পরাজিতের বিজয়-হাসি!
299
বার পঠিতরোজকার মতো চোখ মেলতেই তিক্ত একটা অনুভূতি ভর করলো রাজাকার মোমতাজ আলির মনে। আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে বসার চেষ্টা করতে গিয়ে গাঁটে গাঁটে তীব্র ব্যাথা ছড়িয়ে পড়লো। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো কুৎসিত কিছু গালি। এখন আবার যেতে হবে পাথর ভাঙতে! না হলে তো খাওয়া জুটবে না! শালার মরেও শান্তি নেই!
বিস্বাদ কতগুলো খাবার কোনমতে নাকে-মুখে গুঁজে বেরিয়ে পড়লেন মোমতাজ আলি। চলতে চলতে শাপ-শাপান্ত করতে লাগলেন নিজের অদৃষ্টকে। কত কী-ই না আশা করেছিলেন তিনি! মৃত্যুর পরে ৬০-৭০টা অপ্সরীকে নিয়ে মৌজ-মাস্তি করবেন! মাঝে মাঝে অরুচী ধরে গেলে কিশোর সেবকেরা তো রয়েছেই! বেঁচে থাকতে পূণ্য তো আর কম করেন নি! সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন পাকিস্তানের খেদমতে। সেই ৪৭ সালে মালাউনগুলোর বাড়িতে লুটপাট করে, ওগুলোকে কতল করে, আর সুন্দরী মেয়ে গুলোকে ছবক শেখানো দিয়ে শুরু তার পাকিস্তানের খেদমত। আর পাকিস্তানের খেদমত মানে তো এছলামেরই খেদমত। পাকিস্তান যে খোদার পবিত্র ঘর। সেই পবিত্র ঘরটা যখন শূয়োরের বাচ্চা মালাউনগুলোর চক্রান্তে ভেঙ্গে যেতে বসলো, তখন আবার ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাকে রক্ষার জন্য। আবার মালাউনগুলোর ঘরে আগুন লাগিয়েছেন, কুকুরের মতো গুলি করে মেরেছেন নাফরমানগুলোকে। ওদের কচি কচি বউ আর মেয়ে গুলোকে তুলে দিয়েছেন সাচ্চা ঈমানদার সিপাহীদের হাতে। নিজেও ওদের ওপর উপগত হয়ে পূণ্য অর্জন করেছেন! এমনকী মেজর সাহেব যখন তার কিশোরী মেয়েটার দিকে নজর দিলেন, তখনও বাবা হিসেবে তার যে কর্তব্যবোধ ছিল, তার টুঁটি চিপে মেরেছেন। নিজের মেয়ের চাপা চিৎকার আর অসহায় কান্না মুখ বুজে সহ্য করেছেন এছলামের খাতিরে। নিজের জীবনটা পর্যন্ত দিয়েছেন এই পাকিস্তানের জন্য! কিন্তু বিনিময়ে কী জুটলো তার কপালে? না, পাথর ভেঙ্গে খাবার জোগাড়! নিকুচি করেছে এই পরকালের!
দুপুর পর্যন্ত পাথর ভেঙ্গে চললেন মোমতাজ আলি। একা নন তিনি। আশেপাশে প্রচুর রাজাকার আর পাকিস্তানি সিপাই রয়েছে। তাদের এই গ্রুপটা খুব সম্ভবত স্পেশালী একাত্তরের পাকিস্তানের খেদমতগারদের জন্যেই বানানো হয়েছে! পরিশ্রমে শরীর ভেঙে পড়ছে। হাত আর চলতে চাইছে না।এত পাথর দিয়ে খোদা কী করবেন কে জানে? একটু বিশ্রাম নেবেন কী না ভাবছেন, এমন সময় এসে হাজির হলো হারামী মেজরটা! কুত্তার বাচ্চাটাকে দেখলেই এখন ব্রহ্মতালু জ্বলে ওঠে তার। নরকে এসেই মেজর সাহেবকে দেখে খুশীতে গদগদ হয়ে তাকে গিয়ে সালাম দিয়েছিলেন। মেজরও তাকে দেখে খুশী! একেবারে উচ্ছসিত হয়ে উঠলেন। তখন কী আর মোমতাজ আলি জানতেন, কী আছে এই বানচোতের মনে? সারাদিন পাথর ভেঙে বিনিময়ে প্রহরীদের কাছ থেকে সামান্য যে খোরাক পান তিনি, তার বেশীরভাগই যায় এই শালা মেজরের পেটে। তা-ও এটুকুতে হলে কথা ছিলো! এই নরকে এসেও শালার খাসলত যায় নি। তার পৈশাচিক ক্ষুধা এখন মোমতাজ আলির নিজেকেই মেটাতে হয়! প্রথম প্রথম দু-একবার প্রতিবাদের চেষ্টা করেছেন অবশ্য। তাতে লাভের লাভ এই হয়েছে যে, মেজর বেল্টের বাড়িতে পিঠের ছাল-চামড়া তুলে নিয়েছে! আজও কসাইটা ঠোঁটে পৈশাচিক হাসি ঝুলিয়ে বাজখাই গলায় চেঁচিয়ে ওঠে, “সালোয়ার উতারো!” একটা দীর্ঘশ্বাস চেপে পাজামা খুলে হাঁটু গেড়ে বসে কুকুর হলেন তিনি। তারপর কসাইটা চালালো পৈশাচিক অত্যাচার। তারপর আদর করে তার উলঙ্গ পাছায় গোটা পাঁচেক বেল্টের বাড়ি মেরে বিদেয় হলো। চোখ মুছে মোমতাজ আলি উঠে পাজামা পরে নিয়ে আবার পাথর ভাঙতে শুরু করলেন।
বেশ কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ তীব্র শোরগোল উঠলো। মনে হয় মুক্তিগুলো এসেছে। এ হচ্ছে আরেক যন্ত্রণা। স্বর্গে গিয়েও ওদের যুদ্ধের সাধ মেটে নি! মোমতাজ আলি ভেবে পান না- মুক্তি গুলো স্বর্গে গেল কীভাবে? তাও যদি শুধু মোছলমান গুলা যেতো! মোছলমান, মালাউন, কম্যুনিস্ট- সব শালা স্বর্গে গিয়ে ঢুকেছে! খোদা কোন যুক্তিতে এদেরকে স্বর্গে পাঠালেন? এমন তো কথা ছিল না! তাও যদি স্বর্গে গিয়ে খেয়ে দেয়ে শুধু ভুঁড়ি বাড়াতো, তাহলে কথা ছিল। কিন্তু যখন একঘেয়ে লাগে, তখন গোলাবারুদ নিয়ে চলে আসে এখানে! জয় বাংলা বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ পাকিস্তানি আর রাজাকারগুলোর ওপর! শালাদের নেতৃত্ব দেয় ওই ঢাকাইয়া ছেলেগুলো। ক্র্যাক প্লাটুন না কী যেন নাম ছিল বদগুলোর! মাথা খারাপ পোলাপান সব! গতবারের হামলায় একটা পা প্রায় উড়েই গিয়েছিলো তার। পরে এক পাকিস্তানি আর্মির ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন! মাগনা নয় অবশ্যই। বিনিময়ে দু-সপ্তা ওই হারামজাদার পাথর ভেঙে দিতে হয়েছে! ফলে দুটা সপ্তা উপোস গেছে তার!
শোরগোল ক্রমেই কাছে আসছে। তাড়া খাওয়া নেড়ি কুত্তার মতো মোমতাজ আলি ছুটে গিয়ে একটা বড় পাথরের আড়ালে লুকালেন। খানিক পরে মুখ বাড়িয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন- মুক্তি নয়, নরকের প্রহরীরা একটা বুজুর্গ মত বুড়ো লোককে ধরে নিয়ে আসছে! চোখ কুঁচকে ভালো মত তাকালেন তিনি। হ্যাঁ, চিনতে পেরেছেন। এ যে তাদের প্রিয় নেতা, তাদের কান্ডারী গোলাম আজম। এর ডাকেই তো একাত্তরে এছলাম রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। হায় খোদা, ইনিও নরকে!
প্রহরীরা গোলাম আজমকে রেখে যেতে মোমতাজ আলির ইচ্ছে হলো দৌড়ে তার কাছে যাওয়ার। কিন্তু ঠিক সাহস পাচ্ছেন না! মেজর সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেই যে বিপদে আছেন তিনি! তবু কৌতুহল দমন করতে পারলেন না। পায়ে পায়ে এগিয়ে যেতে লাগলেন! কাছে গিয়ে একটু খটকা লাগে তার। মুক্তি গুলো তাকে গুলি করে মারার পরে তো তিনি শুনেছেন শালারা পাকিস্তানিদের হারিয়ে দিয়েছিলো। বাঙালীদের যে ক্ষোভ দেখেছিলেন তিনি পাকিস্তানি আর রাজাকারদের ওপর, তাতে করে স্বাধীন বাংলায় এত বছর থেকে গোলাম আজমের চেহারা এত খোলতাই হয় কী করে? পুরো দেখি ঘি-ননী খাওয়া চেহারা! ভাবতে ভাবতে কাছে গিয়ে সালাম দিলেন তিনি। এ কথা সে কথার পরে কৌতুহল চেপে রাখতে না পেরে জিজ্ঞেস করলেন তিনি হুজুরের রূপের রহস্য! হুজুর বললেনঃ
“হুরো মিয়া! তোমরা কি মনে করছো পূর্ব পাকিস্তানে আমরা কষ্টে ছিলাম? পাগল আর কারে কয়? হুনো, আমাগো পেয়ারা পাকিস্তান ভাগ হওনের কয়েক বছর পরেই তো ওই বেঈমান মজিবররে গুষ্টিসুদ্ধ গুলি কইরা মারছে আর্মিতে থাকা সাচ্চা দেশপ্রেমিকেরা! আর ওই মজিবরের চামচা ওই শালা ভারতের চর হিন্দু তাজুদ্দিন আর অর সাথের আরো তিনটা- অগোরে জেলে গুলি কইরা আর বেয়নেট দিয়া খুচাইয়া খুচাইয়া মারছে আমাগো ভাই বেরাদররা! তারপর তো খালি সুখ আর সুখ! ওই যে মেজর জিয়া আছে না?” side effects of drinking alcohol on accutane
“কোন জিয়া? মার্চের ২৭ তারিখে রেডিওতে স্বাধীনতার কথা কইলো যে?”
“হ, ওই জিয়াই। ওই-ই তো জেলে আটক আমাগো সব ভাই-বেরাদররে ছাইড়া দিলো। আমিও আবার পূর্ব পাকিস্তানে গিয়া খুঁটি গাইড়া বসলাম। এর আগে বেঈমান মজিবরের জন্যে তো দেশ ছাইড়া পালায় গেছিলাম! …এরপরে মিল্যা-মিশা রাজনীতিও শুরু কইরা দিলাম!“
“কন কী হুজুর?”
“তয় আর কী কই? পরে জিয়ার বউ যখন প্রাইম মিনিস্টার হইলো, তখন তো একবার আমাগো মইত্যা আর মইজ্যারে মিনিস্টারও বানাইসে!”
কথা শুনতে শুনতে চোখ কপালে উঠে যায় মোমতাজ আলির। “তাইলে হুজুর, রাজাকারেরা বাংলাদেশেও আরামেই আছে? আর মুক্তিগুলা?”
“অই মিয়া, বাংলাদেশ আবার কী? পূর্ব পাকিস্তান বলবা। …মুক্তিগুলার টাইম আছে নাকি অহন? মাঝখানে একবার তো আমাগো পোলাপাইন এক মুক্তিরে পাছায় লাইত্থাইয়া এক ফাংশন থিকা বাইর কইরা দিছিলো! কেউ আমাগো কিছু করার সাহস পায় নাই। সাচ্চা পাকিস্তান প্রেমিক রাজাকারেরা আছে রাজার হালেই। ইদানীং একটু ঝামেলা হইতাছে অবশ্য। ওইটা ব্যাপার না!”
“কী ঝামেলা হুজুর?”
“আর বইলো না। শেখের বেটি সবাইরে জেলে ঢুকাইতাছে, বিচার করতাছে। অইগুলা তেমন কিছু না। আমারে তো অ্যারেস্ট করনের পরেও অনেক খাতিরযত্ন করছে। প্রত্যেকদিন ২০-২৫ আইটেমের খানা দিছে। আহ, সাজা তো না, যেন ফাইভ স্টার হোটেলে ছিলাম! অন্যরা অবশ্য এত সুবিধা পাইতাছে না; তবু ব্যাপার না, অগোরে বেশীদিন ধইরা রাখতে পারবো না। আমার শিবিরের সোনার ছেলেরা আছে না। আহা… কী একেকজন তেজী পোলা, কী সোন্দর, কী স্বাস্থ্য, কী নরম…” -বলতে বলতে অন্যমনস্ক হয়ে যান গোলাম আজম। মোমতাজের কথায় ধ্যান ভাঙে তার…
“আইচ্ছা হুজুর, কারে না কী ফাঁসি দিয়া দিছে শুনলাম? সে এখন তাইলে কই? তারে তো নরকে দেখলাম না?”
“হ, ওই কাদেইরারে। ব্যাটা মাথামোটা! নরক আর স্বর্গের প্রহরীগোরেও বলদ বানাইতে চাইছিলো। কয়- আপনেরা ভুল করতাছেন। আমার নরকে যাওনের কথা না। এই কাদের সেই কাদের না! প্রহরীগুলাও ক্ষেইপা গিয়া অরে স্বর্গ আর নরকের মাঝখানে ফাঁসিতে ঝুলাইয়া রাইখা দিছে! বেকুব কোনহানকার! …আর বিচারে তো অর প্রথমে জেল-ই দিছিলো। তারপর কতগুলা বেয়াদ্দপ পোলাপান চিল্লা-ফাল্লা কইরা আবার আপিল করাইলো। তারপর ফাঁসি হইয়া গেলো। আহারে কাদেইরা! তাও ব্যাপার না, অই পোলাপানগুলারে আবাল বাঙালি গুলার কাছে নাস্তিক বানাইয়া দিছি। কেউ অহন আর অগো কথা শুনে না। আর অরা নিজেরাও অহন আর নিজেগো কথা শুনে না! নিজেগো মধ্যেই গ্যাঞ্জাম লাইগা গেছে! সাধারণ পাবলিক গুলা তো অহন আমাগো বিচারের কথা শুনলে নাক সিটকায়। পুরান কথা ভুইলা যাইতে কয়, বুড়া বুড়া আলেমগোরে শাস্তি দিতে মানা করে। হা হা, আবালের দল। ওইদিক দিয়া সাদা চামড়াগুলানরেও ম্যালা ট্যাকা খাওয়াইসি, অরাও ফাঁসি দিতে গেলে বাঁধা দিবো। আহা সাদা চামড়া, কী সোন্দর, কী ধবধবা…”–আবার অন্যমনস্ক গোলাম আজম।
এদিকে মোমতাজ আলি তো খুশীতে আটখানা। যাক, তার আত্মত্যাগ বৃথা যায় নি।দেশে তো এখনো বলতে গেলে পাকিস্তানেরই রাজ! আহাম্মক মুক্তি গুলোর কথা চিন্তা করে প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে তার। কী আশায় প্রাণ দিলো তাঁরা? তা-ও ভালো, বেঁচে থাকলে তো লাথি খেতো! আকাশ-বাতাস কাপিয়ে হেসে উঠলেন তিনি। হা হা হা হা করে তার প্রচন্ড অট্টহাসি ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো নরক জুড়ে।
গল্পটা এমন হওয়ার কথা ছিলো না। স্বাধীনতার এতগুলো বছর কেটে যাবার পরেও স্বাধীনতাবিরোধীদের অট্টহাসি শুনতে হয় আমাদের। আর তাতে কিন্তু আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না! ভুল হয়তো সেই বীর মুক্তিযোদ্ধারাই করেছিলেন! বিদেশী প্রভুদের পা চাটতে অভ্যস্ত একটি জাতিকে অমূল্য স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাই, লাথি খেয়েই সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্য করেন তাঁরা! কখনো দৃশ্যমান লাথি, কখনো বা অদৃশ্য!
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ zoloft birth defects 2013
নরক আর স্বর্গের প্রহরীগোরেও বলদ বানাইতে চাইছিলো। কয়- আপনেরা ভুল করতাছেন। আমার নরকে যাওনের কথা না। এই কাদের সেই কাদের না! বেশি ভালো ছিলো এই ২টা লাইন।
আসলেই মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলো মনে হয় এটা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এমন একটি সুন্দর বাংলাদেশ চেয়েছিলো তারা।তাই বলেই তো নিজের রক্ত দেশের তরে বিলিয়ে দিতে একটু অ কার্পণ্য করে নাই কেউ ………আজ এত বছর পরে আমরা পারলাম বা তাদের মান রাখতে তাদের জন্য কিছু করতে -_-
শুভ্র তুহিন বলছেনঃ tome cytotec y solo sangro cuando orino
খুব কষ্ট লাগে ভাই, যখন কারো মাঝে এই শূয়োরের বাচ্চা রাজাকারগুলোর জন্যে সহমর্মিতা দেখি। কষ্ট হয় যখন তারা পুরনো কথা ভুলে যেতে বলে। আর এই সুশিলতা োদানো লোকগুলোও সংখ্যায় নেহাত কম নয়! will i gain or lose weight on zoloft
অপার্থিব বলছেনঃ
দারুন একটা লেখা পড়লাম। অসাধারন …
শুভ্র তুহিন বলছেনঃ
buy kamagra oral jelly paypal ukধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে! অতটা প্রশংসা পাবার মতো মনে হয় লিখি নি। প্রথমবারের মতো চেষ্টা করলাম গল্প লেখার! গল্প হয়তো হয়ে ওঠে নি, ক্ষোভগুলোই বাক্য হয়ে বেরিয়ে এসেছে কেবল।