একজন সালামের গল্প…
275
বার পঠিত irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg৩টা ৪৫ বাজতে চলল প্রায়। ক্যাপ্টেন আমীন নিঃশব্দে এগোচ্ছেন, সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের দুই কোম্পানি সৈন্য।৩০০ সেনার মধ্যে রেগুলার আর্মির মাত্র ১০ জন, বাকিরা বেশিরভাগ মাত্র এক সপ্তাহের ট্রেনিং নিয়েই চলে এসেছে যুদ্ধে, কিশোর-ছাত্রজনতা… ময়মনসিংহ সীমান্তের নকশি বিওপিতে দুর্ভেদ্য পাকিস্তানীরা, মাইন ফিল্ড, সূচালো বাঁশের কঞ্চি আর কাঁটাতারের বেড়ায় ঘেরা পুরো ঘাঁটি, এর আগেও একবার আক্রমণ চালানো হয়েছিল, কোন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে ফিরতে পারেনি। এবার শুধু ইন্ডিয়ান আর্মির আর্টিলারি সাপোর্টটা যুক্ত হয়েছে, এই ই যা… সেটাও সীমিত পরিসরে… তবুও কেউ ভয় পাচ্ছে না, মৃত্যুকে ভয় পায় না এরা আজ অনেকদিন হল…
ঠিক ৩টা ৪৫ মিনিটে রেডিওতে আমীনের গলায় শোনা গেল “জোরে মার” চিৎকার, আর্টিলারি অংশ গোলাবর্ষণ শুরু করল সাথে সাথে। কিন্তু আফসোস, অন্ধকারে রেঞ্জ ঠিকঠাক ক্যালকুলেট করতে না পারায় গোলা এসে পড়ল একদম সামনে থাকা পদাতিক বাহিনির উপর, মুহূর্তে সব এলোমেলো হয়ে গেল। বহুকষ্টে আমীন আবার সবাইকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনলেন, আহতদের সরিয়ে নেবার আগেই শুরু হয়ে গেল পাকিস্তানিদের প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ, কানে তালা লেগে যাবার জোগাড়। কিন্তু আমাদের আর্টিলারি শেলিংয়ে ওদের বাংকারগুলোতে কিছুই হল না, অনেক হাই লেভেলের সিকিউরড ওগুলো…
এদিকে আহতের মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। দুটা কিশোর, ১৬ বছরের বেশি হবে না বয়স, কাতরাচ্ছে কয়েক গজ সামনে, কোনটা হাত কোনটা পা বোঝার উপায় নাই, রক্তের স্রোত সব একাকার করে দিয়েছে, একটু আগে মর্টারের শেল পড়েছিল ওদের পাশেই।সাঁই সাঁই করে গুলিবৃষ্টি, তার উপর মর্টারের শেলিং, পায়ের নিচে একটু পর পর মাইন বিস্ফোরণ, ক্যাপ্টেন আমীনের মনে হল আজো বোধহয় হল না। আর ২০-২৫ গজ সামনেই শত্রু অবস্থান, কিন্তু একের পর এক যোদ্ধা পড়ে যাচ্ছে, ঘাঁটি দখল করবেন কিভাবে? তারপরও হাল ছাড়লেন না আমীন, গলার রগ ফুলিয়ে চিৎকার করছেন, আগে বাড়ো, জওয়ান, মরতে ভয় পাও নাকি?
হঠাৎ পায়ের নিচে পাকিদের পুঁতে রাখা ধারালো বাঁশের কঞ্চি বাম পায়ে ঢুকে গেল আমীনের, পড়ে গেলেন তিনি, এক পাকি ছুটে এল বেয়নেট বাগিয়ে, চার্জ করবে। আমীনের চোখের পলক পড়তে না পড়তেই দেখলেন বাঘের গর্জনে তার পাশ থেকে একটা ছোট্ট ছেলে ঝাঁপিয়ে পড়ল পাকিটার উপর, ৩০৩ রাইফেলের মাথায় থাকা বেয়নেটটা হৃদপিণ্ডের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল আমূল, মরার আগে পাকিটার অবাক দৃষ্টি চোখ এড়াল না আমীনের, মাত্র অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে ছেলেটা , অবাক হওয়ারই কথা…
সালামের বাপ ছিল ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সুবেদার মেজর, বাড়ির উঠানে চোখের সামনে বাপরে জবাই করে মারছিল রাজাকারেরা, কোরবানির গরু জবাই দেয় যেমনে… পাশেই অষ্টাদশী বোন আর মাকে খুবলে খুবলে খাচ্ছিল পাকিস্তানী শুয়োরগুলো, ধর্ষণ শেষে বেয়নেটে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয় গলা থেকে যোনি, সালাম একটা টুঁ শব্দ করতে পারে নাই। খাটের নিচেই সালামের মৃত্যু হইছিল, মরে গিয়েছিল সালামের হৃদয়, অন্তর, আত্মা… all possible side effects of prednisone
সেই মুহূর্ত থেকে সালাম একটা চলমান লাশ, বহুদিন, বহুবার ক্যাপ্টেন আমীনকে সে অনুরোধ করছে তাকে যুদ্ধে নিয়ে যাওয়ার জন্য, খালি একটা পাকি মারতে চায় সে, আর কিচ্ছু না… আমীন তো জেনেবুঝে একটা ছেলেকে মরতে দিতে পারেন না। বহুভাবে বুঝাইছেন তিনি সালামকে, সালাম কিন্তু বুঝে নাই। সে খালি একটা জিনিসই জানে, পাকিস্তানী মারতে হবে তাকে, নিজের হাতে, টুকরা টুকরা করে, যতগুলা পারে… এই অপারেশনে আসার আগে অ্যাসেম্বলি এরিয়ায় সবার পেছনে লুকায়ে ছিল সালাম, আমীন বুঝেও কিছু বলেন নাই। এতো করে চাইতেছে, যাক একটা যুদ্ধে, ওরে তো আর ফ্রন্টে আসতে দিতেছি না। আমীন আসলে চিনতে পারেন নাই সালামরে, কেই বা চিনছিল?
পায়ে কঞ্চি ঢুকে গেছে,অসহ্য যন্ত্রণা, অর্ধেকেরও বেশি যোদ্ধা হয় নিহত নাহলে আহত, শত্রু অবস্থান থেকে বিরামহীন গোলাবর্ষণ হচ্ছে, সালামকে সামনে দেখে সেকেন্ডের জন্য সব ভুলে গেলেন ক্যাপ্টেন আমীন। “তুমি সামনে আসছ কেন? পিছনে থাকতে বলছি না? সাহস কত তোমার, কমান্ডারের অর্ডার মানো না… বকতে বকতেই হঠাৎ খুব কাছে আরেকটা গোলা এসে পড়লো, চোখের সামনে টুকরো টুকরো হয়ে গেলেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। আমীন বকাটুকু শেষ করতে পারলেন না। বেয়াদবটার অবশ্য এদিকে কোন খেয়াল নেই, এক মনে ফায়ার করছে। শত্রু অবস্থান যখন আর মাত্র পাঁচ গজ, হঠাৎ গুলি লাগলো আমীনের বা হাতের কনুইয়ে, ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গেলেন আমীন। শত্রু পিছিয়ে যাচ্ছে, শেষবারের মত ঝাঁপ দেবে বলে। মেশিনগানার পড়ে গেল হঠাৎ, ঝরঝর করে রক্ত পড়ছে আমীনের শরীর থেকে, দিশেহারা মুক্তিযোদ্ধারা…
হঠাৎ উঠে দাঁড়ালো সেই ছেলেটা, ছেলেটার নাম সালাম, মাত্র ১২ বছর বয়স… এলএমজিটা তুলে নিল,জয় বাংলা চিৎকার দিয়ে দৌড়াতে শুরু করল, একেবারে পাকিস্তানী বাংকার লক্ষ্য করে… কোনোদিকে তাকাচ্ছে না ছেলেটা, দৌড়াচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে,” আব্বা গো, ও আব্বা, দেখো, আমি ভয় পাই নাই, তোমার সালাম ভয় পায় নাই.. .. দেইখা যাও আব্বা, দেইখা যাও… can your doctor prescribe accutane
সালামের লাশটা পাওয়া যায় বাংকারের পাশে, গুলিতে গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিল। গুলি ফুরিয়ে যাবার পর বেয়নেট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সালাম, একটা পাকিস্তানীরেও বাঁচতে দেয় নাই। রক্তের স্রোতের মধ্যে ডুবে গিয়েছিল ছেলেটা, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছিল, আমাদের সালাম, ক্লাস এইটে পড়া বারো বছরের একটা বাচ্চা ছেলে, যার বীরত্বগাঁথা আজকে ধূলা পড়া অতীত মাত্র…
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ tome cytotec y solo sangro cuando orino
অসংখ্য ধন্যবাদ এই বীরযোদ্ধা সম্পর্কে বলার জন্য
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
পড়বার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
মুক্তিযোদ্ধাকে ণীয়ে লীখাড় জন্য ধন্যবাদ ।