দিয়া (১)
271
বার পঠিতবসুন্ধরা সিটির ভেতরে দাঁড়িয়ে আছি। কোন ফ্লোর বুঝতে পারছি না। বুঝা উচিত। সপ্তাহে নিয়ম করে তিন দিন এসে হাজিরা দিয়ে যাই। একই জায়গা, একই দোকান, একই চেয়ার। দু বছর হয়ে গেল। missed several doses of synthroid
প্রথম প্রথম পছন্দের সিটটা পেতে ঝামেলা হত। মাঝে মাঝেই এসে দেখতাম আমার সিটে কোনো জুটি বসে আছে। সামনে মুরগীর রান। মেয়েটা কসরত করেও রানের ব্যাবচ্ছেদ করতে পারছে না। বাধ্য হেইয় মার টান স্টাইলে রান ফালাফালা করে প্রেয়সীর মুখে তুলে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে উল্টোটাও দেখা যেত, প্রেয়সী উল্টো বালককে খাইয়ে দিচ্ছে। ছেলে মেয়েকে খাইয়ে দিচ্ছে এর থেকে উল্টোটা দেখতে ভাল লাগে। ছেলেদের খাইয়ে দেয়ায় কেমন একটা কপটতা থাকে। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে থাকে না।উল্টো একটা আদুরে ভাব ফুটে উঠে, কেমন মা মা একটা ভাব। প্রতিটি মেয়েই জন্ম থেকেই মাতৃত্ব টাইপ বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। এ কারনেই পিচ্চি বেলা থেকেই বাপ ভাই সবাইকে শাসন করতে করতে বড় হয় সে। ক্লাস টেনে পড়া মেয়ে ভার্সিটি পড়ুয়া ভাইকে রাতে দেরি করে ফেরায় বকা দেয়, এই বকা দেয়াটাও একটা আর্টের মত। সমগ্র মেয়ে জাতি সেই আর্টে বিশেষজ্ঞ। বকা ভালবাসা বা শাসন,মেয়ে জাতিকে টেক্কা দেয়ার ক্ষমতা পুরুষ জাতির হবে না। all possible side effects of prednisone
আমি দাঁড়িয়ে দাড়িতে মুরগির রান নিয়ে কসরত দেখতাম আর মনে প্রানে দোয়া করতাম খাওয়াটা যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়। দাড়িয়ে থাকতে থাকতে ফ্লোরে পা ডেবে যেত। যদি মানুষের হাত পা রাবারের মত হত তাহলে ডেবে যাওয়া পা গ্রাউন্ড ফ্লোরে গিয়ে ঠেকত। গেট দিয়ে ঢুকা লোকজন অসাবধানতাবত ধাম করে পায়ে টাকনুর সাথে গুতা খেয়ে কপালে আলু পটল ঢেরস চাষ করে ফেলত। কিন্তু রাবার না হওয়ায় তা হয়নি। মোটামুটি পা ফ্লোরের হাফ ইঞ্চি ভেতরে ঢুকেই থেমে গেছে।
কোনো কোনো দিন গিয়েই সিট খালি পেতাম। কোনো দিন রান ছিঁড়াছিঁড়ি দেখতে হত। আমি চাতক পাখির মত আমার সিটটার দিকে তাকিয়ে থাকি, ফুড কোর্টের দোকানের মালিক আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে লাল টি শার্ট পড়া বেয়ারা এসে স্যার এখানে বসেন বলে টি শার্ট ধরে টেনে নিয়ে বসানোর চেষ্টা করে। যে দিন টি শার্ট না পড়ি সেদিক শার্টের হাতা ধরে টানে। টানতে টানতে হাতা লম্বা করে ফেলে। আমি বসি না, পা ফুটো ঠেলে ফ্লোরে আরও ভেতরে ঢুকিয়ে দেই। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অই নির্দিষ্ট সিটটা খালি হওয়ার অপেক্ষা করি।
আশ্চর্যজনক ভাবে এক মাস পর থেকেই নিয়িমিত সিটটা খালি পেতে শুরু করলাম। চার পাশে সব টেবিলে সবাই খাওয়া দাওয়া করছে কিন্তু আমার টেবিল খালি। টেবিলের চার পাশে তিনটা চেয়ার থাকত, এখন একটা। উল্টো করে রাখা। আমি গিয়ে দোকানের সামনে দাঁড়ানোর সাথে সাথেই চিকনা করে একটা ছেলে এসে উল্টো করে রাখা চেয়ারটা সোজা করে দেয়। হঠাৎ এত খাতিরের মর্ম মাথায় ঠুকল না। খাওয়ার মধ্যে খাই পেপসি, প্লাস্টিকের কাপে ভরা পেপসি ফুত ফুত করে চুমুক দেই আর সিড়ির দিকে তাকিয়ে থাকি।
সুতরাং বেচাকেনার স্বার্থে আমার জন্য সিট বুক করে রেখে দিবে এই আইডিয়া যায় না।
কিছু একটা ঘাপলা আছে। আব্বুর একটা খাচ্চর টিকটিকি আছে যার কাজই হচ্ছে সারা দিন মোবাইলে নিজের মেয়ের বয়সী কলেজ ছাত্রিদের সাথে ম গুজুরগুজুর আলাপ করা আর আমার পেছনে লেগে থাকা। মোবাইলে কথা বলার সময় তার মুখ থেকে রস গড়িয়ে থুতনি পর্যন্ত এসে থেমে যায়। মাঝে মাঝে আমার সন্দেহ হয় এই রসের উতপত্তিস্থল কোথায়। আর মেয়েদের সাথে প্রেমালাপ করার সময়ই বা কেন রস বেশি গড়ায়। সামথিংস রং, ভেরি রং।
“সেই হারামি এসে কি দোকানের মালিকে বলে দিয়েছে যে এই ছেলে আসলে যেন বেশি খাতির করা হয়?
মনে হয় না, এই একটা প্লেসের খুজ পাওয়া তার পক্ষে সম্ভব না। কেন আসি তাও জানার কথা না। নিজের বন্ধুদেরকেও বলিনা কখনো।
দোকানদার কেন সপ্তাহে তিন দিন তিন সত্তর দুশো দশ টাকার পেপসি খাওয়া একটা ছেলের জন্য পুরো একটা টেবিল বুক করে রাখে এই জিনিসটা আমার বোধগম্য নয়। রহস্যটার সমাধান করা দরকার। এ বিষয়ে আমার একটা নিজস্ব থিউরি আছে। আমি নিয়মিত একই টেবিলে একই চেয়ারে বসি। দীর্ঘদিন এভাবে বসার কারনে চেয়ারটায় নিশ্চিত আমার পশ্চাতদেশের ছাপ পড়ে গেছে। লোকজন এসে বসে আরাম পায় না। কারও পেছন বেশি মোটা, কারওটা চিকন। লোকজন এসে গালাগালি পাড়ে,
“বালের চেয়ার বানাইছ, বসে সুখ নাই!!”
আমার মাপের পাছাওয়ালা মানুষ আর কত জন। একারনেই দোকানদার বিরক্ত সিটটা আমার জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছে।
আমি গত দু বছর নিয়ম করে এখানে এসে বসে থাকি। পেপসির কাপে চুমুক দেই, দোকানদার আমার দিকে মায়া মায়া চোখে তাকিয়ে থাকে। আমার কাছে সেটাকে করুনার দৃষ্টি মনে হয়।
মাগনা খাই নাকি, নগত টাকায় বিল দেই। তোর করুনা চাইছে কে, থাপড়াই সব কটা দাত বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া দরকার।
দেশে অবরোধ চলছে। থাপড়াই দাত উপড়ানো গেলেও বুড়িগঙ্গায় নিয়ে ফেলাও একটা সমস্যা। সব ছ্যাকাখোররা অন্তরের আগুন এনে বাসে ধরাই দিচ্ছে। দাতবাহি গাড়িতে আগুন লাগলে পরের দিন পত্রিকার বিশাল হেড লাইন হবে, অবরোধকারীদের আগুনে নিরীহ মুরগি ভাজি বিক্রেতার বত্রিশ পাটি দাত দগ্ধ। বিশাল সমস্যা।
২.
আজকেও সেই আগের জায়গাটাতেই বসে আছি। খালি মুখে। পেপসি নেই। সত্যিটা হল পেপসি খাওয়ার মত টাকা নেই। এটাও পুরোটা সত্যি না। পকেটে পাচশ টাকা আছে, কড়কড়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিওয়ালা নোট। কিন্তু নোটটাতে হাত দেয়া যাবে না। কোনো দিনই যাবে না। পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও সেই ছাই পকেটে নিয়ে ঘুরতে হবে।
মানিব্যাগে কার্ড আছে, পাঞ্চ করলেই কড়কড়ে নোট বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু ইচ্ছে করছে না।
সিড়ির দিকে চেয়ে আছি আমি।চলন্ত সিড়ি। একবার দিয়ার শাড়ি আটকে গেল সিড়ি দিয়ে উঠার সময় সাথে সাথে সিড়ির গোড়ার লাল বাটন টিপে সিড়ির মাতব্বরি বন্ধ করে দেয়া হল। দিয়া হাত পা ছড়িয়ে সিড়ি গোড়ায় বসে আছে,আমি খ্যাক খ্যাক করে হাসছি। তার রাগ আরও বেড়ে যাচ্ছে। ভয়ানক রাগে চোখ মুখ দিয়ে ধুয়া বেরুচ্ছে। সেই গরম ধুয়ায় শাড়ির আচল গলে ব্লাউজের সাথে লেগে যাচ্ছে। কিন্তু আমি হাসি থামাচ্ছি না, এক নাগারে হেসেই যাচ্ছি।
শেষমেষ টেনেছিড়ে শাড়ির আচল উদ্ধার করা হল। কালিঝুলি মাখিয়ে বিচ্ছিরি অবস্থা। দিয়ার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে শাড়ির এ বেহাল দশার জন্য আমিই দায়ী। পাপের ভাগ সাথে বসুন্ধরা সিটির মালিকের ঘারেও অর্ধেক যাবে। যে কোনো সময় তাকে ডেকে এনে গালিগালাজ শুরু করে দিতে পারে। কি দরকার, তাড়াতাড়ি জরিমানা সরুপ আরেকটা শাড়ি কিনে দিয়ে কোনো মতে নিজের আর বসুন্ধরাসিটির মালিকের পিঠ বাঁচালাম।
সিড়ির নিজের মত ঘুরছে। মানুষজন ব্যাস্ত ভঙিতে উঠে যাচ্ছে। প্রায় সবার মুখই হাসি হাসি। কেও সুখ বিলাচ্ছে, কেও হাত পেতে গ্রহন করছে। আর মাত্র দশ মিনিট তার পরেই আমি চলে যাব। শুক্র শনি ছুটি। তার পর আবার আসতে হবে। শুরু হবে ক্লান্তিকর অপেক্ষা । তবু আসতেই হবে।
মেয়েটা ধীরে ধীরে হেটে আসছে। তাকে দেখে আমার হার্ট রেট বেড়ে যাওয়ার কথা। বাড়ল না, উল্টো থেমে গেল। অক্সিজেনের অভাবে ব্রেন হাউকাউ লাগিয়ে দেয়ায় বাধ্য হয়ে টেবিলের কোনার সাথে গুতো দিয়ে হার্ট আবার চালু করতে হল।
বেশ ভালই লম্বা। কোমড় সমান চুল, স্রেইট করা। মাথার উপর সামনের দিকে উচু করে বাধা চুল সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাকে দেখে আমার চমকানো উচিত কিনা বুঝতে পারছি না।
আচ্ছা এই মেয়েটার নাম কি দিয়া?
হলে খারাপ হত না। দিয়ার সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে। তার বুকের বাম পাশে একটা তিল থাকার কথা, আছে কিনা জিজ্ঞেস করব কিনা একবার ভেবে দেখলাম। নাহ বুদ্ধিটা খুব বেশি ভাল না। acquistare viagra in internet
আমি উঠে গিয়ে মেয়েটার পথ আগলে দাঁড়ালাম। মেয়েটা ভুরো কুঁচকে আমার দিকে তাকাল,তাকানোর ভঙ্গিটাও সেম, অদ্ভুত মিল। এত মিল হয় কিভাবে? irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
-তুমি কি দিয়া?
-হ্যা, কিন্তু আপনি জানলেন কিভাবে? আমি কি আপনাকে চিনি? দৃষ্টিতে সন্দেহ.
–নাহ,মিষ্টি করে হাসলাম আমি
কিন্তু তোমাকে আমার একটা গল্প বলার আছে, শুনবে? can levitra and viagra be taken together
চোখ জ্বালাপুড়া করছে আমার। চারপাশ কেমন ঝাপসা হয়ে আসছে। গল্পটা মনে হয় আর বলা হবে না, সময় ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। পড়ে যাওয়ার আগেই আমার হাত ধরে ফেলল মেয়েটা। কেন যেন মনে হচ্ছে নতুন আরেকটা গল্প লিখতে হবে আমাকে। দ্বিতীয় দিয়ায় গল্প, যে গল্পটার শুরু হল মাত্র, শেষটা কোথায় জানি না………
শশী প্রসাদ শীল বলছেনঃ
অনেক ভালো লাগল…………. nolvadex and clomid prices
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
ধন্যবাদ