কঙ্কন দাসী
201
বার পঠিতভাটিয়াল মুল্লুকের সদাগর ধনেশ্বর সাধু। যেমন তাহার হাতিশালে হাতি, তেমন তাহার ঘোড়াশালে ঘোড়া। যেমন তাহার ধনরত্ন তেমন তাহার লোকলস্কর। ধনেশ্বর সদাগরের কথা আর কি কহিবো ; দিকে দিকে তাহার নাম। জনে জনে তাহার স্তুতি।
দশ না বচ্ছরের কন্যা কাজলরেখা নাম ।
দেখিতে সুন্দর কন্যা অতি অনুপম ।।
চাইর না বচ্ছরের পুত্র নাম রত্নেশ্বর ।
রত্ন না জিনিয়া তাহার চিক্কণ কলেবর ।।
কন্যা কাজলরেখা আর পুত্র রত্নেশ্বরকে লইয়া সাধুর সংসার। জুয়াতে সব হারাইয়া ফকির হইল সাধু। জুয়াতে হারিয়া সাধু হারাইলো সম্বল, ধনরত্ন হাতীঘোড়া সব হইলো তল। সর্বসম্পদ খুইয়া সাধু ধনেশ্বর পাগল হইবার যোগার। কন্যা কাজলরেখার বিবাহের বয়স আসন্ন। জুয়াড়ি বাপের কইন্যা গ্রহণে ইচ্ছুক পাত্রের বড়ই অভাব। সুপ্রশন্ন হইলো ধর্ম্মমতি শুকপক্ষী। উপদেশ পাইলা সদাগরে, বানিজ্য দিতে হইবে পুব দেশের দিকে। missed several doses of synthroid
পুব দেশেতে যাওরে সাধু হাওর পারি দিয়া।
এক বচ্ছরের ধন খাইবা বারো বচ্ছর বইয়া ।।
অভাব গেলি সদাগরের। নাহ। গেলি না অভাব, গেলি না দুষ্ক। দুষ্কের কথা আর কি করিব বর্ণন, কও কও শুক পাখিরে সাধুর বিবরণ। মরা সোয়ামীর লগে কইন্যার বিবাহ দিতে হইবে ; এই আছে ভাগ্যলিখনে। ভাগ্যের লিপি মানিয়া লইয়া সাধু ধনেশ্বর কন্যা কাজলরেখাকে থুইয়া আসিলো সূচরাজার নিকট । শুনো লো পরাণের ঝি কি কইয়া যাই আমি, সামনে আছে মরা কুমার সেই তোমার স্বামী ।
সাব্বিরের ফোন।
বইটা বন্ধ করে বিরক্তিকরভাবে বেজে চলা ফোনটা রিসিভ করলো ইসরাত। এই অবেলায় সাব্বির ফোন দিয়েছে দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া মানুষটা ফোন দেয় না।
- আমার রাজপুত্রের আজ কি হয়েছে শুনি ?
– রাজপুত্রের মন খারাপ। রাজকন্যার আজ দেখা নাই তাই।
– রাজকন্যা যে তোমার বনবাসে ছিলো। সূচরাজার শরীর থেকে সূচ তুলতে ব্যস্ত। হঠাত কি মনে করে ?
– দেখতে এলাম, প্যারিস হেলেন থেকে রাজকন্যা আমার কাজলরেখায় পৌছেছে কি না
– ঢং রাখ সালা। তর ঢং দেইখ্যা সইলডা জ্বলে
– শুরু করছে ক্যাডা ছুনি? ইসরাত খাতুন, তুমারে আমি ভালা পাই
– মোমেনা খাতুন জানে?
– মোমেনা খাতুন তোর হবু আম্মিজানের নাম।
– ছো হোয়াট?
– ক্যাম্পাসে আয়। বুঝাই তোরে সো হোয়াট
– আইতেসি। খারাইছ
সাব্বির ম্যাথ ডিপার্টমেন্টের পরিচিত মুখ। ইসরাত স্ট্যাটিস্টিকসের। ওদের পরিচয়টা যেনো হতেই হতো। ভালো লাগাটা ভালোবাসায় মোড় নিতে পারে নি এখনো। অথবা কে জানে। পেরেছে হয়তো। বুঝে দুজনই। বুক ফাটে তাও মুখ ফুটে না। কিছু কথা হয়তো বলা যায় না ; বুঝে নিতে হয়। আসলে ওদের সম্পর্কটা এমন এক অবস্থায় আছে, কাছে আসলে অস্বস্তি হয় ঠিকই , দূরে গেলে ডুকরে কান্না আসে। আসলে ইসরাত নিজে ভাবে এমনটাই। কেনো যে ছেলেটা বুঝে না।
– জানিস অর্পি, সাব্বিরকে আমার ভীষণ ভালো লাগে
– বলে ফেলিস না কেনো?
– আরে না। কি না কি ভাবে। বাদ দে
– দ্যাখ ইসিমনি, এসব বাদ দিতে হয় না। এসব ধরতে হয়। না ধরলে হাত ফসকে যায়। posologie prednisolone 20mg zentiva
ধরিলো কাজলরেখা সূইচরাজার হাত
কেমনে কাটিয়া গেলো দিবাগত রাত ।।
ভাগ্য মানিয়া লইয়া সূচরাজার চরণে নিজেরে সমর্পণ করিলো কাজলরেখা। দিন যায় রাত যায়। মরা রাজা নড়ে না। যে হও সে হও প্রভু তুমি ত সোয়ামী, যতকাল দেহ তোমার ততকাল আমি। সেই সে এক মন্দিরে বন্দী কাজলরেখা মুক্তি পাইলো একপক্ষ পরে। সন্যাসী এক। প্রকট তাহার ক্ষমতা। সেই সন্যাসী বর দান করিলা কাজলরেখাকে। সূচ তুলিতে লাগিলো কাজল, কেবল চক্ষুর উপর লাগানো সূচ দুটি ছাড়া। সাত দিন সাত রাত কাজল করিলা পরিশ্রম, সোয়ামীর লাইগা কাজল ছারিলো আশ্রম। আট দিনের দিন কন্যা কেবল চক্ষের সূচ দুটি রাইখা ছান করিবার লাইগা জলের খোজে বাইর হইলো। দেখে এক পুষ্কুনী, ডালিমের রসের মতোন পানি তার। ছান করিয়া কন্যা ফিরিবার পথে, দেখিলো পাষাণ বাপ নিজ কন্যা বেঁচে।
নাম উহার কঙ্কন। কঙ্কনদাসী। পেটের দায়ে পাষাণ বাপ তারে দাসী কইয়া বেঁচতি চায়। ভাবিলো কাজলরেখা, এ কইন্যা আমারই মতোন জনমদুখিনী। কর্ম্মদোষে কাজলরেখা হলি বনবাসী, কঙ্কন দিয়া কিনিল দাই নাম কঙ্কনদাসী। সূচরাজার বিত্তান্ত কহিলো তারে কাজলরেখা। বিত্তান্ত না, যেন নিজের মিত্যু কহিলো। will i gain or lose weight on zoloft
আগে চলে কঙ্কনদাসী পাছে পাছে চায়।
মনেতে অসুরবুদ্ধি ভাবিয়া জোয়ায় ।।
দুই চক্ষের দুই সূচ দুই হস্তে খুলি।
শিরেতে পাতার রস দুই চক্ষে ঢালি ।।
অঙ্গ ঝারা দিয়া কুমার উঠিলো জাগিয়া।
কঙ্কনদাসী কয় , ” কুমার, আমারে করো বিয়া ” ।।
রানি হইলো দাসী আর দাসী হইলো রানি।
কর্ম্মদোষে কাজলরেখা জন্ম অভাগিনী ।।
সারাটা রাত ইসরাত এক মুহুর্তের জন্য ঘুমাতে পারলো না। ফুঁপিয়ে কেঁদেছে। মা শুনে ফেললে সমস্যা। মা এজমা রোগী। মেন্টাল স্ট্রেস নিতে পারে না। একটা ডিএসএলআর এর শখ ছিলো সাব্বিরের। অনেকদিন জমিয়ে গত জন্মদিনে ওকে গিফট করেছিল ইসরাত। এতগুলো টাকা ; অথচ কি যে ভালো লাগতেছিলো ওর। আচ্ছা, সাব্বির কি বুঝেনি? হয়তো।
– কি রে ডাইনি কেমন আছিস? চোখ ফুলিয়ে ঢোল বানাইছস কিল্লাইগা?
– এমনেই। তোর কি খবর ?
– আছি আল্লা খোদার রহমতে। মন খারাপ নাকি রে ইসু?
– না। কিছু না। আচ্ছা সাব্বির তুই আমাকে একটা জিনিস এনে দিতে পারবি?
– না
– ফাইজলামি না। সিরিয়াসলি ক। পারবি ?
– কি জিনিছ?
– শুকপাখি
– চিড়িয়াখানায় যা। পাই যাবি
ইসরাত ফোনটা কেটে দিলো । খুব কান্না পাচ্ছে ওর। half a viagra didnt work
কান্দিতে কান্দিতে কন্যা শিলা যায় গলে।
মরা স্বামী ধোয়ায় কইন্যা আক্ষির জলে ।।
কাজলরেখায় মুগ্ধ সূচরাজার কাছে কঙ্কনদাসী মিথ্যা অভিযোগ করিলো। কাজলরেখা অসতী। অসচ্চরিত্র। ভ্রান্ত রাজা কাজলরেখাকে নির্বাসিত করে। ভাই রত্নেশ্বর সেথা কন্যাকে উদ্ধার করিয়া লইয়া আসে। মাটিতে ন থুই , আকাশে ন থুই, থুইলাম হৃদয়ে ; এত সোহাগের সোয়ামী মোর দাসীর দিব্যি ধরে। তবু ভাগ্যলিপি খন্ডানো যায় না। ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন। সময়ের সাথে সাথে সূচরাজা নিজের ভুল বুঝিতে পারে এবং কাজলরেখাকে গ্রহণ করে।
আছে কি মইরাছে কইন্যা সূইচ রাজায় না জানে।
আবুড় হইয়া কান্দে রাজা সভার বির্দ্দমানে ।।
- আমি তো কাজলরেখা না। সাব্বির তো সূচরাজা না। তাহলে তোকে কঙ্কনদাসী হতে হবে কেনো অর্পি ?
– কি যা তা বলছিস? কাজলরেখা কে ? আমি কিসের দাসী না কি যেনো বললি?
– সাব্বিরের সাথে তোর কি সম্পর্ক ?
– অদ্ভুত প্রশ্ন করবি না ইসরাত। তোর ফালতু প্রশ্নের জন্যে আমার কোনো সময় নেই।
বলেই পাশ কাটিয়ে হেটে চলে গেলো অর্পি। ইসরাতের মুখে হালকা একটা হাসি। আমি কাজলরেখা না হলেও তুই কঙ্কনদাসী হয়ে গেলি অর্পি। কঙ্কনদাসীর পরিণতি তুই ভোগ করবি। সে ব্যবস্থা আমি করে ফেলেছি।
চাইয়া দেখো কঙ্কনদাসী পরীখায় লুকাইয়া।
শত্রুরাজার ভয়েতে আবরু অলঙ্কার ছুপাইয়া ।।
মিত্যু হইলা কঙ্কনদাসী মাটি চাপা পইরা ।
জন্মদুঃখী কাজলরেখার কেচ্ছা হইলা সারা ।।
synthroid drug interactions calcium
( কৃতজ্ঞতাঃ কাজলরেখা, মৈমনসিংহ গীতিকা ) cialis new c 100
আজাদ বলছেনঃ
চাইয়া দেখো কঙ্কনদাসী পরীখায় লুকাইয়া।
শত্রুরাজার ভয়েতে আবরু অলঙ্কার ছুপাইয়া ।।
মিত্যু হইলা কঙ্কনদাসী মাটি চাপা পইরা ।
জন্মদুঃখী কাজলরেখার কেচ্ছা হইলা সারা ।।