বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীকদের তালিকা
20818
বার পঠিতছোটবেলায় বাংলা বইয়ে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠকে নিয়েই শুধু বিস্তারিত পড়েছিলাম। বীর প্রতীক, বীর উত্তম বা বীর বিক্রমদের নাম ছাড়া ছাড়া ভাবে শুনেছি। পুরো একটা তালিকা পড়ি নি কখনো। তাই মনে হল, বিভিন্ন পেইজে আলাদা আলাদাভাবে না থেকে যদি একটা লেখায়ই সবার নাম উল্লেখ করা যায়, অনেকের উপকার হতে পারে। তাছাড়া আজকালকার ছেলেমেয়েদের অনেকেই ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠর নাম সঠিকভাবে বলতে পারে না; ভাষা শহীদ এবং ভাষা সৈনিকদের সাথে মিলিয়ে ফেলে। এই লেখাটি তাদের জন্যও উপকারী হবে বলে আশা করছি।
পূর্বকথা
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে কতজন মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায় নি।
সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত দলিল অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর কয়েকজন সেক্টর কমান্ডার ও সাব-সেক্টর কমান্ডারদের প্রকাশিত বইয়ে নিয়মিত বাহিনীর ২৪ হাজার ৮০০ এবং অনিয়মিত বাহিনীর ১ লাখ ৭ হাজারসহ মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৮০০ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য করা হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নতুন করে প্রণীত তালিকায় ১ লাখ ৫৪ হাজার জনের নাম দেখা যায়। এই তালিকাটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদে “লাল বই” নামে সংরক্ষিত আছে।
এরপর ২০০২ সালে বিএনপি সরকারের শাসনামলে মোট ১ লাখ ৯৮ হাজার জন মুক্তিযোদ্ধার নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের ২০০৯-১৪ শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, জোট সরকার ৭২ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকায় যুক্ত করেছে। এরপর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়া এবং প্রকৃতদের যোগ করার মাধ্যমে গত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১০-২০১২ সালে মোট দুই লাখ নয় হাজার জনের নাম তালিকাভুক্ত করে।
২০১৪ সালে বর্তমান মেয়াদে আসার পর আবারো লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। কারণ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দাবী অনুযায়ী, নতুন করে তালিকাভুক্ত করা বিএনপি সরকারের ৪৪ হাজারের বেশিরভাগ এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তালিকাভুক্ত করা ১১ হাজার মুক্তিযোদ্ধার অর্ধেকই ভুয়া। নতুন তালিকা আগামী স্বাধীনতা দিবসের (২০১৫) আগেই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এসকল যোদ্ধার মধ্যে গুটিকয় যোদ্ধাই পদক পেয়েছেন। কিন্তু যারা পেয়েছেন শুধু তাঁরাই যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তা নয়। গত কয়েক বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তরুণদের গবেষণা দ্বারা বেরিয়ে এসেছে অনেক “আনসাং হিরো এবং হিরোইন”য়ের গল্প। তাঁদের অবদান হয়তো পদক তালিকা বানানোর সময় জানা যায় নি। কিন্তু প্রতিটা মুক্তিযোদ্ধাই এক একটি বীরত্বের নিদর্শন। সবারই আছে বীরত্বের কাহিনী। কাকে বাদ দিয়ে কাকে দেবেন পদক? কীভাবে তুলনা করবেন বীরত্ব? তবুও আপাত বিচারে যাঁদের অবদান যুদ্ধক্ষেত্রে বেশী প্রভাব বিস্তার করেছে, তাঁদেরকে দেওয়া হয়েছে সম্মাননা। তাই বলে বাকীদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই!
কিছু তথ্য
তালিকা দেখার আগে চলুন চারটি খেতাব সম্পর্কে কিছু জেনে নিই।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার মহান মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ধরণের পদক প্রদান করেছে। এই পদকসমূহ কয়েক স্তরে বিভক্ত। যেমন- বীরত্বসূচক পদক, প্রধান সেনাপতির প্রশংসাপত্র, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক পদক এবং আহতসূচক ফিতা।
এর মধ্যে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা হল বীরত্বসূচক পদক। এই পদকগুলোর গুরুত্ব (ক্রমানুসারে) – বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধে যারা চরম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন, তাঁদের অবদানের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন যোদ্ধাকে এসকল খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিলো। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের একটি অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে ৬৭৬ জন বীরত্বসূচক পদক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। এর মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ রয়েছেন ৭ জন, বীর উত্তম ৬৮ জন, বীর বিক্রম ১৭৫ জন ও বীর প্রতীক ৪২৬ জন। এঁদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ২৯১ জন, নৌবাহিনীর ২১ জন, বিমানবাহিনীর ২৩ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১১ জন, পুলিশ বাহিনীর ৫ জন এবং গণবাহিনীর ২১৮ জন যোদ্ধা রয়েছেন।
মাসিক ভাতা
খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান নীতিমালা ২০১৩ অনুসারে, বীরশ্রেষ্ঠকে সম্মানী ভাতা দেওয়া হবে ১২ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের ভাতা ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের ভাতা ১২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা ও বীরপ্রতীকদের ভাতা ১০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার টাকা।
………………………………………………………………………………………………………………………………
লেখার একদম শেষে “শেষ কথা” হিসেবে প্রধান সেনাপতির প্রশংসাপত্র, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক পদক এবং আহতসূচক ফিতা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো।
…………………………………………………………………………………………………………………………………
তালিকাঃ বীরশ্রেষ্ঠ
এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক ও সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। শহীদ সাতজন যোদ্ধা এই মরণোত্তর পদক লাভ করেন। private dermatologist london accutane
বীরশ্রেষ্ঠদের তালিকা নিচে দেয়া হলঃ side effects of drinking alcohol on accutane
প্রধান সেনাপতির প্রশংসাপত্র (C-in-C’s Commendation)
মুক্তিযুদ্ধে মোট ২৬৯ জনকে প্রধান সেনাপতির প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়। এই তালিকা ২৫শে মার্চ ১৯৭৩ সালে পত্রিকায় প্রচার করা হয়। প্রশংসাপত্র পাবার যোগ্যতা সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা যায় না।
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক পদক (Liberation War Commemorative Medals)

সংবিধান পদক walgreens pharmacy technician application online
আহতসূচক ফিতা (Wound Stripes)
এই পদক কতজন পেয়েছেন তার কোন পরিসংখ্যান নেই।
……………………………………………………………………………………………………………………………………
অবাক ব্যাপার যে মাত্র দুইজন মহিলাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করা হয়েছে। “বীর প্রতীক” উপাধিপ্রাপ্ত এই মহিলা যোদ্ধারা হলেন - তারামন বিবি এবং সেতারা বেগম।
বর্তমানে এটা প্রমাণিত যে, নারী-পুরুষ-বালক-বালিকা-কিশোর-কিশোরী নির্বিশেষে সকলেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। কেউ সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন, কেউ নিরস্ত্র। যারা ময়দানে নামতে পারেন নি, তাঁরা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দান, খাবার সরবরাহ করা, অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া, গান লিখে-সুর করে-মিডিয়াতে গান গেয়ে উৎসাহ দানের মাধ্যমে সাহায্য করেছেন। এর জন্য হয়তো তাঁদের জীবনও বিলাতে হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় মহিলাদের ইতিহাস তেমনভাবে প্রকাশিত হয় নি। যারা ধর্ষিত হয়েছিলেন, তাঁদেরকেও “যুদ্ধের নায়িকা (ওয়ার হিরোইন)” নামে পরিচিত করার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিলো। হয়তো ঐ আমলের সামাজিক পরিস্থিতি অনুযায়ী এই তালিকাগুলোয় নারীদের উপস্থিতি এতো কম! তাই বলে তাঁদের অবদান তো আর অস্বীকার করার উপায় নেই। যেমনভাবে উপায় নেই বাংলার প্রতিটা মানুষের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করা।
১৯৭১ সালে সাত কোটি মানুষের বাংলাদেশে রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী ছাড়া বাকীরা ছিলেন বাঙালী। তাঁরা সবাই-ই পড়েছিলেন যুদ্ধের কবলে। যারা আশ্রয় গ্রহণ করতে ছুটেছিলেন ভারতে, তাঁরাও যেমন এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী, তেমনি যারা অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অকুতোভয় হয়ে, তাঁরাও যোদ্ধা। তাই খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দেখে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমরা বাঙালীরা, পাকিস্তানের দোসর ছাড়া সবাইকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবে একই সম্মান দিয়ে থাকি।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, বিডিনিউজ২৪.কম
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
বেশ গোছানো লেখায় খুব জরুরি একটা জিনিস তুলে এনেছ আপু। যদিও যারা স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাদের চেয়েও অনেক বেশি পরিমানে বীরেরা আজো অবহেলিত, অনাদরে হারিয়ে গেছেন, গ্রাম বাঙলার না জানা কোন নিভৃত প্রান্তে জীবনের শেষদিনগুলো নির্বাহ করছেন। তারপরও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীরদের কথাই বা কজন জানে? তোমাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা এতো চমৎকার একটা লেখায় তাদের কথা তুলে আনার জন্য…
অপার্থিব বলছেনঃ
বীর শ্রেষ্ঠদের তালিকায় কোন শহীদ বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা না থাকাটা এই তালিকার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। দুই একজন বিশ্বাস ঘাতক মুক্তিযোদ্ধার খেতাব প্রাপ্ত দের তালিকায় ঢুকে যাওয়া আরো বেশী দুর্ভাগ্য জনক।
মুক্তি যুদ্ধের সময় সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রাণ ঘাতী যুদ্ধটি হয়েছিল দিনাজ পুরের হিলিতে ইতিহাসে যা ব্যাটল অব হিলি নামে পরিচিত। ভারতীয় ও মুক্তি বাহিনীর বগুড়া দখলের এই লড়াই চলেছিল ২৩ এ নভেম্বর থেকে ১৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত।অর্থাৎ এই যুদ্ধশুরু হয়েছিল ভারতের সাথে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার পূর্বে এবং শেষও হয়েছিল আনুষ্ঠানিক আত্ব সমর্পণের দুই দিন পর যা এই যুদ্ধকে খুবই ইউনিক একটি চেহারা দেয় । এই ভয়াবহ যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকি মেজর মোঃ আকরাম ও ভারতীয় ল্যান্স নায়েক আলবার্ট আক্কা দুজনই তাদের নিজ নিজ দেশের মরণত্তর সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব পেয়েছে (নিশান ই হায়দার ও পরম বীর চক্র) । যারা জীবিত ছিল তারাও অনেক পরবর্তীতে পুরস্কৃত হয়েছে। কিন্ত এই প্রাণঘাতী যুদ্ধে বীরত্বের জন্য কোন বাঙ্গালী মুক্তি যোদ্ধা কেন সর্বোচ্চ খেতাব পায় নি তা নিয়ে আমার যথেষ্ট কৌতূহল আছে। মুক্তি বাহিনীর পক্ষে শুধু সেক্টর কমান্ডার মেজর কাজী নুরুজ্জামান বীর উত্তম খেতাবে ভুষিত হয়েছেন। বর্তমানে হিলির যুদ্ধ নিয়ে আরও কিছু জানার চেষ্টা করছি দেখা যাক কৌতূহল মেটে কিনা ।
অংকুর বলছেনঃ
ব্যাটল অফ হিলি সম্পর্কে একটা পোস্ট দিয়ে দেন।
আর এই খেতাবগুলো দেওয়ার কোন একটা মানদণ্ড হয়ত আছে। সেই হিসেবে পড়েনি তাই বেসামরিক কেউ বীরশ্রেষ্ঠ পায়নি। বেসামরিক কেউ তো মনে হয় বীর উত্তমও পায়নি
অপার্থিব বলছেনঃ
খেতাব প্রদানের মান দন্ড গুলো কি আমার জানা মতে তা কখনো প্রকাশ করা হয় নি। আর শুধু সামরিক বাহিনীর লোকদের বীর শ্রেষ্ঠ ও বীর উত্তম খেতাব দেওয়া যথেষ্টই বৈষম্য মুলক। মাত্র দুই জন নারীর খেতাব পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়।
ব্যাটল অফ হিলি সম্পর্কে লিখব ভাবছি কিন্ত অফিসের ব্যাস্ততার কারনে সময় হয়ে উঠছে না।
অংকুর বলছেনঃ
মানদণ্ড একটা অবশ্যই আছে। আমি যেই কলেজে পড়তাম সেই কলেজের প্রিন্সিপাল একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তিনি একসময় এ ব্যাপারে বলছিলেন। আমি যেকোন কারনে হোক শুনতে পারিন। তবে মানদণ্ড একটা আছে। হয়ত লিংকন ভাই ভাল বলতে পারবেন। আর আপনি যদি জানতে পারেন জানাবেন।
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
অপেক্ষায় রইলাম
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ব্যাটেল অফ হিলি নিয়ে পোস্ট কবে পাচ্ছি স্যার?
অপেক্ষায় আছি কিন্তু…
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ metformin tablet
ডন,
একদম ঠিক বলেছিস।
এজন্যেই আমি বলেছি যে, এই তালিকা দেখে হতাশ হলে চলবে না।
অপার্থিব,
নারী মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারটির মতো এই ব্যাপারটাও মাথায় খচখচ করছিলো। কিন্তু আজ আমরা জানি যে, কতো শত বীর তাঁদের অজানা অথচ গৌরবময় কাহিনী বুকে লালন করে চলেছেন। কিন্তু সে অনুযায়ী প্রাপ্য সম্মান পান নি। তাই আমাদেরই দিতে হবে তাঁদের সেই সম্মাননাটুকু।
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
রেজা সাহেব বলছেনঃ
নিঃসন্দেহে অসাধারন উদ্যেগ!
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ
ধন্যবাদ রেজা সাহেব
অংকুর বলছেনঃ
ঠিক বলেছেন
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
খুবই জরুরী এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ!! ধন্যবাদ আপু এই ব্লগটির জন্যে!
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ
posologie prednisolone 20mg zentivaঅনেক ধন্যবাদ ভাইজান।
ইয়ো ইয়ো প্রজন্মকে তো মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছি। তবুও যদি পড়ে একটু!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
বেড়ে বলেছেন ম্যাডাম
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
স্টিকি করা হোক পোস্টটি……
অসাধারণ কাজ বললেও কম হবে।
আপু অনেক ভাল একটা কাজ করেছেন।
অংকুর বলছেনঃ
আসলেই পোস্টটা স্টিকি করা উচিত
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ
তোদের তেব্র দাবীর মুখে তো পোস্টখানা স্টিকি করা হয়েছে!
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
দারুণ কাজ করেছেন আপু। জয়ের সাথে একমত। লেখাটি স্টিকি করা হোক
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ
ফাতেমা,
তোর মুখ থেকে শুনলে অনেক উৎসাহ পাই। কারণ তুই যা করছিস, তার তুলনায় এই পোস্ট কিছুই না!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ফাতেমা জোহরা তো অসাধারন…
তবে রুথ আপুও দেখিয়ে দিলেন, তিনিও কম যান না
তারিক লিংকন বলছেনঃ
কবে দেখিয়েছিলেন তিনি কম যান…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অসাধারণ একটি কাজের কাজ করেছেন! এই তালিকা একসাথে করা বিশাল কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার ছিল। সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্যভাণ্ডার হিসেবে গড়ে তুলি এই ব্লগকে আমাদের এবং আগামী প্রজন্মের জন্য…
কেউ কি নাই দেখার?
সেল্যুট রুথ!! আর এই ব্লগের ইমো’র এই অবস্থা কেনো? একটু মনগুলো মনেরভাবও প্রকাশ করা যাচ্ছে না…
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ
বিশাল কষ্টসাধ্য ঠিক বলবো না, তবে ঝামেলার ছিলো
আমিও চাই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তথ্যের সবচেয়ে বড় ভাণ্ডার হোক আমাদের “সভ্যতা”। zovirax vs. valtrex vs. famvir
তাত্রি ইমো ঠিক করার ব্যবস্থা নেন আদি সভ্য…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কেউ কি দেখার নাই? কথনিয়ারা কি অনুগ্রহপূর্বক এইদিকে একটু দৃষ্টি দেবেন?
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ acne doxycycline dosage
অসাধারণ তথ্যবহুল। এবং সেই সাথে কষ্টসাধ্য। কৃতজ্ঞতা হে দেবী রুথ।
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ
শঙ্খনীল দা, হাজার পেন্নাম নিন এতো বড় পোস্ট পড়ার জন্য।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ viagra vs viagra plus
হে দেবী রুথ
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
সংগ্রহে রাখলাম। ধন্যবাদ।
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
পরে অনেক কিছু জানলাম । ধন্যবাদ।
আমিরুল ইসলাম বলছেনঃ
Thanking you for this History
রন বলছেনঃ
দারুণ ও কার্যকরি একটা পোস্ট!
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা রইল।
মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী -সহশিক্ষক-হাজীপাড়া সর:প্রা:বি:-সদর-কক্সবাজার। বলছেনঃ
খুব দরকারি ও তথ্য বহুল
লেখা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
সিরাজী এম আর মোস্তাক বলছেনঃ
অনেক ধন্যবাদ। এ ধরণের উদ্যেগ চির অম্লান থাকবে। তবে আমার প্রশ্ন, ত্রিশ লাখ শহীদ রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী ছিল কিনা? দুলাখ নারী প্রেম করে তাদের সম্ভ্রম দিয়েছিল কিনা? তাহলে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করা হয়নি কেন? এখন যে দুলাখ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা রয়েছে, শুধু তারাই কি দেশ স্বাধীন করেছে? বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চারনেতা, লাখো বন্দী, শরণার্থী ও কষ্টভোগী সাড়ে সাত কোটি জনতা কি রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেননা? তিনি কি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন? যুদ্ধবিধ্বস্থ সাধারণ বাঙ্গালিরা কেন আজ যুদ্ধাপরাধী হয়েছে? পাকি সেনারা কি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না? তিরানব্বই হাজার পাকি সেনার পরিবর্ত মাত্র ১৯৫ জনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তালিকা করা হয়েছে? দেশে রাজাকার কোটা চালু করা উচিত কিনা?
মোঃ সালাউজ্জামান বলছেনঃ
দেশের জন্য যারা দিয়েছে প্রাণ এবং নিজের জীবন বাজি রেখে করেছে যারা দেশ স্বাধীন, আমারা তাদের ভুলবো না।
অনুসন্ধানী আবাহন বলছেনঃ
অনেকদিন পরে এই তল্লাটে এলাম, তালিকার সন্ধান করতে করতে। অসংখ্য ধন্যবাদ এভাবে গুছিয়ে রাখার জন্যে, আমাদের অনেকের জন্যেই খুবই উপকারী হয়েছে এই পোস্টটা। তবে একটা ব্যাপার,
২৯১+২১+২৩+১১+৫+২১৮ = ৫৬৯, কিন্তু মোট খেতাবপ্রাপ্ত ৬৭৬ জন। এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল বলাই বাহুল্য, কিন্তু এধরণের একটা পোস্টে এমন সিলি মিসটেক দেখতে দৃষ্টিকটূ লাগে। আশা করি লেখিকা এটুকু শুধরে নেবেন। আমি নিচে হিসাবটা আলাদা করে দিচ্ছি,
বীর শ্রেষ্ঠ – ৭ ঃ সেনা – ৩, বিমান – ১, নৌ – ১, রাইফেলস – ২
বীর উত্তম – ৬৮ ঃ সেনা – ৪৯, বিমান – ৬, নৌ – ৮, এফএফ – ৫
বীর বিক্রম – ১৭৫ ঃ সেনা – ৯০, বিমান – ১, নৌ – ৮, রাইফেলস – ৩৬, পুলিস – ৩, এফএফ – ৩৭
বীর প্রতীক – ৪২৬ ঃ সেনা – ২৬৫, বিমান – ১৩, নৌ – ৭, রাইফেলস – ১, পুলিস – ২, এফএফ – ১৩৮
—————————————————————-
মোট – ৬৭৬ ঃ সেনা – ৪০৭, বিমান – ২১, নৌ – ২৪, রাইফেলস – ৩৯, পুলিস – ৫, এফএফ – ১৮০ about cialis tablets
নিজে আরেকবার একটু যাচাই করে দেখবেন আশা করি। আর কারেকশন পরবর্তিতে মডারেটর এই কমেন্টটা ডিলেট করে দিলে ভালো হয়।
mir aslam বলছেনঃ
দেশে আরো অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে যাদের এখনো কোনো স্বীকৃতি মিলেনি। অথচ তাঁরা জীবন বাজি রেেেখ হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। দেশের বিভিন্নস্থানে এ রকম অনেক বীর যোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এসব মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে খুঁজে বের করা দরকার। আগামী প্রজন্মের জন্য তাদের নাম ঠিকানা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় স্থান করে দেয়া খুবই জরুরী।
abu rayhan বলছেনঃ
আমার আব্বা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল কাদের , ভারতীয় তালিকা আছে, মুক্তি বার্তা লাল বই আছে, গেজেট আছে , আমার সনদ নাই, সনদের জন্য আবেদন করেছি , দোয়া করবেন স্যার।
আমিনুর বলছেনঃ
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক পদক পাওয়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা দেখতে চাই।
মোঃ আল-আমিন বলছেনঃ
মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে কত জন মহিলাকে বীরপ্রতীক খেতাব ভূষিত করা হয়?
আইনুল হক বলছেনঃ
কি ভাবে যে ধন্যবাদ জানাব তা এই মূহুরতে বুঝতে পারতেছি না।অসাধারন লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আইনুল হক বলছেনঃ
★★★কি ভাবে যে ধন্যবাদ জানাব তা এই মূহুরতে বুঝতে পারতেছি না।অসাধারন লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। ***
ovulate twice on clomid
Bangla Kosh বলছেনঃ
অসাধারণ লিখনী ।
এমন লিখা আরো চাই লেখকের কাছে বাংলা কোষের অনুরোধ ।
ওবায়দুল ইসলাম বলছেনঃ
বীর প্রতীক (বার)
“বার” শব্দ দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে?
মো নাদিম বলছেনঃ
আমি এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান , জেলা নোয়াখালী
পেশা প্রবাসী, আমি ও আমরা মুক্তিযোদ্ধা সকল সন্তান ও পরিবার৩০% কোটা ও অধিকার চা।
Shihab বলছেনঃ
বীর প্রতীকদের নামের তালিকা নাই কেন নবী নেওয়াজ খান নামে নতুন এক জন 2016 তালিকায় আছে একটু জানাবেন
ABU RAYHAN বলছেনঃ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে বলার জন্য। সকলেই বুঝতে পারবেন যুদ্ধ মানে কি আবারো আপনার প্রতি আমার ধন্যবাদ রইল
ABU RAYHAN বলছেনঃ
চিরজীবী হোক আমাদের মুক্তিযুদ্ধা সৈনিকেরা