কিছু বকেয়া গ্লানির গল্প…
377
বার পঠিতহোসনা বেগম ছুটছে, ঊর্ধ্বশ্বাসে… তার চারপাশে ছুটছে অসংখ্য মানুষ, ছুটছে ভয়ংকর আতংকে, প্রান বাঁচাতে, আশেপাশে অবিরাম গুলি চলছে, সাঁই সাঁই করে। গোড়ল গ্রামটা পেরিয়ে নদীর ধারে হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ে গেল হোসনা, এক মাঝি দৌড়ে এসে তাকে ওঠাল। দুইহাতে আঁকড়ে ধরে থাকা বিছানাপত্র পড়ে গেছে নিচে, সেদিকে তাকিয়ে হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে হোসনা, আমার কাশেম কই? cialis 10mg or 20mg
একটু আগে যখন রাজাকাররা পাকিস্তানী শুয়োরগুলোকে নিয়ে হোসনার স্বামীকে গুলি করে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়, তখন দিশেহারা হোসনা দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে ঘুমিয়ে থাকা ২০ দিনের কাশেমকে তার বিছানাসমেত জড়িয়ে বুকে নিয়ে দৌড়াতে থাকে। টেরই পায়নি কাশেম ভেবে সে আসলে কাশেমের কোলবালিশটা তুলে এনেছে। জীবন্ত অঙ্গার হয়ে যাওয়া ছেলের জন্য হাহাকার করে ওঠে হোসনা, স্তব্ধ হয়ে যাওয়া বিশ্বচরাচরে কেবল শোনা যায় সন্তানহারা মায়ের আর্তচিৎকার, “কাশেম, বাপ আমার, কই তুই?”
ঠিক সেই মুহূর্তে নড়িয়া গ্রামের এক জঙ্গলে অবিকল হোসনার মত চিৎকার করে কেঁদে ওঠে ছমিরন, তার ছয় মাস বয়সী ছোট্ট রহিম অবশ্য তার কোলেই ঘুমিয়ে আছে… পাকিস্তানী মিলিটারি একটু আগে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে, প্রান বাঁচাতে ছমিরনসহ গ্রামের সবাই জঙ্গলের এক হাঁটু কাদার মধ্যে এসে লুকিয়েছিল। বাচ্চাটা কেঁদে উঠতে পারে, তাই মুখটা চেপে রেখেছিল ছমিরন।পাকি সেনাদের নির্বিচার গনধর্ষণ আর গুলির জান্তব উল্লাস শুনে ভয়ংকর আতংকে কখন যে আঙ্গুলগুলো শক্ত হয়ে চেপে বসেছিল রহিমের মুখে, টেরই পায়নি ছমিরন। অনেকক্ষন পর যখন পাকিস্তানী শুয়োরগুলো চলে গেল, তখন হঠাৎ তাকিয়ে দেখে, তার রহিম শ্বাস বন্ধ হয়ে কখন যেন ঘুমের দেশে চলে গেছে, নিঃশব্দে, খুব অভিমানে… ছমিরনের বুক ফাটা আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস, স্তব্ধ পৃথিবী অপরাধীর মত মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে… ভয়ংকর গ্লানিতে, লজ্জায়…
ঠিক সেই মুহূর্তে মহাকাল অবাক বিস্ময়ে আরো কিছু ঘটনা ঘটতে দেখে।গোড়ল গ্রামটা পার হতেই হঠাৎ যেন নরক নেমে আসে পাকিস্তানী শুয়োরগুলোর উপর, চারপাশ থেকে বৃষ্টির মত গুলি হচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন এক ব্যাটালিয়ন রেগুলার আর্মি অ্যামবুশ করেছে… সাথে সাথে নরকে চলে যায় পাঁচটা শুয়োর, আর বাকীগুলো পালাতে থাকে, যেন যমদূত দেখেছে, আতংকে নীল হয়ে দৌড়াতে থাকে তারা, রুদ্ধশ্বাসে… গুলি থেমে যাবার বেশ কিছুক্ষন পর জঙ্গলের আড়াল থেকে পাঁচটা তরুণ বেরিয়ে আসে, অসম্ভব ঘৃণায় মৃত পাকিস্তানী শুয়োরগুলোর মুখে একরাশ থুথু ছিটিয়ে তারা গলার রগ ফুলিয়ে চিৎকার করে, জয়য় বাঙলা…
মনিরুলের হাতে অবশ্য স্টেনগান ছিল না, চোখের সামনে মা আর বোনকে ছিঁড়েখুঁড়ে খেতে দেখে ১২ বছরের মনিরুলের মস্তিস্কবিস্ফোরণ ঘটে। পাশে পড়ে থাকা একটা দা তুলে নিয়ে অমানুষিক এক চিৎকারে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুটো পাকিস্তানী শূয়োরের উপর, পাগলের মত কোপাতে থাকে,ঠিক যেন গ্রিক পুরানের কোন অভূতপূর্ব সংশপ্তক… দশ সেকেন্ডের মাথায় ঝাঁজরা হয়ে যায় মনিরুলের ছোট্ট বুকটা, ব্রাশফায়ারের পর বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে খুঁচিয়ে মনিরুলকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে শুয়োরগুলো। নড়িয়া গ্রামে গিয়েছিল ১২ জন পাকি শুয়োর, কুপিয়ে ফালা ফালা করা দুটো শুয়োর রেখে তাদের ফিরতে হয়। চোখেমুখে তাদের তখনো ঘোরলাগা বিস্ময়, শুয়ার কা বাচ্চা শের হ্যায় ভাইলোগ, ক্যায়সে চার্জ কিয়া হামলোগ কি উপার…
ঠিক সে মুহূর্তে, ১৯৭১ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর, ঢাকায় টর্চার সেলে রুমির চামড়া তুলে ফেলার পর জিজ্ঞেস করা হল আবার, মুক্তি কা রুট বাতাও, অ্যামুনিশন কিধার সে আতা হ্যায়? যন্ত্রণায় প্রানটা যেন বেরিয়ে যাবে, কিন্তু রুমি মচকালো না। চোখে চোখ রেখে ঠাণ্ডা গলায় বললো, You people are going to die. You can’t flee, you can’t leave-Nobody can save you- I can tell you this much…
পাশের সেলে বদিকে বলা হল, ওর বন্ধুরা তথ্য দিচ্ছে, ওরা মুক্তি পেয়ে যাবে, সেও যদি তথ্যগুলো দেয়, তবে ছেড়ে দেওয়া হবে তাকে। প্রায় আধমরা বদির জবাবটা পাথরকঠিন শোনাল, আমি কিছুই বলব না, যা ইচ্ছা করতে পারো। ইউ ক্যান গো টু হেল..
ওদিকে জুয়েলের ভাঙ্গা আঙ্গুলগুলোর উপর তখন হাতুড়ীর বাড়ি পড়ছে, যন্ত্রণায় চিৎকার করছে জুয়েল, মাকে ডাকছে, মায়ের আদরের রাজপুত্র ছিল সে, কোনোদিন একটু ব্যাথাও পাইতে দেয় নাই মা, অবচেতনে তাই মাকে ডাকছে ছেলেটা, যদি মা আসে, বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখে…
৪১ বছর পর ঠিক সেই মুহূর্তে মিরপুর শেরেবাঙলা স্টেডিয়ামে শহীদ আফ্রিদি একটা বিশাল ছক্কা হাকালো, গ্যালারীর শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডে শ্লোগান উঠল,পাকিস্তান জিন্দাবাদ… দেখা গেল পাকিস্তানের সবুজ চাঁদ-তারা পতাকা গালে-মুখে একে, বুকে জড়িয়ে বিশাল এক প্ল্যাকার্ড নিয়ে নাচছে একটা মেয়ে,প্ল্যাকার্ডে লাভ সাইন দিয়ে লেখা… আফ্রিদি, ম্যারি মি…
মহাকাল কেবল নীরব দর্শকের মত দেখে গেল সব, তবে তার চোখে অবাক বিস্ময়… কেন , কে জানে?
শুভ্র তুহিন বলছেনঃ diflucan dosage for ductal yeast
বরাবরের মতো আরো একটি অসাধারণ লেখা। এতো ভালো লিখেন কিভাবে? মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার লেখাগুলো পড়েই ইচ্ছা হয় আমিও কিছু লিখি। কিন্তু পারি না, কিছুতেই হয়ে ওঠে না। অক্ষম চেষ্টা শেষে ক্ষান্ত দিই, আবার ডুবে যাই আপনার নতুন আরেকটি গল্পের ভেতর! efek samping minum obat viagra
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
একসময় আমিও ঠিক আপনার মতই দ্বিধায় থাকতাম, লিখতে চাইতাম কিন্তু হয়ে উঠত না। কিন্তু হাল ছাড়িনি। হাল ছাড়বেন না ভাই, শুরু ক্করে দিন, দেখবেন একসময় ঠিকই শেষ হয়ে গেছে…
আপনার লেখা পড়বার অপেক্ষায় রইলাম… acheter viagra pharmacie en france
শুভ্র তুহিন বলছেনঃ
ধন্যবাদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনার এই কথাগুলোর জন্যে।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
খালি ধন্যবাদ জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেই হবে না, লেখা শুরু করতে হবে… আপনার লেখা পড়বার অপেক্ষায় রইলাম… viagra type medicine in india
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
prednisone side effects in dogs long termঅঞ্চলভিত্তিক যুদ্ধের কাহিনীর উপর বেস্ট বই সাজেস্ট করতে পারেন?
তারিক লিংকন বলছেনঃ
৪১ বছর পর ঠিক সেই মুহূর্তে মিরপুর শেরেবাঙলা স্টেডিয়ামে শহীদ আফ্রিদি একটা বিশাল ছক্কা হাকালো, গ্যালারীর শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডে শ্লোগান উঠল,পাকিস্তান জিন্দাবাদ… দেখা গেল পাকিস্তানের সবুজ চাঁদ-তারা পতাকা গালে-মুখে একে, বুকে জড়িয়ে বিশাল এক প্ল্যাকার্ড নিয়ে নাচছে একটা মেয়ে,প্ল্যাকার্ডে লাভ সাইন দিয়ে লেখা… আফ্রিদি, ম্যারি মি…
মহাকাল কেবল নীরব দর্শকের মত দেখে গেল সব, তবে তার চোখে অবাক বিস্ময়… কেন , কে জানে?
এরা নিজের মায়ের ধর্ষণ হওয়ার গল্প ধর্ষকদের কাছে শুনতে পছন্দ করে, প্রতিশোধ নিতে জানে না। এরা অমানুষ pregnant 4th cycle clomid
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এরা প্রতিশোধ নিতে জানে না কিনা জানি না, তবে হয়তো প্রতিশোধ নিতে চায় না… হয়তো মায়ের ধর্ষণের ঘটনা এদের কাছে উপভোগের বিষয়…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
মহাকাল কেবল নীরব দর্শকের মত দেখে গেল
সব, তবে তার চোখে অবাক বিস্ময়… কেন ,
কে জানে? pharmacy tech practice test online free
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
viagra generico prezzo farmacia