চে গুয়েভারা এবং একজন বিস্মৃত বীরের গল্প…
1342
বার পঠিতহোমপেজে হঠাৎ একটা ছবি আসলো, চে গুয়েভারার। নিচে বিশাল ক্যাপশন, চির অমর তুমি হে মৃত্যুঞ্জয়ী বীর। পোস্টদাতা আমার এক বন্ধু, লাল টুপী পইড়া ঘুইরা বেড়ায়, বিপ্লব চাই বিপ্লব চাই চিৎকারে দুনিয়া কাঁপায়া। ইনবক্সে নক দিলাম, দোস্ত কি খবর?
— লাল সালাম দোস্ত, কেমন আছস?
—ভালো। ইয়ে মানে, দোস্ত হায়দারের নাম শুনছস?
—কোন হায়দার? ওই যে হিন্দি মুভিটা? শহীদ কাপুর তো পুরাই জোসসসসস…
—নাহ। আমাগোর হায়দার। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর এসজিএস কমান্ডো ছিল, ৭১রে গেরিলাযুদ্ধের সংজ্ঞাই পাল্টায়া দিছিল…
— নাহ, চিনতে পারলাম না। এতো পুরান ঘটনা…
৬৫’ সালে আর্মিতে যোগ দিছিল মুক্তো, মায়ের খুব আদরের পোলা ছিল। সেই বছরই ট্রেনিং শেষ কইরা কমিশন পাইছিল, গোলন্দাজ বাহিনীর অফিসার হিসেবে পোস্টিং হইছিল মুলতানে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাজার হাজার সেনারে টপকায়া অসীম সাহস, অসাধারন দক্ষতা আর বুদ্ধিমত্তা দিয়া কয়েকবছরের মধ্যেই একটা বারুদ হিসাবে নিজেরে প্রমান করছিল সে। তাই তারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সবচেয়ে কঠিনতম আর সেরা ট্রেনিং স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ( এসজিএস) এর জন্য মনোনীত করা হয়। আজব পাবলিক ছিল, বুকে সামান্যতম ভয়ডর ছিল না। প্যারাট্রুপারস আর সারভাইভাল ট্রেনিংয়ে হাজার হাজার ফুট উপ্রে থেইকা লাফ দিতে হইত, পাকিস্তানী অফিসারগুলা প্লেন থেকে ঝাপ দেওয়ার আগে ভয়ের চোটে চোখ বন্ধ কইরা কাইন্দা দিত। আর সেইটা দেইখা তো এই পোলা হাসতে হাসতে খুন। “ দেখো, আমরা বাঙ্গালী। ভয় জিনিসটা পাইতে শিখি নাই। আমরা চোখ খুইলাই লাফ দেই।“ কথা শেষ হওয়ার আগেই লাফ দিছে সে, হাসতে হাসতে বাতাসে উড়তেছে…
মেজর খালেদ মোশাররফের নির্দেশে ঢাকা থেইকা পোলাপান মতিনগর আসছে, ট্রেনিং নিব, যুদ্ধে যাইব। ব্রিফিং শেষে খালেদ একটা শক্ত চেহারার ভাবলেশহীন মানুষের সাথে পরিচয় করায়া দিলেন। বাঁ হাত্র ভাঙ্গা, স্লিঙ্গে ঝুলতেছে। আজকে থেইকা ইনিই তোমাদের গেরিলা ট্রেনিং দিবেন, ইনার নাম ক্যাপ্টেন এটিএম হায়দার, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর এসজিএস কমান্ডো। দড়ির মত পাকানো শরীর, ঠাণ্ডা, শান্ত দৃষ্টির মধ্যেও গনগনে ভাটার আগুন টের পাওয়া যাইতেছে। সিংহ হৃদয় ছিল মানুষটার, খুব দ্রুত আপন কইরা নিতেন সবাইরে। একেবারে বিজন পাহাড়ে জঙ্গল কাটা, তাবু তৈরি, খাওয়া দাওয়ার কষ্টকর ব্যবস্থা থেকে শুরু কইরা হাড়ভাঙ্গা ট্রেনিং– সবসময় সামনে খালি একজনরেই দেখা যাইতেছে, ঠিক ট্রেনের ইঞ্জিনের মত, ক্যাপ্টেন হায়দার নাম। ব্যক্তিত্বের পারফেকশনে কড়া শিক্ষককে ট্রেনিংয়ের সময় বাঘের মতো ভয় পাইত সবাই, কিন্তু যখন কেউ হঠাৎ কইরা কিছু একটা শিখা ফেলতো, কইরা দেখাইত নিখুঁত ভাবে, তখন তৃপ্তির একটা হাসি ফুইটা উঠত তাঁর মুখে, পিঠ চাপড়ায়া বলতেন, ওয়েল ডান, বয়,ওয়েল ডান। ব্যস, সব রাগ-অভিমান ভ্যানিশ।
ট্রেনিং শেষে গেরিলাদের প্রথম দলটা ঢাকায় যাইব, মেজর হায়দারের দিকে আর তাকানো যাইতেছে না। বিষণ্ণ চোখে বিদায় দিলেন, ভালমতো বইলা দিলেন ক্যামনে কি করতে হইব। আর এই ১৭ টা গেরিলাই কাঁপায়া দিল পুরা ঢাকা শহর। এশিয়ার সেরা যুদ্ধবাজের দাবীদার আর হাজার হাজার প্রশিক্ষিত আধুনিক সোলজার নিয়া গড়া হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী হঠাৎই উইড়া আসা গ্রেনেড আর আঁতকা অ্যামবুশে পড়ার ভয়ে ইন্দুরের বাচ্চায় পরিনত হইল, ১৯-২০ বছর বয়েসি কয়েকটা তারছিঁড়া পোলা মিল্লা নাকানিচুবানি খাওয়াইল পাইক্কাগুলারে। খালেদ তো প্রথমেই ক্ষেইপা গেছিলেন, দিজ আর অল ক্র্যাক পিপল… সামান্য ভয় ডর নাই। একেকটা অপারেশনের খবর পান আর বাচ্চা পোলাপানের মত খুশি হইয়া উঠেন মানুষটা, গর্ব কইরা বলেন খালেদরে, এইবার কিন্তু ওদের অস্ত্রের চালানটা বারায়া দিতে হইব। ২৯শে আগস্টের খবরটা একটু অন্যরকম ছিল। ফতে আলি চৌধুরী যখন অসম্ভব বিমর্ষ গলায় কইল, সব শেষ হয়ে গেছে স্যার। সব শেষ হয়ে গেছে। রেইড হইছিল, ওরা সবাই ধরা পড়ছে, কিছুক্ষন চায়া থাকলেন ফতের দিকে। তারপর হঠাৎ তারে পাওয়া গেল তার রুমে, পাথরকঠিন লৌহমানব বালিশটা মুখে গুঁইজা হাউমাউ করে কাদতেছেন, মাই বয়েজ… মাই বয়েজ…
পরের দিন অবশ্য তারে পাওয়া গেল সেই পুরাতন ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, সেই কড়া টিচাররে, আরবান গেরিলাদের ট্রেনিং দিতেছেন। কে বলবে, গতকাল তার অতি আপনজনেরা ধরা পড়ছে, তাদের আর বেঁচে ফিরে আসার সম্ভাবনা নাই। সেই পুরান ভাবলেশহীন হায়দার, লৌহমানব। আমার আপনজন পাইক্কাগুলার হাতে ধরা পড়ছে, অকল্পনীয় টর্চার চলতেছে, আর ফিরে আসবে না, তাতে কি হইছে? শো মাস্ট গোয়িং অন…
জীবনে কোনদিন নিজের কথা ভাবে নাই সে, প্রানের মায়া করে নাই কখনই। ৭ই নভেম্বর জিয়ার নির্দেশে যখন মেজর জলিল আর আসাদ তারে ব্রাশফায়ার করতেছে, তখনো চোখে সেই পুরান দীপ্তি, সেই অমিত তেজ। সেক্টর টু য়ের হাজার হাজার গেরিলারে নিজের হাতে তৈরি করছে, অমিত বীর যে সোলজারদের কাছে একিলিস- হেক্টরও খুব তুচ্ছ ছিল। ৪৩ বছর পর আজকে প্রজন্ম চে গুয়েভারারে পূজা করে, মেজর হায়দাররে চেনে না। ৪৩ বছর পর আজকে মৃত্যুঞ্জয়ী বীর চে, হায়দার কেবল পুরান ইতিহাসমাত্র…
১২ই জানুয়ারি মেজর হায়দারের জন্মদিন। মেজর হায়দার কে ছিল? মেজর হায়দার ছিল এমন এক বীর, মৃত্যু যারে একবিন্দু ম্লান করতে পারে নাই। মেজর হায়দার বেঁচে আছে হাজারো মৃত্যুঞ্জয়ী বীরের মাঝে, তাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে, থাকবে চিরকাল… অবিনশ্বর হয়ে…
শুভ জন্মদিন হে মৃত্যুঞ্জয়ী বীর, শুভ জন্মদিন…
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
শুভ জন্মদিন মুক্ত, শুভ জন্মদিন হে মৃত্যুঞ্জয়ী বীর…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
শুভ জন্মদিন…
rajesh paul বলছেনঃ
১২ ই জানুয়ারী অস্তমিত হয়েছিল সূর্যসেনের সূর্য।আর এ দিনেই বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল হায়দার নামের আর এক সূর্য।আজ আমরা অনেকেই তাদের দুজনকে ভুলে গেছি।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
প্রজন্ম আজ চে গুয়েভারা আর লেলিনের পূজা করে, হায়দার কিংবা সূর্যসেনদের মনে রাখার সময় কই? প্রজন্ম বড়ই অদ্ভুত… বড়ই বিচিত্র…
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
প্রজন্ম আজ চে গুয়েভারা আর লেলিনের পূজা করে, হায়দার কিংবা সূর্যসেনদের মনে রাখার সময় কই? প্রজন্ম বড়ই অদ্ভুত… বড়ই বিচিত্র… rx drugs online pharmacy
বিদেশী ব্রান্ড বলে একটা কথা আছেনা? এই ধরণের পুলাপাইনের লাল সেলামের উপর আমি ইয়ে করি।
কেষ্ট বাবু বলছেনঃ
লাল সেলাম চে গুয়েভারা । শুভ জন্মদিন। zithromax trockensaft 600 mg preis
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
শুভ জন্মদিন কি চে গুয়েভারারে জানাইলেন নাকি কেষ্ট সাব?
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
scary movie 4 viagra izleকেষ্ট বাবু আপনি লেখাটা না পড়েই মন্তব্য করলেন নাকি !! আফসোস…
আপনারে ঠিক কিভাবে সম্মানিত করবো বুঝতেছিনা জনাব।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
চেগুর মুরিদরে লাল সালাম… লাল সালাম…
চারুলতা বলছেনঃ
তিনি কার জন্মদিন পাইলো?
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
তিনি চেগুর সৈনিক। তাঁরে একটা লাল টুপি দ্যান…
চারুলতা বলছেনঃ
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
চেগু নামটা পছন্দ হলনা।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
বেচারা শিরোনামে তার পীর ‘চে’র নাম দেইখাই হাঁটু গাইড়া লাল সালাম দেওয়া শুরু করছে…
বিনুদুনের একশেষ…
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
শুরুতে চেগুর নাম। আর শেষে শুভ জন্মদিন দেইখাই সালামে লালে লাল হয়া গেছে বেচারা। এত পীর মানে কিন্তু এইটাই জানে না কবে উনার জন্মদিন
তারিক লিংকন বলছেনঃ
কেষ্ট বাবু বলছেনঃ
আফনেরা দেহি আজাইরা আছেন? জন্মদিনের শুভেচ্ছা মেজর হায়দাররে জানাইলাম আর আপনেরা কি কি কল্পনা কইরা নিলেন? ঠিক কইরা কন দেহি মেজর হায়দারের জন্মদিন না? চে রে লাল সেলাম জানাইছি দেইখা আতে ঘা লাগছে? যেই হায়দার মোশার্ফ আর রুমিগোরে নিয়া এহন ফালা ফালি করেন তারাও কিন্তু চে লেলিনগোরেই গুরু মানতো। নতুন নতুন ইতিহাসবীদ হইলে যা হয় আরকি?
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ
প্রজন্ম আজ চে গুয়েভারাকে নিয়ে মাতে কারণ উনাকে সেভাবেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা ক্যাপ্টেন হায়দার আর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে নিয়ে ফ্যান্টাসাইজ করার আগে চে’কে চিনি, তাঁর বীরত্বগাঁথা পড়ি। তাঁকে আন্দোলনের প্রতীক মনে করি। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে সবসময়ই চলেছে ধামাচাপা দেওয়ার তৎপরতা। সেই ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই দুর্যোগ। কীভাবে প্রজন্ম জানবে এসব কাহিনী?
এখন আমি জানি যে, ইতিহাস কবরে পাঠানোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিস তোরা। তোদের গবেষণার কারণে বেরিয়ে আসছে হাজার হাজার ঘটনা যেগুলো চে’র বিপ্লবের চেয়ে কোন অংশে কম রোমহর্ষক নয়! তাই আমি এটাও জানি, ধীরে ধীরে এসব কাহিনী গ্রাস করবে নতুন প্রজন্মকে। তারা তখন মেতে উঠবে আমাদের বীরদের নিয়ে। তখন বাঙালী বীরদের পাশাপাশি তারা মাতবে অন্য বীরদের নিয়ে… viagra masticable dosis
চারুলতা বলছেনঃ
আপুর সাথে একমত।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
সহমত নির্ঝর আপুর সাথে…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
রুথ আপু, ৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা অপরাধ ছিল, সেটা মেনেই বলছি, তারপরও কথা থেকে যায়। নতুন প্রজন্ম কিন্তু অন্ধকার যুগে বাস করে না আপু, নতুন প্রজন্ম বাস করে তথ্যপ্রযুক্তির সুপার ফাস্ট দুনিয়ায়। গুগল নামের একটা আলাদীনের চেরাগ আছে তার হাতের কাছে , ২৪ ঘণ্টা। তারপরও যদি সে লেলিন আর চে গুয়েভারারে পূজা করে সর্বক্ষণ, তাহলে কেমন লাগে বলো তো?
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
উপ্রে এইরকম একখানা মন্তব্য দেখবার পর আফসোস লাগতেছে খুব। প্রজন্ম চেগুরে লাল সালাম দেয়, কিন্তু আমাদের মৃত্যুঞ্জয়ী বীরদের চেনে না। এইসব আবাল প্রজন্ম নিয়া জাতি কি করিবে জানতে ইচ্ছে হয় আরকি…
শুভ জন্মদিন হে মৃত্যুঞ্জয়ী বীর, শুভ জন্মদিন…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
অপোগণ্ড প্রজন্ম কেবল আরও অপোগণ্ডের জন্মই দিয়ে যাইতে পারে, আর কিছু পারে না। আর কি হবে, কেবল আপডেটেড অ্যাসহোল বাড়বে আর কি…
রাজু রণরাজ বলছেনঃ
আপনার এই সিরিজের যতোটা পোষ্ট পড়ি বিশ্বাস করুন গায়ে কাঁটা দেয়!… ধন্যবাদ ডন ভাই, ভুলে যেতে বসা বীরদের আবারো প্রজন্মের কাছে পরিচিত করে তোলার জন্য।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
নিজের জায়গা থেকে দায়িত্বটুকু পালনের চেষ্টা করি মাত্র রাজু ভাই, এর বেশি কিছু না… পড়বার ও জানবার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা…
অপার্থিব বলছেনঃ
এই তথ্যটি ঐতিহাসিক ভাবে প্রমানিত নয়। ৭ই নভম্বরের সময় জিয়া গৃহবন্দী ছিল। ঐ সময় তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের নামে হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছিল কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে থাকা সেনাবাহিনীর একটি অংশ। কাজেই এই হত্যার দায় কর্নেল তাহেরের উপর বর্তায়। লে জে মাহবুবুর রহ মানের এক সাক্ষাতকারে পড়েছিলাম জিয়াকে যখন গৃহ বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করা হয় তখন তার প্রথম উক্তিটি ছিল “সেভ খালেদ”। জিয়া ও খালেদ মোশারফ পরস্পরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও তাদের মধ্যে পারষ্পরিক শ্রদ্ধা ছিল। একারনেই ৩ ই নভেম্বর খালেদ অভ্যুথান করলেও জিয়াকে হত্যা না করে গৃহ বন্দী করেছিল।অবশ্যই জিয়া ধোয়া তুলসি পাতা নয়, সেও কর্নেল তাহের সহ বহু অফিসার হত্যার সঙ্গে জড়িত, এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়টিও সে আগে থেকেই জানত। কিন্ত বাংলাদেশের রক্তাত্ত সামরিক রাজনীতির সব দায় তার উপর বর্তায় না।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
অপার্থিব, তথ্যটা জিয়ার ব্যাচমেট এবং ৭৫ সালে ঢাকার লগ এরিয়া কমান্ডার কর্নেল হামিদের” তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা” এবং মেজর হায়দারের হাতে সরাসরি ট্রেইনড সোলজার বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলামের লেখা “মুক্তিযুদ্ধে মেজর হায়দার ও তার বিয়োগান্তক বিদায়” বইটা থেকে পাওয়া। জহিরুল স্যার বইটায় স্পষ্ট পরিকস্কার করে দিছেন, কিভাবে ৭ই নভেম্বরের ক্যুতে জিয়া মুক্ত হবার পর তার পথের কাঁটা খালেদ, কর্নেল হুদা আর কর্নেল হায়দাররে শেষ করে দেওয়ার প্ল্যান করে। শেখ মুজিব আর জাতীয় চার নেতারে হত্যা করে দেশটারে আবার পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনা যখন ফাইনাল, তখন শেষ ভরসা হিসেবে খালেদ মোশাররফ মার্শাল ল জারি করে খুনি বেঈমান মুশতাকের হাত থেকে ক্ষমতা নেন। খালেদ তখন একটা মারাত্মক ভুল করেন। তিনি বেঈমান জিয়াকে হত্যা না করে তাকে গ্রেফতার করেন। এদিকে কর্নেল তাহের তার বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ৭ই নভেম্বর খালেদের বিরুদ্ধে ক্যু করে জিয়াকে মুক্ত করে আনেন। এইটাই ছিল তাহেরের জীবনের সবচেয়ে বড় এবং অমার্জনীয় ভুল। তিনি চেয়েছিলেন জিয়ার মাধ্যমে তার স্বপ্ন সফল করতে। কিন্তু মনে প্রানে পাকিস্তানী জেনারেল জিয়াউর রহমান ঠিক সেইটাই করে, যেটা একজন পাকিস্তানী করবে। জিয়া মুক্ত হয়েই সবার প্রথমে মেজর জ্বলিল আর মেজর আসাদকে ডেকে নিয়ে যায়, তারপর মেজর জ্বলিলকে খালেদ, হায়দার আর হুদাকে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। কেননা বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে এই তিনজন বীরই জিয়ার সামনে লাস্ট রেজিস্ট্যান্স ছিলেন। মেজর জ্বলিলকে খালেদ প্রানে বাচাইছিলেন ৭১রে, তার প্রতিদান সে দিল খালেদকে ব্রাশফায়ার করে। মারা গেলেন আরও দুই বীর সেনানী, তাহের তার অমার্জনীয় অপরাধের মাশুল দিলেন জিয়ার নির্দেশে দেশদ্রোহিতার অপরাধে ফাঁসীতে ঝুলে… কি আশ্চর্য…
সভব হলে বইটা জোগাড় করে পড়ে নেবেন, সেখানে আরো কিছু নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স দেওয়া আছে তার এই তথ্যের স্বপক্ষে। এবং আমার জানামতে জহিরুল ইসলাম একজন নির্বিরোধী বিজ্ঞানী, কোন রাজনৈতিক দল কিংবা মতের সাথে তার যোগাযোগ নেই…
অপার্থিব বলছেনঃ
ঠিক আছে জহিরুল ইসলামের লেখা “মুক্তিযুদ্ধে মেজর হায়দার ও তার বিয়োগান্তক বিদায়” বইটি পড়ে নেব।
যদিও এটা অনেকটাই অমীমাংসিত বিষয়, নানা জনের নানা মত থাকবে।তারপরও দেখা যাক উইকিপিডিয়ায় এ বিষয়ে লেখা আছে
আপনার উল্লেখ করা কর্নেল হামিদের” তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা” বইয়ে খালেদ মোশারফ হত্যা নিয়ে আমি কিন্ত সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য পেয়েছি। সরাসরি উদ্ধৃত করছি
এছাড়া আন্থনি মাস কারেনহাস তার Blood of Legacy বইয়ে লিখেছেন malaria doxycycline 100mg
আপনার এই উক্তিটি পুরোপুরি রাজনৈতিক বক্তব্যের মত শোনায়। এটি নিয়ে তাই আলোচনা করা অর্থহীন। তবে একটা কথা বলতে চাই ইতিহাসে যার যেটুকু অবদান আছে সেটা স্বীকারের মাঝে কোন অগৌরব নেই বরংইতিহাসের প্রতি কিছুটা দায় শোধের ব্যাপার থাকে।
অপার্থিব বলছেনঃ
ventolin spray precio mexicoদুঃখিত আন্থনি মাস কারেনহাসের বইটির নাম হবে “A Legacy of Blood”. তাড়াহুড়ো করে টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়ে গেছে।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ does enzyte work like viagra
৭৫রে এবং ৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়ার আচরনে তাকে আপনার কি মনে হয়? সে কি একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাসী বাঙ্গালী ছিল? রাজাকারদের বিচারপ্রক্রিয়া স্তব্ধ করে সসম্মানে তাদের জেল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিয়েছিল কে? জাতির জনকের হত্যার পেছনে তার গ্রীন সিগন্যাল, জাতীয় চার নেতাকে সরিয়ে দিতে মুশতাকের সাথে যোগসাজশ, খালেদ এবং তাহেরের মত অসামান্য বীরদের সরিয়ে দিয়ে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা— একজন পাকিস্তানী এজেন্টের পক্ষেই কেবল নিজের মিশন সাকসিড করতে এগুলো করা শোভা পায়। তারপরও আপনি একে রাজনৈতিক বক্তব্য বলবেন?
অপার্থিব বলছেনঃ
দেখুন সামরিক ও বেসামরিক উভয় শ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রাজনৈতিক দলাদলি , বিভেদ ছিল সুস্পষ্ট। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ কেউ ছিল আর্থিক ভাবে অসৎ ,কেউ ছিল উচ্চাভিলাষী ,ক্ষমতা লোভী। সামরিক বাহিনীর কিছু অফিসারের মধ্যেও পেশাগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল প্রকট।দেশ স্বাধীন হবার প্রবল আবেগে অনেকে সেসব বিভেদ ক্ষণিকের জন্য ভুলে গেলেও সেসবের দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব পড়েছে পরবর্তীতে। ৭৫ ও ৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনায় আমরা তাই সেসবেরই প্রভাব দেখি। সে সময়ের প্রধান চরিত্র ও ইতিহাসগুলোকে আসলে সাদা ও কালো এই দুই শ্রেণীতে শ্রেণিবিভাগ করা যায় না । নির্মোহ দৃষ্টিতে বিশ্লেষন করলে দেখা যায় যে সে সময়ের বিভিন্ন ঘটনার আসলে কেউই কোন নায়ক নয় আবার কেউই প্রকত ভিলেনও নয়। ঊদাহরন হিসেবে বলা যায় জিয়ার মত কর্নেল তাহের ও খালেদ মোশাররফ দুজন ই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়টি আগে থেকেই জানত। কিন্ত তারাও এই ব্যাপারে কোন ব্যাবস্থা নেয় নি। তবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই ৭৫ ও ৭৫ পরবর্তী নানা ঘটনার সবচেয়ে বড় সুবিধা লোভী ছিল জিয়াউর রহমান। কঠোর হাতে দেশ শাসন ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত তারও শেষ রক্ষা হয় নি। তাকেও অন্য এক অভ্যুত্থানে প্রাণ দিতে হয়। এটাই ইতিহাসের নির্মম বিচার। আর পাকিস্তানের প্রতি জিয়ার সহানুভুতি থাকলেও একই সঙ্গে ভারতের সাথেও জিয়ার যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক ছিল । কাজেই বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হবে আঞ্চলিক ও বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটা কল্পনা করা ছিল প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। জিয়ার মত ঝানু লোক সেটা জানত(ধরেই নিলাম যে জিয়া বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করতে চেয়েছিল) ।অবশ্যই ক্ষমতায় থাকাকালে জিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য জিয়ার তীব্র সমালোচনা করা যায় কিন্ত তাতে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনায় তার অবস্থান কে ছোট করা যায় না । ভাল খারাপ মিলিয়ে ইতিহাসে তার একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। যদি এটা অস্বীকার করা হয় কিংবা তাকে পাকিস্তানের চর বলা হয় তাহলে সেটা সত্যিকারের ইতিহাস থেকে অনেক দুরের কোন অবস্থান।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
রাজাকারদের বিচার বন্ধ করে তাদের সসম্মানে জেল থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনবার ব্যবস্থা করা, গোলাম আজমকে পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে এই দেশে ঢুকতে দেওয়া , তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা এই বাঙলার মাটিতে থাকার ও পাকিস্তানী নিয়মে জামায়াতে ইসলামীকে পুনর্গঠন করে আবার এই দেশে পাকিস্তানী ভাব্ধারা ফিরিয়ে আনতে অকুণ্ঠ সাহায্য করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার তো দূরে থাক, হত্যাকারীদের বিভিন্ন দেশে অ্যাম্বাসেডর বানিয়ে পুরস্কৃত করা, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ইনডেমনিটির ব্যবস্থা— এই সব কিছুই কি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত? এমন ভয়ংকর দেশদ্রোহিতাকে আপনি জাস্ট রাজনৈতিক ব্যাপার-স্যাপার বলা এতো সহজে এড়িয়ে গেলেন? বাহ…
অপার্থিব বলছেনঃ
viagra generico prezzo farmaciaজিয়ার হাজার দোষ থাকতে পারে কিন্ত এটিও সত্য যে অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতা দখল করে হলেও জিয়া কয়েক বছর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিল এবং মোটামুটি সফল একজন শাসক ছিল । মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে সৌভাগ্য বশত হলেও জিয়ার যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে এই বিষয়ে অধিকাংশ ঐতিহাসিক একমত হবেন নির্মোহ দৃষ্টিতে বিশ্লেষন করলে। আর আমি বি এন পি বা জিয়া ভক্ত কেউ নই যে এখানে জিয়ার প্রতিটি অপকর্মের সাফাই গাইব কিংবা জিয়ার অপকর্ম জাষ্টিফাই করতে ৭৫ পূর্ব আওয়ামী সরকারের অপকর্মের ফিরিস্তি গাইব ।জিয়া যে বীর উত্তম খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা তা মনে করিয়ে দিয়ে সহানূভুতি আদায়ের কোন চেষ্টা করার ইচ্ছাও আমার নাই । এই জাতীয় রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তর্ক করাই আমার কাছে অর্থ হীন বলে মনে হয় ।দুঃখিত। তবে সবচেয়ে দুঃখ লাগে যখন ক্ষমতার সাথে সাথে দেশের ইতিহাসও পরিবর্তিত হয়ে যায়। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ভিলেন বানিয়ে সবাই নায়ক হতে চায়। জিয়ার হাতে তাহের নিহত হওয়ায় আজ তাহের অনেকের কাছেই হিরো কিন্ত এই তাহেরও একজন কট্টর বঙ্গবন্ধু বিরোধী ছিলেন। সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে বঙ্গ বন্ধু সরকার পতনের পরিকল্পনা তারও ছিল।
আপনার শেষ মন্তব্যে একটা ত্রুটি আছে। ইনডেমনিটি আদেশ জারি হয় ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর
কাগজে কলমে হলেও তখন মুশতাকের নেতৃত্বে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায়(যদিও মুল ক্ষমতা ছিল ফারুক গং দের হাতে)। জিয়া তখনো ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে। কাজেই ইনডেমনিটি আদেশ জারির দায় তার উপর বর্তায় না তবে বঙ্গ বন্ধুর খুনিদের বিদেশে চাকরী দেওয়ার দায়ে সে দোষী ।
তারিক লিংকন বলছেনঃ clomid and metformin success stories 2011
আমি বলবো বিষয়টি বেশী সরলীকরণ হয়ে গেছে। আমরা রোনালদো মেসিকে নিয়ে মাতি এমনকি মারামারিও করি অথচ আমাদের সাকিবকে নিয়ে গর্ব করি না। এইটার সাথে বিষয়টি তুলনীয় হতে পারে কিন্তু ‘চে গুয়েভারার সাথে এটিএম হায়দারের তুলনা দুজনকেই ছোট করছে’!! কেননা জাতীয় পর্যায়ে আমাদের কাছে অবশ্যই অতি অবশ্যই চে থেকে হায়দার অনন্য এবং অসামান্য কিন্তু স্থায়িত্ব এবং ব্যাপকতায় চে স্বমহিমায় বিশ্ব রাজনীতিতে অবিনশ্বরও!!!
ব্যাপারটা অনেকটা রবীন্দ্রনাথের সাথে নজরুলের তুলনার মত। নজরুল বাঙলার পটভূমিতে হয়তো সর্বদা সমসাময়িক কিন্তু বিশ্ব সাহিত্য সেই মাপের কিছু না কিন্তু রবীন্দ্রনাথ গোটা বিশ্বের আরাধ্য। সো সবকিছুর এতো সরলীকরণ করা ঠিক না এতে উভয়ের মর্যাদার হানী হয়। বিশ্ব রাজনীতিতে এই উপমহাদেশে এমএন রয়, গান্ধী কিংবা বঙ্গবন্ধুর ধারে কাছেও কেউ নেই এদের নামই কেবল চে’র সমপর্যায়ে উচ্চারিত হতে পারে।
আমাদের ব্যর্থতা আমরা আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের ব্র্যন্ডিং না করে আগেই বিশ্বের জিনিস নিয়ে লাফালাফি করতেছি সে জন্যেই আমরা আমাদের ইতিহাস – ঐতিহ্যকে ধারণ করতে পারি নি। এজন্যে চে- ক্যাস্ট্রো-টিটু-লুথার কিংকে কঠাক্ষ করা নির্বুদ্ধিতা।
আমি ডনের এবং ফাতেমার ‘চেগুর’ বলে চে’কে ছোট করার মত অবিচক্ষণ মনে করি না। আশাকরি নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন। অনন্য এবং অসামান্য মুক্তিযোদ্ধা মহান এটিএম হায়দারকে বড় করার জন্যে তাঁদের কাউকেই ছোট করতে হয় না নিজের মনটাকে বড় করলেই হয়…
ধন্যবাদ…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
গত দুই দিন ধরে ভাবতে ভাবতে মাথার সবগুলো চুল ছিঁড়ে ফেলার দশা, কিন্তু এখনো বুঝলাম না, কিভাবে এবং কোথায় আমি চে গুয়েভারার সাথে মেজর হায়দারের তুলনা করলাম…
চে গুয়েভারার জায়গা পৃথিবীর ইতিহাসে অমলিন, তার দর্শন অবিনশ্বর, তাকে মেজর হায়দারের সাথে তুলনা করে দুইজনকেই ছোট করার মত বাতুলতা আমি সজ্ঞানে দেখাব না, এদ্দুর বিশ্বাস আমার আছে। উপরোক্ত লেখায় আমি যা লিখেছি, তার প্রত্যেকটা শব্দ বর্তমান প্রজন্মের কিছু আপডেটেড পিস অফ শিটকে লক্ষ্য করে লেখা। মাই পয়েন্ট ইজ, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি আমার নিজের শেকড় চিনতেছি, অসীম আত্মত্যাগ আর অতুলনীয় বীরত্বে যারা ভোর এনেছিল,স্বাধীনতা কিনে এনেছিল পরাধীন জাতির জন্য,তাদের কথা না জানতেছি, ততক্ষন পর্যন্ত চে গুয়েভারা দূরে থাক, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরে নিয়া মাথায় তুইলা নাচাও আমার শোভা পায় না। চে গুয়েভারা মহান মানুষ, সন্দেহ নাই। কিন্তু আমি মেজর হায়দাররে পুরান ইতিহাস বইলা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করব আর চে গুয়েভারারে মাথায় তুইলা নিয়া নাচব, ব্যাপারটা কেমন হয়া গেল না? মজার ব্যাপারটা হইতেছে, যারা চেরে নিয়া লাফায়, তাদের শতকরা ৯০ ভাগ জানেই না, চে কে ছিল, কি ছিল, চের দর্শন কি ছিল… অথচ মেজর হায়দারের কথা বলতে গেলেই পুরান ইতিহাস বইলা নাক সিটকায় আর লাল সালাম দেয় চেরে… লিংকন ভাই, এই যদি হয় নতুন দিনের বিপ্লবীদের অবস্থা, তাইলে আমি স্পষ্ট কইরা আমার অবস্থান জানায়া দেই। চে গুয়েভারা অনেক অসাধারন এক ব্যক্তিত্ব হইতে পারেন, কিন্তু আমি সবার আগে চিনতে চাই মেজর হায়দাররে, গর্ব কইরা বলতে চাই, মেজর হায়দার আমার আইডল, আমার অনুপ্রেরনা, কুলনেস বলতে আমি মেজর হায়দাররেই বুঝি। চে রে নাহয় পরে সময় পাইলে চিনুম নে, কেমন?
তারিক লিংকন বলছেনঃ
viagra sildenafil genericমানুষ যখন একটি বিপদ থেকে মুক্তি পেয়ে যায় তখন সামনের বাধা থেকে মুক্তির কথা ভাবে। আপনি বলতে পারবেন কেন ২০১৩ সালে এসে আবার আমরা ১৯৭১ এর চেতনা নিয়ে সবাই উঠেপরে লাগলাম কারণ সেই বিপদে আমরা আবারো পরতে যাচ্ছিলাম। ব্যাপারটা অনেক ব্যাপক এবং বিভ্রান্তিকর!! কিন্তু চে গুয়েভারা যে মুক্তির কথা বলেছেন সেটা কোন আঞ্চলিকতা বা জাতীয়তায় সীমাবদ্ধ না এইটা শাশ্বত এবং সার্বজনীন একইসাথে কালোতীর্ণ…
তাই কেউ চে’র সিল মারা গেঞ্জি বা ক্যাপ পরল কি প্যান্ট পড়ল তার সাথে আমরা মহান হায়দারকে ধারণ না করতে পারার আফসোস তুলনা করা বা একই প্রসঙ্গ আলোচনা করাও সমীচীন না। আপনার মন্তব্যের লাইনের কথা বাদই দিলাম পোস্টের এই লাইনটাও অপ্রাসঙ্গিক;
” ৪৩ বছর পর আজকে প্রজন্ম চে গুয়েভারারে পূজা করে, মেজর হায়দাররে চেনে না। ৪৩ বছর পর আজকে মৃত্যুঞ্জয়ী বীর চে, হায়দার কেবল পুরান ইতিহাসমাত্র…”
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
শুনতে হয়তো আপনার খুব বিচিত্র লাগবে, ক্ষিপ্ত হবেন, রেগেও যাবেন, একগুঁয়ে ছেলেমানুষী বলবেন, চেতনাবাজ ট্যাগও দিয়ে বসতে পারেন, কিন্তু তবুও আমি দ্বিধাহীন স্বরে বলে যাব, মেজর হায়দাররে না চেনা পর্যন্ত চে গুয়েভারার শাশ্বত এবং সার্বজনীন কালোতীর্ণ মুক্তির বানী আত্মস্থ করার কোন প্রয়োজন নাই। কারন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সেই অমর লাইনটা (আগে চাই বাংলা ভাষার গাথুঁনি তারপর বিদেশী ভাষার পত্তন) একটু পাল্টে বলতে চাই, আগে চাই নিজেদের বীরদের চেনা, তারপর পৃথিবী বিখ্যাত মানুষদের চেনা যাবে…
অমিত লাবণ্য বলছেনঃ
ডন আমার উপর রাগ করে তাকে বললে । তাকে অনেকবার অনুরোধ করেছি, এইসব ইমোশন হিট দিয়ে সস্তা পোষ্ট না লেখার জন্য । চে গুয়েভারার সাথে মেজর হায়দারের তুলনা করাটা সত্যি লজ্জাজনক । আমাদের একজন বীরকে সম্মান দেখানোর জন্য চে গুয়েভারাকে অসম্মান করার কিছু নেই । অন্তত যারা চে’র ইতিহাস পড়েছেন । অবশ্য এইসব কথা বললে, ইমোশনে হিট লাগে বাঙালির আর হিট পড়ে বেশি । আরো পরিণত আচরণ আশা করি ডন সাহেব । আমরা আমাদের বীরদের প্রজন্ম করাতে পারিনাই এটা আমাদের ব্যর্থতা । চে’র টিশার্ট পড়া ছেলে-মেয়েদের ব্যর্থতা না, আবার চে’র ব্যর্থতা না । লজ্জাজনক একটি পোষ্ট । চরম লজ্জাজনক ।
তারিক লিংকন ভাইয়ের সাথে একমত
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আপনার শুষিলবানীই কেবল বাকি ছিল অমিত সাব
নাও ইট সিমস পারফেক্ট। অবশ্য আমি আশাও করি নাই, আপনি এই পোস্টের মর্মার্থ অনুধাবন করে পারবেন। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বরাবরই উদার, মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা নিয়ে কিছু লিখলেই সেইটা আপনার শুষিলদণ্ডে গিয়া আঘাত লাগে, পিউর বাংলাদেশী দালাল বানানোর আহবান আপনার কাছে সস্তা আবেগ দিয়ে লাইক কামানোর রাস্তা মনে হয়। আপনার মত মহান মানুষ এই লেখার মর্ম বুঝলে পৃথিবী তার অক্ষ থেইকা ছিটকায়ে যাইত,
কনফার্ম…
আমরা আমাদের বীরদের প্রজন্ম করাতে পারিনাই এটা আমাদের ব্যর্থতা…
ইয়ে মানে, মাথার উপর দিয়ে গেল… কি বুঝাইলেন এইটা দিয়া? অধমরে একটু বুঝায়া দেন প্লিজ
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি চেদা’কে একটা ব্রান্ডের চেয়ে বেশি মূল্য দিতে নারাজ, তারপরও মেজর হায়দারের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চেদা’র টপিক অপ্রাসঙ্গিক। এন্ড মোরওভার, প্রজন্মের মাঝে চেদা যত ব্যাপক পরিচিতিই পাক, টিশার্ট এর ব্র্যান্ডের চেয়ে প্রজন্ম তাকে নিয়ে বেশি কিছু জানে না, অন্তত আমি যতটুকু দেখেছি। কিন্তু, রুমি, আজাদদের যতজনই জানে অন্তর থেকেই অনুভব করে। রুমির সৌভাগ্য, তাকে টিশার্টের ছবিতে আঁটকে যেতে হয়নি।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
turisanda cataloghi ciproচেদা এইটা কোন ধরনের রসিকতা?
কেউ যদি বলে চে টি শার্টে আটকে গেছে তাহলে ব্যাখ্যাটা ভুল। বিংশ শতাব্দীতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধি সবচে বড় প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাক্তি বা চেতনা যা বলি না কেনো চে’র ধারে কাছেও কেউ ছিল না। আমাদের প্রজন্মের কথা বলে লাভ নাই। আমরা তো আমদের রাধা গোবিন্ধ কিংবা রায় চৌধুরীকেও চিনি না। হ্যাক্টর থেকে সক্রেটিস অনন্য কি কারণে মনে আছে তো!!
টি শার্ট কিংবা ক্যাপে তাদের ব্র্যান্ডিং করার প্রয়োজনীয়তা আছে। আমাদের দেশের আমজনতা চে’কে যতটা জানে ততটা এমএন রায়’কে নিয়ে জানে না হয়তো অনেকে নামো শুনে নাই। কে এই মানবেন্দ্রনাথ রায়? আমরা তাকেও ব্র্যান্ডিং করা উচিৎ…
আজকের হজ কিংবা বিশ্ব ইস্তেমা অথবা বড় দিন বা দূর্গা পুজা এইসব কি? এইসব হচ্ছে ধর্মগুলোর বিপনন কার্যক্রমের কিছু অংশ ইভেন্ট কিংবা প্রচারণার কৌশল
এইটা লালনের আখরার ও লাগে আবার নাসার ওরায়ন স্পেস স্টেশনের কিংবা স্পুটনিকেরো লাগে। এতে অন্যায়ের কিছু নাই, অন্যায় হচ্ছে আমি কি মানবতার প্রচার করছি নাকি দানবতার…
রুমী-বদি-হায়দার-খালেদ-জুয়েল সবাইকে ব্র্যান্ডিং করা উচিৎ!! এমনকি বঙ্গবন্ধু তাজ উদ্দিন ভাসানিকেও…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এ ব্যাপারে আরো আলোচনার অবকাশ আছে…
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
চেদা/চেগু এগুলো বাড়াবাড়ি রকমের রসিকতা হয়ে গেলনা?? চে’র টিশার্ট কে পরছে না পরছে তাতে চে’র কিচ্ছু যায় আসেনা? সে বিপ্লব এজন্য করেনি যে মানুষ তার ছবিওয়ালা টিশার্ট পরবে।
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
ramipril and hydrochlorothiazide capsulesহোমপেজে হঠাৎ একটা ছবি আসলো, চে গুয়েভারার। নিচে বিশাল ক্যাপশন, চির অমর তুমি হে মৃত্যুঞ্জয়ী বীর। পোস্টদাতা আমার এক বন্ধু, লাল টুপী পইড়া ঘুইরা বেড়ায়, বিপ্লব চাই বিপ্লব চাই চিৎকারে দুনিয়া কাঁপায়া। ইনবক্সে নক দিলাম, দোস্ত কি খবর?
— লাল সালাম দোস্ত, কেমন আছস?
—ভালো। ইয়ে মানে, দোস্ত হায়দারের নাম শুনছস?
—কোন হায়দার? ওই যে হিন্দি মুভিটা? শহীদ কাপুর তো পুরাই জোসসসসস…
—নাহ। আমাগোর হায়দার। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর এসজিএস কমান্ডো ছিল, ৭১রে গেরিলাযুদ্ধের সংজ্ঞাই পাল্টায়া দিছিল…
— নাহ, চিনতে পারলাম না। এতো পুরান ঘটনা…
এখানের কোথাওকি চে কে অসম্মান করে কিছু লেখা আছে? আসলে পোস্টে ডনের যে ভাবনাটা উঠে এসেছে তা কেবল সেই একটি শ্রেনীর উপর যারা দেশীয় বীরদের যতটানা চেনে তাঁর থেকে বেশী চেনার চেষ্টা করে বিদেশী বীর দের। এখন প্রশ্ন তারাকি আসলেই চে কে বোঝে? বুঝলে হায়দারকে চেনেনা কেন?না চেনাটা কিন্তু দোষের কিছুনা সেটা হয়ত প্রচারণার অভাব কিন্তু যাদের ভাবটা এমন আরে ধুর কোথায় চে আর কোথায় হায়দার মূল প্রসঙ্গটা কিন্তু এখানেই। একটি কবিতা আছে-
“দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা/দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ঘর হইতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশিরবিন্দু…”
এখানে কেউ যদি বলে ওহে কবি তুমি তোমার শিশির বিন্দুর জন্য পর্বত আর সিন্ধুকে তুচ্ছজ্ঞ্যান করেছ সেটা কি ঠিক হবে? তাহলে চের প্রসঙ্গ টানায় চে সাহেবের ক্ষয় কোন দিক দিয়ে হল? মধু বাবুতো আরো তীব্র ভাবে বলেছিলেন-
“যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবানী, সেইসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।”.
ডনও সেই কথাই বলেছেন তবে অনেক সরল আবেগে। তবে কেবল শুধু তাঁদের যারা হায়দারদের তুচ্ছ করে চে নিয়ে মাতা মাতি করেন এখানে চে তাঁর স্ব মর্যাদাতেই আছেন। তাহলে ডনের আবেগ সস্তা হয় কিভাবে? এই আবেগ যদি সস্তা হয় তবে কবিতার ঐ আবেগ গুলোও সস্তা।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আমি ফাতেমা এবং ডনের মন্তব্যের শব্দ চয়ন এবং আক্রমনের ধরন দেখে প্রতিবাদ করেছি। আমি তো জিজ্ঞেস করলাম আপনি মাও-লেনিন-এংগেলসের নাম শুনেছেন কিন্তু এম এন রায়ের কথা হয়তো শুনেন এতে আমি মনে করি না কোন অন্যায় এইটাই হচ্ছে রবিনের আপত্তির টি-শার্ট কিংবা ক্যাপের ব্র্যান্ডিং এর সুফলতা। আজ নতুন প্রজন্মের অনেকেই বই পরে না বরং ফেসবুক নিয়ে উন্মাদ তাহলে এইসব হিস্ট্রি কিভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়াবেন?
উন্নত বিশ্ব এইসব যায়গায়ও ব্র্যান্ডিং করে, এবং সফলভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে যায়। চেগু কিংবা চেদা বলে হায়দারকে বড় করা যায় না, হায়দারকে নাটক-সিনেমা-গল্পে-ব্লগে-টি শার্টে ছড়িয়ে দিতে হবে। এখানেই আমাদের করনীয়। আজাইড়া খোচা খোচি কইরা লাভ না…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
খুব সহজে কথাটা বলে দিলেন কারাগার ভাই… থ্যাংকস আ মিলিয়ন…
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ
শঙ্খনীল দা,
“যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি॥”
এই চরণ দুটো মধ্যযুগের কবি আব্দুল হাকিমের “নূরনামা” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “বঙ্গবাণী” কবিতার অংশ।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের নয়
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
দুঃখিত অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য। যখন আমিও জিনিসটা খেয়াল করলাম তখন মন্তব্য সংশোধনের ৩০ সেকেন্ড পেরিয়ে গেছে। সভ্যতায় মন্তব্য করতে এখানেই সমস্যা। আমি যতটুকু জানি হাকিম সাহেব মধু বাবুর আংরেজী সাহিত্যের প্রতি অতি আসক্তির জের ধরেই উক্ত কবিতা খানি রচনা করেছিলেন। ভুলটি তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
দেখেন এখানেও ভুল কোথায় ১৬২০-১৬৮০ আর কোথায় ১৮২৪ -১৮৭৩। মাইরি এই দুঃখে একটা সিগারেট খাই।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
দুঃখ পেলেই সিগ্রেট টানেন?
ভাবী কিছু বলে না?
pharmacy tech practice test online free
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
দুঃখ পেলে সাধারনত আমি সুরা পান করি। কিন্তু সেই মূহুর্তে সেটা ছিল আপনার ভাবীর কব্জায় ফলে সিগারেটে টান দিতে হল।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ভুলটা আমি ধরায়ে দিতে চাইছিলাম,দেবী রুথ আমারে আগেই ত্রানকর্তা হয়ে এলেন…
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
মহা দেবী রুথ তাঁর ভক্তদের প্রতি এভাবেই সর্বদা সদয় হোন। জয় হোক মহাদেবীর।
চারুলতা বলছেনঃ
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
সহমত কারাগার ভাইয়ের সাথে…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সুন্দর বিশ্লেষন করেছেন
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
লেখায় ভাইয়া আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার করা টা কি উচিত হল?
এ পোস্টটা সুন্দর হতে পারত, ফেম অর্জনের ফালতু চেষ্টা না করে সুন্দর করে লিখতে পারতেন। আমাদের সম্পদ হয়ে থাকতো এটি…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ clomid trying to get pregnant
মেজর হায়দার এর প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আমি তো ভাই হিটসিকার, ফেইমসিকার, লাইকসিকার, শেয়ারসিকার, কমেন্টসিকার ইত্যাদি ইতাদ্দি ইত্যাদি… আমার সিকিংয়ের লিস্ট সারারাত বললেও ফুরোবে না। কিন্তু আফসোস, আপনি দুরন্ত জয় এইটা আবিস্কার করতে বহুত দিন লাগায়া ফেললেন… আমি যখন এতই সস্তা, তখন আমার লেখা পড়ার দরকারটা কি মাথায় ঢুকতেছে না… আধুনিক প্রজন্মের আপডেটেড অ্যাসহোলগুলারে দেখলে মাথায় রক্ত উঠে যায়, কি ভাষায় লিখতেছি সেইটা খেয়াল থাকে না। কিন্তু এইটা নিয়ে আপনার এতো মাথাব্যথার কারন বোধগম্য হইল না। আপনার তো “
” গ্রুপে জয়েন করে আমারে উঠতে বসতে সস্তা প্রমান করার কথা। আপনি আমার গুনগত মান নিয়া এতো চিন্তিত কেন?
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
viagra type medicine in indiaপ্রথমত পোস্টের সবগুলো টপিকই আমার ভালো লেগেছে। কিন্তু আঞ্চলিকতাটা বাদ দিলে হয়তো পোস্টটা পড়তে আরো ভালো লাগতো। আঞ্চলিক ভাষা অবশ্য অশুদ্ধ ভাষা নয়। আঞ্চলিক ভাষা শুদ্ধ ভাষার স্বীকৃতি প্রাপ্ত। আমি বলছি চলিত ভাষায় লিখলে আরো ভালো হত।
আর আমি ব্যক্তিগত ভাবে চে গুয়েভারাকে নিয়ে যতটুকু জানি সে অসামান্য পূজনীয় একজন মানুষ। আর সে সেটার যোগ্য বলেই এই প্রজন্মেও সে সমানভাবে আলোচিত। কথা হচ্ছে, তার পরিধি যতটুকু বিস্তারে গিয়েছে, মেজর হায়দারের অতটুকু বিস্তারে যায় নি। ব্যর্থতাটা কিন্তু চে গুয়েভারার না, ব্যর্থতাটা আমাদের। কালবৈশাখিকে দেখলাম সে ব্রান্ডিং নিয়ে একটা লেকচার দিয়েছে। এটার সাথে আমি একমত নই। ব্রান্ডিং দিয়ে আমি চে’র কৃতকর্ম জাস্টিফাই করার মত ক্ষমতা নেই। চে’র ব্রান্ডিং এইসব সস্তা ক্যাপ টিশার্টে হয়নি। তার ব্রান্ডিং হয়েছে তার অনড় বিপ্লবে যেটা একসময় পুরো সাম্রাজ্যবাদ কাঁপিয়ে দিয়েছিলো। মেজর হায়দারকে চে’ এর সাথে তুলনা করাটা অযৌক্তিক কারণ দুইজনের প্লাটফর্মই ভিন্ন। যেমন, একটা মোবাইলের সাথে একটা মোবাইলের তুলনা হতে পারে। কিন্তু একটা মোবাইলের সাথে একটা টেনিস বলের তুলনা চলেনা। দুটি আলাদা প্লাটফর্মের বস্তু। চে’র মত পরিস্থিতি যদি মেজর হায়দারের হত তাহলে আমরা তুলনা করে দেখতে পারতাম। যদিও আমি এই তুলনাটারও বিরুদ্ধে। কিন্তু এখানে দুইজনের প্লাটফর্ম ভিন্ন হওয়ায় আমি স্বীকার করতে সমস্যা নেই যে, দুইজনই তাদের নিজেদের জায়গায় স্বকীয়।
মেজর হায়দারকে মহামান্বিত করতে আমাদের একজন চে’গুয়েভারার দরকার হবেনা। বরং, মেজর হায়দারকে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারিনি, তার চেতনার কথা আমরা জানাতে পারিনি সবাইকে এটা আমাদের ব্যর্থতা। সত্য বলতে কি সময়ের প্রয়োজনীয়তা বলে একটা টার্ম কাজ করে সভ্যতা-ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মাঝে। জীবনানন্দ কিন্তু তার সময়ে মূল্য পাননি। কিন্তু এখন তিনি পূজনীয়। আমরা এখন প্যারীচাঁদ মিত্রের যুগ থেকে হুমায়ূন আহমেদের যুগে এসে পড়েছি। কিন্তু তাই বলে আমি দুইজনের মাঝে তুলনা করে কাউকে মহামান্বিত করার তো দরকার নেই। তারা নিজেদের জায়গায় সেরা।
আচ্ছা, এই পর্যন্ত আমার কমেন্টটা পড়ে হয়তো কারো মনে হবে যে, আমি পোস্টের সারাংশ বুঝতে পারিনি। কারণ, এখানে ডন ভাই চে’র সাথে হায়দারের তুলনা করেন নি। তিনি খুব স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রজন্মের প্রতি যে, “সবাই চে’ কে চিনে, কিন্তু মেজর হায়দারকে কেন চিনেনা?” এই প্রশ্নের সাথে আমি একমত। আমারও একই প্রশ্নটা আছে। কিন্তু আমি শুধু বললাম যে, প্রশ্নটা যদি এমনভাবে করা হত যে, “প্রজন্ম কেন মেজর হায়দারকে চিনেনা?” তাহলে সেটা আরো যুক্তিযুক্ত হত। প্রশ্নটা দেখে প্রথমেই হঠাৎ করে মনে হয় যে, যারা হায়দারকে চিনেনা, কিন্তু চে কে চিনে তারা বিশাল অপরাধী, কিংবা চে’ এর নাম শোনার আগেই হায়দারের নাম শোনাটা উচিত ছিলো। বস্তুত আমি মনে করি, এমন কোনো শর্ত নেই যে, মেজর হায়দারকে চিনতে হলে চে’ কে চিনতেই হবে বা এরকম কিছু। তারা দুইজন দুই ভিন্ন ট্র্যাকের। একসাথে মিশানো টা অগুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ।
এটা ছাড়া পোস্টের বাকি সব কিছুর সাথেই আমি একমত। সুন্দর পোস্ট।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
মন্তব্য ভাল লেগেছে…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ accutane prices
হুদাই কষ্ট করলেন ইলেকট্রন সাব, এতো বিশাল রচনা লেখার কোন দরকার ছিল না। অমিতের মত সরাসরি ফেইমসিকার কিংবা হিটসিকার বইলা দিলেই হইত…
নীরব বলছেনঃ
ডন ভাইয়া আমি আপনার এই লেখাটা ফেসবুকে পোষ্ট করতে চাই তবে আপনার রেফারেন্স দিয়েই করব।আপনি কি অনুমতি দিবেন?