ইন্ডিয়াস ডটার রিভিউঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
বার পঠিতসম্প্রতি বিবিসির প্রযোজনায় নির্মিত “ইন্ডিয়াস ডটার” ডকুমেন্টারিটি দেখলাম। ২০১২ সালে দিল্লীর আলোচিত ধর্ষণ কান্ড নিয়ে নির্মিত ছবি এটি। ফিকশন, ডকুমেন্টারি মিলিয়ে জীবনে কম সিনেমা দেখিনি। কিন্ত বলতে বাধ্য হচ্ছি আর কোন সিনেমা এতটা “শকিং” অনুভূতি তৈরী করেনি যতটা না তৈরী করেছে এই ছবিটি। ব্রিটিশ পরিচালক লেসলি উডউইন বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সেদিনের ঘটনা প্রবাহ ও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্যকে তুলে ধরেছেন। ভারতবর্ষে সংখ্যা গরিষ্ঠ পুরুষের মানসিকতা , নারী্র প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে মুন্সিয়ানার সঙ্গে তুলে ধরার জন্য পরিচালকেরও কৃতিত্ব প্রাপ্য। এটি এমনই এক ছবি যা প্রত্যেক ভারতীয়র দেখা বাধ্যতামূলক করা উচিত অথচ বিস্ময়কর ভাবে ভারত সরকার ইতমধ্যেই তাদের দেশে ছবিটির প্রচার নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি বিবিসি কর্তপক্ষ ইউটিউব থেকে ডকুমেন্টারিটি সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছে। এই হল মোদী জমানায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দাবীদার দেশটির বাক স্বাধীনতার নমুনা!
২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লীর প্যারামেডিকেল ছাত্রী জ্যোতি সিং তার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে “লাইফ অফ পাই” সিনেমা দেখে ফেরার পথে চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষকেরা শুধু তাকে ধর্ষণ করেই ক্ষ্রান্ত হয়নি প্রায় মৃত অবস্থায় রাস্তায় নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। প্রায় ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৯ই ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মেয়েটি মারা যায়। এ ঘটনায় গোটা ভারত জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। সারা বিশ্বেই ঘটনাটি ব্যাপক মিডিয়া কাভারেজ পায়। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ছয় ধর্ষককে। এদের একজন ছিল সে সময়ের ১৭ বছরের কিশোর। জনগণের দাবীর মুখে ভারত সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডকে নির্ধারণ করে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে। নুতুন আইনে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হয়। অভিযুক্ত কিশোরটির বিচার হয় কিশোর আদালতে। অভিযুক্ত ৫ জন পূর্ণ বয়স্কেরই ফাঁসির আদেশ হয়। কিশোরটির ৩ বছরের সাজা ঘোষিত হয়। অভিযুক্তদের একজন রাম সিং দিল্লীর তিহার জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় আত্বহত্যা করে। রাম সিং এর ছোট ভাই মুকেশ সিং সহ বাকিদের আপিল বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। মুকেশ সিং এর সাক্ষাৎকার রয়েছে ছবিটিতে। পরিচালক বেশ দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রসঙ্গে মুকেশ সিং এর বক্তব্যকে ব্যবহার করেছেন। অভিযুক্তদের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনকে তুলে ধরে তাদের মনস্তত্ব সম্পর্কেও দর্শকদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ছবিটির এক জায়গায় মুকেশ সিং বেশ সাবলীল ভাবেই বলছে ধর্ষণের জন্য কখনোই কোন পুরুষ দায়ী নয়, দায়ী একমাত্র নারী। কারন তার ভাষ্য মতে নারীরা উত্তেজক পোশাক পড়ে পুরুষদের মনে কামনার উদ্রেক করে। তার ভাষায় নারীদের কাজ সংসার দেখাশোনা করা ,স্বামীর সেবা যত্ন করা ইত্যাদি। যেহেতু কোন ভদ্র মেয়ের এত রাতে বাড়ির বাইরে থাকার কথা নয় তাই ধর্ষণের মাধ্যমে তাকে ভদ্রতা শেখানো যেন তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে! ছবিটির আরেক জায়গায় সে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডকে নির্ধারণের বিরোধীতা করে বলেছে যে এর ফলে আর কোন ধর্ষকই ধর্ষিতাকে জীবিত অবস্থায় ফেলে রেখে আসার মত ভুল করবে না, সরাসরি হত্যাই করবে। মুকেশ সিং শুধু সেদিনের ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনাই দেয়নি তার দেখা কিংবা শোনা অন্য অনেকের করা বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনাও সাবলীল ভাবে বর্ণনা করেছে, একেবারে সম্পূর্ণ অনুশোচনাহীন অবস্থায় । উল্লেখ্য মুকেশ সিং স্বল্পশিক্ষিত, সে ও তার বড় ভাই বেড়ে উঠেছিল দিল্লীর এক বস্তিতে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরটিরও ঠিকানা ছিল তাই। অভিযুক্ত কিশোরটি প্রায় তিন বছর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। এমনকি তার মায়ের কাছেও সে ছিল মৃত। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই বেড়ে উঠেছে দিল্লীর বিভিন্ন বস্তিতে। সীমাহীন দারিদ্রতা ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী। প্রত্যেকেই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। সুস্থ শৈশব বলতে যা বুঝায় তার তাদের কারো ভাগ্যেই জোটেনি। মাদক, অপরাধ, পতিতাবৃত্তি, নারীর প্রতি সহিংসতাকে দেখেছে তারা খুব কাছ থেকে। তাদের নিজস্ব নৈতিকতাবোধ, নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে তাই এগুলোর প্রভাবও ব্যাপক। প্রকৃত পক্ষে রাম সিং, বিনয় শর্মারা ভারতের কোন বিচ্ছিন্ন চরিত্র নয়, তারা ভারত তথা সারা বিশ্বের অসংখ্য অসুস্থ পুরুষের প্রতিনিধি। ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ অথচ সে দেশের অসংখ্য মানুষ এখনো দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। অসংখ্য শিশু কিশোর সে দেশে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। অনেককে পেটের দায়ে অল্প বয়সেই রাস্তায় নামতে হয়। কন্যা সন্তান ভ্রূণাবস্থায় হত্যাও সে দেশে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সে দেশের শিশু কিশোরেরা বেড়ে উঠার পথে নারীর প্রতি সহিংসতাকে খুবই স্বাভাবিক হিসেবে দেখে। নাচে গানে ভরপুর বলিউডি সিনেমাগুলোও এক্ষেত্রে তাদের সামনে নারী সম্পর্কে কোন ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরে না। সবমিলিয়ে এগুলোই প্রভাব ফেলছে নারীর প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে।
অভিযুক্তদের আইনজীবীদেরও সাক্ষাৎকার রয়েছে ছবিটিতে যেখানে এক আইনজীবি বলছেন যদি তার নিজের মেয়ে কারো সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কে জড়ায় তাহলে তিনি নিজ হাতে তার মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মারবেন। আরেক আইনজীবী ধর্ষিতার এত রাতে বাইরে বেরোনোকে অজুহাত হিসেবে তুলে ধরে ধর্ষণের পক্ষে সাফাই গাইছেন । আমি ঠিক জানি না এই আইনজীবীরা পেশাগত কারণে কিংবা আলোচনায় আসার জন্য এসব বলেছেন নাকি আন্তরিক ভাবেই এসব বিশ্বাস করেন। তবে এ নিয়ে মোটেও সন্দেহ নেই এরকম চিন্তা ভাবনার অসংখ্য মানুষ রয়েছে, শুধু ভারতে নয় আমাদের দেশেও। আমাদের দেশেও অসংখ্য মানুষ বিশ্বাস করেন নারীদের অমঙ্গলের জন্য দায়ী একমাত্র নারীরাই। এদেশের তথাকথিত অনেক শিক্ষিত মানুষের পক্ষ থেকে ধর্ষণ কিংবা ইভ টিজিং এর জন্য নারীদের পোশাককে দায়ী করা হয়। মেয়েদের হোস্টেল গুলোতে রাতে চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে স্বয়ং অধ্যক্ষ হাজির হন “মিউচুয়াল সেক্স” তত্ব নিয়ে । এমনকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতেও ধর্ষণের নজির রয়েছে এদেশে। এদেশে সংসদে বসে নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দেয়া যায় অথচ সংসদের ষ্পিকার নিজে নারী হয়েও চুপ করে বসে থাকেন । মুকেশ সিং, বিনয় শর্মাদের মত লোকেরও অভাব নেই এদেশে। ইনফ্যাক্ট এরা ছড়িয়ে আছে এদেশের পথে ঘাটে। রাস্তা ঘাটে চলার পথে এদের মত লোকদের দ্বারাই নারীরা উত্ত্যক্তের শিকার হয়। কেউ সাহস দেখিয়ে প্রতিবাদ করলে তার ভাগ্যে জোটে আরো খানিকটা লাঞ্জনা ,গঞ্জনা, অপমান । চলার পথে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণও এদেশে খুব স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন পত্রিকা খুললে ধর্ষণের অসংখ্য খবর চোখে পড়ে। ধর্ষকদের ধর্ষণ করতেও এদেশে কোন উপলক্ষ্য লাগে না। প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনে বিজয়ের আনন্দ যে কোন উপলক্ষ্যেই এদেশে ধর্ষণ করা যায়। সব সম্ভবের এ দেশে ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে ধর্ষণের মামলা আবার রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহারও হয়ে যায়। নানা প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে খুব কম সংখ্যক মামলাই শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্ত ধর্ষণের পর থেকে একজন ধর্ষিতাকে সমাজের কাছ থেকে যে পরিমাণ লাঞ্জনা- গঞ্জনার শিকার হতে হয় তাতে তার পক্ষে ধর্ষণের মামলা চালানো যেন আরেক বার ধর্ষিত হওয়ার শামিল। ফলে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে অধিকাংশ ধর্ষকই বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। walgreens pharmacy technician application online
নারীরা যে এদেশে শুধু ঘরের বাইরেই অনিরাপদ তা নয় ঘরের অভ্যন্তরেও তাকে কম নির্যাতনের শিকার হতে হয় না। বিবিএসের জরিপে দেখা গেছে দেশের ৮৭ ভাগ বিবাহিত নারীই তাদের স্বামীদের কাছ থেকে নির্যাতনের শিকার হন। অর্থাৎ শিক্ষিত -অশিক্ষিত, ধার্মিক – অধার্মিক নারীর প্রতি সহিংসতায় কেউই কম যান না। এই পরিবারগুলোর সন্তানেরাও বেড়ে উঠছে নারীর প্রতি এক ধরনের অসুস্থ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে। নারী বিদ্বেষী তথাকথিত এই শিক্ষিতরাই সবকিছুর মধ্যে আগে নারীদের দোষ খুজে পায় । ধর্ষণের দায় পোশাকের উপর চাপিয়ে পুরুষতন্ত্রের সাফাই গায়। এদের মধ্যে কিছু “মডারেট ধার্মিক” আবার বোরখার মধ্যে নারীমুক্তি্র উপায় খুজে । পর্দা দিয়ে নারীদের ঢাকানোর মাঝে এরা ধর্ষণ প্রতিরোধের উপায় খুজে পায় অথচ সুযোগ পেলে গণিমতের মাল হিসেবে কাফের মালাউনদের ধর্ষণের সুযোগ এদের অনেকেই হাতছাড়া করবে না। ভারতের মত আমাদের দেশেরও অধিকাংশ বিনোদন মাধ্যম নারী সম্পর্কে কোন ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরে না। এ দেশের বিনোদন মাধ্যমের হর্তাকর্তাদের কাছে নারীও যেন একটি পণ্য , নারীও তাদের জন্য ব্যবসার নুতুন দ্বার উন্মোচন করে। নারী বিষয়ে সমাজকে কোন ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেয়ে আইটেম গানে নারীর স্বল্প বসনে উপস্থিতি তাদের জন্য অধিক পরিমাণ লাভজনক। ভারতের মত আমাদের দেশেও অসংখ্য শিশু কিশোর বস্তির দারিদ্র পীড়িত পরিবেশে বেড়ে ওঠে । রাস্তাঘাটে ঘুড়ে বেড়ানো পথ শিশুদেরও অভাব নেই এদেশে। রাষ্ট্র কিংবা সমাজ কেউ এদের কোন খোজ খবর নেয় না। শিক্ষার অধিকার থেকে এই শিশুগুলো বঞ্চিত। সুস্থ শৈশব বিহীন এই শিশুগুলো বেড়ে ওঠে এক ধরনের অসুস্থ মানসিকতা নিয়ে। কাজেই এদের মধ্যে যে কেউ বড় হয়ে মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা হবে না তার গ্যারান্টি কি?
ইদানীং ভারতে কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মানুষকে খুব উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়। এদের অনেকের কাছে ভারতের অপর নাম “রেন্ডিয়া” কাজেই ভারতে ধর্ষণের ঘটনা বেশি প্রচার পেলে ভারতের এই নাম করণের স্বার্থকতা কিছুটা পূরণ হয় এটাই সম্ভবত তাদের উচ্ছ্বাসের প্রধান কারন। অথচ এদেশে পড়তে এসে ভারতীয় এক নারী যে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে যায় তা আর আমাদের চোখে পড়ে না। এমন কি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের বিজয়ের পরও বিজয় উদযাপন করতে গিয়ে আমরা পাহাড়ী মেয়েদের ধর্ষণ করি । তথাকথিত এই দেশপ্রেম কিংবা জাতীয়তাবাদের গায়েও আমরা খুব সহজেই পুরুষতান্ত্রিকতার লেবাস পরিয়ে দেই।
কেউই অপরাধী হয়ে পৃথিবীতে জন্মায় না। রাষ্ট্র যদি কোন শিশুর সুস্থ স্বাভাবিক বিকাশের নিশ্চয়তা দিতে না পারে তাহলে পূর্ণ বয়স্ক হয়ে সেই শিশুটির অপরাধের দায় কিছুটা রাষ্ট্রের উপরও বর্তায়। একজন দুজন ধর্ষককে শাস্তি দিয়ে যে এদেশ থেকে ধর্ষণ নির্মূল করা যাবে না এটাও একটা বাস্তব উপলব্ধি । ধর্ষণের মত গুরুতর অপরাধ বন্ধ করতে হলে তাই সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা, প্রয়োজন শত বছর ধরে লালিত হয়ে আসা নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। একমাত্র শিক্ষাই পারে এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে। একমাত্র শিক্ষাই পারে একজন মানুষকে নারী পুরুষের পরিচয়ের উর্ধে উঠে একজন প্রকৃত মানুষ বানাতে । শিক্ষা শুধু একজন নারীকে আত্মমর্যাদাবান করে তোলে না । সেই সঙ্গে একজন পুরুষকেও পুরুষতান্ত্রীক পরিচয়ের পূর্বে একজন প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়। শেখায় একজন নারীকে সম্মান করতে। সেটাই একজন পুরুষের কাছে একজন নারীর সর্বোচ্চ চাওয়া। “ইন্ডিয়াস ডটার” ডকুমেন্টারিটি এই সত্য গুলোকেই আবার নুতুন করে সামনে এনেছে। viagra in india medical stores
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
সত্য কথা।
অপার্থিব বলছেনঃ
রাজনীতিতে দুর্বত্তায়ন ঘটেছে । অন্তত সংসদে এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মত সৎ সাহস নেই ষ্পিকারের, এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
স্পিকার তো ক্ষমতাহীন নামসর্বস্ব মামুলি একটা পদ, কত মহিলা মন্ত্রী, বিরুধী দলীয় নেত্রী, সংসদ উপনেতা এমনকি সংসদ নেতা নারী হবার পরেও এই বিষয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই।
অপার্থিব বলছেনঃ
অর্থ আর ক্ষমতা লোভের লিঙ্গভেদে কোন বিভাজন নাই । অর্থ-ক্ষমতার কাঙ্গাল এই সব মন্ত্রী -বিরোধী দলীয় নেত্রী ,সংসদ সদস্যদের কাছে নারী – পুরুষ সবই একই জিনিস। নারীর সম্মান কিংবা অসম্মান নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় এদের আছে বলে মনে হয় না আর যে এইসব বলেছে সে তো বিশাল প্রভাবশালী। কে আর গায়ে পড়ে বিবাদ টেনে আনে।
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
বস্তুনিষ্ঠ লেখা চালিয়ে যান
অপার্থিব বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ
ভালো লাগছে
অপার্থিব বলছেনঃ
ড়ার জন্য ধন্যবাদ।
buy kamagra oral jelly paypal uk
ঐষী- দ্য বিচ্ছু বলছেনঃ
আশা করছি এমন একটা দিনের যেদিন নারীর অধিকার আদায়ের জন্য আলাদা করে আমাদের নারী দিবস পালন করার প্রয়োজন হবে না।
মানুষ হিসেবে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়ব আমরা।
অপার্থিব বলছেনঃ metformin synthesis wikipedia
নারী দিবস , ভালবাসা দিবস এগুলো সব পুজিবাদীদের তৈরী । পুজিবাদীরা নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনেই এই সব দিবসের প্রচলন ঘটিয়েছে। নারীর অধিকারের কথা বলে একচুয়ালি এরা পুরুষতন্ত্রেরই সাফাই গায়। বলা যায় যে প্রচলিত মুখোশের উপর নুতুন একটা মুখোশ পড়ে নেয়ার নামই এদের কাছে নারীবাদ।