শহীদ আলতাফ মাহমুদ – মৃত্যুঞ্জয়ী এক ধ্রুবতারার উপাখ্যান।
1249
বার পঠিতদরাজ গলায় মধুর সুরে কোরান শরীফ পাঠ করতেন তিনি। সবাই ভাবত, বড় হয়ে নিশ্চয়ই অনেক বড় ক্বারী হবেন। সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন। বাড়ির সামনে বেঞ্চিতে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা গান গাইতেন। আর সে গানে মুগ্ধ হত পরিবারের লোকজন, সহপাঠীরা থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষকরাও।
শুধু যে গান করতেন তাই নয়, ছবি আঁকাতেও ভীষন পারদর্শী ছিলেন তিনি। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলনে সংগ্রামে তাঁকে দেখা গেছে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার আঁকতে। ছবি আঁকা ছিল তাঁ্র নেশা।
তবে তাঁ্র সবচেয়ে বড় নেশা ছিল গান। নিজে গান লিখতেন, সুর করতেন। গেয়ে শোনাতেন। প্রায় সবরকম বাদ্য যন্ত্র বাজাতে পারতেন তিনি। হারমোনিয়াম, তবলা, বেহালা, পিয়ানো, বাঁশি, পারকিনসন সবকিছুতেই পারদর্শী ছিলেন। ষাটের দশকে এসে অর্কেস্টেশন সম্পর্কে বিরল জ্ঞান অর্জন করেন। সে সময়ে উপমহাদেশের অল্প যে কয়জন সংগীতজ্ঞ এ সম্পর্কে জ্ঞান রাখতেন তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
হ্যা, আমি অমর গীতিকার সুরকার শহীদ আলতাফ মাহমুদের কথা বলছিলাম। হাজার হাজার বেয়নেটের চেয়ে শক্তিশালী ছিল যাঁ্র একটি সুর – “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি “র সেই মৃত্যুঞ্জয়ী সুরস্রষ্টা আলতাফ মাহমুদের কথাই বলছিলাম…।
১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার মুলাদি উপজেলার পাতারচর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করে ভর্তি হন বি এম কলেজে। পরে চিত্রকলা শেখার জন্য ভর্তি হন কলকাতা অার্ট কলেজে। তিনি বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ সুরেন রায়ের কাছ থেকে সংগীতের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। বাংলার মানুষের অন্তরের কথাগুলো গনসংগীতের ভাষায় তুলে আনতে শুরু করলেন তিনি। সে ভাষার সাথে যে তাঁ্র জন্ম জন্মান্তরের সখ্যতা…।
১৯৫০ সালে আলতাফ মাহমুদ ঢাকায় আসেন এবং ধূমকেতু শিল্পী সংঘে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি এই সংস্থার সংগীত পরিচালক পদে আসীন হন। ১৯৫৩ সালে “ভিয়েনা শান্তি সম্মেলন” এ যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ পান তিনি। কিন্তু করাচিতে পাকিস্তান সরকার তাঁ্র পাসপোর্ট আটকে দেয়ায় তিনি আর সেখানে যোগ দিতে পারেন নি। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি করাচিতে অবস্থান করেন এবং ওস্তাদ আব্দুল কাদের খাঁ এর কাছ থেকে উচ্চাঙ্গ সংগীত শেখেন। এছাড়া তিনি বিখ্যাত নৃত্য পরিচালক ঘনশ্যাম এবং চলচ্চিত্র পরিচালক দেবু ভট্টাচার্যের সাথেও সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
করাচী থেকে ঢাকা ফেরার পর আলতাফ মাহমুদ অনেকগুলো চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেন। এগুলো হল – তানহা ( বেবী ইসলাম) , বাহানা ( জহির রায়হান), ক্যায়সে কাহো ( জহির রায়হান) , কার বউ ( চাষী নজরুল ইসলাম), রহিম বাদশা ও রূপবান ( সফদর আলী ভূঁইয়া), সান অদ পাকিস্তান ( ফজলুল হক), ময়ূরপঙ্খী ( সাদেক খান), আনোয়ারা ( জহির রায়হান), আলী বাবা ( চাষী নজরুল ইসলাম) , বড় বউ ( রহিম নেওয়াজ), সপ্তডিঙা ( দারাশিকো), মিশর কুমারী ( চাষী নজরুল ইসলাম), বেদের মেয়ে ( নূরুল হক বাচ্চু), টাকা আনা পাই ( বাবুল চৌধুরী) , দাতা হরিশ্চন্দ্র ( বাবুল চৌধুরী ), চৌধুরী বাড়ি ( নাজমুল হুদা), শপথ নিলাম ( জীবন চৌধুরী), কখনো আসেনি ( জহির রায়হান) , কুচবরণ কন্যা ( নূরুল হক বাচ্চু), সুয়োরানী দুয়োরানী ( রহিম নেওয়াজ), দুই ভাই ( নূরুল হক বাচ্চু), নয়নতারা ( কাজী জহির), সকিনা ( কারিগর), আপন দুলাল ( চাষী নজরুল ইসলাম), অপরাজেয় ( সাফাক), বেহুলা ( জহির রায়হান), সংসার ( সিনে ওয়ার্ক শিল্পী গোষ্ঠী), আগুন নিয়ে খেলা ( আমজাদ হোসেন ও নূরুল হক বাচ্চু), অবুঝ মন ( কাজী জহির), ক খ গ ঘ ঙ ( নারায়ণ চৌধুরী), আদর্শ চাপাখানা ( মোশতফা মেহমুদ) , আঁকাবাঁকা ( বাবুল চৌধুরী), প্রতিশোধ, wealth in point ( documentary), জীবন থেকে নেয়া ( জহির রায়হান), Let there be light ( Jahir Raihan)
আলতাফ মাহমুদ যে সকল গীতিনাট্য, ছায়ানাট্য ও নৃত্যনাট্যের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন -
-নূর আহমেদ রচিত ‘আগামী দিন’
-তারাশংকরের ‘দুই পুরষ’
-পূর্ব-পাকিস্তান শিল্পী সংসদ প্রযোজিত ‘কিষাণের কাহিনী’
-পূর্ব-পাকিস্তান শিল্পী সংসদ প্রযোজিত ‘মজদুর’
-নিজামুল হক পরিচালিত ‘শিল্পী’ wirkung viagra oder cialis
-আবদুল মালেক খান পরিচালিত ‘মায়ামৃগ’
-সোভিয়েত ইউনিয়নের ৫০ বছর পূর্তি উপলড়্গে ‘আমরা স্ফুলিঙ্গ’
-ড. এনামুল হক রচিত ‘হাজার তারের বীণা’
-আমানুল হক রচিত ‘জ্বলছে আগুন ক্ষেত-খামারে’
-ড. এনামুল হক রচিত ‘রাজপথ জনপথ’
আলতাফ মাহমুদ যে সকল গণসঙ্গীত এবং একুশের গান সুর করেছেন এবং গেয়েছেন -
-মোশারফ উদ্দিন রচিত, ‘মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল ভাষা বাঁচাবার তরে…’
-আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’
-মোরা কি দুঃখে বাঁচিয়া রবো ovulate twice on clomid
-মন্ত্রী হওয়া কি মুখের কথা
-শামসুদ্দিন রচিত ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন করলিরে বাঙালী/তোরা ঢাকা শহর রক্তে ভাসাইলি’
-নিজের রচিত ‘মেঘনার কূলে ছিল আমার ঘর/হঠাৎ একটা তুফান আইসা ভাইসা নিল তারে রে’
-করাচি বেতারে পরিবেশিত ‘জীবনের মধু মাস মোর দুয়ারে আজ কি কথা বলে যায়’
-শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত ‘আমি মানুষের ভাই স্পার্টাকাস।’
-স্বরোচিত ‘এ ঝঞ্জা মোরা রুখবো posologie prednisolone 20mg zentiva
-বদরুল হাসান রচিত ‘ঘুমের দেশের ঘুম ভাঙাতে’
-সংগ্রহীত রচনা ‘এই পথ কালো পথ’
-স্বরোচিত ‘হে মহার্ঘধা’
-ভাষা সৈনিক গাজীউল হক রচিত ‘ভুলবো না ভুলবো না, একুশে ফেব্রুয়ারী’
-কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা
-ম্যায় ভূখা হু
-জাগো কমরেড, ঈষাণ কোণে মেঘ জমেছে
-হুনছোনি ভাই দেখছোনি, দেখছোনি ভাই হুনছোনি
-স্বর্গে যাবো গো, স্বর্গে যাবো গো missed several doses of synthroid
-সুখেন্দু চক্রবর্তী রচিত ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে সেই জনতা।
এল ১৯৫২ সাল। শিল্পী আলতাফ মাহমুদ তখন ঢাকায়। এক প্রত্যয়ী যুবক তিনি। যেমনই ব্যাস্ত, তেমনিই পরিচিত। তবে এ বাংলাদেশের সন্তানকে বাংলা মায়ের আহবান থেকে কোন ও ব্যাস্ততাই দূরে রাখতে পারেনা….। সুরকেই তিনি করে নিলেন হাতিয়ার।। ভাষা আন্দোলনের কথা বলতে গেলেই আবদুল মতিন, মাহবুবুল আলম, গাজিউল হকদের পাশাপাশিই চলে আসে আলতাফ মাহমুদ,আবদুল লতিফ, নিজামুল হক,শেখ লুতফর রহমানদের নাম।
বাংলার মানুষের মুক্তিসংগ্রামে প্রত্যক্ষ অংশ নিয়েছিলেন সেদিনের সেই তরুন আলতাফ মাহমুদ। সংগীত – নৃত্যনাট্য – নাটক এই সব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার দাবি আদায়ের সংগ্রামে যে নামটি নক্ষত্রের মত চিরকাল সব চাইতে উজ্জল, সব চাইতে অম্লান হয়ে থাকবে তিনি হলেন বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আলতাফ মাহমুদ।
সেই গান – যা বাংলার মাটি আর মানুষকে আজো নাড়া দিয়ে যায়, পাকিস্তানি অত্যাচারী শাসকের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠত যে তীব্র সুরে -ভাষা আন্দোলনের সে অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ গানটির গীতিকার ও সুরকার ছিলেন আলতাফ মাহমুদ। গানটির রচয়িতা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী। এ গানটিতে প্রথম সুর করেন প্রখ্যাত গণসঙ্গীত শিল্পী আব্দুল লতিফ। পরে আলতাফ মাহমুদ যে সুরটি দিয়েছেন সেটাই বর্তমানে জনপ্রিয় এবং অমর সুর হয়ে আছে।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী কবিতাটি রচনা করেন ১৯৫২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী। রচয়িতার নিজের ভাষ্য, ‘শহীদ রফিকের লাশ দেখেই কবিতাটি লিখে ফেলি।’ এ প্রসঙ্গে আব্দুল লতিফ বলেন যে, এ গানটি ১৯৫৩ সালে তাঁকে দিয়েছিল ড. রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মরহুম আতিকুল ইসলাম। এটি প্রথমে ছাপা হয় প্যামপ্লেট হিসিবে। তিনি আরো বলেন, তিনি কবিতাটিতে সুরারোপ করে গানে রূপদান করেন এবং ঢাকা কলেজে ছাত্রদের এক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেন।
আলতাফ মাহমুদের দেয়া সুরটি আজ এক ইতিহাস। এই সুর পর্যালোচনা করলে পাওয়া যায় আমেরিকান শিল্পী ন্যাট কিং কোলের গীত ‘আইরিন গুড নাইট আইরিন/ আই উইল সি ইউ ইন মাই ড্রিম’ গানের প্রথম পঙক্তির সুর। ন্যাট কিং কোলের এ গানটি আজো বিশ্বসঙ্গীত আসরে খুবই জনপ্রিয়। এই প্রসঙ্গে আমেরিকার প্রখ্যাত গায়ক পল রবসনের (১৯৯৮-১৯৭৬) গানের কথা মনে পড়ে-উই আর অন দি সেম বোট ব্রাদার,উই আর অন দি সেম বোট টুগেদার। বিশ্বে যখনই কোন নতুন সৃষ্টি হয় তার সাথে থাকে মাটি ও রক্তের সম্পর্ক, তা পৃথিবীর যে কোণেই সৃজিত হোক না কেন, খুঁজলে এমন যোগসূত্র সম্পর্ক পাওয়া যাবেই। বলতে বাধা নেই পল রবসনকে শুধু কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পী হওয়ার কারণে পৃথিবীর অন্য কোন দেশে যাওয়ার পাসপোর্ট দেয়নি তৎকালীন আমেরকিান শাসকরা। এখানে উল্লেখ্য, আলতাফ মাহমুদ ঢাকা থেকে করাচি যাওয়ার পরও পাকিস্থানি শাসকরা তাঁকে ভিয়েনা যাওয়ার পাসপোর্ট দেয়নি।
শিল্পীর সুরে গানটির দিন-তারিখ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এ বিতর্কের সমাধান গীতিকার আবদুল গাফফার চৌধুরী নিজেই দিয়েছেন, ‘আমার গানটি যদিও ১৯৫২ সালে লেখা শহীদ রফিকের লাশ দেখে। আকস্মিকভাবে করাচি থেকে আলতাফ মাহমুদ এসে আমাকে বললেন, আমি গানটাতে সুর দিতে চাই। আমি বললাম, লতিফ ভাই আপত্তি না করলে তো কোনও প্রশ্ন ওঠে না। লতিফ ভাই বললেন, না আমার কোন আপত্তি নেই। উনি গানটির সুর দিলেন।
১৯৫৪ সাল থেকে এই যে শুরু হলো এই গানটি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’ গাওয়া, তারপর আর বন্ধ হয়নি। বাংলার মানুষের হৃদয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজো এই সুর আর এই শিল্পী অমর। (সুরের প্রয়োজনে আলতাফ মাহমুদ কবিতাটির শেষ ছয়টি চরণ বাদ দেন। অবশ্য এ ব্যাপারে আবদুল গাফফার চৌধুরীর অনুমতি নিয়েছিলেন।)
অনেক ভালোবেসে গাইতেন আলতাফ মাহমুদ। হৃদয় দিয়ে গাইতেন বাংলাদেশের জন্য। শেখ লুতফর রহমানের ভাষ্য থেকে জানা যায়, ১৯৬৭ সালের ২১, ২২ আর ২৩ ফেব্রুয়ারি পল্টন ময়দানে আয়োজন হয় ” জ্বলছে আগুন ক্ষেত খামারে” নামক গীতিনাট্য। আলতাফ মাহমুদ ছিলেন এই গীতিনাট্যের সংগীত পরিচালক, অভিনেতা। আর আলতাফ মাহমুদের সহ শিল্পী হিসেবে এখানে অভিনয় করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহমদ। সেই দরদী কন্ঠে পল্টন ভর্তি জনতার সামনে আলতাফ মাহমুদ গেয়েছিলেন – “ও বাঙালী, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি…” এখনো সে গান গাওয়া হয়, চিরকাল হবে – কিন্তু আলতাফ মাহমুদের মত করে আর কেউ কখনো গাইতে পারবে না…
১৯৭১ সাল। আলতাফ মাহমুদ তখন স্বাধীনতার জন্য জনজাগরণমূলক অনেক গান রচনা করছেন, সুর দিচ্ছেন, সঙ্গীত পরিচালনা করছেন এবং অন্যের গানে সুরারোপ করছেন। এর ভেতর মধ্যেই এসে যায় একাত্তরের উত্তাল সময়। আলতাফ মাহমুদ বেহালা, তবলা, হারমোনিয়াম নিয়ে খেলতে খেলতে কখন যেন রাইফেল নিয়ে খেলায় মেতে ওঠেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেন তিনি। zoloft birth defects 2013
১৯৭১ এর মার্চে শহীদ মিনারের অনুষ্ঠানে সংগ্রামী অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে পথচলা। শহরের যেখানেই বিদ্রোহী অনুষ্ঠান সেখানেই আলতাফ মাহমুদ। শহীদ মিনারের বিভিন্ন সংগঠন, সঙ্গীত পরিচালনা ও কন্ঠদানের মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের হাতছানিকে স্বাগত জানান। রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ঠিক বিপরীত দিকে ৩৭০ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডের বাসায় থাকতেন আলতাফ মাহমুদ। হানাদার বাহিনী তাদের মারনাস্ত্র দিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের টিনসেডগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
২৬ তারিখ সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ২৭ মার্চ কয়েক ঘন্টার জন্য কার্ফ্যু শিথিল হলে আলতাফ মাহমুদ সবাইকে নিয়ে কমলাপুরের বৌদ্ধবিহারে আশ্রয় নেন। সেখানে ১৮ দিন থাকার পর আবার চলে আসেন আউটার সার্কুলার রোডের বাসায়।
বাসায় এসে বিচলিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েন। দেশ, জনগণ, আত্মীয়-স্বজন দের কথা ভেবে সারাক্ষণ অস্থিরতায় কাটান। দেশের এই মরণ বাঁচন পরিস্থিতিতে কিছুই করতে পারছেন না সে কষ্ট তাঁকে ভেতরে ভেতরে বজ্রকঠিন করে তোলে।
মুক্তিযুদ্ধের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়ে পড়েন আলতাফ মাহমুদ। ঢাকা শহরে কতগুলো অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেন। ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ চলে ২নং সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশারফ ও মেজর হায়দারের নেতৃত্বে। তাঁদের সহযোগীতা করার জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত হয় ‘ক্র্যাক প্লাটুন’। এদের কাজ ছিল ঢাকা শহরে হানাদার বাহিনীর সদস্যদের অস্থির করে তোলা। তাঁরা শহরে বেশ কয়েকটি দুঃসাহসিক আক্রমন চালিয়ে পাকসেনাদের নাজেহাল সহ চেকপোস্টে হানা দেন এবং পাকিস্তানকে সমর্থনদানকারী আমেরিকান তথ্যকেন্দ্রে বোমা হামলা চালান। শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় অর্থাৎ ডিআইটি ভবন, আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়, টেলিভিশন ভবন, ওয়াপদা ভবন, পেট্রোল পাম্প, সেনা চেকপোস্টে ‘ক্র্যাক প্লাটুনের সাহসী যুবকরা হামলা চালান।
সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশারফের নির্দেশে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি অপারেশন হয় আলতাফ মাহমুদের অংশগ্রহণে। আলতাফ মাহমুদ, হাফিজ এবং সামাদ মিলে সিদ্ধান্ত নেন, বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের ঢাকায় অবস্থানকালে হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাবেন। ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম সদস্য সামাদ ভাই নিয়ন সাইনের ব্যবসা করতেন। ঘটনাক্রমে ঐ সময় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ন সাইনের একটি কন্ট্রাক্ট চলে আসে। নিয়ন বাল্বের ভেতরে বিস্ফোরক ভরে হোটেলের ভেতর পাচার করে দেয়া হয়। তবে প্রতিনিধি দল হোটেলে আসেনি, তারপরও বিদেশী সাংবাদিকদের জানানোর জন্য হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ফলও হয়। হোটেলে তখন বহু বিদেশী সাংবাদিক ছিল। তাদের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণের খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে থাকে। এদিকে প্ল্যান মোতাবেক কাজ না হওয়ায় প্রচুর বিস্ফোরক বেঁচে যায়। সেগুলো নিরাপদে রাখার স্থান পাওয়া নিয়ে হয় সমস্যা। কিন্তু সাহসী মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ সব গোলাবারুদ তাঁর বাসার কাঁঠাল গাছের নিচে একটা হাউজে রেখে ইট, পাথর, কাঠের টুকরো দিয়ে ঢেকে রাখেন। এতো সব করতে আলতাফ মাহমুদ যেন আনন্দই পান। ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবেন না।
এপ্রিলের শেষের দিক থেকে আলতাফ মাহমুদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সঙ্গীত রচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গান রচনা, সুরারোপ করা, কন্ঠ দেয়া, রেকর্ড করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে পাঠানো সব কার্য বিশেষ গোপনীয়তার মাধ্যমে করতে থাকেন। গানের রেকর্ড পাঠানোর উল্লেখ আগেই করেছি। জুলাই মাসে আলতাফ মাহমুদের মা ঢাকায় আসেন। ওপারে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য তিনি ছেলেকে বেশ পীড়াপীড়ি করেন।
স্বাধীনবাংলা বেতারের জন্য গান রেকর্ডিং হয়ে যাওয়ার পর একবার স্থির করেছিলেন, মা ও স্ত্রীকে বরিশালে রেখে তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে যাবেন। অজ্ঞাত কারণে তিনি পরে তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টান। কেউ প্রশ্ন করলে বলেন, ‘সবাই ওপারে গেলে এখানে কে থাকবে?’ ‘ঢাকায় থাকা কি আপনার জন্য নিরাপদ?’-এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,-‘আমার ভাবনা আমি ভাববো, তোরা সবাই ভাল থাক। নিরাপদে থাকার চেষ্টা কর। আর সব কেন’র কি জবাব আছে?’ এমনই সাহসী উচ্চারণ আলতাফ মাহমুদের কাছ থেকে সবাই পেয়েছে।
পরবর্তীতে আগস্টের শেষ সপ্তাহে তিনি স্থির করেন, ‘ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন; চলে যাবেন পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু’ তিনি আর যেতে পারেননি। তার আগেই বন্দি হন হানাদারদের হাতে। এ প্রসঙ্গে সারা আরা মাহমুদ বলেন, ‘ ৩০ শে আগস্ট ভোরবেলা আমার বোন শিমুল রেওয়াজ করছিল। মা নামাজ পড়ছিলেন। সেই সময় বুটের আওয়াজ পেয়ে আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি আর্মিরা আমাদের পুরো বাড়িটা ঘেরাও করে ফেলেছে। আমার ভাই এবং আগের রাতে শেল্টার নেয়া আবুল বারাক আলভী ছাড়াও আশপাশের বাড়ি থেকে মোট ১১ জনকে ধরে বেঁধে রাখে। আমি যখন আলতাফকে বললাম, আর্মি এসেছে, ও আমাকে বলল, তুমি এত ভয় পাও কেন?’ এটাই ছিল আমার সঙ্গে ওর শেষ কথা। তারপর পরই আর্মিরা ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেশ করে, ‘আলতাফ মাহমুদ কৌন হ্যায়?’ আলতাফ জবাব দিল, আমি। তখনই ওরা আলতাফকে নিয়ে বেরিয়ে গেল। সেই সময় আমি দেখলাম সামাদকে। এই লোকটিই পরবর্তীতে দেখিয়ে দেয় দুই ট্রাঙ্ক অস্ত্র কোথায় লুকিয়ে আছে। আর্মিরা আলতাফকে দিয়ে ওই দুই ট্রাঙ্ক আর্মস্ মাটি খুঁড়ে বের করে নিল এবং আলতাফকে নিয়ে চলে গেল।
আলতাফ আমার ভাইদের কাছে ওর একটা আংটি খুলে দিয়ে বলেছিল, ‘এটা ঝিনু এবং শাওনকে দিও। এদের জন্য তো কিছু রেখে যেতে পারলাম না। দেশের মানুষ আছে ওদের জন্য। ’
আলতাফকে পেলে আমি জিজ্ঞেস করতাম, সিক্ত তুমি কাদের ভরসায় আমাদের রেখে গেলে?’ কোন দেশের মানুষের ভরসায়?’
আলতাফ মাহমুদ এই রমনা থানায় মৃত্যুর মুঠোয় বসে সেই অসম্ভব অত্যাচারের মধ্যেও খনুকে (আলতাফ মাহমুদের আরেক শ্যালক) আক্ষেপ করে বলেছিল, ‘ দেশের কোন কাজই তো করতে পারলাম না। ’ পরে এখানকারই একজন বন্দি তার ওপর নির্যাতনের নানা ভয়ঙ্কর খবর জানিয়ে বলেছিল, ৩ সেপ্টেম্বর চোখ বেঁধে আলতাফ মাহমুদকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর কি হয় আজ পর্যন্ত কেউ জানে না।
সারা মাহমুদ বলেন, ‘অক্টোবর মাসে বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে পারমিশন দিত। আমি যেতাম সেন্ট্রাল জেলে, কয়েকবার গিয়েছি। বাইরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রেখে শেষে জানাত এখানে এ নামে কেউ নেই। আমার মা ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে গিয়েছেন। সেখানেও তাঁকে খাতা দেখে বলা হয়েছে, এ নামে কেউ নেই। ফখরুফ আলম বিল্লাহ্ ও দীনু বিল্লাহ্ বলেছেন, ১৬ ডিসেম্বর রাতে ও পরের কয়েকদিন তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। জেল আর হাসপাতালের রেজিস্টারে নামটি পর্যন্ত নেই।না, আর তাকে ফিরে পেলাম না।”
চলে গেলেন আলতাফ মাহমুদ। শহীদ আলতাফ মাহমুদ। তাঁ্র মা গিয়েও নানা জেলের দরজায় খোঁজ করেন। কিন্তু সন্তান আর ফিরে আসেনি মায়ের কাছে। পরে এই মা মস্তিস্কের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং এভাবেই তাঁর মৃত্যু হয়। viagra in india medical stores
দিনু বিল্লাহ্ তার ‘একাত্তরের দুর্গ বাড়িটি’ নিবন্ধে লিখেছেন, ‘৮৬ সালের ২৪ অক্টোবর আমার মা মারা যান। বনানী গোরস্তানে দাফন শেষে মোনাজাত করে সবাই যখন বাড়ি ফিরছিলাম তখন হঠাৎ ১৮ বছরের শাওন এই প্রথম চিৎকার করে ওর বাবার কথা বলল। শাওন চিৎকার করে আমার বড় ভাইকে বলল, ‘তোমার মা’র একটা কবর আছে, জায়গা আছে-আমার বাবার কবর কোথায়?
এই প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারব আমরা কেউ? যদি না পারি তাহলে অন্তত নিজেদের বিবেকের দংশনে হলেও যেন পাকিস্তানকে ঘৃনা করি, মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসতে শিখি। অনেক রক্তের দামে পাওয়া এই বাংলাদেশ, কারো দানে পাওয়া না…. half a viagra didnt work
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
চমৎকার তথ্যপূর্ণ হয়েছে লেখাটি। ধন্যবাদ এরকম একটি লেখার জন্য …
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
ধন্যবাদ আপি…।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অসাধারণ লিখেছেন! তার সুর করা, “তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি” গানটা এতই অসাধারণ ছিলো যে, সেটাই প্রথম গান যেটা শুনে দুই ফোঁটা চোখের জল বেরিয়েছিলো নিজের অজান্তেই। কি এক ঐন্দ্রজালিক মিউজিক সেটা বলে বুঝানো সম্ভব না।
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
ধন্যবাদ…
এই গানটার আসলেও অন্য রকম একটা মায়া আছে। শুধু শহীদ আলতাফ মাহমুদের পক্ষেই সম্ভব এই মায়াটা সৃষ্টি করা…।
Iqbal Mahmud Anik বলছেনঃ
অসাধারন সব তথ্য পেলাম,সামনে বরিশালে রোভারদের একটা ক্যাম্প আছে।সেইখানে আলতাফ মাহমুদ সহ বরিশালের কৃতিসন্তানদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি কতগুলো ফেস্টুনে লেখা থাকবে।আপ্নার এই লেখা থেকে আলতাফ মাহমুদ সম্পর্কে পাওয়া তথ্যগুলো দিয়ে দেব,আমার কস্ট কম হল আর কি
আর লেখাটা একটু সংশোধন করার দরকার আছে মনে হয়,১৯৪৮ সালে বরিশাল স্কুল থেকে তিনি মেট্রুকুলেশন পাশ করেছেন বলে আপনি উল্ল্যেখ করেছেন।ঐ নামে কোন স্কুল অতিতে বা বর্তমানে ছিল না।ওটা বোধহয় হবে বরিশাল জিলা স্কুল
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
ধন্যবাদ ভাইয়া..
হুম। ওটা বরিশাল জিলা স্কুল ই হবে। ঠিক করে দিয়েছি। ব্যাপারটা অনেক কিছু টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়ে গিয়েছিল।
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ
স্বাগতম
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আলতাফ মাহমুদকে আমি চিনি এক দুর্মর বীর হিসেবে, চির উন্নত ছিল যার শির, ২৯শে আগস্ট পাকিস্তানী আর্মির সামনে বুক ফুলিয়ে তিনি দাড়িয়েছিলেন, স্পষ্ট স্বরে বলেছিলেন, আমিই আলতাফ মাহমুদ, কি চাও তোমরা… কি অসামান্য দীপ্তি, কি অনন্য তার চাহনি…
আলতাফ মাহমুদ ফিরে আসেননি, একটা স্বাধীন দেশের জন্য হাসিমুখে প্রানটা উৎসর্গ করে গেছেন, লাল-সবুজ পতাকার জন্য জীবনের পরোয়া করেননি… স্যালুট আলতাফ মাহমুদদের, স্যালুট ব্রেভ হার্টদের…
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
মা বইতে একটা লাইন ছিল – ” সকালের পবিত্র আলো মেখে আলতাফ মাহমুদ দাঁড়িয়ে গেলেন। বুঝলেন সবাইকে বাঁচাতে হলে সবকিছুর দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। এক জীবনে তিনি যা করেছেন। সবকিছু…। বলে উঠলেন – ” আমিই আলতাফ মাহমুদ। কি চাও তোমরা? ”
এই লাইনগুলো যতবার পড়সি, আমার লোমগুলা জাস্ট দাঁড়ায় গেসে ভাইয়া। এতটা বীরত্ব, এতটা…
স্যালুট টু শহীদ আলতাফ মাহমুদ। স্যালুট টু হিম….
ওয়ারিশ আজাদ নাফি বলছেনঃ clomid over the counter
যাক স্যার কে ভাল একটা লেখা যোগ হল ব্লগে। আমি স্যারের মেয়ে শাওনা আপাকে দেখাব। আম শিওর সি উইল বি ভেরি প্রাউড
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
ধন্যবাদ ভাইয়া। তবে এই লেখাটার জন্য অনেক বড় একটা অবদান কিন্তু আপনার। নিউক্লিয়াসে আপনার পোস্ট টা দেখেই আমার এই লেখাটা লেখার আইডিয়া মাথায় আসছে। খালি মনে হইতেসিল ডন ভাইয়া, ফাতেমা আপু, অর্ফিয়ার্স, নাফি ভাইয়ারা কত কিছু লেখে কত কাজ করে আর আমি বাসায় বইসা থাকি খালি। কোনো কাজেও আসতে পারি না কিছু করতেও পারি না। তখন মনে হল, এই লেখাটা লেখার আগে মনে শান্তি পাব না…।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
অসাধারন একটা কাজ করছ পুন্ন্যা, হ্যাট’স অফ ডিয়ার…
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ can you tan after accutane
ধন্যবাদ… আমারে হ্যাটস অফ দিয়েন না ভাইয়া… আপনের তুলনায় আমিকিছুই করতে পারি না…
অপার্থিব বলছেনঃ
পোস্ট ভাল লেগেছে ,যদিও নিচের লাইনটির সঙ্গে একমত নই
ঘৃণ্য সেনাবাহিনী ও ক্ষমতা লোভী কিছু শাসক গোষ্ঠীর নোংরা অপ কর্মের দায়ে সমগ্র পাকিস্তানী জনগণের প্রতি ঘৃণা পোষণ করা উচিত নয়। দেশ ভাগের পর থেকে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি নিয়ন্ত্রন করে আসছে তাদের সেনা বাহিনী ও সুবিধা লোভী কিছু পরিবার। বৈদেশিক ও সামরিক নীতি মালা থেকে শুরু প্রবল বাঙ্গালী বিদ্বেষ সবকিছুরই জন্ম দিয়েছে এরা। পাকিস্তানের অধিকাংশ সাধারন মানুষ আজও মুক্তিযুদ্ধ কালীন সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নয়, তারাও রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, বস্তুত তৃতীয় বিশ্বের অন্য সাধারন মানুষদের সাথে তাদের কোন পার্থক্য নেই । কাজেই পোষণ করা উচিত সে সব সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর প্রতি।
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ
ভাই পাকিস্তানে এখন নির্বাচিত সরকার রয়েছে।কিন্তু তারা তো এখনো ক্ষমা চায় নাই।শুধু তাই না তাদের নতুন প্রজন্ম এখনো মনে করে তাদের পুর্বপুরুশ পাকিস্তান বিভক্তি ঠেকানোর জন্যই এইসব ঘৃণ্য কর্মকান্ড করেছিল।যেহেতু একটি দেশের সরকার তার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে,সেহেতু সেই দেশের সরকার যখন ক্ষমা চায় না তখন ধরেই নেয়া যায় যে তারা তাদের পুর্বের কর্মকান্ডের জন্য অনুতপ্ত নয়। buy kamagra oral jelly paypal uk
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
zithromax azithromycin 250 mgভাই – রাজাকার, বিহারী আর পাকিস্তানি এই তিনটা প্রজাতিরে ঘৃনা করার জন্য কোন যুক্তির প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আপনি এইভাবে ভাবতেই পারেন, কিন্তু দারিদ্র্যের সবচেয়ে নিম্নসীমায় বাস করা পাকিস্তানিটাও বাঙালি সম্পর্কে কখনো ভাল কিছু ভাববে না। আমি সব ব্যাপারে যুক্তিতর্ক করতে ভালবাসি, কিন্তু ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত যাদের হাতে তাদের প্রশ্নে যুক্তি তর্ক করব এতটা নিচে এএখনো নামি নাই। কক্ষনো নামব ও না। আর এই অপরাধের দায়ভার প্রত্যেকটা পাকিস্তানির, যতক্ষন না ওরা রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমা চাইলেও আমার মনে হয়না আমরা কখনও ওদের ক্ষমা করতে পারব। ত্রিশ লাখ শহীদ এর রক্তের দাগ, ছয় লাখ নারীর অার্তচিতকার ওদের তাড়া করে বেড়াবে। এই রক্তের দাগ ওরা মুছতে পারবে না। কখনই না…।
অপার্থিব বলছেনঃ
@ইকবাল মাহমুদ অনিক
পাকিস্তানে একটি নির্বাচিত সরকার থাকলেও ওদের গণতন্ত্রের অবস্থা বর্তমানে বাংলাদেশে বিরাজমান গণতন্ত্রের চেয়েও হাজার গুণ খারাপ। রাজনীতি ,জনপ্রশাসন সবখানেই এখনো সামরিক বাহিনীর যথেষ্ঠ দাপট। সব রাজনৈতিক দল কেই সেনাবাহিনীর মন জুগিয়ে চলতে হয়। সেনা বাহিনীর মধ্যে শক্ত অনুগত গোষ্ঠী না থাকলে সেখানে যে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষেই ক্ষমতায় যাওয়া কঠিন ,পারত পক্ষে অসম্ভব। নানা জাতি গোষ্ঠীতে বিভক্ত জঙ্গি হামলায় বিপর্যস্ত ধর্মের ঠুনকো কাঠামোয় নির্মিত পাকিস্তান নামক এই কৃত্তিম রাষ্ট্রটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য সেনাবাহিনী সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর । তাদের ভাষায় সবচেয়ে গর্বের জায়গা। তাদের পাঠ্য পুস্তক গুলো রীতিমত সেনা বাহিনীর গৌরব গাঁথা দিয়ে ভর্তি। একারনেই পাকিস্তানের নুতুন প্রজম্ন আজও তাদের সেই কুখ্যাত সেনা বাহিনীর নির্মম গণহত্যা ও মুক্তি যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানে না । আর পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল পিপিপি র প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার ভুট্ট খোদ পাকিস্তানেই মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ের সবচেয়ে বড় খল নায়ক হিসেবে স্বীকৃত। কাজেই পরাজয়ের তীব্র অপমান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণেই তারা আজও বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চায় না।
@মায়াবী তেজস্বিনী
যেহেতু পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির প্রতিনিধিত্ব করে তাই সরল অর্থে আপনি তাদের সকল অপকর্মের দায় সব পাকিস্তানীর উপর চাপাতেই পারেন। কিন্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি সেনাবাহিনীর অনেকেই বিশেষ করে উচ্চ পদস্থ অনেক অফিসার গণ মানুষ থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। সিভিল সোসাইটির লোকদের হেয় চোখে দেখা তাদের চরিত্রের একটা মজ্জাগত ব্যাপার। আর পাকিস্তান সেনাবাহিনী পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বর সেনা বাহিনীগুলোর একটি । কাজেই ওদের কাছ থেকে কি আচরন আশা করা যায় সেটা বলাই বাহুল্য। আর পাকিস্তানকে এখনও ৭১ এর ভুমিকার জন্য ক্ষমা না চাওয়া , ত্রিশ লক্ষ মানুষকে গনহত্যা , ৪ লক্ষ্য নারীকে নির্মম ধর্ষণের মুল্য দিতে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। নানা রকম অভ্যন্তরীণ ঝামেলা ও জঙ্গি হামলায় দেশটি রীতিমত ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার পথে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সেই পুরনো সত্যটিকেই আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়-”যারা অতীত থেকে শিক্ষা নেয় না অতীতও তাদের পিছু ছাড়ে না”
রাজাকারদের আমিও ঘৃণা করি কিন্ত বিহারী ও পাকিস্তানের সকল মানুষের প্রতি ঘৃণা পোষণ করা কখনোই উচিত নয় ।এই ধরনের প্রবল জাতি বিদ্বেষ যে রীতিমত উদ্বেগজনক একটি প্রবণতা তা নিয়েও কোন সন্দেহ নেই । দেশপ্রেম থাকা ভাল কিন্ত দেশপ্রেম যেন উগ্র জাতীয়তাবাদের পর্যায়ে না যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত। উগ্র জাতীয়তাবাদ মানব সভ্যতার জন্য অনেক বড় একটা হুমকি। ভাল থাকবেন…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
পাকিস্তানে কি হচ্ছে না হচ্ছে কিংবা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সেখানকার সিভিল সোসাইটিকে কিভাবে দেখে, সেইটা তো আমাদের দেখার দরকার নাই। আমরা জাস্ট দেখবো, বাঙ্গালীদের উপর পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা যখন চলছিল, তখন পাকিস্তানের সাধারন জনগনের প্রতিক্রিয়া কি ছিল… তারা তখন গণহত্যার বিরুদ্ধে একটা টু শব্দও করে নাই। উল্টা পাকিস্তানী গোয়েবলস মিডিয়া যেই প্রোপ্যাগান্ডা চালাইছে, সেইটা বেদবাক্যের মত বিশ্বাস করে, অন্ধের মত ওরা বীর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মালাউন ধ্বংসের বীরত্বে নাচানাচি করছে, পাকিস্তানে আটকা পড়া বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার চালাইছে। তখন অবশ্য তাদের মধ্যে অপার্থিব সাহেবের মত উদার মহত্ত্ব দেখা যায় নাই।
যদি ধরেও নেই, পাকিস্তানের সাধারন মানুষের পক্ষে যুদ্ধের সময় তাদের বীর আর্মির বর্বরতার চিত্র জানা সম্ভব হয় নাই, কিন্তু যুদ্ধের পর? আজকে ৪৩ বছর পার হয়ে যাইতেছে, পৃথিবী জ্ঞান-বিজ্ঞানে কেবল বিস্ময় সৃষ্টি করতে যাইতেছে, গুগলের মত অসামান্য একটা আলাদীনের চেরাগ আজকে আমাদের হাতের মুঠোয়, পাকিস্তানের জনগন কি আজো ৭১রের ইতিহাস জানতে পারে নাই? কি অকল্পনীয় নৃশংসতা আর বর্বরতা চালাইছে তাদের বীর আর্মি, সেইটা কি জানা খুবই অসম্ভব আজকের যুগে? ধরে নিলাম তাদের ৯৯ পারসেন্ট জনগনের কিছু জানার সুযোগ নাই বিকজ অফ মিলিটারি ডিক্টেটরশিপ, বাকি এক পারসেন্ট? বাকি এক পারসেন্ট কি করতেছে? ৭১রে ওই জারজ শুয়োরগুলা যেই পৈশাচিকতা চালায়ে গেছে, তার ১০ ভাগও জানলেও তো এতদিনের পাকিস্তানের প্রত্যেকটা মানুষের ক্ষমা চাওয়া দরকার ছিল। চাইছে তারা ক্ষমা? উল্টা তাদের স্কুল কলেজে এখনো পড়ানো হয়, একাত্তরে মালাউনদের সাথে সামান্য গণ্ডগোল হইছিল, এইটা কিছুই না… কতটা নিকৃষ্ট আর বর্বর জাতি হইলে তারা পরাজয়ের তীব্র অপমান টাইপের বালছাল অজুহাতে নিজেদের জঘন্যতম ইতিহাস এইভাবে ঢেকে রাখতে পারে? কতটা?
কিছু মনে করবেন না অপার্থিব, পৃথিবীর সবচেয়ে ফাকড আপ পিস অফ শিট স্টেটকে ডিফেন্ড করতে আপনি যে উদ্ভট উক্তিগুলো দিলেন, সেইগুলা অ্যাজ ফার অ্যাজ আই নো, পাকিস্তানের মানবতাবাদী শুষিল চুতিয়ারা দেয়, ক্ষমা চায় নাই কেন এই প্রশ্নের জবাবে তাদের উত্তরগুলা হয় এইরকম। এই যুক্তি আপনি দিতেছেন কেন? আপনার এইরকম গান্ধিবাদি শান্তিকামী আচরনের মানে কি? বাই এনি চান্স, আপনি পাকিস্তানী নন তো? private dermatologist london accutane
অপার্থিব বলছেনঃ
প্রথমত পাকিস্তানের নিজেদের জঘণ্য ইতিহাস ঢেকে রাখা এবং বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা না চাওয়া নিয়ে আমার অনুভুতি ঠিক আপনাদের মতই তীব্র। উপরে একজন কমেন্ট করেছিল পাকিস্তান কেন ক্ষমা চায় চায় না । তাই
তার জবাবে যে কথাগুলো বলেছি সেগুলো একান্তই পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে । যেমন তাদের দেশের বর্তমান অখন্ডতার জন্য সেনাবাহিনী অনেক গুরুত্বপূর্ণ , জুলফিকার ভুট্ট পিপি পি আদর্শিক নেতা ইত্যাদি । কিন্ত ৭১ এর ভুমিকার জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়াটা পুরোপুরি তাদের সরকারের সিদ্ধান্ত । কারন জনগণের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব নয় , ক্ষমা চাইবে তাদের পক্ষ থেকে তাদের সরকার।কিন্ত তাদের সেই সরকার আজও সবক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর উপর নির্ভর শীল । ক্ষমতায় যেতে এবং সেটি টিকিয়ে রাখতে তাদের সামরিক বাহিনীর অনুগ্রহের উপর নির্ভর করতে হয় । তাদের এই দুর্বল রাষ্ট্র কাঠামোই ক্ষমা চাওয়ার পথে প্রধান অন্তরায় । এগুলোই পাকিস্তানের বাস্তবতা। কাজেই পোষণ করা উচিত পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের ঘিরে গড়ে ওঠা সেই সব সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর প্রতি।
একটা শিশুর ব্যাক্তিত্ব , মনন , মূল্যবোধ গড়ে ওঠে শৈশবে। খুব ছোটবেলা থেকেই প্রতিটি পাকিস্তানী শিশু শিখছে তাদের সেনা বাহিনীর গৌরব গাঁথা। মুক্তিযুদ্ধকে সে দেখতে শিখছে ভারতীয় চক্রান্তের অংশ হিসেবে । সেনাবাহিনীর প্রতি এক ধরনের গর্ব নিয়েই গড়ে ওঠে তাদের মন স্তত্ব । এখন আপনার কি ধারনা বড় হয়ে সেই শিশুটি গুগল ঘেটে তাদের সেনা বাহিনীর বর্বর গণহত্যার কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে জানার চেষ্টা করবে ? বাস্তবতা হল নিতান্ত কৌতুহলি না হলে কেউ করবে না এবং সেই কৌতুহলিদের সংখ্যা অল্প হলেও বাড়ছে । বাড়ছে ওয়ারিশ মীর,
গোলাম জিলানীদের উত্তরসূরিদের সংখ্যা যারা ৭১ এ বাংলাদেশে চালানো পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের তীব্র বিরোধিতা করে সামরিক বাহিনীর তোপের মুখে পড়েছিল । এখন বলতে পারেন পাকিস্তানীদের ইতিহাস বিকৃতির জন্য দায়ী কে ? অবশ্যই দায়ী তাদের সরকার ও প্রশাসন যারা এই সব বিকৃত ইতিহাস রচনা করে শিশুদের হাতে তুলে দেয়। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় যারা ছিল তারাই এই চক্রের সূচনা করেছে। এবং এই চক্র আজও চলছে। আশা করি এই চক্রের একদিন অবসান হবে এবং পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে।
এখন তাদের পূর্ব বর্তী প্রজন্মের অপরাধের জন্য তো মায়ের কোলে সদ্য জন্ম নেয়া সেই পাকিস্তানী শিশুটিকে ঘৃণা করতে পারি না। ঘৃণা করতে পারি না কলেজে পড়াকালীন আমার সেই বিহারী বন্ধুটিকে যাকে আমার অন্য এক বন্ধু বিহারী বলে সম্বোধন প্রচন্ড রেগে কান্না ভেজা কন্ঠে বলেছিল ” আমার জন্ম তো বাংলাদেশে তবু কেন তোরা আমাকে বিহারী বলে ডাকিস” । আমি পাপের জন্মান্তর প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি না , করতে পারবও না । দুঃখিত। এর জন্য যদি আমার জাতীয়তা নিয়ে প্রশ্ন ঊঠে কিংবা নোংরা ব্যাক্তি গত আক্রমন করা হয় হোক ,আই ডোন্ট কেয়ার …
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
ব্যাপারটা হইল, এই একখানা ট্যাগ খাওয়া বাকি ছিল। খাইলাম। ব্যাপার নাহ। হ্যা, আমার দেশের প্রশ্নে, ত্রিশ লাখ শহীদের প্রশ্নে আমি উগ্র জাতীয়তাবাদী। এই একটা ক্ষেত্রে মানবতা বা যুক্তির অস্তিত্ব আমার কাছে নাই আগেই বলসি। ডন ভাইয়ার সাথে একমত। কার সাথে কার কি রকম সম্পর্ক তা আমাদের মাথাব্যথার টপিক না। টপিক হল – পাকিস্তানের সাধারন মানুষকে কিংবা বিহারী দেরকে আমি কেন ঘৃনা করব না? ভাই, দুনিয়া অনেক আগাইসে। এখন এই ২০১৫ সালে বইসা যদি বলেন পাকিস্তানের একটা মানুষও জানে না ওদের সেসেনাবাহিনী কি করসিল – তাইলে এর চেয়েহাস্যকর যুক্তি আর হয়ন আসলেই হয়না।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সবচেয়ে বড় কথা এইটা পাকিস্তানী যুক্তি হয়ে যায়। একজন ব্যক্তি বাংলাদেশে বসে কেন পাকিস্তানী যুক্তি দেবেন, সেইটাই পরিস্কার হইতেছে না…
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
amiloride hydrochlorothiazide effets secondairesসেই ব্যাপারটা তো আমার কাছেও পরিষ্কার হইতেসে না…। metformin tablet
অপার্থিব বলছেনঃ
ত্রিশ লক্ষ্য শহীদ কিংবা ৪ লক্ষ্য নারী ধর্ষণের প্রশ্নে আপনার সঙ্গে আমারও কোন দ্বিমত নেই কিন্ত তার জন্য অবশ্যই সকল পাকিস্তানীর প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করা যায় না । ইতিহাস রচনা করা হয় তা থেকে ইতিবাচক শিক্ষা নেবার জন্য ,কোন বিশেষ জাতির প্রতি ঘৃণা তৈরির জন্য নয় ।
বাই দ্য ওয়ে আপনি কি ওয়ারিশ মীর ও গোলাম জিলানীদের নাম শুনেছেন যারা কিনা ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীর ভুমিকার সমালোচনা করে সেসময়ের সরকারের রোষানলে পড়েছিল ? উনারা উভয়েই সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন । কাজেই পাকিস্তানের সকল মানুষ যে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানে না এটি সত্য নয়। আর কেন ও কিভাবে পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানে না তা আগের মন্তব্যে কিছুটা উল্লেখ করেছি। আর সরাসরি কোন জাতি গোষ্ঠীর প্রতি সুস্পষ্ট ঘৃণা প্রকাশকে যদি উগ্র জাতীয়তাবাদ বলা না হয় তাহলে বলতেই হয় আমার এ ব্যাপারে আরো জানতে হবে।
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
উগ্র জাতীয়তাবাদ। ঠিক ই তো আছে। পাকিস্তানের প্রতি ঘৃনা করতে না আমার এত যুক্তির প্রয়োজন নাই, বুঝলেন? পাকিস্তানকে ঠিক আর দশটা জাতির মত এক কাতারে ভাবা আমার পক্ষে সম্ভব না। বাংলাদেশ – পাকিস্তানের প্রশ্নে বাংলাদেশের পক্ষে উগ্র জাতীয়তাবাদী হতে পারাও গর্বের, এটা আপনি জানেন? অবাক লাগতেসে – পাকিস্তানের মানুষেরপক্ষ নেয়ার জন্য এই ব্লগ জগতে শিক্ষিত মানুষদের মধ্যেও এখনো মানুষ আছে। একটা দেশের সরকার হয় ওই দেশের জনগনের প্রতিনিধি। সরকার দিয়েই আমরা জনগন চিনব, জনগন দিয়েই সরকার চিনব – যতক্ষন না ওই জনগন নিজেদের আলাদা প্রমাণ করতে পারে। আপনি যাদের নাম বললেন তাদের আমি চিনি না। কিন্তু কথা হল – দুই চার জন রাজাকারের জন্য যেমন পুরা বাঙালি জাতিই রাজাকার হয়ে যায়না, তেমনি দুই চারজনের জন্য পুরা পাকিস্তান জাতিকে ভাল ভাবার কোন কারন আমি খুঁজে পাইনা। আর মজার ব্যাপার হল – ইমরান খান ও কিন্তু একসময় ক্ষমা চাওয়ার কথা বলসিল – পরে কাদের কসাইয়ের ফাঁসির পর সেই আবার চিল্লাইসিল “পাকিস্তানের প্রতি দফাদারির কারনে ফাঁসি দেয়া হইসে ” বলে। আপনি মানবতাবাদী হইতে গিয়া পাকিস্তানিদের প্রতি বিশ্বাস কইরা অনেক বড় ভুল করতেসেন ভাই। এরা বিশ্বাস এর যোগ্য না। রক্তে রক্তে শিরায় শিরায় পাপ এদের। পাকিস্তানি বিহারী কোন শিশু দেখলেও আমার মনে ভালবাসার বদলে ঘৃনাই আসবে। কারন – আমাদের শিশুদের ওরা মায়ের পেটে বেয়নেট দিয়ে চিরে ফালাফালা করে ফেলসিল – আছাড় দিয়ে মারসিল। ক্ষমা চাইলেও ওদের কোনোদিন ক্ষমা করতে পারব না।
অপার্থিব বলছেনঃ
এই কথার পর আসলে আর কোন কথা বলা যায় না। সম্ভবত এরকম কোন তীব্র ঘৃণা ও প্রতিশোধ স্পৃহায় উন্মত্ত হয়ে ৭১ এর প্রতিশোধ হিসেবে আজকাল কেউ কেউ মালালার মত নীপিড়িত নারীকেও ধর্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করে স্রেফ পাকিস্তানী হওয়ার কারনে । যাই হোক সাধারন মানুষের প্রতি আপনার সকল ঘৃণার যেন অবসান ঘটে এই শুভকামনা রইলো। ধন্যবাদ।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
তারপরও কিছু মানুষ পাকিস্তানকে কেন ঘৃণা করব সেই প্রশ্ন তোলে… কি বিচিত্র, কি অদ্ভুত…
অন্তিম গোধুলী বলছেনঃ levitra 20mg nebenwirkungen
সত্যি অনেক ভাল লিখেছেন। আসলে কি করে এই প্রজন্মের বাঙ্গালি পাকিস্তানি দের কে সার্পোট করে, কি করে বলে যে যা হয়ে থাকুক ৭১ এ সেজন্য কেন আজকে পাকিস্তানিদেরকে ঘৃনা করবো? আমার ঘৃনা হয় এইসব ছেলে/মেয়েদের। জঘন্য।
রক্তের ইতিহাস আমাদের, এ ইতিহাস কি করে ভুলা যায়। আধুনিকতার নামে আর মহৎ ক্ষমার জন্য কিভাবে কেউ নিজের ইতিহাস ভুলে যায়? । zovirax vs. valtrex vs. famvir
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
জানি না ভাই। আসলেও জানি না…
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
সুন্দর তথ্যবহুল একটা লেখা। এর পর তথ্যের জন্য আর খুজাখুজি করা লাগবে না। এটাই সেভ করে রাখলাম
3 million reasons, to hate Fuckistan!!
কেও আমাকে যুক্তি দিয়ে বুঝাতে আসলেই বুঝব কেন? ক্ষমা নাম মুখে নিলে আমাদের মাটির সাথে বেঈমানি করা হবে, মাটির সাথে বেঈমানি করি কি করে! পাকিদের ঘৃনা করা আমার জন্মগত অধিকার!!
তারিক লিংকন বলছেনঃ para que sirve el amoxil pediatrico
puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotecঅনেক গুছানো আর তথ্যবহুল পোস্ট! খুব ভাল লাগলো। সভ্যতা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য। আপনার মত পরিশ্রমী ব্লগার আছে বলেই ব্লগে আসি! খুব দারুণ লিখেছেনও। নতুন প্রজন্মের কাছে একটা রেফারেন্স হয়ে থাকবে এই লিখা।
শহীদ আলতাফ মাহমুদকে অনন্ত অসীম শ্রদ্ধা
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
তারিক লিংকন ভাইয়া, অনেক অনেক ধন্যবাদ…। acne doxycycline dosage
শহীদ আলতাফ মাহমুদের জন্য অনন্ত অসীম শ্রদ্ধা।।
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
অপার্থিব – আপনি আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করছেন। সাধারণ মানুষকে ঘৃনা করি বলিনি, বলেছি পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে – সেনাবাহিনী – সরকার সবাইকে ঘৃনা করি। পৃথিবীর সাধারণ মানুষ আর পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ এর মধ্যে পার্থক্য আছে। আর এই রকম অশুভকামনা না করাই ভাল আমার জন্য কারন এটা কখনই সত্যি হবেনা। আমি নিজেই দিব না এটা সত্য হতে। I have 3 million 6 lakh reasons to hate Pakistan. And I will hate them…
আর মালালা কে? সে না যে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে বিড়াল বলসিল? ব্লগিং এর জন্য গুলি খায় যে মেয়ে সে ইতিহাস জানেনা এটাও কি আপনি বিশ্বাস করতে বলবেন? চরম প্রতিহিংসা আর পরাজয়ের ক্ষোভ থেকে মালালা যখন বাংলাদেশ কে ছোট করে কথা বলে তখন আপনার কিছু মনে হয়না। সেখানে স্পনি নির্যাতিত নারী দেখেন। আর আমরা যখন ৩ মিলিয়ন ৬ লাখ কারন নিয়ে আসি তখন আপনি মানবতার বুলি ঝাড়েন।
সখি, মানবতা কারে কয়? সে কি কেবল পাকিময়?
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
সখি মানবতা কারে কয়, সে কি শুধুই পাকিময়!!!
:v এপিক :v
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
তারিক লিংকন বলছেনঃ tome cytotec y solo sangro cuando orino