থ্রিলারঃ বদলা (শেষ পর্ব)
386
বার পঠিতথ্রিলারঃ #বদলা
শেষ পর্ব
মেজর কামরুল আহত বাঘের মত পায়চারী করছেন নিজের অফিস রুমে। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ঘটনাটা। দুদিন আগেও কথা হয়েছিল শরীফের সাথে। স্কুলগামী তিনটা বাচ্চা আছে তার। কিছুদিন আগেও তাদের ছবি দেখিয়েছিল তাকে। একজন রিজিওনাল কমান্ডারকে এত অল্পতে চিন্তিত হলে মানায় না,তবু….
যুদ্ধাবস্থা হলে না হয় মানা যায়,যুদ্ধে সৈনিকের জীবন যাবে এটা চিরন্তন সত্য কিন্তু কোনো কারন ব্যাতিত স্রেফ কাপুরুষের মত আক্রমন করে গুলি করে আবার লাশ টেনে নিয়ে যাওয়া কিছুতেই মানা যায় না, can your doctor prescribe accutane
-বাস্টার্ড গুলার উপর এয়ার স্ট্রাইক করা উচিত, মনে মনে ভাবলেন তিনি।
তিনি রুমের এক মাথা থেকে আরেক মাথা পায়চারী করছেন এমন সময় দরজা খুলে গেল, ভেতরের প্রবেশ করলেন বিজিবির চট্টগ্রাম ডিভিশনের অপারেশনাল চিফ ব্রিগেডিয়ার জেলারেল নুরুল হক।
সাথে আরও কয়েকজন উচ্চ পদস্থ অফিসার।
সবাইকে দেখে কিছুটা ধাতস্থ হলেন মেজর কামরুল,
-স্যার! স্যালুট দিলেন সবার উদ্দেশ্যে.
কামরুলের মুখ দেখেই পরিস্থিতি কিছুটা আন্দাজ করতে পারলেন ব্রিগেডিয়ার নুরুল।
-টেক ইট ইজি ইয়াং ম্যান,বললেন তিনি।ভালয় ভালয় সব মিটে যাবে ইনাশাল্লাহ। ঢাকায় আলোচনা চলছে, ভুল বুঝাবুঝির যা সৃষ্টি হয়ে সব আশা করি ঠিক হয়ে যাবে!.
-ভুলবুঝাবুঝি? বা**!! শব্দটা উচ্চারন করতে গিয়েও গিলে ফেললেন সাথে সাথে।
স্যার, এখন পর্যন্ত লাশটাও ফেরত দেয়নি। কত বড় অসভ্য!!
আমার সৈনিকের দেহ অবহেলায় পড়ে আছে বানরদের ক্যাম্পে, এক রকম ক্ষোভের সাথেই বললেন মেজর কামরুল!
নুরুল হক কামরুলের সম্পর্কে আগে থেকেই কিছুটা জানেন, সুতরাং খুব বেশি অবাক হলেন না।
-কাম ডাউন, আজকে আলোচনায় স্বীদ্ধান্ত হয়েছে। বিকেল চারটায় লাশ হ্যান্ডওভার করবে কথা দিয়েছে, ৫৩ নং পিলারের কাছ থেকে লাশ গ্রহন করতে হবে।
খবর টা শুনে একটু শান্ত হলেন তিনি।
-তাহলে রিসিভিং পার্টির ব্যাবস্থা করি স্যার.
-ওকে, আমরাও যাচ্ছি সাথে!
একজন সাধারন ল্যান্সনায়েকের লাশ গ্রহন করতে এতজন হাই র্যাংকিং অফিসার যাবেন, ভেবে কিছুটা অবাক হয়ে তাকালেন সবার দিকে।।যেন তার মনের ভাব টের পেয়েই নুরুল হক বললেন,
-কামরুল, আমরা সবাই শরীফের মত দেশের সেবক। সে দেশের জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে ,আমাদের দায়িত্ব তাকে যথাযথ মর্যাদার সাথে তার দেহ ফিরিয়ে আনা। তুমি সবাইকে তৈরি হতে বল,আমরা অপেক্ষা করছি।। levitra 20mg nebenwirkungen
মাথা নেড়ে অফিস রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন মেজর কামরুল.
ফরোয়ার্ড বেজ ছেড়ে সীমান্তের কাছাকাছি ক্যাম্পের দিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে এসেছে ওরা। ভুতের মত ক্রল করে প্রায় ৮০০ মিটারের মাঝে চলে এসেছে। আপাতত ওদিকে কোনো অ্যাক্টিভিটি নেই কিন্তু এদিকের ক্যাম্পটাতে সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে। ছাগল গুলা মনে হয় হুজুগেই যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে। নিরপরাধ রোহিঙ্গা মেরে হাত পাকিয়ে এখন নিজেদের সুপারম্যান করছে। সত্যিকারের যুদ্ধে আধা ঘন্টাও টিকবে কিনা সন্দেহ। এক তরুন অফিসারকে দেখা গেল এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। শৃঙ্খলার নাম গন্ধ নেই, টানা এক যুগ সামরিক শাসন চলার ফলে নিজেদের পেশাদারীত্ব গিলে খেয়ে বসে আছে সব।
অনেকক্ষন ধরে নাক বুচা মেশিন গানারটাকে খুব মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করছে সোহেল।
বাংলাদেশ আর্মির কমান্ডোদের একটি ডাক নাম আছে-চিতা!
চিতার স্বভাব হল সব সময় দুর্বল শিকার বেছে নেয়া।
মেশিন গানারের বয়স খুবই কম, মায়ানমারের আর্মিতে জোর করে অল্প বয়সী বাচ্চাদের রিক্রুট করা হয়, তাদেরই একটা হবে হয়ত। উত্তেজনার চোটে একটু পর পর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে, আর ঢোক গিলছে। বাইনোকুলারের ভেতর দিয়ে স্পষ্ট দেখলে পেল জিহ্বা দিয়ে ঠোট ভিজাচ্ছে গানার।
কত দিনের ট্রেনিং পেয়েছে খোদা মালুম,না হলে স্রেফ যুদ্ধের উত্তেজনায় যা অবস্থা,যুদ্ধ বাধলে যে কি করবে।
-জাহিদ! glyburide metformin 2.5 500mg tabs
সোহেলের ইশারায় তৈরি হয়ে গেল সে, রেডিওতে কান পেতে অপেক্ষা করছে।
বাইনোকুলারটা রেখে অস্ত্রটার পাশে আড়াআড়ি ভাবে শুয়ে পড়ল সোহেল। বোল্ট টেনে মৃত্যদূতকে ঠেলে ঢুকিয়ে দিল চেম্বারে।
ইটস পার্টি টাইম….
নিজের তাবুর বাইরে দাড়িয়ে আছে ক্যাপ্টেন জিয়াং চু। চোখে মুখে স্পষ্ট বিরক্তি। কোন এক হাদারাম বর্ডার পুলিশ দুদিন আগে সীমান্তে গুলি চালিয়েছে আর এখন সব সামাল দিতে হচ্ছে আর্মিকে। বাবা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, সেই সুবাদে কোনো পরিক্ষা ছাড়াই অফিসার হিসেবে যোগ দেয় আর্মিতে। মায়ানমারের এটা ওপেন সিক্রেট, অফিসারের ছেলেমেয়েরা বাছ বিচারহীন ভাবে সেনাবাহিনিতে ঢুকে। দীর্ঘকাল সামরিক শাসন চলায় নিয়ম শৃঙ্খলা নাই হয়ে গিয়েছে।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চারপাশের রণসজ্জা দেখছিল ক্যাপ্টেন। অল্প বয়স তাছাড়া এর আগে অভিজ্ঞতা বলতে দুয়েকটা রোহিঙ্গা গ্রামে আক্রমন করা,সত্যিকারের যুদ্ধে সম্পর্কে এতটুকু ধারনা নেই।
হেডকোয়ার্টার থেকে বলে দেয়া হয়েছে এটা সাধারন একটা অপারেশন। সীমান্তে গিয়ে দুয়েকদিন চোট পাট দেখাতে হবে এর মাঝেই সব মিটে যাবে আশা করা যায়। মেছো বাঙ্গালি গুলো আর্মি পাঠানোর সাহস পায়নি,স্রেফ বিজিবি মোতায়েন করে রেখেছে সীমান্তে।
নিশ্চয় ভয় পেয়েছে। আত্মতুষ্ঠির হাসি ফুটে উঠিল ক্যাপ্টেনের মুখে। ভালয় ভালয় কাজটা শেষ হয়ে গেলে প্রমোশন আর ঠেকায় কে। kamagra pastillas
-স্যার, এক ওয়ারেন্ট অফিসারের ডাকে সম্ভিত ফিরল ক্যাপ্টেনের
-আবার কি!! খেকিয়ে জবাব দিল ক্যাপ্টেন
-লাশ নিয়ে কয়েকজন পিলারের দিকে রওনা হয়ে গিয়েছে
-গুড, তাড়াতাড়ি শেষ করো এই ভেজাল।মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছি।
-ইয়েস স্যার,বলে চলে গেল ওয়ারেন্ট অফিসার
আবার কল্পনায় চলে গেল সে,এবারের কাজটা শেষ হলেই ছুটিতে চলে যাবে। অফিসার মেসের আলিশান এসি রুম,বিদেশি মদ আর রোহিঙ্গা মেয়ে গুলো না, আহ!! চাইলেই তুলে নিয়ে আসবে সৈন্যরা
নিষিদ্ধ লোভে চকচক করে উঠল ক্যাপ্টেনের চোখ..
ব্রিগেডিয়ার নুরুল হক সহ আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে সীমান্তের ৫৩ নং পিলারের কাছে অপেক্ষা করছেন মেজর কামরুল হাসান। সাথে বিশাল দেহি কয়েকজন সৈনিক নিয়ে এসেছেন, পচে ফুলে উঠা শরীফের লাশ বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ভাবতেই বুকের কাছটা আবার মুচড়ে গেল,শরীফ মানুষটা বড় ভাল ছিল।
নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সম্পুর্ন সজাগ তিনি। সাথে করে আরও কয়েকজন সৈন্য নিয়ে এসেছেন,তার কমান্ডের সেরা মার্কসম্যান এরা। আসার সময় নিজের বেজ ক্যাম্পেও নির্দেশ দিয়ে এসেছেন,এক চুল বেলাইনে গেলে যেন হেবি মেশিনগান, রকেট মর্টার যা আছে তাই নিয়ে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে।নিজেও পুরো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন, গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, কমব্যাট ফেটিগ সব মিলিয়ে রীতিমত ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে তাকে। পিঠে শোভা পাচ্ছে বিডি-০৮ এসল্ট রাইফেল। মাংকি গুলাকে এতটুকু বিশ্বাস করা যায় না। চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে যারা নিরপরাধ সৈনিক হত্যা করে তারা যে আবারও হামলা চালাবে না এমন নিশ্চয়তা নেই।
একটু পর পর হাত ঘড়িতে সময় দেখছেন মেজর কামরুল। সেই সাথে নিজের বেজের সাথেও যোগাযোগ রাখছেন তিনি।যেন বিশেষ কোনো কিছুর জন্য অপেক্ষা করছেন… amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
অসভ্যের দলের সময় জ্ঞান বলে কিছু নেই,বিরক্ত হয়ে ভাবলেন তিনি। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই,এখনো দেখা নেই কারো।
এমন সময় দুরে দেখা গেল কয়েকজন সৈনিককে,মায়ানমারের বর্ডার পুলিশ। বেঢব ভাবে ফুলে উঠা একটা লাশ বয়ে নিয়ে আসছে।কাছে আসতেই সবাই মুখে রুমাল চাপা দিলে পচা মাংসের বিচ্ছিরি গন্ধে। গত দুই দিনের হাজারবারের মত আবারও ইচ্ছা হল শুকর ছানাদের উপর আক্রমনের নির্দেশ দেয়ার।কিন্তু তিনি নিরুপায়। হাই কমান্ড থেকে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, কোনো ভাবেই আক্রমনে যাওয়া যাবে না। কুটনৈতিক ভাবে এর সমাধান করা হবে,
-কুটনিতি মায় অ্যাস, বিরক্ত মুখে ভাবলেন তিনি।
কয়েকজন সৈনিক সহ নিজে এগিয়ে গেলেন লাশ গ্রহন করতে। কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই লাশ রেখে চলে গেল নিজেদের ক্যাম্পের দিকে।
লাশটা পচে যাওয়ায় ফুলে গেছে,পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কিন্তু সবাই শ্রদ্ধার সাথে কাধে তুলে নিল শরীফের লাশ। শহীদের লাশের সামনে শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে যাচ্ছে সবার মাথা। venta de cialis en lima peru
আরও একবার হাত ঘড়িটার দিকে তাকালেন মেজর কামরুল।
-চলো,
সবাইকে নির্দেশ দিলেন নিজেদের ক্যাম্পের দিকে ফিরে চলার জন্য..
সবাই রওনা দিল। ঝোপঝাড় ভর্তি এলাকা, ভারি লাশটা বহন করতে বেশ কষ্ট হচ্ছে সবার।
সবাই লাশ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে প্রায় দুশো মিটার চলে এসেছে এমন সময় হঠাত করেই ভারি মেশিন গানের শব্দে চমকে উঠল সবাই। মায়ানমারের ক্যাম্প থেকে এসেছে শব্দটা।
-ডাইভ…. চিৎকার করে সবাইকে মাটিতে শুয়ে পড়তে বললেন তিনি।
সবাই প্রশিক্ষিত সৈনিক, মেজরের গলা শোনার সাথে সাথেই কমান্ড মান্য করল… যদিও বুলেট বৃষ্টি কোন দিকে গেল বুঝা গেল না।
–স্যার!? মাটিতে শুয়েই ব্রিগেডিয়ার নুরুল হকের দিকে তাকিয়ে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন কমান্ডের অপেক্ষায়..
অবশেষে মাথা নাড়লেন তিনি।
কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপর ফায়ার ওপেন করে নিজেদের শর্ত নিজেরাই ভেংগেছে মায়ানমার সেনারা। বাংলাদেশ সব সময় নিজের প্রতিবেশিদের প্রতি সহনশীল মনোভাব প্রদর্শন করে আসছে স্বাধিনতার পর থেকেই। কিন্তু এ ধরনের কাপুরুষজনোচিত আক্রমনের উপযুক্ত জবাব না দিয়ে উপায় নেই আর…..
মায়ানমার ক্যাম্পে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল ক্যাপ্টেন জিয়াং চু। এমন সময় কানের কাছে মেশিন গানের শব্দে চমকে উঠল,
–ফায়ার করল কে,ফায়ার করল কে!” চিৎকার করে কুলাঙ্গারটাকে খুঁজতে লাগল। নাক বুচা মেশিন গানারটা তখন বোকার মত নিজের ট্রিগার চেপে ধরা হাতের দিকে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু ততক্ষনে দেরি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সীমান্তের অপর পাড়ে জ্যান্ত হয়ে উঠেছে মেজর কামরুলের ওয়াকিটকি… nolvadex and clomid prices
–দে হ্যাভ ওপেনড ফায়ার অন আস, ফায়ার এভ্রিথিং, ব্লো দেম টু হেল…
বিজিবি ক্যাম্পে রেডিও সেটের সামনে বসে ছিল লেফটেন্যান্ট সিয়াম। যেন এর অপেক্ষায়ই ছিল সে,
আর্টিলারি ইউনিটকে জানিয়ে দিল নির্দেশটা।
মুহুর্তেই নরক নেমে আসল বান্দরবানের শান্ত এলাকাটায়। ভারি মেশিন গান,রকেট, মর্টার- একযোগে সব কিছু ফায়ারের গগনবিদারী শব্দে একটু পর পর কেপে উঠতে লাগল পুরো এলাকা.. ঝাক ঝাক বিধ্বংসী বুলেট, মর্টারের গোলা ছুটে যেতে থাকল মায়ানমার ক্যাম্পের দিকে। দিনের আলোতেও বাতাস চিড়ে যাওয়া ট্রেসার রাউন্ডের স্পষ্ট রেখা দেখা যেতে লাগল।
প্রথম ধাক্কায় মর্টারের গোলার আঘাতে কয়েকটি বাংকার উড়ে গেল। আশ্চর্যজনক ভাবে গোলার আঘাতে উড়ে যাওয়া সব কয়টা বাংকার ছিল খালি। ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটল না।
ক্যাপ্টেন জিয়াং চু হতভম্ব হয়ে চারিদিকে দেখছে, চরম অরাজকতার মাঝে নিজের সৈন্যদের কমান্ড দিতে ভুলে গেছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই পরিস্থিতি হাতের নাগালে চলে গেল।
এদিক থেকেও সবাই একযোগের ফায়ার শুরু করে দিয়েছে। হতভম্ব ক্যাপ্টেন কি করবে ঠিক করতে পারছে না,এমন সময় হঠাৎ রেডিওর কথা মনে আসল,আরো সৈন্য চেয়ে সাহায্য চাওয়া যায় হেড কোয়ার্টারে।
যেই ভাবা সেই কাজ, রেডিও অপারেটরের দিকে পা বাড়াবে এমন সময় কোত্থেকে একটা বুলেট এসে আঘাত করল তার পায়ে।বুলেটের আঘাতে ডান পা টা স্রেফ আলাদা হয়ে গিয়েছে। নিজেদের কমান্ডিং অফিসারের এই অবস্থা দেখে দুজন ননকমিশন্ড অফিসার এগিয়ে আসল তাকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু বিধিবাম, এমন সময় একটা মর্টারের গোলা এসে নিখুত ভাবে আঘাত করল তাদের অবস্থানের উপর। কিছু বুঝে উঠার আগেই জাহান্নামের পথে রওনা হয়ে গেল চার জন,বাকিরা উড়ে গিয়ে পাশের বাংকারের দেয়ালে আঘাত করল, চারিদিকে আহতদের মাংস পুড়া গন্ধ আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছে ক্যাম্পের বাতাস..
ঠিক তখন হঠাৎ করেই বিজিবির পক্ষ্য থেকে মর্টার ফায়ার বন্ধ করে দেয়া হলো।
কমান্ডিং অফিসার মৃত, নিজেদের শোচনীয় অবস্থা বিবেচনা করে মায়ানমার আর্মিও গুলিবর্ষন বন্ধ করতে বাধ্য হল…
————————–
পরিশিষ্টঃ
৩০ তারিখ সকালে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলছেন মেজর কামরুল,
–পরিপুর্ন সামরিক মর্যাদার সাথে সমাহিত করা হবে শরীফের মৃতদেহ। সরকারের পক্ষ্য থেকে তার পরিবারের ভরনপোষনের দায়িত্ব নেয়া হয়েছে। বাবার মত নিজেও মাতৃভুমির জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেল শরীফ।আল্লাহ শরীফকে জান্নাতবাসী করুন। ভবিষ্যত যোদ্ধাদের পথিকৃৎ হয়ে থাকবে আমাদের শরীফ।
কথা গুলো বলার সময় চোখের কোণ একটু ভিজে উঠল তার।
-”আপনাদের আর কোনো প্রশ্ন আছে? থাকলে জিজ্ঞেস করতে পারেন”
-স্যার এখন সীমান্তের কি অবস্থা? তরুন এক সাংবাদিক এগিয়ে আসল।
–কুটনৈতিক ভাবে বর্তমান পরিস্থিত সামাল দেয়া হয়েছে। তবে আমরা এখনও ফুল এলার্টে আছ। ধীরে ধীরে উদ্ভুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
-স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে গতকাল বিকেলে দুপক্ষের মাঝে তুমুল গুলাগুলি হয়, এ ব্যাপারে আপনার ভাষ্য কি?
-গতকাল বিকেল ৪ টার কিছু পরে আমরা লাশ গ্রহন করতে ৫৩ নং পিলারের নিকট যাওয়ার পর মায়ানমার সেনাবাহিনি আগাম কোনো আভাস ব্যাতিতই আমাদের উপর গুলিবর্ষন করে। আমাদের সাথে চট্টগ্রাম ডিভিশন কমান্ডার সহ আরও বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ অফিসার ছিলেন। বাধ্য হয়ে আমরা পালটা আক্রমনে যাই। বেশ কিছুক্ষন দুপক্ষের মাঝে গুলি বিনিময় হয়।
আর কোনো প্রশ্ন?
-গুলাগুলির ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি?
–আমার দিক থেকে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি,তবে মায়ানমারের ব্যাপারে আমাদের হাতে কোনো তথ্য নেই এই মুহুর্তে। আপনারা সাংবাদিক, খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।। হয়ত আশানরুপ তথ্য পাবেন….
ওকে,সবাইকে ধন্যবাদ! can you tan after accutane
সাংবাদিক দের আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিজের তাবুর দিকে ফিরে গেলেন মেজর কামরুল। ঠোটের কোণে এক চিলতে দুর্বোধ্য হাসি ঝুলে আছে, যার রহস্য সম্পর্কে অল্প কয়েকজন মানুষই অবগত।
১ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে মায়ানমার সেনাবাহিনি সীমান্ত থেকে তাদের সকল সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।
গুলাগুলির শুরু হয় যার মাধ্যমে সেই মেশিন গানারকে জেরা করা হচ্ছে, কেন সে কোনো ধরনের অনুমতির তুয়াক্কা না করে গুলি চালায়।।জেরায় বেরিয়ে আসে যে কেও একজন তার উপর গুলি চালায় ফলে আতঙ্কিত হয়ে ট্রিগার চেপে বসে সে।
নিহত সৈন্যদের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মর্টারের গোলার আঘাত ছাড়াও ক্যাপ্টেন জিয়াং চুর পায়ে হেবি ক্যালিবার স্নাইপার বুলেটের আঘাতের প্রমান পাওয়া যায়।
গুলাগুলি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ক্যাপ্টেন জিয়াং চুর পায়ে লাগা হেভি ক্যালিবারের বুলেট কোথা থেকে আসল, সবাই যখন ক্যাপ্টেনের সাহায্যে এগিয়ে গেল,তখন তাদের উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আর্টিলারির ফায়ার কোর্ডিনেট করেছিল কারা, ২৯ তারিখ ভোর রাতে সীমান্তে আনমার্কড এয়ারক্রাফটের উপস্থিতি, এসব কিছুই মায়ানমার সেনাবাহিনির কাছে আজও রহস্য হয়ে আছে………..
(সমাপ্ত)
উৎসর্গঃ Nayek Md Mizanur Rahman, On 28th may 2014 -he was shot dead by Myanmar Border police during a routine petrol. missed several doses of synthroid
Rest in peace brave heart.
Iqbal Mahmud Anik বলছেনঃ
cialis new c 100যাক শেষ পর্যন্ত শহীদ মিজানুর রহমানের নামটা প্রকাশ করলেন।খুব ভালো লাগল লেখাটা টা। যা বোঝার বুইঝা গেছি।জয় বাংলা
তারিক লিংকন বলছেনঃ will metformin help me lose weight fast
অসাধারণ লাগলো আপনার গল্প!! আরও বেশী বেশী গল্প লিখুন, হাত পাকা করুন। বর্তমানে দেশের ছোট গল্পের লিখক নাই বললেই চলে। আপনার গল্পে ভয়ানক থ্রিলে ভরা এইটা আসলেই দুর্লভ। আর শেষে যে টুইস্ট দিয়েছেন তা এক কথায় ব্রেথটেকিং…
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ viagra en uk
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
তুই তো দারুন লিখিস..
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
^_^ viagra in india medical stores