হারিয়ে যাওয়া গনযোদ্ধারা
444
বার পঠিত
নভেম্বরের প্রথম দিকে,ত্রিপুরার মেলাঘর থেকে ২ দিন পরে,কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন কামরুল হাসান ভুইয়া (১৯৭১ সালে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন,যুদ্ধের পরে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং মেজর হিসাবে অবসর গ্রহন করেন)।তদানিন্তন ইপিআরের হাবিলদার রমিজ উদ্দিন ২১ বছরের চাকরির দোহাই দিয়ে বার বার অনুরোধ করতে লাগলেন তাকে নেয়ার জন্য।কারন এই দলটি যে এলাকায় যুদ্ধে যাবে সেখানেই রমিজউদ্দিনের বাড়ি।রমিজ উদ্দিন কে পেয়ে খুশি হলেন কমান্ডার কামরুল হাসান ভুইয়া,তাই অনুমতি নিতে গেলেন মেজর এ টি এম হায়দারের কাছে।মেজর হায়দারের এক জবাব “না” শুনে চলে এলেন তিনি।বুঝালেন রমিজউদ্দিনকে।কিন্তু রমিজউদ্দিনের ক্রমেই বিনিত ভাষার অনুরোধ তার বাবা মা নেই,নেই কোন ছেলে শুধু দুইটা মেয়ে বড় মেয়ের বয়স ৬-৭ বছর ইত্যাদি।২য় বার অনুমতির জন্য গেলে মেজর হায়দার তাকে সময় নিয়ে বোঝালেন,বললেন এই সব বয়স্ক এন সি ও (নন কমিশন্ড অফিসার) নিয়ে সমস্যায় পরবে,এদের পিছুটান আছে।তোমাদের মত যুবক হলে কথা ছিল কারন তোমাদের পিছুটান নেই।মেজর হায়দারের কথা শুনে আমার রমিজউদ্দিনকে বোঝাতে গেলেন কামরুল হাসান ভুইয়া,কিন্তু রমিজ কোন বুঝ মানতে চায় না।তার দুচোখ বেয়ে পানি পরতে থাকল।৩য় বার রমিজউদ্দিন এর জন্য অনুমতি আনতে গেলে মেজর হায়দার একচোট শাসিয়ে অনুমতি দিলেন।
রমিজ সম্পর্কে বললাম এই কারনে যে,লেখাটির শিরোনাম শুনেই বুঝতে পারছেন হয়ত রমিজেউদ্দিনের মত কয়েকজন গনযোদ্ধাকে নিয়ে এই লেখাটি,তেমনি আরও দুই গনযোদ্ধার একজন অহেদ কেরানি,নাম টা শুনেই ওনার পেশা বোঝা যায়,৭২ বছর বয়স পরনে থাকত সাদা পায়জামা আর পাঞ্জাবি এবং আরেকজন হলেন, গনি (মহাজনের বাড়িতে কামলা খাটত,প্রথমদিন এসেই সে এমনভাবে কামরুল হাসান ভুঁইয়াকে তার মহাজনের পরিচয় দিয়েছিল যে উনি নিশ্চিত ভাবে গনির মহাজনকে চেনেন)
হাজি মঞ্জু ভুইয়া ছিলেন ঐ এলাকার অর্থাৎ কুমিল্লার পিরকাশেমপুর এলাকার রাজাকার শিরোমণি।এলাকার প্রায় সব সক্ষম ব্যাক্তিকে রাজাকার হিসাবে ভর্তি করেছিলেন তিনি।তবে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে প্রান দিয়েই ওনার রাজাকার পেশার ইতি ঘটে।
পীরকাশেমপুর নামটা শুনেই মনে হবে,নিশ্চয়ই কোন পীরের নামে নাম এই গ্রামের।গ্রামে পৌঁছেয়ই ঐ পীর সাহেবের দোয়া নিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের এই দলটি।পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এই দলটির ক্যাম্পে হামলা করে ৭ নভেম্বর,তার ঠিক ২ দিন আগে এক বিকালে দলটির কমান্ডারের সাথে দেখা করতে আসেন পীর সাহেব।পীর সাহেব সাধারণত বাইরে বের হতেন না,উনি কেনই বা মুক্তিযোদ্ধা্ কমান্ডারের ঘরে এলেন তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না কমান্ডার কামরুল হাসান ভুঁইয়া।শুধু তাই না একে একে সমস্ত অস্ত্রের নাম ও কোনটা দিয়ে কি কাজ হয় সব জানতে চাইলেন পীর সাহেব।ধর্য্য ধরে তিনি শুনলেনও।যাবার সময় কমান্ডারের কাধে হাত রেখে বললেন মান্য করে।“বাবারা তৈরি হয়ে যান,যুদ্ধ করতে হবে,দেশ স্বাধীন করতে হবে” কমান্ডার যেন তার বার্তা পেয়ে গেলেন।অথচ এলাকায় আসার পর কত লোক বলেছিল পীর সাহেবের বাড়ি আর্মি আসে,তাকে খুব মান্য করে
মুক্তিবাহিনীর নাম শুনলে পাকিরা যেখানে যাওয়ার নয় সেখানেও যাবে,যুক্তি তর্ক পরের কথা।তা না হলে এক ব্যাটেলিয়ান (৭৫০ জন) সৈনিক নিয়ে হাটু সমান কাদা পানি দিয়ে আক্রমন করে!!!!
৭ নভেম্বর পড়ন্ত বিকালে একটি ছেলে এসে খবর দিল যে পাকিস্তানীরা পশ্চিম দিক থেকে আক্রমন করেছে।কামরুল হাসান ভুইয়ার অবস্থান তখন তাদের তৈরি প্রতিরক্ষার পুর্বদিকে।খবর পেয়ে তিনি দৌড়ে গেলেন এই দুই প্রতিরক্ষা অবস্থানের ঠিক মাঝখানে একটি রাস্তার উপর।দেখলেন শত্রুরা এফ ইউ পি (আক্রমণকারী সৈনিকরা আক্রমণের পুর্বে যে স্থানে এসে জড় হয়) ছেড়ে এসল্ট ফরমেশনে প্রচন্ড ফায়ার করতে করতে এগিয়ে আসছে।রাস্তার দক্ষিনে ছিল দুটি প্লাটুন (৪০+৪০=৮০ জন)।রমিজের প্লাটুন সর্বপশ্চিমে অর্থাৎ যে দিক দিয়ে পাকিরা আসছে।হাটু সমান পানি ভেঙে সৈনিকরা আসছে অথচ কেউই ফায়ার করছে না,মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার বার বার চিৎকার করতে লাগলেন ফায়ার করতে,কিন্তু কেউ ফায়ার করল না।কণ্ঠস্বর দূরত্বে গিয়ে এতবার বললেন রমিজউদ্দিনকে এল এম জি দিয়ে ফায়ার করতে,কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না।দলটির কমান্ডার তখন দিশেহারা হয়ে গেলেন,কি সিদ্ধান্ত নিবেন বুঝতে পারছিলেন না।এ অবস্থাতেই আদেশ দিলেন পিছু হঠে,বিকল্প প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থায় অবস্থান নিতে।পি ৮০ স্মোক বোম ফাটিয়ে গোটা গ্রামটাকে একটি ধুম্রকুন্ডলিতে পরিনত করে তারা পিছু হঠলেন আর শত্রুকে ওয়াক ওভার দিতে বাধ্য হলেন।রমিজউদ্দিনের উপর দলের সবাই ক্ষিপ্ত হল,অনুরোধ করতে লাগল ওনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য।কিন্তু এ অবস্থায় এ ব্যাপারে কিছু করলেন না কমান্ডার কারন তাতে অন্য যোদ্ধাদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে।শুধু দু জন এন সি ও কে বললেন রমিজউদ্দিনকে চোখে চোখে রাখতে।রমিজউদ্দিনের প্লাটুনের ছেলেরাও ক্ষুব্ধ হয়ে বলতে চেয়েছিলেন যে রমিজউদ্দিন তাদের ফায়ার ওপেন করতে দেন নাই,কিন্তু কমান্ডার ছেলেদের সেই সুযোগ দিলেন না।মুক্তিবাহিনী আর পাকিরা তখন মুখোমুখি অবস্থানে,দূরত্ব মাত্র ৭/৮শ গজ।পাকিদের বিভ্রান্ত করতে মাস্ক পজিশনে অর্থাৎ মুল প্রতিরক্ষা থেকে ৪০০ গজ দূরে একটি মাদ্রাসায় ৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে একটি এল এম জি সহ পাঠালেন,যাতে পাকিরা মুক্তিবাহিনীর অবস্থান সম্বন্ধে আচ করতে পারেন।রণকৌশলগত সংজ্ঞা অনুযায়ী “মাস্ক পজিশনের” সাথে এই মাস্ক পজিশনের কোন মিল ছিল না বলেই কমান্ডার মনে করেন,কারন তা না হলে কেন তিনি ঐ পজিশনে অবস্থানকারী মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের সময় নিজ প্রতিরক্ষায় আনতে পারছিলেন না কেন।চাপিতলা প্রতিরক্ষা অবস্থান থেকে মুক্তিবাহিনী যখন পিছু হঠছিল,তখন অহেদার কেরানি হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসেছিল।এক রকম অধিকারের সুরেই সে অনুরোধ করত তার একটা রাইফেল আর ৫০ রাউন্ড গুলি যাই।সে যুদ্ধ করবে।অই অবস্থায় অহেদ কেরানির এমন আবদারে প্রচন্দ ক্ষুব্ধ হলেন কমান্ডার কিন্তু সেটা নিজেই মনের ভিতরে রাখলেন।মুক্তিবাহিনীর বিকল্প প্রতিরক্ষা ছিল দক্ষিন বাঙ্গোরা,খামারগাও ও খাপুরা গ্রাম জুড়ে।রাতের অন্ধকারে প্রতিরক্ষা অবস্থানে থাকার ফলে,পাকিরা মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান সম্পর্কে আচ করতে পারছিল না।তবুও যে কোন সময়ে যে কোন কিছু ঘটতে পারে এমন আশংকায় পাকিদের সম্ভব্য আগমনের পথে মাইন দ্বারা বুবি ট্র্যাপ বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কমান্ডর।এমন সময় কোথা থেকে গনি এসে হাজির,তার বিনীত অনুরোধ যুদ্ধ শুরু হয়েছে এখন অস্ত্র চাই তার।কমান্ডার তাকে বোঝালেন রাইফেল দিয়ে আর কয়জনই বা মাড়া যায়,তিনি গনি কে মাইন বসানো শিখিয়ে দিলেন।যথারিতি গনি তার কাজ করে ফেলল।সবার উপর নির্দেশ ছিল আদেশের আগে কেউ যেন ফায়ার ওপেন না করে।গুলি নিয়ন্ত্রন ও নিজ অবস্থান গোপন রাখার জন্য এটি অপ্রিহার্য।পরদিন বিকালে প্রতিরক্ষার পিছন থেকে ৩ জন এন ও সি কে নিয়ে ডান দিকের প্রতিরক্ষা অবস্থানে যাচ্ছিলেন কমান্ডার।ঠিক তখনই তাদের দিক থেকে একটি এল এম জি তে ফায়ারের শব্দ শুনলেন কমান্দার।নির্দেশ উপেক্ষা করেই ভিত সন্ত্রস্ত্র যোদ্ধারা ফায়ার ওপেন করল।পাকিরা যেন ঠিক এটিই চেয়েছিল,মুহুর্তেই ওরা ৩ ইঞ্চি মর্টার আর রিকয়েললেস রাইফেল দিয়ে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের উপর অনবরত ফায়ার করতে থাকল।তীব্র গুলির মুখে নিজের নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রে আসতে পারছিলেন না,মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার।কিছু অংশ সাতরে আবাদি জমির পানি ভেঙে তারপর আবার সাতার কেটে অসাড় দেহ নিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রে পউছলেন।যুদ্ধের নিয়ন্ত্রন প্রায় হারাতে বসেছেন,এখন শুধু তার নিজের প্রান নয় দলের যোদ্ধাদের প্রাণও নির্ভর করছে তার উপর।অসাড় দেহকে অবজ্ঞা করে একমাত্র মনের জোড়েই যেন বেহাল নৌকার হাল ধরলেন।
ঠিক এমন সময় একটা ছেলে দুই কাধে দুই ইঞ্চি মর্টারের ৮ টি করে মোট ১৬ টি গোলা নিয়ে হাজির হল।তার কথা হল,মর্টারের গোলা শত্রুর উপর পরছে না,কেবল মাত্র দূরত্বের কারনে।ধানক্ষেতে বসে ফায়ার করলে মর্টারের গোলা শত্রুর উপর পরবে।২ ইঞ্চি মর্টারের গোলায় মানুষ মরে না,তাছারা জ্যোৎস্না রাতে ধানক্ষেতে একা ফায়ার করলে তার মৃত্যু অব্ধারিত,কিন্তু সে এসব যুক্তি মানতে নারাজ।তার একটাই কথা দোয়া কইরেন স্যার ইনশাল্লাহ মরুম না।রাত ৪ টার দিকে পাকিরা ঠিক তাদের প্রতিরক্ষার সামনে থেকে আক্রমন করল।শত্রু তাদের এফ ইউ পি থেকে কয়েকশ গজ দূরে চলে এসেছিল।তবে মুক্তিবাহিনীর কার্যকর আক্রমনে টিকতে না পেরে পুনরায় এফ ইউ পি এর দিকে ফিরে গেল।ঐ আক্রমনের ইতি ঘটল অইখানেই।এর মধ্যে এক বিচিত্র ঘটনা ঘটল।বহু যোদ্ধারা মর্টার শেলিং দেখে লক্ষহিনভাবে প্রতিরক্ষার মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু করল।কেউ ট্রেঞ্চ ছেড়ে লাফ দুয়ে উঠছে,কেউ আবার লাফ দিয়ে ট্রেঞ্চে পড়ছে।একেই বলে শেল শক।মুলত এর আগে এদের যুদ্ধের বস্তব অভিজ্ঞতা না থাকার কারনেই এই অবস্থা।চুড়ান্ত আক্রমন এলে প্রতিরক্ষার ডান দিক থেকে সকাল ৯ টায়,আর আক্রমনের ফল মিলল ১২ টায়।দু দিন দু রাত যুদ্ধ করার ফলে এক একে ছেলের হাতে ফোস্কা ফেটে দগ দগে ঘা হয়ে গেছে।সাড়ে ১১ টার দিকে কমান্ডার পশ্চাদপসরণের নির্দেশ দিলেন।মুক্তিযোদ্ধারা সবাই তখন মালাই বাঙ্গোরা পার হয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে এসেছেন।যারা রমিজউদ্দিনের প্লাটুনকে দেখে এল তারা জানাল রমিজউদ্দিন পশ্চাদপসরন করবে না।সম্ভব হলে তাকে যেন গুলি পাঠানো হয়।খবরটা শুনে গায়ে কাটা দিয়ে উঠল কমান্ডারের,দশ,পনের বা বিশ রাউন্ডের মত গুলি অবশিষ্ট আছে প্রত্যেকের কাছে,তাছাড়া যুদ্ধের সময় গুলি দিয়ে কে কাকে গুলি দিয়ে হাতিয়ারকে লাঠি বানাবে।তাও রিজার্ভ এমুন্যশন থেকে ৪০০ রাউন্ড গুলি রমিজ কে পাঠানো হল,এবং বলা হল কমান্ডারের শেষ অনুরোধ রাখতে কারন তার ডানে বামে মুক্তিবাহিনীর কোন অবস্থান নেই।বিকালে পিরকাশিমপুরে পাকি কমান্ডিং অফিসার সদলবলে পীর সাহেবকে দুটি খাসি নজরানা দিয়ে চলে যায়।পরদিন কমান্ডার কামরুল হাসান ভুঁইয়া পীর সাহেবের বাড়ি গেলে পীর সাহেব জানান পাকিদের দু জন অফিসার আর ৫৫ জন সৈনিক মারা গিয়েছে।তারপর যুদ্ধক্ষেত্র ঘুরতে গেয়ে ধানক্ষেতে বহু পাকিস্তানী সৈনিক আর রাজাকারদের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখলেন তিনি।এরা কেন প্রান দিল সেটা বুঝতে পারছিলেন না।অভিমানের অনেক ভাষা থাকে ধানক্ষেতে মরে পরে থাকা পাকি সৈনিক আর রাজাকারদের দেহ এবং নিজের শরিরে প্রায় ৩৬ টি গুলি নিয়ে রমিজউদ্দিন বুঝিয়ে দিয়ে গেল,সে বোকা হতে পারে কিন্তু দেশোদ্রহি নয়।
অহেদার কেরানির কথা মনে আছে তো ৭২ বছর বয়সে অস্ত্র না পেয়ে সে পুরোনো দো নালা বন্দুক দিয়েই যুদ্ধ করার মনস্থির করে ফেলেছিল।৬ টা পাকি সৈনিক মেরে প্রমান দিয়েছিল দেশকে ভালবাসলে বয়স কোন বাধা নয় দেশের জন্য কিছু করার ক্ষেত্রে।পাকিরা পরে অহেদ কেরানি আর তার বাড়ির ৪ জনকে হত্যা করেছিল,এরা ছাড়াও ৭ নভেম্বরের ঐ যুদ্ধে শহীদ হন এম ও ডি সি এর সিপাই মোঃ বাচ্চু মিয়া ও মোঃ আবুল বাশার। diflucan 150 infarmed
এদের কর্মকান্ডকে হয়ত অনেকে সামরিক বিশেষজ্ঞের কাছে মনে হতে পারে স্রেফ বোকামি।তবে মাত্র ৯ মাসে একটি সু প্রশিক্ষিত ও সু সজ্জিত সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করে জয় লাভ করা এদের মত গনযোদ্ধারা ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে।কেবল মাত্র মাতৃভুমিকে প্রবলভাবে ভালোবাসলেই এই বোকামি সম্ভব ছিল।আমরা কি পারব এদের মত করে দেশটাকে ভালবাসতে??????????
কৃতজ্ঞতাঃ জনযুদ্ধের গনযোদ্ধা (মেজর অবঃ কামরুল হাসান ভুঁইয়া)
জয়তি বলছেনঃ
(y)
গোছানো একটি লেখা পড়লাম ভাইয়া …
খুব ভালো লাগলো ।
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ,পড়ার জন্য
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
ভালো লাগলো । pastillas cytotec en valencia venezuela
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ
ধন্যবাদ
domperidona motilium prospecto
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
খুব শিঘ্রই কিনতে যাচ্ছি বইটা এবং আরও কয়েকটা।