কণ্ঠে গান আর হাতে রাইফেল নিয়ে যুদ্ধজয়ী এক বীরের উপাখ্যান…
588
বার পঠিত“-ওই গান থামা। পাকসেনারা শুনলে বুইঝা যাইবো তুই কোথায়। তোর মরণের ভয় নাই নাকি?’
-আরে মরবোইতো একদিন। ভয় পাওয়ার কী আছে? গান গাইয়া লই”
এমনই গান পাগল ছিলেন মানুষটা। একাত্তরে যখন জীবন বাঁচা আর মরার সান্নিধ্যে ছিল তখনও গানকে ভুলেন নি তিনি।হাতে অস্ত্র আর কণ্ঠে গান নিয়েই করেছিলেন যুদ্ধজয়! শুধু একাত্তরেই নয় দেশের জন্য লড়েছেন আটষট্টি- ঊনসত্তরেও। মাত্র সতের বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন আন্দোলনে। সে সময়ে ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর হয়ে পাকিস্তান সরকারেরবিরুদ্ধে গান গাইতে গিয়েও বুক কাঁপেনি তাঁর। জেলায় জেলায় ঘুরতেন তাঁরা, গান গাইতেন সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশের তাড়া খেয়ে অসংখ্যবার দৌঁড়েপালিয়েছেন তিনি। এভাবেই কেটে যায় আটষট্টি-ঊনসত্তর-সত্তুর।সূচনা হয় স্বাধীনতার বছর,উত্তাল পুরো পূর্ব বাংলা। ২৫শে মার্চ এক রাতের ব্যবধানেই যেন মৃত নগরীতে পরিণত হয় ঢাকা। রাস্তায়-রাস্তায়,গলিতে-গলিতে,বাড়িতে-বাড়িতে পরে থাকতে দেখা যায় শত শত মানুষের লাশ।যারা বেঁচে ছিলেন তাঁরাও জন্য মৃত্যুর সময় গুনছিলেন।দেশের এই অবস্থা দেখে নিজেকে আর ঘরে আটকে রাখতে পারেননি মানুষটা।সিদ্ধান্ত নিলেন যুদ্ধে যাবে সে! তাঁর জবানিতে-
“একাত্তরে ২৫ মার্চের পর সারা শহরে কারফিউ। আর্মিদের জ্বালায় থাকতেপারতাম না। পালিয়ে থাকতাম। বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম,এভাবে নয়।মরলে যুদ্ধ করেই মরব। সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম, ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নেবো।যুদ্ধ করব। যে যার মতো চলে গেল। আমি যেদিন গেলাম,সেদিন আমার সঙ্গে ছিল দুইবন্ধু শাফি আর কচি। বেলা সাড়ে ১১টা। মাকে গিয়ে বললাম, ‘মা, যুদ্ধে যেতেচাই।’মা বললেন, ‘ঠিক আছে, তোর বাবাকে বল।কাঁপতে কাঁপতে গেলাম বাবার সামনে। মাথানিচু করে বললাম, আমি যুদ্ধে যাচ্ছি। চিন্তা করলাম, এই বুঝি লাথি বাথাপ্পড় দেবেন। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে বাবা বললেন, ‘ঠিক আছে, যুদ্ধেযাইবা ভালো কথা। দেশ স্বাধীন না কইরা ঘরে ফিরতে পারবা না”।
এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকান নি তিনি।পায়ে হেঁটে রওনা হন আগরতলার পথে।সেখানে তাঁর সঙ্গী হন তাঁর দুই বন্ধু। লক্ষ্য ছিল যেভাবেই হোক সেক্টর ২ এ খালেদমোশাররফের অধীনে যুদ্ধে যোগদান করা।অবশেষে লক্ষ্য পূরণ হল তাঁর। পৌঁছে যান মেলাঘরে,খালেদ মোশাররফের কাছে।সেখানে আরো অসংখ্য আরবান গেরিলার সাথে তিনিও ট্রেনিংনেন। তাঁর অস্ত্র শিক্ষার ট্রেনার ছিল রুমি। হ্যাঁ, বিস্ময়ের কিছু নেই। এইরুমি সেই রুমি-ই, আম্মাজাহানারা ইমামের ছেলে। রুমি ছিল অস্ত্রচালনায় সবচেয়েদক্ষ। এলএমজি, রাইফেল সবকিছু চালনাই রুমির কাছ থেকে শিখেছিলেন তিনি।মেলাঘর থেকে অপারেশনে ঢাকায় ফিরে আম্মার কাছে এই লোকটির গানের বেশ প্রশংসাও করেছিলেন রুমি।“একাত্তরের দিনগুলি” থেকে সেই লাইনগুলো হুবুহু তুলে দিচ্ছি-
“জানো আম্মা,ওখানে তো সন্ধ্যে সাতটা সাড়ে সাতটার মধ্যেই খাওয়া দাওয়া হয়ে যায়।সারাদিন প্রচণ্ড খাটনিতে সবাই এতো টায়ার্ড থেকে যে আটটা নয়টার মধ্যেই বেশি ভাগ ছেলে ঘুমিয়ে যায়।দু’ একটা তাঁবুতে হয়তো কেউ কেউ আরও খানিকক্ষণ জেগে গান টান গায় কিংবা আড্ডা দেয়। সে রাতে টিলার মাথায় দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে কি,একটা তাঁবুতে আলো জ্বলছে,আর সেখান থেকে ভেসে আসছে গানের সুরঃ
হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ…”
পাঠক,ধরতে পেরেছেন কি আমি কার কথা বলছি? না ধরতে পারলে চলুন রুমির জবানিতেই জানা যাক-
“বুঝলাম আজম খান গাইছে।আজম খানের সুন্দর গানের গলা।আবার অন্যদিকে ভীষন সাহসী গেরিলা, দুর্ধর্ষ যোদ্ধা।সেদিন সেইরাতে চারিদিকে ভীষন অন্ধকার,অন্যসব ব্যারাক আর তাঁবুর বাতি নিভিয়ে সবাই ঘুমিয়ে গেছে।ন’টা দশটা মানেই হচ্ছে নিশুতি রাত।ঐ একটা তাঁবুর ভেতর হারিকেনের আলো ছড়িতে সাদা রঙের পুরো তাবুটা যেন ফসফরাসের মতো জ্বলছে।উঁচু থেকে দেখে মনে হচ্ছিলো যেন বিশাল সমুদ্রে একটা আলোকিত জাহাজ।আর আজম খানের গানের সুর,মনে হচ্ছিলো যেন চারিদিকে ইথারে ভেসে ভেসে হাজার হাজার মেইল ছড়িয়ে পড়ছে। তখন আমার গায়ে কাটা দিয়ে উঠেছিলো।এই বৃষ্টিঝরা গভীর রাতের অন্ধকারে আমিও যেন দেখতে পাচ্ছিলাম নির্জন টিলার মাঝে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ৩০৩ রাইফেল হাতে সেন্ট্রি ডিউটিতে সমস্ত ইন্দ্রিয় টান করে দাঁড়িয়ে আছে,আর তাঁদের চারপাশ দিয়ে বায়ুমণ্ডলে ভেসে ভেসে যাচ্ছে আজম খানের উদাত্ত গলার গানঃ cialis 10 mg costo
হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ
কেঁপে কেঁপে উঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে,
যে কোলাহলের রুদ্ধস্বরের আমি পাই উদ্দেশ।
জলে ও মাটিতে ভাঙনের বেগ আসে।
হঠাৎ নিরীহ মাটিতে কখন
জন্ম নিয়েছে সচেতনতার ধান bird antibiotics doxycycline
গত অকালের মৃত্যুকে মুছে
আবার এসেছে বাংলাদেশের প্রাণ।
……………………………….
শাবাশ বাংলাদেশ,এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়!
জ্বলে পুড়ে ছারখার metformin er max daily dose
তবু মাথা নোয়াবার নয়…”
এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কার কথা বলছিলাম।হ্যাঁ, আমি আজম খানের কথা বলছিলাম।আমি মুক্তিযোদ্ধা আজম খানের কথা বলছিলাম।তিনি শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধাই নন, তিনি মহাগুরু,কিংবদন্তী,পপসম্রাট আজম খান…
আবার ফিরে আসি মুক্তিযুদ্ধে তাঁর দুর্ধর্ষ অভিযান প্রসঙ্গে। মেলাঘর থেকে প্রশিক্ষণ শেষে আজম খান কুমিল্লা অঞ্চলে পাকিস্তানিসেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। প্রথম সরাসরি যুদ্ধকরেন কুমিল্লার সালদায়।কুমিল্লার সালদা অপারেশনে অসীম সাহসিকতার জন্য তাকে সেকশন কমান্ডারকরে ঢাকা ও আশেপাশে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে তিনি যাত্রাবাড়ি-গুলশান-ডেমরা এলাকার গেরিলা অপারেশানে নের্তৃত্ব দেন।
ঢাকায় যেসব অপারেশন তিনি পরিচালনা করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অপারেশনগুলোর দুটো হচ্ছে অপারেশন তিতাস ও অপারেশনইন্টারকন্টিনেন্টাল।তাঁর দুর্দান্ত নেতৃত্বেই গেরিলারা তিতাসের গ্যাস লাইন ধ্বংস করে দেয় ফলে ঢাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যেবোমা বিস্ফোরণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাড়া জাগিয়েছিল, সেটার নেতৃত্বেও ছিলেনআজম খান। পাকিস্তানিরা গোটা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চেয়েছিলো যে বাংলাদেশে কোন যুদ্ধ হচ্ছে না, যা হচ্ছে সেটা সামান্য গণ্ডগোল মাত্র! ব্যাপারটি ছিল অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।কিন্তু আজম খানের মতো ক্র্যাক যে দেশে ছিল সে দেশে এমন মিথ্যাচার কি হতে পারে! কখনোই না… তাইতো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আরবান গেরিলাদের ছোড়া একটা বোমার আওয়াজেই বিশ্ববাসী জেনে গেলো কি মিথ্যাচারটাই না করার চেষ্টা করেছে ইয়াহিয়া !! অবশ্য এ অপারেশনে তিনি বাম কানে প্রচণ্ড আঘাত পান।
এরপরেও ক্ষান্ত হন না গুরু আজম খান। ঢাকার অদূরে মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে ওকালিগঞ্জে সম্মুখ সমরযুদ্ধে সেখান থেকে পাকসেনাদের হটিয়ে দেয় আজম বাহিনী! আরবানগেরিলাদের যে দলগুলো বিজয়ের অনেক আগেই ঢাকা প্রবেশ করেছিল তার মধ্যেঅগ্রগন্য ছিল তার দলটা।শ্বাসরুদ্ধ এই যুদ্ধেও গানকে নি তিনি।গভীর রাতে সবাই যখন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে থাকতো আপন মনে গান গাইতেন তিনি। তাইতো তিনি আজও গুরু হিসেবে সমাদৃত।
এইতো গেল যুদ্ধের ময়দানের অস্ত্র হাতে আজম খানের বীরত্বের কাহিনী।এবার আসি গানের মঞ্চে। আজম খানের কর্মজীবনের শুরু প্রকৃতপক্ষে ৬০ দশকের শুরুতে। ৭১ এর পর তারব্যান্ড উচ্চারণ এবং আখন্দ ( লাকী আখন্দ এবং হ্যাপী আখন্দ ) ভাতৃদ্বয়দেশব্যাপী সংগীতের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বন্ধু নিলু আর মনসুরকে গিটারে, সাদেক ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে করলেন অনুষ্ঠান। তারপর একদিনবিটিভিতে প্রচার হলো সেই অনুষ্ঠান। সেটা ৭২ সালের কথা। ‘এতো সুন্দরদুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি সরাসরিপ্রচার হলো বিটিভিতে। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দিলো এ দুটোগান। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে গেলো তাদের দল আজম খান ১৯৭৪-১৯৭৫ সালের দিকেবাংলাদেশ টেলিভিশনে বাংলাদেশ ( রেললাইনের ঐ বস্তিতে) শিরোনামের গান গেয়েহইচই ফেলে দেন।তার পাড়ার বন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীতে ওর মাধ্যমেপরিচিত হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজ এদের সাথে। এক সাথে বেশকয়েকটা জনপ্রিয় গান করেন তারা। এরই মধ্যে আরেক বন্ধু ইশতিয়াকেরপরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড-রক ঘরানার ‘জীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে!বাংলা গানের ইতিহাসে- প্রথম হার্ডরক গান হিসেবে সমাদৃত এই গানটি।এছাড়াও তাঁর প্রায় ৮ টি অ্যালবাম রয়েছে; দিদি মা,বাংলাদেশ,কেউ নাই আমার,অনামিকা,কিছু চাওয়া, নীল নয়না।,গুরু তোমায় সালাম(এটি গুরুর মৃত্যুর পর আগস্ট,২০১১ এ প্রকাশিত হয়। এতে গুরুর কন্ঠ রয়েছে তিনটি গানে।) এই হল গুরু অসামান্য অ্যালবামগুলোর নাম। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো হচ্ছে- রেল লাইনের ঐ বস্তিতে , ওরে সালেকা, ওরে মালেকা , আলাল ও দুলাল , অনামিকাঅভিমানী ,আসি আসি বলে , এত সুন্দর দুনিয়ায় ইত্যাদি।
আচ্ছা, আপনারা কি জানেন যিনি অস্ত্র হাতে চিরশত্রু পাকিদের বিদায় করে জিতে নিয়েছিলেন দেশবাসীর মন , গিটার হাতে মাতিয়েছেন হাজারো শ্রোতার মনন তিনি ক্রিকেট ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠেছিলেন ক্রিকেটের মাঠে? অবাক হচ্ছেন তো! হ্যাঁ আমিও অবাক হয়েছিলাম পাঠক। ভেবেছিলাম কি করে পারেন একজন মানুষ এতকিছু একসাথে করতে! কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয়েছে এটাই তো স্বাভাবিক, আর তাইতো তিনি গুরু! ১৯৯১—২০০০ সালে তিনি প্রথম বিভাগক্রিকেট খেলতেন গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের হয়ে।
তবে জীবনের শেষ দিকে আজম খানের মনে একটা চাপা আক্ষেপ ছিল এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন নিয়ে।যা প্রকাশ পায় মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাঁর একটা সাক্ষাৎকারে। এ প্রসঙ্গে তাঁর কিছু উক্তি তুলে দিচ্ছি-
“এই তো সেদিন ফকিরাপুলে আমার গ্রুপের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেখি, ফুটপাতেচা বিক্রি করছে! কি আর করবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যার ভেতর আছে, সে তো আরচুরি করতে পারে না!…মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সরকারই তো মূল্যায়ন করেনি। এরপাশাপাশি অনেক বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধা সে সময় লুঠপাট – ডাকাতি করেছে, বিহারীদের বাড়ি – জমি দখল করেছে, মা – বোনদের ইজ্জত হানী করেছে। অনেকেডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মারাও গিয়েছে।”
“আমি নিজেও এ সব কারণে অনেক বছর নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেইনি।…বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে জাতিও বহুবছর মুক্তিযোদ্ধাদেরসম্মানের চোখে দেখেনি।”
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এ প্রজন্মের উদাসীনতা নিয়েও ছিল তিনি হতাশ ছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন-
“এই প্রজন্মের কেউ তো মুক্তিযুদ্ধের গান শুনতে চায় না! এদের জন্য এই সব গানকরে লাভ নেই। তারা তো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসই জানে না।…তবু এখন দেশ গড়ারগান করছি। দেশের দুঃসময়ে আমাদের আমি এই প্রজন্মকে অন্য এক মুক্তির গানশোনাতে চাই। কারণ এ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, প্রগতিশীল চিন্তা – চেতনারমুক্তি এখনো আসেনি”
জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত এই মানুষটি দেশকে ভালোবেসে গিয়েছেন অকৃত্রিম ভাবে। প্রতিনিয়ত ভেবেছেন দেশের জন্য। আর তাঁর সেই ভাবনা চিন্তার প্রতিফলন দেখা যায় তাঁর কিছু কথায়। চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আসার পর একটি টেলিভিশনচ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন আজম খান। যিনি তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তাঁর ভাষায়-
“ দেখলাম অতিসাধারণ তার বাড়ি ঘর। এতবড় একজন শিল্পী, অথচ ঘরদোয়ার, আসবাবপত্র এমনকি তার পোশাক পরিচ্ছদে পর্যন্তনেই ন্যূনতম প্রাচুর্যের ছোঁয়া। একই রকম আটপৌঢ়ে সারল্য লক্ষ্য করলাম তারআলাপচারিতাতেও। বললেন, টাকা শেষ হয়ে যাওয়াতেই চিকিৎসা শেষ না করেই ফিরেএসেছেন সিঙ্গাপুর থেকে। সাংবাদিক যখন জানতে চাইলেন, কারও কাছে অর্থ সাহায্যচাইবেন কিনা, আজম খান বললেন, না, আমি কারো কাছে কিছু চাই না। এই গরীব দেশেকারও কাছে কিছু চাওয়া ঠিক না। আমি বরং দেশকে আরও কিছু দিতে চাই। যতদিনবেঁচে থাকবো, যেনো দিয়ে যেতে পারি। তার এই কথাগুলো আমাকে খুবই স্পর্শ করলো।কী দারুন সাহসী আর মর্যাদাবোধসম্পন্ন উচ্চারণ! জীবনের এই চরম মুহূর্তেওকারও কাছে কোন প্রকার সাহায্য না চাওয়ার মানসিকতা এই দেশে খুব বেশি দেখাযায় না”… online pharmacy in perth australia
পাঠক, লক্ষ্য করুণ দেশের জন্য এতো কিছু করার পরেও মৃত্যুর আগেও যেন তাঁর দেশকে আরও কিছু দেবার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয় নি।একটা মানুষ দেশকে কতোটা ভালোবাসলে এমনটা বলতে পারে ভাবতে পারছেন কি! কিন্তু চিন্তা করুন তো আমরা তাঁকে কি দিয়েছি ? জীবনের অন্তিম মুহুর্তে তিনি কেন দেশের কাছে চাইবেন! দেশের মানুষের, এই আমাদেরই তো উচিৎ ছিল মানুষটিকে মাথায় করে রাখা,তাঁর সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কিন্তু আমরা…! হ্যাঁ, ঠিক, এ কারণেই আমি বলি-বড় অকৃতজ্ঞ জাতি আমরা,সেই সাথে অভাগাও বটে। গুণীর কদর আমরা তখনই বুঝি যখন সে চলে যায়… lasix dosage pulmonary edema
তথ্যসূত্রঃ prednisone dosage for shoulder pain
০১. http://www.sachalayatan.com/biplobr/10798
০২. http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=16738
০৩. http://www.banglanews24.com/LifeStyle/detailsnews.php?nssl=1556
০৪. http://www.lyrics71.com/artist-biography/azam-khan/ pharmacie belge en ligne viagra
অংকুর বলছেনঃ
ventolin evohaler onlineযুদ্ধের সময় আমার বাপ কি বলত জানতে ইচ্ছা হয়। levitra generico acquisto
গুরু তোমায় সালাম
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
বুঝলাম না কি বোঝাতে চাইলেন !!
শুভ্র তুহিন বলছেনঃ
“এই প্রজন্মের কেউ তো মুক্তিযুদ্ধের গান শুনতে চায় না! এদের জন্য এই সব গানকরে লাভ নেই। তারা তো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসই জানে না।…” -একজন মুক্তিযোদ্ধার জবানীতে এই কথাগুলো দেখলে কী যে হাহাকার জেগে ওঠে বুকের মধ্যে! কত আক্ষেপ নিয়েই না তিনি বলেছিলেন কথাগুলো! domperidona motilium prospecto
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
cialis 20 mg prix pharmacieআমি ও ভেবেছি কথাটা !! ইস, কতো আক্ষেপই না তিনি চেপে রেখেছিলেন
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
কথা গুলো এক বিন্দুও ভুল নয়!
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ
রেল লাইনের ওই বস্তিতে জম্নে ছিলো একটি ছেলে
ছেলেটি মরে গেছে হায় রে হায় বাংলাদেশ……বাংলাদেশ prednisolone injection spc
পোস্ট টা পড়ার পর শুধু এই গানটা মাথা আসছে …………
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
আমার অসম্ভব প্রিয় একটি গান
pastillas cytotec en valencia venezuela
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
মাথানিচু করে বললাম, আমি যুদ্ধে যাচ্ছি। চিন্তা করলাম, এই বুঝি লাথি বাথাপ্পড় দেবেন। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে বাবা বললেন, ‘ঠিক আছে, যুদ্ধেযাইবা ভালো কথা। দেশ স্বাধীন না কইরা ঘরে ফিরতে পারবা না
আমার বাপজান হইলে কি কইতেন??
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
অসম্ভব দৃঢ় মানসিকতার ছিলেন সেইসব পিতামাতারা। যারা সন্তানের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও যুদ্ধের ময়দানে পাঠিয়েছিলেন।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
তিনিও যেতে দিতেন কারণ পরিস্থিতি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। যুদ্ধ টা তখন অনিবার্য…
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
হুমম
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পড়লাম গুরু তো গুরুই অল রাউন্ডার ! সালাম গুরু
তারিক লিংকন বলছেনঃ
prednisone 10mg dose pack poison ivyমুগ্ধ হয়ে পড়লাম!! স্যালুট প্রিয় গুরুকে…
আপনাকেও ধন্যবাদ