দিয়া (২)
321 metformin synthesis wikipedia
বার পঠিতহুমায়ুন আহমেদ খুব বড় একটা অন্যায় করে গেছেন। পরকালে বায় চান্স তার সাথে দেখা হয়ে গেলে জোরেশোরে একটা ধমক দেয়ার ইচ্ছা আমার।
আমার বাবা কোনো দিন আউট বই পড়েননি। পড়ার মাঝে বিশিষ্ট কিছু মানুষের হাতে গুনা দুয়েকটা বই। সেগুলোও আসলে তিনি পড়েন না । বলা উচিত মুখস্ত করেন। তার একটা ছোট্ট ডায়রি আছে। বই গুলো থেকে স্পেসিফিক কিছু লাইন তিনি ডায়রিটাতে টুকে রাখেন,পরে যেন রেফারেন্স হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। প্রতিটি লাইনগুলোর নিচে তার ইংরেজি অনুবাদ লেখা।
বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানে টুক টুক দুয়েকটা লাইন ঝেড়ে দেন। ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে একটা লাইন শেষ করেন। আশেপাশের টুকাটাকি নেতারা ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে। কিছু বলার সাহস পায় না। প্রচন্ড ক্ষমতাশালী লোকজন যা বলেন তাই সহি। আর তিনি তো বই পত্র থেকে রেফারেন্স সহ বলেন। সুতরাং তারা বেদ বাক্যের মত শুনে তার কথা। রাজনৈতিক বিশ্লেষণের মাঝে গুরুগম্ভীর দুয়েকটা লাইন,অমুক এটা বলেছিলেন এসব আর্টের মত ব্যাবহার করেন তিনি। তার পরিচয় টা আপাতত উহ্য থাকুক।
তিনি একবার আমাকে হিমুর একটা বই ধরিয়ে দিলেন। কেন দিলেন,কোন আক্কেলে দিলেন জানি না। সেই থেকে এক থান নীল শাড়ি,আর এক গোছা নীল চুড়ি মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াই। হুমায়ুনের পাপের ফসল হিমু জগদ্দল পাথরের মত ঘাড়ে বসে চেপে বসল। শত চেষ্টা করেও নামানো যায় না।
হুমায়ুনের আরও একটা অন্যায় হল তিনি রুপার জুতার কালার বলে যাননি। সারা দুনিয়ার সব নীল শাড়ি পরিহিত মেয়েকে বিচার করা হবে রুপার পাল্লায়, এক পাল্লায় রুপা আরেক পাল্লায় নীল শাড়ি পড়া মেয়ে। মেপে দেখা হবে কত টুকু মিল। সেই হিসেবে মার্কিং করা হবে। নীল শাড়ির আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড রুপা, কিন্তু সে কোন কালারের জুতা পড়বে এটা কেও জানে এটা কেমন কথা, খুব অন্যায়, ঘোরতর অন্যায়।
নীল শাড়ির সৌন্দর্যের এই স্ট্যান্ডার্ড তিনি জোর করে আমার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়ে গেছেন। ক্ষমার অযোগ্য অন্যায়। তার সৃষ্টিকে আমি কেন মাথার ভেতর নিয়ে ঘুরব!
বেশির ভাগ মেয়ের শাড়ি পড়ার ধরন রুপার সাথে মিলাতে পারি না। আচ্ছা রুপা কি নাভি বের করে শাড়ি পড়ত, ব্লাউজ কি বডি ফিটিংস?
এসব তিনি ব্যাখ্যা করে যাননি। ব্যাখ্যা করে যাওয়া উচিত ছিল। নীল শাড়ির এমন একটা স্ট্যাডার্ড মাথায় নিয়ে ঘুরি যেটা পুরোটা ধুয়াশে। একারনে অত্যন্ত রুপবতী মেয়েদেরকেও নীল শাড়িতে ভাল লাগে না আমার। শুধু মনে হয় নীল শাড়ি পড়ার যোগ্যতা এর নেই। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ধরে কষে থাপ্পড় লাগিয়ে দেই। চলন্ত গাড়ি থেকে দেখলে গাড়ি থামিয়ে গিয়ে থাপ্পড় দিয়ে আসি।
চোখ খুলেই মনে হল এই মেয়েটা রুপা স্ট্যান্ডার্ডে পড়ে। নীল শাড়ির স্ট্যান্ডার্ড এক মাত্র রুপা, কিন্তু তার সম্পর্কে কোনো ধারনা নেই কারও। তবু মনে হচ্ছে এই মেয়েটার গায়ে নীল শাড়ি মানিয়েছে। দিয়ার মত?
না দিয়ার মত না । এই মেয়ের বেশি আধুনিক। কাধের এক পাশ দিয়ে ব্রার স্ট্রাপ বেরিয়ে আছে। ম্যাচড কালার দেখে কি আমার অবাক হওয়া উচিত?
দিয়ার কখনো এমন হত না। সন্তর্পনে সব কিছু ঢেকে রাখত সে। কখনো ভুলেও চোখে পড়ে গেলে ছোটলোক ইতর বলে গালাগালি করত। আবার বিদায় বেলা সেই যখন সবার সামনে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘ সময় চুমো আকত আমার ঠোটে, আমি অবাক হতাম না। দুই হাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে ঠায় দাড়িয়ে থাকতাম। তার পক্ষে সব সম্ভব। সে তো দিয়া!!
আচ্ছা আমি কোন দিয়ার কথা ভাবছি। আমার সামনের মেয়েটা ত দিয়াই। এ কি দিয়া নয়? অবশ্যই দিয়া। দিয়া ছাড়া নীল শাড়ি আর কারো গায়ে মানানোর কথা না। এর গায়ে মানিয়ে গেছে। সুতরাং এ দিয়া, অবশ্যই দিয়া ।
-এই মেয়ে তুমি কি দিয়া? venta de cialis en lima peru
মেয়েটা রাগি রাগি চোখ করে তাকালো,
-কত বার বলব আমি দিয়া! আপনার সমস্যাটা কি শুনি? can levitra and viagra be taken together
গলার স্বরে ঝাঝ। আমের দিনে কাসুন্দি থেকে যেরকম ঝাঝ বেরুয় সেরকম ঝাঝ। কথার ঝাঝে আমার চোক কান কলিজা সুদ্ধ জ্বলতে লাগল। জ্বলা উচিত না। অচেনা একটা মেয়ে খেজুরের রস লাগানো কন্ঠে কথা বলবে এটা আশা করা বোকামি।
ঝাঝের চোটে আমার ঘোর ভেঙে গেছে। সামনের মেয়েটা নীল শাড়ি পড়ে নেই। হুমায়ুন সাহেবের বিটলামি আবারও ঘোল খাইয়ে ছাড়ল।
মেয়েটা থ্রি পিচ পড়া। সাত রঙা থ্রি পিচ, বুকের কাছে সুন্দর নকশা করা। দিয়ার হাতে কাচের চুরি থাকার কথা। এর হাতে মোটা বালার মত কিছু একটা। নিউ মার্কেটে এই রঙ্গের থ্রি পিচ দেখলাম একবার। এক দাম পাচশ নিরানব্বই টাকা ছাপা মারা। এক টাকা কম কেন? পুরা ছশো লাগালে কি খুব খারাপ হত! এক টাকাই বা ফেরত দিবে কিভাবে। চকলেট দেয়া যায়। সাতশ টাকা বিল দেয়ার পর কাপড়ের প্যাকের সাথে একটা মিস্টার ম্যাংগো। লাভ ক্যান্ডি দিলেও চলে। মেয়েরা মিস্টার ম্যাংগোর থেকে লাভ ক্যান্ডি বেশি পছন্দ করে। তাতে অবশ্য দুয়েক টাকা দাম বেশি পড়বে। তাতে কি একটা টাকা লস দেয়ায় কোনো মেয়ে খুশি হলেও সেটার দাম অনেক বেশি।
মেয়েটার পড়া থ্রি পিচের দাম আরও বেশি হবে। আইফোন হাতে মেয়ে ছশো টাকার থ্রি পিচ পড়বে পাগলেও বিশ্বাস করবে না।
একবার জিজ্ঞেস করে দেখা যায়,
–তোমার থ্রি পিচের দাম কত? viagra vs viagra plus
ঠিক এই প্রশ্নটাই যেন আশা করছিল দিয়া । কপালের চামড়ার ভাজটা আরও ঘন করে মুখটা আরও রাগি রাগি করে তুলার ব্যার্থ চেষ্টা চালালো ও। লাভ হচ্ছে না। জোড়া ভুরো একটার সাথে আরেকটা লেগে গিয়ে মুখটাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
আমার খুব ইচ্ছে করছে তাকে চুমো খেতে। সেটা সম্ভব না। একে তো হাতে সেলাইনের সুচ ঢুকানো, দুই দিয়াকে আমি চিনি না। অচেনা মানুষকে চাইলেই চুমো খাওয়া যায় না।
এ ধরনের একটা আইন থাকা উচিত। যাকে ভাল লাগবে তাকে যেন চাইলেই জিজ্ঞেস করা যায়, আমি কি তোমাকে চুমো খেতে পারি? যার ইচ্ছা সে হ্যা বলবে যার ইচ্ছা সে মিষ্টি করে হেসে বলবে -না।
দিয়ার চুমো খাওয়ার ধরন টা ছিল অদ্ভুত। চুক চুক করে চুমো খেত ও। ধানমন্ডি লেকে একশ টাকায় আধ ঘন্টার জন্য বোট ভাড়া করা যায়। যেদিন চুমো দিত সেদিন বিলটা সেই দিত। বোট চালিয়ে দুজনে আট নাম্বার ব্রিজের নিচে চলে যেতাম। প্রেমিক প্রেমিকারা রিক্সায় চুমো খায়, খালি ফ্লাটে চুমো খায়। গাড়ির কাচ উঠিয়ে দিয়ে এসির ভেতরের বসে চুমো খায়। দিয়া আমার প্রেমিকা না, আমার পুরোটা বাড়িই তার জন্য। তবু কেন ধানমন্ডি লেকের আট নাম্বার ব্রিজের নিচে এসে চুমো খেতে হবে এই রহস্যের সমাধান আমি আজও করতে পারি নি।
দিয়া চুক চুক করে চুমো খায়, আমি প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে বসে থাকি। আকাশ ভাঙা জ্যোৎস্না লাইটের আলোয় ফিকে হয়ে আসে। প্রতিটি জ্যোৎস্নায় আমাকে সে ভালবাসে। সবটুকু দিয়ে।
জিজ্ঞেস করব কিনা একবার ভেবে দেখলাম। নাহ, থাক চুমোর দরকার নেই।
আশা করেছিলাম কাসুন্দির ঝাঝ এবার বেড শিটে আগুন ধরিয়ে দিবে। অবাক কান্ড, ঝাঝ কমে উল্টো গলার স্বর মোলায়েম হয়ে গেল। শুধু মোলায়েমই হল না, সাথে ফিক করে হেসেও ফেলল সে। দিয়ার মত এক কোনার একটা দাত কোনাকোনি ভাবে ভাঙা,
-আরং থেকে নিয়েছি। তিন হাজার দুশো, চেনা পরিচিত তাই দুশো কম রাখছিল।
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সেই দুশো টাকায় এই মেয়ে আইস্ক্রিম খেয়েছে। আইস্ক্রিম গলে কাপড়েও লেগে গিয়েছিল খানিকটা। টিস্যু দিয়ে মুছতে গিয়ে আরও কয়েক জায়গায় লাগিয়েছে আইস্ক্রিম।
দিয়াকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করা দরকার,কি জিজ্ঞেস করব ভাবছি। কাধের কাছে বেরিয়ে থাকা স্ট্রাপের কথা বলা যায়। সেটা উচিত হবে না, আমি তার প্রেমিক নই। প্রেমিক হলে নিজেই হাত দিয়ে ঢেকে দিতে পারতাম। সেটা সম্ভব না, clomid over the counter
–আমি হাসপাতালে কেন?
-তুমি বসুন্ধরাসিটিতে অজ্ঞান হয়ে গেলে তার পর তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি।
মেয়েটা আমাকে তুমি বলছে কেন? তুমি বলার অধিকার তাকে কে দিয়েছে! কষে একটা থাপ্পড় লাগানো উচিত। সেটাও সম্ভব না, আমাকে তুমি বলার অধিকার দিয়ার আছে। আর দিয়াকে আমার পক্ষে থাপ্পড় লাগানো সম্ভব না। কোনো দিনই সম্ভব না। সে তো আমার দিয়া। দিয়াকে শুধু ভালবাসাই যায়। তাকে আঘাত করা যায় না। দিয়ার সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ভালবাসা পাওয়ার জন্য। তাকে আঘাত করলে স্রষ্টার বেধে দেয়া আইনকে অমান্য করা হবে। সেটা উচিত হবে না।
সারা দেহে তীব্র তৃষ্ণা নিয়ে দিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি আমি। মাথার ভেতরটা কেমন ফাকা ফাকা লাগছে, শুধু মাত্র একটা শব্দ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো মাথা জুড়ে,
– দিয়া,আমার দিয়া! তুমি কি আমার দিয়া?
তুমি সত্যিই আমার দিয়া?
দিয়া নামের মেয়েটা দুচোখ ভরা মায়া নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দুটো ঠিক দিয়ার মত। দেখলেই মনে হয় এক্ষুনি কেদে ফেলবে, চোখের জলে কাজল গলে নেমে আসবে থুতনি বেয়ে। হাত দিয়ে সেই কাজল মুছে আমার শার্টে লাগিয়ে দিবে। all possible side effects of prednisone
দিয়া কেন কাদছে না! এই শার্টটাতে কাজলের দাগ নেই, দাগহীন ধুসর রঙের শার্টটা বেমানান লাগছে নিজের কাছে। side effects of quitting prednisone cold turkey
- দিয়া, আমার দিয়া। তুমি কাদছ না কেন। একটু কান্না করোনা।
আমি বিড় বিড় করে বললাম।
দিয়া কাঁদছে না, ফিক ফিক করে হাসছে। সে কেন বুঝতে পারছে না তার এখন কাদা উচিত।
দিয়াকে কত দিন কাদতে দেখিনি আমি, কত দিন!
কাঠগোলাপ তোমার কান্না দেখতে ইচ্ছে করছে খুব, একটু কাদো দিয়া।
দিয়া, আমার দিয়া… side effects of drinking alcohol on accutane
কোলাহল
Mohd Shahanoor Alam Bhuiyan Titu @ বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা
shapan @ প্রসঙ্গ নারী : ধর্মীয় আর সামাজিক বর্বর আইন নারী খৎনা Female Circumcision
Mkjk @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
পারভেজ আহমেদ @ বাংলা কবিতায় ছন্দ কত প্রকার ও কি কি?
Md forid mia @ পা চাটা কুত্তার জলকেলি
Juel @ বিদ্রোহী কবি নজরুল ; একটি বুলেট কিংবা কবিতার উপাখ্যান
Juel @ জলচর মৎস্য হতে স্তন্যপায়ী মানুষ; বিবর্তনবাদের মহা নাটকীয়তার পরিণতি
Ask2ans @ The Boy In The Striped Pajamas