সেক্স & দ্যা সিম্প্যাথি… (১)

খুশির যথেষ্ট কারন ছিলো গ্রোভারের, সে ভেবে পাচ্ছিলোনা কি করবে!… এতোদিনের ক্ষুধা, আপাদমস্তক তৃষ্ণা সে চেপে বসে আছে, যা আজ মিটিয়ে নেবার অনবদ্য পথ বেরিয়ে গেছে। যে যাবার সে চলে যাক, তৃষ্ণা! সে তো ছিলোই, সে থেকে যাবে, হয়তো সত্তুর আশি অবধি।
এ বড় দুর্বোধ্য আকাঙ্খা, বড় দুর্বিষহ আকর্ষন।

গ্রোভার কুদর্শন নয়, তবুও কেনো জানেনা তার দিকে মেয়েরা কোন টান অনুভব করেনা! যুগের সাথে তাল মিলিয়ে স্টাইল, ট্রেন্ড, ফ্যাশন, অনেক মেনে দেখেছে সে, কাজের কাজ কিছুই হয়না। যদিও এ নিয়ে আক্ষেপ নেই তার, আজকে তো একদমই নেই!

সিমরান!
মনে পড়ে গ্রোভারের! একরকম জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছিলো তার কাছে, প্রথম রাতেই মেয়েটা বলেছিলো,
আয়নায় নিজেকে দেখেছেন? ছুঁবেন না আমাকে! একশো হাত দূরে থাকুন!
অথচ জীবনের প্রথম মিলনের অনেক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো গ্রোভার। আশাগুলো হয়ত এভাবেই ভেঙে যায়!
তারপর আয়নায় নিজেকে হাজারবার দেখেছে সে, ছিমছাম শরীর, ফর্সা ত্বক, লম্বা, মায়াবী মুখের গড়ন কিন্তু কিছুটা কর্কশ! এটাই কি যাবতীয় সৌন্দর্যকে শ্রীহীন করে তুলেছে? বাহ্যিক কমনীয়তা কি সবসময় অন্তর্গত বিষয় নির্দেশ করে?
গ্রো জানে তার মন যথেষ্ট নরোম, যথেষ্ট নম্র ভদ্র আর সংযমী সে! নাহলে সেই ডিভোর্সের আগ পর্যন্ত চার চারটে মাস সিমরান তার সামনে নগ্ন হয়ে ঘুমুতো, প্রচন্ড উত্তেজনা পাগল করে দিতো গ্রোভারকে, কিন্তু সে ছুঁতোনা! সে ধর্ষক নয়, পুরুষ কখনো ধর্ষক হতে পারেনা, মানুষ কখনো ধর্ষক হতে পারেনা, ধর্ষক হয় পশু! একজন ধর্ষনকারী ধর্ষনের সাথে সাথে তার মানব পরিচয় হারিয়ে ফেলে!

ডিভোর্সের স্বীদ্ধান্তটা নিয়েছিলো গ্রোভার নিজে, সরাসরি বলে দিয়েছিলো,
এভাবে হয়না সিমরান, এসো যারযার পথে আলাদা হয়ে যাই…
সিমরান সে রাতে আকুল হয়ে কেঁদেছিলো, সমস্ত যৌবন স্বেচ্ছায় মেলে ধরেছিলো গ্রোভারের সামনে! বড় অদ্ভুত এই মেয়েমানুষ, কতো ছলাকলা জানে! কিন্ত গ্রোভার জাগেনি, স্পর্শও করেনি! সিমরান হয়তো নিরাপত্তার একটা দারুন যায়গা পেয়ে গিয়েছিলো তার কাছে, হারাতে চায়নি বলেই ব্যাকুল হয়েছিলো! সংযমী পুরুষদের মেয়েরা প্রথমেই পুরুষত্বহীন ভাবে, তারপর নিরাপদ। গ্রোভার ডিভোর্সের ব্যাপারে ছিলো অবিচল, সিমরানের কান্না তাকে নাড়া দিতে পারেনি!… তারপর অনেকগুলো দিন কেটে গেছে, কোন নারীর সাথে কোনধরনের সম্পর্কের ধারেকাছেও যায়নি গ্রোভার!

বিজ্ঞাপনটা সে দেখেছিলো একটি নামকরা পর্ন সাইটে, ভিডিওটা স্ট্রিম করতেই উত্তেজনায় জমে গিয়েছিলো সে! কি দারুণ আবিষ্কার! এরকম কিছুই তো এতোদিন খুঁজছিলো গ্রোভার। তারপর দিনগুনার পালা, ষোলশো পাউন্ড জমিয়ে আজকেই সে আরাধ্য নিধি ঘরে নিয়ে এসেছে!

“সেক্স ডল”

গ্রোভার ডলটার বুক দুটোতে হাত দিতেই ঠান্ডা উত্তেজনার আমেজ পেয়ে গেলো। বাস্তব কোন নারীকে ছুঁয়ে দেখেনি গ্রোভার, তবে তার বিশ্বাস এই সেক্স ডল তার থেকে কম কিছু নয়। উঃ কি মসৃন! নরোম ঠোঁটগুলো অনেক্ষন চুষলো গ্রোভার, শক্ত করে জড়িয়ে ধরে পিষে দিতে চাইলো! তারপর ব্রার ফিঁতে আর প্যান্টি পুরোপুরি খুলে ডলটার দু পা ফাঁক করে মাঝখানে শুয়ে পড়লো সে, সামান্য অলিভ অয়েল লাগিয়ে তার আজন্ম তৃষ্ণার্ত শুঁড় ঢুকিয়ে দিলো ভেতরে! সেক্স ডলটা যেনো কঁকিয়ে উঠলো একটু, যেনো এটা তারও প্রথম মিলন, হয়তো তাই, নরোম স্তনযুগল সজোরে চেপে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চোখ বন্ধ করে কোমর চালালো গ্রোভার, জীবনের প্রথম যৌনমিলনের অভিজ্ঞতা, খানিক পরেই বৃষ্টি ঝড়ালো সে। প্রশান্ত মেঘের মতো শুয়ে থাকলো সেক্স ডলটার বুকে।