কিছু প্রগালাপ, প্রসঙ্গঃ সংলাপ
326
বার পঠিত“Hope is a good breakfast, but it is a bad supper.” ― ফ্র্যান্সিস্ বেকন (Francis Bacon) [২২শে জানুয়ারি, ১৫৬১ - ৯ই এপ্রিল, ১৬২৬]
প্রতিদিন সকালেই মনে হয় আজ সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। আজ বিকাল থেকে আর মানুষ পুড়ে মরবে না কিংবা বার্ন ইউনিটে কাতরাবে না। তাঁদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি করবে না রাজনৈতিকেরা। একটা সময় ছিল যখন নেতারা আন্দোলন করে জনগণের জন্যে নিজের জীবন দিয়ে দিতেন। দিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী থেকে বঙ্গবন্ধু কিংবা চে গুয়েভারা। আর আজ আমাদের রাজনৈতিকরা নিজেদের স্বার্থে পুড়ে মারছে নিরীহ জনগণকে। তাই ফ্র্যান্সিস্ বেকনের কথাটাই মনে হয়। সকালের আশাবাদ নিয়ে অফিসে যাওয়া হয় আর সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে টিভি ছাড়লেই আশাগুলো দুরাশায় বিদায় হয়। আসলেই ‘Hope is bad supper…’
একটা গল্প বলিঃ
শিশুঃ আচ্ছা বাবা, মশা কামড়ায় কেন? doctorate of pharmacy online
বাবাঃ তুমি যেমন ভাত, মাছ, মাংস বা দুধ খাও মশাও তেমন রক্ত খেয়ে বাঁচে।
শিশুঃ মশার কাজ শুধু রক্তই খাওয়া? আমাদের মত আর কিছু করে না? পড়াশুনা কিংবা কাজকর্ম?
বাবাঃ কি বল বাবা? আমরা এইজন্যেই মানুষ, আমরা কেবল খাওয়ার জন্য বাঁচি না আমরা ভবিষ্যৎ গড়ি এবং গঠনমূলক কাজ করি! অন্য প্রাণীরা তা করে না।
শিশুঃ আচ্ছা বাবা!! আমরা মশাদের সাথে একটা সংলাপে বসি না কেন? একটা চুক্তি করতে পারি!! buy kamagra oral jelly paypal uk
বাবাঃ (কিছুটা উৎসাহী হয়ে!! ভাবে কি বলে এই পিচ্ছি) কি রকম ?
শিশুঃ ধর বড়রা যেমন হাসপাতালে রক্ত দেয়, আমরাও ঠিক সেই রকম করে এক ব্যাগ রক্ত বাসার দেয়ালে সেট করে রাখব আর মশারা ঐখান থেকেই রক্ত খাবে, আমাদের কামড়াবে না!! (খুব উচ্ছ্বাস নিয়ে বলল শিশুটি!!)
বাবাঃ (চিন্তিত হয়) কেন এইভাবে আপোষে রক্ত দিবে কেন মানুষ? আমরা কি কোন ডাকাতকে চুক্তি করে জিনিস দেয়। আমরা স্প্রে-মশারী ব্যবহার করব।
শিশুঃ (কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ আর রাগান্বিত) আমার রাতে খাঁচার মত মশারীতে নিজেকে বন্ধী করতে ভাল লাগে না, আবার স্প্রে করলে আমার চোখ জ্বলে!! এত বড় হয়ে এইটুকুন মশার ভয়ে খাঁচায় ডুকব কেন?
বাবাঃ মশারা ছোট হলে এযাবৎ কাল পর্যন্ত মানুষের সবচে বেশী মৃত্যু হইছে মশার কামড়ে। এইটা জান না নিশ্চয়। এত এত নালা নর্দমা, খাল বিল, জলাশয়ে এর জন্ম হয় এইভাবে এখনও সম্ভব না। বাবা তুমি একটা কিছু আবিষ্কার কর বড় হলে! (ছেলেকে ঘায়েল করার খুশি নিয়ে)!
শিশুঃ (আক্ষেপ নিয়ে) এই জন্যেই তোমাদের বলছি নিজের রক্ত ব্যাগে ভরে তাদের দিয়ে আসো। অন্তত কামড় থেকে রক্ষা পাবো (হতাশ)!! [বাবা নিজের বাহুতে বসা মশাটা মারার জন্যে চপাং একটা থাপ্পড় দিল, আর খুব চিন্তিত মনে ছেলের হাত ধরে হাঁটতে লাগল]
মশার সবচে পুরাতন ফসিলটি পাওয়া যায় আমাদের কাছের দেশ মায়ানমারে। যার বসবাস ছিল প্রায় ৯০-১০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে। তেলাপোকার মত এই প্রাণীটিও বেঁচে আছে, তবে এ বেঁচে থেকে প্রমাণ করেছে তাদের বেঁচে থাকার যথার্থতা। বলা হয়ে থাকে মশার কামরে এ যাবতকাল পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে তাবৎ যুদ্ধ বিগ্রহ মিলিয়ে এতো মানুষ মারা যায় নি। বাদ দেই মশা বন্দনা। এইবার কাজের কথায় আসি। সেই ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এর পরের এবং আগের বাঙলার রাজনৈতিক গতিপত এবং গতিপ্রকৃতি আদতেই দুইরকম। যদিও ১৯৭১ এর পর ১৯৭৮ সালের আগ পর্যন্ত একই ধারায় বাঙলার রাজনীতি চলমান ছিল। জামাতের উত্থান এবং পতনে বাঙলার রাজনীতির এই যে গুণগত পরিবর্তনটা অনেকটা মশার অস্তিত্বের মত মানবতা বিধ্বংসী।
১৯৭৮ সালে জামাতের পুনরুত্থান করেছিলেন জেনারেল জিয়া। এবার সেই বিনাশী জামাতের সমূলে বিনাশের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই জিয়ার রাজনৈতিক দল বিএনপি। বিএনপি স্বাধীন বাংলাদেশে সবচে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকলেও [প্রায় ১৫ বছর] তাদের সফলতা বলতে গেলে সবচে বড় সফলতা জামাত পুনর্বাসন। আজ তাদের দাবী সেই ৭ বছরের শিশুর মত মশাদের সাথে একটা চুক্তি করতে হবে অর্থাৎ সংলাপে বসতে হবে। আসল কথা একবার বিএনপি-জামাত একবার আওয়ামীলীগ এভাবেই ক্ষমতার পালাবদল হতে হবে। না হয় ক্যামনে কি? আওয়ামীলীগের ৫ বছরের অর্জনকে পাশ কাটিয়ে তাদের ব্যর্থতাকে পুঁজি করে আর ধর্মকে ব্র্যান্ডিং করে ৫ বছর ক্ষমতায় থাকটাই আসল। তা নাহলে একাত্তরের থেকেও নৃশংস স্টাইলে মানুষ পুড়ানো কর্মসূচি,কেন? এখানে অন্য আরেকটি মাত্রা কাজ করছে সংলাপ তত্ত্ববধায়ক তো উছিলা মাত্র মূল কথা ক্ষমতা।
নির্বাচনে হেরে গেলে সেই আবার মানুষ পুড়ানো শুরু হবে। বের হবে নতুন গল্পও। এটা এই ছিল তাই আমরা জিতি নাই, নির্বাচন ফেয়ার হয় নাই, লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ডে আমরা খেলি না, ভোটের আগের এতো বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল সো তারা এমনিতেই বেনিফিট পাইছে, এইটা মেনে নেয়া যায় না; সো আবার ইলেকশন। ব্যাপারটা এমন, যতদিন বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না ততদিন প্রতিবছর নির্বাচন দিতে হবে। এতো কাহিনীর কি দরকার তারে সরাসরি ক্ষমতা দিলেই হয়। বিএনপি সেই শিশুটির মত করে বলবে আসলেই তো একটা চুক্তি করে রক্তের ব্যাগ দিয়ে দেই মশাদের জন্য। বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এলে আবার জঙ্গি উত্থান, গ্রেনেড বোমা হামলা, মানুষের উল্টা লাশ এইসব আর সকল উন্নয়ন বন্ধ। এই আর নতুন কি? ১৯৯১-১৯৯৬, ২০০১-২০০৬ সেই একই পুনরাবৃত্তিই তো দেখে এসেছি। সো সমাধান কি?
চলেন জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় বসায় সকল যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হোক, আবার জঙ্গির আস্তানা হোক এই বাঙলা, স্থবির হয়ে পরুক সকল উন্নয়ন কর্মসূচি। পিছনে ফিরে ধরে ফেলি পাকিস্তানকে তারপর বলি, বলেছিলাম না “আমরা ১৯৭১-এই ভালো ছিলাম।”
অপার্থিব বলছেনঃ zoloft birth defects 2013
বিএনপির সবচেয়ে বড় প্রবলেম কি জানেন ? সবচেয়ে বড় প্রবলেম হল এত বছর পরও দলটির কোন সুনির্দিষ্ট ও শক্তিশালী আদর্শ না থাকা। দলটি একই সঙ্গে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল হিসেবে দাবীকরে আবার জামায়াতের মত স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে রাজনৈতিক জোট করে। আদর্শহীন একটি দলের টিকে থাকার জন্য ক্ষমতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।তাই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আজ বিএনপির এই মরিয়া রূপ। আর আওয়ামী লীগ আদর্শগত দিক দিয়ে বি এনপির চেয়ে কিছুটা শক্তিশালী হলেও এ প্রজন্মের যারা আওয়ামী লীগ কর্মী তাদের কাছে আদর্শের চেয়ে বড় হল অর্থ , ক্ষমতা। তাই তো টেন্ডার বাজি, চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্র লীগ যুবলীগের কর্মীরা আজ পরষ্পর খুনোখুনিতে লিপ্ত। কাজেই আদর্শহীন রাজনীতির জন্য আজ বিএনপি যেমন ভুগছে, ক্ষমতা হারালে তেমনি এক সময় আওয়ামী লীগও ভুগবে । একারনে আওয়ামী লীগও যে কোন মুল্যে ক্ষমতা হারাতে নারাজ। তবে মানুষ যদি তাদের স্বাধীন ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ যদি যে করেই হোক আরো কয়েক টার্ম ক্ষমতায় থাকে তাহলেও অনেক মানুষের মধ্যে নানা কারনে সরকার বিরোধী ক্ষোভ নীরবে জমা হতে থাকবে । শাসক দলের ও বুর্জোয়া শ্রেণীর প্রতি মানুষের এই ক্ষোভকে যদি বাম পন্থীরা কাজে লাগাতে না পারে (খুব একটা আশাবাদী নই) তাহলে এক সময় তা কাজে লাগাবে উগ্র ডান পন্থীরা।কাজেই এই আওয়ামী বিরোধী ক্ষোভ কে কাজে লাগিয়ে এক সময় আবারো উত্থান ঘটতে পারে হেফাজতের মত উগ্র ডান পন্থী দের যা হবে অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গড়ার পথে অনেক বড় হুমকি। কাজেই ভবিষ্যতের অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গড়ার স্বার্থে একটি শক্তিশালী গণতন্র ও শক্তিশালী আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে “মডারেট” বি এন পির বিকল্প নেই ।
তারিক লিংকন বলছেনঃ amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
আপনিই বলছেন বিএনপি আদর্শহীন আবার বলছেন মডারেট বিএনপি’র বিকল্পের কথা। আচ্ছা কোন আমলে টেন্ডারবাজি হয় নি আমারে বলতে পারেন? আজ বাংলাদেশের জনগনের ঘনত্বে আমেরিকায় মানুষ ধরবে ১০০০ কোটি!! অথচ দুনিয়ায় মানুষ এখন ৭২৫ কোটি আর আমেরিকায় ৩৫ কোটি, প্রায় ৩০ গুন। কি বুঝলেন এইখানে কাজের তুলনায় মানুষ অনেক বেশী বলেই মধ্যস্ততাকারীদের পরিমান বেশী। এইটা একটা জাতীয় সমস্যা রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করে এই সমাধান গত ২০/২৫ বছরেও হয় নি এখনও হবে না। এইটার সমধান অন্যত্র কারণ যারা এইসব করে তারা সরকার চেঞ্জ হলে দল পরিবর্তন করে।
এইবার ১৯৯১ থেকে দেশের উন্নয়নের চিত্রের তুলনা করুণ, তারপর বেটার দলকে ক্ষমতায় রেখে বুদ্ধি দিয়ে জাতীয় সমস্যা বলির সমাধান করুন পারলে, না হয় আসিফ নজরুল কিংবা পিয়াস করিমের মত বুদ্ধিবৃত্তিক রাজাকারি ছাইড়া লাইনে আসুন…
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ cialis new c 100
রাজনীতির মারপ্যাঁচ এত্ত বুঝি নাহ্। তবে যারা এভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারতে পারে,যুদ্ধাপরাধীদের দলের সাথে জোট গঠন করতে পারে, তাঁদের জন্য মায়াকান্না কাঁদতে পারে এবং সমাবেশের অজুহাতে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবী সম্বলিত পোস্টার নিয়ে তর্জন গর্জন করতে পারে তাঁরা কিছুতেই ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ৬ লাখ মায়ের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশের নেতৃত্ব দেবার অধিকার রাখে নাহ্। জনগণের জন্যই যদি তাঁদের আন্দোলন হতো তাহলে জনগণকেই তাঁরা পুড়িয়ে মারত না, এইভাবে দেশকে অচল করার বন্দোবস্ত করে মানুষের পেটে লাথি মারত না।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
সংলাপ তো অজুহাত মাত্র তাদের চাই ক্ষমতা। কি করবে ক্ষমতায় গেলে আগের তিন আমল দেখলে বুঝি। আবার জামাত পুনর্বাসন, এইটাই মুল টার্গেট এখন… synthroid drug interactions calcium