মিশন কাবুল- পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম আবালীয় এক মিশনের গল্প
291
বার পঠিত২০১৪ সালের এশিয়া কাপে হুট করে যখন আফগানিস্তান আমাদের হারায়ে দিল, তখন বিস্ময়ের ধাক্কাটা সামলায়ে উঠতে খুব কষ্ট হইছিল আমাদের। ক্রিকেটে অঘটন ঘটাই স্বাভাবিক। আফগানিস্তানের সাথে আমাদের পরাজয়টাও ছিল সেইরকম একটা অঘটন। কিন্তু তারপর থেকে এমনভাবে ওরা আমাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে শুরু করলো যে, মনে হইল ওদের সাথে আমরা জিতলে সেইটাই অঘটন হইত। মাটির ১০ ফুট উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে আসলো ওরা, দলে ১১ জনের মধ্যে ১০ জনই নাকি অলরাউন্ডার , সাকিবকে এতো পাত্তা দেওয়ার কি আছে সেইটা নিয়া মোটামুটি ঝগড়া লাগায়া দিল সংবাদ সম্মেলনে… যাই হোক, তারপর মাঠে খেলতে নামার পর কি ঘটছিল, সেইটা আমরা সবাই জানি। ১০ জন অলরাউন্ডারের সেই মিশন কাবুল আর সফল হয় নাই, উপ্তা করে কুদন খেয়ে কান্নাকাটি করতে করতে বাড়ি ফিরছিল ওরা। এই লেখাটা তখন লিখছিলাম, মনের যত রাগ আর ঝাল সব দিয়ে… বাট এক বছর পর আগামীকালের প্রেক্ষাপট কিন্তু একেবারে ভিন্ন, বাউন্সি কন্ডিশনে কালকের ম্যাচ নিয়ে কিছুই বলা যায় না। টাইগারদের জন্য অশেষ শুভকামনা রইল, নিজেদের খেলাটা ঠিকঠাক খেলতে পারলেই আশা করা যায়, আফগানিস্তানের পচা শামুকে পা কাটবে না…
#স্টে_টাইগার্স_স্টে_ক্রিকেটখোর buy kamagra oral jelly paypal uk
///
ম্যাচ শুরুর এক সপ্তাহ আগের থেকেই আফগান জঙ্গিদের সর্দার মোহাম্মদ নবী একজন সত্যিকারের আফগান পাঁঠার মত হুমকি দিয়া আসিতেছিলেন যে তাহারা এই ম্যাচখানাও ঠিক এশিয়া কাপের মতই হাসিয়া-খেলিয়া জিতিয়া লইবেন। তাহার কতিপয় অতি সাহসী উচ্চারন টাইগারদের মাথাব্যথার কারন হইতে না পারিলেও বেপক বিনুদুনের সৃষ্টি করিয়াছিল। যেমন, , আমরা সাকিব-তামিম-মাশরাফিকে গনায় ধরিতেছি না, আমরা খেলিব বাংলাদেশ দলের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের তোঁ মাত্র ২-৩ খানা অলরাউনডার, কিন্তুক মোদের ১১ জনার মধ্যে ১০ জনই সেইমানের অলরাউনদার(১১ জনই বলিতে পারিত, একজনরে বাদ দেওয়ার কারন বুঝিলাম না) , বাংলাদেশ বিশাল চাপে থাকিবে, পক্ষান্তরে আমরা নির্ভার থাকিব এবং এশিয়া কাপের পুনরাবৃত্তি ঘটাইব, ইত্যাদি ভ্যা ভ্যা ভ্যা …
যাই হোক, গতকাল ম্যাচখানা শুরু হইবার পর অবশ্য যাহা হওয়ার কথা ছিল, তাহাই হইল। যেহেতু আফগানি পাঁঠাপালগুলা(ফাকিস্তনি মারখোর ছাগপালের জাতভাই) খেলার পূর্বরাত্রে ঘুমাইবার কালে বাংলাদেশের বোলারদের একের পর এক ছক্কা মারিয়া কাবুল পাঠাইতে পাঠাইতে স্বপ্নদোষ ঘটাইয়া ফেলিয়াছিল, সুতরাং ম্যাচের প্রথম বলেই তাহাদের ভোটকা পাঁঠা জনাব ষেহজাদ টাইগার মাশরাফির বলখানাকে আগেরদিন রাত্রের মত কাবুল পাঠাইবার নিমিত্তে উড়াইয়া মারিল। কিন্তুক আবাল ষেহজাদ ভুলিয়া গিয়াছিল বাস্তব ও স্বপ্নদোষ এক নহে। ফলাফলে বলখানা কাবুল ভ্রমনের পরিবর্তে ধরা খাইল এক্সট্রা কাভারে রিয়াদের হাতে। স্যার আবাল ষেহজাদ মাত্র ১০০ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হইয়া সাজঘরে হান্দাইয়া গেলেন। ওঁই প্রথম বলখানাই নির্ধারণ করিয়া দিল আবাল জঙ্গিদের দৌড়। তাহার দুবল পর আরেক পাঁঠা নাজিব ষেহজাদের অসমাপ্ত কাবুল মিশন পুরো করিবার নিমিত্তে বল না দেখিয়া এমনভাবে ব্যাট ঘুরাইল যে(বল মুশির হাতে গেল ব্যাটের এক হাত দূর দিয়া), বিরক্ত হইয়া কমেন্টেটর হারশা ভোগলে বলিয়া উঠিলেন,
Ohh, Here is another Million Dollar Shot, Give him all the Prize money for this outstanding Shot. Rellly Guys, Don’t you have any plan? What’s the matter with you? You Just wanna sond the ball to Kabul…
এভাবেই বাবা ডাকরিদির মত চোখ বন্ধ করিয়া কাবুল মিশনে ব্যাট করিতে থাকিল দুই পাঁঠা নাজিব ও নজিবুল্লাহ। ফলশ্রুতিতে ঝড়ে বক মরার মত ৩৬ খানা রানও তারা করিয়া ফেলিল এর মাঝে। তারপর পঞ্চম ওভারে বল করতে আসিলেন বাংলাদেশের যান, বাংলাদেশে প্রান সাকিব আল হাসান। তাহার প্রথম বলখানাই পাঁঠা নজিব কাবুলে মিশনে পাঠাইতে তুলিয়া মারিল, এবং লং অনে টাইগার সাব্বিরের হাত থেকে ক্যাচটা ফস্কায়া গেল… কিন্তুক পাঁঠা নজিবকে ধন্যবাদ দিতে হইবেই, কেননা সে একজন আদর্শ পাঁঠার মত(একবার পারি নাই তোঁ কি হইয়াছে, আমি এই বলখানা কাবুল পাঠাইয়াই ছাড়িব) পরের বলখানাও একই জায়গা দিয়া কাবুল পাঠাইতে চাইল। টাইগার সাব্বির এইবার ১০-১৫ কদম চোখের পলকে দৌড়াইয়া যাইয়া অসাধারন একখানা ক্যাচ লইলেন। এভাবেই পাঁঠা ও মারখোর সমাজে ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হইবার একখানা সংকেত দিয়া রাখিল আফগান জঙ্গিরা। all possible side effects of prednisone
এদিকে তাহাদের কাবুল মিশন কিন্তুক বন্ধ নাই। একের পর এক পাঁঠা থুক্কু অল্রাউন্দার আসিতেছে, টাইগারদের গোলাকে ললিপপ ভাবিয়া কাবুল পাঠাইতে গিয়া খোঁয়াড়ে হান্দায়া যাইতেছে। ওঁই ৩৬ রানেই সুদূর মঙ্গোলিয়া হইতে আগত জঙ্গি নউরোজ মঙ্গল রান নিতে যাইয়া ক্রিজের মাঝেই আটকায়া গেল, আর টাইগার সাব্বিরের ২০ কদম দূর থেকে করা বুলেট থ্রো আসিয়া ভাঙ্গিয়া দিল স্ট্যাম্প। তাহার জন্য দুমিনিট শোঁক পালন করিবার পূর্বেই উহাদের সর্দার নবী , যিনি কিনা টাইগার বোলারদের পাড়ার বোলার বিবেচনা করিয়াছিল, সে টাইগার রাজ্জাকের অসম্ভব চমৎকার এক আরমারে বলদা হইয়া খালাস হইয়া গেল। ৪৯ রানে পাঁচ উইকেট হারানো আফগান আবাল’স ৫৮ রানে হারাইল সপ্তম জঙ্গিকে। টাইগার রেজার অসাধারন এক থ্রো’তে এই পাঁঠাও ক্রিজের মধ্যে খারায়া খারায়াই রান আউট হইল।
৬৯ রানে আফগান পাঁঠা সামিউল্লাহ সেনঅয়ারি টাইগার রাজ্জাকের বলে এলবি হইয়া কাবুল মিশনের অষ্টম শিকার হইল। তাহাদের বিশ্বক্ষাত ১০ জন অল্রাউন্দারদের এরকম আত্মদানে তখন মিরপুরের আকাশবাতাস জুরিয়া হাহাকারের বেদনা… আসিলেন তাহাদের শেষ অল্রাউন্দার শাপুর জাডড়াণ । এবং আফগান অল্রাউন্দার সমাজকে কলংকিত করিয়া তিনি কুতাইতে থাকলেন। তাহার সাথে যোগ দিলেন আরেক আবাল পাঁঠা দাওলাত জাডরান(এই পুরীষ সন্তানকে চিনিয়া রাখুন, এর ব্যাপারে কথা আছে) অবশ্য তাহাকে দোষ দেওয়া যায় না। তিনি তোঁ বলখানা কাবুল পাঠাইতেই নামিয়াছেন। কিন্তুক তাহার পূর্বসূরিরা যেইরূপ কাবুল মিশনে নামিয়া হয় ছয়, নয় আণ্ডা সিস্টেমে খেলিয়া খোঁয়াড়ে ফিরিতেছিলেন, এই দুই জাডরান সেই সাহুসি এপ্রচকে লজ্জায় ডুবাইলেন। টানা তিন ওভার এই দুই পাঁঠা কুতাইতে কুতাইতে এক রান তুলিয়া রেক্টাম প্রনালি যখন প্রায় ধ্বংস করিয়া ফেলিবার উপক্রম করিয়াছেন, তখনই মুক্তি পাইলেন আবাল দাওলাত। টাইগার রেজার বলখানা কাবুল পাঠাইতে গিয়া রিয়াদের অসাধারন এক ক্যাচে পরিনত হইলেন তিনি। পতন ঘটিল পৃথিবীশ্রেষ্ঠ নবম অল্রাউন্দারের। কাবুল মিশনের লাগিয়া তাহাদের এইরূপ কুতাকুতির ডেডিকেশন দেখিয়া মুশি আর দেরি করিলেন না। সাকিবকে আনিলেন এবং আরেক কুতাকুতি সম্রাট শাপুর যাডড়াণও কুতাকুতি হইতে মুক্তি পাইলেন। আরও ৭ ওভার হাতে রাখিয়া ভ্যা করিয়া জীবনের সর্বশেষ ক্যোঁৎ দিয়া সাকিবের ষ্ট্যাম্পের বলখানা তিনি পাঠাইতে চাইলেন কাবুল। বল চুরমার করিয়া দিল স্ট্যাম্প আর জাডরান বংশের সর্বশেষ জঙ্গি স্যার জাডরান বলদার মত ক্রিজের উপর পপাত ধরণীতল… পৃথিবীর সর্বকালের সর্বসেরা টিম(১১ জনের মধ্যে ১০ খানই অল্রাউন্দার) লইয়া কাবুল মিশনে নামা আফগান আবাল’স প্যাকেট হইয়া খোঁয়াড়ে ঢুকিয়া গেল ৭২ রান করিয়াই…
১০ মিনিট ব্রেকের পর যখন বাংলাদেশে ইনিংস হইবে, তখন মাঠে ঢুকিয়াই আফগানিস্তনের কিপার আবাল সম্রাট মহামান্য ষেহজাড আফগান আব্লামির পরিচয় দিতে শুরু করিলেন। আপনারা একটাবার চিন্তা করেন, কতটা উদ্ভট আবালীয় জংলি মারখোর হইলে ব্যাটসমান ক্রিজে আসার সাথে সাথে বিপক্ষ দলের কিপার আরও তিনচারজনকে নিয়ে ব্যাটসম্যানকে ঘিরে ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করিতে পারে? তাহার আচরণ ও ভাষা এতটাই উদ্ভট আজিব ছিল, আম্পায়ার সাথে সাথে ছুটিয়া আসিলেন তাহার সমস্যা কি সেইটা জানিবার লাগিয়া। দেখিয়া মনে হইতেছিল এইটা কোন আন্তর্জাতিক আয়োজন নহে, এইটা হইল পাড়ার গলির ম্যাচ, যেইখানে কোন কারন ছাড়াই পোলাপাইন সবগুলা মিলে ব্যাটসম্যানরে গালাগালি করতেছে। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ার আফগান আবাল সর্দারকে স্পষ্ট সতর্কতা জানাইয়া দিলেন । যদিও তাহাতে এই আবাল সম্প্রদায়ের বিশেষ করে আবালসর্দার কিপারের বিন্দুমাত্র ভাবান্তর হইল না। তাহার এক্সপ্রেশন দেখিয়া মনে হইল আম্পায়ার একটু বেশি বেশি করিতেছেন। এইটা কোন বিষয়ই না। তখনও কি আর জানিতাম, আব্লামির মাত্র সূচনা হইল এইটা…
কথা নাই, বার্তা নাই, বলে বলে আপিল। এমনকি যে বলখানা ব্যাটের মাঝখান দিয়া ঠেকানো হইল, সেইটার জন্যও এলবির আপিল। উইকেটের পিছে ভোটকা আবাল ষেহযাদের এইরাম অসহ্য ভ্যা ভ্যা সহ্য করিতে না পারিয়া টাইগার বিজয় বুক চিতাইয়া জঙ্গি সর্দার নবির পঞ্চম ওভারের শেষ বলখানা পাঠাইলেন গ্যালারীতে। যদিও ষেহযাডের এক্সপ্রেশন দেখিয়া মনে হইল সে এই বলেও আপিল করিবার ডিসিশন নিয়া রাখিয়াছিল। উহারা ভাব লইতে পারে। এই ব্যাপারে উহাদের কৃতিত্ব দিতেই হইবে। আজাইরা খায়া ফালামু এক্সপ্রেশন এবং আসল খেলার সময় সেই ভাব নিতে নিতেই প্রচণ্ড এক ক্যোঁৎ দিয়া অশ্বডিম্ব প্রসব, সংক্ষেপে বলিতে গেলে ইহাই আফগান আবাল। খেলায় পজিটিভ অ্যাটিচিউড থাকতে হইবে, এগ্রেশনও থাকিতে হইবে, কিন্তুক ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা,সেইটা ভুলিয়া গিয়া যদি বিপক্ষের খেলোয়াড়দের অকথ্য ভাষায় গালাগালি আর অভদ্রের মত ধাক্কাধাক্কি করা হয়, তাহলে সেইটা নিতান্তই বস্তির পোলাপাইনের মত আচরন হইয়া যায়। যেমনটা হইল পুরা বাংলাদেশের ইনিংস জুড়িয়া। দাওলাত যাডরানের একটা বল তামিম ডিফেন্দ করিলেন, বলটা দাওলাতের কাছে গিয়া পৌঁছাইল এবং দাওলাত আকাটা আবালের মত তামিমকে ক্রিজের লাইনের ভেতরে দেখিয়াও তার দিকে বল ছুড়ে মারিল। এবং অতি উদ্ভটভাবে দাওলাত ওরফে বস্তির আবাল আম্পায়ারের দিকে ঘুরে আবেদন করল। আম্পায়ার কিছুক্ষন হতবাক হইয়া তাকায়া থাকিলেন, তারপর হাত নাড়িয়া এই ধরনের আব্লামি আর না করিয়া বোলিং করিতে বলিলেন। কিন্তুক দাওলাত যে তার ফাকিস্তনি জাতভাইদের মত একজন সত্যিকারের আকাটা আবাল*দা, সে কিভাবে আব্লামি ছাড়তে পারে? সে কিছুক্ষন আম্পায়ারকে চোখ রাঙ্গাইল আউট না দেবার জন্য, তারপর তামিম আর বিজয়ের দিকে ফিরিয়া এমন আকাটা মারখোরের মত চোখ ঘুরাইয়া এমন ভাবে তাকাইল, যেন টাইগাররা যদি এখনই মাঠ থেকে বের হয়ে না যায়, তবে সে ধাক্কাইয়া গুতায়া যেভাবেই হোক তাদের মাঠ হইতে বাইর করিয়া দিবে। তামিম আর বিজয় ধৈর্য রাখিলেন আর দাঁতে দাঁত চাপিয়া ব্যাটে তার জবাব দিতে থাকিলেন.. zoloft birth defects 2013
কিন্তু আবাল*দা জঙ্গিবাহিনী হাল ছাড়ল না। তারা একের পর এক উদ্ভট মারখোরামি করিয়াই যাইতে থাকিল। এক পর্যায়ে ৪৫ রানে টাইগার তামিম এলবি হইয়া প্যাভিলিয়নে ফিরিলেন। বলটা ষ্ট্যাম্পের মধ্যে ছিল এবং বেশ টার্ন লইয়া তামিমের প্যাডে আঘাত হানিয়াছিল। এই উইকেটখানা আফগান জঙ্গিগুলোকে আরও বেপরোয়া করিয়া তুলিল। যাহার ফলশ্রুতিতে ১১ তম ওভারে দাওলাত যাডরান সব মাত্রা ছাড়াইয়া গেল। ওভারের ২য় বলটা সাকিব ঠেকানোর পর কথা নাই, বার্তা নাই, গাঞ্জাখোর দাওলাত আগাইয়া গিয়া প্রথমে সাকিবকে খুবই আপত্তিকর কিছু বলিল, এবং তারপর স্রেফ মারখোরের মত সাকিবকে ধাক্কা দিয়া সামনে আগাইয়া গেল। সাকিব প্রথমবার মুখে জবাব দিলেও পরে আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে নিজেকে সামলাইয়া রাখিলেন। আম্পায়ারদ্বয় এইবার ক্ষেপিলেন। জঙ্গিসর্দার নবীকে প্রায় তিন-চার মিনিট ধরিয়া হাতে কলমে বুঝাইয়া দিলেন, এইটা সভ্য ভদ্র আয়োজন, কোন জংলি জানোয়ারের চারনভূমি নহে। আমাদের টাইগারদ্বয় ঠাণ্ডা মাথায় দাঁতে দাঁত চেপে নিজেদের সাম্লাইয়া রাখিয়া ওঁই জংলি জঙ্গিগুলোকে ভদ্রতা শিক্ষা দিলেন… tome cytotec y solo sangro cuando orino
can your doctor prescribe accutane
১২ তম ওভার শুরু হইতে না হইতেই আরেক সার্কাস। সব সময় মারখোর ছাগের তিননাম্বার বাচ্চার মত ফালাফালি করা কিপার ষেহজাদ বিজয়ের বিরুদ্ধে স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদন করিল। আবেদন করিবার পর লাফাইয়া ঝাঁপাইয়া যেভাবে মাঠ কাপাইয়া ফেলিল, তাতে মাঠে উপস্থিত দর্শকবৃন্দ এবং আম্পায়ারদ্বয় তোঁ বটেই, স্বয়ং থার্ড আম্পায়ারেরও মনে হইতে পারে, ইহা আউট না হইলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পুরোপুরি মিথ্যা… শেষতক টিভি রিপ্লেতে যাহা দেখা গেল, তাহা বড়ই বিচিত্র। বিজয়ের পা দাগের ভেতর বহাল তবিয়তে আছে, কিন্তুক ঘটনা ঘটিয়াছে অন্যখানে। মারখোরের তিন নম্বর বাচ্চা আবাল সম্রাট জনাব ষেহজাড স্ট্যাম্পিং করতে গিয়া মাটি থেকে দু ইঞ্চি উপরে ঝুলিতেছেন। খুব আফসোস হইল সেই মুহূর্তে, ইস,যদি উইকেটকিপারদের আউটের বিধান থাকিত… তাহা হইলে আজ ষেহযাডকে আউট করা যাইত। অবশেষে আসিল সেই মাহেন্দ্রক্ষন। ওভারের শেষ বলখানা লং অন দিয়া সপাটে থাবড়া মারার মত করিয়া গ্যালারীতে পাঠাইলেন টাইগার বিজয়। আর পাঠাইয়াই স্রেফ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গর্জনে কাঁপাইয়া দিলেন মারখোরের জাতভাই জঙ্গি আফগানদের অন্তরাত্মা… স্যালুট ইউ টাইগার্স… viagra in india medical stores
এই আফগানরা যখন ফাকিস্তনের জাতভাই হবার কারনে কোথাও খেলিতে পারিতেছিল না, নিজেদের তুলে ধরিতে পারিতেছিল না, তখন আমরা আমাদের বিভিন্ন লীগে, বিপিএলে তাহাদের খেলিবার সুযোগ করিয়া দিয়াছি, তাহাদের ক্রিকেটকে দাঁড়াইতে সব ধরনের সাহায্য করিয়াছি। আর তাহার বিনিময়ে আজ তাহাদের ১০ জন অল্রাউন্দারগন আমাদের সাথে নিতান্তই নিকৃষ্ট আচরণ করে বুঝাইয়া দিলেন, উপকার করিবার সময় সঙ্গে একটা বাঁশ ফ্রি দেওয়া একান্ত কর্তব্য। যেন উপকারের প্রতিদানে বাঁশ দিবার সময় নিজেদের দেওয়া বাঁশই ফেরত পাই। এখন কি আর করা, যেহেতু জঙ্গিগুলারে ভদ্রলোকের এ খেলা খেলবার সুযোগ দিয়া ফেলাই হইয়াছে, বাধ্য হইয়া এখন এই ম্যাচের মত পুন্দানি দিয়া এইগুলারে ভদ্রতাজ্ঞান শিখাইতে হইবে…
আসলে আফগান জঙ্গিগুলো একটা ব্যাপার জানিত না।
গতকাল ১৬ই মার্চ ছিল টাইগার মানজারের ৭ম প্রয়ান দিবস। ২০০৭সালের এই দিনে মানজার আমাদের সবাইকে ফাঁকি দিয়া বহুদূরে চলিয়া যান। কিন্তু টাইগাররা তার এই হঠাৎ চলিয়া যাওয়ায় অকল্পনীয় যন্ত্রণার আগুনে পুড়িয়া পরিনত হয় খাঁটি সোনায়, অভাবিত সেই শোককে অদম্য শক্তিতে পরিনত করিয়া ২০০৭সালের ১৭ই মার্চ রচনা করে ক্রিকেট ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় মহাকাব্য। বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়া ওয়েস্টইন্ডিজ যাওয়া ভারতের বিশ্বকাপ বাঘের হিংস্র থাবায় ধ্বংস হইয়া যায় প্রথম ম্যাচেই। আর ১০৩ ডিগ্রি জ্বর গায়ে নিয়ে তাহাতে নেতৃত্ব দেন মানজারের ছোটবেলার বন্ধু মাশরাফি। যিনি বন্ধুকে হারাইবার যন্ত্রণার অশ্রুকে পরিনত করিয়াছিলেন বিধ্বংসী বারুদে, আর বজ্রহুংকারে ধ্বংস করে দিয়াছিলেন ইন্ডিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ। তার পাঁচ বছর পর ২০১২ সালের ১৬ই মার্চ এশিয়া কাপে সেই একই মহাকাব্যের পুনরাবৃত্তি হইয়াছিল। যেখানে প্রতাপশালী ভারতই এই একটা দিনে বারবার ধ্বংস হইয়া যায়, সেইখানে কোথাকার কোন আফগানিস্তান কিভাবে বাঁচিবে? এই একটা দিনে যে আমরা হারিতে পারি না, কারন এই একটা দিন মাঠে গর্জন তোলে ১২জন টাইগার, এই একটা দিনে মানজারকে খুঁজে পাওয়া যায় মাঠের প্রতিটি কোনায়, প্রতিটি স্থানে… এই দিনে আমাদের হারাইতে পারে, এইরকম দলের আজো জন্ম হয়নাই, হইবেও না…
টাইগার মানজার, ইউ উইল বি এভারগ্রিন ইন আওয়ার হার্ট… ফরেভার…
অ্যান্ড এভার..
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
কাল কি হয় দেখা যাক
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
অবশেষে ১০ জন অলরাউন্ডার নিয়ে হেরে গেল আহ !!