বন্ধ্যা কৈশোর
327
বার পঠিতমায়ার হাতে এক আঙুল সমান লম্বা একটা নারিকেলের টুকরা। বারান্দার টেবিলে ছোট ঝুড়িতে কিছু মুড়িও আছে। মায়া মুড়ি মুখে দিচ্ছে না। শুধু নারিকেল কচকচ করে কামড়ে খাচ্ছে। মায়ার চোখ বারান্দা ছাড়িয়ে অল্প সামনেই খালি জায়গাটায়। মায়ার আজ মন খারাপ। কিছুদিন যাবত প্রতিদিন বিকেলের এই সময়টাতে মায়ার মন খারাপ হতে থাকে। can you tan after accutane
এই এলাকায় সমানে ছোট ছোট অলিগলি রাস্তা। শুধু মাত্র মায়াদের বাসার সামনেই একটু ফাকা গোলাকার জায়গা আছে। বিকেলে হলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা এখানে খেলতে নামে। শুধু মায়া একা বারান্দায় বসে থাকে।
আনোয়ার এইটে বৃত্তি পেয়েছে বলে ওর বড় ভাই ওকে সাইকেল কিনে দিয়েছে। নতুন সাইকেল নিয়ে আনোয়ার প্রতিদিন বিকেল হলে মায়াদের বাসার সামনের ফাঁকা জায়গায় এসে সাইকেল চালায়। ছোট বাচ্চাদের সাইকেলের পিছনে বসিয়ে মজা করে। মায়ার খুব ইচ্ছে করে একদিন আনোয়ারের সাইকেলে চরতে। কিন্তু কিভাবে বলবে ? বললেই কি এখন আর তা হয়! will i gain or lose weight on zoloft
তুই আজকাল প্রতিদিন মন মরা হয়ে বারান্দায় বসে থাকিস কেন, বাইরে আসতে পারিস না? দেখেছিস! আমি সাইকেল কিনেছি। চরবি?
মায়া কোন কথা বলে না। ঠোটের কোণে একটা হাসির রেখা ঝুলিয়ে রাখে! বুঝায়-’সব ঠিক আছে’ যদিও কিছুই ঠিক নেই। এই হাসির সঠিক মানে আনোয়ার বুঝে না। সাইকেলের বেল বাজাতে বাজাতে চলে যায়।
প্রায় তিনদিন আনোয়ারের কোন খবর নেই। সাইকেল নিয়েও এদিকে আসেনা। মায়ার কিছু ভালো লাগে না। আনোয়ারই ওর একমাত্র বন্ধু যার সাথে মাঝে মাঝে দুই একটা কথা হয়। মায়ার দম বন্ধ হয়ে আসে। এই বন্দী জীবন আর ভালো লাগে না। কিন্তু কি করার আছে তার? সেতো এখন বড় হয়ে গেছে। গত মাসেই তার রক্তস্রাব হয়েছে। এখন কি আর সে পাড়া বেরিয়ে ঘুরতে পারবে, না আনোয়ারের সাইকেলে চরতে পারবে? লোকে মন্দ বলবে যে! viagra en uk
আজ মায়া প্রথম বুরকা পরেছে। স্কুলে যাওয়ার সময় ওর মা হঠাৎ মায়ার ঘরে ঢুকে। হাতে নতুন বুরকা দেখে মায়া খুশি হলেও মুহূর্তেই বুঝতে পারে, এই বুরকা হতে আর মুক্তি মিলবেনা, দু চোখ মেলে, দুই হাত ছড়িয়ে আর আকাশ দেখা হবে না।
এই আনোয়ার একটু দাড়া… পিছন থেকে মায়া কে পাশ কাটিয়ে যাবার সময় বুরকার জন্য চিনতে পারেনি। তাই মায়ার ডাক উপেক্ষা করে আনোয়ার সাইকেলের গতি বাড়িয়ে চলে যায়। মায়ার মন খারাপ হয়। ধীরে ধীরে স্কুলের দিকে আগাতে থাকে।
স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখে বারান্দায় ভারী পর্দা দিয়ে চারদিক মুরে দেওয়া হয়েছে। মায়ার দীর্ঘশ্বাস আটকে যায়। বুঝতে পারে বাসায় এমন কেউ নেই যে ওর কথা শুনবে, ওকে বন্দী দশা হতে মুক্ত করবে। আচ্ছা, মেয়েরা বড় হলে কি এমন হয় যে সারাক্ষন নিজেকে আড়াল করে রাখতে হবে? মায়া কোন উপযুক্ত জবাব খুজে পায়না।
পরদিন মায়া একটু আগে আগে স্কুলে যাবার জন্য বের হয়। রাস্তায় এসে আনয়ারের জন্য অপেক্ষা করে। আজ যেভাবেই হোক, আনোয়ারকে ডেকে থামাতেই হবে। কিন্তু কেন? নিজের মনেই প্রশ্ন করে বোকা বনে যায় মায়া। মনে মনে একটা কারন খুজতে থাকে, কি কারনে ওকে ডাকা যায়- ভাবতে ভাবতেই আনোয়ারের সাইকেলের টুংটাং শব্দ… এই আনোয়ার এই দাড়া, আমি মায়া…! আরে তুই! তুই বুরকা পরেছিস কেন, চেনাই যায়না! wirkung viagra oder cialis
সে তুই বুঝবি না। আচ্ছা আমাকে তোর সাইকেলে চরিয়ে স্কুলে নিয়ে যাবি? আরে না, তোর বাপে দেখলে আমাকে আস্তো রাখবে না। আব্বা বাসায়, দেখার চান্স নেই… যদি অন্যকেউ দেখে নালিশ দেয়? আরে তুই এতো ভয় পাচ্ছিস কেন, তুই কি পর কেউ? তোকে কি আমার বাসার কেউ চিনেনা নাকি?
আনোয়ার মায়াকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে। এই প্রথম মায়া আনোয়ারের সাইকেলে চরেছে। ওর যেন উড়তে ইচ্ছে করছে। কতদিন পর ওর বিষন্ন ভাবটা উধাও হয়ে গেছে। আচ্ছা, তুই প্রতিদিন আমাকে সাইকেলে করে স্কুলে নিয়ে আসবি? তোর কি মাথা খারাপ! কেন মাথা খারাপ হবে কেন? আচ্ছা যা, নিয়ে আসবো। তবে তোর বাপে যেন আমাকে আবার বকা না দেয়। না হয় আমার জন্য একটু বকা খেলি?
শুধু শুধু আমি তোর জন্য বকা খেতে যাবো কেন? কারন তুই আমার খুব ভালো বন্ধু তাই…! কি ভেবে যেন আনোয়ার হেসে উঠে, হঠাৎ দমকা হাওয়ার মতো এক অদ্ভুত ভালোলাগায় আনোয়ারের চোখ বুজে আসে। আনোয়ার মুখ ফসকে বলে ফেলে, আমাকে ভালোবাসবি? মায়া এমন প্রশ্নের মুখে পরবে ভাবতে পারেনি। আবার মনে মনে এমন কিছু একটা যে ও চাচ্ছিলো, সেটা প্রশ্নটা শোনার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত বুঝতে পারেনি। কেমন যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি! যেখানে আছে হাজারটা না বলার কারন অথচ একটি মাত্র গোপন ইচ্ছের কাছে ‘না’ বলার সমস্ত কারন গুলি হার মানতে আগ্রহী!
কিরে মায়া কিছু বলছিস না যে, রাগ করলি? তোর কি লজ্জা বলে কিছু নেই- মায়া হঠাৎ চেচিয়ে উঠে! আনোয়ার একটু তথমত খেয়ে যায়। চুপচাপ সাইকেল চালাতে থাকে। স্কুলের গেইটের একটা সামনে মায়া নেমে যায়। যাওয়ার সময় শুধু বলে, আগামীকাল যদি আমার জন্য সাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করিস তবে তোর প্রশ্নের জবাব পাবি!
আনোয়ার বুঝতে পারে মায়ার কথা। খুব খুশি মনে এবার ওর স্কুলের দিকে রউনা দেয়। আজকের দিনটা ওর জন্য খুব লম্বা হয়ে যাবে। half a viagra didnt work
পরেরদিন ভোর বেলা থেকে আনোয়ার নির্দিষ্ট জায়গায় মায়ার জন্য সাইকেল নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। স্কুলের সময় শেষ হয়ে যায়, ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায়, কিন্তু মায়া আর আসেনা। মায়ার স্কুলে আসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এ খবর আনোয়ার জানেনা।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আর কত মায়া বন্দি হবে????
কৃষ্ণ গহ্বর বলছেনঃ
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
হায়রে…