আজ অর্চি’র বিয়ে
368
বার পঠিত১.
রাত ১০ টা বেজে ৫৯ মিনিটে রজতকে শপিং ব্যাগ হাতে বনশ্রী থেকে আফতাবনগরের দিকে যেতে দেখা গেলো।
তার পরনে কালো জিন্স এবং নেভি ব্লু টি-শার্ট। পায়ে বাটার তৈরী কেডস সু। renal scan mag3 with lasix
ঢাকা শহরে রাত ১১ টা এমন কিছু রাত নয়। এ সময়েও বিভিন্ন জায়গায় জ্যাম থাকে। কিন্তু এখন রামপুরা ব্রিজ প্রায় ফাঁকা। কয়েকটা রিকশা প্যাসেঞ্জার নিয়ে যাচ্ছে তাদের গন্তব্যে। প্রাইভেট কার প্রায় নেই বললেই চলে। তবে সারাদিন বন্ধ থাকা পণ্যবাহী ট্রাকগুলো রাস্তায় নেমেছে এখন।
রজত ধীরেসুস্থে হাঁটছে। যেন কোন তাড়া নেই।
হাঁটতে হাঁটতে আফতাবনগরের গেট পিছনে ফেলে আসলো ও। ওর গন্তব্য হল আফতাবনগরের শেষ মাথা। যে কাজে যাচ্ছে তার এখনও প্রায় ৩ ঘণ্টা দেরি। অপারেশনের কথা রাত ২ টার দিকে। কিন্তু রাত যত গভীর হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধরা পড়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। এই জন্যই এতো তাড়াতাড়ি আসা।
‘CP’র দোকান থেকে ২ টা চিকেন ফ্রাই, ২ স্টিক চিকেন বল আর একটা হাফ লিটার পানি নিলো রজত। রাতে খাওয়া হয়নি। আজ রাতের ডিনার এগুলোই।
হিপ জয়েন্টের কাছে হাত দিয়ে অস্ত্রটার স্পর্শ নিল ও। বেরেটা। এই জিনিস ব্যবহারের মজাই আলাদা। ট্রেনিং এর সময় সব ধরণের অস্ত্রের সাথে পরিচয় হয়েছিল ওর। তখন থেকেই হ্যান্ডগান হিসেবে ইতালিয়ান এই পিস্তল ব্যবহার করে ও।
আফতাবনগরের প্রায় শেষ প্রান্তে চলে এলো রজত। এই দিকটা পুরাপুরি নির্জন। জায়গায় জায়গায় ধানচাষ করা হয়েছে। বাড়িঘরের সংখ্যা খুব কম। যে কয়েকটা আছে তাদেরকে দেখায় বিশাল সমুদ্রে নিঃসঙ্গ দ্বীপের মতো। puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
রেডিয়াম দেওয়া ঘড়িতে সময় দেখলো ও। ১১ঃ৪৭। এখনো অনেক দেরি। কেউ চলে আসলেও ওকে দেখতে পাবে না এমন একটা জায়গায় বসে প্যাকেট খুলে চিকেন ফ্রাই খাওয়া শুরু করলো ও। খাওয়া শেষে পানি খেলো।
রাত ১২ টা বাজে। ২২ তারিখের শুরু হল মাত্র। মামাকে দিয়ে আসা কথা ও রাখতে পারবে তো?
ভাগ্য ভালো আজ আকাশে চাঁদ নেই। চাঁদ থাকলে সমস্যা হত। খোলা আকাশের নিচে টানটান হয়ে শুয়ে পড়লো রজত।
অপারেশনে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
২.
পাঠক, আপনাদের কি কৌতূহল হচ্ছে রজত কিসের অপারেশনে এসেছে তা জানার জন্য?
এই প্রশ্নের জবাব পেতে হলে আমাদের ফিরতে হবে দুদিন আগে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল শাহাদাত হোসেন। সম্পর্কে রজতের আপন মামা।
শাহাদাত হোসেনের মেয়ের নাম সামিয়া হোসেন। ডাকনাম অর্চি। আজ ২০ তারিখ অর্চি’র গায়ে হলুদ।
শাহাদাত সাহেব নিজে সবকিছু সামলাতে পারছেন না বলে রজত নিজেই সবকিছুর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে।
রজত দুঃসংবাদটা পেলো ছেলেপক্ষ হলুদ দিয়ে চলে যাওয়ার পর।
“অর্চি ইজ কিডন্যাপড।”
প্রথম যে কথাটা রজতের মাথায় আসলো, “হলুদের স্টেজ সাজানো ছিল বাড়ির ছাদে। ওখান থেকে অর্চি কিডন্যাপ হল কিভাবে?”
রজত ছাদে গেলো। বিশেষ একজনকে খুঁজছে ও।
“এইতো, পাওয়া গেছে।”
হ্যান্ডিক্যাম নিয়ে ভিডিও করছিল অর্চি’র এক কাজিন। নাম আবীর। আবীরের কাছে গিয়ে রজত বললো, “দেখাও তো কি ভিডিও করলে?”
রজত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আচরণ করছে। অর্চি যে কিডন্যাপ হয়েছে এটা ও আর ওর মামা ছাড়া কেউ জানে না এখনো।
রজত, আবীরের করা ভিডিও দেখছে।
হলুদের সাজে অর্চি’কে অসাধারণ লাগছে।
সবাই একে একে ওকে হলুদ দিয়ে যাচ্ছে।
একটা মেয়ের সাথে অর্চি উঠে গেলো।
ব্যস, পরে আর অর্চি’র কোন ভিডিও নেই।
আবীরের কাছ থেকে ক্যামটা নিয়ে রজত নিচে আসলো।
মামাকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “এই মেয়েটা কে?”
শাহাদাত সাহেব বললেন, “একে তো আমি বেশ কয়েকবার আমাদের বাসায় দেখেছি। অর্চি’র বান্ধবী। নাম সম্ভবত রুমা।”
রজত আবারো ছাদে গেলো। রুমাকে খুঁজলো। নেই।
“অর্চি’র ফোনটা কোথায়? কিডন্যাপ হওয়ার সময় নিশ্চয়ই নিয়ে যায়নি?”
স্টেজে উঁকি দিলো রজত। ওই তো অর্চি’র ফোন।
ফোন নিয়েই কন্টাক্টে ঢুকলো ও।
এ, বি,সি……এম, এন, ও, পি, কিউ, আর।
রুমা, রুমা, রুমা।
নাহ! রুমা নামে তো কেউ নেই।
তবে রূপা নামে আছে একজন।
রূপা-ই কি রুমা?
হতে পারে। মামা সম্ভবত নামে ভুল করেছেন।
অর্চি’র ফোন থেকে রূপাকে ফোন দিল।
ফোন করার সাথে সাথে হ্যান্ডিক্যামের মেয়েটার ছবি ফোনে ভেসে উঠলো।
“ইয়েস। রূপা-ই রুমা।”
“দুঃখিত, এই মুহূর্তে আপনার কাঙ্খিত নাম্বারে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।”
“রূপা কি অর্চি’র কিডন্যাপিঙের সাথে জড়িত? যদি হয় সেক্ষেত্রে রূপার স্বার্থটা কি?”
চট করে ঘড়ি দেখলো রজত। রাত পৌনে এগারোটা বাজে। রাত খুব একটা বেশি হয়নি। রূপা’র বাসায় যাওয়া যায়। বাসার ঠিকানা মামী’র কাছে পাওয়া যাবে হয়তো।
নিচে নেমে এলো রজত। মামা এখনও কাউকে জানান নি। মনে মনে মামার বিবেচনাবোধের প্রশংসা করলো রজত। বিয়ের কনে কিডন্যাপ হয়েছে এই কথা রটে গেলে আর দেখতে হবে না।
বাংলাদেশের মানুষ আর কিছু পারুক না পারুক, সমালোচনা আর বদনাম করা এই দুটো জিনিস খুব ভালো পারে।
৩.
রাত সাড়ে ১১ টা।
রজত দাঁড়িয়ে আছে গুলশানের নিকেতনে। রূপা’র বাসার সামনে।
বাসার সামনে বাইক রেখে দারোয়ানকে বলল, “তোমার আপামণির সঙ্গে দেখা করতে এসেছি আমি। আমার নাম রজত কায়সার। তোমার আপামণির এক বান্ধবীর বড় ভাই আমি।”
দারোয়ান ভিতরে গেলো। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে বললো, “আপামণি ঘুমায়ে গেছে।”
“তোমার নাম কি?”
“শফিক।”
“কেন মিথ্যে কথা বলছো, শফিক? তোমার আপামণি ঘুমায় নাই। জেগেই আছে। ঠিক বলেছি না?”
শফিক কোন উত্তর দিল না।
“শোনো, আমি তোমার আপামণির সাথে দেখা করবোই। এমনিতে হলে খুব ভালো। না হলে তোমাকে কিছুটা মারধোর করা লাগবে। এখন চিন্তা করে দেখো, আমি যখন ঢুকবোই, শুধু শুধু কি মার খাবার দরকার আছে?”
শফিক বুঝতে পারছে না সে কি করবে। সামনে দাঁড়ানো এই মানুষটাকে সুবিধার লোক বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু একে সে ভিতরে যেতে দেবেই বা কিভাবে? স্যার, ম্যাডাম, আপামণি সবাই বাসায়।
রজত, দারোয়ানকে পেরিয়ে সরাসরি বাড়ির মধ্যে চলে এলো। levitra 20mg nebenwirkungen
ড্রইং রুমে রূপা তার বাবা-মা’র সাথে বসেছিল।
রূপা’র চোখে ভয় দেখতে পেলো রজত।
“একি? আপনি এভাবে ঢুকে পড়লেন যে? কে আপনাকে ঢুকতে দিল? শফিক, এই শফিক।” রূপার বাবার চিৎকার।
“আঙ্কেল, আপনি ওখানে চুপ করে বসুন। কোন কথা বলবেন না। আপনার মেয়ের সাথে আমি কথা বলেই চলে যাবো।”
রূপা’র দিকে তাকালো রজত। “রূপা, অর্চি কোথায়?”
“আমি জানি…”
“অর্চি কোথায় সেটা ও কিভাবে জানবে?” পাশ থেকে বলে উঠলেন রূপার বাবা।
“রূপা, অর্চি কোথায়?” আবারো জিজ্ঞেস করলো রজত। para que sirve el amoxil pediatrico
“বললাম তো, জানি না।”
“জানি না বললে তো হবে না। আমি ভিডিওতে দেখেছি অর্চি’কে শেষ দেখা গেছে তোমার সাথে। তোমার সাথে ও হলুদের স্টেজ থেকে উঠে গেছে। সুতরাং বলে ফেলো, অর্চি কোথায়?”
রূপা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। হাউমাউ করে কেদে ফেললো।
“কি হয়েছে রূপা? ডিটেইলস বলো আমাকে।”
৪.
গম্ভীর হয়ে বসে আছে রজত। রূপা’র কাছ থেকে যা শুনলো তাতে বলতেই হচ্ছে কঠিন বিপদে পড়েছে ওর বোন। metformin synthesis wikipedia
যার সাথে অর্চি’র বিয়ে ঠিক হয়েছে সে ডাক্তার। কিন্তু রূপা’র কাছ থেকে যা জানা গেলো তা হচ্ছে অর্চি’র একটা অ্যাফেয়ার ছিল। এক শিল্পপতির ছেলের সাথে। শামস বিন মামুন। শিল্পপতির নাম মামুন খান। kamagra pastillas
রজত, মামুন খানকে চিনতে পারলো। এই লোককে না চেনার কিছু নেই। বাংলাদেশের শীর্ষ ২০ ধনীর একজন।
যাই হোক, কিছুদিন আগে অর্চি জানতে পারে শামস তাকে চিট করছে। সে প্রায়ই অভিজাত হোটেলে কলগার্ল নিয়ে রাত্রিযাপন করে। এই ঘটনা জানার পরে স্বাভাবিক ভাবেই অর্চি ব্রেকআপ করে। প্রথমে কাকুতি মিনতি তারপর হুমকি ধামকি দিয়েও শামস, অর্চিকে আর ফেরাতে পারেনি।
“স্বাভাবিক। একটা সম্পর্কে বিশ্বাস না থাকলে আর কি থাকে?” ভাবলো রজত।
“এরপরে কি হল?”
“আঙ্কেল অনেকদিন থেকেই ওর জন্য পাত্র খুঁজছিলেন। এই ঘটনার পরে অর্চি বিয়েতে সম্মতি দিয়ে দেয়। কাল যখন ওর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল তখন আমার কাছে একটা ফোন আসে। বলা হয় আমার ছোট ভাই, রুমী এখন তাদের কাছে। রুমীকে ফিরে পেতে চাইলে আমি যেন অর্চিকে কোনভাবে ফুসলিয়ে বাড়ির গেটে নিয়ে আসি। বাকিটা তারা দেখবে।”
“প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ ঠাট্টা করছে। কিন্তু ওরা রুমীর গলা শুনিয়ে দেওয়ার পরে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আম্মুকে ফোন দিয়ে জানলাম রুমী তখনও বাসায় ফেরেনি।”
“তারপরে তুমি কি করলে? অর্চিকে বাড়ির গেটে নিয়ে গেলে?”
“হুম।”
“তোমার ভাই ফিরেছে?”
“হ্যাঁ। অর্চিকে নিয়ে যাওয়ার পরপরই।”
“কয়জন ছিল ওরা?”
“চারজন।”
“কাউকে চিনতে পেরেছো?”
“নাহ। সবাই অচেনা ছিল।”
চিন্তা করছে রজত। সবাই অচেনা ছিল। এরমানে দাঁড়াচ্ছে ভাড়াটে লোক। শামস বিন মামুনের জন্য সেটাই স্বাভাবিক অবশ্য। এই ধরণের লোক নিজের নোংরামি অন্যকে দিয়ে করায়।
“শামসের কোন ছবি তুমি দেখাতে পারো আমাকে?” রজত রূপাকে জিজ্ঞেস করলো।
“না। কোন ছবি আমার কাছে নেই। তবে…”
“তবে?”
“ওয়েট। শামস আমার ফেসবুকে ফ্রেন্ডলিস্টে আছে। একটু বসুন। আমি ল্যাপটপটা নিয়ে আসি।”
রূপা ঘর থেকে বের হওয়ার পরে রূপার বাবা রজতকে বললেন, “আমার মেয়েটাকে বিপদে ফেলোনা। তোমার দোহাই লাগে।”
“আঙ্কেল আপনি শুধু শুধু চিন্তা করছেন। আমার যা জানার দরকার ছিল জেনে গেছি। এবং এগুলো আমি কাউকে জানাতেও যাচ্ছি না।”
রূপা ল্যাপটপ নিয়ে ঘরে ঢুকলো। ফেসবুকে ঢুকে সার্চ দিলো “শামস বিন মামুন”।
“নো সাজেশনস।”
কি ব্যাপার?
আবার সার্চ দিলো রূপা। একই অবস্থা।
রূপা শেষ চেষ্টা করলো। ফেসবুক.কম এর পরে স্ল্যাশ দিয়ে শামসের ইউজারনেম লিখলো।
“Sorry, this page isn’t available”
শামস তার আইডি ডিএকটিভেট করে দিয়েছে।
রজত দ্রুত চিন্তা করছে। “কি করা যায়? কি করা যায়?”
“রূপা, শামসের কোন বন্ধুকে চেনো?”
“আরে। এটাতো আমার মাথায় আসেনি।”
রূপা ফেসবুকে সার্চ দিলো “আরাফাত সানি”।
এবারে আর ফেসবুক ভুল করলো না।
আরাফাত সানির প্রোফাইলে ঢুকে তার পিকচারগুলো দেখতে লাগলো রজত আর রূপা।
একটা ছবি রজতকে দেখালো রূপা।
মদের বোতল হাতে খয়েরি রঙের একটা গাড়ির সামনে তিনজন।
রজত গাড়ির নাম্বারটা দেখার চেষ্টা করলো। কিন্তু শেষের দুই ডিজিট ছাড়া বাকিটা দেখা গেলো না গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে।
ছবিতে ২ জনকে ট্যাগ করা। আরাফাত সানি আর আসিফ আহমেদ। বাকিজন যে শামস বিন মামুন তা বুঝতে রজতের কষ্ট হল না।
ছবিটা পেনড্রাইভে নিয়ে রূপাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো রজত।
৫.
পরদিন সকালে রজত, মামার বাসায় ঢুকেছে মাত্র এমন সময় কলটা এলো।
কিডন্যাপাররা ফোন করেছে। amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
রজতের মামা, কর্নেল শাহাদাত হোসেন ফোন কানে লাগালেন কথা বলার জন্য।
রজত ওর মামাকে ইশারা করলো।
শাহাদাত সাহেব রজতের ইশারা বুঝতে পারলেন না। private dermatologist london accutane
রজত দ্রুত হাতে একটা কাগজে লিখলো, “কল রেকর্ড করুন”।
শাহাদাত সাহেব রেকর্ড বাটনে প্রেস করলেন।
প্রায় ৫ মিনিট কথা বলার পরে ফোন কেটে গেলো।
রজত, ওর মামার কাছ থেকে ফোন নিয়ে কানে লাগালো রেকর্ডেড কল শোনার জন্য।
কল যে করেছে তার গলা অত্যন্ত মোটা।
মোটা গলার লোকটা যা বলল তার সারমর্ম হল, অর্চি এখন তাদের কব্জায়। পুলিশে খবর দিয়ে কোন লাভ নেই। পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। শাহাদাত সাহেব যেন তার মেয়ের জন্য ৫ কোটি টাকা দেন। না দিলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়বে তার আদরের মেয়ের নগ্ন ভিডিও।
এই পর্যায়ে শাহাদাত হোসেন বললেন, “আপনারা আমার কাছে আমার মেয়ের জন্য ৫ কোটি টাকা চাচ্ছেন? এতো টাকা আমি কোথায় পাবো?”
রজত চমকালো। নিজের মেয়ের নগ্ন ভিডিও ছেড়ে দেয়া হবে এটা শোনার পরও মামা মাথা ঠাণ্ডা রেখেছেন।
ওদিক থেকে বলা হল, কোথায় পাবেন সেটা আপনি জানেন। আপনার সময় মাত্র ৭ দিন। মেয়েকে ফিরে পেতে হলে আপনি আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেবেন। আপনি আপনার মেয়েকে ফেরত পেয়ে যাবেন। আর যদি না দেন, বুঝতেই পারছেন।
শাহাদাত হোসেন বললেন, “আপনারা আমার মেয়েকে কিডন্যাপ করেছেন তার মানে আপনারা আমার সম্পর্কে জানেন। তারমানে আপনারা এটাও জানেন এতো টাকা দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।”
মোটা গলা আবার বললো, “৫ কোটি টাকা। সময় মাত্র ৭ দিন। ৭ দিন পরে আমরা ফোন দিয়ে টাকা কিভাবে দেবেন সেটা আপনাকে বলে দেবো।”
শাহাদাত হোসেন বললেন, “শুনুন……।”
কিডন্যাপাররা আরও কিছু বলছিল, কিন্তু এই মুহূর্তে রজতের সেদিকে মন নেই।
ফোনের মধ্য দিয়ে একটা হালকা শব্দ শোনা যাচ্ছে।
কিসের শব্দ এটা?
রজত, ফোন কানের উপরে চেপে ধরলো ।
একটা মাইকিং।
“গ্যাস… গ্যাস সংযোগ…… বিচ্ছিন্ন করা……”
“হোয়াট দ্য……”
রজত কল রিওয়াইন্ড করলো। metformin gliclazide sitagliptin
খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছে ও।
“আগামীকাল অত্র এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হইবে।”
“গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। কোথায়?”
কাঁধের উপরে একটা হাত পড়তে রজত ফিরে তাকাল। মামা। টেনশনে কাঁপছেন। বিড়বিড় করে বলছেন, “রজত, বাবা আমাকে বাঁচা। তোর বোনটাকে বাঁচা।” will metformin help me lose weight fast
মামাকে ধরে চেয়ারে বসালো রজত।
“মামা, আপনি একদম চিন্তা করবেন না তো। আমি ব্যাপার টা দেখছি তো। আমি থাকতে অর্চি’র গায়ে কেউ একটা টোকাও দিতে পারবে না।” acne doxycycline dosage
“আমি বরং একটা কাজ করি। গ্রামে যা কিছু সয়সম্পত্তি আছে সেগুলো বিক্রি করে দিই।”
মামাকে দেখে মায়া লাগলো রজতের। এতো শক্ত একটা মানুষ কেমন ভেঙ্গে পড়েছেন।
“মামা, সমস্যা হচ্ছে আপনি ওদেরকে টাকা দিলেও কোন লাভ হবে না।”
“কেন? ওরা যে বলল……”
“মামা ওদের কথা ছাড়েন। একটু চিন্তা করেন। যদি আপনি টাকা না দেন তাহলে ওরা ওটা ছেড়ে দেবে ইন্টারনেটে। তাই তো?”
ইচ্ছে করেই ভিডিও শব্দটা এড়িয়ে গেলো রজত।
“কিন্তু আপনি একবার চিন্তা করে দেখুন, ওরা কিসের বিনিময়ে অর্চি’কে কিডন্যাপ করেছে? ওরা বলছে যে টাকা দিলেই অর্চি’কে ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। কিন্তু আমি আপনাকে বলছি আপনি মুক্তিপণের টাকা দেন বা না দেন ওরা ওই জিনিস ইন্টারনেটে ছাড়বেই। অথবা ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ব্ল্যাকমেইল করবে আপনাকে। আপনি কতবার টাকা দেবেন ওদের?”
“আজ অর্চি’র বরের গায়ে হলুদ। আপনি আমাদের পক্ষের লোকদেরকে রেডি হতে বলুন। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। হাতে এখনো একদিন সময় আছে। কাল বিয়ে। যথাসময়ে আপনি অর্চিকে বিয়ের আসরে দেখতে পাবেন। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি।”
৬. can your doctor prescribe accutane
রজত বাইক নিয়ে ছুটছে তিতাসের অফিসে।
শামস বিন মামুনের কথা চিন্তা করছে ও। এই ধরণের মানুষের একমাত্র সম্পদ হচ্ছে ইগো। এরা না শুনে অভ্যস্ত না। ‘আমি যা চাই, সেটা আমি পাই’ এই হচ্ছে তাদের মেন্টালিটি। ব্যাপারটা এমন নয় যে অর্চি, শামসের সাথে ব্রেকআপ করার পরে শামস বুঝতে পেরেছে অর্চি তার জন্য কি ছিল। শামসের ক্ষেত্রে যা কাজ করছে তার নাম ইগো। আমি যা পাইনি সেটা অন্য কাউকেই পেতে দেবোনা।
কিন্তু একটা প্রশ্নে রজতের মন খচখচ করছে। শামসের বাবার নাম হল মামুন খান। এদেশের শীর্ষ ২০ ধনীর একজন। তার ছেলে হয়ে শামস কেন মুক্তিপণের জন্য ৫ কোটি টাকা চাচ্ছে? এর চেয়ে বেশি টাকা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই থাকে সবসময়।
ধরা যাক, শামসের টার্গেট হল ভিডিও ছেড়ে দিয়ে অর্চিকে লাঞ্ছিত করা। কিন্তু তাহলে মুক্তিপণ চাচ্ছে কেন? আবার যদি টাকাই মূলকথা হয় তাহলে অর্চিকে কিডন্যাপ তো পরের কথা, কিডন্যাপই করার কথা না। ৭ দিনে যেখানে ৫ কোটি, এর চেয়ে কম সময়ে আরও বেশি টাকা ইনকাম করার উপায় জানা আছে শামসের।
প্রশ্নটা আদতে খুব সহজ মনে হচ্ছে। বাট ইট ইজ আ ভাইটাল কোশ্চেন।
রজত জানে না, নিজের অজান্তেই বুল’স অাই হিট করে ফেলেছে ও। কিডন্যাপের এই অংশে শামসের কোন ভূমিকা নেই। এই অংশের ভূমিকা শুধুই আরাফাত সানি’র।
৭.
রজত বাইক থামালো তিতাসের অফিসে সামনে। বাইক থেকে নেমে অফিসে ঢুকে গেলো। buy kamagra oral jelly paypal uk
৪৫ মিনিট পরে বের হয়ে আসলো ও। বেশ ভালো তথ্য পাওয়া গেছে ১০০০ টাকার বিনিময়ে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে ঢাকার অনেক জায়গাতেই। তবে আজ এবং আগামীকাল এই অভিযান চলছে আফতাবনগরে।
অর্চি’কে কিডন্যাপ করে রাখার সম্ভাব্য জায়গা হল আফতাবনগর।
তারপরেও সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। আফতাবনগর ছোট জায়গা না। সেখানে কোন জায়গায় অর্চি’কে রাখা হয়েছে সেটা না জানতে পারলে সবকিছুই বৃথা হয়ে যাবে।
রজত ঘড়ি দেখলো। ১০ঃ৩০। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। চিন্তা করছে ও। আফতাবনগরে ঢুকেই যেসব বিল্ডিং পড়ে সেগুলো তে রাখার সম্ভাবনা প্রায় শূণ্য। কিডন্যাপাররা এমন জায়গায় থাকবে যেখানে লোকসমাগম খুব কম। আফতাবনগরের মাঝামাঝি অথবা শেষ সীমানা এদিক দিয়ে ভালো একটা অপশন হতে পারে।
মাথায় একটা প্ল্যান এসেছে। মোবাইল বের করলো ও।
“হ্যালো, সাইদুল। কোথায় তুমি?…………”
৮.
“এই মামা, ফুচকা কত করে?”
“৩০ টাকা প্লেট, মামা।”
“দুই প্লেট দাও।”
বিকাল ৪ টা। আফতাবনগরের মাঝামাঝি একটা জায়গায় ফুচকার ভ্যান নিয়ে বসে আছে ফুচকাওয়ালারূপী রজত কায়সার। এর আগে অনেকবারই ছদ্মবেশ নিতে হয়েছে ওকে কিন্তু ফুচকা-চটপটিওয়ালা সাজতে হয়নি কখনো। ফুচকাওয়ালা হিসেবে পারফরমেন্স খারাপ না। ভালোই বেচাবিক্রি হচ্ছে।
ভাগ্যের উপরে নির্ভর করা রজতের খুবই অপছন্দের ব্যাপার। কিন্তু আর কোন উপায় না দেখে আজ সেটাই করতে বাধ্য হচ্ছে ও।
রজত এখানে আছে প্রায় চার ঘণ্টা হতে চললো। এখনো আশাব্যঞ্জক কিছু ঘটেনি।
আরও বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলো। রজত চিন্তা করছে এখান থেকে উঠে অন্য কোথাও গিয়ে বসবে কিনা। ঠিক এমন সময়ে গাড়িটাকে আসতে দেখা গেলো।
রজত বুকের রক্ত ছলকে উঠলো। খয়েরি রঙের টয়োটা প্রিমিও। নাম্বার প্লেটে যে নাম্বার লেখা তার শেষের দুই ডিজিট রূপার বাসায় দেখা ছবির সাথে মিলে যাচ্ছে।
খয়েরি প্রিমিও রজতকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। সামান্য এগিয়ে গিয়ে থামলো।
“দুটো চটপটি দে। তাড়াতাড়ি।”
রজত নিজের সৌভাগ্যকে বিশ্বাস করতে পারলো না। “আরাফাত সানি আর আসিফ আহমেদ তার কাছে চটপটি খেতে এসেছে?”
রজত চটপটি বানানো শুরু করলো। কান খাড়া। capital coast resort and spa hotel cipro
সানি আর আসিফ নিজেদের মধ্যে নিচুগলায় কথা বলছে।
রজত ভিতরে ভিতরে অস্থির হয়ে উঠলো। কি কথাবার্তা বলছে জানা দরকার।
এমন সময় সানির ফোনে ফোন আসলো।
“হ্যাঁ,শামস। বল।”
শামস ফোন করেছে!!! ঘাড় ফিরিয়ে তাকানোর ইচ্ছেটা অতিকষ্টে দমন করলো রজত।
“মালয়েশিয়া থেকে কবে ফিরবি? আজ রাতেই? হ্যাঁ হ্যাঁ, তোর প্যাকেজ ঠিকঠাক মতোই আছে। একদম। কেউ এখনও খোলে নাই। তুই এসেই প্রথম খুলবি।”
একটা অশ্লীল হাসি দিলো সানি।
প্যাকেজ মানে অর্চি।
“মামা, আপনাগো চটপটি।”
চটপটি খেয়ে সানি আর আসিফ চলে গেলো। রজত আড়চোখে গাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকলো।
বেশ কিছুদূর এগিয়ে গাড়ি থামলো একটা ছয়তলা বিল্ডিং এর সামনে।
বিল্ডিং এর চারতলা পর্যন্ত ফ্ল্যাট। আর উপরের ২ তলা এখনো নির্মাণাধীন। অর্চি কি এখানেই আছে?
রজত তার জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করলো।
ছদ্মবেশ নিয়ে এখানে আসা তার সফল হয়েছে।
৯.
ঠিক রাত দুটোর সময় রজত ঘুম থেকে জেগে উঠলো।
উঠে বোতলের পানি দিয়ে হাতমুখ ধুয়ে নিলো।
একদম শুনশান, নিস্তব্ধ পরিবেশ। ঝিঁঝিঁপোকাদের অদ্ভূত কনসার্ট চলছে। আশেপাশে মাইলখানেকের মধ্যে কেউ আছে বলে মনে হয় না। দূর থেকে ভেসে আসছে মালবাহী ট্রাকের গর্জন।
একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে।
রজত শপিং ব্যাগ থেকে নাইলনের দড়ি বের করলো। প্যান্টের পকেট থেকে সাইলেন্সার বের করে ফিট করে নিলো বেরেটার সঙ্গে। বগলে হাত দিয়ে চেক করতে গিয়ে থেমে গেলো।
স্টিলেটো আনে নাই আজ। অভ্যাসবসত হাত চলে গেছে বগলে।
“ওকে। এভ্রিথিং ইজ ফাইন। রেসকিউ অর্চি। কিল নো ওয়ান ইফ পসিবল।”
“স্টার্ট দ্য অপারেশন।”
১০.
রজত ধীরপায়ে বিল্ডিং এর পাশে এসে দাঁড়ালো।
পিস্তল কোমরে গুঁজলো। বেল্টের সাথে দড়ির একমাথা বেঁধে স্যানিটারি পাইপ বেয়ে উঠতে শুরু করলো।
নাক কুঁচকালো রজত। কোত্থেকে যেন ইউরিনের ঝাঁঝালো গন্ধ আসছে।
পাইপ বেয়ে পাঁচতলায় চলে এলো রজত। কাঠের তক্তা, বাঁশ, সিমেন্টের বস্তা সব এখানে স্তুপ করা। জায়গায় জায়গায় রড বের হয়ে আছে।
একটা রডের সাথে দড়ি বেঁধে দিলো রজত।
“অর্চি আছে কয়তলায়?” নিজেকে প্রশ্ন করলো রজত।
ওর হিসাব বলছে ৪ তলায় অর্চি’র থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
বিড়ালের মত নিঃশব্দে ৪ তলায় নেমে এলো ও। ovulate twice on clomid
কালিগোলা অন্ধকার।
প্রতি তলায় ২ ইউনিট করে। কোনটায় আগে ঢুকবে?
ডানদিকের ফ্ল্যাটের দিকে এগিয়ে গেলো ও। বেল্ট থেকে টুথপিক সাইজের একটা মেটালিক জিনিস বের করে হ্যাচবোল্টে ঢুকিয়ে একটু নাড়াচাড়া করতেই দরজা খুলে গেলো।
তিনটা রুম। সাথে ডাইনিং, ড্রইং আর কিচেন। zoloft birth defects 2013
দুটো ঘরের দরজা খোলা। আর বাকি ঘরের দরজা বন্ধ। দরজার ওপাশ থেকে বিচ্ছিরি খ্যাঁক খ্যাঁক হাসি শোনা গেলো।
রজতের বুকটা ধক করে উঠলো। “ওই ঘরেই অর্চি নেই তো?”
বাকি দুই ঘরে উঁকি দিলো রজত। এক ঘরে একজন লোক ঘুমাচ্ছে। কে এ? ফাইফরমাশ খাটার লোক বলে মনে হচ্ছে। half a viagra didnt work
বেরেটার বাঁট দিয়ে লোকটার কানের পাশে একটু আদর করে দিলো রজত। এই আদরের রেশ আগামী দুঘণ্টা মত থাকবে।
রজত পিস্তল উঁচিয়ে এগোল বন্ধ দরজার দিকে।
রজত হ্যাচবোল্টে মোচড় দিলো।
ওপাশ থেকে লক।
কান পাতলো রজত।
সানি আর আসিফের গলা শোনা গেলো। তৃতীয় আরেকজনের গলা চিনতে পারলো না ও।
অনেক লুকোচুরি খেলা হয়েছে। achat viagra cialis france
এনাফ ইজ এনাফ।
নক করলো রজত।
কেউ খুললো না। সম্ভবত শুনতে পায় নাই কেউ।
আবার নক করলো রজত। এবার জোরে।
ভিতরের হাসি থেমে গেছে।
দরজা অল্প একটু খুলে আসিফ জিজ্ঞেস করলো, “কি হামিদ? কিছু…… ?”
রজত এক পা পিছিয়ে এসেই দরজার উপরে গায়ের জোরে লাথি মারলো।
আসিফ হুড়মুড় করে মেঝেতে পড়ে গেলো।
অর্চি’র দিকে চোখ গেলো রজতের। অন্তর্বাস পরা অবস্থায় বিছানার সঙ্গে বাঁধা। অজ্ঞান।
রুমে মোট ৩ জন। সানির হাতে ক্যামেরা। আসিফ মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে ।
তৃতীয়জনের নাম শামস বিন মামুন।
শামস বিন মামুনের পরনে শুধু একটা আন্ডারওয়্যার।
সবাই বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে রজতের দিকে।
রজতও কম বিস্মিত হয়নি। শামসের না আজ রাতে মালয়েশিয়া থেকে ফেরার কথা? রজত তো ওটা মাথায় রেখেই অপারেশনের সময় ঠিক করেছিল। কিন্তু শামস এতো তাড়াতাড়ি ফিরলো কিভাবে?
রজত ঠিক করে এসেছিল দরকার না পড়লে কাউকে মারবে না। কিন্তু অর্চিকে ওই অবস্থায় দেখে………
রজত আসিফের মাথায় গুলি করলো। সাইলেন্সার থাকায় শব্দ হল দুপ।
শামস আর সানি পালানোর চেষ্টা করলো।
রজত এক পা এগিয়ে শামসের তলপেটে লাথি মারলো ঝেড়ে।
মেরেই সানিকে লক্ষ্য করে গুলি করলো। মাথায় টার্গেট করেছিলো। লাগলো গলায়। clomid over the counter
শামসের দিকে ফিরলো রজত। মাথায় দুটো গুলি করলো। side effects of drinking alcohol on accutane
“রট ইন হেল উইথ ইউর ইগো।”
ঘড়ি দেখলো রজত। ২ঃ২৫। মাত্র ২৫ মিনিট পার হয়েছে।
শামসের ফোন থেকে মামাকে ফোন দিলো ও। জানালো অর্চি কোথায় আছে।
অর্চিকে কাপড় পরিয়ে দিলো ও। পরানো শেষ করতেই শামসের ফোনে মামার ফোন আসলো।
সবার মোবাইল আর ক্যামেরা সংগ্রহ করে প্রত্যেকটা থেকে মেমোরি কার্ড খুলে নিলো রজত। প্রত্যেকটা মোবাইল পা দিয়ে ভাঙ্গলো। তারপর ফ্ল্যাশ করে দিলো কমোডে।
অর্চিকে ঘাড়ে নিয়ে দড়ি বেয়ে নেমে আসলো। মেমোরি কার্ডগুলো ভেঙ্গে টুকরো করে রামপুরা খালে ফেলে দিলো।
দূর থেকে একটা গাড়ির হেডলাইট দেখা যাচ্ছে। কর্নেল শাহাদাত হোসেন আসছেন গাড়ি নিয়ে।
একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো রজত। মামাকে দেওয়া কথা রাখতে পেরেছে ও।
১১.
“মা, বলো, কবুল।”
“কবুল।”
“আবার বলো, কবুল।”
“কবুল।”
“শেষবার। মা, বলো কবুল।”
“কবুল।”
আলহামদুলিল্লাহ। বিবাহ সুসম্পন্ন হয়েছে।
রজত, অর্চির দিকে প্রশংসা’র দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অন্য কোন মেয়ে হলে ট্রমা কাটাতেই কতদিন লাগতো কে জানে। অর্চি প্রমাণ করলো সে কর্নেল শাহাদাত হোসেনের মেয়ে।
রজত কায়সারের বোনও কি নয়?
রূপা, রজতের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রজত ওর দিকে তাকিয়ে একটা চোখ টিপে দিলো।
জন কার্টার বলছেনঃ
বাহ্! ভালো লাগলো ভাই….
চালিয়ে যান! শুভকামনা
ইমতিয়াজ আজাদ বলছেনঃ
ধন্যবাদ, জন কার্টার।
বারসুম থেকে ফিরলেন কবে?
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
বারসুম কি জিনিস!!
ইমতিয়াজ আজাদ বলছেনঃ
হায় হায়। আপনার নাম জন কার্টার আর আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করছেন বারসুম কি?
ইমতিয়াজ আজাদ বলছেনঃ
সরি ভাই, আমি ভাবছিলাম আপনি জন কার্টার।
“জন কার্টার” মুভিটা দেখেন। বুঝে যাবেন বারসুম কি।
মিনহাজ শিবলী বলছেনঃ
প্রথমে পড়েছি ফেসবুকে। কোন এক কারণে সেখান থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। অ্যাকশন আরও দুর্দান্ত করার সু্যোগ ছিল। গুলি করেই খতম না করে বেশ কিছু উত্তেজক মুহূর্ত তৈরি করা যেত।
তবে বেশ ভাল লেগেছে। কাহিনীবিন্যাস ভাল। all possible side effects of prednisone
ইমতিয়াজ আজাদ বলছেনঃ
আসলে আমি পাঠকের সাথে বেশি ইন্টারঅ্যাকশন চাচ্ছিলাম। যে কারণে গতকাল দুপুরে পোস্ট করার পরে মনে হল এই পোস্ট বেশিরভাগ মানুষের চোখ এড়িয়ে যাবে। এ কারণেই পোস্ট রিমুভ করে রাতের দিকে দিলাম।
আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
posologie prednisolone 20mg zentiva
রবিন রেজোয়ান বলছেনঃ
অনেক ভাল লেগেছে। তবে একশনের অংশটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল মনে হয়। ধর-মার-কাট টাইপ। এছাড়া সব অনেক বেশি ভালো ছিল।
ইমতিয়াজ আজাদ বলছেনঃ
ধন্যবাদ রবিন রেজোয়ান।
আপনার সুচিন্তিত মতামত মাথায় থাকবে।
anil বলছেনঃ
একটা প্রিয় নাম দেখে গল্পটা পরা শুরু করছিলাম,,, তবে শেষমেশ ভালোই লাগলো …
anil বলছেনঃ
আপনার ফেসবুক আইডি থাকলে প্লিজ দেবেন,,,খুশি হবো…