“স্বাক্ষরতা অভিযান” – সামাজিক কর্মকান্ডের আড়ালে আসলে কাদের ‘মাস্টার প্ল্যান’ বাস্তবায়িত হচ্ছে ?
বার পঠিতচট্টগ্রামের বিচ্ছিন্ন উপজেলা সন্দ্বীপে দীর্ঘদিন ধরে “স্বাক্ষরতা অভিযান” নামে একটা কর্মসূচি চলছে। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শত শত ছেলেকে স্বেচ্চাসেবক হিসেবে সংগঠিত করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে কোটি টাকার এই প্রজেক্ট কি শুধুই সামাজিক কর্মকান্ড নাকি আড়ালে থাকা কোন গোষ্ঠির বৃহৎ কোন পরিকল্পনার অংশ ?
প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে সন্দ্বীপের ভৌগলিক অবস্থানের একটা রিভিউ দেই, তাহলে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার বোঝা যাবে।
সন্দ্বীপঃ
চট্টগ্রাম তথা বাংলদেশের মূল ভুখন্ড হতে বিচ্ছিন্ন এ অঞ্চলটা যথেষ্ঠ মৌলবাদী অধ্যুষিত। এর অদূরেই চট্টগ্রামের মূল ভুখন্ড সীতাকুন্ড যা আরেক সাম্প্রদায়িক জামাত-শিবির অধ্যুষিত অঞ্চল।
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এটা অত্যন্ত সম্পদশালী অঞ্চল। বেশির ভাগ পরিবারের এক/একাধিক সদস্য মধ্যপ্রাচ্যে থাকার কারনে প্রত্যেক পরিবার প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার মালিক। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, লোহাগাড়ার মত সন্দ্বীপ নিয়েও যথেষ্ঠ গভীর প্ল্যান রয়েছে জামাত এবং অন্যান্য জঙ্গিবাদি সংগঠনগুলোর। বিশেষ করে প্রচুর অর্থনৈতিক সাপোর্ট এবং কোন প্রকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একেবারেই অনুপস্থিতিতার জন্য এই অঞ্চলটা জামাত কিংবা মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠির জন্য একেবারেই সেইফ।

সন্দ্বীপ ও সীতাকুন্ডঃ ভৌগলিক অবস্থান।
স্বাক্ষরতা অভিযান কি ? এর প্রয়োজনীয়তা/যৌক্তিকতা কতটুকু ? ঃ ‘স্বাক্ষরতা অভিযান’ এর প্রসফেক্টাস/লিফলেট এবং তাদের ভাষ্যমতে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা নাকি সন্দ্বীপে শিক্ষার হার শতভাগে উন্নিত করবে।
সন্দ্বীপের মত ছোট অঞ্চলে এই মুহুর্তে প্রায় ১৫০+ সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজ রয়েছে, এছাড়া বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র থেকে শুরু করে ইউনিসেফ সহ বিভিন্ন দাতাসংস্থার শিক্ষা বিষয়ক নানা প্রজেক্ট চলমান। যেখানে দেশের অনেক অঞ্চলে মাইলের পর মেইল এলাকায় একটাও স্কুল নেই সেখানে সন্দ্বীপে প্রতি ইউনিয়নে ৪-৫ টা স্কুল বিদ্যমান। এমন অবস্থা থাকার পরও কি এমন প্রয়োজনে এই এলাকায় এরকম একটা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া ? শুধুমাত্র এই প্রজেক্টের জন্য ইতোমধ্যে মানুষজনের কাছ থেকে নেয়া চাঁদার পরিমান দাড়িয়েছে বিশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকার মতো। এই চাঁদা নেয়াটা একটা রেগুলার প্রক্রিয়া যা লাগাতার চলমান। এতে করে কোটি টাকার ফান্ড এরেইঞ্জ হওয়াটাও কোন ব্যাপার নয়। এতো বিশাল পরিমান টাকা কি আদো এই কাজে ব্যয় হচ্ছে নাকি জঙ্গি অর্থায়নের মত গোপন এজেন্ডায়ও যাচ্ছে ?
কর্মসূচির অদ্যপান্ত দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা স্রেফ লোকদেখানো একটা ব্যাপার, ভেতরে অনেক রহস্য আছে।
নিচের ছবিগুলো দেখুন। এক-দুই দিনের ক্যাম্পেইন করে একটা অঞ্চলের মানুষদের কিভাবে ”শতভাগ শিক্ষিত” করা হচ্ছে। এরকম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফটোসেশন সম্ভব কাওকে শিক্ষিত বা স্বাক্ষর করা সম্ভব নয়।
সর্বপ্রথম এদের সিলেবাসের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অংশে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে একটা শব্দও না দেখে কিছুটা আঁচ করেছিলাম। নিচের ছবিগুলো দেখে অনেকটা ক্লিয়ার হলাম।
এবার নিচের ছবিগুলো দেখুন, পুর্বের ছবির সাথে কোনো সম্পর্ক আছে কিনাঃ
স্বাক্ষরতা অভিযান কি এই কর্মসূচিরই অংশ

একই ধরনের কর্মসূচিতে শিবির সভাপতি
মিডিয়া পার্টনার ‘সাদেক হোসেন খোকার’ বাংলা ভিশনঃ
আরো পরিষ্কার বোঝা যাবে, কর্মসূচির নীতিনির্ধারনি পর্যায়ের কয়েকজনের ব্যাক্তিগত পরিচিতি এবং বিগত সময়গুলোতে তাদের অনলাইন এক্টিভিটিগুলো দেখলেঃ
১। শরফুদ্দিন পাটোয়ারিঃ একসময়কার শিবিরের সাথী বর্তমানে এই কর্মসূচির অন্যতম নীতিনির্ধারক।

‘উই আর বাঁশেরকেল্লা’ – শরফুদ্দিন
amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
২। অনাবিল আনন্দঃ এই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান এক্টিভিস্টদের একজন। জামাত-শিবির পরিচালিত আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম(আই,আই,ইউ,সি) তে পড়াকালীন ছাত্রশিবিরে যোগ দেয়, বর্তমানে আই,আই,ইউ,সি ঢাকা ক্যাম্পাসে এমবিএ করছে। ঢাকার শিবির নেতারা তার সাথে সন্দ্বীপ আসা-যাওয়া করে।

চিহ্নিত শিবির ক্যাডারদের সাথে আনন্দ – সাক্ষরতা অভিযানে।
৩।মাহবুব উল মাওলাঃ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতির ছেলে , ব্যাক্তিগতভাবে জামাতপন্থি বিএনপি। ‘ইউনিক সোসাইটি’ নামে একটা জামাতি সংগঠনের নেতা। স্বাক্ষরতা অভিযানে অতোপ্রোতোভাবে জড়িত।

কাদের মোল্লা ইস্যুতে ল্যাঞ্জা দেখা যাচ্ছে

রাস্ট্রবিরোধী গুজব ছড়াচ্ছে মাহবুব।

গণজাগরন ইস্যুতে মাহবুব viagra en uk

বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রসংগে posologie prednisolone 20mg zentiva
৪।দেলোয়ারঃ এই কর্মসূচির আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি ছাত্র শিবিরের নেতা, শিবিরের একটা কোচিং এর পরিচালক।

রাজাকার সাঈদি ইস্যুতে দেলোয়ার can your doctor prescribe accutane

জামাত প্রার্থীর বিজয়ে দেলোয়ার

মুক্তিযুদ্ধের মূল শক্তিকে নেতৃত্ব দেয় ছাত্রশিবির – দেলোয়ার
এই হল কর্মসূচির প্রধান এক্টিভিস্টদের পরিচিতি। যা স্পষ্টতই প্রমান করে এরা সবাই জামাত-শিবির জঙ্গিবাদীদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে।
স্বাক্ষরতা অভিযানের নামে এরা লাখ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে নিজেদের ফান্ড বানাচ্ছে, এই টাকায় যে জঙ্গিবাদে্র ট্রেনিং হবে না তার কোন গ্যারান্টি আছে? ইতোপূর্বে আমরা সাতক্ষীরা, সীতাকুন্ড, বাঁশখালি, লোহাগাড়ার মত এলাকায় জামাতি তান্ডব দেখেছি। দেখেছি সাঈদির চাঁদে যাওয়ার মত গুজব ছড়িয়ে কিভাবে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে তান্ডব চালিয়েছে। এসব এলাকায় তাদের কাজ কিন্তু একদিনের নয়, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মাধ্যমেই তারা এসমস্ত এলাকাকে ঘাঁটি বানিয়েছে। একটু পেছনে গেলে দেখা যায় সেসমস্ত এলাকায় তারা প্রথমে এরকম সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ত হত, এরপর নানাভাবে মানুষকে ব্রেইন ওয়াশ করে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে । বিশাল সংখ্যক মাদ্রাসা-স্কুল ছাত্রদের দিয়ে বানিয়েছে কর্মিবাহীনি। এগুলো সবই মাস্টার প্ল্যান এর অংশ। মৌলবাদী-জঙ্গিবাদীদের চট্টগ্রাম নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান বহু পুরোনো, আন্তর্জাতিক নীল নকশার অংশ।
“সাক্ষরতা অভিযান” এর নামে সন্দ্বীপে কি এই মাস্টার প্ল্যানই বাস্তয়য়িত হচ্ছে ? এখনই সময় মুখোশ উন্মোচনের মাধ্যমে এদের থামানোর। তা না হলে চট্টগ্রামের বুকে সীতাকুন্ড, হাটহাজারি, বাঁশখালি, লোহাগাড়া কিংবা সাতকানিয়ার মত আরেকটা “নিয়ন্ত্রণহীন দুর্গ” গড়ে উঠতে বেশি সময় লাগবে না। সাধু সাবধান। will i gain or lose weight on zoloft
অংকুর বলছেনঃ zovirax vs. valtrex vs. famvir
এইটা কি ভাই?
বিস্তারিত কিছু লেখার চেষ্টা করুন। এটা তো ফেসবুক না,ব্লগ। লেখার মান উন্নয়ন করার চেষ্টা করুন ভাই। এইখানে কিছুই তো বুঝা যাচ্ছেনা।
স্পৃহা বলছেনঃ
বিস্তারিত আপডেট করা হয়েছে। পড়ে দেখুন। achat viagra cialis france
অংকুর বলছেনঃ
about cialis tabletsও আচ্ছা, লেখা শেষ করার আগেই পোস্ট দিয়ে দিছিলেন? দুঃখিত
স্পৃহা বলছেনঃ
লেখাটা ফেসবুকে নোট আকারে লিখেছিলাম, সেখান থেকে কপি করে ব্লগে আনলাম।
শুরুতে কোন একটা সমস্যার কারনে পুরো লেখাটা পোস্ট হয় নি। 
অপার্থিব বলছেনঃ
দারুন পোস্ট। জামায়াত -হেফাজতেরা বৃহত্তর চট্ট্রগ্রামকে টার্গেট করে তাদের শক্তিশালী আস্তানা গড়ে তুলেছে। ঐ অঞ্চলের মানুষ তুলনামূলক ধনী হওয়ায় পরকালের বেহেশতের লোভ দেখিয়ে চাদা আদায় করতে তাদের অসুবিধা হয় না। অথচ সরকার ও প্রশাসন নীরব। এমনকি এই সরকার ইতমধ্যে শফীর পরিচালিত মাদ্রাসায় রেলওয়ের জমি অনুদান হিসেবে দিয়েছে। অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যেন আজ শংকার পথে।
স্পৃহা বলছেনঃ
হুম, এই অঞ্চল টা নিয়ে জামাতিরা বিশাল মাস্টার প্ল্যন নিয়ে আগাচ্ছে অনেকদিন ধরে। তাদের কাজগুলো এতোটাই কৌশলী হয়ে থাকে সাধারণত খালি চোখে দেখা যায় না। এই যেমন এই প্রোগ্রাম টা মাস ছয়েক ধরে চলতেছে। তারা সমাজের নানা শ্রেনির মানুষকে সুন্দর করে আই ওয়াশ করে ফেলেছে যে এটা একটা মহৎ কাজ, এবং তাদের কার্যকালাপে কোন প্রকার সন্দেহ না করে মানুষজন লাখ লাখ টাকাও দিচ্ছে। গতকাল কিছু ডকুমেন্ট হাতে পেলাম যা থেকে নিশ্চিত হয়েছি ইতোমধ্যে ৫০ লাখ টাকা সংগৃহিত হয়ে গেছে যেখানে এরকম একটা প্রোগ্রাম ১লাখ টাকার কাজও নয়। এলার্মিং ব্যাপার হল এই টাকাগুলো সব কিন্তু আমার আপনার জীবন ধ্বংশের কাজেই ব্যয় হবে। মজার ব্যাপার হলো এই টাকা দেওয়া শ্রেণির বিশাল একটা অংশ কিন্তু স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতারা।
ব্যাক্তিগতভাবে এই বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ইনভেস্টিগেশন করে যাচ্ছি। এমন এমন কিছু তথ্য হাতে পেয়েছি যা সত্যিই অবাক করে।