গল্প—অপদেবতা
453
বার পঠিত১.
“স্যার, আমাকে বাঁচান।” can your doctor prescribe accutane
সুলতান আজম মুখ তুলে তাকালেন। তাঁর সামনের চেয়ারে এক যুবক বসে আছে। যুবকের বয়স ২২-২৩ বছর মত হবে। যুবকের চোখদুটো টকটকে লাল। পরনের জামাকাপড় অবিন্যস্ত। চুলগুলো উষ্কখুষ্ক। বোঝা যাচ্ছে সে খুব বড় বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। can you tan after accutane
“কি হয়েছে আপনার? কি সমস্যা?”
“স্যার, আমাকে বাঁচান। ও আমাকে মেরে ফেলবে।”
“কে আপনাকে মেরে ফেলবে?”
“স্যার, ও। গুড্রবঙ্গা।”
“গুড্রবঙ্গা। শব্দটা পরিচিত লাগছে। আগে কোথাও শুনেছেন তো অবশ্যই। কিন্তু কোথায় শুনেছেন এ মুহূর্তে মাথায় আসছে না।”
সুলতান সাহেব ঘড়ি দেখলেন। ১:৫৭। লাঞ্চব্রেকের সময় হয়ে গেছে। তিনি সামনে বসা যুবকটিকে বললেন, “লাঞ্চটাইম হয়ে গেছে। চলুন, লাঞ্চ করবেন আমার সাথে। খেতে খেতে আপনার কথা শুনবো।”
২.
অফিসের ক্যান্টিনে লাঞ্চ করে বসে আছেন সুলতান আজম। সাথে সেই যুবক। তিনি যুবককে বললেন, “জ্বি, এবার বলুন আপনার সমস্যার কথা। তবে একটা কথা জানিয়ে রাখি। আপনাকে আমি কতটুকু হেল্প করতে পারবো জানি না। তবে আমার চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না। ধীরেসুস্থে ডিটেইলসে বলুন। তাড়াহুড়ার কোন দরকার নেই।”
সুলতান সাহেব একটা সিগারেট ধরালেন। শ্রোতা এবং বক্তার মাঝে একটা ব্যবধান থাকুক। ঘড়িতে দেখলেন ২:১৫। accutane prices
“স্যার, আমার নাম জহির। আবদুল্লাহ জহির। আমি একটা ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিটিভ। বেতন খুব বেশি না কিন্তু সেই তুলনায় খাটনি প্রচুর। মাস ছয়েক আগে আমি বিয়ে করেছি আমার প্রেমিকাকে। পরিবারের অমতে।”
সুলতান সাহেব একটু অবাক হলেন। জহিরকে তিনি যতটা বিপর্যস্ত মনে করেছিলেন সে ততটা বিপর্যস্ত না। বিপর্যস্ত অবস্থায় কেউ এতোটা গুছিয়ে কথা বলতে পারবে না।
“মাস দুয়েক আগে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বান্দরবান বেড়াতে গিয়েছিলাম। বিয়ের পরে প্রথম বেড়াতে যাওয়া স্বামী-স্ত্রী মিলে। হানিমুনও বলতে পারেন। ওখানে গিয়েই আমি প্রথম গুড্রবঙ্গার কথা শুনি।”
“গুড্রবঙ্গা হচ্ছে সাঁওতালদের অপদেবতা। অনেক সাঁওতালদের গোত্রপ্রধান এদের পুজা করেন ধনী হওয়ার লোভে। দেখতে সাত আট বছরের বাচ্চার মত। গুড্রবঙ্গাকে পুষতে হয় । সে অনেক ধনসম্পত্তি যেমন সোনাদানা, হীরাজহরত এনে দেয়। কিভাবে আনে, কোথা থেকে আনে, কেমন করে আনে কারো জানা নেই। কিন্তু বিনিময়ে গোত্র প্রধানরা তাদের ছোট সন্তানদেরকে গুড্রবঙ্গার হাতে তুলে দেয়। দিতেই হবে। বাধ্য তারা। কিন্তু গুড্রবঙ্গা তাকে নিয়ে কি করে কেউ জানে না । শোনা যায়, গুড্রবঙ্গা নাকি তার বলিকে খেয়ে ফেলে । সত্যি হতেও পারে। কারণ কেউ গুড্রবঙ্গা’র বলিকে আর খুঁজে পায় না।”
“তবে প্রতিজ্ঞা করার পরেও যদি কেউ গুড্রবঙ্গাকে তার বলি না দেয়, তাহলে গুড্রবঙ্গা প্রতিজ্ঞাকারী এবং তার পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।”
“গুড্রবঙ্গার কথা শুনেই আমার প্রথম মাথায় আসে এদের মাধ্যমে আমার ভাগ্য ফেরানোর একটা চেষ্টা করা যেতে পারে।”
সুলতান আজম বাধা দিয়ে বললেন, “এদের মাধ্যমে মানে? আপনি কি ব্ল্যাক ম্যাজিক জাতীয় কিছু বোঝাচ্ছেন?” venta de cialis en lima peru
জহিরকে তাকিয়ে থাকতে দেখে তিনি বললেন, “ব্ল্যাক ম্যাজিক মানে কালো জাদু। ইসলামে যাকে বলে কুফরী কালাম।”
“জ্বি, স্যার। অনেকটা তাই।”
সুলতান আজম একইসাথে বিরক্তি এবং করুণাবোধ করলেন। ভাগ্য ফেরানোর জন্য ব্ল্যাক ম্যাজিক? সারাজীবন শুনে আসলেন “পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।” এখনকার মানুষ পরিশ্রমের চাইতে অল্প সময়ে টাকা কামাতে বেশি উৎসাহী। ডিসগাস্টিং।
“স্যার নিশ্চয়ই আমাকে খারাপ মানুষ মনে করছেন। মুসলমানের ছেলে হয়ে কি করছি এইগুলা? আসলে স্যার ওই সময়টাতে মাথা খারাপমতো হয়ে গিয়েছিলো। পরিষ্কারভাবে কোন কিছু চিন্তা করতে পারছিলাম না।”
“পরিষ্কারভাবে কোন কিছু চিন্তা করতে পারছিলেন না কেন?” kamagra pastillas
“কারণ, স্যার, ওই সময়ে আমার স্ত্রী ৩ মাসের প্রেগন্যান্ট।”
“দেখুন,একটা প্রাণ নষ্ট করা আমাই একেবারেই সমর্থন করি না। তবুও আপনাদের যদি খুব সমস্যা হয়, তাহলে আপনি আপনার স্ত্রী’কে বলতেন, অ্যাবরশন করার জন্য।”
“বলেছিলাম স্যার। শান্তা একেবারেই রাজি হয় নি। শান্তা, আমার বউ।”
“গুড্রবঙ্গার কথা আমি যার কাছে শুনি সে হল এক আদিবাসী। নাম পলক চাকমা। সে আমাকে একজন তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গেলো। সবার মতে তিনি নাকি সিদ্ধপুরুষ।”
“আমি গিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকলাম। পলক, তান্ত্রিকের সাথে কথা বলতে গেলো। কিছুক্ষণ পরে পলক এসে নিয়ে গেলো তান্ত্রিকের কাছে।”
“তান্ত্রিক আমাকে বললেন, “কি রে? খুব খারাপ অবস্থা? খুব অর্থকষ্ট যাচ্ছে?”
সাথে সাথে আমার মনে হল, আমার যত সমস্যা এই তান্ত্রিকই দূর করতে পারবেন।
তান্ত্রিক আমাকে বললেন, “তুই নাকি গুড্রবঙ্গা পুষতে চাস?”
আমি বললাম, “হ্যাঁ।”
“পুষতে চাইলে পুষবি। এটা এমন কোন কঠিন ব্যাপার না। গরু ছাগল পোষার মতই সোজা।”
সুলতান আজম সাহেব ঝুঁকে এসে জহিরকে বললেন, “একজন তান্ত্রিক আপনাকে বলল অপদেবতা পোষা গরু-ছাগল পোষার মত সোজা?”
“জ্বি, স্যার।”
সুলতান সাহেব একটা নিঃশ্বাস ফেললেন। তিনি এই ঢাকাতে বসেই বলে দিতে পারছেন ওই তান্ত্রিক ভণ্ড।
তান্ত্রিক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন “তুই তোর বাচ্চাকে বলি দিতে রাজি আছিস?”
“আমার মাথায় তখন কি ভর করেছিল জানি না। আমি কিছু না ভেবেই বলে ফেললাম, হ্যাঁ।”
সুলতান আজমের মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো। সামনে বসা লোকটা কি সাইকো নাকি? নিজের অনাগত সন্তানকে নিয়ে কেউ ব্যবসা করছে এ তো চিন্তাও করা যায় না।
পলক আমাকে বলল, “গুড্রবঙ্গা পুষতে চাইলে কিছু পূজা-আর্চা করা লাগে। পূজার খরচটা তান্ত্রিকবাবা আপনাকে দিতে বলেছেন।” metformin synthesis wikipedia
“আমি পলককে ঐদিন পূজা বাবদ ৫০০০ টাকা দিলাম। আমার হাত প্রায় খালি হয়ে গেলো। তবুও আমি দিলাম আমার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য।”
“স্যার, পূজা কিভাবে করলো তা কি বলবো?”
সুলতান সাহেব ঘড়ি দেখলেন। ২:৩০। “দরকার নেই। আপনার সমস্যা কি তা এখনও বলেননি। তবুও এই রিচুয়ালের সাথে সমস্যার কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হচ্ছে না।”
“স্যার, বান্দরবান থেকে ফিরে আসার পরেই আমার মনে হতে লাগলো একি করছি আমি। অ্যাবরশন করা এক কথা আর আমার জীবিত বাচ্চা বলি দেওয়া অন্য কথা। সমস্যা শুরু হল বান্দরবান থেকে ফিরে আসার মাসখানেক পরে। যেদিনের কথা বলছি সেদিন রাতে ফিরে খেয়ে দেয়ে বউকে নিয়ে কিছুক্ষণ বাংলা সিনেমা দেখে শুয়েছি। অন্যান্য দিন শোয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়ি ক্লান্তিতে। কিন্তু ঐদিন কেন যেন ঘুম আসছিলো না। ঘুম যখন আসলো তখন আমি স্বপ্নটা দেখলাম। একটা বাচ্চা আমাকে বলছে, “জহির তোর বাচ্চাটা আমাকে দে। জহির তোর বাচ্চাটা আমাকে দে।”
“ঐদিনের পর থেকে আমার মনের শান্তি নষ্ট হয়ে গেলো। আমি প্রায়ই এই স্বপ্ন দেখতে লাগলাম।”
“আজ আমি আপনার কাছে এসেছি সাহায্যের জন্য। আমাকে বাঁচান স্যার।”
সুলতান আজম, জহিরের গল্পের মাঝে অনেক ফাঁক পাচ্ছেন। কিন্তু তিনি এই মুহূর্তে কিছু বললেন না। জহিরকে বিদায় করে তিনি নিজের ডেস্কে এসে বসলেন। গুগোলে বাংলায় গুড্রবঙ্গা লিখে সার্চ দিলেন।
জহির যা বলেছে তার সাথে তেমন কোন অমিল নেই।
রহস্য সমাধানের জন্য বান্দরবান যেতে হবে মনে হচ্ছে।
৩.
জহির তাঁর কাছে গিয়েছিলো বৃহস্পতিবারে। শুক্র এবং শনিবারে তাঁর ব্যাংক বন্ধ ছিল। রবিবার ছিল সরকারী ছুটি। শুক্র এবং শনিবার তিনি সিঁথিকে নিয়ে গিয়েছিলেন বান্দরবান। ঢাকায় ফিরলেন রবিবার সকালে। সিথিকে বাসায় নামিয়ে দিয়েই আবার তিনি ছুটলেন জহিরের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে।
সিরাজগঞ্জ থেকে তিনি ঢাকায় ফিরলেন রবিবার রাত ১০ টায়। প্রচণ্ড ক্লান্ত তিনি। রহস্যের সমাধান প্রায় হয়ে গেছে। আর একটা সূতা বাকি।
৪.
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা। amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
সুলতান আজম সাহেব বসে আছেন জহিরের নাখালপাড়ার বাসায়। জহির নিচতলায় থাকে। নিম্নবিত্ত অবস্থা।
সুলতান সাহেব আসার পর থেকেই জহির খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে ভাবতে পারেনি সুলতান স্যার তার বাসায় চলে আসবেন। missed several doses of synthroid
“জহির, আমার জন্য ব্যস্ত হবেন না। আপনি বসুন। আপনার জন্য একটা সুখবর আছে। আমি আপনার সমস্যার সমাধান করেছি। তবে আমি শুরু করার আগে আপনি আপনার স্ত্রীকে ডাকুন।”
জহির ইতস্তত করছিল। সে ডাকার আগেই তার স্ত্রী এসে ঢুকলো। সম্ভবত সে দরজার আড়াল থেকে কথা শুনছিলো।
“জহির, আমি ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে আপনার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম।”
জহিরের মুখ শক্ত হয়ে গেলো। সে রেগে যাচ্ছে। capital coast resort and spa hotel cipro
সুলতান সাহেব সেটা লক্ষ্য করলেন। তিনি বললেন, “মাথা ঠাণ্ডা করুন, জহির। আপনার সমস্যা আমি সমাধান করেছি। কিন্তু তার চাইতেও বড় একটা ব্যাপার আমি আপনার মধ্যে লক্ষ্য করেছি। সেটার জন্যই আমি আপনার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম।” side effects of drinking alcohol on accutane
সুলতান সাহেব, শান্তা’র দিকে তাকিয়ে বললেন, “আপনারা তো পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের সময় জহিরের কোন বন্ধু ছিল কি?”
শান্তা বলল, “না। ওর কোন বন্ধুকেই আমি কখনও দেখিনি।”
“এখন যে কথাগুলো বলবো সেগুলো হচ্ছে আপনার সমস্যার মূল। মূল সমস্যায় একটু পরে আসছি। আপনি যখন সেদিন এসে আমাকে আপনার বাচ্চার কথা বললেন, আমি চমকে উঠলাম। কারণ বাচ্চার কথা বলার সময় আপনার চোখমুখ ঘৃণায় কুঁচকে গিয়েছিলো। হ্যাঁ, আপনার টেনশন হতেই পারে। কিন্তু তাতে কি নিজের বাচ্চাকে ঘৃণা করা যায়?”
শান্তা বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জহিরের দিকে।
“যাই হোক,আপনার এলাকায় গিয়ে আপনার সম্পর্কে আমি কিছু কথা জানতে পারি। আপনি ছোটবেলা থেকেই একটু অন্যরকম। ছোটবেলায়, আপনার বয়স যখন ১০-১১ বছর তখন আপনার একটা ভাই ছিল। ওর বয়স ছিল তখন ৪। একদিন আপনার ভাইয়ের চাইতে বয়সে যারা একটু বড়, তারা কবিরকে মজা করার জন্য হাত পা ধরে পুকুরে ফেলে দেয়। কবির আর উঠে আসতে পারে নি।”
“কবির ছিল আপনার একমাত্র বন্ধু। স্বাভাবিকভাবেই আপনি কবিরের মৃত্যুর জন্য দায়ী করতে লাগলে ঐ বাচ্চাগুলোকে।”
“সেই অভিযোগ আস্তে আস্তে ঘৃণায় পরিণত হল। বাচ্চাদেরকে ঘৃণা করা শুরু করলেন আপনি। আমি আপনার এলাকায় খোঁজ নিয়েছি। বাচ্চারা আপনার কাছে আসতে চায় না। কারণ আসলেই নাকি এমন সব আচরণ করেন তার সাথে যাকে রীতিমত টর্চার বলা চলে।”
এবার বর্তমান সময়ে আসুন। আপনার বেতন বেশি না। বিয়ে করলেন। সেটাও পরিবারের অমতে।
সুলতান আজম, শান্তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি যখন জানালেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট, জহির কি বলেছিল?”
শান্তা কিছুক্ষণ ইতস্তত করে নিচুগলায় বলল, “ও আমাকে বাচ্চাটা ফেলে দিতে বলেছিল।”
“আপনি কি বলেছিলেন?”
“আমি বলেছিলাম, প্রশ্নই আসে না।”
জহিরের দিকে তাকালেন সুলতান আজম। “এর কিছুদিনের মধ্যেই আপনি বান্দরবান গেলেন। গিয়ে গুড্রবঙ্গা নামে এক অপদেবতার গল্প শুনলেন যাকে লালন পালন করলে প্রচুর ধনসম্পদ পাওয়া যাবে। বিনিময়ে দিতে হবে আপনার সন্তান।”
“আপনি আর কোন কিছু না ভেবেই পলক নামের এক জোচ্চোরের কথায় রাজি হয়ে গেলেন।”
“আপনি ঐদিন চলে আসার পরে আমি বান্দরবান গিয়েছিলাম। গিয়ে একটু খোঁজাখুঁজি করতেই পলককে পেলাম। প্রথম শ্রেণীর জোচ্চোর। প্রথমে খুব হম্বিতম্বি করলেও পুলিশের কথা বলতেই সোজা হয়ে গেলো। আর আমি ভালোমত খোঁজ নিয়েছি। আপনি যার কথা বলছেন সে ধরণের কোন সাধু বা তান্ত্রিক ঐ এলাকায় নেই। আপনি বুঝতে পারছেন আমি কি বলছি? তান্ত্রিক আর পলক একই দলের লোক। লোক ঠকানো যাদের পেশা।”
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবার। আপনি দাবি করছেন দাড়িওয়ালা একটা শিশু আপনাকে স্বপ্নে দেখা দেয় এবং বলে, “তোর বাচ্চাটা আমাকে দে।”
কিন্তু এটা তো অসম্ভব। তাই না? তান্ত্রিক গুড্রবঙ্গা বশ করার জন্য কোন রিচুয়ালই তো পালন করেনি। তাহলে স্বপ্নে গুড্রবঙ্গা নামক কোন অপদেবতা দেখার প্রশ্নই আসে না।
সুলতান সাহেব একটু থামলেন। এক গ্লাস পানি খেয়ে বললেন, “জহির, সেদিন আপনি কি বলেছিলেন মনে আছে?”
“কি?”
“আপনি রাতে ফিরে খেয়ে দেয়ে বাংলা সিনেমা দেখে ঘুমিয়ে পড়েন।”
“হ্যাঁ।কিন্তু………”
“গতকাল পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কাল বাসায় ফিরে আমি যখন টিভি’র চ্যানেল পালটাচ্ছিলাম তখন আমি একটা দৃশ্য দেখি। কি দৃশ্য অনুমান করতে পারেন? ‘তোর বাচ্চাটা আমাকে দে।’ এটা দেখার সাথে সাথে আমার সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেলো।”
জহিরকে বিভ্রান্ত দেখালো।
“আপনি কখনও বামন দেখেছেন?”
“বামুন? হিন্দুদের মধ্যে যারা পূজা করে।”
“বামুন নয়। বামন। ইংরেজিতে এদেরকে বলে ডোয়ার্ফ।”
সুলতান সাহেব গলা উঁচিয়ে বললেন, “সাজ্জাদ সাহেব ভিতরে আসুন তো।” viagra in india medical stores
ঘরের ভিতরে এসে ঢুকলো শ্মশ্রুধারী এক বামন।
জহির ভয়ার্ত দৃষ্টিতে বামনের দিকে তাকিয়ে আছে। achat viagra cialis france
সুলতান আজম বললেন, “একেই কি আপনি স্বপ্নে দেখেন?”
জহিরের গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না। কিন্তু তার মুখের এক্সপ্রেশন দেখে উত্তরটা জানতে সুলতান সাহেবের সমস্যা হল না।
“সাজ্জাদ সাহেব, জহিরের সাথে হ্যান্ডশেক করুন তো প্লিজ। বেচারা খুব ভয় পেয়েছে।”
সাজ্জাদ সাহেব জহিরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। বলল, “আমি তো আপনার পাশের বাড়িতেই থাকি। আপনি আমাকে ভয় পান? কি আশ্চর্য।”
“জহির সাহেব, এবার মন দিয়ে ব্যাখ্যাটা শুনুন। আমাদের মনে দুটি অংশ আছে। সচেতন মন এবং অবচেতন মন। মানুষের মন নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাঁরা বলেন, মানুষ আসলে সবকিছুই জানে। কিন্তু অবচেতন মন, সচেতন মনকে জানায় না বলেই আমরা টা জানতে পারি না।”
“আপনি যখন সাজ্জাদ সাহেবকে দেখলেন, আপনি কোন কিছুই লক্ষ্য করলেন না। কিন্তু আপনার অবচেতন মন ঠিকই সাজ্জাদ সাহেবের তথ্যটা জমা করে রাখলো।” half a viagra didnt work
“যেদিন আপনি স্বপ্ন দেখলেন, ঐদিন রাতে আপনি আপনার স্ত্রী’র সাথে একটা বাংলা সিনেমা দেখে ঘুমাতে গেলেন। সিনেমাতে একটা চরিত্র আরেকটা চরিত্রকে বলছে, ‘তোর বাচ্চাটা আমাকে দে।’ আপনার মাথার মধ্যে ঘুরছে সেই লাইন। আমরা স্বপ্নে তাই দেখি, যা আমরা সারাদিন চিন্তা করি। আপনার অবচেতন মন এখানে একটা ঝামেলা সৃষ্টি করলো। এই লাইনের বক্তা হিসেবে দাঁড় করালো সাজ্জাদ সাহেবকে। এবারে আপনার মনের ডিফেন্স সিস্টেম একেবারে ভেঙ্গে পড়লো। আপনি নিয়মিত স্বপ্ন দেখতে লাগলেন, সাজ্জাদ সাহেব আপনার কাছে আপনার সন্তান চাচ্ছে।”
“জহির সাহেব, দেখলেন তো গুড্রবঙ্গা নামে কেউ নেই। আপনি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছেন। আপনার সংসারে নতুন একজন আসছে। তার এবং আপনার স্ত্রী’র যত্ন নিন। আর অবশ্যই, যে কোন বিপদে আল্লাহকে ডাকবেন। পরিশ্রম করুন, অবশ্যই সাফল্য পাবেন। রাতারাতি বড়লোক হওয়ার জন্য আপনাকে কোন অপদেবতা ধরতে হবে না।”
সুলতান সাহেব জহিরের বাসা থেকে বের হয়ে এসে ঘড়ি দেখলেন। ৮:১৫। বাসায় ফিরতে হবে। সিঁথি অপেক্ষা করে আছে।
(সমাপ্ত) viagra vs viagra plus
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
অসাধারন লিখেছেন ভাই… চালিয়ে যান।
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
দারুন!!!
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
মজা পাইলাম
অপার্থিব বলছেনঃ
অনেক দিন পর মিসির আলী টাইপের কোন লেখা পড়লাম। ভাল লাগলো।