সাম্প্রতিক ভাবনা এবং আমরা
206
বার পঠিতপ্রত্যেক দিনের পত্রিকা খুললেই শিরোনাম গুলো থাকে মানুষের মৃত্যুর খবরে পরিপূর্ন , আর আমরা এমন অভ্যস্ত হয়েছি যে এইসব খবর আমাদের গায়ে তেমন একটা লাগে না । বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়ের টং ,কোন মুক্তমঞ্চে সেইরকম ঝড় উঠে না । দেশের মানুষ এখন আর রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাতে তেমন ইচ্ছুক নয় ,সত্যি কথা হল দেশের দুই নেত্রীর কার্যক্রম আমাদের জন্য কমেডি নাটক ব্যাতীত আর কিছুই নয় এখন । side effects of drinking alcohol on accutane
একজন দরজা বন্ধ করে রাখলেন , আর মানুষ মারা গেল ১০ জন ; আরেকজন ইট ,বালি দিয়ে ফটক আটকে দিলেন তাতেও মারা গেল সাধারন মানুষ । এ যেন কে কত মানুষ মারতে পারি তার প্রতিযোগীতা , হরতাল , অবরোধ দিয়ে ক্ষমতা দখল ; কিন্তু সাধারন মানুষ এমন ক্ষমতার লড়াই মেনে নিতে পারছে না কারন যা ঘটুক না কেন পরিনাম ভুগছে খেটে খাওয়া মানুষেরাই । দুবেলা দুমুটো ভাত আর রাতের শান্তির ঘুম সাধারন মানুষের চাওয়া এই এতটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু আজকে বাংলার মানুষ এই সামান্য চাওয়াটুকূ চাইতে ভয় পাচ্ছে, কারন বেচে থাকাটা যেখানে মুখ্য সেখানে তো আর বাকি সবকিছু বিলাসিতা ।
দেশের এমন রাজনৈ্তিক প্রেক্ষাপটে বিশিষ্ট জনেরা বিশাল বক্তৃতা দিচ্ছেন সংলাপ হচ্ছে ,টক শো হচ্ছে মিছিল , মীটিং অনেক কিছু ।একেক জনের একেক মত , কেউ উপায় বলে দিচ্ছেন আর কেউ তর্ক করছেন ।কিন্তু সবচেয়ে বেশী CONFUSION এ আছি আমরা , আমাদের প্রজন্ম , নতুন প্রজন্ম । আমাদের পূর্বের প্রজন্ম শুধু ভুল করে গিয়েছেন , ৭১ এর স্বাধীনতা আর দেশে এর এই অবস্থার জন্য দায়ী শুধু মাত্র উনারা , উনাদের ভুল আর আমাদের প্রায়শ্চিত্ব । আমরা যখন প্রশ্ন করতে চেয়েছি তখন শুনতে হয়েছে ‘দেশের পরিস্থিতি ভাল নয় চুপ থাকো ‘ মানলাম এই কথাগুলোর পিছনে উনাদের নিজস্ব অভিমত , চিন্তাভাবনা , অপ্রকাশিত ব্যাথা রয়েছে কিন্তু অস্বীকার তো কেউ করতে পারবেন না যে সবকিছুর জন্য উনারা নিজেরা দায়ী । ১৯৭১ এর যুদ্ধে সর্বসাধারনের অংশগ্রহনের ফলেই আমরা জয়ী হতে পেরেছি , কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ তো ছিল তরুনেরাই । তরুন অরুনদের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের এই বাংলা । বাংলার ছেলেরা যুদ্ধে পারদর্শী ছিল না কিন্তু যুদ্ধবাজ পাকিস্তানিদের মুখটা ভোতা করে দিয়েছিল এই তারছেড়া পাগলে রা ।কিন্তু যারা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা আনল তাদের মান আমরা কতটুকু রাখতে পেরেছি ? মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম তা রাখতে পারেনি ক্ষমতার লোভ আর ভয়ের কারনে ,আর আমরা পারছি না CONFUSED হওয়ার কারনে । সবাই দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে হা হুতাশ করছি দোষারোপ করছি একে অন্যকে আমরা বলছি আমাদের পুর্বের প্রজন্মের দোষ , আর আমাদের পুর্বসুরিরা বলছেন আমাদের দাড়া কিছু হবে না দেশ আরো অন্ধকারে যাবে আমাদের জন্য । কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী দেয় আমাদের হয়ে , তরুনদের পক্ষ নিয়ে যেমনটা দিয়েছিল ১৯৭১ এ , ২০১৩ তে । তাই দেশের এই পরিস্থিতে , অবস্থা বদলানোর দায়িত্বটা আমাদের উপরই ন্যায্য হয় । half a viagra didnt work
কিন্তু সঠিক রাস্তা কোনটা ?
আমি জানি না কিন্তু আমার এই ভাবনা গুলোর উত্তর দিতেই হয়তো গ্রীসের সাম্প্রতিক নির্বাচন এর খবর আমার চোখে পড়ে , জানি না সবাই আমার সাথে একমত হবেন কি না তারপরো বলতে চাই যে এই খবরটা দিক নির্দেশনার কাজ করেছে সামান্য হলেও
গ্রীসের অভিজাত রা চেয়েছিল গ্রীস যেন বিবদমান স্বার্থের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিনত হয় , গ্রীসের এক সাংবাদিক বলেছেন যে ,সবার মধ্যে দায়িত্বহীনতার অভাব রয়েছে । ব্যাপারটা এমন যে কারো কোন দায়িত্ব নেই কেউই জনসম্পদের জামিনদার হতে চাচ্ছিল না ।’ সাংবাদিকের এই কথাটা আমাদের দেশের পরিস্থিতির সাথে অনেকাংশেই মিলে যায় । তবে সবচেয়ে বড় কথাটা হল যে , গোষ্ঠীশাসন , দুর্নীতি , ও অভিজাত রাজনীতি যদি জাতির মেধার মুখ চেপে ধরে তাহলে সেই জাতির অবনতি নিশ্চিত । আর তখন তরুনদের দেশের আর কোন দৃশ্যপটে পাওয়া যায় না । নির্জীব হয়ে যায় তখন তরুনেরা।
ঠিক এমনটাই ঘটে ছিল গ্রীসে , বাইরে থেকে দেখলে গ্রীস একটি বিশাল নেতিবাচক কিছু , কিন্তু বিপ্লবী বামপন্থার উদ্ভব এর কারন হচ্ছে ইতিবাচক মুল্যবোধের উদয় । আর এই ইতিবাচক মুল্যবোধের উথান মূলত ঘটেছে তরুনদের মধ্যে । সিরিজা পার্টি এর স্বাভাবিক সর্মথকদের চেয়ে এই মুল্যবোধ অনেক বৃহৎ । একটা প্রজন্মের মুল্যবোধ , আত্মনির্ভশীলতা , সৃজনশীলতা ,জীবনকে সামাজিক পরীক্ষা হিসাবে দেখার ইচ্ছে মুলত গ্রীসের এই সাম্প্রতিক পরির্বতনের জন্য দায়ী । গ্রীসের ভোটারদের একটি বড় অংশ বিশেষ করে তরুনেরা বলেছে যে , এই অভিজাত তন্ত্র ও দুর্নীতি তারা অনেক দেখে ফেলেছে আর দেখতে চায় না তাই এই পরিবর্তন ।। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা গ্রীস দেখিয়ে দিয়েছে যে কি ভাবে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় । আমি জানি না গ্রীস এর পর কোন পথে হাটবে , স্থাপিত গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে পারবে কি না জানি না তবে শুরুটা দরকার ছিল আর গ্রীসের তরুনেরা তা করে দেখিয়েছে ।
ইতিহাসের সাথে সাথে বর্তমানও যে আমাদের পক্ষে , সাম্প্রতিক এই ঘটনা তা আবার প্রমান করে । আর যাই হোক পরিবর্তনটা যে আমাদেরই আনতে হবে , কেন জানি মনে হয় পুরো দেশটাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে ৪৩ বছরের শৃঙ্কলায়িত স্বাধীনতা কে পূর্ন স্থাপন করার জন্য । জানি কোনভাবেই এই রাস্তাটা সহজ নয় , পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে হয়তো আবারো রক্ত ঝরা তে হবে , আর কেন জানি ধরিত্রী মাতা তরুনদের রক্তের জন্য সর্বক্ষন পিপাসিত থাকেন , আমারা তরুনেরা রক্ত দিলে তবেই মাতা বসুমতী শুদ্ধ হোন । আমার মতে চাইলে দেশটা পালটানো যায় , পালটানোর ইচ্ছে থাকতে হয় শুধু ; অনন্তপক্ষে আমাদের পূর্বের রাজনীতিবিদদের এটা বুঝাতে হবে যে ক্ষমতার গদির লোভে , মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে , নিরপরাধ মানুষ মেরে , বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে দেশ কে ভালবাসা যায় না । আমরা নতুন উনাদের দলে আমরা নেই ।আমরা প্রশ্ন করি আবার উত্তরটা আমরাই খুজি , আমাদের প্রানটা বাংলা মায়ের কাছেই , । সেই ছোটবেলায় শুনেছিলাম যে যদি প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ স্থানে , নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দাড়িয়ে নিজের কাজটুকু দায়িত্বের সাথে করে তাহলে না কি ঐ জাতি তথা , ঐ দেশ ,ঐ সমাজের যে কোন উন্নতি সম্ভব ।
আমি জানি যে আমরা দেশটাকে পাল্টাবো পাল্টাতে পারব আর কিছু না হোক নতূন সভ্যতার ন্যায় মন্দিরের এক টুকরো ইট তো গেথে যেতে পারবো । দেশের অংশীদার হয়ে , দেশের মানুষের সাথে , মুক্তচিন্তার মাধ্যমে , প্রশ্নের পাথরে বার বার বিক্ষত হয়ে আমরাই পাল্টাবো এই দেশটাকে । viagra in india medical stores
কারন আমাদের ইতিহাস তাই বলে , ৪৩ বছর আগে একদল তারছেড়া দামাল পাগল আমাদের জন্য বেসম্ভব সাহস নিয়ে যুদ্ধভুমি থেকে লাল সবুজের ঐ পতাকাটা নিয়ে এসেছিল , বিনিময়ে দিয়ছিল নিজের প্রানের বলি ; ঐ পাগল দের হাজারটা সুযোগ ছিল যুদ্ধ থেকে সরে আসার । অন্য কোন দেশে চলে যাবার কিন্তু অরা তা করে নি কারন অরা বিশ্বাস করেছিল একটা সত্যের উপর , সত্যটা হল এই পৃথিবীতে ভাল কিছু রয়েছে , আর সেই ভাল , সেই সত্যের জন্য নিজের জীবন উৎর্সগ করাটা সৌভাগ্যের । posologie prednisolone 20mg zentiva
এত বছর আগে ওরা যদি এ সত্য বুঝতে পারে তাহলে আজকে কেন আমরা নয় ? ovulate twice on clomid
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
৪৩ বছর আগে বঙ্গবন্ধু ছিলেন, যিনি এক করেছিলেন বাঙ্গালিকে, জাতীয়তা বোধের জন্ম দিয়েছিলেন। ৭১এর সেই চেতনাই ১৩তে গনজাগরণের ইন্ধন।
আর বর্তমানে আমরা তরুণেরা দেশ,রাজনীতি নিয়ে ভাবি না ভাবি whats app তো বন্ধ হল facebook আবার বন্ধ হবে না তো!!!
অন্তিম গোধুলী বলছেনঃ
acne doxycycline dosageসত্য বলেছেন, আর যদি কেউ ভাবে তাহলে তার পেছনে title লাগে বেকডেটেড এর।
সবাই বিলেত আমেরিকায় গিয়ে settle হতে চায় কিন্তু কেউ ফিরে আসতে চায় না।
এমন অকৃতজ্ঞ আমরা