মায়া
469 missed several doses of synthroid
বার পঠিততিনি যখন বললেন-আগামী সপ্তাহেতো আমি থাকছি না। এক সপ্তাহের ছুটি নিচ্ছি।
আমি রীতিমত হতভম্ভ হয়ে যাই। আগামী মাসে আমাদের প্রজেক্টের রিলিজ ডেট। প্রজেক্টের রিলিজ নিয়ে গোটা টিমের সবাই এই মুহূর্তে প্রচন্ড ওয়ার্ক লোডে আছি। এমুহূর্তে তার না থাকা মানে আমার উপর আরও খানিকটা বাড়তি প্রেশার। আর যে মানুষটি কিনা গত এক বছরে একটাও ক্যাজুয়াল লিভ নেয় নি , রোদ ঝড় বৃষ্টি এমনকি হরতাল অবরোধেও ঠিক টাইমে অফিসে হাজির হয়েছে সেই লোকের এবার একেবারে এক সপ্তাহের ছুটি। ব্যাপারটা কি ?
-কি ব্যাপার হুজুর? একবারে এত দিনের ছুটি নিচ্ছেন যে …
আমার কথা শুনে হুজুর খানিকটা লজ্জা পায়। লজ্জা ঢাকার খানিকটা চেষ্টা করতে করতে বলেন -আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছ।
-তাই নাকি ? আগে বলবেন না । কংগ্রাচুলেশনস।
-থ্যাংস।
-তলে তলে এত কিছু সেরে ফেললেন। একবার জানাইলেনও না। এইটা কোন কথা হল ?
-জ্বি মানে হঠাত করে ঠিক হয়ে গেছে। কাউরেই কিছু বলা হয় নাই।
- ভাল। তবে সামনে তো প্রজেক্টের রিলিজ ডেট আছে জানেনই তো, বিয়েটা কয়েক দিন পিছিয়ে দিলেও পারতেন। will metformin help me lose weight fast
- আমিও তাই চাইছিলাম। কিন্ত মেয়ে পক্ষ তাড়াতাড়িই অনুষ্ঠান সেরে ফেলতে চায়। আসলে হয়েছে কি ভাই জানেন মেয়ের মামার ব্লাড ক্যান্সার। একেবারে যায় যায় অবস্থা। তিনি মৃত্যুর আগে ভাগ্নীর বিয়ে দেখে যেতে চান। posologie prednisolone 20mg zentiva
- ও আচ্ছা। অফিসের কাউকে কি জানিয়েছেন?
- না ভাই, আপনারেই আগে জানাইলাম।
-তাহলে অফিসের সবাইরে জানিয়ে আসি, কি বলেন ।
আমি হুজুরের ডেস্ক থেকে বের হয়ে সবাইকে খবরটা জানাই। কিছুক্ষণের মধ্যে অফিসের সবাই এসে একেএকে হুজুরকে শুভেচ্ছা জানাতে থাকে। একটা ফুলের তোড়াও এনে আমরা হুজুরে ডেস্কে রেখে আসি । আমাদের এই সব তৎপরতা দেখে হুজুরের লজ্জাবোধ যেন আরও খানিকটা বাড়ে। মিষ্টি করে হেসে তিনি বলেন -এই সবের কি দরকার ছিল।
হুজুরের পুরো নাম শাহিনুর রহমান। বয়স আনুমানিক সাতাশ। চোখ মুখ থেকে এখনো বাল্যকালের আভা যায়নি। দু গাল বেয়ে নেমে আসা লম্বা শুশ্র ই যা একটু ভারত্ব এনেছে তার চেহারায়। বেশ ভদ্র আচার ব্যাবহার। কথাবার্তায় অমায়িক।বছর দেড়েক হল আমাদের টিমে জয়েন করেছেন। সকাল সাড়ে সাতটায় ফার্মগেট থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। অধিকাংশ সময়েই সকাল ৯টার আগেই অফিসে প্রবেশ করেন। অফিস থেকে বের হতে হতে তার প্রায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটা বেজে যায়। বাসা-অফিস-বাসা এর বাইরে তার আর কোন জীবন আছে বলে মনে হয় না । অবসর সময়গুলো কাটান কোরআন-হাদিসের বই পড়ে। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটিতে সবসময় কোরআন হাদিসের বই দেখি। ছুটির দিন গুলো কাটান তাবলীগ জামায়াতের হয়ে দাওয়াতের কাজে। জীবনের প্রতি তার আর কোন বাড়তি চাওয়া আছে বলে মনে হয় না বরং যা পেয়েছেন এতেই যেন আল্লাহর প্রতি তার শোকরের শেষ নেই। যেহেতু একই টিমে কাজ করি এবং বয়সেও প্রায় কাছাকাছি সেই সুবাদে আমার সঙ্গে তার বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যদিও আর কোন দিক দিয়েই তার সঙ্গে আমার কোন মিল আছে বলে মনে হয় না।যেদিন তাকে প্রথম বলি যে আমি একজন সংশয় বাদী , ধর্ম কর্মে আমার খুব একটা বিশ্বাস নেই । তিনি রীতিমত হতভম্ভ হয়ে যান। এক দৃষ্টিতে খানিকক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বিড় বিড় করে বলেন-আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুক। ঐদিন ওনার অভিব্যক্তি দেখে খুব মজা পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আর কখনো তিনি হয়তো আমাকে আর নামাযের দাওয়াত দিবেন না। হয়তো এড়িয়েও চলতে পারেন। কিন্ত হয়েছে ঠিক তার উল্টো। তিনি আমার সঙ্গে বেশ আগ্রহ নিয়েই মেশেন এবং আমার ধারণা কাজটি তিনি বেশ সচেতন ভাবেই করেন।
লাঞ্চ ব্রেকে আমরা হুজুরকে কেন্দ্র করে আড্ডা দেই। কিউএ টিমের শাহাদত ভাই বলে ওঠেন -তো হুজুর শেষ পর্যন্ত তাহলে বিয়েটা সেরেই ফেলছেন।
উল্লেখ্য শাহাদত ভাইয়ের সঙ্গেও হুজুরের বেশ ভাল সম্পর্ক। উনারা এক সঙ্গে লাঞ্চ করেন । একসঙ্গে নামাজও পড়তে যান।
- জ্বি। আজ হোক কাল হোক বিয়ে-শাদী তো করতেই হবেই। নবীর সুন্নত বলে কথা।
-ভাল। তো হুজুরের মেয়ে পছন্দ হইছে তো নাকি ?
-জ্বি হ্যা। মাশাল্লাহ।
- হুজুর কিন্ত পছন্দের ব্যাপারে খুবই খুত খুতে। এই তো গত মাসে হুজুররে আমার এক বন্ধূর শালীর ছবি দেখাইলাম। মেয়ে রাজশাহী ভার্সিটিতে পড়ে। অনার্স থার্ড ইয়ার, বোটানি। দেখতে শুনতেও খুব ভাল। মেয়ের ফেসবুক প্রোফাইলের লিংক দিলাম কিন্ত হুজুর তো একেবারে প্রথম দেখাতেই রিজেক্ট কইরা দিছে।
কিউএ টিমেরই আরেকজন প্লেবয় খ্যাত তৌকীর ভাই বলে ওঠেন – এইটা কোন কাজ করছেন শাহাদত ভাই । আপনি আমারে না দেখাইয়া আগে হুজুররে দেখাইছেন। আরে ভাই আমিও তো বিয়ের জন্য মেয়ে খুজছি। আমাদের দিকটাও তো একটু দেখবেন নাকি ।
-তোমার চরিত্রের যা অবস্থা তৌকীর। তোমার আর বিয়ে করে কাজ নেই।হা হা হা।
-ছি ভাই । এই কথা আপনি আমারে কইতে পারলেন।
-ছি বইলা কোন লাভ আছে? ভুল কিছু কি বললাম নাকি ?
আমরা সবাই একসঙ্গে বলে ওঠি – না না মোটেও ভুল বলেন নাই।
শাহাদত ভাই বলতেই থাকেন- আর ভাল কথা তৌকীর, মিয়ানমারের ঐ মেয়েটার কি খবর?
-জিয়ান পেনের কথা কইতাছেন?
-হ্যা, জিয়ান পেন।
-আর কইয়েন না, একেবারে লস প্রজেক্ট । বাংলাদেশে যখন আইছিল কত কষ্ট করে ওরে টেষ্টিং ফ্রেম ওয়ার্ক শিখাইলাম। কয়েক বার কেএফ সি তে নিয়া খাওয়াইলাম। অথচ এখন ফেসবুকে নক করলে একটা ঠিক মত রিপ্লাইও দেয় না । আফসোস।
তৌকীর ভাইয়ের বলার ভঙ্গি শুনে আমরা হেসে ফেলি। শাহাদাত ভাই বলেন -শোন তৌকীর , ঐ সব বিদেশী মেয়েদের পিছনে ঘুইরা কোন লাভ নেই বুঝলা। তার চেয়ে দেশী মেয়ের পিছনে ঘুর কামে দিব।কবি বলেছেন “স্বদেশী পণ্য কিনে হও ধন্য”। amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
আমরা সবাই আর এক প্রস্থ হেসে ওঠি। আমি হুজুরকে জিজ্ঞেস করি -তা হুজুর ,শাহাদত ভাইয়ের বন্ধুর শালীরে রিজেক্ট করলেন কেন ?
-আর কইয়েন না। ঐ মেয়ের ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকে দেখি ঠোট মুখ ভেংচা কইরা একটা ছবি। এই মেয়েরে কি আর বিয়া করা যায় বলেন ? এরে বিয়ে কইরা না জানি আমার জীবনটাই না ভেংচা হয়ে যায়।
তৌকীর ভাই হাসতে হাসতে বলেন -আরে হুজুর এইটাই হল এখন কার ক্রেজ । এখনকার মেয়েরা ঠোট মুখ ভেংচেই সেলফি তোলে। এই জেনারেশন হইতাছে গিয়া সেলফি জেনারেশন। বুঝলেন কিছু ? wirkung viagra oder cialis
-আমার অত কিছু বুঝে কাজ নেই । আপনিই বুঝেন।
-আচ্ছা। তো ভাবীর সম্পর্কে কিছু বলেন ?
-কি বলব?
আমিও তৌকীর ভাইয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলি – ভাবী কি করে ? পড়াশোনা না চাকরী-বাকরী ?
এতক্ষণ আমাদের ইয়ার্কি ফাজলামোর মাঝে পড়ে হুজুর অনেকটাই বিব্রত বোধ করছিলেন। আমার এই প্রশ্ন শুনে তার বিব্রতবোধ যেন আরো খানিকটা বাড়ে। মিন মিন করে বলে ওঠেন – ক্লাস টেনে পড়ে। আগামী বার এস এস সি দিবে। zithromax azithromycin 250 mg
-কন কি ? এত কম বয়সী মেয়েরে বিয়ে করতাছেন।
আমার প্রশ্নের কোন জবাব হুজুর দেন না । এক দৃষ্টিতে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকেন।তার অস্বস্তিভাব সুস্পষ্ট।
শাহাদত ভাই বলেন – দেইখেন সাবধান, জে এস সি পাশ মেয়েরে বিয়ে কইরা আবার বাল্য বিবাহের দায়ে ফাইসা যাইয়েন না।
তৌকীর ভাই বলেন -তবে আপনারা যাই বলেন না কেন আমি কিন্ত হুজুরের ডিসিশনের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।
আমি বলি-কেন?
-আজকালকার যুগে ভার্জিন মাইয়া পাওয়া খুবই টাফ। স্কুলের মেয়ে যা একটু ভরসা।
শাহাদত ভাই বলেন- তৌকীর তো এই লাইনে বিশেষজ্ঞ। ওর এই ব্যাপারে ভাল ধারনা থাকাই স্বাভাবিক।
-শোনেন শাহাদত ভাই। আপনিতো বিবাহিত মানুষ । আপনিতো আমার থেকে আরো বেশি অভিজ্ঞ। তাছাড়া খনার বচনে আছে -কচি ডাব করিও ভক্ষণ ,কচি নারীর মন করিও গ্রহন তারপর আর কি যেন মনে নেই । buy kamagra oral jelly paypal uk
-আমি বলি -তৌকীর ভাই, খণার বচনটা কি এইমাত্রই বানাইলেন? renal scan mag3 with lasix
আমার কথা শুনে সবাই আবারো হেসে ওঠে।
শাহাদত ভাই বলেন – তৌকীর দেখি জিয়ান পেনের কাছ থেকে ছেকা খাইয়া কবি হওয়ার পথে অগ্রসর হইতাছে । হা হা হা।
লাঞ্চের পর হুজুর লিভ এপ্লিকেশন নিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার শাখাওয়াত ভাইয়ের কাছে যায় । লিভ এপ্লিকেশনের রিজন ফিল্ডে “লিভ ফর ম্যারেজ” লেখা দেখে সাখাওয়াত ভাইয়ের গম্ভীর মুখও হাসি হাসি হয়ে যায় ।
-বিয়ে করছ তাহলে ?
-জ্বি ভাইয়া।
-ভাল কিন্ত এক সপ্তাহের ছুটি কি খুব বেশি হয়ে যায় না ? তুমি তো জানই আমাদের প্রজেক্টের রিলিজ আছে সামনে।
-জ্বি ভাইয়া , জানি । কিন্ত বিয়ে বৌভাত সব মিলিয়ে এক সপ্তাহের ছুটি না নিলে তো আর হয় না ।
-আমার বিয়েতে আমি মাত্র ৩ দিন ছুটি পেয়েছিলাম , জানো । এর মধ্যেই সব আয়োজন শেষ করতে হয়েছিল। প্রফেশনাল লাইফ বড়ই কঠিন জিনিস বুঝলা। achat viagra cialis france
-জ্বি ভাইয়া।
-ঠিক আছে যাও ৫ দিন ছুটি এপ্রূভ করে দিলাম। ৫ দিন পর অফিসে জয়েন করবা কেমন।
-ঠিক আছে ভাইয়া।
হুজুর বিমর্ষ মনে চোখ মুখ কাল করে ডেস্কে ফিরে। ছুটির এপ্লিকেশন করতে গিয়ে তার বিয়ের আনন্দ যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে।
আমি বলি-কি ব্যাপার হুজুর কোন সমস্যা?
-আর কইয়েন না । চাইলাম ৭ দিনের ছুটি আর দিল ৫ দিনের।
-বিয়ের কথা বলেন নাই ?
-বললাম তো। কইতাছে উনার বিয়েতে মাত্র ৩ দিন ছুটি পাইছিল, প্রজেক্টের চাপ ইত্যাদী ইত্যাদী।
-বাদ দেন তো ,অত টেনশন নিয়েন না। বাড়তি দুই দিন থাইকা আইসেন । বলবেন যে মেয়ের বিয়ে দিয়ে আমার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে গেছিল তাই তাকে দেখতে গেছিলাম। viagra vs viagra plus
-মিথ্যা কথা বলব?
-একটু একটু মিথ্যা বলাতে দোষের কিছু নেই তাছাড়া বিয়ে হইল নবীর সুন্নত, নবীর সুন্নত পালন বলে কথা।
-হুম।
-তবে সাবধান ভুলেও আবার নিজের অসুস্থতার কথা বইলেন না। side effects of quitting prednisone cold turkey
-কেন?
-লোকে আবার অন্য মিনিং করতে পারে। হা হা হা
হুজুর আমার ইঙ্গিতপূর্ণ রসিকতাটি ধরতে পারেন না। গম্ভীর হয়ে যান । সম্ভবত ৫ দিনের ছুটিতে সব অনুষ্ঠান কি করে সারবেন তা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ভোগেন ।বেশ বিমর্ষ মনেই ঐ দিন হুজুর অফিস থেকে বিদায় নেন ।
এর ঠিক এক সপ্তাহ পর আমরা আবার হুজুরকে অফিসে দেখি । মুখে চিরচেনা সেই লাজুক হাসি। আমরা সবাই একে একে ডেস্কে গিয়ে হুজুরকে অভিনন্দন জানাতে থাকি।
তৌকীর ভাই বলেন – কি ব্যাপার হুজুর, এই কয়দিনেই যে এত শুকিয়ে গেলেন ঘটনা কি ?
-না না কোন ঘটনাই নাই , এমনি । cialis new c 100
-না না বললেই কি আর হল। হুজুরের উপর দিয়ে মনে হয় খুব ধকল যাইতাছে…
হুজুর কিছু বলেন না, মুচকি মুচকি হাসেন ।
শাহাদত ভাই হাসতে হাসতে বলেন- হুজুর ঠিকমত খাওয়া দাওয়া কইরেন। বেশি বেশি কইরা পুষ্টিকর খাবার …
আমি বলি- হুজুর আপনার না বিয়ে উপলক্ষ্যে ট্রিট দেওয়ার কথা। কবে দিবেন?
তৌকীর ভাইও আমার সাথে তাল মিলিয়ে বলেন – হুজুর ট্রিটটা আজকেই দিয়ে দেন । আমরা সব মিলিয়ে ১৫ জন আছি । ১৫টা কাচ্চির অর্ডার দিয়ে দেই কেমন ।
-ঠিক আছে দেন ।
দুপুরের লাঞ্চ ব্রেকে আমরা এক সঙ্গে কাচ্চি বিরিয়ানী খেতে বসি । প্রজেক্ট ম্যানেজার শাখাওয়াত ভাই হুজুরকে উদ্দেশ্য করে বলেন- শাহীন তোমার বিয়ের অনুষ্ঠান কেমন হল?
-জ্বি ভাইয়া, মাশাল্লাহ ভাল।
-বিয়ের অনুষ্ঠান করলে কোথায় ?
-জ্বি ভাইয়া, শ্বশুর বাড়ি সিরাজগঞ্জে। metformin synthesis wikipedia
আমি বলি -ভাই, ভাবীরে কি ঢাকায় নিয়ে আসছেন?
-না না। বাসা খুজতাছি। বাসা ঠিক হয়ে গেলে তারপর নিয়ে আসব । তাছাড়া ওর সামনে পরীক্ষা।
- ও আচ্ছা । একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি কিছু মনে করবেন না তো ?
-করুন।
-বিয়ের পর ভাবীরে কি লেখাপড়া করাইবেন ?
হুজুর আমতা আমতা করে বলেন – না ।
আমি হুজুরের কথা শুনে রীতিমত হতভম্ভ হয়ে যাই । আমি জানি এই মেয়েটিকে হয়তো নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে।হয়তো স্বামীর আদেশে তার পড়াশোনাই বন্ধ হয়ে যাবে চিরতরে। বিয়ে নামক নির্মম শৃঙ্খলের মাধ্যমে সে তার স্বাধীনতাটুকুকে হারিয়ে ফেলছে চিরতরে। এখন থেকে প্রতি রাতে হয়তো নিজেকে সপে দিতে হবে স্বামী নামক এই শক্তিমান পুরুষটির হাতে। স্বামীর চোখ দিয়ে দেখতে হবে এই পৃথিবীর সমস্ত রুপ। হয়তো বোরখা নামক অন্ধকার গুহায় তাকে আবদ্ধ হতে হবে সারাটি জীবনের জন্য। তার জন্য এই পৃথিবীটাই হয়ে যাবে একমুখী। লক্ষ্য করি যে এই সব ভাবতে গিয়ে আমার মোটেও ভাল লাগছে না। অনেক চেষ্টা করেও আর বিরিয়ানী গলা দিয়ে ঢোকাতে পারিনা। পুরুষতান্ত্রিক এই সভ্যতার অংশ হওয়ায় নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী বলে মনে হতে থাকে আমার। এই অপরাধ বোধ থেকে আমি মুক্ত হতে পারি না। কখনোই না দেখা সেই অপরিচিত মেয়েটির প্রতি প্রবল মায়া অনুভব করি আমি । ঐ দিন সারাটি দিন আমি আর পারতপক্ষে হুজুরের সঙ্গে কথাই বলি না। সন্ধ্যার দিকে প্রজেক্টের একটা কাজ বুঝে নিতে হুজুর আমার ডেস্কে আসে। আলোচনার এক পর্যায়ে হুজুরের ফোন বেজে ওঠে।হুজুর খানিকটা ইতস্তত বোধ করতে থাকেন । আমি বলি – কি ব্যাপার ফোন ধরছেন না যে?
-আপনার ভাবী ফোন করেছে।
-ঠিক আছে । ফোন নিয়ে কনফারেন্স রুমে চলে যান । কথা শেষ করে তারপর আসুন ।
মিনিট পাচেক পরে হুজুর আবার আমার ডেস্কে ফিরে আসে। চোখে মুখে আনন্দের রেশ।
আমি বলি – কি ব্যাপার হুজুর এত খুশি যে, ভাবী কি বলল ? para que sirve el amoxil pediatrico
-আর বইলেন না । দুপুরে খেয়েছি কি না, বাসায় ফিরব কখন এই জাতীয় নানান প্রশ্ন আর কি ? বুঝলেন ভাই, এই মেয়ের হল অতিরিক্ত টেনশন।
-দেশের পরিস্থিতি তো ভাল নয় । স্বামীদের বাসায় ফেরা নিয়ে স্ত্রীদের দুশ্চিন্তায় থাকাটাই স্বাভাবিক ।
-তা ঠিক। কিন্ত আপনার ভাবী অল্প বয়সী মেয়ে তো। এর ছটফটানি একটু বেশিই। এর সঙ্গে বসবাস করা মনে হয় কঠিনই হবে। খুবই টেনশনে আছি ,ভাই । walgreens pharmacy technician application online
বলছেন বটে কিন্ত তাকে দেখে মনে হচ্ছে না তিনি টেনশনে আছেন বরং তিনি যে বেশ আনন্দিত তা বেশ সুস্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হল তিনি এই আনন্দ গোপন করার কোন চেষ্টাই করছেন না।কে জানে আর কেউ হয়তো এত প্রবল আবেগে তার বাড়ী ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগেছে কি না । এত তীব্র ভালবাসাও হয়তো তার জন্য কেউ কখনো অনুভব করে নি।সব মেয়েই শক্তিশালী অভিযোজন ক্ষমতাকে সঙ্গী করে জন্মায় । এই মেয়েটিও হয়তো তার ব্যতিক্রম নয় । হয়তো এই মেয়েটিও তার সকল স্বপ্নকে জলাঞ্জলী দিয়ে এই প্রতিকুল পরিবেশেই নুতুন করে বাচার স্বপ্ন দেখছে। স্বামীর চোখ দিয়েই দেখতে চাইছে গোটা পৃথিবী। অন্ধকার কোন গুহার মাঝে বাস করে খুজছে তীব্র জ্যোর্তিময় কোন আলোর শিখা। মেয়েরা আশ্চর্য রকমের মায়াবতী হয়। হয়তো এই মেয়েটিও ইতমধ্যে তার অফুরন্ত মায়ার শাখা প্রশাখাগুলোকে বিস্তার করা শুরু করেছে। খুব অল্প দিনেই সেই মায়ার শিকড়গুলো ছড়িয়ে পড়েছে জীবন সঙ্গীটির মনের অনেক গভীরে। পরম মায়ার এই তীব্র বন্ধন ছিন্ন করা কি কারো পক্ষেই সম্ভব ?মনে হয় না। এই মেয়েটি কি সুখী হবে ? আমি জানি না । কেউ যদি অন্ধকারকে চিরসঙ্গী করে তার মাঝেই সুখের আলো খোজে তাহলে আমরাই বা আর কি করতে পারি? নিঃসঙ্গ, প্রেমহীন কোন ইট কাঠের খাচার চেয়ে ভালবাসার পরিপূর্ণ সেই অন্ধকার কুঁড়েঘরটি কি অধিক সুখকর নয়? নয় কি অধিক জ্যোর্তিময়?আমি আমার কল্পনায় এদের একটি সুখী জীবন দেখতে পাই। অনেক সীমাবদ্ধতার সেই জীবনে শুধু একটি জিনিসের যেন কোন কমতি নেই। ভালবাসা ,অনেক তীব্র একটা ভালবাসা। তাদের ঘিরে এই সুখ কল্পনাটুকু করতে আমার ভাল লাগে , বড়ই ভাল লাগে।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সেই লাগলো!!!
অনেক কিছু তুলে ধরেছেন। গল্প সুন্দর করে এগিয়েছে।
বাঙ্গালি মেয়ের মেনে নেয়া বৈশিষ্ট্যটা ভালই ইন্ডিং দিয়েছেন।
অসাধারণ
অপার্থিব বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অনেক ছোট ছোট খণ্ড চিত্র ছিল। ভালই লাগলো তবে কোন নির্দিষ্ট ম্যাসেজ পেলাম না। ম্যাসেজ না হলেও সমস্যা নাই কিন্তু কোন সাসপেন্সও নেই। একটা সরল হুজুরের জীবনকাহিনী। সাহিত্য হচ্ছেও জীবনের মত আপত্তিকর রূপকথার গল্পের মত একটা অংশ তুলে ধরলে সম্পূর্ণ হয় না। যাহোক… প্লটটা দারুণ ছিল। লিখতে থাকুন…
অপার্থিব বলছেনঃ
সত্যিকারের সাহিত্য চর্চার মত মেধা কিংবা যোগ্যতা কোনটাই এই অধমের নাই , এ ব্যাপারে এই অধম সম্পূর্ণ সচেতন । মনের আনন্দে এই সব ছাই পাশ লিখি।
আসলে এখানে একজন সরল মানুষের জীবনের একটা ক্ষুদ্র অংশ সরল ভাবেই বলতে চেয়েছি। এ জাতীয় সরল মানুষদের জীবনে সাধারণত কোন সাসপেন্স থাকে না, তাদের জীবন হয় নিস্তরঙ্গ যাপিত । ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে দেখেছি এ জাতীয় মানুষ ও তাদের ঘিরে জড়িয়ে থাকা অন্যরা বেশ সুখী জীবন যাপন করে। জীবনের সকল অপূর্ণতাকে হাসি মুখে মেনে নিয়ে , না পাওয়ার হাহাকার গুলোকে এক পাশে সরিয়ে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এই প্রবনতাই হয়তো তাদের এই সুখের উৎস। মুলত এটাই ছিল লেখাটির প্রেরণা। যাই হোক পড়া ও উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ doctorate of pharmacy online
private dermatologist london accutaneএকমত!!
রবিন রেজোয়ান বলছেনঃ
পড়তে বেশ ভালো লাগছিল। কিন্তু শেষটায় এসে হোঁচট খেয়েছি। লেখাটা এখানে শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি। তবে সব মিলিয়ে অসাধারন। ভাবনাটা ভালো ছিল।
অপার্থিব বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
গল্পের থিম কী ??????
অপার্থিব বলছেনঃ
metformin tabletআমাদের সমাজে এ জাতীয় সরল ধার্মিক মানুষের অভাব নেই। ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে দেখেছি এ জাতীয় সরল মানুষ ও তাদের ঘিরে জড়িয়ে থাকা অন্যরা বেশ সুখী জীবন যাপন করে।এই জাতীয় মানুষেরা তাদের জীবনের সব কিছুতেই ঈশ্বরের মহিমা খুজে পায় । জীবনের সকল অপূর্ণতাকে হাসি মুখে মেনে নিয়ে, না পাওয়ার কষ্ট গুলোকে এক পাশে সরিয়ে রেখে সামনে এগিয়ে যায় । জীবনের সঙ্গে কম্প্রমাইজ করে এক পর্যায়ে আবার জীবনটাকেই নুতুন করে ভাল বাসতে শিখে। সম্ভবত তাদের সুখের উৎস এটাই । মুলত এটাই ছিল লেখাটির প্রেরনা।এছাড়াও একটি ক্যারেক্টারের মাধ্যমে বলতে চেয়েছি যে আমাদের সমাজে এমন অনেকে আছে যাদের নিজেদের চরিত্রের কোন ঠিক ঠিকানা না থাকলেও বিয়ে করার জন্য ভার্জিন মেয়ে খোজে।দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অফিস ফেরত স্বামীদের স্ত্রীরা যে অনেক দুশ্চিন্তায় থাকে সেটাও কিছুটা তুলে ধরার উদ্দেশ্য ছিল। ধন্যবাদ।
ইমতিয়াজ আজাদ বলছেনঃ
ovulate twice on clomidগল্পটা অনেক ভালো লাগলো।
অপার্থিব বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
দারুণ লাগলো…
অপার্থিব বলছেনঃ levitra 20mg nebenwirkungen
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
acne doxycycline dosageখন্ড চিত্রায়ন গুলো আরো জমজমাট হলে ভালো লাগতো। তবে, এই ধরনের প্লটের উপর লিখা গল্প গুলো আমার ভালোই লাগে। উপরে সবাই প্রায় সব কথা বলেই ফেলেছেন। আমি চাইবো আপনি আরো লিখে যান।
অপার্থিব বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
সব মেয়েই শক্তিশালী অভিযোজন ক্ষমতাকে সঙ্গী করে জন্মায়।
– অতীব সত্য কথা বলিয়াছেন
অপার্থিব বলছেনঃ
ধন্যবাদ।