সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।
611
বার পঠিতশত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।
১৯৭১-এর ৭ মার্চ, এমন একটি দিনের জন্যই বঙ্গবন্ধু নিজকে, দেশের অত্যাচারিত, অবহেলিত দুঃখী মানুষকে সুদীর্ঘ ২৩টি বছর ধরে প্রস্তুত করেছিলেন এবং বাঙালী জাতিকে উন্নীত করেছিলেন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে।৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনেই জয় লাভ করে। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার পথে হাটছিলেন তা পাকিস্তানী শাসকচক্র আর জুলফিকার আলী ভুট্টো অনেক আগেই আচ করতে পারেন।তাই ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে তারা । ৭১-এর ৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকলেন। ১ মার্চ সকাল ১০টা থেকে হোটেল পূর্বাণীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সভা চলছিল। একই দিন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন,
‘যদি তার পিপলস পার্টিকে বাদ দিয়ে ৩ মার্চ অধিবেশন বসে, তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচী পর্যন্ত জীবনযাত্রা নীরব-নিথর করে দেওয়া হবে।’
এর পরপরই দুপুর ১টায় ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন,
‘পাকিস্তানে এখন ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। তাই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছি।’
এই ঘোষণার পর উত্তাল ঢাকা যেন আগ্নেয়গিরির মত জ্বলে ওঠেলো। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ থেকে ছাত্ররা বের হয়ে আসলো। ঘর থেকে জনতা ছুটে আসলো রাজপথে, পল্টন ময়দান যেন তখন এক জনসমুদ্র। হোটেল পূর্বাণীর চারদিকে তখন জনস্রোত। কারও চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় প্রভুত্ব মেনে নেওয়ার জন্য, কারও অন্যায় সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়ে পরাধিনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হওয়ার জন্য বাঙ্গালীর জন্ম হয়নাই। ইয়াহিয়ার ঘোষণায় ঢাকা হয়ে পড়ে বিক্ষুব্ধ মিছিলের নগরী। সেদিন হোটেল পূর্বাণীতে দেশ-বিদেশের অগণিত সাংবাদিক জড় হয়েছিলেন। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু তার দৃঢ় বিক্ষুব্ধ কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন,
‘বিনা চ্যালেঞ্জে আমি কোনো কিছুই ছাড়বো না। ৬ দফার প্রশ্নে আপোস করব না। ২ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল চলবে। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দান থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।’
ঐদিনই বঙ্গবন্ধু ছাত্র নেতৃবৃন্দকে ডেকে ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনের নির্দেশ দেন। নেতার নির্দেশ পেয়ে চার খলিফা খ্যাত ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আ স ম আব্দুর রব, আব্দুল কুদ্দুস মাখন এক বৈঠকে বিকেলে ছাত্রলীগ ও ডাকসুর সমন্বয়ে ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করেন।
২মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সমাবেশে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল। ৩ মার্চ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পল্টনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হল। এদিন পল্টনে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমাবেশ পরিপূর্ণ স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু মঞ্চে ভাষণ দিলেন, চারদিকে তুমুল করতালি আর স্লোগানের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ল। স্বাধীন বাংলার ইশতেহার পাঠ হল। ইশতেহারে বাঙালী জাতির ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন বাংলার স্থপতি ও মুক্তি সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক করা হল। ৪ মার্চ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হল। ৩ থেকে ৪ মার্চ এই ২ দিনে চট্টগ্রামে ১২০ জন নিহত ও ৩৩৫ জন আহত হয়। খুলনায় সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে ৬ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়। ৫ মার্চ টঙ্গীতে সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে ৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়। খুলনা ও রাজশাহীতেও যথাক্রমে ২ জন ও ১ জন নিহত হয়। ৬ মার্চ ঢাকাসহ সারাদেশে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। এদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙ্গে ৩৪১ জন কারাবন্দী পলায়নকালে পুলিশের গুলিতে ৭ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। এদিকে ৫ মার্চ পর্যন্ত টানা হরতাল চলাকালে সান্ধ্য আইন জারি হলে বীর বাঙালী তা অমান্য করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি জাতি এতটাই অবিচল স্বাধীনতার মন্ত্রে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে যে, তাদের রুখে দাড়ানোর সাহস – কার আছে এমন বুকের পাটা।এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এসএম আহসানকে সরিয়ে ‘বেলুচিস্তানের কসাইখ্যাত’ টিক্কা খানকে গবর্নর করেন এবং ১০ মার্চ গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করেন। সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু তা প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি প্রদান করলে ইয়াহিয়া খান ধূর্ততার সাথে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকেন। কিন্তু ইতোমধ্যে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর প্রতিশ্রুতিভঙ্গের প্রতারণায় বীর বাঙালী তখন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায়।
বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের সহযাত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৭ই মার্চের স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেনঃ
৬ মার্চ সারা রাত বঙ্গবন্ধু বিচলিত-অস্থির ছিলেন। তিনি কী বলবেন তার জনগণকে তা নিয়ে? বেগম মুজিব বলেছিলেন, ‘তুমি যা বিশ্বাস করো তাই বলবে।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতিচারণঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার নানা ষড়যন্ত্র চলছিল। শোনা যাচ্ছিল-এমনকি হতে পারে কমান্ডো হামলা। এমন পরিস্থিতিতে রেসকোর্সে ভাষণের আগে-পরে বঙ্গবন্ধুকে আনা নেওয়ার দায়িত্ব ছিল আমার উপর। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে সেই দায়িত্ব ছিল আমার। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাসা থেকে সমাবেশস্থলে আনা নেওয়ায় বিশেষ কৌশল নিতে হয়েছিল। পূর্ব পরিকল্পিত যাত্রাপথ পাল্টে বঙ্গবন্ধুকে আনা হয় রেসকোর্সে। ভাষণের পরেও বদলাতে হয়েছিল পথ। ধানমণ্ডি থেকে রেসকোর্স হয়ে ফের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পরই স্বস্তিবোধ করছিলাম। ৭ মার্চের সকাল থেকেই আমি ছিলাম বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সঙ্গে। ঠিক হলো তিনটি গাড়ি আমাদের সঙ্গে রেসকোর্সে যাবে। দুইটি গাড়িতে থাকবে যাদের গোঁফ আছে এবং তাদের পরণে থাকবে পাঞ্জাবি। চুল থাকবে ব্যাক ব্রাশ করা। সামনের গাড়িতে আমরা। ঠিক দুইটার সময় ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বের হন বঙ্গবন্ধু। আমি অত্যন্ত চিন্তিত ছিলাম। কোনো অঘটন ঘটে কিনা! তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র চারদিকে। বলা হয়েছিল-কমান্ডো অ্যাটাক করে হত্যা করা হবে। আকাশে হেলিকপ্টারও ঘুরছে। অ্যাটাক হলে বাঁচানো যাবে না। ৩২ নম্বর থেকে এলিফ্যান্ট রোড, তৎকালীন পিজি হাসপাতালের পাশ দিয়ে রেসকোর্সে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যাওয়ার কথা। যাত্রার শুরুতেই তাৎক্ষণিকভাবে আগের সব পরিকল্পনা বদলে ফেলি। আমি কৌশলটা নিলাম-যেভাবে যাওয়ার কথা ওভাবে যাবো না। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের গাড়িতে তুললাম। গাড়ির ভেতরে বঙ্গবন্ধুকে রেখে আমরা এমনভাবে দাঁড়ালাম যাতে তাকে দেখা না যায়। এবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রওনা দিলাম নিউমার্কেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে হাইকোর্টের পাশ দিয়ে রেসকোর্সের পথে। বিশাল জনতার ঢেউয়ের মধ্যে সোজা মঞ্চে উঠলেন তিনি। পিছনে দাঁড়িয়ে মহিউদ্দিন, আমি আর গাজীউল হক। সমাবেশে কোনো সভাপতি ছিল না। গিয়েই বঙ্গবন্ধু আমাকে বলেন, “মাইকটা দে।” জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু-স্লোগান দুটি দিতে দিতেই বঙ্গবন্ধুকে মাইক দিই। এর পরের ঘটনাতো ইতিহাস।
এবার এল সেই মহেন্দ্রক্ষণ।৭ই মার্চ রবিবার।৩টা ২০ মিনিট।বসন্তের পরন্তবিকেলে সফেদ পায়জামা পাঞ্জাবি কালো মুজিবকোট পরিহিত মাইক্রোফোনের সামনে এসে দাঁড়ালেন যেন এক দেবদূত। এক মহাকালের কবি। আজ এক মহাকাব্যের অগ্নিবীণায় ক্ষতবিক্ষত হবে রেসকোর্স ময়দানের প্রান্তর। হাতে লাঠি মুখে শ্লোগান।কোথাও তিল পরিমাণ ঠাঁই নাই।লাখ লাখ বঞ্চিত, লাঞ্চ্ছিত, বিদ্রোহী জনতা।
“কপালে, কব্জিতে লালসালু বেঁধে
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক।
হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
নিম্ন-মধ্যবিত্ত, করুণ-কেরাণী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে……….”
শেখ মুজিবের দরাজ কন্ঠে কেঁপে উঠলো পাকিস্তানি জান্তার ঘুনে ধরা বুক। তিনি তার মহাকাব্যের সূচনা করলেন -
“আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।”
এরপর তিনি পাকিস্তান আমলের বিগত আন্দোলনগুলোর ইতিহাস তুলে ধরলেন।দীর্ঘ তেইশ বৎসরের ইতিহাস, মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস।
“১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে ১০ বৎসর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯-এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পর যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গণতন্ত্র দেবেন। আমরা মেনে নিলাম।”
তার কন্ঠে উচ্চারিত হল নিপিড়িত মানুষের কথা -
“কি পেলাম আমরা? যে আমরা পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দুঃখী আর্ত মানুষের বিরুদ্ধে, তার বুকের ওপর হচ্ছে গুলি। … জনাব ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কিভাবে আমার গরীবের ওপরে, আমার বাংলার মানুষের উপরে গুলি করা হয়েছে, কি করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে। আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। … আমি বলেছি, কিসের বৈঠক বসবো, কার সঙ্গে বসবো? যারা মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে তাদের সঙ্গে বসবো? … ভাইয়েরা আমার,
২৫ তারিখে এসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি যে, ঐ শহীদের রক্তের উপর পা দিয়ে কিছুতেই মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না।”
তিনি অসহযোগের ডাক দিলেন। কিন্তু হরতাল হলে তো অনেক গরীব দিন-আনে-দিন খায় মানুষের অনেক কষ্ট হয়; সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর তাই, তিনি সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সে ব্যবস্থা করার জন্যও বললেন- puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
“গরিবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সে জন্য রিকশা, গরুর গাড়ি চলবে, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে; শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমিগভর্নমেন্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোন কিছু চলবে না।’
তারপরই তিনি প্রতিরোধের ডাক দিলেন-
“আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল- প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে, এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষেরে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দমাতে পারবা না। প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যা কিছু তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্।”
সব শেষে তার বজ্রনির্ঘোষ কন্ঠে ভেসে এল সেই অমর বাণী -
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। জয় বাংলা।”
তথ্যসূত্র ঃ
১| বাংলা উইকিপিডিয়া।
২| দৈনিক জনকণ্ঠ।
৩| দৈনিক ইত্তেফাক।
৪| দৈনিক সমকাল।
৫| চ্যানেল আই : প্রতিবেদন মূলক বিশেষ শাক্ষাৎকার (বিএনপি নেতা শাহজাহান সিরাজ)
৬| কবিতাঃ স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো(কবি নির্মলেন্দু গুন)
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়
বাংলা। জয় বাংলা।”
সে সংগ্রাম এখনও শেষ হয় নি! চলছে……
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু।
পোস্টের শিরোনাম কই!
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ renal scan mag3 with lasix
half a viagra didnt workদিয়েছিলামতো।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
তখন ছিল না synthroid drug interactions calcium
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ viagra en uk
হুম আমিও পড়ে খেয়াল করেছি ছিলনা।
শুভ্র তুহিন বলছেনঃ
খুবই সুন্দর একটি পোষ্ট। তথ্যগুলো সাজানো হয়েছে চমৎকারভাবে।
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
levitra 20mg nebenwirkungenআপনার মন্তব্য ও পাঠে নিরন্তর ভালোবাসা।
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
কি যে কন না!
৭৯০ জন লাইক দাতা আর ১৪৬৯ জন শেয়ার দাতা তো বিশ্বাস করে এই স্ক্রিনশটের কথা-
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
স্ক্রিনশটঃ
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
ছবি আসে না ক্যান?
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
আপনি কি কিছু বলতে চাইছেন? এত ঘুড়িয়ে প্যাচিয়ে না বলে সরাসরি বলে ফেলুননা দাদা।মন্তব্যে স্কিনশটের ছবি আসেনা।
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
ওহ।
আমি আসলে ছাত্রদলের পেজ থেকে দেয়া সেই পোষ্টের স্ক্রিনশটটা দিতে চেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর অবদান আগে অস্বীকার করা হত, এখন তো তার ইতিহাসই বিকৃত করে ফেলা হচ্ছে।
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ glyburide metformin 2.5 500mg tabs
তারিক লিংকন বলছেনঃ
will metformin help me lose weight fastএই মহান কবিতাটি যতবার শুনেছি ততবারই জাতিয় সঙ্গীত শোনার মতই অনুভূতি হয়েছে আমার। মেরুদণ্ড দিয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে যায়!
\
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়
বাংলা। জয় বাংলা।” acne doxycycline dosage
এরপর বাঙ্গালির মুক্তির আর কোন কথা নেই…
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।