আই এস,বাংলাদেশ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা
546
বার পঠিত side effects of quitting prednisone cold turkeyগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার,
২৮ নং অনুচ্ছেদ:
ধর্ম প্রভৃতি কারণে বৈষম্য এর উপ অনুচ্ছেদ-
(১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শণ করিবেন না।
(২) রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন।
(৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধ্যকতা বা বাধা শর্তের অধীন করা যাইবে না।
(৪) নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোনকিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।
বিষয়গুলো একটু বিশ্লেষণ করিঃ
উপ অনুচ্ছেদ- (১) ও (৩)-
দেশের সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার লক্ষ্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে গণজীবনের মান উন্নত করা এবং মূল্যবোধ সৃষ্টি করা। সেখানে মাদ্রসা শিক্ষাব্যবস্থা সরাসরি এর বিপরীত। রাষ্ট্র মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা নামক আরেকটি শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে মৌলবাদী আদর্শে অদক্ষ-অকর্মঠ, দেশপ্রেমহীন, মূল্যবোধহীন নাগরিক তৈরি করতে পারে না। বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতিতে আই এস’এর উত্থান কিংবা আল-কায়েদার আদলে বাংলাদেশে মানুষ পুড়িয়ে মারা কিংবা ব্লগার আর মুক্তচিন্তার মানুষদের হিটলিস্ট করে এঁকে এঁকে কতল করা সব কিছুই কিন্তু এই রুগ্ন শিক্ষাব্যবস্থার ফসল। সংবিধান অনুযায়ী উক্ত উপ-অনুচ্ছেদদ্বয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে কিন্তু ধর্মের কারণে মাদ্রাসা বলে কোন আলাদা শিক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ীই সরকার এই শিক্ষাব্যবস্থাকে চালিয়ে নেয়া কতটা সমীচীন তা বিবেচনা করার সময় হয়েছে।
(৪) নং উপঅনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র এখানে বালিকা বিদ্যালয় কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাতে পারে। কিন্তু কোন বালক বিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠান চালাতে পারেনা। সেটা সরাসরি (২) উপঅনুচ্ছেদের পরিপন্থী। অন্যভাবে বললে একক বালক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইন অনুযায়ী অবৈধ। এগুলো সরাসরি আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। কেননা সরকার কেবল অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে তুলে আনার জন্যে এমন বিকল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে পারে, আর আমাদের সমাজে বালক কিংবা পুরুষ অবহেলিত না। সুতরাং প্রথমত মাদ্রাসার মতো অসংবিধানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তন এবং পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন এবং পরিমার্জন, তদুপরি দেশে এক ও অভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবী জানাই, এবং অবিলম্বে সেটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
যেহেতু সংবিধানের সাথে যেহেতু এই শিক্ষা ব্যব্স্থা সাংঘর্ষিক তাই এই কাজ টা করতে সরকারের কোন বাধা থাকার কথা না। আমরা যদি এক দল কিশোর ও তরূন ছাত্র জনগোষ্টি কে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিবেক এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কিংবা মৌ্লবাদি বানায় তার কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হতে পারে না।একবার এক পরিচিত এক মাদ্রাসা ছাত্র আফসোস করে বলছিল যে তারা আলিম অথবা পাশ করার পর মেডিকেল অথবা প্রকৌশল শিক্ষা ব্যবস্থায় ভর্তি পরিক্ষায় পিছিয়ে থাকে। সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে বা অসচেতন ভাবে এতোগূলো তরুন কে অদক্ষ করে বড় করার কোন যূক্তি থাক্তে পারে না।
অবিলম্বে সরকারের প্রতি এই ব্যপারে উদ্যোগ নেয়ার অনূরোধ রইল। এক দেশ এক শিক্ষা ব্যব্স্থা । “নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে কোনকিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না। এই উপধারায় সব কিছূর এত সূন্দর সমাধান থাকতে কেন কঠোর হতে পারছি না? বা কোন উদ্যোগ নিতে পারছে না সরকার? আজ একটাই দাবি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হবে এই বাঙলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে একমুখী বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
এইবার ধর্ম ভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কিংবা যারা ধর্মকে ব্র্যান্ড নেইম ইউজ করে ব্যবসা করে তাদের এইসবের আড়ালে আর কি কি হতে পারে আর হয় আমরা পত্র পত্রিকায় অনেক দেখেছি। এইবার আমার একটা ছোট্ট পর্যবেক্ষণ। ছবিতে লাল গোল চিহ্নিত জায়গাটি হচ্ছে তথাকথিত আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটির সীতাকুণ্ড ক্যাম্পাস। আর লাল আয়তকার চিহ্নিত জায়গাটি হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের সেই বিখ্যাত স্পেশাল স্থানটি যেখানে সবসময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের কর্মীরা তাণ্ডব চালায় কথার কথায় এবং রাতে ডাকাতি করে।
এইরকম আরও হাজারো জঙ্গি আস্তানা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সরকারের কাছে চিহ্নিত আছে। গোয়েন্দা সংস্থা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আর সংবাদ মাধ্যমের তথ্য থেকে আরও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। দেশ ও জাতির মঙ্গলে এবং জনসাধারণের আধুনিক জীবন নিশ্চিত করতে এই মুহূর্তে অসাংবিধানিক মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করার বিকল্প নাই।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
শুরুর আগেই পোস্ট শেষ!
হাসি পাচ্ছে আপনার উপর! আপনি কি সব সময়ই এমন অবাস্তব কথা বলেন নাকি এখন বলছেন! বাস্তবতা আপনাকে দেখতে হবে। সরকার কেন বন্ধ করছে না প্রশ্নটিই তো অবাস্তব!
যেখানে সাইদিকে চাঁদে পাঠিয়ে করা হয় তান্ডব, আর আপনি বলছেন মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধের কথা!
আমি ভিন্ন কথা বলি! যেটা সম্ভব হতে পারে। সেটা হল এই মাদ্রাসা গুলো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনা। এদের কার্যক্রম নজরে রাখা।
তারিক লিংকন বলছেনঃ clomid over the counter
কীভাবে শুরু না হতে শেষ হয়ে গেলো বুঝলাম না। আমার টাকা থাকলে এই মুহূর্তে আমি সংবিধানের এই ধারা মোতাবেক আলাদা বালক বিদ্যালয় এবং কলেজ আর মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্তার রহিত চেয়ে মামলা করতাম… metformin tablet
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমি পোস্টের কথা বলেছি, শুরুর আগেই শেষ!
আর হাসি পাচ্ছে, সত্যি আপনার উপর হাসি পাচ্ছে…
প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করে দেক হবে…… আপনি খুবই অদূরদর্শী…
ফারজানা নীলা বলছেনঃ about cialis tablets
জয়ের সাথে একমত। শুরুর আগেই শেষ।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
বিস্তারিত লিখার ইচ্ছা আছে! আপনারা গঠনমূলক কিছু না বলে খালি খুছাইলে তো ব্লগ পোস্ট সম্বৃদ্ধ হবে না…
কিরন শেখর বলছেনঃ
metformin gliclazide sitagliptinবাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের পূর্ব হতেই এদেশে মাদরাসা শিক্ষা চলমান। ধর্ম শিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরকার এটা একান্তই ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে ঘটেছে। যাহোক বিলদ আলোচনায় যাচ্ছি না। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা এক তুড়িতে উড়িয় দেয়ার অবস্থানে না। বাস্থবতা মেনে এগিয়ে যেতে হবে সেটিই যৌক্তিক
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
/// মাদরাসা
শিক্ষা ব্যবস্থা এক তুড়িতে উড়িয় দেয়ার
অবস্থানে না। বাস্থবতা মেনে এগিয়ে যেতে হবে
সেটিই যৌক্তিক///
এক মত
তারিক লিংকন বলছেনঃ amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
আমি একটা আইনি ফাঁক বের করে দিলাম। যে আইনে প্রচলিত মাদ্রাসা শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। খুব সহজেই সাংবিধানিক ভাবেই সরকার চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড দিয়ে সাধারণ শিক্ষার সাথে সমন্বয় করে মূলধারায় নিয়ে আসা সম্ভব…
আমার প্রস্তাবে আমি কোথাও কি বলেছি যে মাদ্রাসা শিক্ষাকে বন্ধ করা অর্থ এইসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিশিদ্ধ করে দিতে হবে। আমি বলেছি বা বলতে চেয়েছি একটা উপায় বের করে (আমি শেয়ার করতে চাচ্ছি না এইখানে) মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে…
কিরন শেখর বলছেনঃ nolvadex and clomid prices
এটা যারা রাখতে চায় তারা এরকম ১০ টি আইন দেখিয়ে দেবে সংবিধানের মধ্যেই। অতএব বিষয়টা যতনা আইনি তার চাইতে সামাজিক।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
সমাধানের উপায় খোঁজতে হবে সমস্যা সৃষ্টির সমাধান না…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
// দেশ ও
জাতির মঙ্গলে এবং জনসাধারণের আধুনিক
জীবন নিশ্চিত করতে এই মুহূর্তে অসাংবিধানিক
মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করার বিকল্প নাই।// আপনার শেষ লাইনেই বলেছেন…
সব সময় আইনের ব্যবহার চলে না! আমরা আইন পরিবর্তন করেছিলাম, ফলাফল কাদের মোল্লার ফাঁসি… এরাও সংশোধন করে নেবে… সুতরাং এই আইনের ফাঁক খুজে কিছু করা নিতান্ত নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছু হবে না!
ফারজানা নীলা বলছেনঃ
মাদ্রাসা বন্ধ করতে হবে এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনি হেফাজতকে জমি দিয়ে তো আর মাদ্রাসা বন্ধ করতে পারেন না। তাই না ! irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
// আপনি হেফাজতকে জমি দিয়ে
তো আর মাদ্রাসা বন্ধ করতে পারেন না। ///
তারিক লিংকন বলছেনঃ
হুম আমরা সবাই জানি এবং মানি। কিন্তু আমি দেখিয়ে দিলাম যেকোন সচেতন জনগণ চাইলে এই মৌলিক অধিকার মোতাবেক মামলা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই পশ্চাৎপদ শিক্ষা ব্যাবস্থাকে মূল ধারায় নিয়ে আসা সম্ভব…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আবারও বলছি ব্যপারটা নির্বুদ্ধিতা হবে, আইনই চেঞ্জ হয়ে যাবে…
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
সংবিধান সম্পর্কিত আরো কিছু প্রাসঙ্গিক ব্যাপার বলি।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১২ তম অনুচ্ছেদ “ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা” এর চারটি দফা হলঃ
ক) সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতা বিলোপ করা হবে,
খ) রাষ্ট্রের দ্বারা কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান করা হবেনা
গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার করতে দেয়া হবেনা
ঘ) কোনো বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তার উপর নির্যাতন, নিপীড়ন, বিলোপ করা হবে।
১২ তম অনুচ্ছেদের খ নং দফায় ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান না করার অঙ্গীকার থাকলেও সংবিধানের ২ক অনুচ্ছেদে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়েছে। আমি এই দ্বৈত ব্যবস্থার মানে বুঝলাম না।
সংবিধানের ২৮ তম অনুচ্ছেদের ১ম দফায় বলা হয়েছে “ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষ বা জন্মস্থানের কারণে নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য করতে পারবেনা।”
সংবিধানের ২৯ তম অনুচ্ছেদের ২য় দফায় বলা হয়েছে, “শুধু ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী- পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিক রাষ্ট্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেনা বা এসব ক্ষেত্রে তার প্রতি কোনো বৈষম্য প্রদর্শন করা যাবেনা।”
অথচ, বাংলাদেশের মাননীয় চিফ জাস্টিস এস কে সিনহার নিয়োগ বিষয়ে ধর্মান্ধ ছাগল গুলো বারবার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলে ম্যা ম্যা করে গেল যা স্পষ্ট সংবিধান পরিপন্থী! তাছাড়া প্রত্যেক পদে পদে বাংলাদেশের ধর্মান্ধ মুসলিমরা বারবার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার দেশ বলে এটা সেটা জায়েজ করতে চায়! অথচ, সংবিধান স্পষ্টত কোনো বিশেষ ধর্মকে স্পেস দেবেনা সেটা নিয়ে সংকল্প বদ্ধ!
হেফাজতের দাবীর পরই কিছুদিন আগে ওলামা লীগের দাবীতেও আছে সংবিধান বিরোধী বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তির কথা! তাদের একটি দাবী হচ্ছে “৯৮% মুসলিমের দেশে আনুপাতিক হারে চাকুরি দিতে হবে। ৬০% বা তারও বেশি হিন্দুকে চাকুরি দেয়া যাবেনা। প্রশাসনকে হিন্দুকরণ করা যাবেনা।” এই দাবী স্পষ্টত সংবিধানের ২৯ তম অনুচ্ছেদের ২য় দফাকে লঙ্ঘন করে! অথচ, সংবিধানের এই অনুচ্ছেদটি মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত!
এইবার মাদ্রাসা নামক সংগঠনের কথায় ফিরে যাই।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৮ তম অনুচ্ছেদ “সমিতি/সংগঠনের স্বাধীনতা” সম্পর্কে ৩৮ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “নাগরিকদের মাঝে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে সংগঠন তৈরী করা যাবেনা।”
৩৮খ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী- পুরুষ জন্মস্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে কোনো সংগঠন তৈরীর অধিকার কারো থাকবেনা।”
উপরে বর্ণিত অনুচ্ছেদ গুলো কি সরাসরি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মত একটা মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে যাচ্ছেনা? মাদ্রাসার গঠন ব্যবস্থা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আসলে একটা শিক্ষার্থী কি শিক্ষা লাভ করছে? সেটা সাম্প্রতিক সময়ে মাদ্রাসা সমূহের কর্মকান্ড দেখেই পরিষ্কার হচ্ছে। একটা গোঁড়া এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার জুজু দেখানো প্রজন্ম গড়ে তুলতে সর্বাগ্রে এই মাদ্রাসা গুলোই কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে, বাংলাদেশের সংবিধানই মৌলবাদী এবং সাম্প্রদায়িক কোনো সংগঠন তন্ত্রের পরিপন্থী ভূমিকায় প্রণীত সেখানে সত্যিকার অর্থেই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের চিন্তা ভাবনা না করা কতটা যৌক্তিক? সংবিধানের ৪১ তম অনুচ্ছেদের ১ম দফা অনুসারে নাগরিককে যেকোনো ধর্ম পালনের অধিকার দেয়া হলেও শর্ত দেয়া হয়েছে, “এসব চর্চা করতে গিয়ে আইন, জনশৃঙ্খলা এবং নৈতিকতাবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়া যাবেনা।” এখানেও স্পষ্টতই এই মৌলবাদী শিক্ষার বিরুদ্ধাচারণই করছে সংবিধান। সংবিধানের ৪৪ তম অনুচ্ছেদের ১ম দফা এদেশের নাগরিককে অধিকার দিয়েছে মৌলিক অধিকার (উপরে বর্ণিত) গুলোর যথার্থ প্রয়োগের জন্য হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা করার। এ ব্যাপারে সংবিধানের ১০২ নম্বর অনুচ্ছেদের ১ম দফায় বিস্তারিত বর্ণিত। এবং আমি বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে এবং সরকারের সদিচ্ছা থাকলে ও বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা থাকলে আমরা এই “চেইন অব ক্যায়োস” থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।
তবে, দীর্ঘদিনের প্রচলিত এই মাদ্রাসা ব্যবস্থা হুট করে বন্ধ করে দেয়াও সম্ভব হবে বলে মনে করছিনা। তবে, আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে এবং সংবিধান অনুসরণের মাধ্যমে বর্তমানের সাংবিধানিক ধারা গুলোই এই বিষফোঁড়া উৎখাত করতে যথেষ্ট বলে মনে করি। ধর্মীয় মৌলবাদ কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনেনা দেশের জন্যে। আমি পরিবর্তনে বিশ্বাসী। একসময়ে ব্রিটিশ উপনিবেশকালে এই অঞ্চলের মানুষ জনের গোঁড়ামি আরো লাগাম ছাড়া ছিলো। পাশ্চাত্য এবং উন্নত শিক্ষার বিকাশের মাধ্যমেই কাল পরিক্রমায় এদেশ থেকে মুক্তচিন্তার মানুষ জন্মেছে এবং সামনেও জন্মবে। মনে রাখতে হবে, এই দুষ্টচক্র হতে মুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা হতে হবে অবশ্যই দীর্ঘ সময় ব্যপ্ত। রাতারাতি কিছুই হবেনা। তবে, প্রাথমিক ভাবে মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ আইন এবং সংবিধানের ধারার মাধ্যমে আমরা জনমত সৃষ্টি করতে পারি, সেই সাথে ধীরে ধীরে এই ব্যবস্থাটাকে শিথিল করতে পারি।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
যাক পোস্টটিকে আরও পরিপুর্ন করার মত করে কেউ একজন আবশেষে পড়ল এবং মন্তব্য করল।
রাষ্ট্রধর্ম বিষয়টি সংবিধানে যুক্ত করেছে জেনারেল এরশাদ, আর বিসমিল্লাহ সংযুক্ত হয়েছে আরেক সৈরশাসক জিয়ার আমলে। তারা তো মুলত দেশের দারোয়ান বা সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের চাকর। তাদের হীন জ্ঞান-বুদ্ধি আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাবেই এহেন স্ববিরোধী ব্যাপার সংবিধানে যুক্ত করে।
এইদিকে ২০০৫ সালে জামাত-বিএনপি’র আমলেই ২৫/২৯ বা অগাস্ট মাসের কোন একদিন জিয়া-সায়েম-এরশাদসহ সকল অসাংবিধানিক সরকারের কার্যকলাপকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। উক্ত রায়টি কার্যকর করা যাচ্ছে না সমাজের মানুষের অশিক্ষার কারণে আর সচেতনতার অভাবে।
আকশাকরি একদিন আমরা ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতে পারবো এবং সকল জঞ্জালময় সামাজিক বিভ্রান্তির অবসান হবে…
জয় বাংলা! accutane prices
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
/ মাদ্রাসা ব্যবস্থা হুট করে বন্ধ করে দেয়াও সম্ভব হবে বলে মনে করছিনা /
সম্ভব কিনা সেটা পরের প্রশ্ন, আগে উচিত কিনা সে প্রশ্ন।