ক্ষমা করো মা
264
বার পঠিতবহু দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম বীরাঙ্গনাদের নিয়ে।
গল্পের মুল কাহিনি অনেকটা এরকম, এক জন মুক্তিযুদ্ধা নয় মাস যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তারা স্ত্রীর খুজ নেই। অনেক খুজাখুজির পর স্থানীয় একটি পাকিস্তানি সৈন্যদের ক্যাম্পে তার অর্ধমৃত দেহের খুজ পান তিনি। অনেক চিকিৎসার পর তার স্ত্রী কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেন। স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করে তাদের জীবন। কিন্তু বাধ সাধে স্থানীয় লোকজন, তারা রোজ এসে ভিড় জমায়, ধর্ষিতার মুখে শুনতে চায় রগরগে গল্প, মায়ের যোনি নিসৃত রক্তের স্বাদ পেয়ে নিষিদ্ধ আনন্দ পেতে চায় তারা। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান তিনি। বহু কাল পরে এক রেল স্টেশনে বসে নিজেদের গল্পটা বলেন কোনো এক যুবককে।
গল্পটা থাক, আসুন এবার একটু তাকাই ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়ের দিকে। আঘাত করি নিজের বিবেককে_
আলেয়া বেগম৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স ছিল মাত্র ১৩৷
কিন্তু তিনিও রেহাই পাননি পাক সেনাদের হাত থেকে৷ প্রায় সাত মাস, প্রতিদিন, কয়েকবার করে ধর্ষিত হয়েছেন তিনি৷ শুধু ধর্ষণ নয়, সিগারেট দিয়ে তাঁদের মুখ সহ সারা শরীরে ছেঁকা দেয়া হতো৷ আর খাবার হিসেবে দেয়া হতো শুধু শুকনো রুটি৷বমাঝেমধ্যে সবজি৷ ফলে অনেক মেয়ের শরীর সাঙ্ঘাতিক খারাপ হয়ে যেত৷ যখন পাক সেনারা দেখতো কোনো মেয়েকে দিয়ে আর হচ্ছে না তখন তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলা হতো৷ যেমনটা করা হয়েছিল আলেয়ার ক্ষেত্রেও৷ কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান৷
বিধাতা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন কাহিনির টুইস্ট টা দেখাতে। দুঃখিনী মা,তোমরা যে দেশের জন্য নিজের সম্ভ্রম দিলে তার অকৃতজ্ঞ প্রজন্মকে দেখবে না তাই কি হয়।
পরবর্তীতে নিজের তিক্ততম অভিজ্ঞতা লুকিয়ে বিয়ে করেন আলেয়া। নাহ, তুমি যে বীরাঙ্গনা মা, তোমাকে তো এত সহজে রেহায় দেয়া যায় না,
কয়েক বছর আগে স্বামী সেটা জেনে তাঁকে মারধর করে এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চায়৷ তবে মেয়ে বাধা দেয়ায় সেটা আর সম্ভব হয়নি৷
আলেয়ার দুঃখ টা শুনবে অকৃতজ্ঞ প্রজন্ম?
যুদ্ধের পর আমাদের সমাজে জায়গা দেই নি তাদের। উল্টো খারাপ কথা শুনতে হয়েছে তাঁদের৷
ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আলেয়া বলেন, ‘‘আমি অনেক কষ্টে আছি৷ কেউ আমাদের খবর নেয়না৷ এই কথা কারও কাছে বলতে ভাল লাগেনা। can your doctor prescribe accutane
বীরাঙ্গনা রাহেলা বেগম। একাত্তরের বিভীষিকা ভুলে যেতে চান তিনি। প্রজন্ম তার নাম জানে না। রাষ্ট্র তাকে ভুলে গিয়েছে।
-“আমি একাত্তরের বীরাঙ্গনা, এইটা কি আমার অপরাধ? আমাকে কি পাক সেনারা চিনতো? তাদেরবকাছে আমারে কে চিনাইলো? আমার দেশের রাজাকাররাই! তাই আমি বীরাঙ্গনা!
চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় জল গড়ায় রাহেলা বেগমের। মায়ের চোখে জলে ভিজে যায় পবিত্র মাটি।
-আমি রাস্তা দিয়ে হাইটা গেলে মাইনসে কয় ওই যে বীরাঙ্গনা! আমার ছেলে-মেয়েগেরে কয়, তর মায়রে পাক সেনারা নষ্ট করছে!
এই দিন আমাগো কবে শেষ অইবো???
———————————————————————————–
আমার বলা প্রথম গল্পটা কতটুকু সত্যি জানা নেই। কিন্তু পরের লেখা ইতিহাসটুকু পুরোটাই সত্য। যুদ্ধ পরবর্তি হতে আজ পর্যন্তও পরিস্থিতি খুব একটা পাল্টায়নি।
একাত্তরে আমাদের নারীদের ওপর পাকিস্তানি নরপশুদের যৌন নির্যাতন কতটা ভয়াবহ, বীভৎস ছিল তা যুদ্ধ চলাকালে তেমন ভাবে প্রকাশিত হয় নি। ১৬ ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙ্গালী নারীর ওপর পাকিস্তানিদের নির্যাতন নিয়ে খুব কমই গবেষণা হয়েছে। কতজন বাঙ্গালী নারী সে সময় ধর্ষিতা হয়েছিলেন, কতজন ধর্ষিতা নারী গর্ভবতী হয়েছিলেন এবং কতজন যুদ্ধ শিশু জন্মগ্রহন করেছিল তা পুরোপুরি অনিশ্চিত। সামান্য কিছু সংখ্যক দলিলপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সরকারী বেসরকারী সংগঠন, বিদেশী মিশনারী সংস্থাগুলোর কাছে। walgreens pharmacy technician application online
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখনে তাই সশস্ত্র যুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আর পুরুষদের বীরত্বগাঁথাই প্রাধান্য পেয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে সেই সব বীর নারীদের বীরত্বগাঁথা ,শুধুমাত্র আমাদের সনাতনী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধে যে সকল নারী তাঁদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদটুকু হারিয়েছেন দেশমাতৃকার জন্য তাঁদের সেই অবদানটুকুও আমরা ইতিহাসে ঠাই করে দিতে পারিনি।
এমনকি মিলেনি #রাষ্ট্রীয় কোনো স্বিকৃতিও। রাহেলা বেগমরা বুক ভরা অভিমান নিয়ে হারিয়ে গিয়েছেন সময়ের স্রোতে।
রাহেলা বেগমের হাহাকার কবে শেষ হবে আমার জানা নেই। তবে পরিবর্তনে হাওয়ার রেশটা টের পাচ্ছি বেশ,
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আজ জাতীয় সংসদে পাশ বহু কাঙ্খিত পাশ হল বীরাঙনা বিল ২০১৫। (সুত্র, একাত্তর টিভি)
আজ থেকে সকল বীরাঙ্গনারা মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে সিকৃতি পাবেন।
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য বীরাঙ্গনাদের তালিকা আহ্বান করেছিলেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ জাতীয় সংসদে বিলটি পাশ হয়।
এখন আর বীরাঙ্গনাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে তাদেরকে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে না।
আজ থেকে সকল বীরাঙ্গনা মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে স্বিকৃতি পেলেন।
জানি অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে তবু দেখলে তো আমরা ভুলে যাইনি মা। লজ্বার ভার একটু হলেও হয়ত কমল আজ।
ক্ষমা করো মা, অনেক ভুল অন্যায় হয়েছে তবু, তোমার অকৃতজ্ঞ সন্তানদের ক্ষমা করো মা…..
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমাদের মায়ের নিজের সম্ভ্রম দিয়ে যুদ্ধ করেছে, এটা তাদের প্রাপ্য।
সরকারকে ধন্যবাদ, তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়ার জন্য
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
দেরিতে হলেও পাপের বুঝা একটু হলেও কমল হয়ত।
সরকারকে ধন্যবাদ zithromax azithromycin 250 mg
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
অনেক অনেক খারাপ খবরের মধ্যে এই খবরটা শুনে খুবই ভাল লাগল আসলে। অনেক দেরি হয়ে গেছে সত্যি, তবু এখনো যদি আমরা আমাদের বীরাঙ্গনা মায়েদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারি – ইতিহাস অন্তত আমাদের অকৃতজ্ঞ জাতি বলবে না।
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ clomid over the counter
অকৃতজ্ঞ সন্তান আমরা।
দেরিতে হলেও হয়ত পাপের বুঝাটা একটু কমাতে পারলামরে kamagra pastillas
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
সেটাই…
তারিক লিংকন বলছেনঃ metformin tablet
আর কিছুই বলার নেই… ক্ষমা কর মা!!
অন্তিম গোধুলী বলছেনঃ
সত্যি গো মা ক্ষমা করো,
আমরা অকৃতজ্ঞ
তারপরও গো মা ক্ষমা করো তা নাহলে শান্তি যে পাব না