নিশিকন্যা কিংবা রুপা
465
বার পঠিতফুটপাথের উপর দিয়ে ধীরে ধীরে হাটছে সাইফ।হাতে একটা শপিং ব্যাগ। নির্দিষ্ট কোন গন্তব্য নেই। রাত গভীর হয়ে আসছে।পকেট থেকে মোবাইল সেটটা বের করে সময় দেখল,দশটা পঁচিশ। এর মাঝেই রাস্তাঘাট ফাকা হতে শুরু করেছে। মোবাইলের চার্জও প্রায় ফুরিয়ে এল বলে। একটু পর পর টুট টুট করে শব্দ করছে।বিরক্তিকর শব্দ, মস্তিষ্কের ভিতরে গিয়ে লাগে। মোবাইলটা অফ করে পকেটে রেখে দিল সে।থাক বন্ধ হয়ে, আজ আর কেও কল দিবে না, মোবাইল অফ থাকলে কিছু যায় আসে না।
পাশ দিয়ে ক্রিং ক্রিং বেল বাজিয়ে একটা রিক্সা চলে গেল,বেশ জোরে চালিয়ে যাচ্ছে রিক্সাওয়ালা। বুঝাই যাচ্ছে তাড়া আছে।
নিশ্চয়ই ভাতের থালাটা সামনে নিয়ে কেও বসে আছে ,খানিক আগে গরম করা তরকারির ঝোল,অল্প একটু পালংশাক সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা প্লেটের কোনে। একটু পর পর চাটাইয়ের ফাক দিয়ে দৃষ্টি মেলে দেখছে সে আসল কিনা!
নিজের চিন্তার ধরন দেখে নিজেই হেসে ফেলল। হয়ত বেচারা বিয়েই করেনি। জমার টাকাটা মালিকের হাতে দিয়েই একটু ঘুমাতে হবে,আবার সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তে হবে রিক্সা নিয়ে।
হয়ত কেও তার অপেক্ষায় নেই,কেও না। তবু ভাবতে ভাল লাগে সাইফের।নির্দোষ ভাবনা,কেও অপেক্ষায় থাকুক।কেও একজন জেগে থাকুক ,এক বুক ভালবাসা নিয়ে অপেক্ষায় থাকুক কেও।
বিরক্তিকর মাথা ধরানো ঝি ঝি পোকার আওয়াজে মাথাটা উচু করে চারপাশে তাকাল সাইফ।
এতক্ষন মাথা নিচু করে হাটছিল, হাটতে হাটতে সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে কখন চন্দ্রিমা উদ্যানে চলে এসেছে নিজেই বলতে পারবে না।
এত রাতে সুস্থ মস্তিষ্কের কেও এই পার্কে ঢোকার কথা চিন্তাও করবে না। ছিনতাইকারীর পাল্লায় পড়লে রক্ষা নেই,কিন্তু সেসব নিয়ে আপাতত চিন্তিত না সে। মানি ব্যাগে ভাল অংকের টাকা আছে,আশা করা যায় ছিনতাইকারীদের সন্তুষ্ট করা যাবে,আর জীবন-ওটা নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা নেই তার।
ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ করে চারিদিক কেমন শুনশান হয়ে গেল।এতক্ষন ঝিঝিরা তার স্বরে চেঁচাচ্ছিল,হঠাৎ থেমে যাওয়ায় পরিবেশ কেমন ঠান্ডা ভুতুড়ে লাগছে। শব্দের তারতম্যের ফলে চিন্তার সুতো ছিড়ে গেল তার। চারপাশটা ভাল করে একবার চোখ বুলাল। এমন না যে ভয় পেয়েছে, স্রেফ কৌতুহল।
ডান দিকে তাকাতেই বুঝতে পারল শব্দ থেমে যাওয়ার কারন। কেও একজন গাছের ছায়ায় দাড়িয়ে আছে,তার উপস্থিতি টের পেয়েই ঝিঝিরা চুপ মেরে গিয়েছে। accutane prices
২
—
মেয়েটা মনঃস্থির করতে পারছে না। আবছা আলোতে ছেলেটাকে দেখে বেশ নম্র ভদ্র মনে হচ্ছে।যদিও চেহারা দেখে আজকাল বুঝার উপায় নেই কে কিরকম,তবু এই ছেলেটাকে কেন যেন এখানে মানায় না। এত রাতে পার্কের এই অংশটাতে যারা আসে তাদের সবার উদ্দেশ্য একই,তাদের দেহ দরকার,নিষিদ্ধ আনন্দ লাভের জন্য। কারও দেহের ক্ষুধা,কারও পেটের। শিক্ষিত ভদ্র! পাড়ার লোকেদের দেহের ক্ষুধা মেটানোর জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে,এত রাতে এই ধরনের পার্কে আসার দরকার পড়ে না তাদের।
তবু সব দিক ভেবে সীদ্ধান্ত নিল এগিয়ে গিয়ে একবার জিজ্ঞেস করবে। আসলে এছাড়া কোনো উপায়ও নেই তার,গত দুদিন ধরে কোন খদ্দের জোটেনি,আজকে কাউকে না পেলে কালকের দিনটাও না খেয়ে কাটাতে হবে। একটা খদ্দের জোটাতেই হবে।
আবছা অবয়বটা গাছের ছায়া থেকে বেড়িয়ে এসে ল্যাম্পপোস্টের আলোর নিচে এসে দাড়াল। যেন ইচ্ছে করেই নিজেকে ভাল মত দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। তাকে দেখার সাথে সাথেই কাহিনি কিছুটা আন্দাজ করতে পারল সাইফ। একটু রাত হলেই পার্কের এদিকটাতে হামেশাই দেখা যায় এদের। হাজার খানেক বিশ্রি শব্দের বাইরেও এদের খুব সুন্দর একটা নাম আছে-”নিশিকন্যা”
কি মনে হতে সাইফ হাতের ইশারায় ডাকল তাকে, ডাকার সাথে সাথে একরকম দৌড়েই কাছে চলে আসল মেয়েটা। দামি পোশাক পরা সাইফকে দেখে এতক্ষন কাছে ঘেঁষতে সাহস পায়নি।
এতক্ষন দুরে থাকায় ভাল মত দেখা যায়নি, কাছে আসতেই ভাল করে তাকাল মেয়েটার দিকে।
হালকা পাতলা গড়নের একটা মেয়ে, চোখ দুটো ভয়ঙ্কর রকমের মায়াকাড়া। মুখের উপর সস্তাদরের মেকাপের প্রলেপ লাগানো। পড়নের কাপড়টাও সময় শেষ হয়ে এসেছে, সম্ভবত পড়ার মত এর থেকে ভাল কোনো কাপড়ও নেই।যদিও দুর থেকে দেখে কিছুটা বয়স্ক মনে হচ্ছিল, ভাল করে খেয়াল করতেই ভুল ভাঙ্গল। বয়স যা মনে হচ্ছিল তার থেকেও অনেক কম,ওর নিজের সমবয়সীই হবে।
জড়সড় হয়ে ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা,চোখে মুখে স্পষ্ট জড়তার ছাপ।প্রফেশনাল কারও জড়তা থাকে না। এ লাইনে খুব বেশিদিন হয়নি বুঝাই যাচ্ছে,
–রেট কত তোমার?
একটু মানিয়ে নেয়ার জন্য মেয়েটা যা শুনতে চায় তাই বলেই কথা শুরু করল।শুরুতেই অন্য কিছু জিজ্ঞেস করলে ভড়কে যেতে পারে,
–একশ, নিচু গলায় বলল মেয়েটা।বলেই সাইফের দিকে তাকাল। যেন আন্দাজ করার চেষ্টা করছে দামটা বেশি চাওয়া হয়ে গেল কিনা, আজকে একদম রোজগার হয়নি,এই খদ্দের ছুটে গেলে…
“একশ,মাত্র একশ!! মাথাটা ঝিম ঝিম করে উঠল সাইফের। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদের মুল্য মাত্র একশ টাকা!!
হোক না পেটের জ্বালা,তবুও কি তাতে একটুও আত্মার স্পর্শ থাকে না! তার মুল্য মাত্র একশ টাকা! clomid over the counter
–আচ্ছা তোমাকে যদি পাঁচশ টাকা দেই আমি যা বলব তাই করবে? আমার কথা মত সব?
-যা কইবেন তাই করুম,একরকম অনুনয়ের স্বরেই বলল সে। টাকাটা তার ভীষন দরকার। doctus viagra
মেয়েটার গলার স্বর শুনে নিজের অজান্তেই চমকে গেল সাইফ।এত মিষ্টি গলা আশা করেনি ও। বন্ধুদের কাছে কাছে শুনেছে এদের বেশির ভাগেরই গলার স্বর নাকি হয় খসখসে।
অন্ধকার নোংরা গলির মাঝেও এর গলার নিঃস্পাপ ভাব টুকু এখনো হারিয়ে যায়নি ভেবে অবাকই হল কিছুটা।
–আমি সাইফ, হাত বাড়িয়ে দিল মেয়েটার দিকে।
চোখ বড় বড় করে তাকাল মেয়েটা,বুঝে উঠতে পারছে না ঠিক কি চাচ্ছে সে।
শুরু করতে চাচ্ছে বোধহয়, ব্লাউজের বোতামের দিকে হাত বাড়াল। half a viagra didnt work
মেয়েটার উদ্দেশ্য টের পেয়ে হো হো করে হেসে উঠল সাইফ,
-বোকা মেয়ে,আমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছি এর মানে হল আমি আমার পরিচয় দিয়েছি।এবার তুমি নিজের পরিচয় দিবে। কেও হাত বাড়িয়ে দিলে তার হাত ধরে নিজের পরিচয় দিতে হয়।
“কি নাম তোমার?”
নিজের ভুল বুঝতে পেরে যেন একটু লজ্জ্বা পেল সে।
নাম বলল,গলার স্বর আগের থেকেও নিচু। সামনে বসা পাগলাটে মানুষটার আচরনে সত্যিই কিছুটা ঘাবড়িয়ে গিয়েছে।
-আচ্ছা তোমাকে যদি এইসময় টুকুর জন্য রুপা বলে ডাকি তুমি কিছু মনে করবে?
-না,মাথা নেড়ে বুঝিয়ে দিল এতে কোন সমস্যা নেই।
–রুপা তুমি কি আমার সাথে জোৎস্না দেখবে?
জোৎস্না দেখার কি আছে ভেবে পেলনা মেয়েটা,বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটছেই না।প্রথমেই স্বাভাবিকের থেকে বেশি টাকা সাধল, তার পর এত সুন্দর করে নাম জিজ্ঞেস করল,আবার বলে রুপা ডাকলে সমস্য হবে কিনা। এখন আবার বলছে জোৎস্না দেখবে কিনা!! আজব.
সব থেকে বড় কথা এতক্ষন হয়ে গেল ছুয়েও দেখেনি তাকে, অন্যরা তো এতক্ষন ঝাপিয়ে পড়ে।এ কি পাগল না কি! ভেবে কুল পাচ্ছে না রুপা।
–আমার পাশে এসে বস রুপা.
এত সুন্দর করে কেও নাম ধরে কেও ডাকতে পারে বিশ্বাস হচ্ছেনা তার। আজ তার মুগ্ধ হওয়ার রাত।
-আজকের চাঁদটা অনেক সুন্দর তাই না?
রুপা এখনো মাথা নিচু করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,
–এই, চাঁদটা দেখই না! সাইফের ডাকে বাধ্য হয়ে মাথা তুলে আকাশের দিকে তাকাল সে। তাকিয়েই অবাক হয়ে গেল,
এত সুন্দর! এত সুন্দর হতে পারে চাঁদ!
কোনো দিন ভাল করে চাঁদের দিকে তাকানো হয়নি। জীবনের প্রথম ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের সামনে স্তব্ধ হয়ে গেল সে।
২।
লেকের পাড়ের বাধানো ঘাটটাতে পা ঝুলিয়ে বসে আছে দুজনে,সাইফ আর রুপা। উথাল পাথাল জোস্নায় ভেসে যাচ্ছে চারপাশ,থালার মত চাঁদটার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে মেয়েটা,মুগ্ধতা ঝরে পড়ছে দু চোখ বেয়ে।
মেয়েটার গা থেকে কেমন মায়া মায়া ঘ্রান বের হচ্ছে। কিছু মেয়ে আছে যাদের শরীরে মায়া মায়া গন্ধ থাকে, ভালমত খেয়াল করলে টের পাওয়া যায়। যে মেয়ের হৃদয়ে মায়া যত বেশি,তত বেশি ঘ্রান।
ঠিক যেমনটা ছিল নাদিয়ার-…. নাদিয়া!! নামটা মনে হতেই কেমন মুচড়ে উঠল বুকের বাম পাশটা। কত গুলো বছর, তবু নামটা রয়ে গিয়েছে বুকের মাঝে… দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসল সাইফের।
অবাক হয়ে রুপার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে সাইফ। রাজ্যের সরলতা ঝরে পড়ছে দুচোখ বেয়ে , লেকের স্বচ্ছ জলে প্রতিফলিত হচ্ছে জোৎস্নার আলো , সেই আলোর কিছু অংশ চুইয়ে চুইয়ে ঢুকে যাচ্ছে রুপার চোখে।কালো চোখের তারায় ঝিকমিল করছে নীল আলো।
চোখ দুটো হুবহু নাদিয়ার মত। ভয়ঙ্কর সুন্দর এই চোখের মায়ায়ই হয়ত ট্রয় ধ্বংশ করতে পারে একিলিস, হাজার হেলেনের সৌন্দর্য ধুয়ে যেত এর একফোঁটা জলে। private dermatologist london accutane
–আজকের জোৎস্নাকে কি বলে জানো? রুপার উদ্দ্যেশে বলল সাইফ,
এই রুপা? metformin gliclazide sitagliptin
হঠাৎ ডাকে আবারো চমকে গেল মেয়েটা।ভয়ে ভয়ে বলল,
-জোৎস্না তো তো জোৎস্নাই,তার আবার নাম হয় নাকি!?
–হ্যা হয়। প্রতিটা জোৎস্নার আলাদা নাম আছে, এর নাম নীল জোৎস্না। চারপাশটা কেমন নীল দেখাচ্ছে দেখছ না,একারনেই এর নাম নীল জোৎস্না। capital coast resort and spa hotel cipro
–সত্যি?! বড় বড় চোখ করে সাইফের দিকে তাকায় রুপা
–হ্যা,সত্যি। নীল জোৎস্না রাতে রুপাদের নীল শাড়ি পড়তে হয়,এটা জানো? viagra in india medical stores
সাইফের পাগলের মত কথা শুনে খিল খিল করে হেসে উঠল রুপা।
আবারো চমকে উঠল সে,এই হাসির শব্দ বহুদিনের চেনা তার
সেও ঠিক এভাবেই হাসত,একটানা হেসেই যেত। দম বন্ধ করা হাসি যাকে বলে। হাসতে হাসতে বলত, তুমি আমাকে হাসাবা না, খবরদার হাসাবা না
সাইফ তখন বির বির করে বলত-তুই আমার বুকে আয়,তুই আমার বুকে আয়
হাসতে হাসতে নাদিয়া মিশে যেত তার বুকের মাঝে। ধীরে ধীরে তার শরীর ভেদ করে আরও একটু ভেতরে ঢুকে যেত তার দেহ।
লেকের জলে ভেসে বেড়াচ্ছে হাসির শব্দ, হৃদয় গলানো হাসি। বুকের মাঝে গলে যাচ্ছে একরাশ হাহাকার..
–রুপা!
মায়াভরা দৃষ্টি মেলে তাকালো সাইফের দিকে তাকাল মেয়েটা। তাকিয়েই কি যেন হয়ে গেল,চোখ বন্ধ করে ফেলল সে। মনে প্রানে চাইছে যেন সাইফ চুমো খায়,অন্তত একবারের জন্য হলেও ভালবেসে চুমো খাক কেও,ভালবাসার ছোয়ায় পুর্নতা পাক এ নশ্বর দেহ।
তার ডাকে সাড়া দিতেই যেন এগিয়ে গেল সাইফ। হাত দিয়ে রুপার থুঁতনিটা অল্প একটু তুলে ধরল। মুখের উপর থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিল আলতো করে,
-অদ্ভুত! সুন্দর
এখনো দুচোখ বুজে আছে রুপা। তির তির করে পাতলা ঠোটে দুটো কাঁপছে, ঠিক তার মত।
আলতো করে সাইফ চুমো খেল রুপার ঠোঁটে।
জীবনের এই প্রথম ভালবাসার ছোয়ায় শিউরে উঠল রুপার দেহ, অদ্ভুত এক হাহাকার ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিটি শিরা উপশিরায়. walgreens pharmacy technician application online
–বিদায় রুপা! উঠে দাঁড়াল সাইফ।
অচেনা ছেলেটার চলে যাওয়ার পথের দিকে বোবা দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে রুপা। হাতের পাশে পড়ে আছে একটা লাল টকটকে গোলাপ,টাকা ভর্তি একটা মানিব্যাগ আর শপিং ব্যাগটা।
নীল শাড়িটার আঁচলের একটু অংশ বেরিয়ে আছে ব্যাগের বাইরে।
ধীর পায়ে হেটে চলে যাচ্ছে সাইফ, সেই মুহুর্তে পেছন ফিরে দিকে তাকালে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম দৃশ্য দেখতে পেত সে।
উথাল পাথাল জোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চারপাশ, তার মাঝে পৃথিবীর সমস্ত রুপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে একা রুপা। গোলাপটা বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে অঝোরে। মুক্তোদানার মত জল কণা গাল বেয়ে টুপ করে হারিয়ে যাচ্ছে জোৎস্নার নীল আলোতে…
কারন জানা নেই,জানতে চায়ও না।
———————————————————————–
ঠিক চার বছর আগে এমনই কোনো এক জোৎস্না রাতে নাদিয়ার নিষ্প্রাণ দেহটা আঁকড়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদছিল সাইফ। অন্ধকারকে বড় ভয় পেত সে।তাই হয়ত আকাশ ভেঙ্গে জোৎস্না নেমেছিল সেদিন। নাদিয়ার বলা শেষ কথা গুলো এখনো কানে বাজে তার, “আমার ভালবাসাকে দেখে রাখবে বলো!”
কি অদ্ভুত আবদার তাই না? স্বার্থপরের মত চলে যাওয়ার সময়ও ভালবাসাটুকু গচ্ছিত রেখে যায় পরম নিশ্চয়তায়।
কথা রেখেছে সাইফ, তার দেয়া ভালবাসা মুছে যেতে দেয় নি এতটুকু। প্রতি বছর এই দিনে একটা নীল শাড়ি হাতে বেরিয়ে পড়ে। হুট করে খুজে পায় কোনো নাদিয়াকে, প্রান ভরে ভালবাসে অল্প একটু সময়ের জন্য।
অনিশ্চিত শহরে রাত নামে, উথাল পাথাল জোৎস্নায় একরাশ হাহাকার বুকে হেটে বেড়ায় সাইফরা। ক্লান্ত দেহে খুজে ফিরে নাদিয়াদের।
কথা না রাখার শহরেও কথা রাখে তারা, রাখতে হয়-নাদিয়া যে চেয়ে আছে……
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
আপনার লেখার ভঙ্গিমা চমৎকার। খুবই ভালো লাগলো…
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
ধন্যবাদ
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
থিমটা খুবই কমন। তবে লেখা সুন্দর …
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ will i gain or lose weight on zoloft
ধন্যবাদ
দুই মাস আগে স্ট্যাটাসও লিখতাম না
প্রথম দিকের লেখা হওয়াতে কিছুটা ছেলেমানুষি ছাপ পড়ে গেছে