ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বনাম রাজনীতির ধর্মহীনতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং জামাত শিবির সম্পর্কিত সুসমাচার
1068 achat viagra cialis france
বার পঠিত thuoc viagra cho namবিশেষ করে আমাদের দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বলে যা পরিচিত সেটা নিয়ে প্রায়ই আমি ধাঁধায় পড়ে যাই। ব্যাপারটা মূলত ধর্মের অনুশাসনে রাজনীতি বলে পরিচিত হলেও প্রায়োগিক অর্থটা সম্পূর্ণ একশো আশি ডিগ্রি উল্টো। এর আড়ালে মূলত দুইটি ব্যাপার ঘটে। একটা হচ্ছে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি অন্যটা হচ্ছে রাজনীতির ধর্মায়ন। ব্যাপারটা যথেষ্ট হতাশার তারচেয়ে বেশি দুঃখজনক। কেন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি থাকা উচিত নয়? এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিষবৃক্ষ নিয়েই কিছু আলোচনা করার ইচ্ছা আছে নিজের সসীম দৃষ্টিজ্ঞান থেকে।
আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে রোমের সামন্তবাদী রাজারা প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের সহায়তায় প্রথম জনগনের উপর ধর্মের নামে অত্যাচার চালানোর বিধান রচনা করে। এ সময়ের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার ছিলো ধর্মযাজক তথা চার্চের কর্তৃত্ব। চার্চ সামন্ত রাষ্ট্রে ক্ষমতার এবং সম্পদের অংশীদার রূপে গড়ে উঠেছিলো। এক পর্যায়ে রাজার চেয়েও পোপের ক্ষমতা বেশি হয়ে যায়। রোমান চার্চের ক্ষমতা সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছে পোপ ইনোসেন্ট-থ্রি এর সময়ে। এ সময় রোমে ১২১৫ সালে ইনক্যুইজিশন নামের একটি আদালত গঠন করা হয়। এই আদালতের কাজ ছিলো চার্চের মতবাদ ও শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললে বা যাজকদের জীবনযাপন এমনকি অনিয়ন্ত্রিত অসামাজিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললে তাকে পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ দেয়া। ১৫৩১ সালে কোপার্নিকাসের পৃথিবী ঘূর্ণনের ব্যাপারটা আবিষ্কারের পরেও পারেননি প্রকাশ করতে এই ইনক্যুইজিশানের ভয়ে। কোপার্নিকাসের পর জিয়ার্দানো ব্রুনো একদিন কোপার্নিকাসের “দ্য রেভুলিউশনিবাস” বইটি খুঁজে পান আর সাহস করে একই মত প্রকাশ করলে তাঁকেও একই সমস্যার মুখে পড়তে হয়। ১৫৯২ সালের ২৩ মে বিজ্ঞানী ব্রুনোকে বন্দী করে শুরু করা হয় অকল্পনীয় নির্যাতন। আট বছর পর্যন্ত তার শাস্তি ছিলো মানুষের সামনে প্রত্যহ তার এই মতবাদকে ভুল বলে অস্বীকার করা। সিংহ প্রাণের ব্রুনো কখনোই স্বীকার করে যান নি, পৃথিবী নয় সূর্য ঘুরে। পরিণাম হয়েছিলো ভয়াবহ। ১৬০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোনো এক দিন ব্রুনোকে বধ্যভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার জীভ বেঁধে দেওয়া হয় যাতে একবারও সে তার “ধর্ম বিরোধী” মতবাদটা প্রকাশ না করতে পারে। আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হল ব্রুনোকে। কিন্তু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নিজের সিংহ প্রাণ নিয়ে মতবাদে অটল ছিলেন। গ্যালিলিও এর ইতিহাস সবাই জানেন তাই দীর্ঘায়িত করছিনা। তাঁর বিখ্যাত “A discussion on the two principal laws of the universe” এর জন্যও তাঁকে একই ভাগ্য বরণ করতে হয়। ইনক্যুইজিশানের রায় শুনেও গ্যালিলিও যখন আবার আঙুল তুলে বলেছিলেন আর যাই হোক পৃথিবী কিন্তু ঠিকই ঘুরছে তখন কি তিনিও জানতেন এইসব ধর্মের কুসংস্কার গুলো একসময় বিজ্ঞানের আঘাতে ভেঙে চুরমার হবে?
অনেক তো ইতিহাস বলা হল। এবার বাস্তবে ফিরি। উপরের ঘটনা গুলো স্রেফ কিছু উদাহরণ। অনেকে এর সাথে রাজনীতির যোগসূত্র খুঁজছেন। তাহলে বলি, বর্তমান সময়ে এই ঐতিহাসিক কাহিনী গুলোই শক্তি যুগিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ীদের মনে। তারা জানে কিভাবে বশ করতে হয় মানুষকে। ঠিক যেমন ভাবে করে যাচ্ছে আমাদের দেশে জামাত-শিবির-হেফাজত ত্রয়ী। খুব সুকৌশলে অনেক সময় নিয়ে মরণঘাতী বিস্তার ছড়াচ্ছে তারা। এমনকি এই মরণ কামড়ের হাত থেকে নিস্তার পাননি বিদ্রোহী কবি নজরুলও! তাঁকে তৎকালীন প্রখ্যাত মুনশী রেয়াজুদ্দীন যখন কাফির আখ্যা দেন তখন তিনি একটি কলামে লিখেন,
“হিন্দু লেখক গণ তাদের সমাজের গলদ-ত্রুটি-কুসংস্কার নিয়ে কি না কশাঘাত করেছেন সমাজকে তাও শ্রদ্ধা হারাননি। কিন্তু এই হতভাগ্য মুসলমানদের দোষ-ত্রুটির কথা পর্যন্ত বলার উপায় নেই। সংস্কার তো দূরের কথা, সংশোধন করতে চাইলেও এরা তার বিকৃত অর্থ করে নিয়ে লেখককে হয়তো ছুরিই মেরে বসবে”।
হ্যাঁ! কথাটা নজরুল বলেছেন। যে নজরুলকে এখন সকল জাতের সকল কালের মানুষদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মৌলবাদীরা নিজেদের কপিরাইট দাবী করছে। ভয়াবহ হাস্যকর ঘটনা।
১৯৭১ সালে যখন এদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছিলো সে সময় ৭ নভেম্বর বদর দিবস উপলক্ষে ইসলামি ছাত্র সংঘ (বর্তমানে ছাত্রশিবির) ঢাকায় এক সমাবেশ করে। সমাবেশে সংগঠনের পূর্বপাকিস্তান শাখার আলী আহসান মুজাহিদ (মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত রাজাকার) ৪ দফা দাবী পেশ করে। দ্বিতীয় দফা দাবীতে বলা হয়েছিলো
“আগামীকাল থেকে হিন্দু লেখকদের কোনো বই অথবা হিন্দু লেখকদের দালালী করে লেখা পুস্তকসমূহ লাইব্রেরিতে কেউ স্থান দিতে পারবেনা, বিক্রি বা প্রচার করতে পারবেনা। কেউ যদি করে তবে পাকিস্তানের অস্তিত্বে বিশ্বাসী স্বেচ্ছাসেবকরা জ্বালিয়ে ছাই করে দেবে”।
আমাদের ৭২ এর সংবিধানের অন্যতম ভিত্তি ছিলো ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি। কিন্তু স্বাধীনতার স্বঘোষিত ঘোষক জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে ধর্মনিরপেক্ষতাকে তুলে দেয়। এই মধ্যযুগীয় অবস্থাকে আরো তরান্বিত করে স্বৈরশাসক এরশাদ দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে এনে। একটা রাষ্ট্রের কিভাবে ধর্ম থাকে? এই রাষ্ট্রধর্মের ফলেই দেশে এলো সংখ্যালঘুর মত বাজে একটি শব্দ। এবং এর ফলে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি আমাদের এই দেশে রাজনীতি করার এবং ধর্মের অনুশাসন নিয়ে ছেলেখেলা করার একটা সুযোগও পেয়ে গেল ভালো করে।
আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের অর্জন ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে কিনা, একাত্তরের পরাজিত শক্তি নির্মূল করা সম্ভব হবে কিনা, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে কিনা, জামাত শিবির নিষিদ্ধ হবে কিনা তা এখন সময়ের প্রশ্ন। ইতিহাস বলে, অন্ধকারের শক্তি কখনোই আলোর অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে পারেনি। সূর্য উঠার ঠিক আগমুহূর্তেই রাত থাকে ঘন আঁধার। বিজ্ঞানী ব্রুনো আগুনে পুড়েও তার আদর্শের কাছে মাথা নত করেন নি, গ্যালিলিও ইনক্যুইজিশানের রায় শোনার পরও বলেছিলেন কিন্তু পৃথিবী ঠিকই ঘুরছে। ঠিক তেমনি আমাদের সাহসী মুক্তিযোদ্ধারাও জানতেন, যত যাই হোক, অত্যাচারী হানাদারদের পরাজয় নিশ্চিত, আজ না হয় কাল। তাঁদের জীবন দানের মাধ্যমেই ইতিহাসের সেই সত্যগুলো ফিরে এসেছে। আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতির বিরুদ্ধে, এদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অপতৎপরতায় নিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ঘরে ঘরে আরেকবার দূর্গ গড়ে তোলা প্রয়োজন। রক্ত অনেক দিয়েছি, এবার রক্তের জবাব দেয়া প্রয়োজন। স্বাধীনতা পেয়েছি, আলো প্রয়োজন।
সবশেষে জন লেননের বিখ্যাত Imagine গানের কিছু অংশঃ
“Imagine there’s no heaven
It’s easy if you try
No hell below us
Above us only sky
Imagine all the people
Living for today…
Imagine there’s no countries
It isn’t hard to do
Nothing to kill or die for
And no religion too
Imagine all the people
Living life in peace…
You may say I’m a dreamer
But I’m not the only one
I hope someday you’ll join us
And the world will be as one” levitra 20mg nebenwirkungen
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পোস্টটি উপাদানে সমৃদ্ধ কিন্তু বক্তব্য অস্পপষ্ট!
হয়তো আমার বুঝতে সমস্যা হয়েছে।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
বক্তব্যঃ জামাত শিবির নিষিদ্ধ করতে হবে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজনীতির ধর্মায়ন চলবেনা।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ক্লিয়ার না পোস্টে। এ tome cytotec y solo sangro cuando orino
অপার্থিব বলছেনঃ will metformin help me lose weight fast
ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি থেকে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের জন্য নিষিদ্ধ করা আপাত দৃষ্টিতে কোন দীর্ঘ স্থায়ী সমাধান নয়। গাছের গোঁড়া অক্ষুন্ন রেখে আগা কেটে কোন লাভ নেই ।এই সমস্যার গোঁড়া যেহেতু আদর্শে তাই এ সমস্যা মোকাবেলায় ধর্ম ভিত্তিক আদর্শের বিপরীত আদর্শের শক্তিশালী প্রচার অত্যন্ত জরুরী। মোট কথা দেশে প্রগতিশীলতার চর্চা বাড়াতে হবে । এ দেশের কওমি মাদ্রাসা গুলোতে লাখ লাখ ছেলে পড়া শোনা করে, রাষ্ট্র কিংবা আমরা কেউই তাদের খোজ রাখি না। এতিম গরীব এই ছেলে গুলো রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রায় বিনা খরচে বিদেশি অর্থে পরিচালিত সে সব মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।তাদের যাই শেখানো তাই তারা শেখে। এভাবেই জামাতি হেফাজতিরা তাদের সাম্প্রদায়িক আদর্শের বিস্তার ঘটায়। দারিদ্র আর বিচ্ছিন্নতাবাদ-জঙ্গীবাদ একই সুত্রে গাঁথা। কাজেই তাদেরকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে। তাদের উপযুক্ত শিক্ষা ও কর্ম সংস্থান নিশ্চিত করতে হবে যেন তারা ভ্রান্ত আধ্যাত্নিকতা থেকে মুক্ত হয়ে আরও বেশি জীবনমুখী হয়। এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া। তাদেরকে আদর্শ গত ভাবে দুর্বল না করে , তাদের অর্থ প্রবাহ বন্ধ না করে যদি এ মুহূর্তেই তাদের নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে তারা এটাকে ধর্মের উপর আঘাত হিসেবে দেখবে এবং আরো বেশি জিহাদী জোশে উন্মোক্ত হবে।
তারিক লিংকন বলছেনঃ missed several doses of synthroid
বিষবৃক্ষের অবস্থান নিশ্চিত করে আপনি কীভাবে সমাজকে বিষমুক্ত করতে চান?
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আমার খুব পছন্দের একটা গান দিয়ে শেষ করেছেন! আমার বারবার মনে হয় মানব সভ্যতার মুক্তির কথা এতো সুন্দর করে কেউ বলতে পারে নি আগে…
রাজনীতিকে যদি ধরে নিই সমাজের বঞ্চনা লাঞ্ছনাকে সমাধান করার একমাত্র হাতিয়ার তবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি হচ্ছে সেই হাতিয়ারকে বন্ধী করার একমাত্র আবার বলছি কেবল একমাত্র উছিলা! ধর্ম সকল মানবতাকে বিকল করার জন্যে সবচে বড় দায় বহন করে…