“সতীত্ব বনাম বহুগামিতা” – নারী কেমন আছে আমাদের সমাজে
833
বার পঠিত glyburide metformin 2.5 500mg tabs
নারীর অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ
পিতা স্বামী পুত্র দ্বারা প্রতিপালিত
বিয়ের আগে পড়ে thuoc viagra cho nam
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পুরুষের আকাঙ্ক্ষা শিক্ষিত বউ
শ্রমজীবী নারী বনাম অলস গৃহিণী
ধর্ষণ – নারীর প্রতি পুরুষের নিকৃষ্ট তম অত্যাচার doctus viagra
সিদ্ধান্ত নারীর সে কি উন্মুক্ত রাখবে নাকি ঢেকে রাখবে
ঐশ্বরিক বিধানে নারী
পণ্য শুধু নারী নাকি পুরুষও পণ্য ঃ
রোকেয়া – বাংলার নারী অধিকার আন্দোলনে একমাত্র উদ্ধত অহমিকা irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
নারীর সতীত্ব বনাম পুরুষের বহুগামিতা
নারীবাদ – নারী মুক্তির একমাত্র হাতিয়ার para que sirve el amoxil pediatrico
উপরের সূচীপত্রটি অনন্য আজাদের প্রথম বই সতীত্ব বনাম বহুগামিতা বই থেকে নেওয়া। শুরুতেই তিনি নারীর অতিত নিয়ে লিখেছেন। অতিত বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন সেটি শিরোনাম পড়ে বুঝা যায় নি। তবে ভেতরে পড়ে একটু নাড়া খেয়েছি। তিনি অবশ্য যে ধারণাটি দিয়েছেন সেটি তাঁর নিজস্ব চিন্তা। তবে এই চিন্তাকেই খুব যৌক্তিক মনে হয়েছে।
“পুরুষদের বোধে ধরা পড়ল নারী মমতাময়ী বাৎসল শরীর তাদের কাম জাগায় গঠন তাদের আকর্ষণীয়। তাদের কাছ থেকে তারা পায় অতুলনীয় তৃপ্তি । এবং যখন ধীরে ধীরে পরিবার সমাজ রাষ্ট্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম এর আগমন হল তখন থেকে ধীরে ধীরে সবকিছুর নেতৃত্ব পুরুষদের হাতেই চলে গেল” -নারীর অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ
নারী কিভাবে পুরুষের অধীনে এলো তার খুব চমৎকার একটি ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন। পাঠকদের বুঝতে খুব সমস্যা হবে না। puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
বইটির দ্বিতীয় পরিচ্ছেদটির শিরোনাম আরও চমৎকার লেগেছে। “পিতা স্বামী পুত্র দ্বারা প্রতিপালিত” । আমাদের সমাজে মেয়েরা কিন্তু জন্ম থেকে কারো না কারো দ্বারা লালিত পালিত হয়ে আসছে। আমরা সবাই সেটা জানি, এবং এটিকেই অবধারিত নিয়ম বলে মেনে নিচ্ছে সবাই। সমাজে মেয়েরা যদি শিক্ষিত হয়ে নির্ভরশীল হয়ও তবুও তাঁদের থাকতে হয় কোন না কোন পুরুষের অধীনে। সে যত শিক্ষিত যত স্বাবলম্বী হোক না কেন। অনন্য আজাদ এই অদেখা বা দেখেও এড়িয়ে যাওয়া নারীদের পরনির্ভরশীলতা সাবলীল ভাবেই এই পরিচ্ছদে তুলে ধরেছেন।
“একটি কথা প্রায় বলতে শুনা যায় “ আগে বিয়ে কর, তার পর যা খুশি কর ” , যেন বিয়ের আগে মেয়ে স্বাধীন নয় বিয়ের পরেই সে স্বাধীন” clomid over the counter
লাইনটি এই বইয়ের তৃতীয় পরিচ্ছেদ “ বিয়ের আগে পরে” থেকে নেওয়া। উপরের লাইনটি শুনতে হয়নি এমন নারী বাংলাদেশে খুব কমই আছে। বাবা মা তাঁদের কন্যাদের যেন অন্যের আমানত হিসেবেই নিজের কাছে রাখে। একবার অন্যের কাছে দিয়ে দিতে পারলেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ বলে মন করে। কন্যা যে নিজের বাবা মার কাছেও স্বাধীন না বিয়ের পর স্বামীর ঘরে গিয়ে আরও পরাধীন হয় তার চমৎকার একটি বর্ণনা লেখক খুব সহজ ভাবেই তুলে ধরেছেন। পড়ে পাঠক মাত্রই ভাবিত হবে, নারীকে অনেক আশ্বাস দেওয়া হয় কিন্তু সেই আশ্বাস আদৌ কখন পূরণ হয় না।
এর পরের পরিচ্চেদে এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যেখানে হয়ত বর্তমানের কিছু শিক্ষিত নারী আঘাত প্রাপ্ত হবে। মুখ গোমড়া করবে উচ্চশিক্ষিত স্বামী তথা পুরুষসমাজ। পড়ে চমৎকার আন্দোলিত হয়েছি, এমন ভদ্র ভাষায়ও যে কাউকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া যায় শিক্ষাগত যোগ্যতা শুদুমাত্র একজন ভাল স্বামী পাওয়ার আশায় অর্জন করছে আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষিত নারী। অথবা পুরুষের গায়ে প্রচণ্ড একটি চপেটাঘাত এই দেখিয়ে দিয়ে যে, পুরুষ নারীর শিক্ষাগত যোগ্যতাকে প্রয়োজনীয় হিসেবে দেখছে শুধুমাত্র তাঁর সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্য।
posologie prednisolone 20mg zentiva
“বর্তমানে আশেপাশে যত গৃহিণী দেখি সবাই অনার্স পাশ, মাস্টার্স পাশ, বিবিএ এমবিএ, এমনকি এলএলবি ডাক্তারও আছে। কিন্তু তাদের পরিচয় হয় স্বামীর পরিচয়ে, একজন আদর্শ গৃহিণী, আদর্শ বউ, আদর্শ মা” — বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পুরুষের আকাঙ্ক্ষা শিক্ষিত বউ ; যেকোনো বোধসম্পন্ন মানুষই পড়ে একবার হলেও ভাবতে বাধ্য হবে লেখক যা বলতে চেয়েছেন তা বাস্তব।
এই বইতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং কিছুতা ভিন্নধর্মী লেগেছে যে পরিচ্ছেদটি তা হল “শ্রমজীবী নারী বনাম অলস গৃহিণী”
শিরোনাম পড়ে একটা ধাক্কা খেলাম। নারীর সাথে নারীর তুলনা! নারীকে নারীর সম্মুখীন দাড় করিয়ে দিয়েছেন লেখক। এমন ভয়ংকর কাজ আগে কেউ করেছে কিনা আমার জানা নেই। নারীদের শুত্রু বা প্রতিপক্ষ সব সময় পুরুষকেই জেনে এসেছি। কিন্তু নারীর অগ্রযাত্রায় যে নারীই অনেক সময় সবচেয়ে বড় অন্তরায় তা লেখক অনেকটা বজ্রের মত পাঠকদের সামনে এনেছেন। এই পরিচ্ছেদটি পড়ে আমার মতে সকল পাঠক উপলব্ধি করতে বাধ্য হবে , সমাজে এক দল নারী আছে যারা সত্যিকার অর্থে স্বাধীন স্বাবলম্বী এবং সমাজে যাদের অবস্থান নিচে , যাদের আমরা নাম দিয়েছে গরিব অসহায় নিম্নশ্রেণী, আর অন্য দল আছে যারা উচ্চবিত্ত কিন্তু তারা নির্ভরশীল তাঁদের স্বামীর টাকার উপর। নারীদের মধ্যে এমন বৈষম্য যে আমাদের চোখের সামনে আছে তা কতজন আমরা জানি বুঝি মানি! লেখক নির্দ্বিধায় নারীদের এমন করুণ পরিস্থিতি খুব যৌক্তিক ভাবেই তুলে ধরেছেন। এই পরিচ্ছেদটি আশা করি সকলের কাছে ভাল লাগবে।
এই বইতে আরও কিছু পরিচ্ছেদ আছে যা পড়ে পাঠকদের অহরহ ধাক্কা খেতে হবে। এমন নয় যে লেখক যে ব্যাপার গুলো তুলে ধরেছেন তা নতুন বা আমাদের সমাজে ঘটে না। সবই আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে , আমাদের চোখের সামনেই ঘটে কিন্তু আমরা গুরুত্ব দেই না। যুগের পর যুগ ধরে এই সব ঘটনা ঘটছে বলে এসবকে আমরা স্বাভাবিক বলে ধরে নিচ্ছি। কিন্তু এ যে স্বাভাবিক নয়, এ যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চরম চক্রান্ত তা লেখক আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছেন। যেমন “ সিধান্ত নারীর, সে কি নিজেকে ঢেকে রাখবে নাকি উন্মুক্ত রাখবে” পরিচ্ছেদ, “ পণ্য কি শুধুই নারী নাকি পুরুষও পণ্য” পরিচ্ছেদ।
এই পরিচ্ছেদেও লেখক নিজস্ব চিন্তাধারায় সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ব্যাপার তুলে ধরেছেন। প্রতিনিয়ত আমরা নারীদের পণ্য পণ্য বলে আসছি কিন্তু ভুলে যাই পুরুষও পণ্য হয় যখন সেও নিজের শরীর উপস্থাপন করে।
এছাড়া বইয়ের অন্যান্য পরিচ্ছেদ “ধর্ষণ, “ঐশ্বরিক বিধানে নারী” “নারীবাদ- নারী মুক্তির একমাত্র হাতিয়ার” লেখক নারীদের চলমান সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। ঐশ্বরিক গ্রন্থে নারীকে কি মূল্যায়ন দেওয়া হয়েছে তারও একটি বিশদ বর্ণনা পাওয়া যায়। এছাড়া বেগম রোকেয়াকে নিয়ে উনার নিজস্ব মতামতও তিনি খুব সাবলীল ভাবেই লিখেছেন। কিছু কিছু জায়গায় তাঁর বাবা হুমায়ুন আজাদের সাথেও দ্বিমত পোষণ করেছেন। একজন লেখকের চিন্তাধ্রা হবে মৌলিক, অন্যদের থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া যায় কিন্তু লেখার ক্ষেত্রে অন্য লেখকদের ভুমিকা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। এমনকি নিজ লেখক বাবার সাথেও দ্বিমত হওয়া যায় , “রোকেয়া – বাংলার নারী অধিকার আন্দোলনে একমাত্র উদ্ধত অহমিকা” পরিচ্ছেদটি পড়ে পাঠক সেটি উপলব্ধি করতে বাধ্য।
সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন শৈলী। প্রতিটা লাইন বোধগম্য। বইটি পড়তে বা বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
লেখকের মূল উদ্দেশ্য বইটি পড়ে যাতে সবাই বুঝতে পারে। উপলব্ধি করতে পারে সমাজের নারীদের প্রকৃত অবস্থান। তিনি তথাকথিত সমস্যা বা এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন নি। নারী কেমন আছে আমাদের সমাজে শুধুমাত্র এই চিত্রই তিনি তুলে ধরেছেন।
“সতীত্ব বনাম বহুগামিতা” —-অনন্য আজাদ।
প্রকাশিত হয়েছে শব্দশৈলী প্রকাশনী থেকে। পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০১৫। স্টল নং ৪২৬-২৭-২৮
বইটি পাঠক জনপ্রিয়তা পাবে, এই আশায়। achat viagra cialis france
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
can your doctor prescribe accutaneআশা করি পড়ে ফেলবো… আজ লেখকের সাথে দেখা হয়েছে…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আর স্বাগতম নীলা আপু
শারমিন আখন্দ বলছেনঃ
will i gain or lose weight on zoloftঅভিনন্দন , ছোট ভাইয়া । বইটি কিনতে কবে আসবো ? অনলাইনে পোষ্ট করেছো ?
মিনহাজ শিবলী বলছেনঃ
উইমেন & জেন্ডার স্টাডিজের ছাত্র হিসেবে বইটি অতি অবশ্যই কিনব
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
পুরোটাই পড়ে ফেলবো শিঘ্রই