মানবতার স্বার্থেই যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা প্রয়োজন
438
বার পঠিতযুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ৮ তারিখ থেকে তার ফাঁসি কার্যকরের দিন গণনা শুরু। কারা বিধি অনুযায়ী ১৪ তারিখ সন্ধ্যার মধ্যে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। ফাঁসির রায় দেয়ার পরপরই দেখলাম তার ফাঁসি কার্যকর হয়ে যাচ্ছে, এমন একটা ভাব চারদিকে। শেষ পর্যন্ত রায় লিখা, রায়ের কপি সাক্ষর, আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাত করার সুযোগ দেয়া, ক্ষমা চাইবে কি চাইবে না এই নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আমার ধারনা, সরকার চাইছে কামারুজ্জামান তার অপরাধগুলো স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিক, কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে কামারুজ্জামান অযথা সময় ক্ষেপণ করছে। এই সময় ক্ষেপণের উদ্দেশ্য কিন্তু খুব খারাপ।
একদিকে কামারুজ্জামান ক্ষমা চাওয়া নিয়ে সময় নষ্ট করছে, অন্যদিকে এই সময়টুকু তার দল বিদেশি লবিং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ সহ আরও নানা শক্তিকে তাদের পক্ষে এনে সরকারকে চাপে ফেলার ব্যবস্থা করছে। ফাঁসি নিয়ে সময় ক্ষেপণ করার কারনে আমরা অনেকেই সরকারের সমালোচনা করছি, ক্ষোভ প্রকাশ করছি, হতাশ হচ্ছি। কিন্তু ব্যাপারটা আমরা বাইরে থেকে যতটা সহজ ভাবছি ততটা সহজ কিন্তু না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক নানা মাধ্যম থেকে ফোন করা হচ্ছে, বিবৃতি পাঠানো হচ্ছে ফাঁসি বন্ধ করার জন্য। যদিও বি.এন.পি জামায়াতের টানা হরতাল অবরোধে ১০০ এর ও বেশি সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, পঙ্গু ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে অনেকে.. কিন্তু এসব সংগঠন গুলো এতে মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে এমনটি মনে করে নি। এই নিয়ে তাদের কোন কথা বলতে দেখা যায় নি। কিন্তু যেই যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে কথা উঠল, তারা ইনিয়ে বিনিয়ে মানবাধিকার সঙ্গীত গাওয়া শুরু করল। তার মানে এইসব সংগঠনগুলো আসলে কি চায়, তাদের উদ্দেশ্য কি, তা আমাদের সবার কাছেই স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক এসব চাপগুলোকে আমলে না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাহসের সাথে পরিস্থিতি সামলে নিচ্ছেন। এর জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আমরা অনেকেই ফাঁসির পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। যারা ফাঁসির বিপক্ষে বলেছেন, তাদেরকে ফাঁসির পক্ষের লোকেরা রাজাকার সমর্থক সহ আরও নানা কথা বলছে। অন্যদিকে যারা ফাঁসির জন্য অপেক্ষা করছেন, ফাঁসি নিয়ে উল্লাস করছেন, ফাঁসি বিরোধী লোকেরা একে মানবতা বিরোধী বলে আখ্যায়িত করছে। উন্নত দেশগুলো ধীরে ধীরে তাদের বিচার ব্যবস্থা থেকে ফাঁসি উঠিয়ে ফেলছে। তারা মনে করে সবারই বাঁচার অধিকার আছে, সে অপরাধী হোক আর যাই হোক। তারা মনে করে, কোন শিশু অপরাধী হয়ে জন্মায় না, সামাজিক পরিবেশের কারনে কেউ অপরাধী হয়, কেউ মানবতাবাদী হয়। অপরাধীর ভুল-সংশোধন করে তাকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে পারলেই সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব বলে তাদের ধারনা…. খুবই সত্য কথা।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যারা বন্দী আছে, তারা সকলেই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা এদেশের সন্তান হয়েও পাকিস্তানের পক্ষ নেয়। শুধুই পক্ষ নেয় নি, তারা পাকিস্তানিদের হত্যা যজ্ঞ চালাতে সাহায্য করে এবং শান্তি কমিটি, আলবদর ইত্যাদি বাহিনী করে বাঙালি হয়েও বাঙালি নিধনে নামে। এমন ঘৃণ্য অপরাধ যে তারা করেছে এর জন্য তাদের বিন্দু মাত্র অপরাধবোধ নেই। কাদের মোল্লার পরিবার এবং কামারুজ্জামানের পরিবারের ‘ভি’ চিহ্ন দেখানো তার-ই প্রমাণ। তারা যে শুধুই একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ করেছে তাই নয়, ৭৫’ এর পরবর্তী সময়ে তারা দেশের রাজনীতিতে প্রবেশ করে, দেশটাকে পুনরায় পাকিস্তান বানিয়ে ফেলার জন্য নীল নকশা করে। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পার করছি আমরা। এই সময়ের মধ্যেই তারা ধর্মকে পুঁজি করে এদেশের সাধারণ মানুষের মনে তাদের জন্য একধরনের সহানুভূতি সৃষ্টি করিয়ে নিয়েছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে তারা এখন অনেক অনেক শক্তিশালী হয়েছে। বাংলাদেশকে পুনরায় ধ্বংস করতে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছে।
এখন এই ভয়ংকর অপরাধীদের যদি কোন ভাবে মনবতা দেখিয়ে ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় তবে বি.এন.পি জামায়াত ক্ষমতায় এলে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে এবং মুক্তি পেয়ে গেলেই তারা পুনরায় দেশকে পাকিস্তান বানানোর কাজ শুরু করবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুদণ্ড প্রথার বিরোধী। আমি নিজেও মৃত্যুদণ্ড প্রথার বিরোধী।কিন্তু তারপরও আমি কামারুজ্জামান সহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড চাচ্ছি। কারন কামরুজ্জামান ছাড়া পেয়ে গেলে বা ওরা জিতে গেলে ওরা অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুদন্ড দেবে অতীতের মতো। জামাত শিবির জিতে যাওয়া মানে ওরা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করতে থাকবে। হত্যা করতে থাকবে তাদের বিরোধীদের…। দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না, ভিন্নমতের মানুষেরা আর তাদের মত প্রকাশ করতে পারবে না, প্রগতিকে থামিয়ে দিবে।
জঙ্গিবাদ-হত্যা-মৃত্যু এসব বন্ধের জন্যই আমি এই মৃত্যুদন্ডের পক্ষে। অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই এই রাজাকারদের মৃত্যুদন্ড চাচ্ছি আমি এবং আমরা।
অনেকে বলতে পারেন, এখনো তো মুক্তমনাদের হত্যা করা হচ্ছে, এখনো কি দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে কিছু আছে? এখন যদি সরকার ব্লগার হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়, তবে বি.এন.পি-জামায়েত বর্তমান সরকারকে নাস্তিক মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে নামবে। আর এই ইস্যু নিয়ে আন্দোলনে নামলে সফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখন তো অন্তত পক্ষে আমরা অনলাইনে ব্লগে লেখালেখি করতে পারছি, মুক্তমনা হত্যা করা হলে ধীর গতিতে হলেও অপরাধীদের ধরা হচ্ছে। কিন্তু জামায়েত শিবির ক্ষমতায় এলে আমাদের এই লেখালেখির সুযোগটুকু ও আর থাকবে না। এখন বাড়ির বাইরে রাস্তায় ঘাটে হত্যাগুলো করা হচ্ছে। তখন সরকারের নীরব সম্মতিতে বাড়ির ভিতরে এসে খুন করে যাবে।
আমি মনে করি না, রাজাকার নির্মূল মানে শুধুই কিছু বুড়ো রাজাকারের ফাঁসি। রাজাকার নির্মূল মানে খুন হত্যা নির্মুল করা, মনবতাবিরোধী চেতনাকে নির্মুল করা, মুক্তচিন্তাকে মুক্ত করা। দেশের স্বার্থে, মানবতার স্বার্থে, অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই এই রাজাকারদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা দরকার। একই সাথে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ সহ ধর্ম নিয়ে রাজনীতির এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। মাদ্রসা শিক্ষা বন্ধ করে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ত্রুটি মুক্ত করা প্রয়োজন। এভাবেই আমরা এগিয়ে যাব সুন্দর ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে। doctorate of pharmacy online
কিরন শেখর বলছেনঃ
হ্যাঁ মানবতার বৃহৎ স্বার্থেই যুদ্ধপরাধের বিচার হওয়া উচিৎ। খুব সুন্দর ভাবে বিষয় গুলো তুলে ধরেছেন।
ইতুর কথন বলছেনঃ clomid over the counter
walgreens pharmacy technician application onlineধন্যবাদ #কিরন
metformin tablet
কেপি বলছেনঃ
” মাদ্রসা শিক্ষা বন্ধ করে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ত্রুটি মুক্ত করা প্রয়োজন। ”
এই কথাটা নির্বোধের মত বলেছেন। মাদ্রাসাতে মোটেও ত্রুটিযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হয় না। সায়েন্সের সাবজেক্ট তারাও পড়ে, মাদ্রাসার ছাত্র আমাদের সাথে পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউভার্সিটিতেও পড়ছে। কোন যুক্তিতেই আপনি মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করার কথা বলতে পারেন না।
বাকি প্রতিটি কথার সাথে একমত।
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
capital coast resort and spa hotel ciproসহমত
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
amiloride hydrochlorothiazide effets secondairesএটা সম্ভবত ‘তারিক লিংকন’ ভাই এর পোস্টের মন্তব্য। এখানে কেন!
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
তাই নাকি !
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ফাঁসি হয়েই গেল!
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না, ভিন্নমতের মানুষেরা আর তাদের মত প্রকাশ করতে পারবে না, প্রগতিকে থামিয়ে দিবে।-কথা টা ভাল লাগল।