আমার আমিকেই অনন্য হিসেবে ভালবাসি আমি !
422 acquistare viagra online consigli
বার পঠিত
এ মাসের প্রথম দিকে একদিনের একটা সেমিনারে দিল্লি গিয়েছিলাম আমি। ঘুরে বেড়ানোর সখ আমার কৈশোর থেকেই। তাই স্বপ্নের শহর বোম্বে দেখার লোভ সামলাতে না পেরে ট্রেনযাত্রা বেছে নিলাম বোম্বে যাওয়র। আরব সাগর তীরের স্বপ্ন-নগরি বোম্বে। কত মানুষ, কত বৈভব, কত ভোগ, কত ট্রাজেডি, আর কত ঘটনার ছড়াছড়ি এই বোম্বেতে !
পরিচিত এক বিদেশি বন্ধুকে হোটেল বুকিং দিতে বলাতে, সে অভিজাত চিম্বারের ৫-তারকা The Fern হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে আমাদের, যার প্রতিদিনের ভাড়া ভারতীয় ৬৫০০ রুপি। হোটেলেই ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনারের ব্যবস্থা। এক সময় জুহু বিচে ঘুরতে যাই সঙ্গি বন্ধুটিসহ। হঠাৎ বৃষ্টিতে আশ্রয় নেই সমুদ্র ঝড় পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে, যেখানে সস্তা লুচি আর চানার ডাল বিক্রি করে লাক্ষাদ্বীপের ৪০ বছরের নারী ললিতা আর তার ১০/১১-বছরের কন্যা জয়া। বৃষ্টিস্নাত কাস্টমারহীন ললিতা থেকে ৪-টি লুুচি আর একটু ডাল ১০-টাকায় কিনে খাই আমি, সাথে মাটির কাপে ৩-রুপির চা। সাথের ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুকে অনুরোধ করি লুচি-ডাল-চা খেতে। ঘন্টা দুয়েক আগে ৫-তারকা হোটেলে কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্ট করে এ দরিদ্র নারীর হাতের লুচি খেতে রুচিতে বাঁঁধে বন্ধুর। বন্ধুর আপত্তিতে তাই একারই অর্ডার দেই আমি। ১৩-টাকার নাস্তা-চা খেতে খেতে কথা বলি ললিতার সাথে, অনেক কথা। হিন্দি বলতে পারে সে এখন, দক্ষিণের কেরালার টানের হিন্দি, চেন্বাই এক্সপ্রেসের মত। cialis 20 mg prix pharmacie
আরব সাগরমাঝে ২০/২৫টি দ্বীপমালা নিয়ে ভারতের লাক্ষাদ্বীপ। লাক্ষার কাভারতি দ্বীপে বসতি ছিল মালয়ালাম ভাষিক ললিতার। এক সুনামির সময় প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ঘরসহ সমুদ্রে ভাসিয়ে নেয় তাদের পুরো পরিবার। ২-ছেলে আর স্বামিকে ফিরিয়ে দেয়নি সমুদ্র। জলোমানব মৎস্যজীবীদের সমাধি হয়তো সমুদ্রেই হয়েছিল তাদের। মেয়ে জয়াসহ দুদিন পর নৌবাহিনির উদ্ধারকারি জাহাজ তাদের জলরাক্ষসের হাত থেকে তুলে বোম্বে বন্দরে ফেলে যায়। সে থেকে ভাসমান জীবন ললিতা আর জয়ার।
ধনাড্য বিশাল অট্রালিকাময় বোম্বেতে রাস্তায় ভাসমান মানুষের অভাব নেই। অনেক বস্তি মাঠ, রাম্তা আর সরকারি জমিতে। ললিতারা সেখানে তরকারি, পিঠা, চা বিক্রি করে সড়কে। মোটামুটি পরিচ্ছন্ন তাদের খাবার। ফল কেটে বিক্রি করে অনেক ললিতা-জয়া।
আমি এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দ্বীপে বড় হয়েছি, যার চারপাশে বৃহৎ নদীঘেরা। ছোটবেলায় ঝড়ে মেঘনাতে ডুবেছিলাম আমি। সারারাত ঘোর অন্ধকারে সাঁতরে কাটিয়েছিলাম মায়ের সাথে। ললিতা-জয়ার বেঁচে থাকার মাঝে মা আর নিজের বেঁচে থাকার এক চমকপ্রদ ঐকতান খুঁজে পাই আমি। মাকে হারিয়েছি আজ ৭-বছর, তাই পরদিন আবার ললিতার মাটির কাপে চা খাওয়ার প্রবল তাড়নায় হোটেলে থাকতে পারিনা আমি। অনুক্ষণ ক্ষত-বিক্ষত করে আমায় যেন মায়ের হাতের শীতের সকালের চা টেনে নেয় জুহু বিচের ৩-রুপির চায়ের কাপে।
৩-দিন পর হাওড়ার উদ্দেশ্যে যখন বোম্বের ‘কুইন ভিক্ট্রোরিয়া’ স্ট্টেশন ছাড়ে আামাদের বিশালাকায় সর্পিল ট্রেন, তখন প্লাটফরমেের ছুটে চলা হাজারো মানুষের মাঝে কেবল ললিতা আর জয়াদের মুখ ভাসতে থাকে আমার মননে। পৃথিবীর সহস্রাব্দের চিরন্তন নিষ্ঠুরতার মাঝে সর্বত্র ললিতা-জয়াদের এক অনন্ত জীবন সংগ্রামে ব্যাপৃত থাকতে দেখি আমি। ব্যাঙাচির জীবনচক্রের মতো এরা বৈশ্বিক তাড়নায় জেগে থাকে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর, নিঝুমদ্বীপ কিংবা লাক্ষাদ্বীপে। ছুটে চলা ট্রেনে দক্ষিণের বিনম্র ঝাঁঝালো বাতাস আমায় প্রচণ্ড ঝাকুনি দেয়। আর নিউরনের চিন্তার শৃঙ্খলিত খাঁচায় অনুক্ষণ আমার প্রিয় কবি এসে শোনাতে থাকে হৃদ মননের গান, যে গানে দ্রোহ আছে, জীবনবোধ আছে। বোম্বের কুড়লা থেকে হিমগিড়ি পর্যন্ত ভূমিধ্বস ক্ষিপ্রতায় ভারতীয় ইলেকট্রিক ট্রেনের প্রচণ্ড গতিময়তার মাঝেও কবি শোনাতে থাকে আমায়–
“আসুন আমরা আগুন সম্পর্কে বৃথা বাক্য
ব্যয় না করে একটি দিয়াশলাইয়ের কাঠি
জ্বালিয়ে দিয়ে বলিঃ ‘এই হচ্ছে প্রকৃত আগুন ।
মীটসেফ খোলা রেখে, বিড়ালকে উপদেশ দিয়ে
অযথা সময় নষ্ট ক’রে লাভ নেই, আসুন
আমরা মীটসেফের দরোজাটা বন্ধ করে দেই ।’
পুঁজিবাদী শোষণের পথ খোলা রেখে
সম্ভব নয় প্রকৃত মুক্তির স্বপ্ন দেখানো ।
ফুঁটো চৌবাচ্চায় জল থাকবার কথা নয়,
সে বেরিয়ে যাবেই; ওটাই জলের ধর্ম ।
আমাদের ধর্ম ভিন্ন হলেও টাকার ধর্ম একই ।
বুদ্ধিমান কৃষক তাই আগাছা উপড়ে ফেলে সময়মত,
নইলে তার কষ্ট-কর্ষিত জমিতে কি ফলতো ফসল?
পরগাছার আক্রমণ থেকে ফলবান বৃক্ষকে
রক্ষা করতে হয় পরগাছার গোড়া কেটে দিয়ে ।
রক্তচোষা জোঁকের মুখে দিতে হয় থুথু, অথবা চুন,
প্রচন্ড আঘাত ছাড়া
পৃথিবীতে কবে কোন দেয়ার ভেঙেছে?
পরশ্রমভোগী ধনিক শ্রেণীর সর্বনাশ ছাড়া দরিদ্রের
পুষ্টিসাধনের সংকল্প হচ্ছে চমৎকার অলীক কল্পনা ।
সুফল লাভ কি সম্ভব সুকর্ম ব্যতিরেকে?
কিংবা শস্য ভূমিকর্ষণ ছাড়া?
হাতুড়ে বৈদ্য গাংরিন সারাতে চান
ক্ষতস্থানে পুরনো ঘি মালিশ করে,
শিক্ষিত ডাক্তার পরামর্শ দেন অপারেশনের ।
তাতে কিছু রক্তপাত হয় বটে,
হয়তো কেটে ফেলতে হয় কোন প্রিয় অঙ্গ–
কিন্তু ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য ওটা এমন কিছু নয় ।
এর কোনো সহজ বিকল্প নেই । এটাই নিয়ম । cialis new c 100
কথার ফুলঝুড়িতে চিড়ে ভিজানোর ব্যর্থ চেষ্টায়
সময় নষ্ট না করে আসুন আমরা জলের কথাই বলি ।
আজাদ বলছেনঃ prednisone dosage for shoulder pain
পুঁজিবাদী শোষণের পথ খোলা রেখে
সম্ভব নয় প্রকৃত মুক্তির স্বপ্ন দেখানো ।
ফুঁটো চৌবাচ্চায় জল থাকবার কথা নয়,
সে বেরিয়ে যাবেই; ওটাই জলের ধর্ম ।
আমাদের ধর্ম ভিন্ন হলেও টাকার ধর্ম একই ।
শিশিরস্নাত দ্রোহি বলছেনঃ
অপার্থিব বলছেনঃ ampicillin working concentration e coli
লেখা ভাল লাগলো…
শিশিরস্নাত দ্রোহি বলছেনঃ
ধন্যবাদ দাদা
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
silnejsie ako viagraপ্রথমে আমি ট্রেনের ব্যপারে স্মৃতি টুকু বলি, আমি হাওরা থেকে মাদ্রাস স্টেশন গিয়েছিলাম আমরা যে বগিতে উঠেছিলাম সেখান থেকে ট্রেনের শেষ অংশ দেখতে পারি নি এত বড় সেটি।
এবার আসি পুজিবাদের কথায়, পুজিবাদ ছাড়া যে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয় তা কি অস্বীকার করবেন?? online pharmacy in perth australia
বঙ্কিমের বিড়াল গল্পের মত বলতে পারেন সমাজের উন্নতিতে দরিদ্রের কিছু যায় আসে না কারণ তার প্রয়োজন খাদ্যের্। সমাজের উন্নতিতে কেবল ধনীর ধনই বৃদ্ধি হয়। সমাজতন্ত্র সভ্যদের জন্য, আমরা সভ্য নই। আমরা লোক ঠকিয়ে ক্ষেতে যেখানে পছন্দ করি সেখানে সমাজতন্ত্র কায়েমের কথা হাস্যকর্। cialis online australia
শিশিরস্নাত দ্রোহি বলছেনঃ
তবুও আমার বিশ্বাস এ পৃথিবীতে একদিন সাম্যবাদ কায়েম হবে আর সব মানুষ সুখে থাকবে prednisone side effects menopause
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আমার তো মনে হয় মানি ইজ ওয়ান এন্ড অনলী গড…
যাহক লাইন গুলো অনবদ্য