি এই কি আমার স্যার!? যাকে আমি সহ পুরো অফিস ভয়ংকর শ্রদ্ধা করে? আমি কি কোন দুঃস্বপ্ন দেখছি? নাকি নোংরা কোন বাস্তবের সম্মুখীন হচ্ছি? তার ঠোঁট যখন আমার উষ্ঠকে পিশে ফেলছিল মনে হচ্ছিল আমি চেতনা হারাবো। কিন্তু আমি নিজেকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎ কামড় বসিয়ে দেই উনার ঠোঁটে। তিনি সেটিকে হয়তো আমার সম্মতি মনে করেছিলেন, তাই তার হাতের বাঁধন ক্রমশ আমার বুকের দিকে নামতে থাকে। সীমাহীন বিস্ময়ের গণ্ডি পেরিয়ে আমি তাঁকে ধাক্কা দেই। তিনি ছিটকে পরে যান, কিন্তু পর মুহূর্তেই আবার জড়িয়ে ধরেন আমাকে। ভীষণ রকমের ক্লান্ত মনে হয় নিজেকে। যেন আমার শরীরে এক ফোঁটা শক্তি অবশিষ্ট নেই। ভয়ের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে এখন কান্না রূপে চোখে টলমল। তিনি জড়িয়েই শুয়ে থাকেন বুকে। আমি স্তব্ধ হয়ে নির্বাক হয়ে থরথর কাঁপতে থাকি। তিনি আবারো আগ্রসর হন।
“তোমাকে চাই”
মনে হয় যেন পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট শব্দাবলী শুনছি।
“তোমাকে চাই”
মনে হয় যেন পৃথিবীর সবচেয়ে কর্কশ সঙ্গিত শুনছি
“তোমাকে চাই”
মনে হয় যেন আমার কানে কেউ ফুটন্ত এসিড ঢেলে দিচ্ছে।
হাতপা ছুঁড়তে গিয়ে প্রতিবারই নিঃসাড় হয়ে পরে যাচ্ছি। “না” এই শব্দ ছাড়া যেন আমি আর কোন শব্দ বলতে কোনদিন শিখি নি। “না” আমার একমাত্র শব্দ, একমাত্র প্রতিবাদ, একমাত্র হাতিয়ার। বিস্ময় ভয় হতভম্বতার চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে আমি তীব্র চিৎকার ছুড়ি। যতটা গলায় শক্তি আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করি। তারস্বরে তীব্র গগনবিদারী চিৎকার করি। আমার চিৎকারে আমার কান বধির হয়, আমার বুকের ধুরফুক আরও বাড়ে, হাত পার অবসন্নতা আরও তীব্র হয়, শরীর আরও নেতিয়ে যায়।
“চুপ প্লিস চুপ”
তার কণ্ঠস্বর যতই আমার কানে যায় ততই আমি সরতন্ত্রি ছিঁড়ে চিৎকার করি। তিনি মুখ চেপে ধরেন। এবার আমার চোখে তিনি চোখ রাখেন। আমার তীব্র জল আর ঘৃণায় ভরা চোখ দেখে তিনি কি ভাবলেন আমি জানি না।আমি শুধু তার চেহারা দেখে কল্পনা করতে চেয়েছি এই কি সেই স্যার যাকে কোনদিন খারাপ মানুষ ভাবতে সাহস হয় নি? এই কি সেই মানুষ যার একটি কথায় আমি দিনের পর দিন ওভারটাইম করেছি কোন বাহানা না দিয়েই? এই কি সেই যার মুখে আমি আমার কাজের প্রশংসা শুনার জন্য ব্যগ্র থাকতাম? এই কি সেই যে মানুষটি আমাকে কিছুক্ষণ আগে যখন বলল “পরে যেও” আমি নির্দ্বিধায় রাজি হয়েছি? এই কি সেই যার ভরসায় নিজেকে নিরাপদ মনে করেছি? এই কি সেই যার কাছে আজ আমি নিষ্পেষিত শোষিত নির্যাতিত ? এই কি সেই যার সঙ্গ আমাকে জীবনের সবচেয়ে কুৎসিত নোংরা অকল্পনীয় অভাবিত দুঃস্বপ্নেরও অতীত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছি?
তিনি তাকিয়েই থাকলেন আমার দিকে। আমি জলভরা চোখে আকুল আবেদন নিবেদন করলাম।
“তুমি চাও না আমাকে”
“না না না না না”
তিনি ছিটকে উঠে গেলেন আমার উপর থেকে। কিন্তু আমি উঠতে পারলাম না। শরীরে আমি একফোঁটা শক্তি সঞ্চয় করতে পারছি না। অজন্ম যেন আমি বহু দূর থেকে হেঁটে এসেছি, বড্ড ক্লান্ত বিধ্বস্ত অসহায় দুর্বল লাগছে নিজেকে। সোফা থেকে উঠতে গিয়ে মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ভারি কাজটি করছি। এক তীব্র প্রচণ্ড ভার ছিল বুকের মাঝে এতক্ষণ, কিন্তু মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ নয় যুগান্তর ধরে এই ভার স্থির হয়ে ছিল। আজ , এইমাত্র সরেছে বুক থেকে , থেমে থাকা নিঃশ্বাস সচল হচ্ছে। তাই বড্ড শান্তিদায়ক ক্লান্তি গ্রাস করছে সর্বত্র সর্বঙ্গ জুড়ে। ঠিক চেতনা বলা যাবে না এটিকে যখন আমি উঠে দাড়াই টলমল পায়ে। লাল চোখে আমি অস্পষ্ট দেখছি সব। শক্তিহীন শরীরে আজন্মের পিপাসা জাগছে। বেশিক্ষন দাঁড়াতে পারি না। তীব্র তীব্রতর দুর্বল পায়ে আমি বার বার পড়ে যাচ্ছিলাম। আমার অবিন্যস্ত কাপড় বিন্যস্ত করার বোধ নেই আমার। চারিদিকে এক ঘোরলাগা অন্ধকার দেখছি। প্রচণ্ড চেষ্টায় আক্রোশের চোখে তাকিয়ে আছি স্যারের দিকে। তার দৃষ্টিতে হঠাৎ কেমন যেন অপরাধীর দৃষ্টি দেখতে পাই আমি। zithromax trockensaft 600 mg preis
“আমি দুঃখিত” বলে তিনি আবার এগিয়ে আসেন। এবার তার অগ্রসরে কোন কামনা দেখি না। কিন্তু আমি আবার ভয়ে কেঁপে উঠি। উনি বুঝতে পেরে আমাকে শক্ত করে আবার জড়িয়ে ধরে। বিমূঢ় আমি আর কিছু করার শক্তি পাই না। না চিৎকার না প্রতিবাদ না বাঁধা। আমি নেতিয়ে পড়ি তারই কাঁধে। তিনি ধরে আমাকে বসান।
“তুমি বাসায় চলে যাও। আমি পৌঁছে দিয়ে আসব”
বাসা শব্দ শুনে আমি যেন আমি প্রান ফিরে পাই। নিথর শরীর কিছুটা সচলতা ফিরে পায়। অদ্ভুত রকমের শক্তি ভর করে আমার উপর। উঠে আমি নিজেই বের হওয়ার জন্য উদগ্রীব হই। তিনিও আসতে চান। আমি বাঁধা দেই।
টলমল পায়ে আমি হোটেল থেকে বের হই।বের হয়েই আমার মনে হয় আমার কি দৌড়ানো উচিত?
মেঝেতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।জেগে দেখি সকাল হতে এখনো অনেক বাকি।নরম কোলাহল মুক্ত শান্ত স্নিগ্ধ কোমল মৃদু বাতাশ রুমের পর্দাকে উরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ধিরে ধীরে।পর্দা সরিয়ে বাইরে দেখি।যেমন ছিল গতকাল এখনো তেমন আছে।গতকাল সকাল নিশ্চয়ই এমন ছিল, আকাশটা কাল থেকে ধীরে ধীরে সাদা হচ্ছিল, তারাগুলো সারারাত জ্বলতে জ্বলতে নিবে গিয়েছিল, বাতাসও এমন শান্ত কোমল কোলাহল মুক্ত নরম ছিল।আসেপাশে বিল্ডিঙের আলো গুলো এমনই অন্ধকার থেকে ধীরে ধীরে আলোকিত হচ্ছিল।ঘুমন্ত শহর আবার কর্মময় কোলাহলে নিমগ্ন হয়েছিল।
আজকে আর গতকাল কি পার্থক্য? বাকি দিনের আমি যেমন ঘুম থেকেই উঠেই অফিসে দৌড় দেই আজকেও তেমন করার কথা । আমার কি আজ অফিস যাওয়া উচিত? আমার কি আর কখনো অই অফিসে যাওয়া উচিত? আমি উত্তর খুঁজি। নিজেকেই প্রশ্ন করি, কেন যাব আমি ওই অফিসে যেখানে আমার সম্মান নিয়ে নোংরা খেলা হয়। আমি নিজেকে ধর্ষিত মনে করছি? ধর্ষণ শব্দটা আমাকে এক ধাক্কা দেয়। বুকের ধুকধুক কানে শুনতে পাই। ধর্ষণ? আমি গতকাল ধর্ষিত হয়েছি? কাঁপতে থাকি, অস্থির উত্তেজনা আবশ করে দেয় হাত পা। চোখ মুখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ জোরে জোরে শাঁস নেই, একটি অস্পষ্ট চিৎকার বেড়িয়ে আসে গলা দিয়ে । চোখ মেলে বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে আমি বাইরে তাকাই।
“আমি ধর্ষিত হই নি। কিছুই হয় নি আমার সাথে গতকাল। যা হয়েছে তা দুর্ঘটনা। আমাকে কেউ আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে পেতে চেয়েছিল, অগ্রসর হয়েছিল, আমার শরীরের কিছু অংশ নিয়ে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলেছিল, তাতে আমি আঘাত প্রাপ্ত হই, দুর্বল হই, ভিত হই, ভেঙ্গে পড়ি। এছাড়া আর কিছুই হয় নি। আমার ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারে নি”
হঠাৎ কেউ যেন বলে উঠে “ যদি কেউ প্রবেশ করতে পারত তোমার ভেতরে তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে, তবে?
“তবে?”
“তবে কি ভাবতে তুমি ধর্ষিতা নও”
“তবে কি আমি ভাবতাম আমি ধর্ষিতা নই?” price comparison cialis levitra viagra
“হ্যা আমি ভাবতাম, যদি গতকাল তিনি সফলও হতেন আমার ভেতরে প্রবেশ করতে তবে তখনও আমি ভাবতাম আমি ধর্ষিত নই। আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কেউ যদি জোর করে আমার সাথে তবে আমি কেন ধর্ষিত হবো? prednisone side effects in dogs long term
“তুমি ধর্ষিতা হতে না?” funny viagra stories
এবার আমি আরও শক্ত হয়ে মেরুদণ্ড সোজা করে দাড়াই। “না আমি ধর্ষিতা হতাম না। কেউ যখন চুরি করে তবে কি যার চুরি হয় তাকে চোর বলে নাকি যে চুরি করেছে তাকে চোর বলবে?
“ সমাজ এই থিউরি মানে না”
“সমাজ মানা না মানার সাথে আমার জীবন সম্পৃক্ত নয়। আজ যদি কোথাও দুর্ঘটনায় আঘাত প্রাপ্ত হই এমনকি আমার কোন অঙ্গহানি ঘটে তবে কি সেটা আমার দোষে হবে? হবে না। তবে এখানেও তো আমার কোন হস্তক্ষেপ নেই, কোন অংশীদারিত্ব নেই। তবে এখানে সমাজ আমাকে দায়ী করতে পারে না”
“কিন্তু এমনটাই হয়ে এসেছে এতদিন, সবাই মেয়ের দিকেই আঙ্গুল তুলে”
“মেয়ের দিকে আঙ্গুল তুলে ভণ্ড সমাজ, আর আঙ্গুল তুললেই যে মেয়ের দোষ হবে তা আমি মানি নি কখনো , মানবও না কখনো”
তবে কি তুমি বলতে চাচ্ছ, ধর্ষণ কিছুই না তোমার কাছে?”
“ধর্ষণ আঘাত, প্রচণ্ড আঘাত, ভয়ংকর আঘাত, অকল্পনীয় আঘাত।তবে যদি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা যায় তবে একে দুর্ঘটনার বেশি কিছু ভাবা উচিত না। যতই একে গুরুত্ব দেওয়া হবে ততই এই স্মৃতি জীবনকে দুর্বিষহ করে দিবে।
“এই স্মৃতি ভুলা খুব সহজ?”
“না কঠিন, তবে একেই যেভাবে মেয়েরা আঁকড়ে ধরে জীবনকে শেষ মনে করে সেরকম মনে করা মানে নিজেকে দুর্বল মনে করা।
“তবে এই সব ঘটনা কিছুই না”
“ অবশ্যই কিছু। যেভাবে একটি দুর্ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ সেভাবে। কিন্তু দুর্ঘটনা মানেই জীবন শেষ নয়। কিছুদিন থেমে থাকা, কিন্তু স্থিরতা নয়। কোন ভাবেই নয়। স্থিরতা মানেই ওই সব পিশাচদের জয় যারা মেয়েদের আঘাত করতে চায়, ছিঁড়তে চায়, ধ্বংস করতে চায়”
“ এভাবে বললেই কি সমাজ মেনে নেয়, নাকি সব স্বাভাবিক করা যায়?”
“সমাজ মানে না বলে যদি চুপ করেই থাকা হয়; সমাজ বলছে তুমি নষ্টা , তুমি ধ্বংস হয়ে গেছ, আর ওমনি এই ভেবে কপাল আছড়ে পড়ে থাকা মানেই তো হল সমাজকে জয় করা, নিজে হেরে যাওয়া। সমাজ তো বরাবরই আমাদের বিপক্ষে, আহত হলে এ তো আরও তীব্র বেগে আক্রমন করে , তবে একে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়”
“এড়িয়ে চলা সম্ভব?” side effects after stopping accutane
“অসম্ভব কিছু তো না। কঠিন, অনেক কঠিন, তবে মনোবল থাকলে সম্ভব। জীবন শেষ হয়ে গেছে এই চিন্তা যদি মনে গেঁথে যায় তবে শুধু সমাজকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। মেয়ে নিজেকেই আগে ভাবতে হবে আমার জীবন ধ্বংস হয়ে যায় নি। যদি তুমি নিজেই ভেবে বসে থাকো তুমি শেষ, কেউ জোর করে তোমার ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে তুমি নোংরা হয়ে গেছো তবে এ এক দিক থেকে ওইসব পিশাচদেরই জয়”
“তুমি যদি গতকাল এমন তীব্র কিছুর স্বীকার হতে তবে?”
আক্রোশে আমি কেঁপে উঠি। “গতকাল কিছুই হয় নি,গতকাল মনে রাখার মত কিছুই না, আমি কিছু আঘাত পেয়েছি, সময়ের সাথে সেই আঘাত ঠিক হয়ে যাবে এর বেশি কিছু না”
“যদি তোমার স্যার জোর করে তোমার ভেতর প্রবেশ করত তবে?”
প্রশ্নটি আমাকে হিম করে দেয়। ভেতরটা কেমন যেন স্তব্ধ করে দেয়। soulcysters net metformin
“যদি আমার সাথে এমন হত!”
চোখ দূরে নিবন্ধ ছিল। টলমল কিছু জল উঁকি দিল। গড়িয়ে পড়ার আগেই মুছে ফেললাম। sildenafil basics 100 mg filmtabletten
“আমার সাথে এমন হলে অথবা হতে পারত গতকাল, আমিও থমকে যেতাম, যেভাবে গতরাতে গিয়েছি। আমিও ভেঙ্গে পড়তাম যেভাবে গতরাতে পড়েছিলাম। আমিও থরে থরে কেঁপে উঠতাম যখনই ওই দুর্বিষহ স্মৃতির কথা মনে পড়ত। আমিও হয়তো ভাবতাম আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে, যেভাবে গতরাতে মনে প্রশ্ন জেগেছিল। আমিও লজ্জায় ডুবে যেতাম ভেবে কেউ আমার শরীর খব নোংরা ভাবে ছুঁয়েছে। আমিও হয়তো জীবনকে শেষ করার চিন্তা করতাম যেভাবে অনেক মেয়েরাই করে। আমিও মনে করতাম আমি অকুল পাথারে পড়েছি, উদ্ধার অসম্ভব।
“তুমিও ধ্বংস হয়ে যেতে”
“আমি ধ্বংস হয়ে যেতাম?
“ হ্যা ধ্বংস হয়ে যেতে”
আরও কিছু জল আসি আসি করছিল চোখে , চমকে কোথা থেকে যেন রাগ আক্রশ ঘৃণা ক্রোধ আমাকে ঝাপটে ধরল। তীব্র ভাবে ফিরে শূন্যের দিকে তাকিয়ে বলি;
“ আমার জীবন কেন ধ্বংস হবে, আমি পড়েছি শ্রম দিয়েছি চাকরি করেছি জীবনে একটি লক্ষ্যে পৌঁছানর জন্য, হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন দুর্ঘটনার জন্য আমার সকল পরিশ্রমকে আমি এভাবেই ড্রেনে ফেলে দিবো! একটা সাময়িক যন্ত্রণার জন্য আমার এতদিনের ত্যাগ নিষ্ঠা অপেক্ষার বিসর্জন দিয়ে আজীবন কপালকে দোষ দিবো! পুরো জীবনে শুধু একটি দুর্ঘটনাকেই আমি প্রাধান্য দিয়ে জীবনকে চিতায় উঠিয়ে দিবো! পুরো জীবনে এত আনন্দ এত আশা এত আকাঙ্ক্ষা এত চাহিদা এত ইচ্ছে এত বিলাসিতা এত সম্পর্ক এত ভালোবাসা এত দায়িত্ব এত অধিকার সব ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে শুধু এক নিকৃষ্ট স্মৃতিকেই সবার প্রথমে স্থান দিবো! কখনই না। কোন অবস্থাতেই না”
বলতে বলতে আমি ক্লান্ত হয়ে যাই। একটু হাঁপিয়ে উঠি, বুক একটু দ্রুত উঠানামা করে।
“তুমি কি পারতে?” blueberry 100 sildenafil review
একটু সময় নিয়ে হাঁপিয়ে উঠা বুকটাকে শান্ত করলাম।
“ আমি পারতাম। পারতে আমাকে হতই। কারন আমি আমাকে অনেক ভালোবাসি। প্রচণ্ড ভালোবাসি আমার দেহকে আমার চেতনাকে আমার অনুভুতিকে। প্রচণ্ড ভালোবাসি আমার উপরে উঠার স্বপ্নকে, প্রচণ্ড ভালোবাসি জীবনকে উপভোগ করে প্রতিটি মুহূর্তের স্বাদ নিতে। আমার জীবনকে ঘটে যাওয়া একটি কদর্য দুর্ঘটনার কাছে হেরে যেতে দেবো না। আমার জীবনের মূল্য একটি কুৎসিত ঘটনার চেয়ে অনেক। আমি বা আমার জীবন এত দুর্বল বা ছোট না যে একটি দুর্ঘটনার কাছে হেরে যাবে। যে দুর্ঘটনার জন্য আমি বিন্দুমাত্র দায়ী না”
কোথা গুলো বলে কেমন যেন সস্তি পেলাম আমি। যেন সারাদিনের পরিশ্রমের পর শ্রান্তি নামে তেমন। যেন এতক্ষণ পিপাসায় কাতরাচ্ছিলাম, হঠাৎ ঠাণ্ডা জলে তৃষ্ণা মিটেছে। যেন হার ভাঙা খাটুনির পর চোখ ভাঙা ঘুম নামে পুরো দেহময়। আমি ঘুমিয়ে পড়ি।
———– ——–
আমি গোসল সারি, নাস্তা করতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু ইচ্ছের বিরুদ্ধেই কিছু খাই। আমি পোশাক পরি। যেমনটা অন্য দিন সাজি আজও তেমন সাজি। আমি বের হই। হঠাৎ সূর্যের আলোকে বড্ড কড়া মনে হল। হঠাৎ বুক কেমন ধুক করে উঠল। হঠাৎ একটু কেঁপে উঠে শরীর। হঠাৎ অজানা এক ক্ষীণ ভয় মনের গহিনে কোথাও উঁকি দিতে চাচ্ছে। হঠাৎ শরীর গুলিয়ে উঠল যখন চোখে ভেসে উঠল কেউ ঝাপটে ধরে আছে আমাকে, কেউ আমার শরীরের বিশেষ কোথাও স্পর্শ করছে । এবং কিছুক্ষণ পর আমি স্বাভাবিক হই। আমি চলতে থাকি, গুলিয়ে উঠা কিছুই না, সাময়িক, যেভাবে ব্যথা পেলে সেরে গেলেও মাঝে মাঝে ককিয়ে উঠে। আমি অফিসে পৌঁছই।
কাজ করতে গিয়ে বহুবার আমার শরীর গুলিয়ে উঠেছে, ক্ষীণ ভয় ভেতরে উঁকি মারে, বুকে ধুক করে উঠে। এবং আমার রুমের এক্টেনশনে একটি নাম্বার ভেসে উঠে। স্যারের নাম্বার। আমি কিছুটা অবশতা অনুভব করি। চোখে যেন মনে হয় অন্ধকার দেখি। অবশ এবং কম্পিত হাত ফোন তুলে কানে লাগায়।
আমি উঠি। প্রয়োজনীয় ফাইল নিয়ে আমি রওনা দেই স্যারের রুমে।
মাঝ পথে একটু যেন শ্বাস কষ্ট হয় আমার। যেন অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছে জগত জুড়ে। আবার সেই গা গুলান অনুভূতি, আবার সেই ক্ষীণ ভয়ের উঁকি দেওয়া।
আমি বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে চাই। এবং আমি পারি। মাথা উঁচু করে যেভাবে আমি হাটি সেভাবে হেঁটে আমি স্যারের রুমে প্রবেশ করি।
এক জোড়া বিস্ময়ে মাখা চোখ আমাকে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ করছে। আমার কাজের বিষয় নিয়ে যা যা বলার কথা স্যারকে , আমি তা স্পষ্ট অকম্পিত ভাষায় বলে যাই। আমার বলা কণ্ঠস্বর অঙ্গভঙ্গি কিছুতে প্রকাশ পেল না যে মানুষটির সামনে আমি এমন নির্লিপ্ত নির্কম্পন ভাবে কথা বলে যাচ্ছি সেই মানুষটি কয়েক ঘণ্টা আগেই আমাকে জোর করে পেতে চেয়েছিল।
আমার কথা বলা শেষ হয়। একটা জমাট শ্বাস হালকা করে বের করে দেই। আমার ভেতরটা উজ্জ্বল হয়ে উঠে, আলোকিত হয়ে যায় আমার ভেতরে অন্ধকার। ক্ষীণ ভয়ের উঁকি আর নেই। শক্ত কিছু ধরে রেখে রেখে হাত ব্যথা হয়ে গেলে হঠাআৎ যখন পড়ে যায় তখন যে অনুভূতি হয় আমারও এখন সেই অনুভূতি। দীর্ঘ সময় নাড়াচাড়া করতে না পেরে যখন হঠাৎ নড়তে পারা যায় তখন যে অনুভূতি হয় আমারও সেই অনুভূতি। দিন শেষে কাজের সমাপ্তির পর নরম বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলে যে অনুভূতি আমারও সেই অনুভূতি।
আমি পেড়েছি। আমি জয়ি হয়েছি। আমার জীবন জয় পেয়েছে একটি নোংরা কুৎসিত কদর্য স্মৃতির বিরুদ্ধে।
আমি স্বাভাবিক ভাব্লেশ হীন দৃষ্টিতে স্যারের দিকে তাকাই।
“স্যার আমি যাব?”
স্যার যেন ঘোর থেকে জেগে উঠলেন। চমক লাগা চোখে আমাকে অবাক দৃষ্টিতে দেখছেন।
তাকে দেখে আমার করুনা জাগে। একটু অহংকার জাগে। একটু আত্মতৃপ্তি জাগে। নিজেই বলি,
“স্যার আমি যাই”
আমি ফিরে দরজার কাছাকাছি আসি।
“আমাকে ক্ষমা করো। আমি সত্যি লজ্জিত”
আমার তৃপ্তি আরও বেড়ে যায়। আরও তৃপ্তি বোধ করতে আমার ইচ্ছে করে একটু ফিরে স্যারের মুখ দেখি।
স্যার মেঝের দিকে তাকিয়ে, মাথা নত, মুখ বিধ্বস্ত।
ঠোঁটের কোনায় একটু হাসি ফুটে উঠে আমার।
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
এত আবেগ দিয়ে কিভাবে লিখলেন?
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
তারিক লিংকন বলছেনঃ
glaxosmithkline levitra couponsঅনবদ্য!!
তবে কিছু কিছু স্থানে ইচ্ছাকৃতভাবেই গল্পের স্বাভাবিক গতির লাগাম টেনে ধরা হয়েছে মনে হল… sildenafil efectos secundarios
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
সহি পাঠক
তারিক লিংকন বলছেনঃ
তাই নাকি? জানতাম না তো…
অপার্থিব বলছেনঃ
থিমটা হুমায়ুন আজাদের “ফালি ফালি করে কাটা চাঁদ” উপন্যাসের সাথে কিছুটা মিলে গেছে। যাই লেখা ভাল লাগলো। acheter viagra pharmacie en france
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
‘যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ’ এর সাথেও……
কিন্তু আমার মনে হয় হুমায়ূন আমাদের কল্পনার মতই লিখতেন, এভাবে লিখতে পারতেন বলেই তিনি এত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তাই অনেকের লেখাই হুমায়ুন আহমেদের মত মিলে যায়
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ভাল লেগেছে ,অনেক ভাল লেগেছে…
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
ভালো হয়েছে ।
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ