বাঙলার আলোঃ শহীদ জগতজ্যোতি দাস শ্যামা শেষ ভাগ)
বার পঠিত capital coast resort and spa hotel ciproজামালপুর মুক্ত করার অভিযানে সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হন জগতজ্যোতি , হারাতে হয় তার সহযোদ্ধা বীর সিরাজুল ইসলাম কে । মাত্র ১০ – ১২ জন সহযোদ্ধা নিয়ে তিনি মুক্ত করেন শ্রীপুর । খালিয়াজুড়ি থানায় ধ্বংশ করে দেন শত্রুদের বার্জ । আগস্ট মাসে কোন গুলি করা ছারাই দিরাই – শাল্লায় অভিযান চালিয়ে কৌশলে আটক করেন ১০ সদস্যের রাজাকারের দল কে । যারা এলাকায় নির্যাতন চালাচ্ছিল । খুন ধর্ষণ ও লুটপাট চালাচ্ছিল । রাণীগঞ্জ ও কাদীরিগঞ্জেও অভিযান চালিয়েও জ্যোতি আটক করেন ঘরের শত্রু রাজাকার দের । ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ থানা ও নৌবন্দর সাচনাবাজার শত্রুমুক্ত করে আলোচনার শীর্ষে চলে আসেন । thuoc viagra cho nam
স্বাধীন বাংলা বেতারে তার বীরগাঁথা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রণকৌশল আর কূটচালে তাঁকে মূল টার্গেট করা হয় । সুযোগের সন্ধানে মেতে ওঠে পাকি – দোসর রাজাকার রা । তাঁর নেতৃত্বে সিলেট – সুনামগঞ্জ সড়কের বদলপুর ব্রীজ বিধ্বস্ত করা হয় আর তাঁরই কৃতিত্বের কারনে ভারতীয় কমান্ড বাহিনীর মেজর জি এস ভাটের প্রশংসা লাভ করেন । ১৭ আগস্ট পাহাড়পুরে কমান্ডার জগতজ্যোতির রণকৌশল আর বীরত্বে রক্ষা পায় অসংখ্য নর নারী । স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর বীরত্বগাঁথা প্রচার হয় । জগতজ্যোতি একা হাতে একটি এল এম জি নিয়ে দখল করে নেন জামালপূর থানা যেখানে আস্তানা গেড়েছিলো পাকি – দোসর রাজাকাররা ।
synthroid drug interactions calcium
১৬ নভেম্বর ১৯৭১ শহিদ জগতজ্যোতি জানতেন না এই দিনে তাঁর অন্তিম অভিযান পরিচালিত হবে । শহিদ জগতজ্যতি ও তাঁর অধীনস্থদের লক্ষ্যস্থল ছিল বাহূবল মতান্তরে বানিয়াচং । কিন্তু লক্ষ্যস্থলে যাবার পূর্বেই বদলপুর নামক স্থানে হানাদারদের কূট কৌশলের ফাঁদে পা দেন জগতজ্যোতি । ৩ / ৪ জন রাজাকার ব্যবসায়ীদের নৌকা আটক করে চাঁদা আদায় করছিল । ক্ষুব্ধ হয়ে জ্যোতি তাদের ধরে আনার নির্দেশ দেন । কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের এখেই পিছু হটতে থাকে কৌশলী রাজাকাররা । এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জতজ্যোতি ভাবতেও পারেননি কি ফাঁদ তার সামনে । সাথের ১০ – ১২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও গোলাবারুদ নিয়ে তাড়া করেন রাজাকারদের । অদূরেই কুচক্রী পাকসেনাদের বিশাল বহর প্রচুর গোলাবারুদ নিয়ে অপেক্ষা করছিল তার । অজান্তেই চক্রব্যুহে প্রবেশ করেন জগতজ্যতি । আগে থেকে প্রস্তুত বিশাল পাকবাহিনীর ফাঁদে পরে যান জগতজ্যোতি ও তার সহযোদ্ধারা । ঘুঙ্গিয়ারগাঁও থানা পাক ক্যাম্প থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে রাজাকার আর পাক বাহিনীর আক্রমনে ছত্রভংগ হয়ে পরে দাস কম্পানী ।
রণাঙ্গনে পরিস্থিতির ভয়াবহতা চিন্তা করে জ্যোতি এক পর্যায়ে তার দল কে বাঁচানোর জন্য রিট্রিট করার নির্দেশ দিয়ে একটি মাত্র এল এম জি দিয়ে নিজে ফায়ারিং কভার করার সিদ্ধান্ত নেন । এজন্য জ্যোতি সহযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি মমিন কে নির্দেশ দেন যাতে অন্যরা তাদের জীবন বা৬চিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায় । এর পর দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকেন মাত্র দুইজন জ্যোতি আর ইলিয়াছ । তারা যুদ্ধ করতে থাকেন একটানা কিন্তু হঠাত ইলিয়াছ পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হন । জ্যোতি পিছু না হটে তার মাথার লাল পাগড়ী খুলে তার বুকে ও পিঠে বেঁধে দেন যাতে তার রক্তক্ষরন থেমে যায় । যুদ্ধের এক পর্যায়ে জগতজ্যতি দাশ বিকেল ৩ টায় নতুন ম্যাগাজিন লোড করে শত্রুর অবস্থান দেখার জন্য মাথা উঁচু করতেই একটি বুলেট তাঁর বুকে বিদ্ধ হয় । জগতজ্যতি তখন ” আমি আর নাই আমি গেলাম” বলে কৈয়াবিলের পানিতে ডুবে যান ।
লোকমুখে শোনা যায় গুলিবিদ্ধ হবার পরেও তিনি জীবিত ছিলেন । তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় অত্যাচার করতে করতে । তাঁর গায়ে পেরেক বিদ্ধ করে সেই ছবি খবরে ছাপানো হয় । আজমীরিগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসা হয় তার লাশ । তখন ছিল ঈদের বাজার । শত শত লোকের সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে ক্ষত বিক্ষত করা হয় তার লাশ কে । রাজাকাররা থুতু ফেলতে থাকে তার উপর । এমন কি তার মা বাবাকেও ধরে আনা হয় বীভৎস লাশ দেখাতে । পরিবারে যখন স্বজন হারানোর কান্নার রোল তখন আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় তার বাড়িতে। ভাসিয়ে দেয়া হয় তার লাশ ভেড়ামোহনার জলে । achat viagra cialis france
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক বেলাল মোহাম্মদ জানান বীরগতিপ্রাপ্ত জগতজ্যোতিকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়েছিল একাধিকবার এবং আর বীরত্বগাঁথা প্রচার হচ্ছিল সম্মানের সাথে । অল ইন্ডিয়া রেডিওসহ বিভিন্ন গনোমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয় জগতজ্যোতির বীরত্বগাঁথা । অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সরবোচ্চ মরনোত্তর পদক প্রদানের ঘোষনা দিয়েছিলেন । প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জগতজ্যোতিকে রাস্ত্রীয় পদক প্রদানের ঘোষনা সে সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল । কিন্তু স্বাধীনতার পরে প্রতিশ্রুতি থেকে ফিরে আসেন সরকার কোন এক অজ্ঞাত কারনে । ১৯৭২ সালে তাকে বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয় । বাস্তবে পদক প্রদান করা হয় তারো দুই যুগ পরে । wirkung viagra oder cialis
শাহাদাৎ বরনের পর স্বাধীন বাংলা বেতারে ঘোষি হয়েছিল তাঁকে দেয়া হবে সরবোচ্চ খেতাব । আইনের মার প্যাঁচে সরকার ঘোষিত সেই বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব শুধু ঘোষনাই রয়ে গেল ।
কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর জগতজ্যোতির সহযোদ্ধাদের যারা বেঁচে আছেন তাঁদের ও জানা নেই । যাঁরা বেঁচেছিলেন স্বাধীনতার পরেও তারা উত্তর না পেয়েই চলে গেছেন পরপারে । এই প্রশ্ন এখন আমাদের বিবেকের কাছে । কোন মুক্তিযোদ্ধাই পুরস্কারের লোভে যুদ্ধে যান নি । গিয়েছিলেন মাতৃভূমি স্বাধীন করতে । আমরাই তাঁদের শ্রদ্ধাভরে খেতাবে ভূষিত করি । আমরাই পুরস্কার প্রদান করি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে । তবে কেন শহিদ জগতজ্যোতি দাস শ্যামা প্রতিশ্রুত সম্মান ও পাননি ?
এই প্রশ্নের উত্তর হয়ত বা পাওয়া যাবে না । অন্ধকার বদ্ধঘরের দেওয়ালে প্রতিদ্ধনিত হতে হতে থেমে যাবে এক সময় ।
তথ্য সূত্র – মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সালেহ চৌধুরীর দিরাই – শাল্লা acquistare viagra in internet
কৃতজ্ঞতা – ( গেরিলা ১৯৭১ )
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
অশেষ শ্রদ্ধা এই বীরের প্রতি…
নীহারিকা আপুকেও কৃতজ্ঞতা এই বীরকে তুলে আনার জন্য…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অশেষ শ্রদ্ধা এই বীরের প্রতি আর শতসহস্র শ্রাদ্ধানবত স্যালুট…
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করবার জন্যে can your doctor prescribe accutane