বিবর্তন
441 metformin synthesis wikipedia
বার পঠিতইদানিং সিগারেট বেশ ধরে। অর্ধেক শেষ হতেই মাথাটা ধরে যায়! শরীর টা ছেড়ে দেয় একদম। সিগারেটের ধোঁয়ায় অনুভুতি গুলোও ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে গেছে। গুটি কয়েক বাদে সবাই ব্রেকআপের পর সিগারেটে আসক্ত হয়, আমিও ব্যতিক্রম নই। তবে আমার ব্রেকআপ টা নিজের সাথে ।
আমি তখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে, আর পাঁচটা সাধারণ ছেলের মতই স্বপ্ন বিলাশী। স্বপ্ন গুলো আকাশ চুম্বী ও অসবাস্তব কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। ২০১৩সাল, দেশ তখন উত্তাল। শাহবাগে গণজোয়ার এসেছে। গণজোয়ার কতটা গণজাগরণের তা আমি বলতে পারব না। তবে এ গণ জোয়ার কিছু স্বপ্নবাজ ছেলে মেয়ের জন্ম দিয়েছিল। তাদের স্বপ্ন আমার মত তথাকথিত স্বাভাবিক ছিল না, আমার মত আত্ম কেন্দ্রিকও ছিল না। তাদের স্বপ্ন জুড়ে ছিল দেশ, জাতি, মূল্যবোধ, মানবতা। আমিও শাহবাগে গিয়েছিলাম সে সময়। দেশ, রাজনীতি নিয়ে মাথা ব্যথা ছিল না। আমার যাবার কারণ ছিল ভিন্ন। আমার সর্বগ্রাসী চোখে ধর্ষিত হয়েছিল আমাদেরই সমাজের অর্ধাঙ্গ। রোজ যেতাম, কলেজ থেকে ফেরার পথে। বাসায় ফিরতাম, স্বমৈথুনে মেতে উঠতাম। নিজের ভেতরের পশুটিকে শান্ত করতাম। তখনও চোখ দিয়ে নারীদেহ গোগ্রাসে গেলা ছাড়া আমার অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না শাহবাগ যাবার। এভেবেই এক সপ্তাহ পেরুলো।
শাহবাগ গণজাগরণের তখন অষ্টম দিন চলছে। ক্লাসে বাংলা স্যার হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন ‘শাহবাগ গিয়েছিস কে কে?’ সবাই বলে উঠলো আমিও ‘স্যার, রোজ শাহবাগ হয়েই তো কলেজই আসি’। কেউ একজন বলে উঠলো ‘আজিজ্জা আইজ টাল নাকি’ স্যারের নাম ছিল আজিজ । আর সবাই বলতো আজিজ্জা। স্যার সে কথা নিয়ে মাথা ঘামালেন না। বললেন ‘আমি শাহবাগ আন্দোলনের কথা বলছি।কে কে গিয়েছিস সেখানে’ আমি দাড়ালাম। ডান দিকের সারির আরও একজন দাড়ালো। স্যার বললেন ‘যাক দুইটা মানুষ পাওয়া গেল’ ।
ছুটির পর সেই ছেলেটি আমায় ডাকলো ‘সুদীপ, দাড়া তো!’ ।
আজ ছয় সাত মাস ক্লাস করছি, কখনও একে খেয়াল করি নি আগে। তুই বলে সম্বোধোন করায় কিছুটা মেজাজ খারাপ হচ্ছিল। এরপর অনেক কথা হল, ফেসবুকে এ্যড করলাম। রুদ্র নাম ছেলেটির। সারাদিন শাহবাগ, একাত্তর, বায়ান্ন নিয়ে স্টাটাস। এর পর থেকে শাহবাগে রুদ্র আর আমি এক সাথেই যেতাম। ও স্লোগান দিত ‘জয় বংলা’ আমি তখন অন্য কাজে ব্যস্ত।
একদিনের ঘটনা কলেজ থেকে শাহবাগ যাচ্ছি। গণজাগরণের তখন তের তম দিন। রুদ্র আমায় হঠাৎ প্রশ্ন করলো
-আচ্ছা সুদীপ, আমি স্লোগান দেই। তুই দিস না কেন তখন?
= ধুর হুদাই গল্লা ভাইঙ্গা লাভ আছে! এই সব রাজনীতির বিষয় ভাল লাগে না।
-তাহলে সময় নষ্ট করে শাহবাগ যাস কেন?
=ইনজয়! ইনজয় করতে! এখন বয়স ইনজয় করার এসব নিয়ে ভাবার না। বুড়া হইলে ভাবুম ।
-অহ। zovirax vs. valtrex vs. famvir
আর কিছু বললো না। শাহবাগে সেই যথারীতি কাজ। রাতে আমায় কিছু লিংক দিল। ক্লিক করে পড়তে শুরু করলাম। শিরোনাম ‘নারী দেহ ভোগের বস্তু’
‘আমায় ধরে এনেছে তিন দিন তখন। এ তিন দিন শরীর ঢেকেছি শুধু, মাথার চুল দিয়ে। কোন কাপড় ছিল না। প্রতিদিনই দু বার করে ডাক পড়ত। কখনও দু তিন জন এক সাথে, কখনও একা কোন জানোয়ারের ভোগের সামগ্রী হতাম মরতে চাইতাম মরতেও দিত না।…’ সম্পূর্ণ টুকু পড়লাম। বুঝলাম একাত্তরের ঘটনা। একাত্তরের জানোয়ার গুলোর কাছে ভোগের বস্তু ছিল নারী দেহ।
আমি প্রথমে কিছুটা বিরক্ত হলাম। পরে ওর দেয়া লিংক গুলোর সব গুলো পোস্টই পড়লাম। ঘৃণা হল নিজের প্রতি! আমি কি করছি! সশরীরে ঝাপিয়ে না পড়লেও নিস্তার দিচ্ছি না কোন মেয়েকে। এরা তো আমারই বোন। ঘৃণা হল পাকিস্তান দেশ টার প্রতি। ঘৃণা হল মানুষ নামক সেই সব হিংস্র জানোয়ার দের প্রতি। সে রাতেই সার্চ দিলাম পড়লাম একাত্তর নিয়ে, বায়ান্ন নিয়ে। ‘এতদিন কোথায় ছিলাম আমি! কি ছিলাম আমি!’ নিজেকেই প্রশ্ন করি। আর উত্তরে আসে একরাস দীর্গশ্বাস। আমি বলি এখন রাজনীতির বয়স নয়। সেদিন একাত্তরে ১৪ বছরের যুবক যে বন্দুক হাতে নিয়েছিল তার তো বয়স ছিল ক্রিকেট ব্যাট হাতে নেয়ার। সে তো আমার জন্য, আমাদের জন্য দেশ দিতে নিজের জীবন দিয়ে গেল। আর আমরা!
পরদিন কলেজ যাওয়া হল না। ছুটিরপর রুদ্র ফোন দিল।
-কিরে কলেজ এলি না যে!
=এমনি।
-তুই কই?
=শাহবাগ।
-থাক আসছি। private dermatologist london accutane
রুদ্র শাহবাগ এলো। এসেই বলল
-শরীর খারাপ নাকি?
=না!
-কখন এসেছিস?
=১০টায়।
- কি এনজয় করছিস।
আমার দৃষ্টি তখন দুটি শিশুর দিকে, আট নয় বছরের হবে। বুকে লেখা ‘রাজাকারের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিচ্ছে তারা ‘জয় বাংলা’ । রুদ্রের কথাটা গায়ে লাগলো। নিজের প্রতি ক্রোধ টা আরও বেড়ে গেল।
=রুদ্র তোর দেয়া পোস্ট গুলো পড়লাম, আমার নিজের প্রতি ঘৃন্না হচ্ছে।
-ঘৃণার কি আছে। দোষটা তোর না।
= আমি স্লোগান দিতে চাই।
-দে মানা করেছে কে!
আমি চেষ্টা করলাম পড়লাম না!
উঠে চলে আসলাম ১০টাকা দিয়ে একটা বেনসন লাইট নিলাম। সিগারেট শেষ করলাম। যেই আমি সিগারেটের গন্ধ শুকতে পারি না, কাশি আসে সেই আমি সেদিন একটি কাশিও দেই নেই। ফিরে গেলাম। রুদ্র স্লোগান দিচ্ছে ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই। রাজাকারের ফাঁসি চাই’ আমিও গলা মেলালাম। রুদ্র আমার দিকে তাকিয়ে এক চিলতি হাসলো।
এই ছিল আমার প্রথম সিগারেট খাওয়া।
ট্রুথ এন্ড ডেয়ার খেলায় ট্রুথ বেছে নিয়েছিল সুদীপ। এইতক্ষণ তাই সিগারেট নিয়ে নিজের সত্যটা বলল সে। সুদীপের বলা শেষ, জয়িতা এখন তাকিয়ে আছে। মন্ত্রোমুগ্ধের মত শুনিছে সে।ও যেন আরও শুনতে চায় ।
কিন্তু খেলা শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ডে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। জয়িতস্র জন্য সুদীপের এখন আর সময় নেই। পাকিস্তানের এক সময়কার ঘোর সমর্থক সুদীপ এখন প্রতি খেলাতেই পাকিস্তানের বিপক্ষ দল। পাকিস্তানের প্রতি খেলতেই সদীপের ওয়ালে একটি স্টাটাস দেখা যায় -খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না! fuck off! আমি মেশাবই’।
এক একটা চার মারছে আইয়ারল্যান্ড আর সুদীপ স্টাটাস দিচ্ছে। জয়িতা হাসলো। বললো – ‘তোর মানুষ হবার গল্প টুকু ভালই লাগলো, অবশেষে মানুষ রূপে বিবর্তন!’
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ
-খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না! fuck off! আমি মেশাবই’।
ভাই ভালো লাগছে সিরিয়ালি ভালো লাগছে।কিন্তু হঠাৎ শাহবাগের কথা মনে পড়ে গেলো
দুরন্ত জয় বলছেনঃ metformin gliclazide sitagliptin
পড়ার জন্য ধন্য বাদ । জানি ভাল হয় নি যে!
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ
কে বললো ভালো হয়নি যদি ভালই না হয় আমি শুধু শুধু ভালো বলবো কেন ভাই
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
can your doctor prescribe accutaneআমার নিজের কাছেই ভাল লাগে নি!
অংকুর বলছেনঃ
ভালো লিখেছ। তয় সিগারেট খাবার বিষয়টা খোটকা লাগল। এইভাবে সিগারেট শুরু করা যায়?
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ…… অনেকে বলে না যে সিগারেট খেয়ে সাহস পাবি খা। সেটা ধরেই লেখা। আমার মেইন ফোকাস ছিল দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন। আর কোন শ্রেনীর দৃষ্টি ভঙ্গিটা কেমন। আপনি দেখবেন আপনার যে বন্ধুটি পাক পন্থী সে নারী নিয়ে এমন মানসিকতাই লালন করে।
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
রুদ্র চরিত্রটাকে ভাল লেগেছে। ইয়ে, আমার নামও রুদ্র। :p
দুরন্ত জয় বলছেনঃ will i gain or lose weight on zoloft
ধন্যবাদ রুদ্র সাহেব , পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
শুভ্র তুহিন বলছেনঃ
can you tan after accutaneসুন্দর লেখা। ভালো লেগেছে।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ glyburide metformin 2.5 500mg tabs
viagra in india medical storesধন্যবাদ…