পথ
643
বার পঠিতছেলেটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল রাফিসা। চিঁড়া খাচ্ছিল ছেলেটা, শুকনো চিড়া। গলা দিয়ে নামছিল না বোধহয়, তবুও চিবিয়ে যাচ্ছিল, ভাবলেশহীন নির্বিকারচিত্তে। দেখতে দেখতে এক পর্যায়ে মাকে জিজ্ঞেস করেই ফেলল,
–“আম্মু ওই ছেলেটা এইভাবে শুকনো চিড়া খাচ্ছে কেন?”
–“কি জানি মা, গরীব মানুষ বোধহয়…”
– গরীবরা কি শুধু শুকনো চিড়া খায়?
– হ্যাঁ মা, ওদের আর কোন খাবার নেই যে।
– ওদের আর কোন খাবার নেই কেন আম্মু?
প্রশ্নের উত্তর দেবার আগেই দুটো ঘটনা ঘটলো। ফেরিটা এসে ঘাটে ভিড়লো এবং ফেরি থেকে নামবার তাড়াহুড়ায় ওদের পেছনের বাসটা হঠাৎ সজোরে ওদের গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে বসলো। গাড়ির ভেতর সবার সিটবেল্ট বাঁধা ছিল, কারোর কিছু হল না। কেবল সিটের কোনায় হুকে লেগে রামিশার নতুন ড্রেসটার খানিকটা জরি আর চুমকি উঠে গেল। রামিশার বাবা দেলোয়ার আজম আর ড্রাইভার সাথে সাথে নেমে গেল, ইউ *াকিং অ্যাসহোল, স্ক্রাউন্ডেল— বাস ড্রাইভারকে পারলে পানিতে ফেলে দেন আরকি। শেষমেশ একটা রফা হোল, খেয়াল করতে পারেনি, মাফ চাই বলে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে আর পিছনের ইন্ডিকেটর লাইটের ক্ষতিপূরণ গুনে তবেই রেহাই পেল বাস ড্রাইভার।
এদিকে গাড়ির ভেতর তখন মরাবাড়ির মাতম চলছে। জামাটার অল্প একটু জায়গায় চুমকি উঠে গেছে, তাতেই কান্নাকাটি আর চিৎকারে বেসামাল অবস্থা রামিশার। পাকিস্তানী ড্রেস খুব প্রিয় মেয়েটার, তাই তার চাচ্চু সেই করাচী থেকে বেশ দামী এই ড্রেসটা পাঠিয়েছিল তার জন্য। আজম সাহেব একই সাথে বিরক্তি ও অসহায় বোধ করলেন।এখন মেয়েকে থামাবেন কিভাবে? এবারই ১৩তে পড়ল মেয়েটা, তারপরও এখনো বাচ্চাদের স্বভাবটা গেল না। সামান্য চুমকিই তো উঠেছে, এতে এইভাবে কান্না করার মানে কি?
হঠাৎ করেই রাফিসা পরিবেশটা পাল্টে দিল। আঙ্গুল তুলে অবাক গলায় বলল, আম্মু দেখো, গরীব ছেলেটা কোথায় যেন যাচ্ছে।
সবাই জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে এক বিচিত্র দৃশ্য দেখতে পেল। ফেরি থামার পর চিড়ার ব্যাগ হাতে ছেলেটা নেমে গেছে, রাস্তার একপাশ দিয়ে একমনে হাঁটছে। দেখে মনে হচ্ছে,তাকে খুব দ্রুত কোথায় পৌঁছাতে হবে, আশেপাশের কোনদিকে তার খেয়াল নেই। খালি পা, চেহারা আর পরনের ধূলিধূসর অবস্থা দেখে বোঝাই যাচ্ছে অনেক দূর হেঁটেছে ছেলেটা। “ও কোথায় যাচ্ছে আম্মু?” আনমনেই প্রশ্ন করল রাফিসা।
–বুঝতে পারছি না, মামনি।
–ওর কি গাড়িতে চড়ার পয়সা নেই?
–মনে হয় না। এর জন্যই ও মনে হয় পায়ে হেটে যাচ্ছে।
সামনে থেকে হঠাৎ দেলোয়ার আজম বিরস গলায় যোগ করলেন, “দেখো গিয়ে, কোন ক্রাইম করে পালিয়ে যাচ্ছে নাকি… বর্ডার তো খুব বেশি দূরে না। অবশ্য এই বর্ডার থাকা না থাকা সমান কথা, আমরা তো ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে গেছি সেই কবেই।“গলায় তার দীর্ঘশ্বাস। ড্রাইভারকে বললেন, “রেডিওটা অন করো তো সাদিক, খবরটা শুনি।“
ড্রাইভার ড্যাশবোর্ডে রেডিওর নব ঘোরাতেই ভেসে এল স্বপ্না রায়ের গলা, “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাঙলার স্বাধীনতা আনলে যারা” হঠাৎ দেলোয়ার সাহেবের গলায় বিরক্তিভরা ব্যাঙ্গ শোনা গেল, ওহো, ভুলেই গিয়েছিলাম, ডিসেম্বর মাস এলেই তো সব নদ-নদী, সাগর-মহাসাগরে রক্ত উপচে পড়ে। কবে না কবে একটা গণ্ডগোল হয়েছে, সেই পুরাতন কাসুন্দি প্রত্যেকটা বছর আয়োজন করে ঘাঁটি আমরা। আশ্চর্য…
–গণ্ডগোলটা কবে হয়েছিল আব্বু? কান্না ভুলে হঠাৎ রামিশার গলায় কৌতূহল।
– ১৯৭১ সালে, মামনি। আমরা ছিলাম এক পাকিস্তান,পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুসলিম রাষ্ট্র। ভারতের হিন্দুরা সবসময় পাকিস্তান ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র করে আসতেছিল, সেই ৪৭ সাল থেকে।
– তারপর কি হল, আব্বু?
– “তারপর আর কি। ভারতের চক্রান্তে একাত্তরে গণ্ডগোল বেঁধে গেল। পাকিস্তানের মিলিটারি ছিল পৃথিবীর অন্যতম সেরা, তারা কি আর পাকিস্তান ভাঙ্গতে দেয়? দুই দিনের মধ্যে দুষ্কৃতিকারীগুলারে পিটায়ে সব ঠিকঠাক করে ফেলল। তারপর দেশপ্রেমিক পাকিস্তানীদের নিয়ে একটা আলাদা দল তৈরি করল ওরা, রাজাকার বাহিনী নামে। এরা মিলিটারির সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে পাকিস্তানের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করল। আমিও সেই বাহিনীতে ছিলাম, বুঝলে মামনি? কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান এক রাখতে পারলাম না।“
–কেন বাবা? কেন পারলে না?
– “ভারতের ষড়যন্ত্রেই শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ভেঙ্গে গেল। আমরা মুসলমান ভাইরা দুই ভাগ হয়ে গেলাম। আজকে যদি পাকিস্তান থাকতো, তাহলে আমরা কত ভালো থাকতাম।“ আক্ষেপে ভারী হয়ে আসে দেলোয়ার আজমের গলা।
ফেরিঘাট পার হবার আধাঘণ্টার মাথায় ওরা এক হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে এসে পৌঁছোল। লাঞ্চ করতে সবাই গেল সবাই, এই ফাঁকে ড্রাইভারকে গাড়িসহ পাঠানো হল কাছের এক ওয়ার্কশপে । আধা ঘণ্টা পর হঠাৎ ড্রাইভার ফোন করে জানালো, ইঞ্জিনের ট্রাবল ছাড়াও নাকি চাকায় কি একটা সমস্যা পাওয়া গেছে, আরও সময় লাগবে। কলকব্জার ঝামেলা তো। দেলোয়ার সাহেব প্রচণ্ড রেগে গেলেন, মনে হল সামনে পেলে ড্রাইভারকে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতেন। গাড়ির কলকব্জায় এতো ঝামেলা, সেটা কি ঢাকা থেকে ঠিক করে আসা উচিৎ ছিল না? এখানে কি? একটা না একটা ঝামেলা বাঁধাবেই এরা…
দুই ঘণ্টা পর। রাফিসা বাইরে খেলছিল, হঠাৎ দৌড়ে এল, হন্তুদন্ত হয়ে রেস্টরুমে ঢুকেই তার আব্বুর হাত ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল, দেখে যাও আব্বু, ওই গরীব ছেলেটা এখনো হাঁটছে, হেঁটেই যাচ্ছে, ওর পা দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে… দেখে যাও আব্বু…
ওর কথাটার বিশেষ গুরুত্ব দিল না কেউ। মাথা খারাপ না হলে তিন ঘণ্টা একটা মানুষ এই ভয়ংকর রোদ্রের মধ্যে কেন হাঁটবে? বাচ্চা মানুষ, কাকে মা কাকে দেখেছে কে জানে? রাফিসা অবশ্য হাল ছাড়ল না, সে ক্রমাগত বলে যেতেই লাগলো তার আবিস্কারের কথা। এর মাঝেই গাড়ি চলে এল, গাড়িতে উঠেই রাফিসা থামলো না। এক পর্যায়ে আম্মুর শক্ত ধমক খেয়ে ভ্যা করে কেঁদে ফেলল মেয়েটা। ঠিক তখনই হঠাৎ হার্ডব্রেক, সামনের ট্রাকটার বেখেয়ালি ড্রাইভের জন্য আরেকটু হলেই এক্সিডেন্ট করতো ওদের মাইক্রো। কারোর চোট লেগেছে কিনা ব্যস্তসমেত হয়ে সেটার খোঁজ নিতে গিয়ে দেলোয়ার সাহেব হঠাৎ খেয়াল করলেন, রাফিসা কি যেন গভীর মনোযোগে দেখছে। রাফিসার দৃষ্টি লক্ষ্য করে তাকাতেই ভূত দেখার মত চমকে উঠলেন তিনি। রাস্তার পাশে একটা গাছের নিচে পা ছড়িয়ে বসে আছে ফেরির সেই ছেলেটা, পাশে চিড়ার পুঁটলি আর পানির বোতল।কিছুক্ষন পর হঠাৎ উঠে দাঁড়াল সে, এক ঢোঁক পানি খেয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলো, সেই আগের ভঙ্গিতে।
হঠাৎ করেই ড্রাইভারকে ডেকে বললেন দেলোয়ার সাহেব, যাও তো সাদিক, ডেকে আনো তো ছেলেটাকে। ব্যাপারতা এবার খতিয়ে দেখতেই হচ্ছে। সাদিক নেমে গেল, একপ্রকার জোর করেই ছেলেটাকে ধরে নিয়ে এল গাড়ির সামনে। দরজা খুলে কর্কশ গলায় জিজ্ঞেস করলেন দেলোয়ার আজম,” এই ছেলে, বিষয়টা কি? কোথায় যাচ্ছ তুমি?
- তা দিয়ে আপনার দরকার কি? ঠাণ্ডা গলায় জবাব দেয় ছেলেটা।
- এইভাবে হাঁটছ বাস না নিয়ে, যাবে কোথায়? বর্ডার নাকি? চিবিয়ে চিবিয়ে প্রশ্ন দেলোয়ারের।
- হ্যা। বর্ডারে যাচ্ছি। সমস্যা?
দেলোয়ার আজমের চওড়া হাসি দুকান স্পর্শ করে।“ বলেছিলাম না তোমাদের, এই ছেলে ইন্ডিয়া পালিয়ে যাচ্ছে। দেখলে তো, নিশ্চয়ই কোন খুনটুন করেছে, এখন জান বাঁচাতে ভারতমাতার কোলে ছুটে যাচ্ছে।“ বিচিত্র এক ঘৃণায় হঠাৎ এক দলা থুথু ফেললেন তিনি। “অ্যাই সাদিক, গাড়ির পেছন থেকে দড়ি নিয়ে বাঁধো তো ক্রিমিনালটাকে। আমি পুলিশে ফোন করছি…
—“আহা, কি শুরু করলে, যেখানে খুশি সেখানে যাক। তোমার তাতে কি? আর সে তো ক্রিমিনাল নাও হতে পারে।“ পেছনের সিট থেকে অনুযোগ করেন আজম সাহেবের স্ত্রী।
—আরে কি যে বল, নাগরিক হিসেবে আমার একটা দায়িত্ব আছে না, আর ও খুনি নয় বলছো? ওর চোখ দুটো ভালো করে, ওইটাই বলে দিচ্ছে ও কত বড় ক্রিমিনাল…
— আর যদি ক্রিমিনাল না হই? যদি প্রমান হয় আমি নির্দোষ? তাহলে কিন্তু আপনি জেলে যাবেন। আপনি আমাকে চেনেন না, আমি কে জানেন না, আপনি পুলিশ ডাকছেন… ডাকেন, পরে পুলিশ এসে আপনাকে ধরে নিয়ে গেলে আমাকে দোষ দিয়েন না। এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে থামলো ছেলেটা।
প্রথমবারের মত একটু কনফিউজড দেখা গেল দেলোয়ার সাহেবকে, ভেতরে ভেতরে ঘাবড়ে গেছেন বলে মনে হল। সুযোগটা নিলেন তার স্ত্রী। ছেলেটার দিকে এগিয়ে বললেন, তুমি ওর কথায় কিছু মনে করো না বাবা, ও একটু বেশিই সন্দেহপ্রবন। তুমি যাও যেখানে যাচ্ছিলে…
হঠাৎ রামিশা বলে উঠল , কিন্তু আম্মু, ওর তো পায়ের নখগুলো সব উঠে গেছে, রক্ত পড়ছে, ও হাঁটবে কিভাবে?
এতক্ষনে ওদের খেয়াল হল ব্যাপারটা। পায়ের দিকে তাকিয়েই প্রথম যে কথাটা মাথায় এলো, তা হচ্ছে এরকম মারাত্মক জখমী পা নিয়ে এই ছেলে এতক্ষন হাঁটছে কীভাবে?
–“ওকে আমাদের গাড়িতে নিয়ে নেই আম্মু? ও তো হাঁটতে পারছে না”… ছোট্ট রাফিসার গলায় আকুতি।
–“নাহ, আমকি গাড়িতে চড়বো না ছোট্টমনি।“ ছেলেটা রাফিসার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে বললো।“আমি হেঁটেই যাব।”
অবাক হল সবাই। পায়ের এই অবস্থাও লিফট নিতে চাইছে না সে।ঘটনা কি?
–তুমি হেঁটে যাবে কীভাবে? আযম সাহেবের স্ত্রী অবাক।
–কিছু করার নেই, আমাকে হেঁটেই যেতে হবে।
–হেঁটেই যেতে হবে?
–হ্যাঁ
–কেন? হেঁটেই যেতে হবে কেন? তার গলায় নির্ভেজাল কৌতূহল।
–কারন –একটু ইতস্তত করে ছেলেটা, আমি একটা ব্যাপার দেখতে চাচ্ছি।
–কি দেখতে চাচ্ছ?
–জবাব দিতে গিয়ে একটু থেমে গেল ছেলেটা, “আমি দেখতে চাচ্ছি, আমার মায়ের কেমন কষ্ট হয়েছিল। আমি মায়ের কষ্টটুকুন বুঝতে চাচ্ছি।“
–কি হয়েছিল তোমার মায়ের?
–আমার মা মরে গেছে, অনেকদিন আগে…
– “আচ্ছা।” হঠাৎ করেই থমকে গেল সবাই। কিছুক্ষন পর খুব ধীরগলায় জিজ্ঞেস করলেন আজম সাহেবের স্ত্রী, “কীভাবে মারা গেল তোমার মা?”
–একাত্তর সালে যখন পাকিস্তান মিলিটারি আমাদের গ্রামে হামলা করলো, তখন আমি আমার মায়ের পেটে। আমার বাবা ছিল জয়বাংলার লোক, স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা লাগাইছিল আমাদের বাড়ির উপর। মিলিটারি আমার বাপ-দাদা সবাইরে ধরে নিয়ে গিয়ে জবাই করে মেরে ফেলছিল, বাড়িঘর সবকিছু পুড়ায়ে দিছিল।আমার মা আমার বড় ভাইকে নিয়ে কোনোমতে পালায়া আসছিল। প্রান বাঁচাইতে অন্য সবার মত আমার মাও এই রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে বর্ডারের দিকে যাইতেছিল, আমার ভাইয়ের হাত ধরে, আমি পেটে। সাথে একটু চিড়া আর পানি ছাড়া আর কিছু ছিল না। আমার বয়স তখন আট মাস, খালি পায়ে আমাকে নিয়ে হাঁটতে মায়ের খুব কষ্ট হইতেছিল। বর্ডার আর দুই মাইল দূর, এমন সময় আমার মায়ের প্রসব বেদনা উঠলো, ধলার বিলের কাছে। আমার বড় ভাই একটা ডাক্তারের জন্য কত জায়গায় গেল, ডাক্তার খুঁজে পাইল না। এসে দেখে, আমি পেট থেকে বের হয়ে মায়ের পাশে কাদার মধ্যে কাঁদতেছি, আর মা আমার মারা গেছে, ব্লিডিং হয়ে…
রামিশা অবাক হয়ে দেখলো, ছেলেটার বড় বড় চোখ পানিতে ভরে যাচ্ছে। কান্নায় গলা বুজে আসছে, ছেলেটা বলেই চলতেছে।“জন্মের পর মাকে কোনোদিন দেখতে পাইলাম না, ভাইয়ের কাছে মায়ের গল্প শুনি, কি সুন্দর ছিল আমার মা, কি মিষ্টি করে হাসতো, কোনোদিন দেখতে পাই নাই। কি অসহ্য যন্ত্রণাটাই না পাইছে আমাকে জন্ম দিতে যেয়ে, আমাকে পেটে নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে ছুটতে যেয়ে কত কষ্ট হইছে তার”—হঠাৎ হাউমাউ করে কেঁদে উঠে ছেলেটা। “আমি শুধু একবার দেখতে চাই মা আমার কি কষ্টটা পাইছিল, শুধু একবার বুঝতে চাই। আমার মায়ের কষ্টটা শুধু আমি একবার বুঝতে চাই”…
হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটা ঘুরে দাঁড়ালো, আবার হাঁটতে শুরু করল। একবারও পিছনে ফিরে তাকালো না, জামার হাতায় চোখ মুছতে মুছতে এগিয়ে যেতে থাকলো। ধলার বিলের দিকে যাচ্ছে ছেলেটা, তার মায়ের জন্য কাঁদতে কাঁদতে যাচ্ছে। যে মাকে সে কোনোদিন দেখে নাই, সেই মায়ের জন্য সে আকুল হয়ে কাঁদছে, অঝোরে ধারায় কাঁদছে…
পরিশিষ্ট – মইন আঙ্কেল তার বড় ভাই রতন আঙ্কেলের কাছে যতবার তার মায়ের কথা শুনতেন, ততবার তিনি হাওমাও করে কাঁদতেন। আমি যখন তার মায়ের কথা বলছিলেন, তখনো কাঁদছিলেন। মইন আংকেল বা রতন আংকেলদের এই যন্ত্রণার ইতিহাসগুলো না বলাই রয়ে গেছে। কেউ জানে নি। গল্পটা এই দুই ভাই আর তাদের জন্মদাত্রী মমতাময়ী সেই মা’কে উৎসর্গ করা হল। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের জন্য অশেষ শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা, তার “আজব ছেলে” গল্পটা এই লেখার অনুপ্রেরনা… prednisolone for cats diarrhea
Prabir Deb বলছেনঃ
cuker jol asa mone hoy maje maje valo…. Maa ra takan koto kosto korse ar tader koster upor dariye janour gula koto arame din japon korse
মেঘবতী বলছেনঃ
কষ্ট লাগে ভাই, ভয়ংকর আক্ষেপ আর যন্ত্রণায় মাথায় আগুন ধরে যায় …
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ zithromax trockensaft 600 mg preis
কিছু বলতে পারতেছি না…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
efek samping minum obat viagraকেন ফাতেমা?
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ viagra para mujeres costa rica
কেন বুঝেন নাহ্ !! এত্ত আবেগ দিয়া ক্যামনে লিখেন !! লেখা পড়তে পড়তে ৭১ এ চলে যাই যে। যন্ত্রণায় জ্বলে পুড়ে যাই, এইটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো নাতো -_-
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
viagra sildenafil genericনির্ঝর রুথ বলছেনঃ
গল্পটা পড়ার পর কিছুক্ষণ থম্মম মেরে ছিলাম। মাথার ভেতর ফাঁকা একটা অনুভূতি বারবার জানতে চাইছিলো, কী পড়লাম?
…
তুই এতো আবেগ কীভাবে ধরিস, বল তো?
অসাধারণ! sildenafil efectos secundarios
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, লিখতে গিয়ে ভেতরটা মুচড়ে উঠেছে, ফাঁকা একটা অনুভূতি আচ্ছন্ন করে রেখেছিল সবসময়, মনিটর ঝাপসা হয়ে যাওয়ায় থমকে গিয়েছি বারবার…
লিখতে বড় কষ্ট হয়েছে আপু… বড় কষ্ট…
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অসাধারণ আবেগময় লিখা। খুব পছন্দ হল! কিপিটাপ ডন ভাই!!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আরে, এইটা কে? ইলেকট্রন নাকি?
আওনার উপস্থিতি তোঁ আমার গল্পটা ধন্য করে দিল ভাই… অভিনন্দন
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
viagra masticable dosisকান্না আসছে।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
পুরা গল্পটা লিখতে গিয়া বারবার মনিটর ঝাপসা হয়ে গেছে, থেমে যাইতে হইছে। শেষদিকে এসে অনেকক্ষন হাউমাউ করে কাঁদছি, ওই ছেলেটার কথা ভেবে কাঁদছি, ওর মায়ের অচিন্তনীয় কষ্টের কথা মনে করে কাঁদছি… ভয়ংকর কষ্ট ইলোসিয়া, ভয়ংকর কষ্ট… otc viagra uk
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
আমার জীবনের পড়া ওয়ান অফ দা বেস্ট লেখা। বুক ফেটে কান্না আসছে
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ