নিউক্লিয়ার যুদ্ধ এবং একজন বীরের উপাখ্যান
419
বার পঠিত doctus viagraGive me the judgment of balanced minds in preference to laws every time. Codes and manuals create patterned behavior. All patterned behavior tends to go unquestioned, gathering destructive momentum.
— Darwi Odrade
You can’t make history by following rules.
২৭ অক্টোবর ১৯৬২- সম্ভবত স্নায়ু যোদ্ধের সব থেকে মারাত্মক সময়, সোভিয়েতদের কিঊবাতে মিডিয়াম রেঞ্জ ICBM (আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র/ব্যালেস্টিক মিসাইল) ঘাটি করা নিয়ে আমেরিকার সাথে উত্তপ্ত অবস্থা। যে কোনো মুহুর্তে শুরু হয়ে যেতে পারে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ।
এদিকে কিঊবা তে একটা U-2 (SPY PLANE) গুলি করে নামানো হয়,আরেকটা গায়েব হয়ে গিয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেতরে।
সব মিলিয়ে মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা আমেরিকার। accutane prices
সেই সময়ে কিউবার কাছাকাছি সমুদ্রসীমা টহল দিচ্ছিল সোভিয়েত নেভির সাবমেরিনঃ Soviet Foxtrot-class submarine B-59 B-59
কমান্ডে আছেন ক্যাপ্টেন Valentin Savitsky.
সেকেন্ড ইন কমান্ড Vasili Alexandrovich Arkhipov
সাথে অন্য একজন অফিসার Ivan Semonovich Maslennikov .তিনি ছিলেন পলিটিকাল অফিসার।
সেই সময়ে নিউক্লিয়ার আর্মড সাবমেরিন গুলোতে নেভির অফিসার ছাড়াও একজন করে পলিটিকাল অফিসার থাকতেন।
নিউক্লিয়ার ওয়েপন ফায়ার করতে হলে ক্যাপ্টেন, সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং পলিটিকাল অফিসার এই তিনজন অফিসারের অনুমতির প্রয়োজন হত।
অস্ত্রঃ১০ টা টর্পেডো , কিন্তু সবাই সবাই যেটা জানত না সেটা হল টর্পেডো গুলোর মধ্যে একটা টর্পেডো ছিল ১০ কিলোটন নিউক্লিয়ার ওরহেড যুক্ত। রাশানরা মাত্র তখন এ ধরনের টর্পেডো সার্ভিসে এনেছে। will i gain or lose weight on zoloft
২৭ অক্টোবর একই স্থানে অবস্থান করছিল আমেরিকার নেভির একটি বিশেষ নৌবহর। কোড নেমঃটাস্ক ফোর্স আলফা(Task force Alfa)
এই গ্রুপে ছিল ১১টি ডেস্ট্রয়ার, লিডে ছিল এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার
“USS Randolph”
টহল দেয়ার সময় হঠাৎ করেই আমেরিকান নেভির সামনে পড়ে যায় সোভিয়েতদের সাবমেরিন। সাথে সাথে আমেরিকান নেভির একটা ডেস্ট্রয়ার ডেপথ চার্জ ফেলা শুরু করে তাদের উপর। মুলত এগুলো ছিল প্র্যাকটিস চার্জ। তিন দিন আগে ২৪ অক্টোবর আমেরিকা তাদের Submarine Surfacing and Identification Procedures অর্থাৎ আন্তঃজাতিক জলসীমার শান্তিকালীন সময়ে আননোন সাবমেরিন আইডেন্টিফাই করার নিয়ম প্রকাশ করে। তাদের নিয়ম অনুযায়ী আননোন সাবমেরিন উপর ৫ টি প্র্যাকটিস চার্জ ফেলা হবে, এটা হবে পানির উপরে এসে নিজেদের পরিচয় দেয়ার সংকেত। USS Beale and USS Cony ওয়ার্নিং শট হিসেবে ৫ টি করে দুইবার ১০ টি ‘concussive
grenade ফেলে B-59 এর উপর।
[[প্রচন্ড শক ওয়েভ সৃষ্টি করে সাবমেরিনকে ঝাকি দেয়ার জন্য বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা আন্ডার ওয়াটার গ্রেনেড, একটা টিনের ব্যারেলের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে সেই ব্যারেলকে হাতুরি দিয়ে বার বার আঘাত করা হলে যেরকম অবস্থা হবে অনেকটা সেরকম]]
এদিকে রাশানরা এই কাজে ৩ টি চার্জ ব্যবহার করে অভ্যস্ত। ফলে পাঁচটি চার্জকে নিজেদের উপর আক্রমন হিসেবে ধরে নেয় তারা ।
আমেরিকান ডেস্ট্রয়ার তাদের উপর ডেপথ চার্জ সহ প্রচন্ড শক্তিশালি সোনারের শব্দ ব্যবহার করতে শুরু করে। ফলে
বাধ্য হয়ে তারা সমুদ্রের আরও গভীরে ডুব দেয়। পানির অনেক গভীরে ডুব দেয়ায় হেডকোয়ার্টারের সাথে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। এভাবে টানা এক সপ্তাহের বেশি পানির নিচে থাকার পর অবস্থা মারাত্মক হয়ে উঠে সোভিয়েত সাবমেরিনারদের (তখনকার দিনে সাবমেরিন গুলোতে কমিউনিকেশন, পানি, অক্সিজেন, এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম এত উন্নত ছিল না)।তাপমাত্রা প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অক্সিজেনের শর্টেজের ফলে নাবিকদের শ্বাস কষ্ট শুরু দেখা দেয়।
এদিকে হেডকোয়াটারের সাথেও কোনো যোগাযোগ নেই। বাধ্য হয়ে সাবমেরিন B-59 এর ক্যাপ্টেন সিদ্ধান্ত নেন তার বিশেষ টর্পেডো ফায়ার করার। ফায়ার করা হবে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার USS Randolph এর দিকে।
বিষয় টা একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় কেন নিউক্লিয়ার টর্পেডো লঞ্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেনন ক্যাপ্টেন Savitsky। ধরুন আপনি স্নায়ু যোদ্ধের সময়ে নিউক্লিয়ার টর্পেডোবাহী একটা সাবমেরিন এর ক্যাপ্টেন, হেডকোয়াটারের সাথে যোগাযোগ নেই বেশকয়েক দিন, যে কোনো দিন “কিঊবান মিসাইল ক্রাইসিস “নিয়ে আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়ন একজন আরেক জনের ঘাড়ে লাফিয়ে পড়তে পারে, শুরু হয়ে যেতে পারে ৩য় বিশ্বযোদ্ধ। হেড কোয়ার্টার থেকে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে দীর্ঘ সময় মস্কোর সাথে যোগাযোগ করতে সমর্থ না হলে তারা যেন নিজেদের বিচারবুদ্ধি অনুযায়ি নিউক্লিয়ার অস্ত্র ব্যাবহারের স্বীদ্ধান্ত নেয়।
আর এদিকে আপনার সাবমেরিন এর উপর সকাল বিকাল তিন বেলা ডেপথ চার্জ ফেলছে আমেরিকা নেভি।
কাজতেই ক্যাপ্টেন ধরে নিলেন নিউক্লিয়ার যোদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি ভাবলেন অন্তত সোভিয়েত নেভির মান সম্মান রক্ষার্তে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার টা ডুবিয়ে দেয়া দরকার।
ক্যাপ্টেন Savitsky যে অর্ডার দিলেনঃ- “Maybe the war has already started up there, while we are doing somersaults here! We’re going to blast them now! We will die, but we will sink them all – we will not disgrace our Navy””
(রাশিয়ান মিলিটারি মাদার রাশিয়ার মানসম্মান নিয়ে ভয়াবহরকম সিরিয়াস) viagra in india medical stores
পলিটিকাল অফিসার Ivan সম্মতি দিলেন
টর্পেডো ফায়ার করার জন্য প্রস্তুত। টর্পেডো ম্যান ট্রিগারে হাত রেখে বসে আছে। শুধু বাকি রইলেন Vasili Alexandrovi Arkhipov । তার অনুমতি পেলেই ফায়ার করা হবে।
কিন্তু এখানে আসছে কাহিনির মুল টুইস্ট। বেকে বসলেন Arkhipov। তিনি কিছুতেই হেডকোয়াটারের সাথে যোগাযোগ না করে নিউক্লিয়ার টর্পেডো ছোড়ার অনুমতি দিবেন না।বরং তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন সারফেস (পানির উপরে উঠে আসা) করার। পরবর্তিতে তারা আমেরিকার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের ঘাটিতে ফিরে যান।
নিজের কোর্ট মার্শালের ঝুকি নিয়েও তিনি পুরো পৃথিবীকে বাচিয়ে ছিলেন ভয়াবহ নিউক্লিয়ার যোদ্ধের হাত থেকে।
কারন সেদিন আমেরিকান এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ডুবিয়ে দিলে ধরে নেয়া যায় আমেরিকা ফুল স্কেল আক্রমনে যেত সোভিয়েত ইউনিয়ন এর বিরুদ্ধে। তার পর যা হওয়ার তাই হত, সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকা নিজেদের ৫৫০০ নিউক্লিয়ার বোমা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ত নিজেদের উপর। ফলাফল? – তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!!
সুতরাং আপনি ধরেই নিতে পারেন এই লোকটা শুধু আপনার আমার না আমাদের বাপ দাদা চোদ্দগুষ্টির জীবন বাচিয়েছিলেন। পুরো পৃথিবীকে রক্ষা করেছিলেন নিউক্লিয়ার যোদ্ধ থেকে -সম্পুর্ন একা।
আজ এই মানুষটার জন্মদিন। ১৯৮০ সালে ভাইস এডমিরাল হিসেবে অবসর গ্রহন করেন তিনি। ৯৮’ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আজ থেকে প্রায় অর্ধ শতাব্দি আগে তার বিচক্ষনতায় পুরো পৃথিবী রক্ষা পায় ভয়াবয় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে।
তিনি যদি সেই মুহুর্তে নিজের বিবেকের ডাক না শুনতেন, মানবসভ্যতার ইতিহাসটা অন্য রকম হতে পারত।
শুভ জন্মদিন Vasili Alexandrovich Arkhipov । হাজার মাইল দুরের ছোট্ট একটি দেশ থেকে তোমার জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল….
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অসাধারণ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ বিহঙ্গ ভাই। কিছুই জানতাম না এই মানুষটি কে নিয়ে…
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
আমি অল্প কিছুদিন আগে তার সম্পর্কে জানতে পারি। স্বদেশি না হলেও এমন মহান মানুষটার কথা না লিখে পারলাম না।
যুদ্ধ নয়, দিনশেষে জয় হোক মানবতার।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
private dermatologist london accutaneএক ইংরেজি কবিতার কয়েকটা লাইন মনে পরলঃ
যুদ্ধে কেবল মৃত্যুই জয় লাভ করে… synthroid drug interactions calcium
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
অসাধারণ!অনেক অনেক শ্রদ্ধা এই মানুষটার প্রতি।। আর তোকেও অনেক ধন্যবাদ এই ঘটনাগুলো তুলে আনার জন্য।
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
ধন্যবাদ
missed several doses of synthroid
বিদেশি হলেও তিনি আমাদের সবার জীবন বাঁচিয়েছিলেন। তাই আমাদের ধন্যবাদ উনার প্রাপ্য, এই বীরের জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ achat viagra cialis france
nolvadex and clomid prices